Tag: Bengali news

Bengali news

  • TMC: ব্যুমেরাং! তৃণমূলে যোগ দিয়ে তবেই বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র জয়ী সিপিএম প্রার্থীর

    TMC: ব্যুমেরাং! তৃণমূলে যোগ দিয়ে তবেই বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র জয়ী সিপিএম প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের অত্যাচার যেন ফিরে এসেছে তৃণমূলের নামে। সিপিএম না তৃণমূল (TMC) কার সন্ত্রাস বেশি? এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দিকে দিকে। কেউ সিপিএমকে এগিয়ে রাখছেন তো কেউ তৃণমূলকে। এই আবহে তৃণমূলের অত্যাচারে বাড়ি থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ সিপিএমের জয়ী প্রার্থীর। অবশেষে তৃণমূলে যোগদান করার পর বাড়ি ফেরার আশ্বাস মিলেছে। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর টেংরিডাঙ্গা এলাকার।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন আব্দুল শেখ। সেখানে তিনি জয়লাভও করেন। উল্লেখ্য গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২১ টি রয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে দশটি আসন। আর তৃণমূল (TMC) পেয়েছে নয়টি আসন। পাশাপাশি সিপিএমের আসন সংখ্যা ছিল একটি এবং অন্যান্য একটি। অভিযোগ ওঠে সিপিএম প্রার্থীর জয় লাভের পরেই প্রাক্তন তৃণমূল প্রধানঁ তার দলবল নিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বাড়ির উপর চড়াও হয়। বাড়ি ভাঙচুর সহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে লাগাতার। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি সেদিন শান্তিপুর বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করলেন। তৃণমূলে যোগদান করার পরেই তিনি সরাসরি শান্তিপুর থানায় চলে আসেন। প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বলছেন সিপিএম প্রার্থী?

    এ বিষয়ে সিপিএম প্রার্থী আব্দুল শেখ বলেন, ‘‘আমি জয়লাভ করার পর থেকেই ওই এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান হেরে যাওয়ার কারণে আমার বাড়ির উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল। আমি বাড়িতে ঠিকমত থাকতে পারছিলাম না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করি।’’ শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়ন দেখে অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং তারা তৃণমূলে যোগদান করছেন। ঠিক সেই রকম গয়েশপুরের এই সিপিএম প্রার্থী উন্নয়নের সামিল হতে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদির জনমুখী কর্মসূচিতে মুগ্ধ, বিষ্ণুপুরের নির্দল প্রার্থীর যোগদান গেরুয়া শিবিরে

    BJP: মোদির জনমুখী কর্মসূচিতে মুগ্ধ, বিষ্ণুপুরের নির্দল প্রার্থীর যোগদান গেরুয়া শিবিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরে বুধবারই গেরুয়া শিবিরের (BJP) এক জয়ী সদস্যকে নিজেদের দলে টেনেছিল তৃণমূল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তন তৃণমূল বলে পরিচিত এক ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজেদের দলে টেনে নিল বিজেপি। এর ফলে বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে শক্তি বৃদ্ধি করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে শ্যামল ব্যানার্জি নামে ওই ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা।

    আরও পড়ুন: “‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে সমীকরণ

    প্রসঙ্গত, ১২ আসন বিশিষ্ট বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার ৬ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল, পাঁচটিতে বিজেপি (BJP) ও একটিতে ‘নির্দল’ প্রার্থী জয়লাভ করেন। এর আগে বুধবার সকালে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত সলমা মুর্ম্মু নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিজের দলে টেনে নেয় তৃণমূল। এবার ‘প্রাক্তন’ তৃণমৃল কর্মী হিসেবে পরিচিত অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬ নম্বর আসন থেকে জিতে আসা শ্যামল ব্যানার্জিকে নিজেদের দলে টেনে শাসক দলকে ধাক্কা দিল বিজেপি।

    কী বলছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপিতে আসা ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামল ব্যানার্জি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির জনমুখী কর্মসূচিতে মুগ্ধ হয়েই আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে পারবে একমাত্র বিজেপি।’’ এদিন দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে শ্যামল আরও বলেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল।’’ অন্যদিকে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বলেন, ‘‘নির্দল প্রার্থী আমাদের সঙ্গে এসেছেন, আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করব আমরা।’’ তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দিব্যেন্দু ব্যানার্জি বলেন, ‘‘কে কার আদর্শে অনুপ্রাণিত হবে সেটা আমাদের ভাবার বিষয় নয়।’’ মানুষ উন্নয়ন ও তৃণমূলের সঙ্গে আছে বলে তিনি দাবি করেন।

     

    আরও পড়ুন: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    BJP: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জে আত্রেয়ী নদীর ধার থেকে ৪০টি ব্যালট উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবারই। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। দেখা যায়, ব্যলটগুলিতে অধিকাংশ ভোটই বিজেপিতে পড়েছে। খবর পাওয়া মাত্র ওই স্থানে আসেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।  নদীর ধারে জঙ্গলের মধ্য থেকে যে ব্যালটগুলি পাওয়া গিয়েছে, কুমারগঞ্জের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যালট বলে জানা গিয়েছে। ব্যালট উদ্ধারের স্থান থেকে গণনা কেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কুমারগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    বিজেপির (BJP) বিক্ষোভে উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ, লাঠিচার্জ পুলিশের

    বিডিও অফিসের সামনে কুমারগঞ্জ রাজ্য সড়কও অবরোধ করেন বিজেপির কর্মীরা। পুলিশ ও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিক্ষোভে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম বিজেপি কর্মীকে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। লাঠিচার্জে আহত এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘আমি একজন বিজেপির প্রার্থী। শুনতে পেলাম আমাদের ব্যালট পেপার নদীতে ফেলে দিয়েছে। সেই খবর শুনে আমরা ওই স্থানে যাই। আমরা বিডিওর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ব্যালট পেপার কেন ফেলা হল? আমাদের নেতারা বিডিও অফিসের ভিতরে গিয়েছিল, আমরা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে। পুলিশ-প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে এই সব করেছে। আমরা কোনও অশান্তি করিনি।’’

    কী বলছেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘‘ভোটের নামে রাজ্যে প্রহসন হচ্ছে। বটুন পঞ্চাতের ব্যালট পেপার কুমারগঞ্জের গণনা কেন্দ্রের কিছুটা দূরের নদীর ধারে পাওয়া গিয়েছে।এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কতটা অত্যাচার হয়েছে এবার আমরা সেটা টের পাচ্ছি। বিডিও নিজের পাপ ঢাকতে এখন বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে৷  পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের অনেক বিজেপি (BJP) নেতা ও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এই ঘটানার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এর প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১৪/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১৪/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) নিজের কর্মকৌশল ও একাগ্রতার সাহায্যে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে অনুকূল করতে পারবেন।

    ২) আর্থিক দিক দিয়ে ভাগ্যের সাহায্যে লাভান্বিত হবেন।

    বৃষ

    ১) জমি-বাড়ির সওদার ফলে লাভান্বিত হবেন।

    ২) পারিবারিক জীবনে সতর্ক থাকতে হবে।      

    মিথুন

    ১) আজ অপ্রত্যাশিত লাভ অর্জন করে চমকে উঠবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। কারও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন।     

    কর্কট

    ১) বিবাহযোগ্য জাতকরা আজ কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন। 

    ২) কোনও কাজের জন্য অগ্রসর হলে দলিলপত্রের অভাবের কারণে সেই কাজে বাধা সৃষ্টি হবে।     

    সিংহ 

    ১) পারিবারিক পরিবেশে ব্যস্ততা বাড়বে। 

    ২) ব্যবসায় ঝুঁকি নেবেন না, অন্যথা বড়সড় লোকসান হতে পারে।    

    কন্যা

    ১) জীবনসঙ্গীর সাহায্যে লাভান্বিত হতে পারেন। 
     
    ২) সন্তানের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।       

    তুলা 

    ১) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করে সময় কাটাবেন। 

    ২) দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি কেনার পরিকল্পনা করে থাকলে, তা আজ পুরো হবে।  

    বৃশ্চিক

    ১) শুভ সংবাদ পাওয়ায় মনে উৎসাহ জাগবে। 

    ২) চাকরিজীবীরা কাজের কারণে কোথাও যাবেন।     

    ধনু

    ১)  ছাত্রছাত্রীরা কঠিন পরিশ্রমের পর পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করবেন।
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা জীবনসঙ্গীকে কোথাও ঘোরাতে নিয়ে যেতে পারেন।  

    মকর

    ১) সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।         

    কুম্ভ

    ১) ধার দিয়ে থাকা টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।  

    ২) ব্যবসায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে লাভ-ক্ষতির হিসেব করে নিতে ভুলবেন না।      

    মীন

    ১) সাংসারিক সুখ ও বাড়ির প্রয়োজনের কোনও বস্তু কিনতে পারেন। 
     
    ২) ছাত্রছাত্রীরা কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকলে তাতে জয়ী হবেন।          

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

  • TMC:”‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC:”‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ না হলে রাজ্যসভার ভোটে অংশ নেব না। সাফ জানিয়ে দিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চোধুরী। এমনকী তিনি বিধানসভার কোনও বিলকে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়ে দেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এই বিস্ফোরক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ পঞ্চায়েতে তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের দল অনুমোদন করেনি। বাধ্য হয়ে তাঁর নির্দেশে সকলেই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করেন। নির্বাচনের দিন অধিকাংশ বুথে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে করিম সাহেবের দেওয়া নির্দল প্রার্থীদের লড়াই হয়। এদিন করিমসাহেব বলেন, তৃণমূল ভোট করতে দিল না। সকালের দিকে দুঘণ্টার মধ্যে ২৮টি বুথে ভোট হয়ে গেল। এটা কি সম্ভব? আমরা প্রশাসনের কাছে ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কী বললেন করিমসাহেব?

    ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে ইসলামপুরে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্বেও পুলিশ আমার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত হলেও দল তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    নির্দলদের জমি দখল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    করিমসাহেব বলেন, সিপিএমের আমলে দেখতাম বিরোধীদের  জমিতে পতাকা টাঙিয়ে তা দখল করে নিত। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারত না। প্রশাসনও কিছু করত না। এখন যারা নির্দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলদের সমর্থন করেছিলেন, তৃণমূলের (TMC) লোকজন তাঁদের জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দিয়ে জোর করে জমি দখল করে নিচ্ছে। ফসল কেটে নিচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না।

    মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন করিমসাহেব?

    নির্বাচনে অশান্তির জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও পরিবার প্রতি একজনের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতার এই প্রলোভনের জন্য আগামীতে মানুষ মরনঝাঁপ দেবে। এগুলো না করে মমতা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রমকে রিকাউন্টিং করে জিতিয়ে দিতে হবে। এরকমই দাবি তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিডিও অফিসে চড়াও হয়। বিডিও অনুজ সিকদার প্রশাসনের পঞ্চায়েত ইলেকশন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগপত্র ও কিছু সিসি টিভির ভিডিও নিয়ে সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করেছেন। আর তাই নিয়ে তোলপাড় জেলায়।  

    কোথায় ঘটল (Dakshin Dinajpur)?

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইটে  জানা যায়, বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম হেরে যাওয়ায়, পরদিন বিডিওকে রিকাউন্টিং করার চাপ দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিডিও নিজে প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গণনার দিনেই এই বিডিওর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘ সময় গণনা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সেই বিডিওকেই চাপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং বিডিও নিজে আতঙ্কিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে বিডিওকে সংবাদমাধ্যম ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

    সুকান্ত মজুমদার কী বললেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের প্রার্থী জেতার পর থেকেই তাঁকে সার্টিফিকেট না দিয়ে নানান রকম চক্রান্ত চলছিল। সেই চক্রান্ত ভোটের ফলাফল হবার পরও শেষ হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা বিডিওকে গিয়ে ফোন করে ধমকাচ্ছে। এই বিডিও জোর করে আমাদের বিজেপি প্রার্থীদের পঞ্চায়েত ভোটে হারিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই বিডিও তাঁর অফিসিয়াল গ্রূপে লিখতে বাধ্য হয়েছেন, তৃণমূলের কিছু গুন্ডা তাঁকে ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে, যাতে তিনি স্নেহলতা হেমব্রমকে সার্টিফিকেট দেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে এবং বিডিও এই প্রহসনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূলে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন।

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    এই বিষয় স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম রিকাউন্টিং-এর আবেদন করাতে এবং গিয়ে দেখি বিডিও সাহেব অফিসে নেই। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বাড়িতে ছিলেন। আমি সঙ্গে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কোনও রকম চাপ দেওয়া হয়নি, বিডিও এটা সত্য বলছেন না। উনি তো আমাদেরই লোক। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, সুকান্ত মজুমদার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।

    জেলাশাসক কী বললেন

    জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

    BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণ এবং গণনা, দুটোই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এমনকী ফলাফলও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও নদীর ধারে পাওয়া গেল বিজেপি (BJP) ও বামেদের ভোট দেওয়া বৈধ ব্যালট পেপার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের গণনা কেন্দ্র থেকে কুড়ি মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারগঞ্জের গণনা কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার দূরে নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাদা কাগজের এই ব্যালটে অধিকাংশই বিজেপি প্রার্থীর ওপর ছাপ মারা রয়েছে। রেজাল্ট অনুযায়ী এই বুথে বিজেপি ৩৪১টি, তৃণমূল ৬৯৭টি, সিপিএম ৭২টি ভোট পেয়েছে। জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী  ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে স্ট্রং রুমে ব্যালট পরিবর্তন করা হয়েছে। বিজেপিতে ছাপ দেওয়া ব্যালট বক্স থেকে বের করে নদীতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে মানুষের মতামতকে যেভাবে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলকে খেসারত দিতে হবে।

    কী বললেন বিডিও?

    এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিডিও ছেয়াং তামাং বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দ্বারা কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এমনটা হওয়ার কথা না। এটা রাজনৈতিক দলেরই কেউ বানাতে পারে। তবে পুরো ঘটনাটি আমরা যাচাই করে দেখব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে কুমারগঞ্জ তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, ভোট গণনার দুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন ব্যালট পেপার দেখা যায়নি। দুদিন পরে ব্যালট পেপার উদ্ধার হচ্ছে। আমাদের মনে হয় এটা বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি (BJP) যে অভিযোগ তুলছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

    মুর্শিদাবাদে বুথে গড়াগড়ি খাচ্ছে বিরোধীদের ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার

     মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের ইন্দ্রডাঙ্গা বেসিক প্রাইমারি স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথে বৈধ ব্যালট পেপার গড়াগড়ি খাচ্ছে। ব্যালট পেপারে ভোটারের চিহ্ন দেওয়া জ্বলজ্বল করছে। এই সব বৈধ ব্যালট ছাড়াই কী করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে এবং তার ফলাফল ঘোষণা কার্যত সারা হয়ে গিয়েছে। এরপরেও চারিদিকে গণনা পর্বে হিংসা এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। যার ফলে ভোটের ফল ঘোষণা হওয়া সত্বেও, আদালতের রায়ের দিকে জিতেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। ফল ঘোষণার পর তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের ইন্দ্রডাঙ্গা বেসিক প্রাইমারি স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ব্যালট পেপার। বেশ কিছু ব্যালট পেপারে প্রার্থীদেরকে ভোট দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু নতুন ব্যালট পেপার যেগুলি ভোটে ব্যাবহার করা হয়নি, সেরকম বহু ব্যালটও পড়ে রয়েছে। কিন্তু, প্রত্যেকটি ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই রয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের এজেন্ট সফিকুল হাসান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এই এলাকার সব বুথ তৃণমূলের দখলে ছিল। বুথে তৃণমূল ছাপ্পা মারে। তখনই কি সিপিএমের প্রার্থীর ব্যালট পেপারগুলি বাইরে বার করে নতুন ব্যালট পেপারগুলিতে ছাপ মেরে ব্যালট বক্সে ভরা হয়। আমাদের প্রশ্ন, কী করে সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপারগুলি বাইরে এরকম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকল? তাহলে বিডিও সাহেব গণনার দিন কী করে ব্যালট পেপারের হিসাব ঠিক করলেন। কার ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হল?

    কী বললেন বিডিও?

    এই বিষয়ে বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়কে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এরকম কোনও অভিযোগ নেই। যদি কেউ অভিযোগ করত তাহলে আমি অবশ্যই বলতে পারতাম। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন তুফানগঞ্জের (Cooch Behar) নয়ারহাটে শালবাড়ি-২ এর বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধারালো দা দিয়ে আক্রমণ করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর তার পরেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে এবং তার পর কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পুরো ঘটনাটি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থী ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ৭ই জুলাই আক্রান্ত হন এবং আজ ১৩ ই জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ভোটের হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮।

    পরিবারে বক্তব্য (Cooch Behar)

    মৃত বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনের ভাই অনন্ত বর্মন বলেন, আমাদের বাড়ি শালবাড়ির বজরাগ্রামে। গত ৭ই জুলাই ভোটের আগের দিন রাত ১২ টার সময় আমার দাদাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর দাদাকে ধরালো দা দিয়ে কোপানো হয়। এই আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায় দাদা। এতদিন হাসপাতালে (Cooch Behar) ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুরের পরে মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর পর ভাই অনন্ত বলেন, যারা দাদাকে খুন করছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। আরও বলেন, আমার দাদার দুই মেয়ে, একজনের বয়স ১৮ অপর একজনের বয়স ১২। এই অবস্থায় পরিবার কীভাবে চলবে! তাই সরকারি সাহায্য চাই।

    অপর দিকে একই দিনে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদে। নির্দলের বাড়ির কাছেই কান্দিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

    মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ

    এক দিকে কোচবিহারে (Cooch Behar) যেমন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, ঠিক তেমনি অপর দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত মুনিগ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবারেই দুপুরে হঠাৎই মজুত করে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় পশ্চিমপাড়া এলাকায়। নির্দলের প্রার্থী মতিহার বিবি বলেন, আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ তীব্র শব্দ হয়। এরপর দেখি বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব আতঙ্কে রয়েছি আমরা। নির্দলের উপর তৃণমূলের আক্রমণ চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কান্দি থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Patient: রোগীর যত্ন নিতে নিতে নাজেহাল, ‘কেয়ার গিভারের’ যত্ন নেবেন কীভাবে? 

    Patient: রোগীর যত্ন নিতে নিতে নাজেহাল, ‘কেয়ার গিভারের’ যত্ন নেবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাড়ের দীর্ঘকালীন সমস্যা, পার্কিনসন্স কিংবা অ্যালজাইমার। বয়স বাড়লে এমন নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অধিকাংশ বয়স্ক মানুষ নানা শারীরিক ও মানসিক রোগে ভোগেন। যার জন্য তাঁদের নিয়মিত, সব সময় খেয়াল রাখা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর (Patient) কাছের মানুষ এই যত্নের দায়িত্ব নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন এক টানা রোগীকে দেখভালের জন্য তাঁদেরও নানা সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেয়ার গিভার কে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগী (Patient), যিনি দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত, তাঁকে সব সময় যিনি যত্ন করেন, দেখভাল করেন, তাঁকেই বলা হয় কেয়ার গিভার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারের মহিলারাই কেয়ার গিভারের দায়িত্ব সামলান।

    কী ধরনের সমস্যা কেয়ার গিভারের হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক বা মানসিক রোগ যেমন অ্যালজাইমার, পার্কিনসন্স, ডিমেনশিয়া, কিংবা হাড়ের সমস্যায় আক্রান্তদের মূল কেয়ার গিভারের দায়িত্ব সামলান আরেক জন বয়স্ক মানুষ। অর্থাৎ আক্রান্তের জীবনসঙ্গী। ফলে, দীর্ঘদিন দেখভালের কাজ করতে গিয়ে, সেই কেয়ার গিভার শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জীবনসঙ্গী অসুস্থ হয়ে পড়লে যে কোনও বয়স্ক মানুষের মানসিক চাপ তৈরি হয়। তার উপর তাঁকে (Patient) দীর্ঘদিন দেখভাল করতে হলে, চাপ আরও বাড়ে। বিশেষত, অ্যালজাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে পরিস্থিতি উন্নতির আশা খুব কম হয়। ফলে, কেয়ার গিভারের মধ্যে একটা হতাশা তৈরির আশঙ্কা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেয়ার গিভার মানসিক অবসাদের শিকার হন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মধ্যে এক ধরনের রাগ বা উত্তেজনা তৈরি হয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁরা পারেন না। দীর্ঘদিন মানসিক চাপ নেওয়ার জেরে তাঁরা যে কোনও ছোট ঘটনাতেও অস্থির হয়ে পড়েন। সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। খিটখিটে হয়ে পড়েন। আবার অনেক সময় রেগে যান। 
    মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জেরে শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। লাগাতার মানসিক চাপ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময়ই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের সমস্যা তৈরি হয়। নানা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা তৈরি করে। আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে, কেয়ার গিভারের শারীরিক পরিস্থিতিও সমান উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। 

    কেয়ার গিভারকে সুস্থ রাখার পথ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোগীকে (Patient) সুস্থ রাখার পাশাপাশি নজর রাখতে হবে কেয়ার গিভারের উপরেও। তাঁর শরীর ও মনের একই রকম যত্নের প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেয়ার গিভারের প্রতি অবহেলা বিপদ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কেয়ার গিভারের প্রতি যত্নের দায়িত্ব নিতে হবে পরিবারকে। কেয়ার গিভারের ছুটির প্রয়োজন। সেটা পরিবারকেই মনে রাখতে হবে। অর্থাৎ, জীবনসঙ্গী কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার জেরে হয়তো বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আরেক জনকে মাঝে মধ্যে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। অন্তত প্রতিদিন বিকেলে পার্কে যাওয়া কিংবা কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটানোর সুযোগ কেয়ার গিভারকে দিতে হবে। তাহলে তাঁর মধ্যে একঘেয়েমি আসবে না। দিনের কিছুটা সময় মানসিক চাপ কমবে। 
    যিনি রোগীর যত্ন লাগাতার নিচ্ছেন, তাঁর খাবারের প্রতি বিশেষ নজরদারি জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে, তাঁর দেখভালেই সব গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু যিনি অসুস্থ ব্যক্তির দেখভাল করছেন, তিনি সময় মতো খাচ্ছেন কিনা বা পুষ্টিকর খাবার কতখানি খাচ্ছেন, সে দিকেও সমান নজরদারি জরুরি। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রয়োজনে পরিবারের কেয়ার গিভারের থেরাপি করা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে কেয়ার গিভার বয়স্ক হলে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়। দরকার হয় থেরাপির। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল বিধায়িকার নেতৃত্বে ব্যালট ছিনতাই? ফের ভোট সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে

    TMC: তৃণমূল বিধায়িকার নেতৃত্বে ব্যালট ছিনতাই? ফের ভোট সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে নতুন করে ভোট করানোর নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই বুথগুলিতে ভোটের দিন ব্যালট পেপার ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় বিধায়িকা প্রিয়া পালের (TMC) বিরুদ্ধে। এমনকী ওই বুথগুলির ব্যালট ছিনতাই করে ভোট গণনা লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। সেই সব ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। ওই বুথগুলিতে ভোটের দিনের রিপোর্ট চাওয়া হয় বিডিও-র কাছ থেকে। তারপর বিডিও-র  রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই ১৫টি বুথে নতুন করে ভোটের নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    কী কারণে ফের ভোটের নির্দেশ?

    ৮ জুলাই ভোটের দিন ডোমজুড় ও উলুবেড়িয়া এলাকায় কয়েকটি ঘটনা ছাড়া মোটের উপর হাওড়ায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণই ছিল বলা যায়। বড় কোনও অশান্তি বা রক্তপাতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথে সকাল থেকেই বিরোধীরা ব্যালট লুট (TMC) হওয়ার অভিযোগ করছিলেন। মানিকপুর দর্জিপাড়া প্রাথমিক স্কুলের সাতটি বুথ, রশ্মি মহল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের একটি বুথ, সারেঙ্গা হাইস্কুল ও পল্লিশ্রী পাঠাগারের কয়েকটি বুথ থেকে এই ভোট লুটের (Panchayat Vote 2023) অভিযোগ আসে। এমনকী ভোট গণনার দিনেও বিধায়িকার নেতৃত্বে গণনা কেন্দ্রে ঢুকে বিরোধী এজেন্টদের মেরে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও বিরোধীদের মতে, কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক বুথ ধরে ধরে অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা এই বুথগুলিতে পুনরায় নির্বাচন করতে বাধ্য হল।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    যদিও সাঁকরাইলের বিজেপি নেতা প্রভাকর পণ্ডিত বলেন, ভোট গণনার দিন সেকেন্ড রাউন্ডের সময় বিধায়িকা (TMC) কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। তার ফলে এই বথগুলির গণনার রেজাল্ট এখনও প্রকাশ হয়নি এবং সার্টিফিকেটও ইস্যু হয়নি। এরপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানান। তার পরেই পুনরায় এই বুথগুলিতে ভোটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনাতেও ভোট, তবে কোথাও এখনই নয়

    পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ। তবুও হিংসা থামেনি গোটা রাজ্যে। বুধবার বিকেলে নির্বাচনী বিধি তুলে নেয় নির্বাচন কমিশন (Panchayat Vote 2023)। এরপরই এক নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল তিনটি জেলার ২০ টি বুথের ভোটকে বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার সংশ্লিষ্ট এই বুথগুলিতে ফের নির্বাচন হবে। যখন আবার উপ নির্বাচন ঘোষণা হবে, তখন একসঙ্গে এই বুথগুলিতে নির্বাচন হবে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে গণনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এর পরই গতকাল রাতে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশ। ফলে এখনই হচ্ছে না আর নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share