Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে পকসো আইনের অধীনে আনার দাবি করল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন। রবিবার নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) বয়সের উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। স্বপ্নদীপের ১৮ বছর বয়স হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে বিচারের দাবি করা হয়েছে। পরে, অনন্যা আরও বলেন, ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোন করে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। তাই এটি যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও আক্রমণ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন? কেন ক্যাম্পাসে, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? আমরা যখন সিসিটিভি বসাতে বলেছিলাম, ওখানকার এক অধ্যাপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেন। ওখানে সিনিয়র এবং প্রাক্তনিদের দাদাগিরি চলে। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। এর আগে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আজকের ঘটনায় কেউ দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি থাকলে আমরা জানতে পারতাম হস্টেলে কী হয়েছিল। সকলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। সকলেই আমাদের আতশকাচের নীচে। আমরা পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করছি।

    ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত দুই পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Ju Student Death) ঘটনায় তদন্তে নেমে ফের দুই জনকে গ্রেফতার  করা হল। ধৃতদের মধ্যে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর  অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে মনোতোষ ঘোষকে। মনোতোষের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। স্বপ্নদীপ বেড না পেয়ে একদিন আমার ছেলের ঘরে ছিল। সেই সূত্রে পরিচয় হয়েছিল। তার বেশি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। প্রত্যেকদিনই মনোতোষ বাড়িতে ফোন করতো একটা কথাই বলতো তোমাদের কোনও ভয় নেই। পুলিশ হয়তো কিছু জিজ্ঞাসার জন্য ডাকতে পারে। যাদপবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার  হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত। শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা দীপশেখর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত। তাঁর বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি সমর্থন করি না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে, আমি মনে করি ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Independence Day 2023: ভারতের সঙ্গে আরও ৫টি দেশ স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৫ অগাস্ট

    Independence Day 2023: ভারতের সঙ্গে আরও ৫টি দেশ স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৫ অগাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা (Independence Day 2023) লাভ করে। এই স্বাধীনতা হল ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে কলোনি সাম্রাজ্য থেকে মুক্তির স্বাধীনতা। উল্লেখ্য আরও ৫টি দেশের একই স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট। একই দিনে পরাধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করে স্বাধীনতা লাভ করেছিল নর্থ কোরিয়া, সাউথ কোরিয়া, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, বাহারিন এবং লিচেনস্টেইন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষের সময়কে ভারত সরকার অমৃত মহোৎসব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

    ভারত কীভাবে স্বাধীন হয়েছিল (Independence Day 2023)?

    ভারতবর্ষ ব্রিটিশদের ২০০ বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেতে, অনেক স্বাধীনতা (Independence Day 2023) সংগ্রামীদের নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল। ব্রিটিশদের সঙ্গে হয়েছে সশস্ত্র লড়াই। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ভারত স্বাধীনের একটি বিল ১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ হাউসে পেশ করে। ওই বছরেই ১৪ অগাস্ট ভারতবর্ষকে ভারত এবং পাকিস্তান বিভাজনের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের দেশের শাসন ভার দিয়ে প্রত্যাগমন করে। ১৫ই অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা হয়। এরপর দিল্লির লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

    পাঁচটি দেশের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট

    সাউথ কোরিয়া এবং নর্থ কোরিয়া প্রথমে এক সঙ্গেই অখণ্ড ছিল। এই দেশ ভারতের মতো পরাধীন ছিল। অ্যামেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে ছিল। পরে জাপান দখল করেছিল। এরপর ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্বাধীনতা লাভ করে কোরিয়া। কিন্তু তারও ৩ বছর পর ১৯৪৮ সালে কোরিয়া যথা ক্রমে সাউথ এবং নর্থ কোরিয়াতে ভাগ হয়ে যায়। বাহারিন দেশ ১৯৭১ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ কলোনি থেকে মুক্তি লাভ করে। কঙ্গো ১৯৬০ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। এই দিনই কঙ্গোর জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে তাঁদের স্বাধীনতা দিবসকে। উল্লেখ্য কঙ্গো ফ্রান্স সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। লিচেনস্টেইন একটা সময় জার্মানের অধীনে ছিল। এই দেশটি হল ইউরোপের অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যবর্তী একটি ছোট্ট দেশ। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত জার্মান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। তাঁদেরও স্বাধীনতা (Independence Day 2023) দিবস ১৫ অগাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: র‍্যাগিং কি মানসিক রোগ? কেন হয় র‍্যাগিং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    JU Student Death: র‍্যাগিং কি মানসিক রোগ? কেন হয় র‍্যাগিং? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পেরিয়ে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শুরুর সময় অনেক নতুন ধাপ আসে! আর তার মধ্যে কমবেশি সকলের কাছেই পরিচিত হয়ে ওঠে একটি শব্দ, সেটা হল র‍্যাগিং! কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে র‍্যাগিংয়ের শিকার হন নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন এই র‍্যাগিং প্রক্রিয়াকে মজা বলা হলেও, তাকে কেবল মজা বলে মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত, ভারতের মতো দেশে যেখানে প্রতি বছর কয়েকশো পড়ুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্থার শিকার হন। এ রাজ্যের পরিস্থিতি দেশের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এমনটাই জানাচ্ছে ইউজিসি’র (ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন) রিপোর্ট। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ দাসের মৃত্যু (JU Student Death) ফের প্রকাশ্যে আনল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্তার পিছনে থাকে মানসিক বিকার!

    রাজ্যে র‍্যাগিং রোগ কতখানি ভয়াবহ? 

    ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগের নিরিখে দেশের প্রথম তিন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ তালিকার উপরের দিকে রয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ (JU Student Death) আরও বেড়েছে। ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর গড়ে ৪৭৫-৫০০টি অভিযোগ জমা পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগও জানান ভুক্তভোগীরা। তাই পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই র‍্যাগিং রোগ জাঁকিয়ে বসেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    র‍্যাগিং কাকে বলে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, র‍্যাগিং হল এক ধরনের হেনস্তা। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নতুন পড়ুয়াদের পরিচয় পর্বের নামে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনকেই র‍্যাগিং বলা হয়। এটা এক ধরনের কুপ্রথা। যেমন, নানান সামাজিক হেনস্তা দীর্ঘদিন ধরে মজা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক সেরকমই এই কুপ্রথাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের নিছক মজা বলেই চালানো হয়। কিন্তু র‍্যাগিং হল এক ধরনের অপরাধ।

    মানসিক সমস্যা থেকেই হেনস্তার ইচ্ছে তৈরি হয়? 

    মনোরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অপরাধ মনস্ক মানসিকতা থেকেই তৈরি হয় হেনস্তার ইচ্ছে। নতুন ভর্তি হওয়া অধিকাংশ পড়ুয়ার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। নতুন পরিবেশে তুলনামূলক তারা দুর্বল। তাই তাদের উপর নানান অত্যাচার (JU Student Death) করা যাবে, এই ভাবনা থেকেই র‍্যাগিং হয়। আর এই ভাবনা সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয় বলেই মনে করছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেমন অনেকেই শিশুদের মারধর করেন। অনেক ধরনের রাগ কিংবা হতাশার বহিপ্রকাশ ঘটান বাড়িতে শিশুদের মারধর করে। শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সেই মারধরের তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধ করতে পারবে না, সেই ভাবনা থেকেই অনেকেই বাড়ির শিশুদের মারধর করেন। র‍্যাগিং অনেকটাই সেরকম। নানান হতাশা ও অবসাদ থেকে একটা পাল্টা আক্রমণের ইচ্ছে তৈরি হয়। আর তুলনামূলক দুর্বলের উপরে তা প্রয়োগ সহজ। তাই সদ্য আসা পড়ুয়ারাই হয় টার্গেট।

    র‍্যাগিংয়ের প্রভাব কতখানি সুদূরপ্রসারী হতে পারে? 

    যেসব পড়ুয়ারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ভয়ানক অভিজ্ঞতা (JU Student Death) ভোগ করেন, সাধারণত তাদের মনে এর ভয়ঙ্কর গভীর প্রভাব পড়ে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকের মানসিক স্থিতি চিরকালের জন্য চলে যায়। আর যারা পরিস্থিতি সাময়িক সামলে নেন, তাদের মনেও এই হেনস্তার দীর্ঘপ্রসারী প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়। অনেকের চিরকালীন ট্রমা তৈরি হয়। যা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। এক ধরনের মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়।

    র‍্যাগিং হলে কী আইনি অধিকার রয়েছে? 

    আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের হেনস্তার (JU Student Death) করা যেতেই পারে। কারণ, তারা দুর্বল, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। র‍্যাগিং হলে পড়ুয়ারা কী ধরনের আইনের সাহায্য পাবেন এবং যারা র‍্যাগিং করবে, তারা কী শাস্তি পেতে পারেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। আইন অনুযায়ী, কোনও ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কিংবা হস্টেলে কোনও রকম হেনস্তার শিকার হলে, তা শারীরিক হোক কিংবা মানসিক, লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে। শুধুমাত্র সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকেই নয়। প্রয়োজনে সরাসরি ইউজিসি-র অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলে যোগাযোগ করবেন। সেখানেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যায়। এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের উচ্চশিক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রেজাল্ট আটকে রাখা যেতে পারে। এমনকি জেলও হতে পারে। অভিযুক্তের পাশপাশি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি। আইনজ্ঞরা জানাচ্ছেন, র‍্যাগিং সামাজিক ব্যাধি এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সে সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। সেই সচেতনতা প্রসারের দায়িত্ব সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের। সেই দায়িত্ব পালনে ঘাটতি থাকলে এই সামাজিক ব্যাধি আরও প্রকট হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের গণইস্তফা, কেন জানেন?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের গণইস্তফা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মাদারের সঙ্গে যুব সংগঠনের বিবাদ। যার জেরে মাদার সংগঠনের নির্বাচিত সদস্য সদস্যাসহ অঞ্চল সভাপতি গণ ইস্তফা দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্ণিশ অঞ্চলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন দলীয় বিভিন্ন পদ থেকে  ইস্তফা দিয়েছেন। 

    কেন ইস্তফা?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৪ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসনে জয় পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। গত বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের দিন এই গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠির সংঘর্ষ হয়। ওই দিন রাতে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। দলের এক অংশের অভিযোগ, প্রধান পদের জন্য অঞ্চল কমিটির থেকে সর্বসন্মতিক্রমে বৈঠক করে ৩ জনের নাম জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হলেও সেই তালিকার বাইরে থাকা বিগত দশ বছরের প্রধান কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান করার জন্য জেলা নেতৃত্বের থেকে খামবন্ধ চিঠি দিয়ে অঞ্চলে নাম পাঠানো হয়। কিন্তু,কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান পদে মানতে নারাজ ছিলেন অধিকাংশ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। বোর্ড গঠনের দিন পুলিশ ও ব্লক প্রশানের উপস্থিতিতে কয়েক জন তৃণমূলের নেতা ও কর্মী বেআইনিভাবে অঞ্চল অফিসের ভিতর প্রবেশ করে কল্যাণী তরফদার দেবনাথকে প্রধান পদে সমর্থন করার জন্য হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। ওই দিন যুব তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা এক অংশের হাতে প্রকাশ্যে আক্রান্ত হন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য। মারধর করা হয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের দাদা ক্ষুদিরাম রায় ও এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী সদানন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজনকে। এর প্রতিবাদে ময়নাগুড়ি রোড দুর্গাবাড়িতে জড়ো হন বার্ণিশ অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্বের একটি বড় অংশ। তাদের সঙ্গে এই অঞ্চলের শতাধিক তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অঞ্চলের মোট ২১ জন বুথ সভাপতির প্রত্যেকে, তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, অঞ্চল কমিটির ৪২ জন সদস্যের প্রত্যেকে দল থেকে পদত্যাগ করেন। জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ও অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নিগ্রহের সঙ্গে যুক্তদের শাস্তির দাবিতে  বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বললেন ইস্তফা দেওয়া জয়ী সদস্য এবং তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা অভিযোগ করেন, “দলের কিছু কর্মী আমাকে প্রতিনিয়ত বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের হুমকি ও আমার স্বামীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এভাবে দল করা যায় না। তাই ইস্তফা দিলাম।” বার্ণিশ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দেবদুলাল বৈদ্য। দেবদুলালবাবু বলেন, “জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। এত বছরে বিরোধীরা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনওদিন কোনও দুর্নীতির অভিযোগ করেনি। সেখানে দলের কিছু কর্মীর হাতে প্রকাশ্যে হেনস্থা হওয়ায় মানসিকভাবে অত্যন্ত বিদ্ধস্ত অবস্থায় আছি। আমার নিজেরই কোনও নিরাপত্তা নেই। কর্মীদের নিরাপত্তা দেব কীভাবে? তাই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। গণ ইস্তফার ঘটনায় জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা জুড়়ে চর্চা শুরু হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী?

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে প্রধান, উপ প্রধানদের নাম পাঠানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের থেকে কিছু ঠিক হয়নি। এই নিয়ে বিভিন্ন ব্লকে কর্মীদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি আছে। যে সমস্যা রয়েছে তা দলের সৈনিকদের দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। দলের ভাবমূর্তিকে রাস্তায় নিয়ে এসে এইভাবে প্রতিবাদ করা শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Priyanka Gandhi Vadra FIR: বিজেপি সরকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর

    Priyanka Gandhi Vadra FIR: বিজেপি সরকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যেপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বাঢরা। আর এরপরেই তাঁর বিতর্কিত অভিযোগের উপর মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে, থানায় এফআইআর (Priyanka Gandhi Vadra FIR) করল বিজেপি। বিজেপির লিগ্যাল সেলের কনভেনর নীমেশ পাঠক এই এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    মূল অভিযোগ কী (Priyanka Gandhi Vadra FIR)?

    মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার বিশেষ দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগের কথা বলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এক্স ট্যুইটারে একটি চিঠি বিনিময় করেন। এই চিঠিতে জ্ঞানেন্দ্র অবস্তি নামক এক ব্যক্তির ভুয়ো বার্তালাপ সামজিক মাধ্যে ব্যাপক ভাইরাল করেন বলে অভিযোগ। এই বার্তালাপে বলা হয় সরকারি কাজের জন্য ৫০ শতাংশ টাকা কমিশন দিতে হবে। যে সকল কনট্রাকটর সরকারি কাজের ঠিকাদারি করেন, তাঁদের সকলকেই এই টাকা দিতে হবে। কর্ণটাকেও ৪০ শতাংশ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য এই ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার চিঠিটি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, অরুণ যাদবও সামজিক মাধ্যমে বিনিময় করেন। শ্রীমতী গান্ধি বঢরা আরও অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যের কনট্রাকটাররা হাইকোর্টে ন্যায়ের জন্য দ্বারস্থ হয়েছেন। পাল্টা এই চিঠিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিজেপি থেকে ইন্দোরে কংগ্রেস নেত্রী এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় জালিয়াতি এবং ৪৬৯ ধারায় মানহানির বিশেষ অভিযোগ করে এফআইআর করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    মধ্যপ্রদেশের বিজেপি লিগ্যাল সেলের নেতা নীমেশ পাঠক বলেন, সামজিক মাধ্যমে কংগ্রেসের নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। বিজেপির ভাবমূর্তি এবং সম্মানহানি করার অপচেষ্টা করছেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। আর এই সম্মানহানির বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে এফআইআর (Priyanka Gandhi Vadra FIR) করা হয়েছে। অপর দিকে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা বলেন, কোনও বিষয় এখন কংগ্রেস কর্মীদের কাছে নেই, তাই অপ্রচার করছেন প্রিয়ঙ্কা। রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা প্রথমে রাহুল গান্ধিকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছেন। এখন আবার প্রিয়ঙ্কাকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলাচ্ছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূলের জয়ী সদস্যকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন চলাকালীনও ফের খুনের ঘটনা ঘটল। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব আলি। সামলা বাজার এলাকায় ঢুকতেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। তাঁকে টেনে নামানো হয় মোটরবাইক থেকে। তারপর মাটিতে ফেলে পর পর গুলি করা হয় তাঁকে। পালাবার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, গুলি লাগতেই ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাহেব আলি। দুটি গুলি লাগে তাঁর মোটরবাইকেও। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেন হাড়োয়া থানায়। জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) শনিবার প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন ছিল। সেই পদে দাবিদার ছিলেন সাহেব আলি। কিন্তু, তিনি জয়ী হতে পারেননি। তারপর ভোরে বাড়ি ফেরার পথে সামলাবাজার এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অন্তত পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, আট রাউন্ড গুলি চলে। সাহেবকে রীতিমতো ঘিরে ধরে গুলি করা হয়। আর তারপর চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল?‌ তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই খুনের পিছনে রয়েছে রাজনীতিই। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে তাঁর দলের লোকজনকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drug seizure chart: বিএসএফের রিপোর্টে মাদক পাচারে শীর্ষে পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ

    Drug seizure chart: বিএসএফের রিপোর্টে মাদক পাচারে শীর্ষে পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচারে (Drug seizure chart) বিএসএফ (BSF) চার রাজ্যের নাম সবার শীর্ষে রেখেছে। এরা হল পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ। উল্লেখ্য, চার রাজ্যের মধ্যে একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। বাকি পঞ্জাবে আপ সরকার, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার। সব মিলিয়ে এই চার রাজ্যে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে সীমা সুরক্ষা বলের এই প্রতিবেদনে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতিবেদন রাজ্যসভায় পেশ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ হল ২০২০ সালে ৬০৮২ কেজি ১৩১ গ্রাম, ২০২১ সালে ৫৭০৫ কেজি ৯৯৫ গ্রাম, ২০২২ সালে ৯০৯৬ কেজি এবং ২০২৩ সালে ৩৬৬৫ কেজি ৫৪৩ গ্রাম। 

    স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কী বললেন রাজ্যসভায় (Drug seizure chart)?

    রাজ্যসভায় গত ৯ই অগাস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিশেষ প্রশ্নের জবাবী ভাষণ মাদক (Drug seizure chart) উদ্ধার বিষয়ে বলেন, ২০২০ সালে পঞ্জাব থেকে ৫০২ কেজি ২৪১ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর আগে ২০২১ সালে ৪৮৫ কেজি ৫৮১ গ্রাম, ২০২২ সালে ৩২০ কেজি ৮৮৪ গ্রাম এবং ২০২৩ সালে ২৪৮ কেজি ১০৩ গ্রাম করে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতীয় সীমা সুরক্ষা বল পঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে সবথেকে বেশি গাঁজা উদ্ধার করেছে এই বছর। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরেও বিএসএফ হেরোইন উদ্ধার করেছে ২০২০ সালে ৬১ কেজি, ২০২১ সালে ৩৭ কেজি ৯৪৫ গ্রাম, ২০২০ সালে ৪৯ কেজি ৪০০ গ্রাম। গুজরাট থেকে ৬৯ কেজি চরস উদ্ধার করা হয়েছে এই বছর। ত্রিপুরা থেকে ২০২৩ সালে ১১৩৩২ কেজি ৮১০ গ্রাম গাঁজা, আসাম থেকে এই বছর ১৮১ কেজি ৩৯৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।

    রাজস্থানে কত মদক উদ্ধার

    প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, রাজস্থান থেকে বিএসএফ ২০২০ সালে ৮ কেজি ৯৬০ গ্রাম, ২০২১ সালে ৬৪কেজি  ৬৪০ গ্রাম, ২০২২ সালে ২৩ কেজি ৯৭৮ গ্রাম, ২০২৩ সালে ৪৪ কেজি ৫৯৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি আফিম উদ্ধার (Drug seizure chart) হয়েছে ২০২০ সালে ৭০ কেজি, ২০২১ সালে ২৩ কেজি, ২০২২ সালে ১০৬ কেজি। এই উদ্ধার কৃত মাদক রাজ্য পুলিশ, মাদক দমন শাখা (নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরো) দের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    কোন আইনে মাদক দমন কার্যকর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, বিএসএফ, এসএসবি, অসম রাইফেলস এবং ভারতীয় কোস্ট গার্ডকে স্থল ও সমুদ্র সীমান্তে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করার জন্য নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইন ১৯৮৫ দ্বারা মাদক (Drug seizure chart)  নিয়ন্ত্রণে  বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shibpur: শিবপুরে দোকান দখল করে তৃণমূল নেতার  জুলুমবাজি, সুবিচারের আশায় অসহায় প্রৌঢ়া

    Shibpur: শিবপুরে দোকান দখল করে তৃণমূল নেতার জুলুমবাজি, সুবিচারের আশায় অসহায় প্রৌঢ়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এক অসহায় প্রৌঢ়া। খোদ রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নের কাছেই শিবপুরে (Shibpur) ওই অসহায় প্রৌঢ়ার দোকান ঘর দখল করে রাখার অভিযোগ উঠল শাসক দলের হাওড়ার এক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হাওড়ার শিবপুর (Shibpur) মন্দিরতলার ক্ষেত্রমোহন ব্যানার্জি লেনে বসবাস করেন পঞ্চাশোর্ধ কৃষ্ণা সেন ও তাঁর দিদি মীরা সেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁদের পৈত্রিক বাড়ি ভেঙে বহুতল তৈরি হয়। নতুন বাড়িতে চুক্তিমতো দুটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান ঘর পান তাঁরা। গত বছর ২০২২ সালের জুন মাসে স্থানীয় প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি ও বর্তমান হাওড়া পৌর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দিলীপ ঘোষ সাধারণ মানুষকে ত্রিপল বিতরণ করার কথা বলে এক মাসের জন্য কৃষ্ণা দেবীর থেকে দোকান ঘরটি নেন। তারপর থেকে বছর ঘুরে গেলেও আজও সেই দোকান ফেরত পাননি কৃষ্ণাদেবী। তিনি বিভিন্ন জায়গায় বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও এই নিয়ে তিনি দিলীপবাবুকে বললেও তিনি দোকান ছাড়তে চাননি। বরং দোকানটিতে দিলীপ বাবু নিজের হাতে তালা লাগিয়ে দেন। এমনকী দোকান ঘরের তালা খোলার জন্য স্থানীয় এক তালাচাবি তৈরির শ্রমিকের সঙ্গে কৃষ্ণাদেবী যোগাযোগ করলে সেই তালাচাবি বিক্রেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় দিলীপবাবুর অনুগামীরা। এ নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন কৃষ্ণা সেন। পুলিশ গিয়ে ঘুরে গেলেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।

    কী বললেন অসহায় প্রৌঢ়া?

    কৃষ্ণাদেবী বলেন, ওই তৃণমূল নেতা একমাসের জন্য ঘরটি নিয়েছিল। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ঘর ছাড়ার কোনও নাম নেই। আমার ঘর ও তালা দিয়ে রেখেছে। শিবপুর (Shibpur) এলাকাজুড়ে দাদাগিরি চালাচ্ছে। জোর করে আমার দোকান ঘর ও দখল করে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমার শেষ জীবনের সম্বলটুকু যদি তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, কৃষ্ণাদেবী চাইলেই তিনি তাঁর দোকান তাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তবে, তিনি কেন দোকানে তালা দিয়েছেন অথবা কেন তিনি নিজেই এক মাসে পর দোকানটি ছেড়ে দিলেন না তা নিয়ে কোনও সদুত্তর তিনি দেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Har Ghar Tiranga: প্রত্যেক নাগরিককে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Har Ghar Tiranga: প্রত্যেক নাগরিককে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই দেশজুড়ে পালিত হবে ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালনের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক কর্মসূচি পালন করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) রবিবার ১৩ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে এই কর্মসূচি। যার সমারোপ হবে ১৫ অগাস্ট।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? 

    এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘ভারতের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার উদ্যম এবং জাতীয় একতার প্রতীক। জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রত্যেকের নিজের একটি ছবি তুলুন। আর সেটি আপলোড করে ফেলুন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) ওয়েবসাইটে। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার এনিয়ে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে লেখেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতবাসীর দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি বিশেষ আবেগ জড়িত রয়েছে। কঠোর পরিশ্রম এবং ভবিষ্যতের অগ্রগতির পথে এই জাতীয় পতাকা আমাদের উদ্যোগ এবং অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করব ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন।’’ 

    কীভাবে আপলোড করবেন ‘তিরঙ্গা’-র সঙ্গে তোলা ছবি?

    প্রধানমন্ত্রী বিস্তারিতভাবে বলে দিয়েছেন ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিতে কীভাবে আপলোড করা যাবে তেরঙ্গার সঙ্গে ছবি। জানা গিয়েছে,  https://harghartiranga.com এই ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করা যাবে। প্রসঙ্গত ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে নয়া দিল্লিতে। বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে ১৮০০ বিশেষ বিশেষ অতিথি হাজির থাকবেন এবং লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত বছর বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা। ঘরে ঘরে তিরঙ্গার (Har Ghar Tiranga) ছবি উঠেছিল। ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’-এর হিসাব বলছে, এই অভিযানের ফলে ৩০ কোটিরও বেশি জাতীয় পতাকা বিক্রি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED-CBI: ‘ইডি-সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করছে’, কলকাতায় বললেন জিতেন্দ্র সিং

    ED-CBI: ‘ইডি-সিবিআই স্বাধীনভাবেই কাজ করছে’, কলকাতায় বললেন জিতেন্দ্র সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করে না, শনিবার কলকাতায় এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। সিবিআই এবং ইডি (ED-CBI) সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত রাজ্যে একাধিক দুর্নীতিতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার মামলায় রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী জেলে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হওয়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে, বলতে গেলে জেলে রয়েছে তৃণমূল সরকারের গোটা শিক্ষা দফতর। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডি-সিবিআইকে। এদিন কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সেই অভিযোগকেই খণ্ডন করতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে।

    কী বললেন জিতেন্দ্র সিং? 

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এদিন বলেন, ‘‘পূর্বতন ইউপিএস সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সিবিআই এবং ইডিকে (ED-CBI) ব্যবহার করত। যাঁরা এখন বলছেন যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে সরকার, তাঁরা মনগড়া কথা বলছেন।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ইউপিএ সুরেই তাঁরা কথা বলছেন, যাঁরা মনে করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে।’’  জিতেন্দ্র সিং এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইউপিএ জমানাতে যেভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সিবিআই এবং ইডিকে (ED-CBI) ব্যবহার করা হতো, সেই কারণেই মহামান্য  সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে খাঁচা বন্দি তোতা পাখি বলে উল্লেখ করেছিল।’’

    মোদি জমানায় দেশ এগিয়ে চলেছে

    জিতেন্দ্র সিং এদিন আরও বলেন, ‘‘মোদি জমানায় দেশ নতুনভাবে, নতুন পথে এগিয়ে চলেছে। সম্পূর্ণভাবে সংবিধানকে মর্যাদা দিয়ে সমস্ত রকম কাজ করা হচ্ছে। সিবিআই-ইডির (ED-CBI) মতো সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে।’’ প্রসঙ্গত, কলকাতায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা মনে করুন ২০১৪ সালের আগে সিবিআই কিভাবে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করত!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share