Tag: Bengali news

Bengali news

  • South 24 Parganas: জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে, বলল বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম

    South 24 Parganas: জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে, বলল বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এবার গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় (South 24 Parganas)। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিনিধি দল পৌঁছায় বাসন্তীর সোনাখালিতে। সেখানে গীতাঞ্জলি কমপ্লেক্সে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সাথে কথা বলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে একটি আইনজীবীদের দলে এসেছেন বাসন্তীতে। আক্রান্ত পরিবার এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলেন টিমের সদস্যরা। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

    কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (South 24 Parganas)?

    রাজ্যে নির্বাচনকে ঘিরে এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মনোনয়ন থেকে ভোটের ফলাফল পর্যন্ত সর্বত্র উত্তপ্ত। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। প্রাণ ভয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। রাজ্যের গণতন্ত্র যে সুরক্ষিত নয়, সেই জন্য বারবার রাজ্যপাল নিজে উত্তর থেকে দক্ষিণে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রাজ্যপালের পিস রুমে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিক করে ব্যবহার করেনি কমিশন। আর তাই বিএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি রিপোর্ট দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশকে কমিশন কতটা নির্বাচনের সময় কার্যকর করেছে, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কমিশনের রিপোর্টে অসন্তোষ ব্যক্ত করছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচনে ব্যালট লুট করা এবং রাস্তায় পড়ে থাকার দিক সহ সমগ্র অশান্তি ঠেকাতে কমিশন কতটা ব্যর্থ ছিল, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন। তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তর থেকে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে চার সাংসদের দল নির্বাচনে হিংসা কবলিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) এলাকায় আক্রান্ত পরিবারে সঙ্গে দেখা করতে আসে। পীড়িত পরিবারের মানুষের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ শুনে এই টিম বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে নির্বাচন এবং হিংসার উপর বিশেষ রিপোর্ট জমা করবে।

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কোথায় পরিদর্শন করল?

    গতকাল বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার হিংসা কবিলত এলাকা পরিদর্শন করে এই টিম। উল্লেখ্য, বসিরহাট, ন্যাজট, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জে মনোনয়ন করার পর বিজেপি কর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্টের আদেশে মনোনয়ন জমা করতে গেলেও পারেননি। বিজেপির এই কেন্দ্রীয় টিম আজ সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবন এবং সম্পত্তির সুরক্ষা চেয়ে বিশেষ আবেদন করে এই টিম। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী এবং ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার কথা ঘোষণা করে টিম। সেই সঙ্গে টিমের পক্ষ থেকে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, আমি আশা করব মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কোনও রকম বাধা না দিয়ে হিংসা কবলিত এলাকা এবং নিপীড়িত মানুষের সঙ্গে কথা বলবার সুযোগ দেবেন। গণতন্ত্রের এই যে কঠিন পরিস্থিতি, তা অত্যন্ত লজ্জার।

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কী বলল?

    টিমের পক্ষ থেকে সোনাখালিতে রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে হুমকি দেয়, মনোনয়ন করলে বাড়িতে হামলা হবে। দ্বিতীয়ত পর্যায়ে হুমকি আসে, ভোটের প্রচার করলে বাড়ি থেকে সন্তানদের অপহরণ করা হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ে ভোটে জয়ী হলে জয়ী ঘোষণা করা হবে না, সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না! ঠিক এইভাবেই এলাকায় তৃণমূল হিংসা চালিয়েছে। টিমের পক্ষ থেকে তিনি আরও বলেন, জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। এই প্রসঙ্গে টিমের কাছে এক বিজেপির মহিলা প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ভোটের গণনার শেষে তৃণমূল প্রার্থীরাই আমাকে বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। কিন্তু কোনও সার্টিফিকেট না দিয়ে বসিয়ে রাখে! আর এরপর অনেক সময়ের পর ঘোষণা হয়, জয়ী হয়েছে তৃণমূল! ঠিক এইভাবেই আমাদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করছে কমিশন। আমরা বিচার চাই! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল, প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে বিজেপি

    BJP: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল, প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ফের তৃণমূল পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। সেই মতো দলীয় নেতা কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটের প্রচুর পরিশ্রম করলেন। ভোটের ফল বের হওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনও পেল তৃণমূল। সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু, প্রধান কে হবে তা নিয়ে আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাদের এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।

    কেন এমন পরিস্থিতি?

    বেশি আসন পেয়েও আপাতত প্রধানের আসন দখল নিতে পারল না তৃণমূল। সংরক্ষিত আসনের গেড়োয় পড়ে চরম বিপাকে এখন শাসক দল। কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসার সম্ভাবনা বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীর। আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৬ টি। তারমধ্যে ১০টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। আর বাকি ৬ টি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির থেকে শাসক দলের প্রার্থীরা বেশি আসনে  জয়ী হলেও প্রধানের আসন দখল নিতে পারছে না শাসক দল। সংরক্ষিত আসনের কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি এসটি মহিলা সংরক্ষিত। আর তৃণমূলের এসটি মহিলা যে প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন তিনি পরাজিত হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মাণ্ডি প্রধান হওয়ার সমস্ত যোগ্যতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী তিনি প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী বলেন, এটা একেবারে আইনের বিষয়। দলীয় নেতৃত্বকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে যে নির্দেশ দেবে সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে প্রধান করে বোর্ড গঠন করা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে থাকা সদ্য জয়ী বিজেপি (BJP) সদস্যা?

    বিজেপি (BJP) সদস্যা পূর্ণিমাদেবী বলেন, এই পঞ্চায়েতে নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছি। প্রধান হলে এই এলাকায় যে সব সমস্যার কথা আমরা জানি, সেই সমস্যা সমাধান এবং পঞ্চায়েত এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Medinipur: হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র! গলা টিপে ধরার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের হিংসার শিকার একাদশ শ্রেণির ছাত্র, শাসক দলের নেতার মারে গুরুতর আহতও সে। মামা বিজেপি করে, তাই স্কুলছাত্র ভাগ্নেকে ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করায় টিউশনের শিক্ষকদেরও হুমকি দেয় তৃণমূলের কর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে খবর। আর এই খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বাঁকা এলাকায়। বাঁকা এলাকার বাসিন্দা শিবনাথ ঘোষ একজন বিজেপির কর্মী। শিবনাথবাবুর অভিযোগ, তাঁর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বুধবার সকালে টিউশন পড়তে যায়। টিউশন পড়তে গেলে তাঁর ভাগ্নেকে তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল ও তোতন কারক ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। মামা ঘটনাস্থলে এলে মামাকেও মারধর করা হয়। বিজেপি নেতা এবং ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। পরে এই ঘটনার কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন সকলেই।

    আক্রান্ত ছাত্রের বক্তব্য

    শিবনাথবাবুর ভাগ্নে বিপ্লব খাঁড়া বলে, আমি ছোটবেলা থেকে মামাবাড়িতে (Paschim Medinipur) থেকে পড়াশুনা করি। মামা বিজেপি পার্টি করেন। আমি টিউশন পড়তে গেলে সেখানে কয়েকজন এসে আমার মামাকে ডাকতে বলে। এরপর আমাকে চড় থাপ্পড় এবং চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করে। আমার বই নিয়ে যাওয়ার ব্যাগটাও ছিঁড়ে দেয়, এমনকি হুমকি দেয় পড়াশুনা বন্ধ করে দেওয়ার। শেষে আমার গলা টিপে ধরে ওই লোকগুলি। বিপ্লব আরও বলে, এইভাবেই আমাকে মেরে আহত করে দেয়। মারের কারণ হিসাবে বিপ্লব জানায়, মামা কেন বিজেপি করে! এটাই মূল বিষয়। সে আরও বলে, যারা মারধর করে প্রত্যকেই তৃণমূল করে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপি নেতা শিবনাথ ঘোষ বলেন, এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিলেও, রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় বুধবার রাতে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনার (Paschim Medinipur) ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও একজন ছাত্রকে এইভাবে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।

    অপর দিকে অভিযুক্ত তৃণমূলের কর্মী অনুপ পাল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা, আমি কেন বাচ্চা ছেলেদের মারধর করব! আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, বিজেপির লোকজন মিথ্যা কথা বলছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    TMC: ভোটের ফল ঘোষণার পরই ইটাহারে তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষ, জখম ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। নির্বাচনে জেতার পরই নির্দল সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এরপরই নির্দলরাও পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল এবং নির্দল সমর্থকদের এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন। তাঁদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের সুরুন-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডামডোলিয়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বুধবার তৃণমূল ডামডোলিয়া এলাকায় একটি বিজয় মিছিল করে। রাতে হঠাৎই নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (TMC) টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থন করেছিলেন। ভোটে জেতার পর নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তার মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদকে বাড়িতে ঢুকে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। বাবাকে বাঁচাতে আসলে মেয়ে নাসিমা খাতুনকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত নির্দল সমর্থক?

    আক্রান্ত নির্দল সমর্থক মহম্মদ আলিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্দলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ওরা হামলা চালিয়েছে। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমার মেয়েকে বেধড়ক মেরেছে। অপর এক নির্দল সমর্থক রেফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোটে জিতেই নির্দল সমর্থকদের ওপরে আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকেরা। তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী মুজাহিদ আলমের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    এই সংঘর্ষে জখম তৃণমূল (TMC) কর্মী কাজিমুল হক বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে নির্দল সমর্থকরাই আমাদের উপরে হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল প্রার্থীর জেতার আনন্দে জল ঢেলে দিল ভাইপো! ছাগল চুরি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল

    Asansol: তৃণমূল প্রার্থীর জেতার আনন্দে জল ঢেলে দিল ভাইপো! ছাগল চুরি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জিতেছেন তিনি। এখন কোথায় আনন্দ করার কথা। কিন্তু এখানেও সেই ঘুরে ফিরে চলে এল “ভাইপো”। ভোটের পর এমন বিষয় পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত বিরোধীরা। তারা এমন একটা হাতে গরম ইস্যু পেয়ে লুফে নিয়েছে। স্বভাবতই বিব্রত তৃণমূল। এটা এমন কিছুই নয়, বা এসব কিছুই ঘটেনি বলে দায় এড়ানোর পর্ব শুরু হয়েছে। যদিও এলাকার মানুষ বলছেন, তৃণমূলে যেখানে কয়লা চুরি, গরু পাচারের মতো ঘটনায় দলের শীর্ষ নেতারা জেরবার, সেখানে আসানসোলের (Asansol) ‘ভাইপো’ ধরা পড়েছে সামান্য ছাগল চুরির ঘটনায়। এর মধ্যে নতুন কী আর চমক আছে? তৃণমূলের মতো দলে এসব স্বাভাবিক ঘটনা।

    কী ঘটেছে (Asansol)?

    আসানসোলের জামুড়িয়া জেলা পরিষদের (Asansol) তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হলেন পুতুল ব্যানার্জি। তাঁরই ভাইপো ছাগল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় গ্রামবাসীদের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত কেন্দা ফাঁড়ি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি চার চাকা গাড়িতে করে ৩-৪ জন ছেলে এসে এলাকাতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। একটা ছাগলকে তারা গাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে নেয়। দেখেই ছুটে আসেন পাড়ার লোকজন। হাতেনাতে ধরা পড়ে তৃণমূল জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থীর ভাইপো। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তাদের ধরে নিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চার চাকা গাড়িটি পড়ে থাকে। গ্রামের মহিলারা বলছেন, এরকম ঘটনা হামেশাই ঘটে। একের পর এক ছাগল পাচার হয়ে যাচ্ছে গ্রাম থেকে।

    কী বললেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী (Asansol)?

    আপনার এক ভাইপো নাকি ছাগল চুরিতে ধরা পড়েছে। ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কী বলবেন? এই প্রশ্নে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী (Asansol) পুতুল ব্যানার্জি বলেন, ওটা ভুল কথা, সাজানো, গল্প। ঘটনা সেরকম কিছুই নয়। এই ঘটনাকে বিরোধীরাই বড় করে দেখাচ্ছে। বিরোধীরা বলছে বলেই ঘটনা সত্যি হয়ে যাবে? পরে অবশ্য তিনি বলেন, হয়তো হাল্কা কিছু হয়েছে। বিরোধীরা সেটাকে বিশাল আকার করে বলছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, তৃণমূলে এখন ভাই-ভাইপোর যুগ চলছে। কয়লা চুরি, বালি চুরি, চাকরি চুরি, গরু চুরি, এবার ছাগল চুরি। ছাগল চুরি (Asansol) করতে গিয়ে গণ পিটুনি খাচ্ছে। এ আর নতুন কী! সবই তো সমার্থক হয়ে গেছে। আর কিছু হবে না। রাজ্যটাকে ভাই-ভাইপো মিলে শেষ করে দিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: টানা বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে, কিছু জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    Jalpaiguri: টানা বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি জলপাইগুড়িতে, কিছু জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর চলা অবিরাম বৃষ্টির জেরে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট ব্লকে। বানারহাটের বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি হাতিনালা এবং আংরাভাষা নদীর জল ঢুকেছে পার্শ্ববর্তী এলাকায়। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে তোতাপাড়া, বানারহাট, বিন্নাগুড়ির এসএম কলোনি, নেতাজিপাড়া। সাধারণ মানুষের জনজীবন বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু এলাকায় জারি লাল সঙ্কেত!

    বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন (Jalpaiguri)

    মূলত বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন কার্যত ঘরবন্দি। বানাহাটের (Jalpaiguri) দুরামারির চানাডিপা এলাকায় ৪০ টির উপরে বাড়ি জলমগ্ন। আগামী দু’দিন আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    এদিকে দূর্গতদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকার মানুষের জন্য খাবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়নি প্রশাসন। বানারহাটের (Jalpaiguri) বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাকে খাবারের ব্যবস্থা এবং উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয়ের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। কিন্তু তারপরে বেলা গড়িয়ে গেলেও দূর্গতদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। গত বছরেও বর্ষায় এই এলাকাগুলি জলের তলায় ছিল। এই এলাকার মানুষ একপ্রকার নরক যন্ত্রণা ভোগ করেন বর্ষায় সময়। প্রতি বছর এলাকায় সঠিক ভাবে নিকাশি ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এলাকার বাসিন্দারা সেই তিমিরেই রয়ে যান।

    হয়নি নদীতে বাঁধ নির্মাণ

    এর পাশাপাশি আংড়াভাষা নদীতে বাঁধের প্রতিশ্রুতি দিয়েও আজ পর্যন্ত সেই কাজ হয়নি। যার ফলে বিঘার পর বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এদিকে ময়নাগুড়ি (Jalpaiguri) ব্লকের আমগুড়ি এলাকায় জলঢাকা নদীর বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, নদীর মূল বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে গ্রামে  জল ঢুকতে শুরু করেছে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা এবং অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার আরেকটি নদী তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক (Jalpaiguri) মৌমিতা গোদারা বসুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোন ধরেননি। তবে প্রশাসনের একটি সুত্রের খবর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জেলায় এনডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্সের দল তৈরি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে জেতার সার্টিফিকেট না দেওয়ায় সবংয়ে বিজেপি সদস্যাকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: পঞ্চায়েতে জেতার সার্টিফিকেট না দেওয়ায় সবংয়ে বিজেপি সদস্যাকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে উইনিং সার্টিফিকেট দিতে রাজি না হওয়ায় বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ১৩ নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মকরানিচক এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় জয়ী বিজেপি সদস্য ফাল্গুনি বিজলি বেরাকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ১৩ নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মকরানিচক এলাকার বিজেপি (BJP) প্রার্থী ছিলেন ফাল্গুনিদেবী। এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ১৩টি আসনে জয়ী হয়। সঙ্গে মকরানিচক এলাকায় তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনিদেবী জয়ী হন। বুধবার রাতে মকরানিচক বুথ এলাকায় বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত প্রার্থী ফাল্গুনিদেবীর বাড়িতে এসে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে মারধরের হুমকি দিয়ে যায়। তারপরে রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল লোকজন ফের চড়াও হয়। বিজেপির সদস্যের কাছে থেকে উইনিং সার্টিফিকেট চায় তারা। কিন্তু, দাবি মতো সার্টিফিকেট না দেওয়ায় বিজেপির ওই মহিলা পঞ্চায়েত প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। এমনকী মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরবর্তীতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সবং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা নিতাইচাঁদ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে প্রচুর আসন পেয়েছে। তারপরও আমাদের জয়ী প্রার্থীর কাছে থেকে উইনিং সার্টিফিকেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। না দেওয়ায় ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের সবং ব্লকের সহ-সভাপতি গণেশ প্রামাণিক বলেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির (BJP) কর্মীরাই আমাদের তৃণমূল কর্মীদের মারধর করছে। আজকেও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা সাজানো ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোটে হেরে গেলেন একই পরিবারের ৩ বৌমা, বোসবাড়িতে বিষাদের সুর

    Panchayat Election 2023: ভোটে হেরে গেলেন একই পরিবারের ৩ বৌমা, বোসবাড়িতে বিষাদের সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) তিন দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হাওড়ার থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একই বাড়ির তিন বৌমা। তিনজনেই নিশ্চিত ছিলেন যে তাঁরাই ভোটে জিতবেন। ভোটে জিতলে এলাকার যে প্রধান সমস্যা, সেই পানীয় জল ও নিকাশির সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এলাকার মানুষেরও আশা ছিল যে তাঁদের কেউ ভোটে জিতবে। কিন্তু ফল প্রকাশ হতে দেখা গেল, তাঁরা কেউই জেতেননি। বরং জিতেছেন একজন নির্দল মহিলা প্রার্থী।

    কে কোন দলে দাঁড়িয়েছিলেন (Panchayat Election 2023)?

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, হাওড়ার সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রের থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৩ নং বুথে দাঁড়িয়েছিলেন এই তিন বৌমা। তিন বৌমাই হেরে যাওয়ায় এখন বোসবাড়িতে বিষাদের সুর। তিন বৌমা কাকলি বোস, নীলিমা বোস ও পিঙ্কি বোস। তিনজনই দাঁড়িয়েছিলেন (Panchayat Election 2023) তিন দলের টিকিটে। কাকলি তৃণমূলের হয়ে, নীলিমা কংগ্রেসের টিকিটে এবং পিঙ্কি বিজেপির হয়ে। পরিবারের আশা ছিল, তিন বৌমার যেই  জিতুক না কেন, আদতে জয় আসবে বোস পরিবারেই। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না

    কে কীভাবে হারলেন (Panchayat Election 2023)?

    পরিবার ও স্থানীয় কিছু মানুষের আশা ভঙ্গ করে ভোটের ফলাফল (Panchayat Election 2023) প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, প্রধান প্রধান দল থেকে দাঁড়ানো তিন বৌমার বদলে ভোটে জিতেছেন আম চিহ্নে দাঁড়ানো নির্দল প্রার্থী লতা যাদব। তিনি ২৬ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কাকলি বোসকে। ভোটে হেরে নিজের দলের বিরুদ্ধেই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন কাকলি। তবে বাকিরা এই ফলাফলকে মানুষের রায় হিসাবে মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন।

    শেষ হাসি হাসলেন কে (Panchayat Election 2023) ?

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জয়ী নির্দল প্রার্থী লতা যাদব বিজেপি করতেন। বিজেপি থেকে টিকিট না পেয়ে তিনি আম চিহ্নে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ান। আর তিন বৌমাকে পিছনে ফেলে শেষ হাসি হাসেন তিনিই (Panchayat Election 2023)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Howrah: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিজয় মিছিলে হামলা! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফলের পরেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের কলোড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লস্কর পাড়ায়। তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য, মিছিলে ইট-বোতল যারা ছুড়ে হামলা করেছে, তারাও তৃণমূল। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে ডোমজুড়ে (Howrah)?

    বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্থানীয় সদ্য বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করেন। পাড়ার (Howrah) মধ্যে দিয়ে যখন মিছিল এগোতে থাকে, সেই সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী মিছিলকে লক্ষ্য করে বড় বড় ইট এবং বোতল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এমনকী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি বাইকেও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অভিযোগ করেন, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের আগে থেকেই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। গতকাল বিজয় মিছিলে যেমন হামলা হয়, তেমনি মিছিলের পর সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মীরা যখন রাস্তার ধারে বসে চা খাচ্ছিলেন, সেই সময় সিপিএম কর্মীরা পরিকল্পনামাফিক গন্ডগোল সংগঠিত করে। এরপর ইট দিয়ে আঘাত করে বেশ কয়েক জনকে। এরপরে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আহত হন। তিনি আরও বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল।

    বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Howrah) তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিজয়ী সদস্যের স্বামী অবশ্য স্বীকার করেছেন, মিছিলে হামলা করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই। এর পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    সিপিএমের বক্তব্য

    এদিকে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Howrah) তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি জিতলেও জোর করে তৃণমূল হারিয়ে দেওয়া দিয়েছে। চোরেরা ভোট চুরি করেছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম কেন হামলা করবে! এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিজয় মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: বিজয় মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র এলাকা, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী প্রকাশ্যে চলে এল। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করার পাশাপাশি বোমাবাজি করার ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা মাঠপাড়া এলাকায়। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এক মহিলা সহ ১০ জন জখম হয়েছেন।

    কী কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে?

    রঘুনাথগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা মাঠপাড়া এলাকায় বরাবরই তৃণমূলের (TMC) দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। এবার মহিউদ্দিন সেখকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়। তাঁর অপর গোষ্ঠীর লোকজন তা মেনে নিতে পারেননি। তাঁকে হারানোর জন্য অপর গোষ্ঠীর লোকজন সবরকম চেষ্টা করেন। কিন্তু, বুধবার গণনা শেষ হতে দেখা যায়, মহিউদ্দিন সাহেব ভাল ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। এর পরই তাঁর অনুগামীরা এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন। সেই মিছিল শেষ হওয়ার পর দলীয় কর্মীরা নিজের বাড়ি চলে যান। আচমকা দলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমোবাজিও করা হয়। সোনার গয়না এবং লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করা হয় বলে অভিযোগ। একাধিক মোটর বাইক, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। বোমার আঘাতে একাধিক কর্মী জখম হন।

     কী বললেন আক্রান্ত এক তৃণমূল (TMC) কর্মী?

    বোমার আঘাতে তৈমুর হক নামে এক তৃণমূল (TMC) কর্মী জখম হন। তিনি বলেন, বিজয় মিছিল শেষ হওয়ার পর পাড়াতেই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। তখন ফোন করে হামলা চালানোর বিষয়টি জানানো হয়। আমি ছুটে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়েছে। আসলে ওরা আমাদের প্রার্থীকে হারানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। সেটা করতে পারেনি। এরপর বিজয় মিছিল দেখার পরই ওরা এই হামলা চালিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share