Tag: Bengali news

Bengali news

  • Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) মাধ্যমে রাজ্যে বদলে যেতে চলেছে বহু স্টেশন। একের পর এক স্টেশন সেজে উঠবে। বদলে যাবে পরিষেবা। উন্নতমানের একের পর এক নয়া রেল স্টেশন তাক লাগাবে দেশজুড়ে। রবিবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই প্রকল্পকে ঘিরে ছিল আলাদা উন্মাদনা।

    রাজ্যে কোন স্টেশনে কত টাকা বরাদ্দ?

    প্রথম দফায় ভার্চুয়ালি দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পূর্ব রেলের আওতায় একাধিক স্টেশনের পুনর্গঠনের শিলান্যাস হল। আসানসোল, হাওড়া, মালদা, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের স্টেশনগুলিতে কতটাকা খরচ হবে? জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্টেশনের জন্য খরচ হবে ৪৩১ কোটি টাকা। বর্ধমান স্টেশনে খরচ হবে ৬৪.২ কোটি টাকা। মালদা টাউন স্টেশনের জন্য খরচ ৪৩ কোটি টাকা। রামপুরহাটের জন্য খরচ ৩৮.৬ কোটি টাকা। কাটোয়া জংশনের জন্য খরচ ৩৩.৬ কোটি টাকা। শিয়ালদহ স্টেশনের জন্য খরচ ২৭ কোটি টাকা। বারাকপুর স্টেশনের জন্য ২৬.৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজিমগঞ্জ স্টেশনের জন্য ৩১. ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক স্টেশন পুনর্গঠনের মধ্যে থাকবে এস্কালেটর ব্যবস্থা। থাকবে পার্কিংয়ের অত্যাধুনিক সুবিধা। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প। স্টেশনগুলি পুনর্গঠনের ফলে আরও ভাল হবে যাত্রী পরিষেবা।

    অমৃত ভারত প্রকল্পে হাজির হয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা?

    এদিন আজিমগঞ্জ রেল স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। রেল আধিকারিকদের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প কার্যকরী হলে এই স্টেশনের ভোল বদলে যাবে। শান্তিপুর স্টেশনে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, এই রাজ্যে শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতি হয়, উন্নয়ন কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য কী করছেন তা কিছুদিনের মধ্যে এখানকার মানুষ তা বুঝতে পারবেন। আগামীদিনে বিজেপি ভাল ফল করলে আরও উন্নয়ন হবে। আসানসোল স্টেশনে এই প্রকল্পের অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, এই রাজ্যের জন্য সব সময় প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swami Vivekananda: স্বামী বিবেকানন্দকে লাভ করা মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া চাই

    Swami Vivekananda: স্বামী বিবেকানন্দকে লাভ করা মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া চাই

    স্বামী অলোকেশানন্দ

    “মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য বিবেকানন্দ লাভ।” উক্তিটি আমার। ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ। আমি বলি, আগে বিবেকানন্দকে লাভ করো দেখি। অবশ্য এই কথা বলতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) দুটি কথা আমার মনে পড়ছে। বিবেকানন্দ বলছেন, ১) “শ্রী রামকৃষ্ণ নিজেকে স্থূল অর্থেই অবতার বলে মনে করতেন, যদিও এর ঠিক কী অর্থ, তা আমি বুঝতে পারতাম না। আমি বলতাম, বৈদান্তিক অর্থে তিনি হচ্ছেন ব্রহ্ম।” ২) “কোনও জাতিকে এগিয়ে যেতে হলে তার উচ্চ আদর্শ থাকা চাই। সেই আদর্শ হবে পরব্রহ্ম। কিন্তু তোমরা সকলেই কোনও বিমূর্ত আদর্শের (abstract ideal) দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারবে না বলেই তোমাদের একটি ব্যক্তির আদর্শ অবশ্যই প্রয়োজন।”

    স্বামীজিকে (Swami Vivekananda) আমার ভীষণ প্রয়োজন

    আমি এই দুটি কথা মনেপ্রাণে মান্য করি। এই জগতে সুস্থ জীবনযাপন করতে, সৎ পথে থাকতে, দৃঢ় চরিত্র তৈরি করতে, নিঃস্বার্থ পরায়ণ হতে, অন্যের দুঃখে দুঃখী হতে, এক কথায় নিজের জীবন দিয়ে অন্য সকলের সুখসুবিধা করে দিতে এক আদর্শ মহামানব (আমার কাছে ) ভগবান হলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাকে লাভ করা মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য হত্তয়া চাই। একথা বলে আমি শুধু আমার ‘বোধ’কে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। একথা কেউ মানতে পারেন বা নাও পারেন, এটি আমার সম্পূর্ণ বোধ স্বামী বিবেকানন্দের সম্বন্ধে। 
    সত্যি কথা বলতে কি ব্রহ্ম, পরব্রহ্ম, ভগবান, ভগবতী, যীশু, কৃষ্ণ, চৈতন্য, বুদ্ধ, রাম, রামকৃষ্ণ এবং আরও আরও অনেক অবতারকে চোখে দেখতে পাইনি। তাদের বাণীর অর্থ বিরাট এক উচ্চ তত্ত্বের ধারণা দেয়। যে সমস্ত দর্শন বা বোধ তাদের হয়েছিল, তার একাংশও আমি বুঝতে পারি না। কিন্তু জীবনে চলার পথে, সুস্থ সমাজ গড়তে, নিজেকে প্রকাশ করতে অর্থাৎ নিজের ভিতরের শক্তিকে প্রকাশ করতে স্বামীজিকে (Swami Vivekananda) আমার ভীষণ প্রয়োজন। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে। শুধু আজ নয়, ভবিষ্যতেও তার প্রয়োজন মানুষ বুঝবে বলে মনে করি। 
    কারণ খুব উচ্চ আদর্শ আমি বুঝি না, মাথা কাজ করে না। যে আদর্শ শ্রী রামকৃষ্ণ দেখিয়েছিলেন, কীভাবে মা ভবতারিণীকে লাভ করা যায়, তার সাথে কথা বলা যায়, আবদার করা যায়। মনের বোধের সঙ্গে একাত্মতা লাভ করা শ্রী রামকৃষ্ণ দেখিয়েছেন।

    শিবজ্ঞানে সেবা (Swami Vivekananda) 

    আর আমি একটু ধ্যানে বসলেই যত রাজ্যের কথা ওই সময় মাথায় আসে, যাকে নিয়ে ভাবার কথা, তাকে না ভেবে বা চিন্তা না করে আর সব চিন্তা হয়। আসলে আমার মত সাধারণের চিন্তা লিঙ্গ, গুহ্য ও নাভিতেই পড়ে থাকে। অথবা মনে মনে দেহ, ইন্দ্রিয় সুখের কথা ভাবি। কিন্তু স্বামীজিকে ভাবলে, তার জীবন দর্শন দেখলে বা জানলে বুঝতে পারি, তার নিঃস্বার্থপরতা, তার জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের প্রতি ভালবাসা, তার ত্যাগ, বিবেক, বৈরাগ্য, সহনশীলতা, মর্যাদা বোধ ইত্যাদি ইত্যাদি আদর্শের বৈশিষ্ট্যগুলি আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে। তার জীবন ও বাণী পড়লে মনে হয়, মানুষের জন্য ভালবাসা ও দরিদ্রদের জন্য ভালবাসা বোধহয় তার থেকে অন্য আর কেউ ভাবেনি। শ্রী রামকৃষ্ণদেব বলছেন, “চোখ বন্ধ করলে তিনি আছেন আর চোখ খুললে তিনি নেই?” এই ভাবকে স্বামীজি (Swami Vivekananda) সবার সামনে এনে দিলেন যে মানুষের প্রতি ভালবাসা। দরিদ্র মানুষ, যারা দু’ বেলা ঠিকমত খেতে পায় না, তাদের শিবজ্ঞানে সেবা। এই যুগে তিনি সর্বসমক্ষে বলেছিলেন, দরিদ্রদের সেবা করার অর্থ সরাসরি ভগবানের সেবা করা। তিনি তাই এই সেবার ভাব জগতে চালিয়ে দিয়ে গেলেন। এর থেকে সহজ উপায় আমি আর দেখি না, নিজের মুক্তির জন্য অন্যের সেবা করা। তাই স্বামীজি এই ভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে গেলেন।

    পড়ুন, জানুন (Swami Vivekananda) 

    তার এইসব কথা বাণী, রচনাতে আমরা পাবো। তার (Swami Vivekananda) জীবনী পড়ে পাঠকদের বলবো জানতে। সব আমি গুছিয়ে বলতে পারি না। নিজেরা পড়ুন, জানুন, সেই বিষয়ে নিদিধ্যাসন করুন, তারপর বোধ হবে আমার থেকেও ভাল। তার বাণী, রচনাতে সব বিষয়ে লেখা আছে। আমার ভাল লাগে তার কথা বা বাণীগুলি যুবক-যুবতীদের বেশি আকর্ষণ করে। পড়লে মনে হয় যেন শুধু যুবকদের জন্যই স্বামীজি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharya: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, বাড়িতে ফিরেও সাবধানে থাকতে হবে বুদ্ধদেবকে

    Buddhadeb Bhattacharya: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, বাড়িতে ফিরেও সাবধানে থাকতে হবে বুদ্ধদেবকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের আর দরকার নেই। রোগের সঙ্গে লড়াই করে আগের তুলনায় বেশ ভাল আছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharya)। তাঁর সিআরপি ২০ র নিচে রয়েছে। জানা গেছে, সংক্রমণ আর নতুন করে হচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাড়িতে গিয়েও নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে বুদ্ধবাবুকে। বাড়িতে ফেরার বিষয়ে আগামীকাল একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, এরকমই সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

    কী বললেন চিকিৎসকরা (Buddhadeb Bhattacharya)?

    নতুন করে সংক্রমণ হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। কিন্তু সংক্রমণ যাতে আর দ্রুত না ছড়ায়, তাই বাড়িতে ফিরে কড়া বিধির মধ্যেই থাকতে হবে তাঁকে। বুদ্ধবাবুর (Buddhadeb Bhattacharya) খুব কাছের ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে কাছাকাছি যেতে না বলেছেন চিকিৎসকরা। শারীরিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, ঠিক কবে থেকে বিধিনিষেধ কম করা হবে। সূত্রে আরও জানা গেছে, বাইপ্যাপ সাপোর্টে বেশ ভাল রয়েছেন বুদ্ধবাবু।

    স্বাস্থ্য বুলেটিনে কী বলা হয়েছে?

    রবিবারে স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুদ্ধবাবুর (Buddhadeb Bhattacharya) রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক। আর্টারিয়াল চ্যানেল খুলে ফেলা হয়েছে। হাত ও পায়ে করা চ্যানেলগুলি খুলে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার সমস্ত রিপোর্টই বেশ ভাল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধবাবু। সব ঠিক থাকলে তাঁকে ছাড়ার বিষয়ে আগামি কাল সিদ্ধান্ত হতে পারে।

    কেন হাসপাতালে যেতে হয়েছিল

    ২৯ জুলাই ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আর তারপরে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কয়েকদিন পর তাঁর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি দেখা গেছে। কড়া মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর শরীরে খাবারের জন্য নল লাগানো হয়েছিল। খেতে হচ্ছে এই রাইলস টিউবের মাধ্যমেই। চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা বলেন, এখনও পর্যন্ত অতটা খেতে পাচ্ছেন না। শরীর অনেকটাই দুর্বল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: বড়ঞায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে মাথা কেটে উধাও অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Rape: বড়ঞায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে মাথা কেটে উধাও অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে যুবতীকে ধর্ষণের (Rape) পর খুন করে কাটা মুণ্ডু নিয়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত। শনিবার রাতে হারহিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার বিছুর গ্ৰামে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। যুবতীর কাটা মুণ্ডু রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যুবতীর পরিচয়ও জানা যায়নি।  রাজ্যে মহিলাদের যে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিছুর গ্রামে হুড়োগাছা পুকুরের পাশে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার রাতে ওই পুকুরের পাশে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুকুরের পাশেই তাঁর দেহ পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। শনিবার রাতে ওই যুবতীকে প্রথমে ধর্ষণ (Rape) করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কার্যত নৃশংসভাবে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই খুনি ওই কাটা মুণ্ডু নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়ঞা থানার পুলিশ প্রশাসন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দা চিন্ময় রায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা শুনেই আতঙ্ক লাগছে। আমাদের এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এই যুবতী অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে বলে জানতে পারছি। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। মর্মান্তিক এমন ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যে বা যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মাহে আলম বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তবে, ওই যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনাটি আমাদের থানা এলাকার নয়। অন্য কোথাও  অপকর্ম করে এই এলাকায় দেহ ফেলে যেতে পারে। তবে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তারা এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে পারবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা শংকর তরফদার বলেন, রাজ্যে খুন, ধর্ষণ (Rape)  লেগেই রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দিমৃত্যু কাণ্ডে ওসির পর এবার সাসপেন্ড আইও

    Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দিমৃত্যু কাণ্ডে ওসির পর এবার সাসপেন্ড আইও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবগ্রামে (Murshidabad) গতকাল চোর সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির লকআপের খুনের ঘটনায় তীব্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল ঘটনায় তদন্তের গাফিলতির জন্য নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভকতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার সাসপেন্ড করা হল থানার তদন্তকারী অফিসার শ্যামল মণ্ডলকে। উল্লেখ্য চোর সন্দেহে গোবিন্দ ঘোষকে ধরে আনে পুলিশ, এরপর লকআপের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবার এই মৃত্যুকে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আর এই খুনের বিচার চেয়ে থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পাল্টা পুলিশ লাঠি, টিআর গ্যাস ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। আর এই ঘটনায় রীতিমতন পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে নবগ্রাম।

    পুলিশের বক্তব্য (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মৃতদেহের সৎকারের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য আবেদন করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে উত্তেজনাকে শান্ত করার আবেদন করা হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু পুলিশের প্রতি গ্রামবাসী এবং মৃতের পরিবারে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।

    তদন্ত কোন পথে?

    বহরমপুর (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং আটজন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে মৃত গোবিন্দ ঘোষের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন তদন্তের সময়। মৃতের বাবা ষষ্ঠী ঘোষ বলেন, “আগামীকাল ওসি এবং আইও এর বিরুদ্ধে খুনের মামালা করব”। তিনি আরও বলেন, এই খুনের পেছনে থানার ওসি এবং তদন্তের আইও বিশেষ ভাবে যুক্ত রয়েছে। থানার লকআপে মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় পুলিশের বিরদ্ধে সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: পিস রুমের পর ‘পিস ট্রেন’ চালুর প্রস্তাব রাজ্যপালের, কী বললেন সুকান্ত?

    C V Ananda Bose: পিস রুমের পর ‘পিস ট্রেন’ চালুর প্রস্তাব রাজ্যপালের, কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের উৎসবে যোগদান করে শিয়ালদহ স্টেশনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বললেন, রাজ্যে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ‘পিস ট্রেন’ চালানো দরকার। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এই ট্রেনের জন্য আবেদন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কেন পিস ট্রেন (C V Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) এবং রাজ্যর সংঘাতে ফের বিতর্ক। রাজ্যপাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। জেলায় জেলায় উত্তর থেকে দক্ষিণে হিংসার কথা, অভিযোগ জানানোর জন্য রাজভবনে পিস রুম চালু করেন। এমনকি রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি তিনি বারবার বলেন, রাজ্যের প্রধান শত্রু হল হিংসা এবং দুর্নীতি। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। রাজ্যে বেআইনি ভাবে উপাচার্য নিয়োগের বিরুদ্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা তুলে ধরেছেন। উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য পাল্টা হাইকোর্টে গেলে, রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রাজ্যেপালের রাজভবনকে ‘মোবাইল রাজভবন’ হিসাবে চিহ্নিত করেন রাজ্যপাল। ১৫ই অগাস্টের সময় রাজ্যপালের কাছে ৭১ জন বন্দির মুক্তির সুপারিশ করে রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের এই আবেদনকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মতভেদ তীব্র। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যপাল পিস ট্রেন চালানোর কথা বলেন। আর তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) রাজ্যের সহযোগিতায় কাজ করছেন না, তিনি পিস ট্রেনের কথা কেন বলছেন! সারা দেশে কি অশান্তির ট্রেন চলছে? অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির দালাল, রাজভবনের টাকায় নিজের বই প্রকাশ করছেন। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দেশের কোথাও এত হিংসা নেই। কিছু হিংসার চিত্র কেরলে দেখা গেলেও এই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার খবর সবথেকে বেশি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার হিংসার জন্ম দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল (C V Ananda Bose ঠিকই বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Bjp: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ-বিজেপির, ১৫টি জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ

    Bengal Bjp: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ-বিজেপির, ১৫টি জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি (Bengal Bjp)। ঢেলে সাজানো হচ্ছে জেলায় জেলায় সংগঠনকে। রবিবার ১৫টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল হল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার , শিলিগুড়ি, বনগাঁ, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া শহর, আরামবাগ, তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, যাদবপুর এই ১৫ জায়গায় সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হয়েছে। বাকি জেলার সভাপতিরা অপরিবর্তিত থাকছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। ২৮টি জেলায় আগের সভাপতিরা রয়ে গেলেন।

    লোকসভার আগে কোনঠাসা শাসক দল তৃণমূল

    লাগামছাড়া সন্ত্রাসের পরেও সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম সভায় বিজেপি (Bengal Bjp) ১০ হাজারের বেশি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বুথে বুথে যেভাবে বিজেপি কর্মীরা লড়াই দিয়েছেন তাতে খুশি কেন্দ্রের নেতারা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন কয়েক পরেই বঙ্গ বিজেপির (Bengal Bjp) শীর্ষ নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করা হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা সমেত লোকসভা ভোটের রূপরেখাও তৈরি করে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপরেই তেড়েফুঁড়ে নামল গেরুয়া শিবির (Bengal Bjp)। জেলায় জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ শুরু হল। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি, সন্ত্রাস সমেত একাধিক ইস্যুতে কোনঠাসা রাজ্যের শাসক দল। প্রতিদিনই কোর্টে ভর্ৎসিত হচ্ছে রাজ্য। এই আবহে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে শাসক দলের মদতে লাগামছাড়া সন্ত্রাসও সারা দেশে খবরের শিরোনামে এসেছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতির প্রতিফলন লোকসভা ভোটে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

    তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ বিজেপিতে যেতে পারে

    অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূলের যেভাবে আঁতাত হয়েছে জাতীয় স্তরে, তা ভালভাবে নেয়নি নিচুতলার সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। কারণ এখানে তাঁদেরও রোজ মার খেতে তৃণমূলের হাতে। তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেদিক থেকে দেখলে কেন্দ্রীয় বিজেপির (Bengal Bjp) কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বাংলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)। ফের উদ্ধার প্রচুর জিলোটিন স্টিক। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরকগুলি কে বা কারা মজুত করল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কোথায় থেকে উদ্ধার হল জিলোটিন স্টিক?

    রবিবার সকালে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের রদিপুরের কাছে আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রায় ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার পিস জিলোটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কে বা কারা পরিত্যক্ত বাড়িতে জিলোটিন স্টিক মজুত করে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বিপুল পরিমাণ জিলোটিন স্টিক মজুতের নেপথ্যে ছকই বা কী ছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     এর আগে নলহাটিতে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিলোটিন স্টিক?

     গত ২৮ জুন সকালে আচমকাই বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাহাদুরপুরে তৃণমূল নেতা মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদানে হানা দেয় এনআইএ আধিকারিকরা। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘন্টা সেখানে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সেই সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই খাদানের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণ জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। এরপর পুনর্নির্বাচনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষকে জেরা করে বীরভূমের কুশমোড়ের ইসলাম চৌধুরীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ রয়েছে। কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তিনি। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় এনআইএ। ইসলাম চৌধুরীকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রামপুরহাট থেকে জিলোটিন স্টিক উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Encounter: ৩ সেনা মৃত্যুর বদলা, উপত্যকায় ফের এনকাউন্টারে খতম ১ জঙ্গি

    Kashmir Encounter: ৩ সেনা মৃত্যুর বদলা, উপত্যকায় ফের এনকাউন্টারে খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির বুধল এলাকায় গুন্ধা-খাওয়াস গ্রামে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) খতম হয়েছে ১ জঙ্গি। সূত্রের খবর, এই এলাকায় আরও অনেক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, আর তাই এই এনকাউন্টার অভিযান এখনও চলছে। গত শুক্রবার প্রাণ গিয়েছিল ৩ জন সেনার, তাই আপাতত এক জঙ্গির মৃত্যকে সেনার বদলা হিসাবে দেখতে চাইছেন নিরাপাত্তা উপদেষ্টার বিশেষজ্ঞরা।

    কেন এনকাউন্টার (Kashmir Encounter)?

    গত শুক্রবার কাশ্মীর উপাত্যকায় জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন সেনা জওয়ান। আর পাল্টা জবাব হিসাবে রাজৌরি জেলায় সেনা বাহিনীর স্পেশাল এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ইতি মধ্যে রাজৌরির গুন্ধা-খাওয়াস গ্রামে এই এনকাউন্টার অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য আগেও জম্বু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। কুলগামে হালানে উঁচু এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে, নির্দিষ্ট এই খবর পেয়ে গত ৪ অগাস্ট অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। কুলগামের হালান জঙ্গলে জঙ্গিদের তল্লাশির সময় আচমকা পিছন থেকে হঠাৎ আক্রমণ করে জঙ্গিরা। আর এই সংঘর্ষে প্রথমে আহত হন তিন সেনা এবং এরপর হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করার সময় প্রাণ হারান তিনজন সেনা।

    কী বলেন অতিরিক্ত ডিজিপি?

    জম্মু-কাশ্মীরের অতিরিক্ত ডিজিপি মুকেশ সিং বলেন, “ঘটনােস্থলে পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছে। এনকাউন্টারের (Kashmir Encounter) অপারেশন এখনও চলছে। জঙ্গিদের দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।”

    এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে ৫ কমান্ডো-সহ ১০ সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় পৃথক এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) তাঁদের মৃ্ত্যু হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে (Poonch) সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, এই দুই এলাকা গত দুই দশক ধরে জঙ্গিমুক্ত করা হবে বলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার বিজেপি (BJP) করে। এটাই তার অপরাধ। আর সেই অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী রামেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি ভবানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, টুম্পা হাজরা নামে এক স্কুল ছাত্রী কয়েকদিন আগেই কন্যাশ্রীর ফর্ম নেওয়ার জন্য স্কুলে আসে। সে স্কুলে এসে অভিযুক্ত রামেশ্বর রায়ের কাছে ফর্ম চায়। অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় ছাত্রীকে বলেন, তোমরা যেখানে সেখানে ভোট দেবে আর কন্যাশ্রীর জন্য আমার কাছে আসবে? পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে স্কুলছাত্রী বাড়িতে এসে সমস্ত কথা জানায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় বলেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে আমি অস্থায়ী ক্লার্ক হিসাবে কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এটা বিজেপির (BJP)  চক্রান্ত।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহা বলেন, বেশ কয়েকজন এসেছিল আমাকে অভিযোগ জানিয়েছে। আমার তো মনে হয় এসব ভিত্তিহীন কথা। যারা অভিযোগ জমা দিয়েছে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে, যেহেতু অভিযোগ এসেছে, সেটা তদন্ত করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    একটি স্কুলে কীভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ময়নাগুড়ি বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর নিতাই রায়। তিনি বলেন অন্যান্য ক্ষেত্রে তো তৃণমূল  রাজনীতি করছেই এবার ছাত্রদের ক্ষেত্রেও তাঁরা রাজনীতি ঢুকিয়ে দিল। যা খুব নিন্দনীয় বিষয়। বিজেপি নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি (BJP) করার অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম দেওয়া যাবে না, এটা তাজ্জব বিষয়। আমার স্ত্রী রত্না রায় এবার ভোটে জিতেছে। সেই ছাত্রীর বাবা বিজেপি করতেই পারে। এটাই কি তার অপরাধ। অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে কন্যাশ্রী করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করেন। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে  বিষয়টি আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে  লিখিত আকারে দিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে,তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ১নং ব্লক সভাপতি মনোজ রায় জানান, বিজেপি (BJP) বিষয়টি পরিকল্পিত ভাবে সাজিয়েছে। তৃণমূলকে কলুষিত করার জন্য এই রকম মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share