Tag: Bengali news

Bengali news

  • Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দিমৃত্যু কাণ্ডে ওসির পর এবার সাসপেন্ড আইও

    Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দিমৃত্যু কাণ্ডে ওসির পর এবার সাসপেন্ড আইও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবগ্রামে (Murshidabad) গতকাল চোর সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির লকআপের খুনের ঘটনায় তীব্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল ঘটনায় তদন্তের গাফিলতির জন্য নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভকতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার সাসপেন্ড করা হল থানার তদন্তকারী অফিসার শ্যামল মণ্ডলকে। উল্লেখ্য চোর সন্দেহে গোবিন্দ ঘোষকে ধরে আনে পুলিশ, এরপর লকআপের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবার এই মৃত্যুকে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আর এই খুনের বিচার চেয়ে থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পাল্টা পুলিশ লাঠি, টিআর গ্যাস ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। আর এই ঘটনায় রীতিমতন পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে নবগ্রাম।

    পুলিশের বক্তব্য (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মৃতদেহের সৎকারের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য আবেদন করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে উত্তেজনাকে শান্ত করার আবেদন করা হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু পুলিশের প্রতি গ্রামবাসী এবং মৃতের পরিবারে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।

    তদন্ত কোন পথে?

    বহরমপুর (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং আটজন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে মৃত গোবিন্দ ঘোষের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন তদন্তের সময়। মৃতের বাবা ষষ্ঠী ঘোষ বলেন, “আগামীকাল ওসি এবং আইও এর বিরুদ্ধে খুনের মামালা করব”। তিনি আরও বলেন, এই খুনের পেছনে থানার ওসি এবং তদন্তের আইও বিশেষ ভাবে যুক্ত রয়েছে। থানার লকআপে মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় পুলিশের বিরদ্ধে সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: পিস রুমের পর ‘পিস ট্রেন’ চালুর প্রস্তাব রাজ্যপালের, কী বললেন সুকান্ত?

    C V Ananda Bose: পিস রুমের পর ‘পিস ট্রেন’ চালুর প্রস্তাব রাজ্যপালের, কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের উৎসবে যোগদান করে শিয়ালদহ স্টেশনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বললেন, রাজ্যে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ‘পিস ট্রেন’ চালানো দরকার। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এই ট্রেনের জন্য আবেদন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কেন পিস ট্রেন (C V Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) এবং রাজ্যর সংঘাতে ফের বিতর্ক। রাজ্যপাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। জেলায় জেলায় উত্তর থেকে দক্ষিণে হিংসার কথা, অভিযোগ জানানোর জন্য রাজভবনে পিস রুম চালু করেন। এমনকি রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি তিনি বারবার বলেন, রাজ্যের প্রধান শত্রু হল হিংসা এবং দুর্নীতি। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। রাজ্যে বেআইনি ভাবে উপাচার্য নিয়োগের বিরুদ্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা তুলে ধরেছেন। উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য পাল্টা হাইকোর্টে গেলে, রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রাজ্যেপালের রাজভবনকে ‘মোবাইল রাজভবন’ হিসাবে চিহ্নিত করেন রাজ্যপাল। ১৫ই অগাস্টের সময় রাজ্যপালের কাছে ৭১ জন বন্দির মুক্তির সুপারিশ করে রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের এই আবেদনকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মতভেদ তীব্র। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যপাল পিস ট্রেন চালানোর কথা বলেন। আর তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) রাজ্যের সহযোগিতায় কাজ করছেন না, তিনি পিস ট্রেনের কথা কেন বলছেন! সারা দেশে কি অশান্তির ট্রেন চলছে? অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির দালাল, রাজভবনের টাকায় নিজের বই প্রকাশ করছেন। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেশের কোথাও এত হিংসা নেই। কিছু হিংসার চিত্র কেরলে দেখা গেলেও এই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার খবর সবথেকে বেশি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার হিংসার জন্ম দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল (C V Ananda Bose ঠিকই বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Bjp: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ-বিজেপির, ১৫টি জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ

    Bengal Bjp: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ-বিজেপির, ১৫টি জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি (Bengal Bjp)। ঢেলে সাজানো হচ্ছে জেলায় জেলায় সংগঠনকে। রবিবার ১৫টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল হল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার , শিলিগুড়ি, বনগাঁ, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া শহর, আরামবাগ, তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, যাদবপুর এই ১৫ জায়গায় সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হয়েছে। বাকি জেলার সভাপতিরা অপরিবর্তিত থাকছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। ২৮টি জেলায় আগের সভাপতিরা রয়ে গেলেন।

    লোকসভার আগে কোনঠাসা শাসক দল তৃণমূল

    লাগামছাড়া সন্ত্রাসের পরেও সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম সভায় বিজেপি (Bengal Bjp) ১০ হাজারের বেশি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বুথে বুথে যেভাবে বিজেপি কর্মীরা লড়াই দিয়েছেন তাতে খুশি কেন্দ্রের নেতারা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন কয়েক পরেই বঙ্গ বিজেপির (Bengal Bjp) শীর্ষ নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করা হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা সমেত লোকসভা ভোটের রূপরেখাও তৈরি করে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপরেই তেড়েফুঁড়ে নামল গেরুয়া শিবির (Bengal Bjp)। জেলায় জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ শুরু হল। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি, সন্ত্রাস সমেত একাধিক ইস্যুতে কোনঠাসা রাজ্যের শাসক দল। প্রতিদিনই কোর্টে ভর্ৎসিত হচ্ছে রাজ্য। এই আবহে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে শাসক দলের মদতে লাগামছাড়া সন্ত্রাসও সারা দেশে খবরের শিরোনামে এসেছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতির প্রতিফলন লোকসভা ভোটে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

    তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ বিজেপিতে যেতে পারে

    অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূলের যেভাবে আঁতাত হয়েছে জাতীয় স্তরে, তা ভালভাবে নেয়নি নিচুতলার সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। কারণ এখানে তাঁদেরও রোজ মার খেতে তৃণমূলের হাতে। তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেদিক থেকে দেখলে কেন্দ্রীয় বিজেপির (Bengal Bjp) কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বাংলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)। ফের উদ্ধার প্রচুর জিলোটিন স্টিক। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরকগুলি কে বা কারা মজুত করল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কোথায় থেকে উদ্ধার হল জিলোটিন স্টিক?

    রবিবার সকালে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের রদিপুরের কাছে আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রায় ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার পিস জিলোটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কে বা কারা পরিত্যক্ত বাড়িতে জিলোটিন স্টিক মজুত করে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বিপুল পরিমাণ জিলোটিন স্টিক মজুতের নেপথ্যে ছকই বা কী ছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     এর আগে নলহাটিতে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিলোটিন স্টিক?

     গত ২৮ জুন সকালে আচমকাই বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাহাদুরপুরে তৃণমূল নেতা মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদানে হানা দেয় এনআইএ আধিকারিকরা। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘন্টা সেখানে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সেই সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই খাদানের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণ জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। এরপর পুনর্নির্বাচনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষকে জেরা করে বীরভূমের কুশমোড়ের ইসলাম চৌধুরীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ রয়েছে। কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তিনি। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় এনআইএ। ইসলাম চৌধুরীকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রামপুরহাট থেকে জিলোটিন স্টিক উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Encounter: ৩ সেনা মৃত্যুর বদলা, উপত্যকায় ফের এনকাউন্টারে খতম ১ জঙ্গি

    Kashmir Encounter: ৩ সেনা মৃত্যুর বদলা, উপত্যকায় ফের এনকাউন্টারে খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির বুধল এলাকায় গুন্ধা-খাওয়াস গ্রামে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) খতম হয়েছে ১ জঙ্গি। সূত্রের খবর, এই এলাকায় আরও অনেক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, আর তাই এই এনকাউন্টার অভিযান এখনও চলছে। গত শুক্রবার প্রাণ গিয়েছিল ৩ জন সেনার, তাই আপাতত এক জঙ্গির মৃত্যকে সেনার বদলা হিসাবে দেখতে চাইছেন নিরাপাত্তা উপদেষ্টার বিশেষজ্ঞরা।

    কেন এনকাউন্টার (Kashmir Encounter)?

    গত শুক্রবার কাশ্মীর উপাত্যকায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন সেনা জওয়ান। আর পাল্টা জবাব হিসাবে রাজৌরি জেলায় সেনা বাহিনীর স্পেশাল এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ইতি মধ্যে রাজৌরির গুন্ধা-খাওয়াস গ্রামে এই এনকাউন্টার অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য আগেও জম্বু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। কুলগামে হালানে উঁচু এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে, নির্দিষ্ট এই খবর পেয়ে গত ৪ অগাস্ট অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। কুলগামের হালান জঙ্গলে জঙ্গিদের তল্লাশির সময় আচমকা পিছন থেকে হঠাৎ আক্রমণ করে জঙ্গিরা। আর এই সংঘর্ষে প্রথমে আহত হন তিন সেনা এবং এরপর হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করার সময় প্রাণ হারান তিনজন সেনা।

    কী বলেন অতিরিক্ত ডিজিপি?

    জম্মু-কাশ্মীরের অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ সিং বলেন, “ঘটনােস্থলে পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছে। এনকাউন্টারের (Kashmir Encounter) অপারেশন এখনও চলছে। জঙ্গিদের দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।”

    এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে ৫ কমান্ডো-সহ ১০ সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় পৃথক এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) তাঁদের মৃ্ত্যু হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে (Poonch) সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, এই দুই এলাকা গত দুই দশক ধরে জঙ্গিমুক্ত করা হবে বলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার বিজেপি (BJP) করে। এটাই তার অপরাধ। আর সেই অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী রামেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি ভবানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, টুম্পা হাজরা নামে এক স্কুল ছাত্রী কয়েকদিন আগেই কন্যাশ্রীর ফর্ম নেওয়ার জন্য স্কুলে আসে। সে স্কুলে এসে অভিযুক্ত রামেশ্বর রায়ের কাছে ফর্ম চায়। অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় ছাত্রীকে বলেন, তোমরা যেখানে সেখানে ভোট দেবে আর কন্যাশ্রীর জন্য আমার কাছে আসবে? পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে স্কুলছাত্রী বাড়িতে এসে সমস্ত কথা জানায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় বলেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে আমি অস্থায়ী ক্লার্ক হিসাবে কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এটা বিজেপির (BJP)  চক্রান্ত।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহা বলেন, বেশ কয়েকজন এসেছিল আমাকে অভিযোগ জানিয়েছে। আমার তো মনে হয় এসব ভিত্তিহীন কথা। যারা অভিযোগ জমা দিয়েছে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে, যেহেতু অভিযোগ এসেছে, সেটা তদন্ত করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    একটি স্কুলে কীভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ময়নাগুড়ি বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর নিতাই রায়। তিনি বলেন অন্যান্য ক্ষেত্রে তো তৃণমূল  রাজনীতি করছেই এবার ছাত্রদের ক্ষেত্রেও তাঁরা রাজনীতি ঢুকিয়ে দিল। যা খুব নিন্দনীয় বিষয়। বিজেপি নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি (BJP) করার অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম দেওয়া যাবে না, এটা তাজ্জব বিষয়। আমার স্ত্রী রত্না রায় এবার ভোটে জিতেছে। সেই ছাত্রীর বাবা বিজেপি করতেই পারে। এটাই কি তার অপরাধ। অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে কন্যাশ্রী করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করেন। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে  বিষয়টি আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে  লিখিত আকারে দিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে,তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ১নং ব্লক সভাপতি মনোজ রায় জানান, বিজেপি (BJP) বিষয়টি পরিকল্পিত ভাবে সাজিয়েছে। তৃণমূলকে কলুষিত করার জন্য এই রকম মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Success Story: শুধু গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করেই কোটিপতি! পড়ুন সেই উত্তরণের কাহিনি

    Success Story: শুধু গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করেই কোটিপতি! পড়ুন সেই উত্তরণের কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেক ভারতীয় নিজের জীবনে সাফল্য নিয়ে আসার তাগিদে ব্যবসাকেই উপার্জনের মূল পথ হিসাবে বেছে নেন। সঠিক ব্যবসা মানুষকে এনে দিতে পারে চরম সাফল্য, আর এই ব্যবসা অনেক ধরনেরই হতে পারে। কিন্তু কখনও শুনেছেন, গরুর গোবর ও দুধ বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন কেউ? এই প্রতিবেদনে এমন একজনের সম্পর্কে জানব, যিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব (Success Story) করে দেখিয়েছেন, আর নিজেকে নিয়ে গেছেন উন্নতির চরম শিখরে। শুধু গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করেই হয়েছেন কোটিপতি। আর তাঁর নাম প্রকাশ ইমডে।

    কীভাবে এই সাফল্য (Success Story) পেলেন?

    প্রকাশ ইমডে একজন কৃষক। ১৯৮৮ সালে প্রথম দুধ বিক্রির মাধ্যমে শুরু করেন তাঁর ব্যবসা। সেই সময় তাঁর মাত্র একটি গরু ছিল। তাছাড়া ছিল ৪ একর জমি। তিনি মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের এক কৃষক। সেই সময় এলাকায় চাষের জলের চরম ঘাটতি দেখা দেওয়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধায় পড়েন তিনি। এই কারণেই তিনি চাষ ছেড়ে গরু পালন করতে শুরু করেন এবং গরুর দুধের ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসায় আস্তে আস্তে উন্নতি করতে শুরু করেন। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বেশি গরু পালন করতে শুরু করেন। এখন তাঁর ফার্মে প্রায় ১৫০ টি গরু পালন করছেন, এর থেকে প্রায় ১০০০ লিটার দুধ উৎপাদন করেন তিনি (Success Story)। ফার্মে জন্ম নেওয়া বাছুর এবং বয়স বেড়ে যাওয়া গরুগুলিকে তিনি কখনই বিক্রি করেন না বরং তিনি এবং তাঁর পরিবার মিলে এই গরু এবং বাছুরগুলির সব দিক থেকে যত্ন নেন ও গোয়াল ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও নেন।

    অভিনব ব্যবসায় সাফল্য (Success Story) আর তাতেই কোটিপতি

    এই অদম্য ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য প্রকাশ ইমডেকে সাধারণ কৃষক থেকে আজ এক ধনবান ব্যক্তিত্বে (Success Story) পরিণত করেছে। প্রকাশ বর্তমানে তাঁর নিজস্ব একটি ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ বাংলো তৈরি করেছেন। যে বাংলোর ভালবেসে নাম রেখেছেন “গোধন নিবাস”। প্রকাশ হয়ে উঠেছেন সবার চোখের মণি, সবাই ভালোবেসে তাঁকে “বাপু” বলেও ডাকেন। তাঁর দিনের শুরু হয় গো মাতার পুজো দিয়ে। বাংলোর ছাদে একটি বিশালাকার দুধের ক্যান এবং গরুর মূর্তি স্থাপন করেছেন, যা এখন সবার নজর কাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘স্ক্রাব টাইফাস’, জেলায় আক্রান্ত কত জানেন?

    North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘স্ক্রাব টাইফাস’, জেলায় আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যের পাশাপাশি  উত্তর দিনাজপুরেও (North Dinajpur) দেখা দিয়েছে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। প্রতিবারই এই সময় ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়ে। যার জেরে এবারেও রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু, এর পাশাপাশি জেলায় বাড়ছে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রকোপ। ফলে, জেলাজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। জেলার রায়গঞ্জেও ‘স্ক্রাব টাইফাস’ চোখ রাঙাচ্ছে।

    কী বললেন রোগীর পরিবারের লোকজন?

    জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত একমাসে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলায় রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমা মিলিয়ে ৪৬ জন ‘স্ক্রাব টাইফাস’-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ১১ জনের শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল-সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পেটের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগীদের ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। সুবীর বর্মন নামের এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ওয়ার্ডে ক্রমশই বাড়ছে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বরের পাশাপাশি গা,হাত পা ব্যাথাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা চলছে। অপর এক রোগীর আত্মীয় পঙ্কজ বর্ধন বলেন, আমার দাদা ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। ওয়ার্ডে প্রচুর রোগীর চাপ বাড়ছে। ফলে, বেড পাওয়া মুশকিল। মেঝেতে কিংবা বারান্দায় রাখা হচ্ছে রোগীদের। বেশীর ভাগই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া কিংবা স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে আমরা চরম উদ্বেগে রয়েছি।

    হাসপাতালের চিকিৎসকের কী বক্তব্য?

    হাসপাতালের চিকিৎসক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসময় জ্বর একটু বেশি হয়। তবে, অন্যান্য জেলার তুলনায় উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) রোগীর সংখ্যা কম। আপাতত হাসপাতালে ১ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন।  এছাড়াও ২৬ জন স্ক্রাব টাইফাস পজিটিভ রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত, বর্ষাকালে মশার কামড়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া এবং পোকার কামড়ে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই, দফতরের তরফে প্রশাসনিক সহযোগিতায় জেলার নয়টি ব্লকে মশা ও পোকার বংশবিস্তার রুখতে আবর্জনা সাফাই, জমা জল পরিস্কার-সহ বাসিন্দাদের নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digestive Problems: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    Digestive Problems: খাওয়ার পরেই বমি? সামান্য খাবারেও হজমের সমস্যা? কোন রোগের ইঙ্গিত?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকাল হোক বা সন্ধ্যায় সামান্য চা-বিস্কুট খেলেও অস্বস্তি শুরু হয়। কখনও বমি আবার কখনও পেটে যন্ত্রণা (Digestive Problems)। আর ভারী, তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে তো কথাই নেই। বুকের যন্ত্রণা, মাথা ঘোরার চোটে বিছানা থেকে ওঠার শক্তিও থাকে না। এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাবধান থাকা দরকার। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করলে বাড়বে বিপদ!

    কোন অসুখের (Digestive Problems) ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার খেলেই বমি, হজমের সমস্যা কিংবা বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করলে তা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এই সমস্যার নাম গ্যাস্ট্রোএসোফাগেল রিফ্লাক্স ডিজিজ! যাকে সহজে চিকিৎসকরা বলেন জিইআরডি! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আটটি উপসর্গ এই রোগের জানান দেয়। খাবার পরেই বুক জ্বালা, বুকের মাঝখানে ব্যথা, লাগাতার হেচকি ওঠা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, বমি, হজমের সমস্যার মতো উপসর্গ প্রায় দেখা দিলে তা জিইআরডি-র লক্ষণ হতে পারে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন জিইআরডি-র মতো সমস্যায় ভুগলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর তার মধ্যে অন্যতম হল লিভার এবং পাকস্থলীর সমস্যা। কারণ, হজমের দীর্ঘ সমস্যা এবং বারবার বমি এই দুই অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা পাকস্থলীর আলসারের কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি, পরিপাকতন্ত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। লাগাতার হজমের সমস্যা (Digestive Problems) এবং সেই সংক্রান্ত অসুবিধার জেরে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হয়।

    কাদের এই রোগে (Digestive Problems) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের এই রোগে (Digestive Problems) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। পাশপাশি, যাঁরা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খান, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময়ের ব্যবধানে ভারী তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    কীভাবে উপশম (Digestive Problems) সম্ভব? 

    সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-এ এই রোগের উপশমের নতুন দিশা দেখিয়েছেন একদল চিকিৎসক। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপশমের জন্য প্রয়োজন তিনটি জিনিসের উপরে নজরদারি। এক, সঠিক ডায়েট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর জরুরি। প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন একেবারেই নয়। বিশেষত, প্রাণীজ প্রোটিন যাতে অতিরিক্ত খাওয়া না হয়, তার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করা কঠিন (Digestive Problems)। তাই শরীর কতখানি পরিশ্রম করছে সেই অনুপাতে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। খাবারের মেনুতে পর্যাপ্ত সব্জি থাকতেই হবে। পালং শাক, ব্রোকলি, বাঁধাকপি, পেঁপের মতো সব্জি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যে কোনও লেবুর রস খাওয়া দরকার। যাতে হজম ভাল হয়। এর পাশাপাশি নিয়মিত কলা, পেয়ারার মতো ফল খাওয়া দরকার। 
    খাবারের মেনুর পাশপাশি নজরে রাখতে হবে খাওয়ার সময়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ব্রেকফাস্টের কতক্ষণ পরে দুপুরের খাবার, আবার সন্ধ্যের খাবারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কিন্তু খুব জরুরি। সকালের জলখাবার যেমন সাড়ে ন’টার মধ্যে হতে হবে। তেমনি দুপুরের খাবার বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে খেতে হবে। রাত ন’টার পরে ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো। রাতে ঘুমোনোর আগে হাল্কা কিছু খাওয়া দরকার। এতে হজম ভালো হয়। অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাওয়া একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    খাবারের মেনু ও সময়ের পরে নজর থাকুক খাবারের পরে কী করতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাবারের পরেই বসে থাকা বা শুয়ে পড়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই দুপুর হোক বা রাত ভারী খাওয়ার পরে অন্তত মিনিট দশেক হাঁটতেই হবে। বাড়ির বাগান কিংবা পাড়ার রাস্তায় অল্প হাঁটাহাটি করে তবেই শোয়া যাবে। এতে হজম হবে সহজেই। তার পাশপাশি ওজনের দিকে নজর দিতে হবে। স্থূলতা যেহেতু এই রোগের (Digestive Problems) ঝুঁকি বাড়ায়, তাই তা রুখতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • PM Modi: ‘‘মদন দাস দেবীর সম্পূর্ণ জীবন উৎসর্গিত ছিল দেশের জন্য’’, লিখলেন নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: ‘‘মদন দাস দেবীর সম্পূর্ণ জীবন উৎসর্গিত ছিল দেশের জন্য’’, লিখলেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রয়াত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক মদন দাস দেবীর সম্পূর্ণ জীবন দেশের জন্য উৎসর্গিত ছিল।’’ নিজের লেখায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এভাবেই স্মরণ করলেন মদন দাস দেবীকে। প্রসঙ্গত, সঙ্ঘের প্রচারক মদন দাস দেবী গত ২৪ জুলাই প্রয়াত হন।

    একসঙ্গে সংগঠন করার কথা

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন,  ‘‘মদন দাস দেবী  একজন চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। যিনি আরামদায়ক জীবন উপভোগ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি দেশের কাজকেই জীবনব্রত করেন।’’ নিজের প্রবন্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন তাঁর নিজের উপলব্ধির কথা। প্রয়াত সঙ্ঘের প্রচারক মদন দাস দেবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। বছরের পর বছর ধরে আমি দেখেছি তাঁকে খুব কাছ থেকে। তিনি ছিলেন খুব মৃদুভাষী। সংগঠনের একদম উপযুক্ত। অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক ছিলেন মদন দাস দেবীজি।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আরও সংযোজন, ‘‘আমরা দুজনেই একসঙ্গে সংগঠন করতাম। আমরা আলোচনা করতাম যে কিভাবে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি হবে এবং কার্যকর্তাদের বিকাশ হবে।’’ তাঁর ওই প্রবন্ধে নরেন্দ্র মোদি আরও লেখেন, ‘‘মদন দাস দেবীর জীবন আমাদের দেখিয়ে দিল, ব্যক্তিস্বার্থের থেকে সমষ্টির কথা সমাজের কথা চিন্তা করলে জীবনে ঠিক কী পাওয়া যেতে পারে।’’

    দক্ষ সংগঠক মদন দাস দেবী 

    প্রধানমন্ত্রী লেখা অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে শক্তিশালী করার কাজে সদা নিয়োজিত ছিলেন মদন দাস দেবীজি। কিন্তু তিনি কখনো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতির মধ্যে ঢোকেননি। নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভাষায়, ‘‘বর্তমান সময়ে তিনটি বিষয় খুব জনপ্রিয়। পিপলস ম্যানেজমেন্ট, ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং স্কিল ম্যানেজমেন্ট। মদন দাস দেবীজি এ বিষয়ে একদম বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি মানুষকে খুব সহজেই বুঝতে পারতেন। এবং তাঁদের প্রতিভাকে সাংগঠনিকভাবে কাজে লাগাতেন। তিনি মানুষের ক্ষমতা, সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদেরকে কাজ দিতেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share