Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: “আমতাকে বগটুই করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমতাকে বগটুই করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূলের তাণ্ডব দেখল হাওড়ার আমতার মানুষ। শনিবার আমতা সেই কাঁকরোল গ্রামে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক সপ্তাহের মধ্যে জয়পুর থানা ঘেরাও করার ডাক দিলেন তিনি। দলের দুই প্রার্থীদের সঙ্গে তিনি কথা বললেন। একইসঙ্গে পরিবারের বাচ্চাদের বই কেনার জন্য এবং কিছুটা পরিবারের আর্থিক সমস্যা সামলে নেওয়ার জন্য তাঁদের কিছুটা আর্থিক সাহায্য করলেন তিনি।

    বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) কী বললেন আক্রান্তরা?

    প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমতার  জয়পুর থানার অমরাগোড়ী অঞ্চলের  কাঁকরোল গ্রামে দুই মহিলা বিজেপি প্রার্থীর ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একটি দোকান সহ মোট ৬টি ঘর সম্পূর্ণ  ভস্মীভূত হয়ে যায়। ভোটের ফল বের হওয়ার পর পরই শুরু হয় তৃণমূলীদের তাণ্ডব। ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে রয়েছেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। এদিন গ্রামে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আক্রান্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁকে সামনে পেয়ে পায়ে ধরে বিচারের আকুতি জানান আক্রান্তরা। আক্রান্তদের সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

    আমতাকে বগটুই করার চেষ্টা তৃণমূলের, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)?

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আমতায় আরও একটা বগটুই করার চেষ্টা হয়েছে। কপাল ভাল, তাই অত বড় ক্ষতি হয়নি। শীঘ্রই এ নিয়ে আইনি লড়াইয়েও নামা হবে। সুর চড়ালেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। আওয়াজ তুললেন ছাপ্পা ভোট, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও। তিনি বলেন, বিজেপি করার অপরাধে কী করেছে দেখুন। আমি এদের নিয়ে সোমবার রিট-পিটিশন দাখিল করব।

    গ্রামবাসীদের নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিকে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)  কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আক্রান্ত পরিবারের লোকজনেরা। ছুটে আসেন গ্রামবাসীরাও। তাঁদের দেখিয়েই শুভেন্দু বলেন, গোটা গ্রাম আজ এসেছে। আমরা কাউকে ডাকিনি। এদের ভোট লুট হয়ে গিয়েছে। এদের কাউকে কাউন্টিংয়ের দিন ঢুকতে দেয়নি। প্রহসনের ছাপ্পার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি কিনেছেন। আর কাউন্সিলারের কাছে নজরানা পাঠাননি। এটাই পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ সর্দারের অপরাধ। পেশায় শিক্ষক সোমনাথবাবু এত সব নিয়ম জানতেন না। তাই, বাড়ি কেনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কাছে থেকে তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে ফোন আসে বলে অভিযোগ। সেই টাকা না দিলে তার বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হয় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  সোমনাথ সর্দারের বাবা অসুস্থ। বাড়িতে সদ্যোজাত সন্তান রয়েছে। পরিবারের আরও অনেক সদস্যদের সামনে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের অনুগামীরা চড়াও হন। এর আগে ১০ জুলাই কাউন্সিলারের ছেলেরা চড়াও হয়েছিলেন। এবার চড়াও হয়ে বাড়ির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ৫ লক্ষ টাকা অবিলম্বে কাউন্সিলারে কাছে পৌঁছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরে, সোমনাথবাবু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    কী বললেন অভিযোগকারী শিক্ষক?

    সোমনাথবাবু বলেন, নতুন বাড়ি কেনা কী আমার অপরাধ? আমার কাছে থেকে ৫ লক্ষ কাউন্সিলারের লোকজন দাবি করছে। তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার নিজে ফোন করে দেখা করতে বলছে। আর দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়নি বলে ওরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বাড়ির ভিতরে তাণ্ডব চালায়। আমার ভাইকে মারধর করেছে। আমার অসুস্থ বাবাকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হিমাংশু দেব। তিনি উল্টে অভিযোগ করেন, সোমনাথবাবু তাঁর শ্বশুর ও শালির কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে না দেয়নি। শুধু তাই নয় একজন বিধবা মহিলার কাছ থেকে স্থানীয় ক্লাবের নাম করে ৫ লাখ টাকা তিনি নিয়েছেন। সকলেই আমার কাছে জানিয়েছে। অখন তিনি নিজে এসব ঘটনা জড়িয়ে রয়েছেন বলে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির  উত্তর কলকাতা শহরতলির জেলার সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়  বলেন, এই ঘটনা নতুন নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই এমন চলছে। মানুষকে  ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ যেন ভয় না পেয়ে প্রতিবাদ করে, রাস্তায় বেড়িয়ে এসে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Soil Smuggling: আরামবাগে অবৈধ মাটি পাচার! সব জেনেও চুপ প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয়দের

    Soil Smuggling: আরামবাগে অবৈধ মাটি পাচার! সব জেনেও চুপ প্রশাসন, অভিযোগ স্থানীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাটি মাফিয়াদের (Soil Smuggling) দৌরাত্ম আরামবাগে। কখনও রাতের অন্ধকারে আবার কখনও প্রকাশ্য দিবালোকে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুকুর থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। আর সেই মাটি পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্যত্র।
    এমনকি মাফিয়াদের (Soil Smuggling) দৌরাত্ম্যর কারণে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন এলাকার মানুষ। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি পুলিশ ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরাও। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন আরামবাগ এসডিও। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সব কিছু জানা সত্ত্বেও পুলিশ কেন চুপ রয়েছে? 

    সব জানা সত্ত্বেও কেন চুপ প্রশাসন? প্রশ্ন স্থানীয়দের

    আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েতের পাশেই একটি বিশালাকার পুকুর। সেই পুকুর থেকেই দিনের পর দিন মাটি (Soil Smuggling) কেটে পাচার করার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে অবৈধ পাচার কাজ। শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা যেতেই মাটি মাফিয়ারা হুমকি দিতে শুরু করে। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে শুরু করলে, প্রথমে দূর থেকেই ছবি না তোলার হুমকি আসতে থাকে। তাও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ছবি তোলা শুরু হতেই এলাকা থেকে ট্রাক্টর ও জেসিবি মেশিন নিয়ে পালাতে শুরু করে মাফিয়ারা। যদিও এক মাটি পাচারকারী, অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। মাটি কাটার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও সব দফতরই নাকি এই অবৈধ মাটি পাচারের কথা জানে বলে জানান তিনি। বিরোধীরা এখানেই প্রশ্ন তুলছে, সব জেনেও কেন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না ভূমি সংস্কার দপ্তর?

    কী বলছে বিজেপি-তৃণমূল?

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের ঝুড়িতে অনেক শিরোপা দেখেছেন এটাও একটা শিরোপা! এর আগে দেখেছেন গরু চুরি, কয়লা চুরি, বালি চুরি, পাথর চুরি এবার মাটি চুরি (Soil Smuggling)। মাধবপুর থেকে তৃণমূলের নেতাদের মদতে মাটি চুরি চলছে আর এই চুরির টাকায় বিরোধী বিজেপি নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এলাকার সন্ত্রাস করছে।’’ তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি পিসি সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিষয়টি আপনাদের মুখ থেকে শুনছি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’’ এবিষয়ে আরামবাগ এসডিও শুভাষিনী ই বলেন, ‘‘এই অভিযোগটা আগেও এসেছিল আমি ভূমি দফতরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Diarrhea: ডায়রিয়ার থাবায় গোটা গ্রাম! মৃত ১, অপরিশ্রুত পানীয় জলকেই দূষছেন স্থানীয়রা

    Diarrhea: ডায়রিয়ার থাবায় গোটা গ্রাম! মৃত ১, অপরিশ্রুত পানীয় জলকেই দূষছেন স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মধ্যেই  ডায়রিয়ার (Diarrhea) হানা। আক্রান্ত আস্ত একটি গ্রাম। বোলপুর সংলগ্ন সিয়ান- মুলুক আদিবাসী অধ্যুষিত বেরুগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপে কমবেশি ২৫০ জন অসুস্থ বলে জানা গিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনের বেশি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ডায়রিয়ার (Diarrhea) প্রকোপে মৃত ১

    গ্রামবাসীদের দাবি, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জার্মান প্রকল্প এবং টিউবওয়েলের বেশ কয়েকটি কল থাকলেও সেগুলি অচল। পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় তিন কিলোমিটার দূর থেকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জিবা কিস্কু (৬০) নামের এক গ্রামবাসী মারা গিয়েছেন। অপরিশ্রুত পানীয় জল থেকেই এই রোগ ছড়িয়েছে বলে ধারনা গ্রামবাসীদের। সোলার সিস্টেমের একটি জলের ব্যবস্থা থাকলেও প্রায় দিনই খারাপ হয়ে থাকে। স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার জানানো সত্বেও মেলেনি কোনও সুরাহা, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অধিকাংশ আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে।

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাড়তে থাকে প্রকোপ

    বৃহস্পতিবার সকালের পর থেকেই ক্রমশ গ্রামে ডায়রিয়ার (Diarrhea) প্রকোপ বাড়তে থাকে বলে খবর। কারও বমি, মাথাব্যথা, কারও আবার পেট ব্যথা। চিকিৎসা চললেও প্রতিদিনই কোনও না কোনও আক্রান্তের খবর আসছেই।
    জনৈক গ্রামবাসী সুকুল সাহানি, সোমাই সোরেনরা বলছেন, ‘‘পানীয় জল থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। একাধিক জার্মান প্রকল্পের কল থাকা সত্ত্বেও সেগুলি অচল। টিউবওয়েল ব্যবহার করা অযোগ্য। বাধ্য হয়েই পাশের গ্রামে তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে জল আনতে হয়। গোটা গ্রামই এখন আতঙ্কিত।’’ অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রীতা কর্মকার বলেন, ‘‘২৭৪ নম্বর কেন্দ্রেও জল না থাকার কারণেই অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশের গ্রাম থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। গোটা গ্রামই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।’’

    কী বলছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক?

    যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণ অথবা পানীয় জল থেকে এই ধরনের রোগ হতে পারে। অবশ্যই খবর নিয়ে দেখা হবে। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রয়োজনে আশা কর্মীদের দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বোর্ড মিটিংয়ে ডাকেনি তৃণমূল, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিজেপি কাউন্সিলারের অভিনব প্রতিবাদ

    BJP: বোর্ড মিটিংয়ে ডাকেনি তৃণমূল, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিজেপি কাউন্সিলারের অভিনব প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার একমাত্র বিজেপি (BJP) কাউন্সিলার। তাই, বোর্ড মিটিংয়ে না ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি তৃণমূল। তৃণমূলের এই অপমান মুখ বুজে সহ্য করেননি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানান। যা নিয়ে আরামবাগ শহর জুড়ে ব্যাপত চর্চা শুরু হয়েছে।

    কীভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি (BJP)  কাউন্সিলার?

    পুরসভার বোর্ড মিটিং এ ডাকা হয়নি তাঁকে বলে দাবি বিজেপির (BJP) এই কাউন্সিলারের। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে পুরসভা চত্বরে ঘুরে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন তিনি। পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলাকালীন গলায় প্ল্যাকার্ড পড়ে সারা পুরসভার বিভিন্ন দফতর ঘুরে ঘুরে তাঁর ক্ষোভের কথা সকলের কাছে তিনি পৌঁছে দেন তিনি। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘বিরোধী দলের কাউন্সিলর হওয়ার সুবাদে আরামবাগ পুরসভার বোর্ড মিটিং-এ ডাকা হয়নি কেন? জবাব চাই জবাব দাও।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলার?

    এবারের পুর নির্বাচনে ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৮ টি এবং বিজেপি পেয়েছে ১ টি ওয়ার্ড। বিজেপি (BJP) কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, পুর বোর্ড যেদিন থেকে গঠন করা হয়েছে, তারপর থেকে যত বোর্ড মিটিং হয়েছে কোনওটাতেই আমাকে ডাকা হয়নি। পাশাপাশি পুরসভার সভাকক্ষে  শুক্রবার বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে ১৮ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা থাকলেও আমাকে ডাকা হয়নি।  তারই প্রতিবাদে এদিন অভিনব প্রতিবাদ জানালাম।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ডাকা হয়নি নয়, তিনি আসেন না বোর্ড মিটিংয়ে। না এসে আপনাদের কাছে যাচ্ছে, গিয়ে এইসব বলছে। প্রসঙ্গত, পুরবোর্ড গঠনের পর অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার কাজ থেকে বিরোধী কাউন্সিলারদের বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন জেলা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার কোনও জনহিতকর না গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী কাউন্সিলরের মতামত নেওয়া হয় না, বিরোধীদের বোর্ড মিটিংয়ে ডাকা হয়না বলে অভিযোগ করা হয়। সেরকমই এক অভিযোগ এবার দেখা গেল আরামবাগ পুরসভাতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সালারে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু

    Bomb Blast: খেলনা ভেবে খেলতে গিয়ে সালারে বোমা বিস্ফোরণে জখম দুই শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলনা ভেবে একটি কৌটো নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হল হল দুই শিশু। শনিবার সকালে ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার কাগ্রাম অঞ্চলের বাবলা গ্রামে। জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সাহিল শেখ এবং সাকিব শেখ নামে দুই শিশু বাড়ির কাছেই খেলা করছিল। রাস্তার পাশেই প্লাস্টিকে মোড়া কৌটো বোমা ছিল। তবে, কতগুলি বোমা ছিল তা জানা যায়নি। দুই শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে কৌটো বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বিস্ফোরণের  জেরে গুরুতরভাবে দুজন জখম হয়। দুজনকেই চিকিৎসার জন্য সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাবলা গ্রামে প্রায় পাঁচটি কৌটো বোমা পড়েছিল। আর সেই কৌটো বোমাকে খেলনা ভেবে খেলতে যাই দুই শিশু। একটি কৌটো বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে ওই এলাকায় আরও চারটি কৌটো বোমা পড়ে আছে। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছই সালার থানার পুলিশ। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ওই বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    জখম শিশুর এক পরিবারের সদস্য বলেন, আক্রান্ত শিশু আমার ভাইপো। এভাবে যেখানে  সেখানে বোমা ফেলে রাখা অন্যায়। আরও হয়তো অনেক বোমা গ্রামে পড়ে রয়েছে। পুলিশ তল্লাশি করলে খুঁজে পাবে। আমাদের দাবি, যে বা যাদের জন্য আমাদের বাড়ির দুই সন্তান এভাবে জখম হল, তাদের আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গড়বেতায় বিজেপির কর্মীকে পার্টি অফিসের ভিতরে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গড়বেতায় বিজেপির কর্মীকে পার্টি অফিসের ভিতরে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। ফের বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্টকে তুলে নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবং, দাঁতনের পর এবার ঘটনাস্থল গড়বেতার মায়তা অঞ্চলের খুনবেড়িয়া। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। শাসক শিবির যাই বলুক না কেন একের পর এক অভিযোগে শাসকদলের অন্তরে অস্বস্তি যে ক্রমে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী ঠিক কী অভিযোগ?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট বরুণ রুইদাসকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কা অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার গভীর রাতে ওই বিজেপি কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতেই বিজেপি কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছায় রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সমিত দাস সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সহ সভাপতি সমিত দাস বলেন, বিজেপি পোলিং এজেন্টের কাছে পিকনিকের টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় দলীয় কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়। আর আক্রান্ত কর্মী জল চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার নামে আষাঢ়ে গল্প ফাঁদছে বিজেপি (BJP)। পাড়াগত বা পারিবারিক গণ্ডগোল হলেও তৃণমূলের নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা তৈরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood in North India: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি উত্তর ভারতে! রোজই মিলছে মৃত্যুর খবর

    Flood in North India: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি উত্তর ভারতে! রোজই মিলছে মৃত্যুর খবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় (Flood in North India) জনজীবন বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লিতে। একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে, এর জেরে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে রাজধানীর রেড ফোর্ট, রাজঘাটের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যমুনা ফুঁসছে, তবে এখনও আশার বাণী শোনাতে পারেননি হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। আবারও বৃষ্টি হবে বলে সতর্কবার্তা জারি করেই চলেছে মৌসম ভবন। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। একই অবস্থা উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলেরও। হরিদ্বারে সাত বছরের শিশু সমেত তিন জন ভেসে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে। একাধিক রাস্তা সেখানে ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে উত্তরাখণ্ডে প্রায় ৬০০ এর কাছাকাছি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।

    জনজীবন স্তব্ধ উত্তরাখণ্ডে

    হরিদ্বার, ভগবানপুর, লস্কর এবং রুরকি এই সমস্ত জায়গার অবস্থা খুব খারাপ। এই সমস্ত এলাকার মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খাবারের প্যাকেট, পানীয় জল এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, বন্যার (Flood in North India) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ এবং সেনা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার হরিদ্বারের বন্যাকবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। রোজই মিলছে মৃত্যুর খবর। সূত্রের খবর, হাবিবপুর কুণ্ডি গ্রামে সৎপাল নামে ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জলের তোড়ে নিঁখোজ। আবার বাসেদি খাদার গ্রামে বন্যার জলে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে অজয় কুমার নামে ২৭ বছরের এক যুবকের।

    জলস্তর নামলেও বিপদসীমা থেকে অনেকটাই ওপরে বইছে যমুনা

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে যমুনার জলস্তর কিছুটা নেমেছে। কিন্তু এতেও পরিত্রাণ নেই কারণ বিপদসীমা থেকে এখনও অনেকটা ওপরে যমুনা বইছে। তথ্য বলছে, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল যমুনার জলস্তর। ৫০ বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছিল যমুনা। ছুঁয়ে ফেলেছিল ২০৮.৬৬ মিটার। বিপদসীমার (Flood in North India) থেকে তিন মিটার বেশি। তবে সূত্রের খবর, সামান্য কিছুটা পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে শুক্রবার। জলস্তর এখন ২০৭.৯৮ মিটার। এদিকে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। নীচু জায়গায় বসবাস করেন, এমন হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    দিল্লিতে ভেসে গিয়েছে তিন শিশু? 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির মুকুন্দপুর চকে চলছে মেট্রোর কাজ। স্থানীয়দের দাবি, বানের জলের তোড়ে শুক্রবার ভেসে গিয়েছে তিন শিশু। নিখিল, পীযুষ ও আশিস নামে তিন নাবালকের ভেসে যাওয়ার খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় পুরো এলাকায়। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে এই পুরো ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই জায়গা ঘিরে দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে।

    সক্রিয় এনডিআরএফ-এর টিম

    জানা গিয়েছে, বর্তমানে বন্যা (Flood in North India) মোকাবিলায় দিল্লিতে কাজ করছে ১৬টি এনডিআরএফ-এর টিম। সূত্রের খবর, দিল্লির কমলা নগর, কালকাজি, পটেল নগর, শাস্ত্রী নগর, গোবিন্দপুরীর মতো একাধিক জায়গায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে,  আগামী ৪-৫ দিনও দিল্লিতে আরও ভারী বৃষ্টি হবে। ১৭ ও ১৮ জুলাই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। দিল্লির এমন বন্যা পরিস্থিতি শুধুমাত্র বৃষ্টির জলে নয়, অন্য রাজ্য থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই অবস্থা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে (TMC) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নান্টি গাজি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায় ভোটের ফল ঘোষণায় তৃণমূল জয়ী হয়। অনেক আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল (TMC)  জয়লাভ করে। ভোটে জেতার আনন্দে শুক্রবার এলাকায় বিজয় উৎসব চলে। সেই ঘটনার পর রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আইএসএফের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে।  কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় বোমাবাজি করার প্রতিবাদ করতে যান। তারপরই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের  লক্ষ্য করে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে  তৃণমূল কর্মীরা ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। ছুটতে গিয়ে নান্টু গাজি নামে ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তায় পড়ে যান। ওই অবস্থায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসকরা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করা হয়।   সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, ভোট তৃণমূল অধিকাংশ আসনে জিতে গিয়েছে তা আইএসএফ কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। বিজয় মিছিল হওয়ার পর ওরা সন্ত্রাস করতে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ করার দলীয় কর্মীকে এভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

    বাসন্তীতে চলল গুলি

    বাসন্তীতে ফের চলল গুলি। গুলিতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল (TMC)  কর্মী। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শামিম সর্দার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের তির আর এস পির দিকে। রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল বিধয়াক পরেশরাম দাস বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। আরএসপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটছে। এরসঙ্গে আরএসপির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাটে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাটে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর ছাড়া শতাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন ঘরছাড়াদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়। একই অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলাতেও। সেখানে মহিলা সহ শিশুরা আশ্রয় নিয়েছে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর ছাড়া বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা

    জেলাজুড়ে বর্তমানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ১০০ বেশি দলীয় কর্মী সমর্থক আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সকলেই শাসক দলের দুষ্কৃতিদের দ্বারা অত্যাচারিত। শুধুমাত্র বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নয় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নিকট আত্মীয়র বাড়িতে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রাণ সংশয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে ঘরছাড়াদের, ভাঙা হয়েছে বাড়িঘর। বাড়িঘর ছেড়ে এখন এই সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়। জেলা কার্যালয়ে তাদের থাকা ও খাওয়ার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকি। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে জেলার শতাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক ঘরছাড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে সব জায়গায় জয়ী ও পরাজিত হয়েছে সব জায়গাতেই এই সন্ত্রাস সমান ভাবে চলছে। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশকে হামলার প্রসঙ্গে জানালে সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর তারা আসছে। ততক্ষণে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাই প্রাণভয়ে পরিবার সহ বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তারা আদৌ ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রতিদিনই ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়। এই বিষয়ে এক ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘আমাদের ওপর ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের কর্মীরা হামলা করছে, প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি কিন্তু পুলিশের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। সেই জন্য আমরা জীবন বাঁচাতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের আগে এবং ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। শতাধিক কর্মকর্তারা বাড়ি যেতে পারছে না। তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে তাই তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে  পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছে।

    আলিপুরদুয়ারেও একই ছবি 

    জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা এখন ঘরছাড়া। অভিযোগ, শাসক দল আশ্রিত  দুষ্কৃতীদের হুমকি, চমকানিতে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই থাকতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই এসে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে। সাত মাসের দুধের শিশু কোলে সদ্য নির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সদস্যা সহ আরও কয়েকজন মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যার এখন ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। এছাড়া পুরুষ পঞ্চায়েত সদস্যরাও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন দলের জেলা কার্যালয়ে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তাঁরা এসে জেলা কার্যালয় আশ্রয় নিলেও এখন যেন তারা সকলে একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে ঢালা বিছানায় রাতে ঘুমোচ্ছেন, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সারছেন। ওই নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা জানেন না, তাঁরা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা। বিজেপির মিডিয়া সেলের জেলা মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের পাতলাখাওয়া, চকোয়াখেতি পূর্ব কাঠালবাড়ি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবারেও তৃণমূলের ভোট লুট,বুথ জ্যামের পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি সদস্যরা সেখানে জয়ী হয়েছেন। বিজেপি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড  দখল করতে পারবে, সেটা বুঝতে পেরেই শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলের নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর দলত্যাগের চাপ সৃষ্টি করেছে। বাধ্য হয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় আমাদের রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।’’ সাত মাসের শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতা আমাকে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মানুষের রায়কে সম্মান জানাতে দুধের শিশুকে কোলে নিয়েই পার্টি অফিসে চলে এসেছি। গ্রাম পঞ্চায়েত  বিজেপির বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না।’’ জেলা পার্টি অফিসে আশ্রয় নেওয়া আরেক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘‘আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে  মানসিক চাপ দিচ্ছে এলাকারই কিছু শাসকদলের নেতা। তাই বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share