Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    Kidney Disease: কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনির রোগের জানান দেয়? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস কিংবা শারীরিক নানা জটিলতা, নানা কারণে কিডনির সমস্যা (Kidney Disease) বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সমস্যা বুঝতেই রোগীর দেরি হয়। তাই সমস্যা বাড়তে থাকে। অনেক সময়ই চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সুযোগ থাকছে না। তাই আগে থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।

    কাদের কিডনির রোগে (Kidney Disease) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির রোগে যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতেই পারেন। কিন্তু ৪০ বছরের চৌকাঠ পেরলে বাড়তি সতর্ক হতে হয়। বিশেষত মহিলাদের কিডনির রোগ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ১০ শতাংশের কারণ কিডনি ফেলিওর (Kidney Disease)! তাছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মহিলা পঞ্চাশ বছরের পরে নানা ক্রনিক কিডনির সমস্যায় ভোগেন। তবে, কিডনি ফেলিওর হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়।

    কোন পাঁচ উপসর্গ কিডনি সমস্যার (Kidney Disease) জানান দেয়?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ত্বকের সমস্যার কারণে অনেক সময়ই কিডনির রোগ (Kidney Disease) হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় তা বোঝা যায় না। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণ কিডনির সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ত্বকে নানা চুলকানি, কিংবা হাত-পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গ সাধারণ বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঠিকমতো শারীরিক পরীক্ষা করলে জানা যায়, কিডনির সমস্যা থেকেও এগুলো হতে পারে। 
    রাতে ঘুম না হওয়া বা অনিদ্রার মতো সমস্যার কারণ কিডনির রোগ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানান, কিডনির সমস্যা থাকলে ঘুমের অসুবিধা হয়। তাই রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সতর্ক হতে হবে। কিডনির সমস্যার কারণে ঘুম কম হতে পারে। 
    পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যা থাকলে দেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান কমতে থাকে। তার জেরে দেহের একাধিক অংশ ফুলতে পারে। বিশেষত পা ফুলে যায়। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। 
    বারবার মূত্রত্যাগ কিডনি সমস্যার আরেক উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই বারবার মূত্রত্যাগকে শুধুমাত্র ডায়বেটিসের উপসর্গ বলে ভুল করেন। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলেও এই এক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা দরকার। 
    পেটের যন্ত্রণা কিডনির সমস্যার অন্যতম উপসর্গ। বিশেষত পেটের নীচের অংশে প্রায় যন্ত্রণা অনুভব হলে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো দরকার। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যে কোনও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু হঠাৎ রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন কেন? সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রী বা আইন প্রণেতা বা সরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নিজের ক্ষমতাবলে এই অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল।’’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন মমতার মন্ত্রিসভায়। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আবার পার্থ যেহেতু বিধানসভারও সদস্য, তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে বিধানসভার অধ্যক্ষেরও সম্মতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হল সিভি আনন্দ বোসের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যপালের অনুমোদনে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে আর কোনও বাধা রইল না।

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ (Partha Chatterjee) 

    প্রসঙ্গত, এক বছর আগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তখনই তাঁর বান্ধবী অর্পিতার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে মেলে ২২ কোটি টাকা। পরে আবারও অর্পিতার অন্য ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যায় ২৮ কোটি টাকা। ইডি গ্রেফতার করলেও পরে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। পার্থর বিচারের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন জরুরি ছিল। সিবিআইয়ের সেই আবেদনেই সিলমোহর দিলেন রাজ্যপাল। বিচার প্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না।

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের পর্যটন কেন্দ্র 

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের নেতাদের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ছাড়াও জেলে আছেন আরও দুই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। এঁদের সবাই গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। পার্থর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তারা, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। তা আদালতে ইতিমধ্যে পেশও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চোপড়ার (Uttar Dinajpur) সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের। মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার।

    কেন মর্মাহত (Uttar Dinajpur)?

    সাধারণ নিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা বোঝেন না জাতীয় রাজনীতি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। তাই এই মৃত্যুতে নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন বলেন, সিপিআইএম-তৃণমূলের জোটকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও মুখকে তুলে না ধরে, মানুষকে ভাঁওতা দেবার জন্য বৈঠক করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠককে নিচু তলার সিপিআইএম কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের এই বৈঠক আমাদের কাছে লজ্জার। যেভাবে তৃণমূল ভোট দিতে দিল না, রাজ্যে সন্ত্রাস চালাল, ভোট লুট করল, গুলি করল, বোমা মারল, মানুষ খুন করে মায়ের কোল খালি করল, তা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সিপিআইএম-তৃণমূলের এক টেবিলে বৈঠক! একসঙ্গে চা পান! এটাকে অত্যন্ত ঘৃণা করি।

    প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন পরিবারের

    অপর দিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ২৭টি দলের জোটের বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন। মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভোটে

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া (Uttar Dinajpur) ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এরপর আহত মনসুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনিহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরিবার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভাল ভাবে নিতে পারছে না এই মৃতের পরিবার। সিপিএমের নিহত কর্মীর পরিবার জাতীয় নেতৃত্বের জোটের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: আন্দুলে তৃণমূল-আইএসএফ ব্যাপক সংঘর্ষ, লাঠি, রড, ভোজালি নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: আন্দুলে তৃণমূল-আইএসএফ ব্যাপক সংঘর্ষ, লাঠি, রড, ভোজালি নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে হাওড়া জেলার আন্দুলের আরগোড়িতে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ (Panchayat Election 2023) হয়। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় চার জন আহত হয়েছে। সাঁকরাইল থানার পুলিশ এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে। আইএসএফের পক্ষ থেকে অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করা হয়।

    কী ঘটনা ঘটেছে?

    গতকাল রাতে আন্দুলের আড়গোড়িতে স্থানীয় একটি ক্লাবে ভোজের ব্যবস্থা করা হয়। উপলক্ষ্য আন্দুল পঞ্চায়েতের ৪৬ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর জয় (Panchayat Election 2023)। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন ক্লাবের বাইরে রান্নাবান্না করছিলেন, সেই সময় আইএসএফের ছেলেরা দল বেঁধে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠি, রড, কাটারি এবং ভোজালি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করে ওই আইএসএফ কর্মীরা। এই ঘটনায় চারজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়। তাদের সাঁকরাইলের হাজি এস টি মল্লিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার সত্যতা সংবাদ মাধ্যম যাচাই করেনি।

    কী বলল বিবদমান দুই দল

    তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, ভোটে জেতার কারণে আইএসএফ কর্মীরা বাইরে থেকে ছেলে এনে পরিকল্পনামাফিক তাদের ওপর হামলা করেছে। যদিও আইএসএফ নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করে। আইএসএফ জানিয়েছে, ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে গন্ডগোল। এতে রাজনৈতিক (Panchayat Election 2023) রং লাগানো হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তারা সব এলাকারই ছেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    Assam Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় অসম (Assam Flood) সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। সরকারি হিসেব বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ। এখানেই শেষ নয়, প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংখ্যা। ত্রাণ শিবিরে সংকুলান হচ্ছে না জায়গা। কিন্তু শুধুমাত্র মানুষ নয়। বন্যায় একই ভাবে দুর্গত হয়ে পড়েছে বন্য প্রাণীও। সড়ক পথে প্রাণ ভয়ে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে, সাপ, হরিণ ইত্যাদিকে। বিপদসীমা তো কবেই পার হয়েছে, আপাতত ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের দাপটে জলোচ্ছ্বাস (Assam Flood) দেখা গিয়েছে কাজিরাঙার অভয়ারণ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানকার বন্য জীবন। অরণ্যের বাইরে লোকালয়ে তাদের দেখা মিলছে। বন্যা কবলিত অসমে কাজিরাঙার অন্যতম বড় আকর্ষণ আগোরাতলি রেঞ্জও জলের তলায়। ফি বছর এখানে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়। কয়েক জায়গায় তো জলস্তরের উচ্চতা সাত ফুট ছুঁয়েছে। ফলে সেই এলাকায় যে বন্য জন্তু-জানোয়ারের বসবাস, তাদের প্রাণ বাঁচাতে জায়গা ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাওয়ার তো জায়গা নেই, তাই ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।

    লোকালয়ে বন্য প্রাণী, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    লোকালয়ে বন্য প্রাণী ঢুকলে তা নিশ্চিতভাবেই আতঙ্কের কারণ। বিভিন্ন উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি গোরু, মহিষ এবং গবাদি পশুগুলিকেও। কারণ এইগুলিই আমাদের আয়ের উৎস। ভয় লাগছে এই গবাদি পশুগুলিকেও আক্রমণ করতে পারে বন্য প্রাণীরা। কারণ চিতা, বন্য শূকর এবং অন্যান্য প্রাণী আমাদের ক্যাম্পের কাছে চলে আসছে। তাই স্বেচ্ছাসেবকরা এখন রাতে মশাল জ্বালিয়ে ওই প্রাণীগুলিকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।’’

    চোরা শিকারিদের উৎপাত বাড়তে পারে এইসময়

    সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ৬৮টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গল ক্যাম্প আপাতত জলের তলায় (Assam Flood)। অরণ্যে বসবাসকারী পশুরা প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গল ছেড়ে উঠে পড়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায়। আবার কিছু পশুকে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতেও দেখা যাচ্ছে। বিগত বছরগুলিতে চোরাশিকারিদের উৎপাত বন্ধ করা গেছে সরকারি কড়া পদক্ষেপে। বন্য জন্তুদের প্রাণ বাঁচাতে বিজেপি সরকারের এমন উদ্যোগ দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তবে বন্যার (Assam Flood) এমন পরিস্থিতিতে তাদের উৎপাত ফের বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন,  এই সময়েরই অপেক্ষায় থাকে চোরাশিকারিরা। কারণ, এই সময় পশুরা বিভ্রান্ত থাকে। ফলে তাদের ফাঁদে ফেলে মেরে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। বন দফতরের কর্মীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। এছাড়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাতেও প্রাণ যাচ্ছে বন্য জন্তুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত”, আমতা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    Howrah: “মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত”, আমতা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে মহিলাদের উপর হিংসার তথ্য নিতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার পর এবার হাওড়ার আমতা (Howrah)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখানে ভোটের পর ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি। রেহাই পাননি মহিলারাও। এদিন ওই গ্রামে পৌঁছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপির মহিলা তথ্যানুসন্ধান দলের পাঁচ সাংসদ। উল্লেখ্য, শুধু আমতা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের পরে গোটা হাওড়া জেলা জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এমনকী বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন দলের প্রতিনিধিরা (Howrah)?

    এইসব জিনিস খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার সকালে আমতায় (Howrah) যান রমা দেবী, কবিতা পাতিদার, অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, সন্ধ্যা রায় এবং সরোজ পাণ্ডে। উপদ্রুত এলাকা ঘুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন কমিটির সদস্যারা। তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে দেখে মমতাদির শেখা উচিত, কীভাবে গ্রামীণ গরিব মানুষদের উন্নয়ন করেছেন তিনি। কীভাবে তাঁদের রুজি রোজগারের উপায় করেছেন। কীভাবে বাড়িঘর, পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে গরিব মানুষদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহিলারাও আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। তাঁদের  অভিযোগ, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের নামে কেবল হিংসা হয়েছে। বিরোধী রাজনীতি করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর ধেয়ে আসছে আক্রমণ। শুধু ওই ব্যক্তিই নয়, তাঁর পরিবারের উপরও হিংসার আঁচ এসে পড়ছে। তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরানো হচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে এক জন মহিলা, সেখানে এমন ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত বলে কটাক্ষ করেছে এই তথ্যানুসন্ধান দল। এদিন প্রতিনিধিদলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতা মহিলারা।

    রিপোর্ট দেবেন নাড্ডাকে

    তাঁরা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু গিয়ে ইন্ডিয়ার কথা বলছেন। অথচ তাঁর প্রদেশে (Howrah) কী ঘটছে, তা তিনি চোখে পটি বেঁধে আছেন না দেখার জন্য। দলের সদস্যেরা জানিয়েছেন, দিল্লি ফিরে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে এ নিয়ে রিপোর্ট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, আতঙ্কে মহিলারা, কাঠগড়ায় সিপিএম

    Murshidabad: এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, আতঙ্কে মহিলারা, কাঠগড়ায় সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ধুলাউড়ি (Murshidabad) অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে তুলসীপুর গ্রামে ধুলাউড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি আঞ্জারুলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গেছে। পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির লোকজন ঘটনায় ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল (Murshidabad)?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হওয়ায়, তাঁর বাড়ি (Murshidabad) লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। এরপর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্জারুল, সিপিএমের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সরজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করে দেখে, কে বা কারা এই বোমা বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ভোটের দিন থেকেই  তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে সিপিএম কর্মীরা এলাকাছাড়া রয়েছেন। সিপিএম কর্মীদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

    আক্রান্ত পরিবারের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা আঞ্জারুলের মা মঞ্জুরা বিবি বলেন, ভোটের দিন থেকেই আমাদের উপর অত্যাচার চলছে। গতকাল রাতে পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। আমার ছেলে আঞ্জারুল, রানা প্রত্যেকেই ঘরছাড়া সিপিএমের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে। ভোটের দিনেই বাড়িতে ঢুকে মারামারি করে ছেলেদের সঙ্গে। প্রাণের ভয়ে ছেলেরা বাড়িতে ঢুকতে পারছে না। গতকাল রাতে ১০ টার পর আমি এবং আমার বৌমা বাড়িতে (Murshidabad) ছিলাম। রাতের খাবার খেয়ে নমাজ পড়ার পর হঠাৎ দেখি ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। এরপর বাইরে বেরিয়ে দেখি বোমা বিস্ফোরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। যারা করেছে তাদের চিনি না। তবে সকলেই সিপিএম করে। আমরা দুই মহিলা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আসে এবং এসে উল্টে আমদের বিরুদ্ধেই বোমা মারার অভিযোগ করে। অত্যন্ত অসহায় বোধ করছি!

    সিপিএমের বক্তব্য

    সিপিএমের ডোমকল (Murshidabad) লোকাল কমিটির সম্পাদক মস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিপিএমের কর্মীরা এলাকায় তৃণমূলের অত্যাচারে ঘর ছাড়া। তৃণমূলের এই অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা নিজেরাই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rhea Chakraborty: সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! রিয়ার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করল সিবিআই

    Rhea Chakraborty: সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! রিয়ার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। রাজপুতের মৃত্যুর পরেই আঙুল ওঠে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) দিকে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হন রিয়া। হাজতবাসও করতে হয় রিয়াকে। রিয়ার গ্রেফতারির চারদিন আগে অ্যারেস্ট করা হয় তাঁর ভাই সৌভিককে। পরে অবশ্য দুজনেরই জামিন মেলে। এক লক্ষ টাকার বন্ড দিয়ে জামিন নেন রিয়া। কিন্তু মামলা চলতে থাকে। এরপরের বছরগুলিতে সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি রিয়ার। সম্প্রতি ‘রোডিস’ নামের একটি টিভি শোতে মেন্টরের ভূমিকা দেখা যাচ্ছে তাঁকে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রিয়ার জীবন! ছাড়ছে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার আইনি জটও। 

    স্বস্তি পেলেন রিয়া (Rhea Chakraborty)…

    সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়াকে। জানা গিয়েছে, রিয়া (Rhea Chakraborty) জামিন পেলে, ২০২০ সালের অক্টোবরে সেই বেল-এর বিরোধিতা করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এ বার সিবিআইয়ের তরফে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এনডিপিএস আইনের ধারা ২৭এ অনুসারে (অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থ, তার অনৈতিক লেনদেন এবং অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য একজনকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জন্য জেল হতে পারে) একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রিয়ার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগটি তুলে নেওয়া হল।

    সুশান্তর সঙ্গে ভিডিও পোস্ট রিয়ার

    তবে ফি বছর সুশান্তর জন্মদিন অথবা মৃত্যুদিনে তাঁকে নিয়ে পোস্ট করেন রিয়া (Rhea Chakraborty)। চলতি বছরের জুন মাসেছিল সুশান্তের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এইসময় রিয়া সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন একটি আদুরে ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, লাদাখের পাহাড়ি পরিবেশে পরস্পরকে আগলে বসে রয়েছেন রিয়া-সুশান্ত। দুজনকে হাসতে আর আলিঙ্গন করতেও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে লাদাখ ঘুরতে গিয়েছিলেন দুজনে, খুব সম্ভবত সেই সময়ের ভিডিও এটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়! পঞ্চায়েত প্রার্থীর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি

    Panchayat Vote: ফের উত্তপ্ত ভাঙড়! পঞ্চায়েত প্রার্থীর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে অশান্তি যেন কিছুতেই থামছে না। জুন মাসে মনোনয়ন পর্ব (Panchayat Vote) শুরু হতেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। ঝরে বেশ কতগুলি তাজা প্রাণ। ভোটের দিনও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়ের পরিস্থিতি। আবার ভোট গণনার দিনও বদলায়নি চিত্র। সপ্তাহখানেক আগে ভোটের ফলাফলের দিন বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবারও গুলি চলল ভাঙড়ে। ব্যাপক বোমাবাজিতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

    উত্তপ্ত ভাঙড়

    মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন পানাপুকুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, চালতাবেড়িয়া গ্রামসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী হাতেম মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পানাপুকুরের বাসিন্দা হাতেম যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। হাতেমের ডান কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন হাতেম। একইসঙ্গে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী এক তৃণমূল প্রার্থীর (Panchayat Vote)র বাড়ি লক্ষ্য করেও ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। দুটি ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে আইএসএফ-এর। হাতেমকে উদ্ধার করে জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। ঘটনার খবর পেয়েই কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন আইএসএফ নেতারা। রাজ্যে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠলেও ভাঙড়ে আবার উলট পুরাণ! এখানে খোদ শাসকদল অভিযোগ করছে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লা বলেন, ‘‘হাতেমের কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’ আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগও তোলেন জহিরুল।

    ভাঙড় নিয়ে কী বলছেন নওশাদ?

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)—সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের (Panchayat Vote) শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Seema Haider: সীমা কি পাক-গুপ্তচর? চলছে জেরা, বেশ কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    Seema Haider: সীমা কি পাক-গুপ্তচর? চলছে জেরা, বেশ কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমা হায়দার (Seema Haider) কি পাক গুপ্তচর? তার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার যোগ রয়েছে? তথ্য পাচার করতেই কি তার দেশে আসা? আপাতত এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে যোগী রাজ্যের পুলিশের এটিএস। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ এটিএস পাকিস্তানি নাগরিক সীমাকে হেফাজতে নিয়েছে। তাঁকে গোপন ডেরায় রেখে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পাবজি খেলতে প্রেমে পড়েন উত্তরপ্রদেশের সচিনের। প্রেমের টানেই ভারতে আসা, এমনটাই দাবি করেছিলেন সীমা। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে গিয়েছিলেন সীমা এবং তাঁর বর্তমান স্বামী নয়ডার রবুপুরার সচিন মীণা। কিন্তু পরে জানতে পারা যায়, তাঁদের দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে এটিএস। যোগী পুলিশের একটি সূত্র অবশ্য দাবি করছে, এখনও পর্যন্ত সীমাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁর কাকা পাকিস্তান সেনার সুবেদার ছিলেন। সীমার ভাই পাক সেনায় কর্মরত রয়েছে বর্তমানে। তাই সীমার পাক-সেনা যোগ আরও জোরালো হচ্ছে। সীমার কাছে মিলেছে নেপাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পাসপোর্ট। নেপালের কাঠমাণ্ডুতে চলতি বছরের মার্চে দেখা করেন সচিন ও সীমা। সেখানে তাঁরা যে হোটেলে ছিলেন সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

    জেরায় কী কী তথ্য উঠে এল? 

    জানা গিয়েছে, সীমার (Seema Haider) পাসপোর্ট, মোবাইল ফোনের তথ্য, এসব কিছুই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত জেরা করার পর রবুপুরার বাড়িতে ফের ছেড়ে দেওয়া হয় সীমাকে। মঙ্গলবার সকালে আবার এটিএস পৌঁছায় সচিনের বাড়িতে। এরপর গোটা পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয় জেরার জন্য। জানা গিয়েছে, সীমা সত্যি কথা বলছেন নাকি মিথ্যা! তা খতিয়ে দেখতে পলিগ্রাফ টেস্টও হবে। নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছেন বলে দাবি সীমার। পুলিশকে ভাবাচ্ছে, কী ভাবে গ্রেটার নয়ডায় কোনও রকম বাধা ছাড়াই ঢুকে পড়লেন সীমা? উঠছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন, কেন ওই সময় সীমার কোনও নথি বা কাগজ পরীক্ষা করা হল না? নথি পরীক্ষার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন,তাঁরা কী করছিলেন? সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে শুধু উত্তরপ্রদেশ এটিএস-ই নয়, দেশের অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থারও জেরার মুখে বসতে হতে পারে সীমাকে। তাঁর হোয়াট্‌সঅ্যাপ কথোপকথন এবং ফোন কল ডিটেলও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    কী বলছেন সীমার (Seema Haider) পাকিস্তানি স্বামী?

    এদিকে সীমার (Seema Haider) স্বামী পাকিস্তানি গুলাম হায়দর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের পাকিস্তানে ফেরৎ পাঠানো হোক। কিন্তু অন্যদিকে সীমার পরিবার অবশ্য মেয়েকে আর চান না। তাঁদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সীমা থাকুন ভারতে। কিন্তু সীমার সন্তানদের পাকিস্তানে ফেরৎ পাঠানোর দাবি জানিয়েছে সীমার বাপের বাড়ি। অন্যদিকে, সীমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মুম্বই পুলিশের কাছে হুমকি ফোন এল। হুমকিতে বলা হয়েছে, সীমাকে পাকিস্তানে না ফেরালে আবার ২৬/১১-র মতো হামলা হতে পারে। সীমার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতেও শোরগোল চলছে। সে দেশের সিন্ধ প্রদেশের বিধানসভায় সীমার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share