Tag: Bengali news

Bengali news

  • JU Student Death: পুতুল নিয়ে মেন হস্টেলে ফরেন্সিক দল, তিনতলা থেকে ফেলা হল বিভিন্ন কোণে

    JU Student Death: পুতুল নিয়ে মেন হস্টেলে ফরেন্সিক দল, তিনতলা থেকে ফেলা হল বিভিন্ন কোণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ অগাস্ট হোস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে কীভাবে পড়ে যান স্বপ্নদীপ? (JU Student Death) সেই উত্তর খুঁজতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয় ফরেন্সিক দল। তাদের হাতে ছিল একটি পুতুল। ফরেনসিক দলের সঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এদিন যান যাদবপুরের মেন হোস্টেলে। বিভিন্ন কোণ থেকে ওই পুতুলটিকে (JU Student Death) ফেলা হয়। প্রসঙ্গত, এদিনই যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে, যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবে সন্তুষ্ট না ফের চিঠি পাঠাতে চলেছে ইউজিসি।

    পুতুল নিয়ে যাদবপুরে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা

     ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলির থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পা পিছলে পড়ে গেলে কীভাবে পড়ছে পুতুলটি (JU Student Death)! কেউ ধাক্কা দিলে ফেলে দিলে কীভাবে পড়ছে! নিজে থেকে ঝাঁপ দিলে কীভাবে পড়ছে! এই তিনরকমভাবে ফেলা হয় পুতুলটিকে। পা পিছলে পড়ে গেলে দুর্ঘটনা, নিজে ঝাঁপ দিলে আত্মহত্যা (JU Student Death), কেউ ঠেলে দিলে খুন। পুতুল নিয়ে এদিন এই তদন্তই করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এদিনের ঘটনার পুননির্মাণের সময় গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে দেওয়া হয়। তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত ছাত্র সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে প্রশাসন।

    ৯ অগাস্ট পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা,জবাব চাইল হাইকোর্ট

    অন্যদিকে, ৯ অগাস্টের ওই রাতে (JU Student Death) পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে নিয়ে পুলিশ একটি পৃথক মামলা রজু করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। এবার এ নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কৈফিয়ত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, যাদবপুরে সেই রাতে পুলিশকে কেন ঢুকতে দেওয়া হয়নি (JU Student Death)? আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করা নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ইউনিয়নকে মামলার পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ধূপগুড়িতে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ, উপ নির্বাচনে কত বাহিনী মোতায়েন জানেন?

    Dhupguri: ধূপগুড়িতে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ, উপ নির্বাচনে কত বাহিনী মোতায়েন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হল। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিধানসভা উপ নির্বাচনের আগে ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করে বিভিন্ন এলাকায়। এদিন সকালে শহরের বামনি ব্রিজ সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এ ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রুটমার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন।

    কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল? (Dhupguri)  

    এই উপ নির্বাচনের জন্য মোট ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছে। ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি পুরসভা এলাকার পাশাপাশি বানারহাট ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। বিস্তীর্ণ এই এলাকা জুড়েই টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা যাচ্ছে, ধূপগুড়িতে রাখা হবে ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেই সঙ্গে বানাহাট এলাকায় এই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি এলাকায় থাকবে। উপ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক এলাকা থেকে হিংসার খবর উঠে এসেছিল। সেই বিষয়টির উপর নজর রেখে এই উপ নির্বাচনে যাতে নিরাপত্তার কোন খামতি না থাকে সেটাও দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারী বুটের শব্দে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হচ্ছেন ভোটাররা।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়ি সদরে রাখা হবে। মূলত যেখানে ইভিএম স্টোর করা হবে, ডিসিআরসি সেল হবে এবং স্ট্রং রুম করা হবে, সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। উপ নির্বাচনের নিরাপত্তায় যাতে কোনওভাবেই কোনও খামতি না থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে যে সন্ত্রাস তৃণমূলের তরফে করা হয়েছিল, এবার সেটা হবে না। পুলিশ ও প্রশাসনের মদতে তৃণমূল যেভাবে ভোট লুট করেছে এই ভোটে তা করতে পারবে না তারা। এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, বিজেপি হারের ভয়ে এই সমস্ত কথা বলছে। ২০২১ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, বাংলার মানুষ দেখেছে রেজাল্ট কী হয়েছিল। ফলে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখিয়ে লাভ নেই। মানুষ উন্নয়নের নিরিখে ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপ নির্বাচনে ভোট দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! ফের চাওয়া হবে ব্যাখ্যা

    JU Student Death: যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! ফের চাওয়া হবে ব্যাখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‌্যাগিং (JU Student Death) নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ফের ব্যাখ্যা তলব করবে ইউজিসি। এই নিয়ে টানা তিনবার ব্যাখ্যা চাইবে তারা। এর আগে ইউজিসির বারোটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও জানিয়েছিলেন যে ৩১ টি ফাইলে সেই জবাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি।

    কী বলছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান?

    কিন্তু সোমবার ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার জবাবেও সন্তুষ্ট নয় তারা এবং এ নিয়ে ফের চিঠি লিখতে চলেছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তৃতীয় প্রশ্নমালা পাঠাতে চলেছে ইউজিসি। গত শুক্রবারে ১২টি প্রশ্নের জবাব তলব করেছিল ইউজিসি। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। জবাবের ৪৮ ঘণ্টা পরে ইউজিসি সাফ জানিয়ে দিল, তারা সন্তুষ্ট নয়। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘র‌্যাগিং একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতেই হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে(JU Student Death)। এ ব্যাপারে ইউজিসির সমস্ত বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। খুব শীঘ্রই আবার ইউজিসির চিঠি যাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে আরও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তারও বিশদ জানতে চাওয়া হবে।’’ 

    ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব মানবাধিকার কমিশনের

    অন্যদিকে যাদবপুরের ডিন রজত রায়কে সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ তলব করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, এ সংক্রান্ত নোটিশ ১৪ অগাস্ট রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকরা। তারপরেও কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটলো?’’ শুধু তাই নয় কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে গাফিলতির কথা লেখা হয়েছে নোটিশে। এও লেখা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট সত্যি হলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত (JU Student Death) হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই লালবাজারে তলব করা হয় ডিনকে। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার রাত দশটা পাঁচ মিনিট নাগাদ এক ছাত্র তাকে ফোনে জানান হোস্টেলের এক ছাত্রকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তিনি তখন সুপারকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। জানা গিয়েছে, তারপরে সুপার আদৌ খোঁজ নিয়েছেন কিনা, সেই খবর নেননি ডিন। পরে রাত বারোটা নাগাদ সুপার ফোনে জানান, এক ছাত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Garden: চোপড়ায় চা বাগানে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন শ্রমিক, অভিযুক্ত তৃণমূল মদতপুষ্ট মালিকপক্ষ

    Tea Garden: চোপড়ায় চা বাগানে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন শ্রমিক, অভিযুক্ত তৃণমূল মদতপুষ্ট মালিকপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান (Tea Garden) দখলকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ ও আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সংঘর্ষের জেরে ছড়রা গুলি চালানোর অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ১৩ জন চা শ্রমিক। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল মদতপুষ্ট চা বাগানের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি এলাকার পিয়ারেলাল চা বাগানে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tea Garden)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়ারেলাল চা বাগানের (Tea Garden) আগের মালিক বাগানটি স্থানীয় কিছু লোকেদের কাছে বিক্রি করে দেন। নতিন চা বাগানের মালিক পক্ষ তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ। আর শাসক দলের নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তারা শ্রমিকদের উপর জুলুমবাজি করছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই কর্মরত শ্রমিকরা ওই বাগানের পাশেই অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আর তৃণমূল মদতপুষ্ট বাগানের নতুন মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার আন্দোলনেও নামে আদিবাসীরা। সোমবার সেই বাগান দখল করতে গেলে নতুন মালিকপক্ষ ও আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে ছড়রা গুলি চালানোর অভিযোগ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন ছড়রা গুলিতে আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চোপড়ার দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    কী বললেন আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির নেতা?

    আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির নেতা রহিদা ওরাও বলেন, পুলিশের সামনেই মালিকপক্ষের লোকজন আমাদের ওপরে গুলি চালায়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sunny Deol: আপাতত নিলাম হচ্ছে না সানি দেওলের বাসভবন, স্বস্তিতে অভিনেতা

    Sunny Deol: আপাতত নিলাম হচ্ছে না সানি দেওলের বাসভবন, স্বস্তিতে অভিনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সানি দেওল (Sunny Deol) অভিনীত গদর-২ ছবি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্যের মুখ দেখেছে। কিন্তু তার মাঝেই খবর রটে যায় যে জুহুতে অভিনেতার বাসভবন যার পোশাকি নাম ‘সানি ভিলা’ (Sunny Deol), তা নাকি নিলামে উঠতে চলেছে। কিন্তু কোন কারণে? তখন জানা যায়, ৫৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা নাকি শোধ করেননি সানি দেওল (Sunny Deol)। ঋণের সেই টাকা তুলতেই ৫৬ কোটি টাকার নিলামে তোলার নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

    রবিবার নিলামের নোটিশ জারি করে সোমবার তা প্রত্যাহার করে ব্যাঙ্ক

    রবিবার ২০ অগাস্ট এই নোটিশ জারি করে ব্যাঙ্ক। তবে ২১ অগাস্ট সেই নোটিস আবার প্রত্যাহারও করে নেয় তারা। রবিবার জারি করা নোটিশ অনুযায়ী, ২৫ অগাস্ট সানি দেওলের বাংলো নিলাম হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে নোটিশ প্রত্যাহারের পিছনে কিছু অনিবার্য কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে সানি দেওলের (Sunny Deol) ম্যানেজারের দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই নাকি সমস্যা সমাধানের জন্য বদ্ধপরিকর অভিনেতা (Sunny Deol)। শোনা যাচ্ছে, সানিকে (Sunny Deol) আরও একমাস সময় দেওয়া হয়েছে।

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকেই ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না অভিনেতা (Sunny Deol)

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই নাকি ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারছিলেন না অভিনেতা (Sunny Deol)। এই এক মাসের মধ্যে অভিনেতাকে ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে হবে। যদি তা সম্ভব হয় তাহলেই ‘সানি ভিলা’ (Sunny Deol) আর নিলামে উঠবে না। এরই মধ্যে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে সানি দেওল এবং আমিশা প্যাটেল অভিনীত ছবি। জানা গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করে আপাতত ৪০০ কোটির দিকে এগোচ্ছে ‘গদর-২’।

     

    আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে ছুটছে ‘গদর ২’, মাত্র ছ’ দিনে রোজগার কত জানেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠ মন্দির থেকে সরানো হল তারা মায়ের বিগ্রহ, কেন জানেন?

    Tarapith: তারাপীঠ মন্দির থেকে সরানো হল তারা মায়ের বিগ্রহ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মন্দিরে গেলে এবার দর্শন মিলবে না মা তারার। কিন্তু, কোথায় গেলেন তিনি? তারাপীঠের মা তারার মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে দেশে ও বিদেশে। প্রতিদিনই ভক্তদের সমাগমে গম গম করে মন্দির চত্বর। নিত্য পুজোপাঠ তো হয়েই থাকে, তাছাড়াও শনি-মঙ্গলবার এবং বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ পুজো অর্চনা হয়ে থাকে এখানে। কথিত আছে মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয়। তবে এবার মন্দিরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে না তারা মায়ের।

    কেন মন্দিরে দেখা মিলবে না তারা মায়ের? (Tarapith)

    জানা গিয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহের সংস্কারের কারণেই স্থানান্তরিত করা হল তারাপীঠের (Tarapith) তারা মায়ের মূর্তি। তারাপীঠের ভৈরবের মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হল তারা মায়ের মূর্তি। আগামী এক সপ্তাহ ধরে সেখানেই ভৈরবের মূর্তির পাশে বিরাজ করবেন মা। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কারের পাশাপাশি মন্দিরে রংও করা হবে। ফলে স্থানান্তরিত করা হল তারা মায়ের মূর্তি। তাই এবার গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কার করা হচ্ছে। শিব মন্দির যেহেতু একটু ছোট, তাই গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে সমস্যা হবে। তাই বাইরে থেকেই দর্শনার্থীরা মা তারার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে পারবেন, আশীর্বাদ গ্রহণ করতেও পারবেন।

    কী বললেন মন্দির কমিটির সভাপতি?

    তারপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে মা তারার মন্দিরের কোনওকম সংস্কার হয়নি। করোনার সময় সংস্কারের কাজও করা যায়নি। হাজারে হাজারে ভক্ত প্রতিদিন মন্দিরে আসেন। সেই জন্য মা তারার গর্ভগৃহ বন্ধ করে মন্দির সংস্কার করা কোনওভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছিল না। কিন্তু সম্প্রতি রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ ভক্ত ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাই এই সময় তাঁরা আসতে পারবেন না। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে এই সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই সংস্কারের কাজ চলবে। গর্ভগৃহে মার্বেল বসানোর পাশাপাশি মন্দির রং করা ও সংস্কারের কাজ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Self Reliance: ৩০ বছর ধরে মাত্র ১ টাকায় গরমাগরম আলুর চপ, ফুলুরি, বেগুনি!

    Self Reliance: ৩০ বছর ধরে মাত্র ১ টাকায় গরমাগরম আলুর চপ, ফুলুরি, বেগুনি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র এক টাকায় তেলেভাজা বিক্রি করছেন হাওড়ার সলপ বাজারের গোপালচন্দ্র দে (Self Reliance)। তাও এক-দু’ বছর নয়, বিগত ৩০ বছর ধরে। এই দুর্মূল্যের বাজারে যেখানে দৈনন্দিন সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, সেখানে মাত্র এক টাকায় মিলছে গরমাগরম আলুর চপ, ফুলুরি, বেগুনি। এছাড়াও সিঙাড়া, কচুরি, নিমকিও পাওয়া যাচ্ছে এক টাকা দামেই। ডোমজুড়ের সলপ বাজারে সপ্তাহে প্রতিদিন দু’ বেলাই স্থানীয় মানুষের রসনাতৃপ্তি ঘটিয়ে চলেছেন গোপালবাবু, মাত্র এক টাকাতে।

    ন্যূনতম ছ’ টাকার নিচে কিছু তো মেলেই না!

    বর্ষাকালে গরমাগরম তেলেভাজা সহযোগে মুড়ির সঙ্গে বাঙালির নস্টালজিক যোগাযোগ। বিকেলের আড্ডা বা ঘরোয়া জলখাবার, তেলেভাজা-মুড়ি বাঙালির পছন্দের খাদ্য তালিকায় সব সময়ই ‘হট ফেভারিট’। সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজও শীর্ষস্থান অধিকার করে আছে তেলেভাজা-মুড়ি। কোভিড অতিমারির জেরে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিশেষত সর্ষের তেলের মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়ায় লাগাম টানতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মুড়ি-তেলেভাজাও সেই লাগাম টানার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। কলকাতা বা হাওড়ার যে কোনও তেলেভাজার দোকানে ন্যূনতম ছ’ টাকার নিচে কিছু মেলে না। কিন্তু সলপ বাজারের গোপালচন্দ্র দে-র তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি ওই এক টাকাতেই বেচে চলেছেন (Self Reliance) গরম তেলেভাজা। তাই বলে খাবারের গুণগত মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি নন তিনি। লাভক্ষতির কথা মাথায় না রেখে স্থানীয় মানুষের হাতে এই নামমাত্র দামেই টাটকা খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি।

    বয়স বেড়েছে, উৎসাহ এতটুকু কমেনি (Self Reliance)

    আদি বাড়ি হাওড়ার আমতায়। আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে পড়াশোনা বেশিদূর হয়নি। তাই রুটি-রুজির টানে বাবার হাত ধরে চলে আসেন ডোমজুড়ের সলপে। বছর পঞ্চাশেক আগে ডোমজুড়ের সলপ বাজারে রাস্তার ধারে পান-বিড়ির দোকান করেন তিনি (৬৫)। কিন্তু ব্যবসায় সেভাবে লাভ না হওয়ায় বাবার কথামতো ৩০ বছর আগে তেলেভাজার দোকান খোলেন। ব্যস, শুরুতেই ছক্কা। ১ টাকায় গোপালবাবু চপ, মুড়ি, বেগুনি, কচুরি, ডালের বড়া, সিঙ্গারা, নিমকি সহ নানা সুস্বাদু খাবার বিক্রি করতে থাকেন (Self Reliance)। জিভে জল আনা সেই খাবারের স্বাদ পেতে খদ্দেররাও ভিড় জমাতে শুরু করেন। বয়স বাড়লেও গোপালবাবু একই উৎসাহে কাজ করে চলেছেন। এক ছেলে মাঝে মাঝে বাজার করে দিয়ে গেলেও কার্যত এক হাতেই তিনি দোকান সামলান। সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যাবেলায় নিয়ম করে বিক্রি করেন বাঙালির প্রিয় তেলেভাজা।

    ‘যতদিন বেঁচে থাকব, এই এক টাকাতেই তেলেভাজা বেচব’ (Self Reliance)

    সলপ বাজারের মোড়েই একচিলতে আটপৌরে দোকান। ব্যবসায় লাভক্ষতির প্রশ্নে তিনি বলেন, লাভ কম হলেও তাঁর পুষিয়ে নিতে অসুবিধা হয় না। ফলে বিক্রিবাটা ভালোই হচ্ছে। আগে পান, বিড়ি, সিগারেট বেচতেন গোপালবাবু। বিগত ৩০ বছর ধরে তেলেভাজা, মুড়ি, চানাচুর ইত্যাদি বিক্রি করছেন। তাঁর নিজের কথায়, যতদিন বেঁচে থাকব, এই এক টাকাতেই তেলেভাজা বেচব। সর্ষের তেলের দাম বাড়লেও খাবারের দাম ওই এক টাকাই থাকবে! দুর্মূল্যের বাজারে সামান্য টাকায় মানুষের হাতে খাবার তুলে দিলে মানুষ খুশি হয়। আনন্দ পায়। মানুষের এই আনন্দটুকুই আমার কাছে বিরাট পাওয়া। জানাচ্ছেন গোপালবাবু (Self Reliance)।

    কী বলছেন ক্রেতারা?

    গোপালবাবুর দোকানে নিয়মিত খাবার কেনেন ঝাঁপরদহ এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ছাত্র বয়স থেকে গোপালদাকে দেখছি। অত্যন্ত হাসিখুশি, সৎ ও ভালো মানুষ। কোনও ফালতু ঝুটঝামেলার মধ্যে নেই। এক টাকাতে তেলেভাজা-মুড়ি বিক্রির ফলে গরিব মানুষ, পথচলতি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। আর এক ক্রেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউ প্রায় ৩০ বছর ধরে তেলেভাজা কিনছেন গোপালবাবুর (Self Reliance) দোকানে। কম পয়সায় এত সুস্বাদু মুখরোচক খাবার নিঃসন্দেহে ভালো বলে মনে করেন তিনি। এই দুর্মূল্যের বাজারে এক টাকা করে খাবার পাওয়া মানে সাধারণ মানুষের পয়সা বেঁচে যাচ্ছে, মন্তব্য লক্ষ্মীকান্তবাবুর। 

    বাবা পরলোকগত। কিন্তু তাঁর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছেন গোপালবাবু। ৩০ বছর ধরে তিনি ওই এক টাকাতেই খরিদ্দারকে বেচে চলেছেন গরম তেলেভাজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • World Senior Citizen Day 2023: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন? 

    World Senior Citizen Day 2023: বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোতেই জোর বিশেষজ্ঞ মহলের! কেন জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ষাট পেরলেই অধিকাংশ পেশাতে অবসর! বাড়িতেই থাকতে হয় দিনের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু সন্তান কিংবা নাতি-নাতনি, তারা তো ব্যস্ত! অধিকাংশ পরিবারেই তরুণ প্রজন্ম ভিন্ন শহরে এমনকি বহু দূরের দেশে থাকছেন। বাড়িতে থাকেন শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। আর তার জেরেই বাড়ছে প্রবীণদের একাকিত্ব। যা তাদের একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি করছে। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ২১ অগাস্ট, রবিবার ছিল বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস। এই দিনটিতে তাই বয়স্কদের যত্ন নিতে একাধিক পরামর্শ (World Senior Citizen Day 2023) দিলেন জেরেন্টোলজিস্টদের একাংশ।

    কী ধরনের সমস্যা বাড়ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা বাড়ছে। ফলে, তাঁদের জীবন শক্তিতে প্রভাব পড়ছে। তাঁদের নিয়মিত কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে, তাঁদের ফি-দিনের জীবন যাপনে অসুবিধা হচ্ছে। আর ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমারের মতো স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ একাকিত্ব। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমার মস্তিষ্কের স্নায়ুঘটিত রোগ হলেও এই রোগে আক্রান্তদের অবস্থার অবনতির কারণ হলো একাকিত্ব। জেরেন্টোলজিস্ট অর্থাৎ, প্রবীণদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু মানুষ চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর বয়স থেকেই স্মৃতি হ্রাসের সমস্যায় ভোগেন (World Senior Citizen Day 2023)। কিন্তু দেখা যায় ৬০-৬৫ বছর বয়সে সেই সমস্যা মারাত্মক হয়ে যায়। নিজের নাম, ঠিকানাও অনেক সময় মনে রাখতে পারেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কর্মজীবন থেকে অবসর এবং তারপরেই একা থাকা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে, হঠাৎ কিছু করতে না পারা, মনের কথা বলতে না পারা, আনন্দের সময় কাটাতে না পারার জেরে বাড়তে থাকে একাধিক রোগ। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমার নয়। ডায়বেটিস, কোলেস্টেরল এমনকি হৃদরোগের কারণ হয়ে ওঠে এই একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদ। কারণ, দুশ্চিন্তা, মনের কথা প্রকাশ করতে না পারা উদ্বেগ তৈরি করে। যার ফলে, ডায়বেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগ হয়। যার জেরে হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা কালে বহু ভারতীয় প্রবীণের এই ধরনের শারীরিক সমস্যা বেড়েছে (World Senior Citizen Day 2023)। যা প্রমাণ করে, একাকিত্ব,মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছে। আগাম বার্ধক্য ডেকে আনছে। অনেকের ছেলেমেয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, স্পেনের মতো পশ্চিমের দেশগুলোতে থাকেন। মহামারির সময়ে তাঁরা দীর্ঘদিন বাড়িতে ফিরতে পারেননি। সে সব দেশে মহামারির প্রকোপ পড়েছিল মারাত্মক। ফলে, বাবা-মায়ের উদ্বেগ বেড়েছে। এই উদ্বেগের জেরেই তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও অবসাদ। যার ফলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (World Senior Citizen Day 2023)? 

    বয়স্কদের সঙ্গে সময় কাটানোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছরের প্রবীণ দিবসে তাই বয়স্কদের একাকিত্ব কাটাতে তাদের সময় দেওয়ার উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক বাড়িতে থাকলে নিয়মিত দিনের কিছুটা সময় পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে কাটানো দরকার। নিজেদের কাজের কথাও কিছুটা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া, তাদের কথা শোনা, এগুলো নিয়মিত করলে, তাদের একাকিত্ব (World Senior Citizen Day 2023) কমবে। নিজেদের অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। ফলে, তাদের অবসাদ আটকানো যাবে। যদি কাজের জন্য দূরে থাকতে হয়, তাহলেও নিয়মিত তাদের ভিডিও কল করা দরকার। তবে, সামনাসামনি কথা বলাতেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই তাদের পরামর্শ, যাদের দূরে থাকতে হয়, তাদের পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের জন্য এমন কিছু সংস্থার সাহায্য নিতে হবে, যেখানে নিয়মিত বয়স্করা নিজেদের মতো সময় কাটাতে পারবেন। নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করতে পারবেন। আনন্দ করতে পারবেন। তাতে তাদের মানসিক চাপ কমবে। একাকিত্বও হ্রাস পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Nadia: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, জুয়ার বোর্ড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

    Nadia: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, জুয়ার বোর্ড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল এলাকা। জুয়ার বোর্ড ভাঙচুর করা হয়। আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণপদ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি হাঁসখালি থানার মুরাগাছা এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বগুলা এলাকায় কার্তিক নামে এক দুষ্কৃতী নিয়মিত জুয়ার বোর্ড চালায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে কৃষ্ণপদ নামে ওই ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে যায় কার্তিক। গভীর রাতে পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়, কৃষ্ণপদ মণ্ডল দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে সে ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। পুলিশের দাবি মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, রবিবার রাতে জুয়া খেলার সময় তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার কৃষ্ণনগর-বগুলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, বগুলা এলাকায় পুলিশের মদতে একাধিক জুয়ার বোর্ড চলে। পুলিশ টাকা নিয়ে চুপ করে থাকে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এ বিষয়ে মৃত কৃষ্ণপদ মণ্ডলের জামাই তন্ময় রায় বলেন, পুলিশ টাকা নিয়ে এই জুয়ার বোর্ড চালাতে মদত দিচ্ছে। আমার শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি পুলিশকে উদ্যোগ নিয়ে জুয়ার বোর্ডগুলি বন্ধ করতে হবে। যদিও পরবর্তীকালে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantiniketan: আমেরিকার চাকরি ছেড়ে শান্তিনিকেতনে চাষবাসে মেতেছেন দম্পতি, কেন জানেন?

    Shantiniketan: আমেরিকার চাকরি ছেড়ে শান্তিনিকেতনে চাষবাসে মেতেছেন দম্পতি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি, বিলাসবহুল জীবন-যাপন ছেড়ে মাটির টানে প্রাকৃতিক চাষে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন এক দম্পতি। শুধু নিজেরা চাষ করেন এমন নয়, প্রাকৃতিক চাষ নিয়ে প্রশিক্ষণও দেন তাঁরা। তাঁদের গবেষণার বিষয়ও বেশ সুন্দর। প্রাকৃতিক চাষে ফলন কতটা নির্ভেজাল হয়, পাশাপাশি ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কেন মহিলা চাষির সংখ্যা কম-এই দুটি বিষয়ের উপর তাঁরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) অদূরে রূপপুর গ্রামে তাঁদের দোতলা মাটির বাড়ি, চাষের জমি। পুকুর পাড়ে প্রশিক্ষণ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশ থেকেও আগ্রহী পড়ুয়ারা আসেন। চাষে উৎপাদিত ফসল বিক্রি ও পাঠদান থেকে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই সুন্দরভাবে জীবন কাটান একদা প্রবাসী এই দম্পতি।

    কেন আমেরিকা ছেড়ে সপরিবারে ফের বাংলার মাটিতে ফিরলেন? (Shantiniketan)

    দেবল মজুমদার ও অপরাজিতা সেনগুপ্ত। বর্ধমান জেলার বাসিন্দা দেবলবাবু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি পান আমেরিকার কেন্টাকি শহরে একটি বহুজাতিক সংস্থায়। অন্যদিকে, কলকাতার বাসিন্দা অপরাজিতা সেনগুপ্ত প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আমেরিকার কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে সেখানেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা শুরু করেন। খাদ্যদ্রব্যে কেন স্বাদ কম, খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ বাড়ছে কেন- প্রভৃতি ভাবিয়ে তোলে এই দম্পতিকে। আমেরিকার একাধিক গ্রাম ঘুরে সেগুলোই উপলব্ধি করতে থাকেন দেবল-অপরাজিতা। এরপরেই হঠাৎ সিদ্ধান্ত। আমেরিকার বিলাসবহুল জীবন-যাপন ছেড়ে মাটির টানে, দেশের টানে ফিরে আসেন। চাকরি জীবনের জমানো টাকা থেকে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) অদূরে রূপপুর গ্রামে পুকুর সহ সাড়ে ৫ বিঘা জমি কিনে শুরু করেন চাষ নিয়ে গবেষণা। ফার্মাকালচার কোর্স করেছেন দুজনেই।

    দেশীয় পদ্ধতিতে চাষের প্রশিক্ষণ নিতে কোন কোন দেশের পড়ুয়ারা আসেন?

    রাসায়নিক সার ব্যবহারে ফসল ফললেও তার স্বাদ, গুণাবলি প্রভৃতি একেবারেই থাকে না। উপরন্তু, কীটনাশক ব্যবহারে ক্ষতি হয় মানবদেহে। এছাড়া, ভারতবর্ষের মতো কৃষিপ্রধান দেশে মহিলা চাষির সংখ্যা কম। মহিলারা চাষের কাজে অংশ নেন, কিন্তু তাঁদের নামে জমি না থাকায় চাষি বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এই নিয়েই মূলত গবেষণা এই দম্পতির। এমনকি, অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেন তাঁরা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বাংলাদেশ, আমেরিকা, ফ্রান্স, সুইডেন প্রভৃতি দেশ থেকে আগ্রহী পড়ুয়ারা তাঁদের শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়িতে থেকে প্রাকৃতিক চাষ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও হাতে-কলমে গবেষণায় অংশ নিয়ে গিয়েছেন। এমনকি, ফার্মাকালচার নিয়ে পড়ানোর জন্য সাম্মানিক অধ্যাপক হিসাবে ভারতের বিভিন্ন কৃষি প্রতিষ্ঠান, সেমিনার সহ নেপাল, বাংলাদেশ, আমেরিকা থেকে ডাক পেয়েছেন এই দম্পতি।

    নিজের খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে কী কী চাষ করেন এই দম্পতি?

    মাটি ও কাঠ দিয়ে তাঁদের তৈরি বাড়িও বেশ সুন্দর দেখতে। বর্তমানে তাঁদের খামারে ৭ রকমের দেশি ধান, ডাল, গম, বিভিন্ন রকমের লেবু, আম, আতা, পেয়ারা, করমচা, সবেদা, কামরাঙা প্রভৃতি চাষ হয়। পাশাপাশি, মাছ, হাঁসের ডিম উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল নিজেরা খান, এছাড়া জ্যাম-জেলি প্রভৃতি তৈরি করে বিক্রি করেন। উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে এক কন্যা সন্তান সহ এই দম্পতির দিনযাপন হয়।

    কী বললেন এই দম্পতি?

    দেবল মজুমদার ও অপরাজিতা সেনগুপ্ত বলেন, ‘ক্রমশ বিশ্ব এক উলটো পথে হাঁটছে। খাবারে বিষ দিচ্ছি, হাওয়া দূষিত হয়ে উঠছে, মহিলারা চাষের কাজ করলেও ভারতে তাঁদের নামে জমি কম। তাই মহিলারা চাষি হিসাব স্বীকৃতি পান না। এসব নিয়ে আমরা না ভেবে বাড়ি-গাড়ি কেনাকাটায় মন দিই বেশি। আমরা আমেরিকায় স্থানীয় খাবারের বিষয়ে ভাবা শুরু করি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নিই। সব কিছু ছেড়ে আমাদের এই শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) চলে আসা। নিজেরা প্রতি মুহূর্তে ভুল করতে করতে শিখি, অপরকেও শেখাই। এভাবেই সাবলীল ভাবে আমাদের দিন কেটে যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share