Tag: Bengali news

Bengali news

  • TMC: শান্তিপুরে মধুচক্রের আসরে তৃণমূল নেতা, লজে হানা দিয়ে আটক করল পুলিশ

    TMC: শান্তিপুরে মধুচক্রের আসরে তৃণমূল নেতা, লজে হানা দিয়ে আটক করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধুচক্রের আসর থেকে মহিলা সহ হাতেনাতে ধরা পড়ল তৃণমূল (TMC) নেতা অসিত ঘোষ। তিনি নদিয়ার শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের  সদস্য। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে একটি বেসরকারি লজ থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার একটি বেসরকারি লজে দীর্ঘদিন ধরেই মধুচক্রের আসর বসত। এবার সেই সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই লজে হানা দেয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। সেখানেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় তৃণমূল (TMC)  নেতা সহ মহিলাদের দেখা যায়। প্রশাসন হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলে। এরপরই তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অসিত ঘোষ শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর মতো দাপুটে নেতা মধুচক্রের আসরে কী করছিল তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় সকলেই হাসাহাসি শুরু করেছেন। তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন একাংশ। তবে, এ বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে উঠে এসেছে নিন্দার ঝড়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?  

    বিজেপির নদিয়া দক্ষিণের সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, গোটা বাংলার পরিবেশকে নষ্ট করছে রাজ্যের শাসক দল। চোলাই মদের ঠেক  থেকে শুরু করে প্রশাসনের নজরদারিতে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি ব্যবসা। বাংলার যে সংস্কৃতি, কৃষ্টি সব পথে নামিয়ে এনেছে তৃণমূল (TMC)। মধুচক্রের আসরে তৃণমূল নেতা থাকার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আসলে এসবই তৃণমূলের কালচার। অবিলম্বে গোটা সমাজের মানুষকে এই সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে। না হলে গোটা রাজ্যটাই ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Virji Vora: মুঘল আমলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তকমা পেয়েছিলেন এক ভারতীয়! কে তিনি?

    Virji Vora: মুঘল আমলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তকমা পেয়েছিলেন এক ভারতীয়! কে তিনি?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: মধ্যযুগ থেকেই ভারত ব্যবসার একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। আর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অনেক ধনী ব্যবসায়ী, বণিক, মহাজনরা। এঁরাই বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলে ভারতীয় ব্যবসার দিকটিকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বর্তমান ভারতের কিছু ধনী ব্যবসায়ীর নাম মাথায় আনলে প্রথম সারিতে যাঁদের নাম আসে, তাঁরা হলেন মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা, গৌতম আদানি প্রমুখ। কিন্তু আপনি কি জানেন স্বাধীনতার কয়েকশো বছর আগে এমন এক ভারতীয় ব্যবসায়ী ছিলেন, যিনি কিনা বর্তমানের আম্বানি, টাটা, আদানির থেকেও কয়েকগুণ সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন। সেই সময় তিনি (Virji Vora) ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মধ্যে একজন। তাঁর নাম বীরজি ভোরা।

    কে এই বীরজি ভোরা (Virji Vora)? কী পরিচয় তাঁর?

    বীরজি ভোরা মুঘল যুগে তৎকালীন সুরাটের একজন ভারতীয় বণিক (Virji Vora) ছিলেন। জন্ম ১৫৯০ এর দশকে, ১৬১৯ থেকে ১৬৭০, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ফ্যাক্টরি রেকর্ডস তাঁকে সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আখ্যা দিয়েছিল।

    বীরজি ভোরা (Virji Vora) কোন কোন ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন?

    বীরজি ভোরা (Virji Vora) একজন খুচরো ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তৎকালীন সময়ে সোনা, মরিচ, এলাচ ছাড়াও অনেক এরকম দামী পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় তিনি প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন, যা মুদ্রাস্ফীতির হিসেব ধরলে বর্তমান ভারতের ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির থেকেও প্রায় কয়েকগুণ বেশি ছিল। তাঁর ব্যবসার পদ্ধতি ছিল অনন্য, যা তাঁকে সাফল্যের জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল।

    কী ছিল তাঁর (Virji Vora) ব্যবসার পদ্ধতি?

    সঠিক ব্যবসা পদ্ধতি যে কোনও মানুষকে তাঁর সাফল্যে নিয়ে যেতে বিপুলভাবে সাহায্য করে। বীরজি ভোরা (Virji Vora) সেরকম নিজস্ব ব্যবসা পদ্ধতির সাহায্যেই সেই সময়ের সব থেকে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। ১৬১৯ থেকে ১৬৬৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের সঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসা করে গেছেন, তাঁর এই ব্যবসার পদ্ধতিও ছিল অনেকটাই আলাদা। কোনও পণ্য বিক্রি করার আগে তিনি সেই পণ্যের সমস্ত স্টক নিজে ক্রয় করে নিতেন। এর পর একচেটিয়া বিপুল অর্থ লাভ রেখে সেই পণ্য তিনি বিক্রয় করতেন। এতে তাঁর অর্থ লাভ হত পাহাড় সমান। এছাড়াও তিনি নিজে মহাজন হিসেবেও কাজ করতেন। সেই সময়ের বড় বড় ব্যবসায়ীকে তিনি অনেক টাকা ঋণ দিতেন। ইংরেজরাও তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। মুঘল যুগে সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য জয়ের যুদ্ধের সময় অর্থ সংকটে ভুগছিলেন। সেই সময় নিজের দূত পাঠিয়ে স্বয়ং বীরজি ভোরার কাছে টাকা ধার চেয়ে পাঠান, যা ভাবলে অবাক হতে হয়। তাছাড়াও তিনি মুঘল সম্রাট শাহজাহানকেও ৪ টি আরবি ঘোড়া উপহার স্বরূপ পাঠিয়ে ছিলেন।

    এত সাফল্যের মাঝেও ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি বীরজি ভোরার (Virji Vora), কী এমন ঘটেছিল?

    এই মহান সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থতাও তাঁর (Virji Vora) জীবনে এসেছিল। ১৬৬৪ সালে সুরাটে একবার উপস্থিত হন ছত্রপতি শিবাজি। সেই সময় বীরজির বাড়ি, গুদাম একদম ধ্বংস করে দিয়েছিলেন মারাঠা সম্রাটের সৈনিকরা। তাঁর সাথে প্রচুর পরিমাণে টাকা, হিরে, মুক্তসহ বিভিন্ন দামি পণ্য লুট করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এর পরেও বীরজি নিঃস্ব হয়ে পড়েননি, সুরাটের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিল তাঁর সম্পত্তি। কিন্তু আবার ১৬৭০ সালে ফের শিবাজি সুরাটে আক্রমণ করেন। সেই সময় আবার ক্ষতির মুখে পড়েন বীরজি। এই বছরই মৃত্যু হয় বীরজি ভোরার। কিন্তু আজও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী ব্যক্তির আখ্যা নিয়ে বেঁচে আছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jalpaiguri: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার চার পরিযায়ী শ্রমিকের, এলাকায় শোকের ছায়া

    Jalpaiguri: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার চার পরিযায়ী শ্রমিকের, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার  দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত দুইজন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ির বাসিন্দা। মুম্বইয়ের থানেতে তাঁরা একটি নির্মাণ সংস্থার হয়ে শ্রমিকের  কাজ করতে গিয়েছিলেন। সোমবার রাতে কাজ চলাকালীন আচমকাই একটি ক্রেন একদল শ্রমিমের ওপর ভেঙে পড়ে। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানের শাহপুরে। ক্রেনে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারজন জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার দুজন বাসিন্দা ছিলেন। একজনের নাম গণেশ রায় (৪৩)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম ডাউকিমারি এলাকায়। অপরজন উত্তর কাঠুলিয়া এলাকার প্রদীপ রায় (৩৪)। এছাড়া ময়নাগুড়ি ব্লকের দুই যুবকও রয়েছে। তাঁদের নাম সুব্রত সরকার (২৪) ও বলরাম সরকার (২৮)। তাঁদের বাড়ি ময়নাগুড়ি ব্লকের চারের বাড়ি সংলগ্ন স্টেশন পাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার এই সংবাদ শোনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শোকের ছায়া নেমে পড়ে এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গণেশ রায়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নির্মাণ সংস্থার হয়ে কাজ করতে ছমাস আগেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ছেড়়ে ভিন রাজ্যের পাড়ি দিয়েছিলেন গণেশবাবু। প্রতিদিনের মতো কাজ চলছিল। সেই সময় সোমবার গভীর রাতে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাবশত আচমকাই একটি ক্রেন সেখানে কর্মরত একদল শ্রমিকের ওপর ভেঙে পড়ে। রীতিমতো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অনেকের শরীর। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ, দমকল বাহিনী থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে  উদ্ধারকাজ  শুরু করেন। এদিকে মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গণেশ রায়ের মা ও স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ঘন ঘন মূর্ছা যাচ্ছেন গণেশের মা, এবং তার স্ত্রী। শুধুমাত্র  রুজি রুটির টানে ভিন রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন তারা। এই অকাল মৃত্যুতে এই পরিবারে ঘন অন্ধকার নেমে এল। 

    পরিবারের লোকজনের অভিযোগ?

    অন্যদিকে প্রদীপ রায়ের বাড়ির সদস্যরা  মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। মৃত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, স্থানীয় এলাকায় কাজ কর্মের অভাবে তাঁরা ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। সেখানে যেমন মজুরি অনেক বেশি তেমনি, শিফটের বাইরে একটু বেশি কাজ করলে মজুরি দ্বিগুণ পাওয়া যেত। সেই কারনেই এই সমস্ত এলাকার মানুষ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে এই বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রদীপ রায় ভিন রাজ্যে কাজ করেন। মাঝখানে কিছুদিনের জন্য জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাড়িতে এসে ছিলেন। দুমাস আগেই তিনি ফের কাজে যোগ দিতে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। প্রদীপ রায়ের দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই অবস্থা এই পরিবারের। আগামীকাল ওই নির্মাণ সংস্থার উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাঁদের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Betla Forest: অরণ্য দর্শন বা জঙ্গল সাফারির আদর্শ ডেস্টিনেশন ‘বেতলা’

    Betla Forest: অরণ্য দর্শন বা জঙ্গল সাফারির আদর্শ ডেস্টিনেশন ‘বেতলা’

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: পশ্চিমবঙ্গের একদম প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যেরই এক অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল লাতেহার জেলার বেতল। পোশাকি নাম যদিও বা “পালামৌ”, কিন্তু অরণ্য প্রেমিক পর্যটকদের কাছে এর পরিচিতি “বেতলা” (Betla Forest) নামেই। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহোদর সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উক্তি “বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ” এই পালামৌকে কেন্দ্র করেই লেখা। বিখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর বিভিন্ন উপন্যাসে অতীব সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে এই লাতেহার জেলার বেতলা, কেচকি, মহুয়াডার, ছিপাদোহর, কেড়, গাড়ু-র অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার সহজ, সরল আদিবাসী মানুষের জীবনের কথা।

    যাবেন কীভাবে (Betla Forest)?

    কলকাতা থেকে সরাসরি যাওয়ার জন্য চেপে বসতে হবে হাওড়া-ভূপাল এক্সপ্রেস অথবা শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে। নামতে হবে ডাল্টনগঞ্জ অথবা তার আগের স্টেশন বারাওডি-তে। এই দুই জায়গা থেকেই গাড়িতে যেতে হবে বেতলা। দূরত্ব ডালটনগঞ্জ ২৪ এবং বারাওডি ১৬ কিমি।

    কোথায় থাকবেন (Betla Forest)?

    বেতলায় (Betla Forest) থাকা খাওয়ার জন্য রয়েছে ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম বা জেটিডিসি-র হোটেল বনবিহার (কলকাতা অফিস: ঊষা কিরণ বিল্ডিং, ১২/ এ , ক্যামাক স্ট্রিট , কলকাতা ১৭ )। এছাড়া বেতলা, মারুমাড় প্রভৃতি স্থানে রয়েছে ট্রি হাউস, বন বাংলো প্রভৃতি। এগুলি বুকিং করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই ঠিকানায়- ডিএফও, ডালটনগঞ্জ (দঃ) ফরেস্ট ডিভিশন, ডালটনগঞ্জ টাইগার প্রোজেক্ট, পালামৌ ন্যাশনাল পার্ক, ডালটনগঞ্জ ৮২২১০১। অথবা ফোন করা যেতে পারে ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে।

    কী কী দেখবেন (Betla Forest)?

    বেতলা ভ্রমণের মূল কারণই হল অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শন এবং অবশ্যই অরণ্য দর্শন বা জঙ্গল সাফারি। ১৯৮৬ সালে জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কের শিরোপা লাভ করে বেতলা।ভারতের ৯ টি জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্যতম এই অরণ্য (Betla Forest)। ১০২৬ বর্গ কিমি আয়তন বিশিষ্ট এই জাতীয় উদ্যানের ২১৩ বর্গ কিমি অঞ্চল কোর এরিয়া। বাকিটা বাফার জোন। মূলত পলাশ, মহুয়া, বাঁশ, করৌঞ্জিয়া গাছের নিবিড় অরণ্যে বাস চিতল হরিন, শম্বর, গউর, বাইসন, বার্কিং ডিয়ার, বন্য শূকর, জংলি কুকুর, বন বিড়াল, আর দামাল হাতির পাল। বাঘও আছে এই ব্যাঘ্র প্রকল্পে। তবে শারদুল মহারাজের দর্শন লাভ কিন্ত কপাল ভালো থাকলে তবেই সম্ভব। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ১৯৩২ সালে এই অরণ্যেই হয় ভারতের প্রথম ব্যাঘ্র গণনা।
    এছাড়াও এখানে দেখা মেলে হরেক রঙের, হরেক কিসিমের পাখির, যার মধ্যে রয়েছে ময়ূর, হর্নবিল, বনমোরগ, কোয়েল, বিরল প্রজাতির ঈগল প্রভৃতি। এখানে জঙ্গল সাফারির জন্য ফোন করতে পারেন ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে।

    জঙ্গল সাফারি শেষ করে চলে আসুন মাত্র ৫ কিমি দূরে আর এক অপূর্ব সুন্দর স্থানে “কেচকি”। দূরে দূরে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি, ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গাছ গাছালির সারি, আর মাঝে কিশোরীর উচ্ছলতায় বয়ে চলেছে কোয়েল নদী। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এই কেচকিতেই শ্যুটিং হয়েছিল বিশ্ব বরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিশ্ব বন্দিত ছবি, আর এক যশস্বী সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ছবি “অরণ্যে  দিনরাত্রি”। একই সঙ্গে দেখে নিন প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে চেরো রাজা মেদিনী রায়ের দূর্গের ভগ্নাবশেষ, বড়াডিহার শিবমন্দির, কেচকির খুব কাছেই কোয়েল এবং ঔরঙগা নদীর সঙ্গম, বাসুদেব মনডল ড্যাম, সেভেন রিভার পয়েন্ট, কোয়েল ভিউ পয়েন্ট, কুসুম বন বাংলো প্রভৃতি। আর বেতলা থেকে নেতারহাট যাওয়ার পথেই পড়বে দুটি অনন্য সুন্দর স্পষ্ট, লোধ ফলস এবং সুগা বাঁধ। ঘন অরণ্যের মাঝে অবস্থিত এই লোধ ফলস মহুয়াডার থেকে প্রায ১৪ কিমি দূরে। বুরহা নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট এই লোধ ফলস ঝাড়খণ্ড রাজ্যের উচ্চতম এবং ভারতের ২১ তম উচ্চতম ফলস। প্রায় ১৪৩ মিটার উচ্চতা থেকে পাথরের বুকে ধাক্কা খেতে খেতে নেমে আসছে জলধারা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। আর মারুমার থেকে ২০ কিমি দূরে বারেসাদ। এখানে রয়েছে সুগা বাঁধ। এই দুটি স্পট দেখে এই পথেই চলে যেতে পারেন নেতারহাট। ফেরার পথে ইচ্ছে হলে চলে যাওয়া যায় রাঁচি। প্রয়োজনে রাঁচি থেকেই ট্রেন ধরে ফিরে আসা যায় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Dengue Mosquito: ডেঙ্গির মশা চিনবেন কীভাবে? এর শক্তি সবচেয়ে বেশি কখন থাকে?

    Dengue Mosquito: ডেঙ্গির মশা চিনবেন কীভাবে? এর শক্তি সবচেয়ে বেশি কখন থাকে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতায় ৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু সতর্ক হবেন কীভাবে! ডেঙ্গি (Dengue Mosquito) নিয়ে তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিল বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে চিনবেন ডেঙ্গির মশা (Dengue Mosquito)? 

    পতঙ্গবিদরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির রোগ বহনকারী মশার নাম এডিস অ্যাজিপ্টি (Dengue Mosquito)। এই মশা আকারে ছোট ও কালো রঙের হয়। এরা খুব বেশি উড়তে পারে না।

    কীভাবে মশা (Dengue Mosquito) সংক্রমণ ছড়ায়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির জীবাণু মশা সরাসরি বহন করে না। চার ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে রোগ সংক্রমিত হয়। মশা (Dengue Mosquito) সেই ভাইরাসকে বহন করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় DEN 1, DEN 2, DEN 3, DEN 4। এই চার প্রকারকে বলা হয় সিরোটাইপ। বিভিন্ন ভাবেই এই চার প্রকার সিরোটাইপ মানুষের শরীরের অ্যান্টিবডিকে প্রভাবিত করে। তাই একজন ব্যক্তির চার বার ডেঙ্গি হতে পারে।

    কখন দাপট বাড়ে ডেঙ্গির মশার (Dengue Mosquito)? 

    সূর্য ওঠার দু’ঘণ্টা পর থেকেই দাপট বাড়ায় ডেঙ্গির মশা। ডেঙ্গির মশার বিপদ দিনেই বেশি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা আগে থেকেই ক্ষমতা কমে এই মশার। তাই দুপুরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির মশার উপদ্রব। তাছাড়া, শপিং মল, অডিটোরিয়ামের মতো যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত সূর্যের আলো থাকে না, অথচ উজ্বল কৃত্রিম আলো থাকে, সেখানেও ডেঙ্গির উপদ্রব বাড়ে। তাছাড়া, গরম ও বর্ষায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এই মশার (Dengue Mosquito) জীবনকাল তিন সপ্তাহ। শীতকালে এই মশা বংশবিস্তার করতে পারে না। তাই শীতকালে ডেঙ্গি সংক্রমণ কম।

    ডেঙ্গি সংক্রমণ জানান দেবে কীভাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির মশা কামড়ানোর তিন দিনের মধ্যেই জ্বর হয়। শরীরের উত্তাপ মারাত্মক বেড়ে যাওয়া, তার সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ের পেশিতে ব্যথা, বমি হওয়ার মতো উপসর্গ ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয়।

    প্লেটলেট কমছে টের পাওয়া যায় কীভাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রক্ত পরীক্ষা করেই প্লেটলেটের হিসাব পাওয়া যায়। তবে, শরীরে কিছু উপসর্গও জানান দেয় প্লেটলেট কমছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর কিছুতেই না কমলে বাড়তি সজাগ হতে হবে। তার পাশপাশি, মাড়ি কিংবা নাক থেকে রক্তপাত হলে বুঝতে হবে প্লেটলেট কমে গিয়েছে। তাছাড়া বারবার বমি এবং বমির সঙ্গে রক্ত বেরলেও চিন্তা বাড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল রঙের দাগ তৈরি হলে জানান দেয় প্লেটলেট কমছে। এই রকম উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Sea Beaches: দিঘা, মন্দারমণির আশপাশেও রয়েছে মোহময়ী, নিরালা সমুদ্র সৈকত! যাবেন নাকি?

    Sea Beaches: দিঘা, মন্দারমণির আশপাশেও রয়েছে মোহময়ী, নিরালা সমুদ্র সৈকত! যাবেন নাকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীল সমুদ্র আর সোনালি বালুকাবেলা চিরকালই আকৃষ্ট করে এসেছে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকের হৃদয়। কিন্তু আমরা সাগরবেলা বলতে প্রথমেই যে পর্যটন কেন্দ্রগুলি বুঝি, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ওড়িশার পুরী, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি অথবা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বকখালি। অথচ এর বাইরেও রয়েছে একাধিক অপূর্ব সুন্দর সমুদ্র সৈকত (Sea Beaches), যেগুলির খবর হয়তো অনেকেই জানেন না। এই প্রতিবেদনে তাই তুলে ধরা হল এমনই দু-একটি স্থানের কথা । 

    বাগুরান জলপাই 

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের এক মোহময়ী, নিরালা, নির্জন সাগরবেলা (Sea Beaches)। নীল সমুদ্র যেন এখানে এসে মিশেছে নীল আকাশের সঙ্গে। সঙ্গী তার দিগন্ত বিস্তৃত সোনালি বেলাভূমি। যেন শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা এক ছবি। এখানে আপন মনে ঢেউ খেলে চলেছে বঙ্গোপসাগর, কোথাও নেই শহুরে জীবনের কোলাহলমুখরতা, চারদিকে যেন অপার শান্তি ।
    ভোরবেলা যখন সমুদ্রের বুক চিরে উদিত হন সূর্যদেব, আর বিকালে গোধূলির রক্তিম আলো সাগরের নীল জলে মিশিয়ে তিনি অস্ত যান, তখন যেন আরও মোহময়ী, আরও স্বপ্নিল রূপ ধারণ করে 
    এই বেলাভূমি। আশেপাশেই রয়েছে স্থানীয় জেলেদের গ্রাম। ইচ্ছে হলে একটু ঘুরেও আসা যায় এই গ্রামগুলিতে। 

    যাবেন কীভাবে?

    বাগুরান, জলপাই (Sea Beaches) যাওয়ার জন্য দিঘাগামী যে কোনও ট্রেন ( তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, কান্ডারি এক্সপ্রেস প্রভৃতি) অথবা দিঘাগামী যে কোনও বাসে এসে নামতে হবে কাঁথি। কাঁথি থেকে গাড়ি নিয়ে আসতে হবে এই বাগুরান জলপাই। কাঁথি থেকে দূরত্ব প্রায় ১০ কিমি । 

    থাকবেন কোথায়, খাবেনই বা কী?  

    এখানে (Sea Beaches) থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। থাকতে হবে কাঁথিতেই। কাঁথিতে বিভিন্ন দামের বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল আছে ।

    ভোগপুর

    বাগুরান জলপাই-এর মতোই পূর্ব মেদিনীপুরের আরও একটি ভার্জিন বিচ (Sea Beaches) হল এই ভোগপুর। এখানেও সেই বঙ্গোপসাগরের উত্তাল উর্মিল আহ্বান, অপার্থিব নির্জনতা, সুনীল আকাশ, বিস্তীর্ণ সোনালি বালুকাবেলা আপনার সব সময়ের সঙ্গী। সমুদ্র সৈকতে বসে থাকতে থাকতে কখন যে বেলা বয়ে যায়, তা বোঝাই যায় না ।
    এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি মাছের ভেড়ি। আছে লবণ তৈরির একটি কারখানা। আর আছে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঝাউবন। এই সুনীল আকাশ, উর্মিল সমুদ্র, সোনালি বালুকাবেলা আর ঝাউবিথির অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-যে কোনও মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী ভাবে নিজের স্থান করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

    যাবেন কীভাবে?

    বাগুরান জলপাই যাওয়ার মতোই কলকাতা থেকে দিঘাগামী যে কোনও ট্রেন অথবা বাসে এসে নামতে হবে কাঁথি। কাঁথি থেকে ভোগপুরের (Sea Beaches) দূরত্ব ১৬ কিমি। এটুকু পথ যেতে হবে গাড়িতে। আবার কাছেরই আর এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণি থেকে কোস্টাল ট্রেক করেও যাওয়া যায় এই ভোগপুরে।

    কোথায় থাকবেন, কোথায়ই বা খাবেন?

     এখানেও (Sea Beaches) নেই তেমন কোনও থাকার ব্যবস্থা। কাজেই কাঁথি থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিয়ে আবার কাঁথিতেই রাত্রিবাস করাই শ্রেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের বিজয় উৎসবে অশ্লীল নাচ, বিতর্ক

    TMC: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের বিজয় উৎসবে অশ্লীল নাচ, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বিজয় উৎসব ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিজয় উৎসবে শালীনতার মাত্রা ছাড়ানোর অভিযোগ। আক্রমণ বিরোধীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের পর বিভিন্ন জায়গায় বিজয় উল্লাস পালন করছেন বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকরা। তবে একটা ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেল তৃণমূলের বিজয় উল্লাসে। অভিযোগ, ডিজের তালে নাচতে দেখা গিয়েছে বৃহন্নলাদের। এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী রয়েছে ?

    ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, “খেলা হবে”, এই গানে কোমর দোলাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের দলীয় কর্মীরা। কিন্তু, বৃহন্নলাদের সঙ্গে তৃণণূল কর্মীরা কোমর দোলাচ্ছেন। সেই সঙ্গে চলছে নানান অঙ্গভঙ্গি। আর তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এই ধরনের অশ্লীল নাচ নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সমস্ত প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সেই সমস্ত প্রকল্পের নাম লেখা পোস্টার শরীরে জড়িয়ে চলছে উদ্দাম নাচ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক কমলেশ সিংহ রায় বলেন, তৃণমূল (TMC) অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক। এদের কাছ থেকে এর চাইতে বেশি কিছু আশা করা যায় না। তাছাড়া তৃণমূলের এই অপসংস্কৃতি আজকে নতুন নয়। এর আগেও বহুবার তারা এই ধরনের অপসংস্কৃতির নজির রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, কারা এটা করল, কেন এটা করল, এই বিষয়ে তাঁরা দলীয় ভাবে তদন্ত করবেন। আর এই ধরনের বিষয় তৃণমূল অনুমোদন করে না। দলীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, ধূপগুড়ির আরেক তৃণমূল নেতা দীনেশ মজুমদার বলেন, ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছে। তারা স্থানীয় বাসিন্দা, তাদেরই আত্মীয়-স্বজন ভোটে জয়ী হয়েছে। তাই আনন্দে তারা নাচানাচি করেছে। এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মহিলা সেজে নাচানাচি করেন বলেও দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তবুও তাঁরা দলীয় ভাবে বিষয়টির তদন্ত করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: ফের করোনার চোখরাঙানি, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে

    Covid 19: ফের করোনার চোখরাঙানি, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid 19) ভীতি অনেকটাই কেটে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। রাস্তাঘাটে, বাজারে মাস্ক পরে আর খুব বেশি মানুষকে দেখা যায় না। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও এখন নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য দফতরও করোনা নিয়ে কোনও উদ্বেগের কথা বলেনি। বরং, নতুন করে এখন চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। রাজ্যে কয়েকশো মানুষ এখন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রয়েছেন। অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে করোনা নিয়ে নতুন করে ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

    করোনা (Covid 19) আক্রান্ত হয়ে দুজনের কোথায় মৃত্যু হল?

    রবিবার সন্ধ্যা এবং সোমবার সকালে দু’দিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও কয়েকজন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ভাতারের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। অন্যদিকে, সোমবার সকালে মারা যান দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি কয়েকদিন আগে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনার (Covid 19) উপসর্গ নিয়ে অনেকে ভর্তি হয়েছেন। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত দুদিনে পর পর দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ অনেকটাই বেড়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে যে দুজন মারা গিয়েছেন, তাঁরা অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দু’জনেই অন্যান্য রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! আড়াই মাস ধরে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! আড়াই মাস ধরে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে দল পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদকে সরিয়ে দেয়। গত আড়াই মাস ধরে উপ পুরপ্রধানের পদ খালি বালুরঘাট পুরসভায়। ঠিক কী কারণে এতদিন পর্যন্ত পুরপ্রধান অশোক মিত্র উপ পুরপ্রধান মনোনীত করতে পারেননি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনাও। বিজেপির দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    এলাকাবাসীর কী অভিযোগ?

    উপ পুরপ্রধানের পদ হারালেও এখনও তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার পদে রয়েছেন দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনি নিজেকে গৃহবন্দি করে নেওয়ায় তাঁর ওয়ার্ডের কাজেও প্রভাব পড়েছে। সমস্যায় পড়ছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন শংসাপত্র, শরিকি শংসাপত্র, ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এলাকায় পথবাতি খারাপ হলে বা নিকাশি সমস্যা নিয়ে কাকে বলবেন তা নিয়েও ধন্দে রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে বালুরঘাটে দণ্ডি কাটিয়ে তিন আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ যায় রাষ্ট্রপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, এসটি কমিশন সহ নানা জায়গায়। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বালুরঘাট পুরসভার উপ পুরপ্রধান তথা তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। প্রথমে দলীয় পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। পরে জেলায় আসেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মে মাসে তপনে গিয়ে ওই তিন আদিবাসী মহিলার কান্না অভিষেক শোনার পর রাতারাতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর উপ পুরপ্রধানের পদ যায়। আইনি ব্যবস্থাও নেয় প্রশাসন। পরে তিনি এই মামলায় আদালত থেকে জামিন নেন। তবে এরপর থেকে তাঁকে আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর উপর পুরসভার যাবতীয় কর আদায়েরও দায়িত্ব ছিল। প্রায় আড়াই মাস ধরে উপ পুরপ্রধানের পদ ফাঁকা থাকায় সেসব কাজ পুরপ্রধান নিজেই সামলাচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই উপ পুরপ্রধানের পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই পদের জন্য ইতিমধ্যেই বহু কাউন্সিলার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। দলের তরফেও একটি সম্ভাব্য তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে শহরে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা নেতৃত্ব?

    পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘উপ পুরপ্রধানের পদ ফাঁকা থাকলেও পরিষেবায় কোনও খামতি হয়নি। পুর আইন অনুযায়ী প্রাক্তন উপ পুরপ্রধানের সব কাজ আমি সামলাচ্ছি। ওই পদে নিয়োগ কবে হবে জানা নেই। রাজ্য থেকেই তা জানানো হবে।’ তৃণমূলের (TMC) জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায় বলেন, ‘উপপুরপ্রধানের পদ পূরণের জন্য আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি সেই নাম ঘোষণা করা হবে।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দলের কারণে ওরা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাউকে বসাতে পারেনি। আসলে লোক দেখানোর জন্য ওই মহিলা কাউন্সিলারকে সরানো হয়েছে। কিছুদিন পর মানুষ ভুলে গেলে আবার সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকেই ফের ভাইস চেয়ারম্যান করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: কাটোয়া হাসপাতালের ড্রেনে মশার লার্ভা গিজগিজ করছে! অভিযোগে শোরগোল

    Purba Bardhaman: কাটোয়া হাসপাতালের ড্রেনে মশার লার্ভা গিজগিজ করছে! অভিযোগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল এখন (Purba Bardhaman) মশার আঁতুর ঘর। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে আবর্জনা। অসুস্থ রোগীকে ভর্তি করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীর আত্মীয়রা, এমনটাই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের। দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। ভারপ্রাপ্ত সুপার দায় ঠেলেছেন পুরসভার উপর।

    মূল সমস্যা কী (Purba Bardhaman)?

    কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে (Purba Bardhaman) রোগীর বেড সংখ্যা ২৫০। শুধু কাটোয়া মহকুমায় পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও আরও তিনটি জেলা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়া থেকেও রোগীরা এসে ভর্তি হন। এই জন্যই সব সময় চাপ থাকে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে, বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ৩০০ রও বেশি। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে প্রচণ্ড দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতাল জুড়ে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে নোংরা, আবর্জনা এবং প্যাকেট। পাশাপাশি হাসপাতালের প্রত্যেকটি ড্রেনে মশার লার্ভা গিজগিজ করছে। এই মুহূর্তে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দুজন ভর্তি এবং ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আরও দুজন। এছাড়াও অজানা জ্বর নিয়ে বেশ কিছু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।।

    রোগীর পরিবারের অভিযোগ

    রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের অভিযোগ, যে হাসপাতালের (Purba Bardhaman) বিশ্রাম ঘরে মানুষ বসে থাকবে, সেই বিশ্রাম ঘর এখন দখল করেছে কুকুরেরা। বসার জায়গাগুলি হয়েছে একেবারেই আবর্জনার স্তূপ। এক রোগীর আত্মীয় বলেন, রোগীর সঙ্গে হাসপাতালে এসে আমরাও রোগী হয়ে যাচ্ছি! তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো হাসপাতালের পরিধিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Purba Bardhaman) সুপারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রত্যেক বছর এই সময়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তবে নিয়মিত হাসপাতাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। দিনে তিনবার করে সাফাই অভিযান চলছে। পুরসভার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে এই কাজকে আরও নজরে রেখেছি। তবে পুরসভাকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে জানানো হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share