Tag: Bengali news

Bengali news

  • Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বোর্ড গঠন করার সময় প্রথমে অসুস্থ এবং ঠিক তারপরেই আকস্মিক মৃত্যু হল বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতির। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়। প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনাই মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা(Nadia)?

    নদিয়ায় (Nadia) আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের চার নম্বর বুথের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জিতেন সর্দারের আজ এভাবেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মোট কুড়িটি আসন আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতে। যার মধ্যে বিজেপির দশটি এবং তৃণমূলের দশটি। তাই আজ বোর্ড গঠনের জন্য অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাথে তিনিও ছিলেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। সেই সঙ্গে ছিল বোর্ড গঠন ঘোষণার প্রতীক্ষা! প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    খবর পেয়ে রানাঘাটের (Nadia) সাংসদ জগন্নাথ সরকার ছুটে যান মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। তিনি পরিবারবর্গের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এবং মৃত কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তিনি বলেন, ৪ নম্বর বুথের প্রথম সভাপতি ছিলেন জিতেনবাবু। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিয়েও বিজেপির জন্য কাজ করতেন। বোর্ড গঠনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত গরম এবং উত্তেজনায় মারা গেছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, তিনি শান্তিপুর (Nadia)  গোবিন্দপুর অঞ্চলে একটি তেল মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর দুটি নাবালক পুত্রসন্তান, স্ত্রী এবং মা রয়েছেন। মৃতদেহ শান্তিপুরে দাহ করা হবে বলেই জানা গেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বোর্ড গঠন ঘিরে হানাহানি এবং মারধর-সন্ত্রাসের ঘটনার যে কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) খানাকুলের রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে আজ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থক। টসে জিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি, আর এরপর শুরু হয় এরপর তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় চারিদিকে। তৃণমূলের কর্মীরা বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির উপরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ।

    কেন উত্তেজনা (Hooghly)?

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগত লোক নিয়ে অশান্তি করতে আসে। আর তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকার সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা খানাকুলের (Hooghly) রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েত চত্বরে। আরও জানাগেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল ৯ টি করে মোট আসনের সমান সামন হয়ে গেছে। এইদিন বোর্ড গঠনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষেরই মতামত নিয়েই টস করে, আর তাতে ফলাফল ঘোষণা হলে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপি প্রধানের পদ দখল করে। ঠিক তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা অশোক মালিক বলেন, এখানে বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। আর তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করায় বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে এনে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ জেগে গেছে। তৃণমূলের চোরদের মানুষ চিনে নিয়েছে। এবার আসল খেলা খেলবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আসন সমান সমান হওয়ার জন্য অনেক তৃণমূল কর্মী এবং বিজয়ী প্রার্থীরা বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছে। এই চোরেদের পাশে মানুষ নেই বলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে দুষ্কৃতীরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) এক তৃণমূল নেতা সুকুমার শিকদার বলেন পাশের পঞ্চায়েতে আমার বাড়ি, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হবে বলে এসছি। কিন্তু এসে দেখি বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge Competition: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় ভারতের বড়সড় সাফল্য

    Bridge Competition: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় ভারতের বড়সড় সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসের পর বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Competition) ভারতের বড়সড় সাফল্য। ৬ সদস্যের ব্রিজ খেলোয়াড়রা ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিলেন। ৩১ বছরের নিচে এই ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০১৮ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী দলের সদস্য শিবনাথ দে সরকার।

    চিনকে হারিয়ে জয়ী ভারতীয় দল (Bridge Competition)

    একটা সময় বলা হত, তাস পাশা সর্বনাশা। কিন্তু এখন আর তা বোধহয় বলা যাবে না। কারণ, এই খেলাকে ভরসা করে ভারতের ঝুলিতে আসছে একের পর এক আন্তর্জাতিক পদক। গত ২৮ শে জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে বসেছে বিশ্ব যুব ব্রিজ প্রতিযোগিতা (Bridge Competition)। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ইউরোপ, আমেরিকা ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেছেন। ভারত থেকেও এই প্রতিযোগিতার জন্য বড়সড় দল পাঠানো হয়। সোমবার ফাইনালে ৬ জন বাঙালি খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দল চিনকে ৮ পয়েন্টে হারিয়ে দেয়। এরপরই তাদের গলায় ওঠে ব্রোঞ্জের পদক। এত বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতে খুশি কোচ এবং খেলোয়াড়রা।

    কীভাবে হয়েছিল বাছাই পর্ব (Bridge Competition)?

    গত জুন মাসে এই ছ’ জনের ব্রিজ টিমের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয় উত্তর হাওড়ার সালকিয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনে। ব্রিজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সালকিয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এই বাছাই হয়। কেরল, উত্তরপ্রদেশ, মুম্বই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৬ জনকে বাছাই করা হয়। তাঁরাই এবার মেডেল নিয়ে আসেন। দুই প্রতিযোগী সায়ন্তন কুশারী ও সাগ্নিক রায় বলেন, তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোপিয়ান দেশগুলি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন ব্রিজ খেলায় যথেষ্ট পারদর্শী। কিন্তু তার পরেও তাদেরকে পিছনে ফেলে তাঁরা ব্রোঞ্জ জিতে নিয়েছেন। লকডাউনের পর ব্রিজ খেলায় (Bridge Competition) অনেক প্র্যাকটিসের সুযোগ পেয়েছেন। এই খেলা আরও জনপ্রিয় হয়েছে।

    কী বললেন এই দলের কোচ (Bridge Competition)?

    ২০১৮ য় এশিয়ান গেমসে গোল্ড মেডেলিস্ট ব্রিজ খেলোয়াড় শিবনাথ সরকার বলেন, একটা সময় এই তাস খেলা বা ব্রিজ খেলাকে জুয়া বলে গণ্য করা হত। এটা যে আসলে জুয়া নয়, একটি বুদ্ধিমত্তার খেলা, সেটাই তাঁরা প্রমাণ করে দিয়েছেন (Bridge Competition)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UPI Lite: প্রতিবারে ৫০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে ইউপিআই লাইটে, লাগবে না পাসওয়ার্ড

    UPI Lite: প্রতিবারে ৫০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে ইউপিআই লাইটে, লাগবে না পাসওয়ার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ইউপিআই লাইট (UPI Lite) চালু হয়েছে আগেই। এবার সেই ইউপিআই তে লেনদেনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জুড়লো বেশ কিছু নয়া ফিচার। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সও জুড়ল ইউপিআইতে। আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস লেনদেনের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। জানা গিয়েছে ইউপিআই লাইটের মাধ্যমে প্রতিবারে ৫০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে এবার থেকে। এবং তার জন্য কোনওরকম পিন নম্বরেরও প্রয়োজন হবে না।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে লঞ্চ হয় ইউপিআই লাইট (Upi Lite)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সর্বসাধারণের জন্য চালু হয়েছিল ইউপিআই লাইট। জানা গিয়েছে, ইউপিআই -এর মাধ্যমে লেনদেন করেন যে সমস্ত ব্যক্তি তাঁরা প্রত্যেকেই ইউপিআই লাইট (Upi Lite) ব্যবহার করতে পারবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এ নিয়ে বলেন, ‘‘যেখানে ইন্টারনেট বা টেলিকম যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল সেখানে ইউপিআই লাইট অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।’’ জানা গিয়েছে শুধুমাত্র নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে, প্রয়োজন পড়বে না ইন্টারনেটেরও। ইউপিআই-এর মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ টাকা লেনদেন করা যায়। আর লাইটের (UPI Lite) মাধ্যমে করা যাবে প্রতিবারে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। শুধু তাই নয়, নতুন এই পদ্ধতিতে কথোপকথনের মাধ্যমেও লেনদেন করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

    এআই সিস্টেমকে কাজে লাগানো হবে

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিবৃতি বলছে, ‘‘ব্যবহারকারীরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এবং এই লেনদেন সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে।’’ জানা গিয়েছে, স্মার্টফোনেও শীঘ্রই উপলব্ধ হতে চলেছে এই সুবিধা। পাশাপাশি হিন্দি এবং ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষাতেও মিলবে সুবিধা। অর্থাৎ নয়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফিচারে এআই প্রতিনিধির সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন ইউপিআই এর (UPI Lite) ব্যবহারকারীরা। এবং এর মাধ্যমে টাকা যাবে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ! কীভাবে এড়াবেন বিপদ?

    Heart Attack: তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হয় দ্বিগুণ! কীভাবে এড়াবেন বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমে তাপমাত্রার পারদ বাড়লে শুধু অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হয় না। বিপদ বাড়ায় হৃদরোগের। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি দ্বিগুণ করে তোলে পরিবেশের এই পরিবর্তন! সম্প্রতি এমনটাই জানাচ্ছে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র গবেষণা। পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তাই নানা শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হৃদ সমস্যা।

    কী বলছে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র সমীক্ষা (Heart Attack)? 

    ভারত, বাংলাদেশ কিংবা এশিয়ার একাধিক দেশ তো বটেই। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড সহ একাধিক পশ্চিমের দেশেও গত কয়েক বছরে মারাত্মক তাপমাত্রা বেড়েছে। তাই এ নিয়ে সমীক্ষা ও গবেষণা করেন আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি-র একদল চিকিৎসক। আর সেখানেই জানা গিয়েছে, তাপমাত্রার পারদ বাড়লে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ে দ্বিগুণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ বাড়লে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে প্রভাব পড়ে। হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকে। পাশপাশি অতিরিক্ত ঘাম হয়। যার জেরে দেহে জলের অভাব তৈরি হয়। আর এই সবকিছুর জেরে হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মহিলাদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ বাড়লে মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলা বাইরের কাজের পাশপাশি বাড়ির কাজেও অধিক দায়িত্ব পালন করেন। ফলে পরিশ্রম বেশি হয়। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা আরও বাড়ে। তাই মহিলাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ে।

    ঝুঁকি (Heart Attack) এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    বিশ্ব জুড়ে গরম বাড়বে। দ্রুত এর সমাধান পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আর কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। গরমে রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। তবে, রক্তচাপের সমস্যা না থাকলেও সচেতন হতে হবে। এমনকি কম বয়সীদের মধ্যেও গরমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন হজম হতে দেরি হয়। গরমে হজমের সমস্যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি তৈরি করে। তাই তাপমাত্রা বাড়লে সহজ পাচ্য খাবার বিশেষত সব্জি, হালকা মাছের ঝোল আর ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    অতিরিক্ত নুন খাওয়া বাদ দিতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারে নুন থাকে, তাতেই প্রয়োজনীয় আয়োডিন শরীর পায়। কিন্তু অনেকের অভ্যাস থাকে, যে কোনও খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত নুন খাওয়া। এই অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    তাছাড়া, তাপমাত্রা বাড়লে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোদে দীর্ঘ সময় একটানা কাজ করলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Panchayat Board: এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতছাড়া পঞ্চায়েত, তৃণমূলের সমর্থনেই বোর্ড দখল করল বিজেপি

    Panchayat Board: এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতছাড়া পঞ্চায়েত, তৃণমূলের সমর্থনেই বোর্ড দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ! এখানে পর বলতে নিজেদেরই দল। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে কোন জায়গায় পৌঁছেছে, তার আরও একটি উদাহরণ সামনে এল। তৃণমূলকে হারাতে এতদিন বিরোধীদের একজোট হওয়ার চিত্র সামনে এসেছে। এবার বিজেপিকে সমর্থন করল তৃণমূল। আর তার জেরে বোর্ড হাতছাড়া হয়ে গেল শাসকদলের। তৃণমূল ও নির্দলের সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বোর্ড গঠনের পরেই পঞ্চায়েতের গেটে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা কর্মী-সমর্থকরা।

    কীভাবে বোর্ড এল বিজেপির হাতে?

    জানা যায়, শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা মোট ২১ টি, যেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ১০টি আসনে। তৃণমূল জয়লাভ করেছিল ৯টি আসনে, একটি আসনে জয়লাভ করে সিপিএম। আর অন্য একটি আসনে জয়লাভ করে নির্দল। যদিও পরবর্তীতে সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় আরও একটি আসন বাড়ে তৃণমূলের। আজ গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চলে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। তবে গোটা পঞ্চায়েত চত্বরে কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। জানা যায়, ওই পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত বিজেপির প্রধান হন গোপাল ঘোষ, আর তৃণমূলের উপপ্রধান হন শিপ্রা মণ্ডল। বোর্ড গঠনের পরে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, নির্দলের জয়ী প্রার্থী ও ওই অঞ্চলের তৃণমূলের ৭ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থীর সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয় তারা। বোর্ড গঠনের পরেই বিজেপির নবনির্বাচিত প্রধান গোপাল ঘোষকে সাথে নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা।

    ইতিহাস তৈরি হল, দাবি বিজেপির

    অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব এও জানিয়েছেন, শান্তিপুর গয়েশপুর পঞ্চায়েতে বিজেপি এবার ইতিহাস গড়ল। কারণ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির তেমন প্রভাব না থাকলেও ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই অঞ্চলে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব তৈরি হয়। আর মানুষ ঢেলে ভোট দেওয়াতে তারা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে পারে। তবে বিগত দিনে ওই পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি নতুন করে বোর্ড গঠন করায় ওই পঞ্চায়েত এলাকায় কিভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়, সেই লক্ষ্য থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আরামবাগের (Hooghly) সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল নিলো বিজেপি। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হুগলিতে। উপপ্রধান আসনে তৃণমূল বসলেও, সংরক্ষণের কারণে, প্রধানের আসন হাতছাড়া হলো তৃণমূলের। অপর দিকে প্রধানে বাজিমাত বিজেপির।

    আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতে কত আসন  (Hooghly)?

    সালেপুর  (Hooghly) পঞ্চায়েতে মোট ১৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬ টি আসন জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত প্রধান আসন দখল নিলো বিজেপি। এখানে ৬ টি বিজেপি পেলেও, ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও সংরক্ষিত আসনের জেরে প্রধান হতে পারেনি তৃণমূল।

    আসন সংরক্ষণ কেমন?

    জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতের  (Hooghly) প্রধান আসন এসটি(ST) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল  সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন দখল করলেও এসটি এবং মহিলা কেউ জয়ী হতে পারেনি। আর তার জেরেই কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি। যদিও উপপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের সত্যজিত চক্রবর্তী। এইদিনে বোর্ড গঠনে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত হয় প্রচুর বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রধান বিজেপির হতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিজেপি সমর্থকদের। গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সালেপুর পঞ্চায়েতে  (Hooghly) প্রধান নির্বাচিত হয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন যে এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন এবং পানীয় জলের সমস্যাগুলিকে আগে মেটাতে হবে। যাঁদের ঘর বাড়ি নেই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গির প্রভাব থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে। জনগণের জন্য সরকারের সকল প্রকল্পের সুভিধা গুলিকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধান প্রার্থী আদিবাসী সমাজের জন্য সংরক্ষিত। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে এখানে। আমরা তৃণমূল মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছি। আমাদের তৃণমূল দলের নির্দেশে উপপ্রধান পদের জন্য একজনকে স্থির করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে বিজেপি যদি অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের ১০ জন সদস্যদের নিয়েই প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করব। আশাকরি প্রধান সহযোগিতা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: প্রধান হয়েছেন শাশুড়ি, তৃণমূলের বিপক্ষ গোষ্ঠী তাণ্ডব চালালো জামাইয়ের বাড়িতে!

    Panchayat Board: প্রধান হয়েছেন শাশুড়ি, তৃণমূলের বিপক্ষ গোষ্ঠী তাণ্ডব চালালো জামাইয়ের বাড়িতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন হওয়ার পরেই নবনির্বাচিত প্রধানের জামাইয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কে গোটা এলাকা। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী এই বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ফুলিয়ার ফুলিয়া পাড়ার। নবনির্বাচিত প্রধানের জামাই মিঠুন বসাকের অভিযোগ, গতকাল ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হওয়ার পরে তাঁর শাশুড়ি বাসন্তী বসাক প্রধান নির্বাচিত হন। এর পরেই তাঁরা প্রত্যেকে বাড়ি চলে আসেন। অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে হঠাৎই তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছেড়ে দুষ্কৃতীরা। এর পরে তারা বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। পরিবারের লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে বাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় বোমাবাজি। সেখানেই শেষ নয়, পরপর দু থেকে তিনবার বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে। বিকট শব্দে আবার বাইরে বেরিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। দেখেন, বোমা বিস্ফোরণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

    আতঙ্কে ঘুম নেই পরিবারের

    এর পরে শুরু হয় ব্যাপক আতঙ্ক। সারা রাত ঘুম নেই পরিবারের। গোটা এলাকায় আতঙ্কে সৃষ্টি হয়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ, তদন্ত শুরু করে। নবনির্বাচিত প্রধানের জামাই মিঠুন বসাকের এও অভিযোগ, তাঁর শাশুড়ি প্রধান (Panchayat Board) নির্বাচিত হলেও তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে কেন এভাবে হামলা চালানো হল, পুলিশ এর পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক। না হলে আগামী দিনে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

    মুর্শিদাবাদে জোট প্রার্থীর স্বামীকে কোপানোর অভিযোগ

    ঘটনার যেন শেষ নেই। পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার সময় জোটের প্রার্থীর স্বামী সহ জোটের এক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদে রানিনগর থানার বেণীপুর শিমুলতলা এলাকায়। জানা যায়, রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের মালি বাড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট পঞ্চায়েত সদস্য ১৭ জন। তার মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। সাতটি আসনে জয়ী হয় বাম-কংগ্রেস জোট। ১০ জন নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। বোর্ড গঠন শেষে জোটের প্রার্থীরা বাড়ি ফেরার সময় এক মহিলা প্রার্থীর স্বামী সহ আরও এক জোটের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। এই ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রানিনগর গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজনগর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু। তাঁর বাড়ি নদিয়ার বগুলায় (Nadia)। স্বপ্নদীপ বুধবার রাতে যাদবপুর মেইন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। ইতি মধ্যেই তাঁর বাবা মামলা দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ শক্রবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হল বগুলায়। বলা হয় স্বপ্নদীপকে যারা খুন করেছে, তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই মৃত্যুকে খুনের অভিযোগ বলে মনে করছেন অনেকেই। পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নদিয়ার (Nadia) বগুলাবাসী।

    নদিয়ায় মিছিল

    আজ স্বপ্নদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১ টায় বগুলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং পাড়া-প্রতিবেশী সহ সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে বগুলা কলেজ থেকে বগুলা হাই স্কুল (Nadia) পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যারা স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। অন্যদিকে একাংশ বিক্ষোভকারীদের দাবি, ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করার জন্য সব বাবা মায়েরাই চেষ্টা করেন। একইভাবে স্বপ্নদীপের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁর বাবা-মাও চেষ্টা করেছিলেন। কোনও রকমে সংসার চালিয়ে স্বপ্নদীপকে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাবা মা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কখনও এইভাবে হতে পারে না, তাঁকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। তাই দোষীদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি করছি।

    কী ঘটেছিল

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু (Nadia)। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল গতকাল সকালে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রথমে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুরে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন মেন হস্টেলে এ-টু ব্লকের তিনতলায়। ওই ছাত্র কি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, বাড়িতে হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‍্যাফ

    Jalpaiguri: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, বাড়িতে হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‍্যাফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে হামলা চালালো আরেক জেলা সাধারণ সম্পাদকের অনুগামীরা। দু পক্ষের ঝামেলায় উত্তাল হয়ে ওঠে ধূপগুড়ি শহর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত অবধি চলে গন্ডগোল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে র‍্যাফ নামাতে হয়। এদিন ধূপগুড়ির উপ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সভা চলছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ দে ধূপগুড়ির পুর প্রশাসক ভারতী বর্মণের প্রতি তীব্র আক্রমণ শানান। আর তাতে সভাস্থলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ভারতী বর্মণ। তারই প্রতিবাদ করেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং। সেই সময় তাঁকেও তীব্র আক্রমণ করেন অরূপ। তাতেই শুরু হয় গন্ডগোল। ভেস্তে যায় সভা।

    সভার বাইরে হাতাহাতি, বাড়িতে হামলা (Jalpaiguri)

    এই গন্ডগোলের আঁচ সভাস্থলের বাইরে এসেও পড়ে। দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকে এসে রাজেশ কুমার সিং এর বাড়িতে হামলা চালান অরূপ দে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী (Jalpaiguri)। তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তে না আসায় র‍্যাফ নামাতে হয় পুলিশকে। সভাস্থলে এক প্রস্থ হাতাহাতির পর ফের অরূপ দে তাঁর দলবল নিয়ে রাজেশ কুমার সিংহের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। এরপরেই রাজেশ কুমার সিংয়ের অনুগামী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে অরূপ পন্থী বৈদ্যনাথ কুণ্ডু নামে এক যুবনেতাকে ধরে বেদম প্রহার দেয়। অভিযোগ বৈদ্যনাথ কুণ্ডু চাকু নিয়ে হামলা চালায়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে সরে পড়েন অরূপ দে।

    দু’ পক্ষই চুপ, উল্লসিত বিরোধীরা (Jalpaiguri)

    যদিও দুজনের কেউই এই ঘটনায় মুখ খোলেননি। এই দুই ব্যক্তিই তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন রয়েছেন। তৃণমূলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে বিরোধীরা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই তারা উল্লসিত। আর এই গোষ্ঠী কোন্দলকে হাতিয়ার করেই আসন্ন ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে বিরোধীরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

LinkedIn
Share