Tag: Bengali news

Bengali news

  • Panchayat Board: পাঁচ হাজার পুলিশ এনেও ‘খেলা’ হল না, খানাকুলের পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে

    Panchayat Board: পাঁচ হাজার পুলিশ এনেও ‘খেলা’ হল না, খানাকুলের পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির জেরে পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board) গঠন স্থগিত ছিল। হুগলি জেলার খানাকুলের ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতের বোর্ড অবশেষে সোমবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গঠিত হল। এদিন খানাকুলের ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। টান টান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশের উপস্থিতিতে এদিন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সকাল থেকেই পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কীভাবে হল বোর্ড (Panchayat Board) গঠন?

    খানাকুলের ২৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি বিজেপির দখলে। তার মধ্যে একটি পঞ্চায়েত সমিতি আছে। উল্লেখ্য, গত ১১ ই অগাস্ট আরামবাগ মহকুমার প্রায় সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠিত হলেও ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতে ব্যাপক মারপিট হওয়ায় বোর্ড গঠন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এদিন বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ টি সংসদের মধ্যে ১৩ টি পায় বিজেপি এবং তৃণমূল পায় ১২ টি। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি এগিয়ে থাকে। এদিন খানাকুলের মোড়ে ব্যাপক জমায়েত ছিল তৃণমূল ও বিজেপির। প্রশাসনের নজরদারির পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়। কড়া পুলিশি পাহারার মধ্য দিয়ে বিজেপির জয়ী ১৩ জন প্রার্থীকে পঞ্চায়েতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বোর্ড গঠনের জন্য ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে বিজেপির প্রধান হন রামকৃষ্ণ মাইতি এবং উপ প্রধান হন সন্ধ্যা কোটাল।

    খানাকুল জুড়ে বিজেপির জয়জয়কার (Panchayat Board)

    এরপরই গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এদিন এই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় পুড়শুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ ও খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, একটা পঞ্চায়েত (Panchayat Board) গঠন করতে এত পুলিশ কেন দিতে হবে? তৃণমূল চেয়েছিল কারচুপি করে বোর্ড দখল করে নেবে। কিন্তু বিজেপি তাকে প্রতিরোধ করে। অপরদিকে খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, খানাকুল জুড়ে বিজেপির জয়জয়কার। সেরকম ভাবেই বিজেপি ঠাকুরানিচক দখল নিয়েছে।সব মিলিয়ে ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েত গঠনে তৃণমূল খেলার মাঠ ছেড়ে পালালো বলা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Reliance Board: রিলায়েন্সের বোর্ডে বড় বদল! সরলেন নীতা, এলেন অনন্ত, আকাশ ও ইশা আম্বানি

    Reliance Board: রিলায়েন্সের বোর্ডে বড় বদল! সরলেন নীতা, এলেন অনন্ত, আকাশ ও ইশা আম্বানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তন হল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Board)-এর বোর্ডে। নতুন দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে আকাশ আম্বানি, অনন্ত আম্বানি এবং ইশা আম্বানিকে। অন্যদিকে সরে দাঁড়িয়েছেন নীতা আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-র (Reliance Board) বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স-এর বৈঠক ছিল এ দিন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি হিন্দু মহাসভার নেতার

    মুকেশ আম্বানির দুই পুত্র ও এক কন্যা এলেন নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে

    শক্তি থেকে প্রযুক্তি, টেলিকম-কোনও কিছুই বাদ নেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (Reliance Board) আওতায়। সেই বোর্ডে এবার যোগ দিলেন মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির দুই পুত্র এবং এক কন্যা। জানা গিয়েছে, মুকেশকন্যা ইশা ও পুত্র আকাশ এবং অনন্তকে এই বোর্ডে নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে রাখা হয়েছে।  আকাশের পদোন্নতি অবশ্য গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে। কারণ ২০২২ সালেই রিলায়েন্স জিও (Reliance Board) ইনফোকম লিমিটেড-এ আকাশ আম্বানিকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন মুকেশ আম্বানি।

    আগামী মাসেই চালু হচ্ছে জিও-র এয়ার ফাইবার 

    অন্যদিকে আগামী মাসেই চালু হচ্ছে জিও এয়ার ফাইবার (Jio Air Fiber)। জানা গিয়েছে এই জিও ফাইবারের সাহায্যে মিলবে ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে উন্নত মানের নেট। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, গণেশ চতুর্খীর দিন এটি চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিনই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি একথা জানিয়েছেন। ৫জি নেটওয়ার্কের এই পরিষেবা বাড়ি এবং অফিসে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড পরিষেবা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ কোনওরকম তারের সংযোগ আর বাড়িতে বা কর্মস্থলে নিতে হবে না, অফিসেও লাগাতে হবে না। মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, জিও-র এয়ার ফাইবারের (Reliance Board) জন্য প্রতিদিন এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার করে নতুন কানেকশন দেওয়া হবে। পাশাপাশি রিলায়েন্সের মালিক জানিয়েছেন যে জিও হল নতুন ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম প্রতীক। তাই জিওর জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে সোমবার দুপুরে মোচপোল গ্রামে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বিরোধী দলনেতাকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ  উগরে দেন এলাকাবাসী।

    বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এদিন বেলা তিনটে নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দত্তপুকুর গ্রামে যান।  বিস্ফোরণস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে তিনি গাড়ি থেকে নামেন।  সেখান থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে যান। রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি সকলকে বলেন, ভরসা রাখুন, বোমা বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত হবে। এরপর তিনি বিস্ফোরণস্থলে যান। বোমা বিস্ফোরণের উল্টো দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির  ছাদে ওঠেন তিনি। সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থল তিনি খতিয়ে দেখেন। সেখানে থেকে নীচে নেমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধী দলনেতাকে  সামনে পেয়ে বলেন, তৃণমূলের মদতেই বেআইনি বাজি কারখানা চলতো।  পুলিশ নিয়মিত মাসোয়ারা নিত। তাদের কাছে অভিযোগ জানালে উল্টে তারা আমাদের ধমক দিত। ঘটনার দিনও পুলিশ মাসোহারা নিয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিস্ফোরণ আমাদের বাড়ির সমস্ত কিছু ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। বিষয়টি দেখবেন। তিনি এ বিষয়ে আশ্বাস দেন এবং একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি তিনি ঘুরে দেখেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার করা ছিল। আমরা এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিস্ফোরণে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই চাইছেন এনআইএ তদন্ত হোক তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। পাশাপাশি তিনি এদিন আরও জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও দত্তপুকুর থানার আইসি দুজন মিলিত হয়ে এই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বসছে স্বয়ংক্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর

    Kolkata Metro: কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বসছে স্বয়ংক্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় খবরে আসে মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা! এবার মেট্রো লাইনে (Kolkata Metro) আত্মহত্যার চেষ্টা রুখতে উদ্যোগ নিল কর্তৃপক্ষ। পাতাল রেল এসে দাঁড়ানোর পরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মেরও (Kolkata Metro) গেট খুলবে। গেট খোলার পরেই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। এর ফলে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে উন্মুক্ত অবস্থায় আর থাকবে না রেল লাইন। জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরের সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই এই নয়া স্ক্রিনডোর বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো লাইন (Kolkata Metro) থেকে প্ল্যাটফর্মকে পৃথক করে রাখা এই স্ক্রিন ডোরের ফলে নিরাপত্তা বেশ আঁটোসাঁটো হবে। প্রসঙ্গত শহরের ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার শহরের সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই এই ব্যবস্থা চালু করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    গঙ্গার নিচে মেট্রো রুটে (Kolkata Metro) অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে বসছে এক্সজস্ট ফ্যান

    পাশাপাশি গঙ্গার নিচে তেত্রিশ ফুট গভীরতায় ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। মাটির এতটা গভীরতায় অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। হাওয়া চলাচল ঠিক রাখতে বসানো হচ্ছে এক্সজস্ট ফ্যান। এখানেও অবশ্য থাকছে স্ক্রিনডোর (Kolkata Metro)। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই জোরদার হবে। কারণ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর করিডরের মেট্রো ব্লু লাইন বলে পরিচিত। পরিসংখ্যান বলছে এই করিডোরে সবথেকে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। প্রায় ৩০ কিলোমিটারের এই করিডরের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সল্টলেক এবং নিউটাউনকে কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

    কবি সুভাষ থেকে ৯টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল করবে 

    আপাতত কবি সুভাষ থেকে ৯টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো চলাচল করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই মেট্রো রেল (Kolkata Metro) চলবে বেলেঘাটা পর্যন্ত। স্টেশনগুলি হল, কবি সুভাষ স্টেশন, সত্যজিৎ রায় স্টেশন, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশন, কবি সুকান্ত স্টেশন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন, ভিআইপি বাজার স্টেশন, বরুণ সেনগুপ্ত স্টেশন এবং বেলেঘাটা স্টেশন। মেট্রো (Kolkata Metro) সূত্রে আরও খবর, ২০২৩ এর ডিসেম্বরের মধ্যে বেলেঘাটা স্টেশন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝির মধ্যে সেক্টর ফাইভ এবং পরের বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সিটি সেন্টার এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মান (National Teacher Awards) পাচ্ছেন হাওড়া জেলার বালির নিশ্চিন্দার রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমির শিক্ষক চন্দন মিশ্র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন দিল্লিতে তাঁর হাতে জাতীয় শিক্ষক সম্মান তুলে দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের সেরা ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে এ রাজ্য থেকে জায়গা করে নিয়েছেন বালির অভয়নগর এলাকার ওই প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র।

    কে এই চন্দন মিশ্র (National Teacher Awards)? 

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চন্দনবাবু বিগত ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চাকরি সূত্রে হাওড়ার এই স্কুলে থাকলেও তিনি আদতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের বাসিন্দা। কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ২০২২ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করে। তিনি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর স্কটিশ চার্চ থেকে উচ্চ শিক্ষা এবং তারপর বিএড করেন। ২০০১ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে। চার বছর সেখানে পড়ান। এর পর চলে যান হাওড়ার বাগনানের কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে। টানা ১০ বছর সেখানকার শিক্ষক ছিলেন চন্দনবাবু। এর পর নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিজেকেও চন্দনবাবু মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবেই ভাবতে ভালবাসেন। পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রত্যেক পড়ুয়াকে ভাল মানুষ হওয়ার পাঠও সব সময় দিয়ে যান এই শিক্ষক। সেই মানুষ গড়ার কারিগরকেই এই সম্মান (National Teacher Awards) জানাতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি।

    খুশি তিনি, ছাত্রছাত্রী এবং জেলার বাসিন্দারা (National Teacher Awards)

    তাঁদের প্রধান শিক্ষক আদর্শ শিক্ষকের এই সম্মান পাওয়ার খবরে খুশি তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। এই খবরে খুশি চন্দনবাবু, তাঁর স্কুল ও হাওড়া জেলার বাসিন্দারা। চন্দনবাবু বলেন, আমিও আশা করতাম, একদিন রাষ্ট্রপতি আমাকে জাতীয় শিক্ষকের সম্মান (National Teacher Awards) তুলে দেবেন। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। এটা আমার কাছে যেমন আনন্দের, তেমন গর্বের। ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শিক্ষক দিবসে সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার তুলে দেবেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা সমাজ ও মানুষ গড়ার কারিগর। এই সম্মান তাঁকে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • G-20: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা, বৈঠকের সম্ভাবনা মোদির সঙ্গে

    G-20: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা, বৈঠকের সম্ভাবনা মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সেপ্টেম্বরের ৯ এবং ১০ তারিখে জি-২০ (G-20) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। রবিবারই এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দলিব ইলিয়াস।

    আরও পড়ুন: নীরজের ছোড়া বর্শায় বিঁধল সোনা, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ

    কী বললেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার?

    রবিবারই কলকাতাতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শহিদ দিবস পালিত হয়। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের নেতা মেহবুবুল আলম হানিফ। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসকেও এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এখানেই ডেপুটি হাই কমিশনার বলেন, “জি-২০ সম্মেলনে (G-20) যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করছি সম্মেলনের (G-20) পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।” 
    অন্যদিকে গত বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশ হিসেবে অবতরণ করেছে ভারত। এ নিয়ে অভিনন্দনও জানান ডেপুটি হাই কমিশনার। তিনি বলেন, “চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে আমরা ভারতের জন্য গর্বিত।”

    ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20)

    চলতি জি-২০ শীর্ষ (G-20) সম্মেলনে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির প্রগতি ময়দানে। বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের সেখানে হাজির থাকতে দেখা যাবে। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে (G-20) যোগ দিতে আসছেন না। এক বিবৃতিতে রাশিয়া সরকার এ কথা জানিয়েছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G-20) ভারতে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমুখ।  প্রসঙ্গত চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু, দিল্লি পারলেও লাগাতার হোঁচট খাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ! তাই রাজ্যের মানুষ সুস্থ হতে ভরসা রাখছে ভিন রাজ্যের উপরই। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে রাজ্যের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য প্রক্রিয়া অত্যন্ত শ্লথ। তার উপর প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হলেও রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এসএসকেএম হাসপাতালে সম্প্রতি রোগীমৃত্যুর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। কবে এ রাজ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিকাঠামো শক্ত হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    সাম্প্রতিক কোন ঘটনা (Organ Transplantation) ফের প্রশ্ন তুলছে? 

    এ রাজ্যের অধিকাংশ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরবর্তীকালে রোগীর জীবন প্রশ্নের মুখে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যান। প্রতিস্থাপন-পরবর্তী চিকিৎসা ঠিকমতো না হওয়ার জেরেই ঘটে বিপত্তি। দিন কয়েক আগে ফের এমনই ঘটনা ঘটল এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালে এক বছর ৩৫-র রোগীর কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরের দিনই ওই রোগী মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। কিন্তু ওই রোগীর দেহ নতুন অঙ্গ গ্রহণ করতে পারেনি। তাই মারা গিয়েছেন।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে (Organ Transplantation)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে সফল করে তুলতে হলে, অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী চিকিৎসাপর্বে। কিন্তু এ রাজ্যে তা এখনও অবহেলিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দক্ষিণ ভারতে দীর্ঘদিন ধরে সফল ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হচ্ছে। আর এই সাফল্য ও রোগীর ভরসা বজায় রাখার প্রধান কারণ শুধু সফল অস্ত্রোপচার নয়, তারপরে রোগীর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা। কিন্তু এ রাজ্যে এই দ্বিতীয় পর্বে একাধিক খামতি থাকছে। অস্ত্রোপচারের আগে সবরকম মাপকাঠি অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। ফলে, শরীরে নতুন অঙ্গ প্রত্যাহারের ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি, রোগীর সুস্থ দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সহায়তা। অর্থাৎ, ঠিকমতো ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা জরুরি। তবেই রোগী অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রাজ্যে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। অঙ্গ গ্রহণকারী রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক বেশি হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময় হাসপাতাল থেকেই রোগী নানান সংক্রমণের শিকার হয়ে যান। ফলে, বিপদ বাড়ে। তারপরে দীর্ঘকাল যে নজরদারির প্রয়োজন হয়, তাতেও অনেক সময় গাফিলতি থাকে। ফলে, শেষ পর্যন্ত রোগীর সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়া হয় না।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) নিয়ে এখনও অনেক পথ চলা বাকি। দক্ষিণের রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা টানাও ঠিক নয় বলে তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, ভারতের অন্য যে সব রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাফল্য টেনে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কারণ, সেই সব রাজ্যে প্রতিস্থাপন বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল। এ রাজ্যে এতদিন সেই পরিকাঠামো ছিলো না। এখন অন্তত অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এক সারিতে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন সফল করতে সবরকম নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও তাঁরা আশা করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বোর্ড দখল করল বিজেপি। তৃণমূল শাসনের অবসান ঘটিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে, গঙ্গাজল ও গোবর জল দিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়টি শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন নবনির্বাচিত বিজেপি প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    শুদ্ধিকরণ নিয়ে নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২টি। ১৫ বছর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দখলে ছিল এই পঞ্চায়েত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১৫ বছর পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও এলাকার কোনও রকম উন্নয়নমূলক কাজ করেননি শাসক দল পরিচালিত তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন বোর্ডের সদস্যরা। এলাকায় হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা থাকলেও তা জ্বলে না। পাশাপাশি রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পূর্বের বোর্ড দায়িত্বে থাকাকালীন। এরপর ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Gram Panchayat Election) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ২২ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসন দখল করে। তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ১০টি আসন। ২২ টির মধ্যে বারোটিতে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে বিজেপি। পাশাপাশি আগামীদিনে পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ এলাকাবাসীদের স্বার্থে উন্নয়নকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁরা। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুরানো দিনের সব কলঙ্ককে মুছে ফেলতে গঙ্গাজল ও গোবর দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন পরিষ্কার করে তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন বিজেপি সমর্থিত নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত বোর্ড সদস্যরা। পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী হালদার বলেন, ১৫ বছর তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে প্রচুর দুর্নীতি করেছে। তাই, গোবর আর গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন শুদ্ধিকরণ করেছি। এতদিন এলাকায় কাজ না করে তৃণমূল টাকা লুট করেছে। এবার আমরা পঞ্চায়েত শুদ্ধিকরণ করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব। তাই, আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু! আর সবচেয়ে বড় বদল হয়েছে দিন-রাতের হিসাবে! দিনভর খাটুনি শেষে রাতে শান্তির বিশ্রাম! এ হিসাব এখন আর মেলে না! তাই বদলে যাচ্ছে শরীর! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে (Lifestyle Diseases)!

    সমস্যা কোথায় (Lifestyle Diseases)? 

    ইনফরমেশন টেকনোলজির জগত হোক কিংবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, যে কোনও ক্ষেত্রে রাত জেগে কাজ এখন স্বাভাবিক! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্ট আমেরিকার শিকাগো কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। আর কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের দিন-রাতের সময়ের বিস্তর ফারাক। কিন্তু ক্লায়েন্টের চাহিদা মেনেই রাত বারোটার পরে ল্যাপটপ খোলে। অধিকাংশের কাজ যখন শেষ হয়, তখন সূর্যের আলো আকাশ ছুঁয়ে ফেলে! একদিন বা দু’দিন নয়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের বছরের পর বছর এভাবেই অফিস চলছে। রাতভর চলে অফিস আর দিনে ঘুম! ফলে, একদিকে রাত আর দিনের কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকছে। খাওয়ার সময়ও বদলে যাচ্ছে। তাই একাধিক সমস্যা (Lifestyle Diseases) দেখা দিচ্ছে।

    কোন কোন রোগের (Lifestyle Diseases) ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জেগে মাসের পর মাস কাজ করা এবং দিনের বেলা ঘুমানো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর শরীরের একাধিক অঙ্গ তার জানান দিচ্ছে। লাগাতার রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা হয়। অধিকাংশের বমি, বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যার জেরে লিভার এবং অন্ত্রে খারাপ প্রভাব পড়ে। 
    হজমের সমস্যার পাশপাশি দীর্ঘ সময় রাত জাগার ফলে কিডনির উপরও চাপ পড়ে। সমস্যা হয় রক্তচাপের এবং হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। 
    চিকিৎসকদের একাংশের মতে, রাতের পর রাত জেগে থাকলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যার জেরে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। দিনের বেলা যতই গভীর ঘুম হোক, পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ওই হরমোন নিঃসরণ হয় না। ফলে, দীর্ঘ সময় রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে (Lifestyle Diseases)। পাশপাশি হয় অনীদ্রার সমস্যা।

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগা এবং দিনে ঘুম, অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে রাতে ঘুম ঠিকমতো হয় না। কাজ না থাকলেও রাতে ঘুমানোর ইচ্ছে চলে যায়। দেখা দেয় অনীদ্রা রোগ। আর এই রোগ একাধিক মানসিক সমস্যা তৈরি করে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    বিপদ (Lifestyle Diseases) এড়াতে কী করতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অফিসের জন্য জেগে থাকতে হলে, কিছু বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতেই হবে। তা না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাত জাগতে হলে রাতের খাবার আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ভারী, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না। বিরিয়ানি, পিৎজার মতো খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। পুষ্টিকর সহজপাচ্য খাবার সন্ধ্যার মধ্যে খেতে হবে। যাতে রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা না হয়। রাত দশটার পরে খুব হালকা খাবার যেমন দুধ, কুকিজ, ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হালকা খাবার খেলে এবং হজমের সমস্যা কমানো গেলে হার্ট, লিভার, অন্ত্রের মতো একাধিক অঙ্গের বিপদ (Lifestyle Diseases) কমানো যাবে। 
    যাদের নিয়মিত রাত জাগতে হচ্ছে, তাদের জল পানের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। লাগাতার রাত জেগে থাকলে কিডনি থেকে ত্বক, সব কিছুর উপরেই কুপ্রভাব পড়ে। তাই বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। তাতে কিডনিতে পাথর থেকে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সহ একাধিক সমস্যার মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি নিয়মিত যোগাসনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনীদ্রার মতো সমস্যা এড়াতে, মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে যোগাসন সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাসন জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Rozgar Mela: রোজগার মেলায় ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    Rozgar Mela: রোজগার মেলায় ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ২৮ অগাস্ট রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মধ্য দিয়ে ৫১ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৪৫টি স্থানে এই রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকেই নরেন্দ্র মোদির সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে রোজগার মেলা (Rozgar Mela)। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে, রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মধ্য দিয়ে।

    কী বললেন নরেন্দ্র মোদি?

    রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) এদিন যুবকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বাছাই প্রক্রিয়ায় গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীতে হওয়া পরীক্ষাটি এখন ১৩টি স্থানীয় ভাষায় (Rozgar Mela) নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়োগের ফলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।’’ 
    প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘এক্ষেত্রে আপনারা উত্তরপ্রদেশকে উদাহরণ হিসেবে দেখতেই পারেন। এক সময় এই রাজ্য উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল এবং অপরাধের দিক থেকে অনেক এগিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন উচ্চতাকে ছুঁয়েছে।’’

    কোন কোন দফতরে (Rozgar Mela) চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়?

    এদিনের চাকরি মেলাতে (Rozgar Mela) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সশস্ত্র সীমাবল, অসম রাইফেলস, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ এই সমস্ত দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেরও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ২০২২ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে দেড় বছরে ১০ লাখ যুবক-যুবতীকে নিয়োগ করা হবে সরকারের বিভিন্ন দফতরে (Rozgar Mela)। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত আটটি রোজগার মেলার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাতে চাকরি মিলেছে পাঁচ লাখের বেশি যুবকের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share