Tag: Bengali news

Bengali news

  • TMC: গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার সিদ্ধ ডিম, তৃণমূলের শহিদ দিবস নাকি মোচ্ছব!

    TMC: গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার সিদ্ধ ডিম, তৃণমূলের শহিদ দিবস নাকি মোচ্ছব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশে জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শহিদ দিবস। কিন্তু এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ যেন নাম কা ওয়াস্তে। আসলে এটা দলের বহু কর্মী-সমর্থকদের কাছে বাৎসরিক কলকাতা ভ্রমণ ও পিকনিক। বিনা পয়সায় থাকা, খাওয়া-দাওয়া। তাই প্রতি বছর এই দিনটিতে বিনা পয়সায় কলকাতা ভ্রমণের জন্যই এঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। দলীয় নেতৃত্ব সেটা জানে না, তা নয়। তাই কলকাতার চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ইকো পার্ক সহ পর্যটন স্থলগুলির সামনে আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পোস্টার, ব্যানার, এমনকি সরকারের সাফল্যের খতিয়ানের পোস্টার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে দল বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে এক-দু দিন আগে থেকেই রওনা দিয়েছেন সমাবেশ স্থলের উদ্দেেশে। কারণ ট্রেনে টিকিট কাটার বালাই নেই।

    হাওড়া স্টেশন যেন ওদেরই (TMC) সম্পত্তি

    অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের (TMC) উদ্যোগেই ব্যবস্থা করা হয়েছে থাকা, খাওয়ার। ফলে বিনা পয়সায় কলকাতা ঘোরার সুযোগ এর থেকে বড় হতেই পারে না। থাকা, খাওয়া কোনও কিছুরই খরচ নেই৷ তাই ছেলেপুলে, বয়স্ক সকলেই সদলবলে বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাজ লাগিয়ে চলে এসেছেন শহরে। একুশে জুলাইয়ের একদিন আগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ট্রেনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কোনও টিকিট না কেটেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাতে শুরু করেছেন হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক ও কর্মী। আর তাদের দাপটে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ রেল যাত্রীদের। ট্রেনে বসার জায়গা তারা আগে থেকেই দখল করে রাখছেন। ফলে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ রেল যাত্রীরা। আর এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেল পুলিশকেও। এর জেরে প্রতি বছর বিপুল টাকার ক্ষতি হচ্ছে রেলের।

    ঢালাও ডিম-ভাত, আলু-পটলের তরকারি

    অন্যদিকে এইসব দলীয় কর্মীদের রাত্রিবাস এবং তাদের দেদার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে। হাওড়া স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উত্তর হাওড়ার শ্যাম গার্ডেন ও শ্রীরাম বাটিকায় স্থানীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর নেতৃত্বে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে হাজার হাজার দলীয় কর্মীর জন্য রান্না। সেই রান্না দেখে মনেই হবে না যে এটা কোনও শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। রীতিমতো পিকনিকের মেজাজ। বড় বড় হাঁড়ি-কড়ায় তৈরি হচ্ছে ভাত, ডাল, আলু-পটলের তরকারি, উনুনের সামনে ডাঁই করে রাখা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি সিদ্ধ ডিম। আর তা দেখে আনন্দে আত্মহারা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। এখান থেকে ভর পেট খেয়েই তাঁরা যে সব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন ধর্মতলার সভাস্থলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘোড়া কেনাবেচায় মরিয়া তৃণমূল! ঘাটালে গোপন ডেরায় বিজেপির জয়ী সদস্যরা

    BJP: ঘোড়া কেনাবেচায় মরিয়া তৃণমূল! ঘাটালে গোপন ডেরায় বিজেপির জয়ী সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার প্রলোভন আর ভয় দেখিয়ে বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে টানতে পারে তৃণমূল! ঘোড়া কেনাবেচার ভয়ে ঘাটাল ব্লকের ২৫ জন জয়ী প্রার্থীকে সরানো হল গোপন ডেরায়। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সবমিলিয়ে ঘোড়া কেনাবেচা প্রসঙ্গে রীতিমতো সরগরম ঘাটালের মাটি।

    কেন এই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ঘাটাল ব্লকের ইড়পালা, সুলতানপুর, মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫ টি আসন দখল করেছে বিজেপি (BJP)। দল ভাঙিয়ে শাসকদল যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে সেই কারণেই ২৫ জন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকেই গোপন ডেরায় সরালো বিজেপি নেতৃত্ব। এই সব পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা বড় ফ্যাক্টর। বোর্ড গঠনে তাঁদের বড় ভূমিকা রয়েছে। মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে জয়ী সদস্যদের কিনে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। আর এই আশঙ্কা থেকে দলের জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রেখেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। একাধিক বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এখনও ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে জয়ী প্রার্থীদের। পাশাপাশি টাকার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আর সেই কারণেই তাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল নেতা দিলীপ মাজি বলেন, ঘোড়া কেনাবেচায় বিশ্বাস করে না শাসক দল। মানুষ যে রায় দিয়েছে তা মাথা পেতে নিয়েছে তৃণমূল। তাই দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত গড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। তবে কোনও বিজেপি নেতা যদি লিখিতভাবে শাসক দলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে দলে নেওয়া হবে তাদের! এ বিষয়টিও কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন‌ তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম বড় চরিত্র। আদপে বেহালার বাসিন্দা কালীঘাটের কাকুর আসল নাম যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, তা আর কারও অজানা নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণের নিত্য নতুন নানা কারবারের হদিশ পাচ্ছে ইডি। বুধবারও শহরের তিন জায়গায় চলল ইডি হানা। এজেসি বোস রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। জানা গিয়েছে, ইডি হানা চলেছে একটি নির্মাণকারী সংস্থার অফিসগুলিতে। রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায় নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)

    ইডি সূত্রে খবর মিলেছে, কালীঘাটের কাকুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নাকি ১০০টি। জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলির উপরেও কড়া নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতারের আগেও সুজয়কৃষ্ণের ওপর সাতমাস ধরে নজরদারি চালাতেন গোয়েন্দারা। কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন কাকু, কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতেন, সব কিছুই খুঁটিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কয়েকদিনে প্যারোলে মুক্ত ছিলেন কালীঘাটের কাকু। সম্প্রতি তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবরও মেলে। বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাকুকে। ইডি সূত্রে খবর, নামে, বেনামে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতে বলে অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছিলেন কাকু।

    কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবে ইডি

    অন্যদিকে, কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। কালীঘাটের কাকুর একাধিক অডিও ক্লিপ রয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ইডি। এগুলি তাঁরই কিনা তা নিশ্চিত হতেই এখন কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। এদিন তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, তদন্তের এই পর্যায়ে এসে আদালত নমুনা সংগ্রহের উপর কোনও বাধা দিতে চাইছে না। তবে এই নমুনা তথ্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা হবে কি না, পরবর্তী কালে আদালত তা বিবেচনা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস নেই! চরম ভোগান্তি বর্ধমান ও হাওড়ায়

    Purba Bardhaman: ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস নেই! চরম ভোগান্তি বর্ধমান ও হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাস মিলছে না, অথচ বাস ধর্মঘট নেই। খাতায় কলমে বাস সার্ভিস সচল। পরিবহণ কর্মীদের কোনও বিক্ষোভ নেই, কোনও দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন নেই। অথচ রাস্তায় বাস নেই। বর্ধমান (Purba Bardhaman) ও হাওড়ায় নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, কেন ঘটছে এমন ঘটনা! নেপথ্যে কি ২১ শে জুলাই।

    কেন বাস নেই (Purba Bardhaman)?

    বাস পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষজন। সৌজন্যে ২১ জুলাই! সে তো মাঝে এখনও একদিন বাকি! তাতে কী হয়েছে! তৃণমূলের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বাস আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। আর এতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বর্ধমান (Purba Bardhaman) শহরের দু’প্রান্তে দু’টি বাস টার্মিনাস। শহরের উত্তর উপকন্ঠে আছে উত্তরা আর দক্ষিণে আছে পূর্বাশা বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন দু’টি বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন রুটে কয়েক হাজার বাস চলাচল করে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে বাসের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার বাসের দেখাই নেই। বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আলিশায় পূর্বাশা বাস টার্মিনাস থেকে হুগলির আরামবাগ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর জেলার বাস চলাচল করে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক বাস যেমন স্ট্যান্ডে ঢোকে, তেমনি আবার বেরও হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার চিত্র ঠিক উল্টো। যাত্রী আছে কিন্তু বাস নেই। যাত্রীরা বাসের জন্য আশা করে দিনভর বসে আছেন। তবুও বাস পাচ্ছেন না। একই ছবি বর্ধমানের উত্তরা বাস টার্মিনাসেও। এখান থেকে বোলপুর, সিউড়ি, গুসকরা, কাটোয়া, কালনা, মুর্শিদাবাদ, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, দুর্গাপুর, আসানসোল রুটে বাস চলাচল করে। কিন্তু সমস্যা একটাই, বাস নেই। অপর দিকে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসের দেখা নেই। বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা। এর ফলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। গরমে যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে। এমনকি চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলেও পৌঁছতে পারছেন না।

    জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশেনের বক্তব্য

    বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য শান্তনু গুপ্ত বলেন, ১৭ জুলাই থেকেই বাস বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন রুটে। ২১ জুলাইয়ের মিটিংয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীে-সমর্থকরা বাস আটকে রেখেছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে, তেমনি বাস বসে যাওয়ায় পরিবহণ কর্মীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতি বছরই মিটিং-এর জন্য বাস দিয়ে থাকি। এবছরও দেব। কিন্তু দলের নেতাদের উচিত আগে থেকে বাস আটকে না রাখা।

    নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য

    প্রতিদিন যাতায়ত করেন, এমন এক যাত্রী প্রশান্ত সাহা বলেন, খুবই অবস্থা খারাপ। বাস একদম চলছে না। একই সমস্যার কথা বলেন অপর আরেক বাস যাত্রী লক্ষ্মণ দলুই। তিনি বলেন, ২১ জুলাইয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জায়গায় জায়গায় বাস আটকে রেখেছেন। সেই জন্যই রাস্তায় বাস নেই।

    জেলা সভাধিপতির বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, গত ১৭ জুলাই আমাদের দলীয় বৈঠকে ঠিক হয়, কোনও ভাবেই আগে থেকে বাস আটকে রাখা যাবে না। আমার কাছে বাস বন্ধের কোনও খবর নেই।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    বিরোধীরা তোপ দেগেছেন শাসকদল তৃণমূলকে। বর্ধমান (Purba Bardhaman) সদর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষ বাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। অথচ প্রশাসন উদাসীন। আবার কংগ্রেস নেতা গৌরব সমার্দার বলেন, এসব নিয়ে দিদিমণির কোনও মাথাব্যথা নেই। সাধারণ মানুষের সমস্যার বিষয় নিয়ে সরকার উদাসীন।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    যাত্রীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, আমি এই অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস তোলা হয়েছে। ভাড়া দিয়েই বাস নেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ২১ জুলাইয়ের শক্তি প্রদর্শন? ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের মুখ ঢাকল তৃণমূলের পোস্টারে

    TMC: ২১ জুলাইয়ের শক্তি প্রদর্শন? ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের মুখ ঢাকল তৃণমূলের পোস্টারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ঐতিহ্য হাওড়া ব্রিজ। এবার সেই হেরিটেজ সম্পত্তি হাওড়া ব্রিজকেও রাজনীতির রঙে মুড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে নানা সাইজের কাট আউটে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বড় বড় ভবন। একই ভাবে ঢেকে দেওয়া হল হাওড়া ব্রিজকেও। দুদিন আগে থেকেই হাওড়া স্টেশনে বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। এঁদের অধিকাংশেরই বৈধ কোনও টিকিট নেই বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছে হাওড়া জেলা তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শন করতেই এবার দেশের ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রিজের থামে এই বড় বড় কাট আউট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জানান, তাঁরা বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

    কী অভিযোগ করছে হাওড়া বিজেপি?

    হাওড়া স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে বড় বড় থাম এবং বাসস্ট্যান্ডের গায়ে ব্রিজের বড় বড় থাম জুড়ে লাগানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC) ছবি দেওয়া একুশে জুলাই-এর সমর্থনে এই সব কাট আউট ও পোস্টার। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির উত্তর হাওড়ার নেতা উমেশ রায়ের অভিযোগ, হেরিটেজ প্রপার্টিতে এ ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন লাগানো যায় না। দলের উচিত দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করতে এই কাট আউট বা পোস্টার খুলে ফেলা। অন্যদিকে হাওড়া জেলা বিজেপির মুখপাত্র ওমপ্রকাশ সিং বলেন, হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে বন্দর কর্তৃপক্ষ থাকলেও নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব হাওড়া ও কলকাতা পুলিশের। কিন্তু এই পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস। তাই বিষয়টি চোখে পড়ছে না পুলিশের।

    কী জবাব দিল হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)?

    যদিও, হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি কৈলাস মিশ্র জানিয়েছেন, মানুষ আবেগে রয়েছে। আর আবেগের কারণেই হাওড়া ব্রিজে পোস্টার লাগিয়েছে। তবে কে কোথায় লাগিয়েছে তা জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নিচ্ছেন না ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি ইসলামপুর ছেড়ে গেলে তাঁর অনুগামীদের উপর নতুন করে হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অনুগামীদের রক্ষা করতেই তিনি ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। মমতা ব্যানার্জী ২১শে জুলাই শহিদ দিবস যতবার পালন করেছেন ততবার তিনি সেই সভায় হাজির ছিলেন। এই প্রথমবার তিনি শহিদ দিবসের সভায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কেন শহিদ দিবসে যাবেন না করিমসাহেব?

     করিম সাহেব বলেন, ২১শে জুলাই শহিদ দিবসের সভায় আমি যেতে পারি এই আশঙ্কা করে আমার কাছে অনুগামীরা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছেন। কারণ, আমি ইসলামপুরে না থাকলে তাদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় তার অনুগামীদের উপর তৃণমূলের (TMC) চরম অত্যাচার নেমে আসছে। কারও যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কাউকে মারধর করে বাড়ি ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে দিয়েছে। অনুগামীদের পরিস্থিতির কথা বিচার করেই আমি শহিদ দিবসের সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একী বললেন করিমসাহেব?

    করিম চৌধুরী আরও বলেন, “আমি এখন তৃণমূলের (TMC) অজানা লোক। মমতা ব্যানার্জি কথা দিয়েছিল যে করিম দা আপনি ইসলামপুরের, আর ইসলামপুরটা আপনারই। এখন মমতা ব্যানার্জি দলটাকে অন্য কাউকে দিয়ে চালাচ্ছে। তাই দলে আমার কদর এবং ওজন কিছুই নেই।  এক সময় মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, করিম দা আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি। আপনি দলে এলে দলের সম্মান বাড়বে, ওজন বাড়বে।  আজ এমন অবস্থা করে দিয়েছে যে করিম চৌধুরীর নিজেরই কোন ওজন নেই।”

    অন্য দলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন করিমসাহেব?

    অন্য দলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” আমি তৃণমূলের (TMC)  বিদ্রোহী এমএলএ। এরপরে ওরা আমাকে বহিষ্কৃত করবে। আমি বহিষ্কৃত এমএলএ থাকব অন্য দলে যাব না। কারণ, এই তৃণমূল দলটা তৈরির সময় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমিও ছিলাম। উত্তরবঙ্গের আমি প্রথম এমএলএ হই তৃণমূলের। আজকের না, ফ্রম লাস্ট ৫৫ বছরের আগে আমার দাদা ২০ বছর, তার আগে আমার বাবা ৪০ বছর এবং তারও আগে আমার দাদু ৫৬ বছর। সবমিলিয়ে ১৮০ বছর ধরে আমাদের পরিবার ইসলামপুর কে টেনে চলেছে। ছেড়ে দেব? তাও এই সমস্ত ব্যক্তির জন্য? কখনওই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকাশ্যে। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূলেরই একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। জেলায় তীব্র উত্তেজনা এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিধায়ক হামিদুল রহমানকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার পরদিন থেকেই জেলা সভাপতি ও ঘটনায় যুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল কর্মীরা। জেলা সভাপতির ডাকা সমস্ত কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন এই হামিদুল গোষ্ঠী। আর তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বিকেলে চোপড়া অঞ্চল তৃণমূল কমিটির পক্ষ থেকে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ‘ধর্মতলা চলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কুশপুতুল দাহ করা হয়। শুধু জেলা সভাপতিই নয়, মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের এই নেতাকর্মীরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠীর বক্তব্য

    তৃণমূলের হামিদুল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে চোপড়ার (Uttar Dinajpur) তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির কনভেনার অসীম মুখার্জি বলেন, অবিলম্বে জেলা সভাপতিকে অপসারণ করা হোক। তা না হলে শহিদ দিবসের পর কলকাতা থেকে ফিরে এসে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা। অবিলম্বে শাস্তি না দিলে, ২০ হাজার চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ সুপারের দফতর এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ি ঘেরাও করব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানলে আগামী দিনে আমরা তৃণমূলের সব কার্যক্রম বয়কট করব। চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আরেক সদস্য মহঃ আনিফ বলেন, উত্তর দিনাজপুর জুড়ে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে, তাকে থামানোর যোগ্যতা নেই জেলা সভাপতি কানাইলালবাবুর। তাই তাঁর পদত্যাগ চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Irritable bowel syndrome: পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি! রোগমুক্তির উপায় কী?

    Irritable bowel syndrome: পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি! রোগমুক্তির উপায় কী?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টেনিদার প্যালারাম দিনরাত পেটের অসুখে ভুগত! শিঙি মাছের ঝোল ছাড়া তার আর কিছুই সহ্য হত না। তবে, বাঙলা সাহিত্যের অনবদ্য চরিত্র প্যালারাম একা নয়। পেটের অসুখে ভুগছে আট থেকে আশি অনেকেই। ক্রমাগত পেটে অস্বস্তি, কিছু খেলেই পেটের অসুখ-এই সমস্যা (Irritable bowel syndrome) অনেকের। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। 

    ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome) কাকে বলে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পেটের ক্রনিক এক ধরনের অসুখের নাম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। এর জেরে পেটে এক ধরনের অস্বস্তি, যন্ত্রণা অনুভব হয়। বার বার মলত্যাগের মতো সমস্যা হয়। সামান্য খাবার খাওয়ার পরেও পেটে সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবারের পরিবর্তন এই রোগের (Irritable bowel syndrome) উপশমে সাহায্য করবে। 

    কোন খাবারে উপকার পাওয়া যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন অনেক খাবার আছে, যা বহু সময়েই এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable bowel syndrome) সেগুলো থেকে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পপকর্ন, আলু ভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস জাতীয় খাবারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে উপকার পাওয়া যায়। এগুলো খেলে সমস্যা কমতে পারে। 
    সবজির মধ্যে নিয়মিত গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, শশার মতো খাবার মেনুতে রাখলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে উপকার পাওয়া যায়। কারণ, এইসব সবজি সহজে হজম হয়। আবার প্রচুর ভিটামিন থাকে। তাই এই রোগে উপকার পাওয়া যায়। 
    ফলের মধ্যে স্ট্রবেরি, আঙুর আর আনারসের মতো ফলে ফাইবারের মতো উপাদান থাকে। পাশাপাশি আঙুরে থাকে নানান খনিজ পদার্থ। তাই নিয়মিত এই ধরনের ফল খেলে পেটের ক্রনিক সমস্যা কমে। 
    প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, চিকেন নিয়মিত খেলে পেটের ক্রনিক সমস্যা কমে। বিশেষত, মাখনে রান্না করা চিকেন বা ডিম পেটের এই ক্রনিক সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    নিয়মিত বাদাম খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম কমতে পারে বলেও জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চললে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome) কমে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার এড়িয়ে গেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable bowel syndrome) মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর বাদ দেওয়া খাবারের তালিকায় প্রথমেই বিনস, পিয়াজ আর রসুন এই তিন খাবারকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা বাড়ায়। 
    তরমুজ, পিচ জাতীয় ফলকে খাবারে তালিকায় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো ক্রনিক পেটের সমস্যা থাকলে এই ধরনের ফল বিপদ বাড়ায়। পেটে যন্ত্রণা, অস্বস্তি আরও বাড়ে। 
    জলখাবারে অনেকেই পাউরুটি, সসেজ, মাফেন খান। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবারে বাড়তে পারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। তাই এগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    পেস্তা, অ্যাভোকাডোর মতো খাবারও তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে সমস্যা বাড়তে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি! উপত্যকায় হানা এনআইএ-এর

    Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি! উপত্যকায় হানা এনআইএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম দুই সন্ত্রাসবাদী। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় এই অপারেশন চালায় সেনা। বুধবার সাত সকালেই পুলওয়ামায় বন দফতরের এক আধিকারিককে গুলি হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপরেই পাল্টা লড়াই শুরু করে সেনা। জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ, বিএসএফ এর একটি দল এই অপারেশন চালায় বলে জানা গিয়েছে। সেনার এই সাফল্যে বড়সড় কোনও নাশকতার ছকও বানচাল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী কী উদ্ধার হল মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে?

    মৃত দুই জঙ্গির পরিচয় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে ৪টি একে-৪৭ রাইফেল, ৬টি গ্রেনেড, এবং ৯টি ম্যাগাজিন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আরও যুদ্ধ সরঞ্জাম। মঙ্গলবারই উপত্যকার পুঞ্চ জেলায় ৪ জন জঙ্গির আত্মসমর্পণের খবর মেলে। ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেল। জানা গিয়েছে অনুপ্রবেশের পরেই জঙ্গিরা হামলা চালায় পুলওয়ামা বন বিভাগের (Jammu And Kashmir) একটি চেক পোস্টে। তাদের ছোড়া গুলিতে জখম হন দুই কর্মী ইমরান ইউসুফ এবং জাহাঙ্গির আহমেদ। দুজনেই এখন সুস্থ আছেন বলে জাান গিয়েছে।

    জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চলছে এনআইএ হানা

    জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের খোঁজ চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর গত সপ্তাহ থেকেই এই অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার সোপিয়ান, অবন্তীপোরা ও পুলওয়ামায় জেলায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। ইতিমধ্যে বেশকিছু জঙ্গি সংগঠনের নাম উঠে এসেছে। একনজরে সেগুলি দেখে নেব।

    ১) দ্য রেসিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট

    ২) ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু ও কাশ্মীর

    ৩) মুজাহিদিন গজবা-উল-হিন্দ

    ৪) জম্মু ও কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটার্স

    ৫) কাশ্মীর টাইগার্স

    এনআইএ সূত্রে খবর, এই সংগঠনগুলিকে সাহায্য করছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ হিজাবুল মুজাহিদিন, আল-বদর ও আল-কায়েদা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BARC: ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পথে উত্তরবঙ্গের কৌস্তভ

    BARC: ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী হওয়ার পথে উত্তরবঙ্গের কৌস্তভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের কৌস্তভ ঘোষ আজ দেশের অন্যতম সেরা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী (নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট) হওয়ার পথে। ইতিমধ্যেই ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের (বার্ক) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কৌস্তভ। চলতি মাসেই তিনি দক্ষিণ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী রিসার্চ সেন্টারে জুনিয়র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে এক বছরের প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন। সম্ভবত উত্তরবঙ্গ থেকে একমাত্র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট-এর সুযোগ পেয়েছেন কৌস্তভ। তিনি নিউক্লয়ার ফুয়েল সাইকেলের উপর কাজ করবেন। এক বছর এই প্রশিক্ষণের পরেই তাঁকে সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেবে বার্ক।

    কোন পথে তাঁর এই উত্তরণ? 

    ২০১৬ সালে তিনি বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্বভারতীতে ভর্তি হন। এরপর ২০২১ সাল থেকে তিনি গুয়াহাটি আইআইটিতে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন। ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামকে আইডল মেনে আজ তিনি সাফল্যের শিখরে পৌঁছলেও শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। কৌস্তভের বাবা অসিতবাবু শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। মা রুমু ঘোষ গৃহিণী। বাবার সামান্য আয়ের উপর ভিত্তি করেই তাঁদের সংসার চলে। ছোট থেকে অভাবকে সঙ্গী করেই জীবন কেটেছে কৌস্তভের।

    কী বললেন কৌস্তভ এবং তাঁর মা?

    এই বিষয়ে কৌস্তভ বলেন, ‘ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম আমার আইডল। আমি ছোট থেকেই বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এবার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এসেছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।’ মা রুমু ঘোষ বলেন, ‘ছেলে অনেক পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। যতটা পেরেছি ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। খুব কষ্টে চলতে হয়েছে আমাদের। আজ ছেলের সাফল্যে আমি গর্বিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share