Tag: Bengali news

Bengali news

  • Protein Powder: কতখানি বাড়তি প্রোটিন জরুরি? কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য কি ক্ষতিকর?

    Protein Powder: কতখানি বাড়তি প্রোটিন জরুরি? কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য কি ক্ষতিকর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে জলখাবারের পরে বা অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) খাওয়া এখন রেওয়াজ! প্রোটিন সেক বা বিভিন্ন ধরনের খাবারে কৃত্রিম প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার ব্যবহার অনেকেই করেন। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন বিশেষত কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তৈরি করতে পারে বাড়তি বিপদ।

    কেন প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) থেকে বিপদ হতে পারে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন, খেলাধুলো করেন কিংবা জিমে যান, তাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়। ক্যালরি খরচ হয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে, কাজ করার শক্তি জোগাতে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। প্রোটিন শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। বিশেষত, যাঁরা পেশি শক্তির ব্যবহার বেশি করেন, তাঁদের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। যেমন জিমে গিয়ে ভারী জিনিস তোলা কিংবা নিয়মিত ফুটবল, ভলিবলের মতো দৈহিক পরিশ্রম হয়, এমন খেলাধুলা যাঁরা করেন, তাঁদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন পর্যাপ্ত হয় না। তখন তাঁদের জন্য প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) দরকার হয়। কিন্তু যাঁদের পেশি শক্তির ব্যবহার বিশেষ হয় না, তাঁদের জন্য এই পাউডার অপ্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার দেহে সমস্যা তৈরি করে।

    কী ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন (Protein Powder) দেহের ওজন বাড়াতে পারে। তৈরি করে কোলেস্টেরল। যার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়াও হতে পারে স্থূলতার সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও তৈরি হয়। পাশপাশি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন লিভার, কিডনি ও হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ, যাঁরা দৈহিক পরিশ্রম বিশেষত পেশি শক্তির বিশেষ ব্যবহার করছেন না, অথচ অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন, তাঁদের হজম শক্তির সমস্যা হতে পারে। ফলে, পাকস্থলিতে সমস্যা, কিডনি স্টোন বা কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা হতে পারে।

    প্রোটিনের প্রয়োজন কতখানি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অনুযায়ী প্রোটিনের প্রয়োজন নির্ধারিত হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, কোনও ব্যক্তির দেহের ওজন যদি ৮০ কেজি হয়, তখন তাঁর নিয়মিত ৮০ গ্রাম প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করাই যথেষ্ট। কিন্তু সেই ব্যক্তির যদি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে, যেমন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস কিংবা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, তাঁকে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, দেহের স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন পর্যাপ্ত হয়। মাছ, মাংস, ডিম, সোয়াবিন, দুধ, দই কিংবা পনির জাতীয় খাবারে যে ধরনের প্রোটিন থাকে, সেটাই নিয়মিত খেলে শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ হয়। তবে, অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে, বিশেষত অতিরিক্ত দৈহিক পরিশ্রম করলে বাড়তে পারে প্রোটিনের চাহিদা। তবে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) না খাওয়ার পক্ষে অধিকাংশ পুষ্টিবিদ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের সন্ত্রাস আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুরের পূর্বপাড়া এলাকায়। মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো ঘটনায় এলাকায় (Hooghly) দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরামবাগ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার জেরে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এলাকার লোকজন বলছেন, সিপিএমের আমলে যে ঘটনা ঘটত, তৃণমূলের জমানায় তার কোনও পরিবর্তন হল না!

    আরামবাগের (Hooghly) ফলাফল কেমন?

    আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে বিজেপির দখলে ৮টি আসন এবং বাকি ৯টি দখল করেছে তৃণমূল। তবে মলয়পুরের পূর্বপাড়া বুথে এবারে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে তৃণমূল। শাসক দলের সন্ত্রাসে ভীত এলাকাবাসী।

    বিজেপির বক্তব্য

    আরামবাগের (Hooghly) বিজেপির বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, তৃণমূলের লোকজন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি করতে এসেছিল। আর তাই গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে! ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের অনেক বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। শাসক দল যেখানে যেখানে জয়ী হয়েছে, সেখানে সেখানে তীব্র সন্ত্রাস চলছে। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, বন্দুক ছিল। এমনকী জেলার সহ সভাপতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের পিছনে ছুটে ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সকলে। তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) শ্যামসুন্দর কোয়ালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীর বাবা নিমাই কোয়ালকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Political Violence: রাজনৈতিক হিংসায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ! শিশুদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    Political Violence: রাজনৈতিক হিংসায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ! শিশুদের সুস্থ রাখবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টিভির পর্দা, খবরের কাগজ কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন, সর্বত্রই হিংসার দাপট (Political Violence)। রক্তের বন্যা। রাজনৈতিক নির্বাচন হোক কিংবা বিনোদনের ওটিটি চ্যানেল, হিংসার পাল্লা সর্বত্রই ভারী। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ, এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন বিপদের আশঙ্কা? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, হিংসা (Political Violence) প্রতিদিন বাড়ছে। রাজ্যে সবে শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। মনোনয়ন তোলা থেকে জমা দেওয়া, ভোট গ্রহণ থেকে ফল প্রকাশ, প্রত্যেক পর্বেই চলেছে হিংসা। শাসক দলের দাপটে কখনও বিরোধী দলের কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আবার কখনও গুলি চালানোর জেরে আহত অবস্থায় হাসপাতাল ভর্তির খবর জানা গিয়েছে। লাগাতার হিংসার ঘটনার জেরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। এই ধরনের হিংসার ঘটনার জেরে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রাজনৈতিক হিংসার পাশপাশি বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, বিনোদনের দুনিয়াতেও এখন হিংসাত্মক ঘটনা বেশি দেখানো হয়। বিশেষত ১৫-১৮ বছর বয়সি বহু ছেলেমেয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, সিরিজ দেখে। যেগুলোতে মূলত নানা ধরনের হিংসার ঘটনা বেশি দেখানো হয়। আর এই সব মিলিয়ে কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা।

    কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অবসাদ, রাগ, মানসিক চাপ এবং সিদ্ধান্তহীনতার মতো সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব সামান্য ব্যাপারেই দেখা যাচ্ছে, কম বয়সি ছেলেমেয়েরা ভয়ানক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আবার ছোট কোনও সমস্যাতেও তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা এমন কিছু করে ফেলছে, যা অনভিপ্রেত। আসলে, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। কোনও কিছুর উপরে বিশ্বাস করতে পারছে না। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, খুব কম বয়স থেকেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করতে হবে। সেটা সামাজিক হোক বা রাজনৈতিক (Political Violence)। নিয়মিত খবর দেখানো যেমন দরকার, তেমনি সেগুলো সম্পর্কে আলোচনাও জরুরি। কনসালট্যান্টদের মতে, হিংসার ঘটনা বাড়ির ছোটদের সামনে এলে, তাদের বোঝানো দরকার, যা হচ্ছে তা ঠিক নয়। হিংসার মাধ্যমে আসলে সাফল্য পাওয়া যায় না। তবে, কখনই তাকে বাস্তব বিমুখ করা যাবে না। হিংসার ঘটনা (Political Violence) হচ্ছে বলে তা লুকিয়ে যাওয়া উচিত নয়। কোন ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশে সে আছে, সে সম্পর্কে অবহিত থাকা জরুরি। তবে, বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত হিংসা যাতে কম বয়সিরা না দেখে, বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা যাতে অপরাধমূলক অনুষ্ঠান বিশেষ না দেখে, সে সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে তারা এই ধরনের অপরাধ দেখে তা অনুকরণের চেষ্টা করে। যা তাদের জন্য মর্মান্তিক হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে পঞ্চায়েতে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনও তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। আর তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়ী হন। অথচ এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বরাবরই তৃণমূলের দাপট ছিল।

    ভোটে হেরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। মঙ্গলবার রাতে গণনার পর বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। জানা গিয়েছে, ৬ ভোটে জয়ের খবর পেয়ে আনন্দে মেতেছিলেন পম্পাদেবী। কিছুক্ষণ পর খবর পান, তিনি ৩৬ ভোট পরাজিত হয়েছেন। এরপর ফের তিনি রামপুরহাট কলেজের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছন। এনিয়ে গণনা কেন্দ্রে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কাছে ৩৬ ভোট পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধায়। ওই আসনে বিজেপির সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি জিতেছিলাম। তারপর শুনছি, আমি হেরে গিয়েছি। আমি ফের গণনার দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনা নন্দীগ্রামের মতো হয়ে গেল।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পরাজিত হলেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সম্পূর্ণ ফল না জেনেই তৃণমূল জিতে গিয়েছে বলে নাচতে নাচতে ওরা বাড়ি চলে যায়। কিন্তু, বাস্তবে গণনার পর দেখা যায়, আমরা ৩৬ ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছি। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ওদের দেখেছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলকে হারানোর জন্য মানুষ তৈরি ছিল। মানুষের ভালোবাসায় আমি জয়লাভ করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নিজের মেয়ে নির্দল প্রার্থী। তার হয়ে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার সময় পুলিশি বাধার মুখে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত চোপড়ার এই তৃণমূল বিধায়ক। অবৈধ জমায়েত ও জোর পূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টার কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার ইসলামপুর হাই স্কুল প্রাঙ্গণে।

    কেন ঢুকতে চেয়েছিলেন বিধায়ক (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে ইসলামপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আর্জুনা বেগম। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসলামপুর হাই স্কুলে গণনা কেন্দ্রে জমায়েত করেছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। জানা গেছে, গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় বিপুল পরিমাণ লোকজন থাকায় পুলিশ প্রবেশে বাধা দেন। সেই সময় পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোরপূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের মারে আহত হন খোদ বিধায়ক সহ তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীরা। তাঁদের তড়িঘড়ি ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিধায়ক সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও বিধায়ক হামিদুল রহমানের (Uttar Dinajpur) অভিযোগ, “ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিনা প্ররোচনায় তার অনুগামীদের ওপরে চড়াও হয় পুলিশ এবং লাঠিচার্জ করে।” তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    গণনার দিন মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলে পরের দিন বুধবার সকালে বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীদের ওপরে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে চোপড়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিধায়ক সহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চোপড়া থানার পুলিশ। পুলিশি আশ্বাসে প্রায় দুই ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Howrah Mangla Haat: মেট্রোর জন্য মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব, শুরু জোর বিতর্ক

    Howrah Mangla Haat: মেট্রোর জন্য মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব, শুরু জোর বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার বৃহত্তম বস্ত্র বাজার হাওড়ার মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat)। শুধুমাত্র মঙ্গলবার এই হাট বসার কথা হলেও বাস্তবে সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে বসে এই হাট। এখান থেকে জামাকাপড় সহ অন্যান্য বস্ত্র বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী কাপড় কেনার জন্য একদিন আগেই হাওড়ায় পৌঁছে যান। অনেক ব্যবসায়ী মঙ্গলবারের ভিড় এড়াতে সোমবারই কেনাকাটা সেরে নেন। তারপর বড় বড় লরিতে বোঝাই করে বা ট্রেনে করে সেই বস্ত্র চলে যায় ভিন রাজ্যের বস্ত্র বিপণী কেন্দ্রগুলিতে। ফলে মঙ্গলবার ছাড়াও সোমবার এবং বুধবারেও হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে হাওড়া ময়দান চত্বরে।

    ফুটপাত দখল হয়ে থাকায় যানজটের আশঙ্কা

    কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যোগাযোগে গতি আনতে কয়েক মাসের মধ্যেই হাওড়া ময়দান থেকে চালু হতে চলেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। আর মঙ্গলা হাটের ভিড় ঠেলে এই মেট্রো যাত্রীরা কীভাবে যাতায়াত করবেন, এখন সেটাই হয়ে গেছে প্রধান চিন্তার বিষয়। কারণ, মঙ্গলা হাটের (Howrah Mangla Haat) ১১ টি প্রধান ভবন ছাড়াও হাওড়া ময়দান চত্বরের সমস্ত রাস্তা, আদালত চত্বর, এমনকী বঙ্কিম সেতুর কিছুটা অংশেও ডালা পেতে ও প্লাস্টিক টাঙিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাপড় বিক্রি করতে বসে যান। ভোর থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত হাট চলে। হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হলে কলকাতাগামী যাত্রীদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠবে হাওড়া ময়দান। সেখান থেকে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রোয় যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এত ফুটপাতের দোকানদার যেভাবে রাস্তা দখল করে বসে থাকেন, তাতে একদিকে যেমন যানজট তৈরি হয়, অন্যদিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই যদি ফুটপাতের এই দোকান থাকে, তাহলে মেট্রো যাত্রীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হবে। এই সমস্যা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের মঙ্গলবারের বদলে শনি ও রবিবার হাট বসানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

    ব্যবসায়ীরা (Howrah Mangla Haat) কী বলছেন?

    কিন্তু ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই তাতে রাজি নয়। কারণ তাঁদের মতে, মঙ্গলবার যদি হাট না বসে, তাহলে মঙ্গলা হাট নামটারই কোনও সার্থকতা রইল না। অন্যদিকে স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যদি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরানো যায় অথবা তাঁদের বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই সমস্যা মিটতে পারে। মঙ্গলা হাটকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তুলে নিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও কার্যকর হয়নি। কারণ ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে কিংবা দূরপাল্লার গাড়িতে হাওড়া স্টেশনে এসে খুব সহজেই মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat) থেকে বস্ত্র কিনে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবসায়ীরাও যেমন চাইছেন না মঙ্গলাহাট অন্য দিন নিয়ে যাওয়া হোক, একইভাবে ক্রেতারাও মঙ্গলা হাটকে মঙ্গলবার রাখারই কথা জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মতে, পুলিশ যদি ঠিকঠাক যান নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে মেট্রোর আশপাশের রাস্তায় মেট্রো যাত্রীদের যাতায়াতে অসুবিধা অনেকটাই আটকানো যাবে। রতন সমাদ্দার নামে এক ব্যবসায়ী জানান, হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর ওপর আগে দু’ধারে মঙ্গলা হাট বসত। কিন্তু সেতুর ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পুলিশের উদ্যোগে বঙ্কিম সেতুর ওপর থেকে মঙ্গল হাট তুলে দেওয়া হয়। যদি পুলিশের উদ্যোগে তা সম্ভব হয়, তাহলে বঙ্গবাসী সিনেমার উল্টোদিকে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন যেখানে মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে, সেখানে মঙ্গলা হাট বসানো অনেকটাই আটকানো যাবে। একই ভাবে হাওড়া স্টেশন থেকে বা হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওড়া ময়দান যাতায়াতের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলিকে ফাঁকা করে ফুটপাতের দোকানদারদের গঙ্গার ধারের রাস্তায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও মেট্রো যাত্রীদের অসুবিধা দূর করা সম্ভব। এদিকে ব্যবসায়ীদের একাংশের মত, সোম এবং মঙ্গলবারের বদলে যদি মঙ্গলা হাটকে রবি ও সোমবার করা যায়, তাতেও তাঁরা কিছুটা রাজি। কিন্তু শনি ও রবিবার দুটোই ছুটির দিন হলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।

    কী বলছেন বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী?

    হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, মঙ্গলবার এই হাট বসে বলেই মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat) নামকরণ হয়েছে। ফলে এই হাট যদি শনি বা রবিবার নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে মঙ্গলা হাটের কোনও তাৎপর্য রইল না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মঙ্গলবার হাট বসার কথা থাকলেও বাস্তবে সোমবার সকাল থেকেই হাট শুরু হয়ে যায়। সোমবার যাতে হাট না বসে, সে ব্যাপারে তিনি প্রায় কুড়ি বছর আগে মামলা করেছিলেন এবং আদালত রায়ও দিয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। তাই তাঁর মতে, যদি শুধুমাত্র মঙ্গলবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাট বসে, তাহলে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে হাওড়ার মঙ্গলা হাট ছাড়াও সরিষা হাট, খিদিরপুরের ফ্যান্সি হাট সহ আরও কয়েকটি হাট সপ্তাহে অন্যান্য দিন বসে। ফলে অন্য দিন যদি মঙ্গলা হাটকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেই সব হাটের সঙ্গে একটা সংঘাত হতে পারে। তাতে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হবে। তাই মঙ্গলা হাটকে শুধুমাত্র মঙ্গলবার বসিয়ে যদি হাওড়া শহরের যান নিয়ন্ত্রণ ঠিকমতো করা যায়, তাহলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে তিনি মনে করেন।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর চেয়ারম্যান?

    অন্যদিকে হাওড়া পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, মেট্রো চালু হলে কীভাবে হাওড়ায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একইভাবে মঙ্গলা হাটকে শনি ও রবিবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সেভাবে মতামত আসেনি। মতামত পেলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ইতিমধ্যেই হাট (Howrah Mangla Haat) মালিকদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক হয়েছে। শনি ও রবিবার হাট সরিয়ে আনার ব্যাপারে মালিকদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এখনও বৈঠক হয়নি। এই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে বৈঠক হবে। তারপর কী সিদ্ধান্ত হল, তা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গণনার দিনেও উত্তপ্ত রায়দিঘি, প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর

    South 24 Parganas: গণনার দিনেও উত্তপ্ত রায়দিঘি, প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষেও জারি মৃত্যু মিছিল। ভোট পরবর্তী হিংসায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে এবার প্রাণ গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আরও এক তৃণমূল কর্মীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরেছে সারা পশ্চিমবঙ্গে। এই নির্বাচনে অবশ্য সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে শাসক দলেরই। এই আবহে ফের আরও এক শাসক দলের কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (South 24 Parganas)?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপাশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম বিপ্লব হালদার। জানা গিয়েছে, বিপ্লবের বুথে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, দুই দলের সংঘর্ষের আবহে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিপ্লবকে কুপিয়ে খুন করে। যদিও খুনের ঘটনা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষেই খুন হন এই তৃণমূল কর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিপ্লবের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে খুন হয়েছিল বাসন্তীতেও

    এর আগে ভোটগ্রহণ চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক ভোটার। মৃত ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান। দাবি করা হয়, তিনি তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয়। বোমার আঘাতে প্রাণ হারান তিনি। উল্লেখ্য, যুব ও তৃণমূলের মূল সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এর আগেও বাসন্তীর মাটি রক্তে লাল হয়েছিল। সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজে। ভোটের দিনও রক্তাক্ত হয় বাসন্তী! যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। এবার ভোটপর্বের সময়ই বাংলার মোট ৪২ জনের প্রাণ গিয়েছে। ভোটের দিন মারা গিয়েছিলেন ১৬। ভোটের দিনের হিংসায় জখম আরও দুই ব্যক্তি মারা যান পরে। আর এবার ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক তৃণমূল কর্মী। অপর দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমাতেও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলল।

    পাথরপ্রতিমায় বাড়িতে ঢুকে হামলা

    ভোট শেষেও হিংসা অব্যাহত জেলার বিভিন্ন জায়গায়। পাথরপ্রতিমায় (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাথরপ্রতিমার পূর্বশ্রীধর নগর বালিখালপাড়া এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল জানায়, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অর্ধেন্দু ভূঁইয়া সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা। তারা বাঁশ, রড থেকে শুরু করে একাধিক অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। আর তার ফলেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্ধেন্দু ভূঁইয়া সহ ৮ থেকে ৯ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় পাথরপ্রতিমা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির অভিযোগ, যুব তৃণমূল এবং মাদার তৃণমূলের সংঘর্ষের কারণেই এই হিংসার ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় পাথরপ্রতিমা থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার বৈদ্য বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই রায়দিঘিতে মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি বুথে জিতলেও আমরা কোনও হিংসার আশ্রয়কে বিশ্বাস করি না। তিনি আরও বলেন, পাথরপ্রতিমাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার খাদিকুল গ্রামে। বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এলাকার মানুষের জনরোষ এবার গিয়ে পড়ল ভোটের বাক্সে। খাদিকুল গ্রামে এবার জয়লাভ করল বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। খাদিকুলে ৮২ ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ। আর তিনি হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিলতা দাসকে। তিনি এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তিনি সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রাক্তন প্রধান। শান্তিলতা দাসকে শিপুর গ্রামসভাতে ৮২ ভোটে পরাজিত করল বিজেপি। এই শান্তিলতা দাসের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছিল নির্দল এবং তৃণমূল। পরে নির্দলের প্রধান হন তিনি। এবার এই পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করল। ১৭ টি আসনের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিস্ফোরণে ভয়াবহ ভাবে অগ্নিদগ্ধ কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যু হয় ওড়িশার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষ সে সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন সহ একাধিক নেতাকে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ বলেন, তৃণমূল প্রচার করেছিল উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এত কিছু করেও তৃণমূল এই আসন ধরে রাখতে পারল না। কারণ, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে এলাকার মানুষ জোট বেঁধেছিল। এই জয় এলাকার মানুষের জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    Panchayat Poll: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন (Panchayat Poll) থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এবার গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ভাঙড়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে ব্যাপক বোমা ও গুলির লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। গণ্ডগোলে তিনজন আইএসএফ কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এক পুলিশ আধিকারিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হাসান আলি মোল্লা, রাজু মোল্লা, রেজাউল গাজি। হাসান, রাজু এলাকায় চিনে পুকুর এলাকায় থাকত। আর রেজাউল থাকত ভোগালি-১ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তি বাড়তে থাকে এলাকায়। সূত্রের খবর, ভাঙড়ে ততক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) জেলা পরিষদের একটি আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। বাকি দুটি আসনের ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। গণনা চলছিল জেলা পরিষদ আসনের। জানা গিয়েছে, একটি আসনে আইএসএফ এগিয়েছিল। সেই আসনে তৃণমূল জয়ী ঘোষণা করার পর পরই আইএসএফ কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আচমকাই ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া স্কুলের বাইরে ঘিরে ফেলে আইএসএফরা। এই স্কুলেই গণনা চলছিল। সেই গণনা কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে তারা। পাল্টা তাদেরকে হটাতে পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ফাটানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে খণ্ড যুদ্ধে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়। এক পুলিশ কর্তাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভাঙড় ২ ব্লক জুড়ে। এই ব্লকের মোট ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৮ টি পঞ্চায়েত দখল করলেও ১ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে আইএসএফ ও জমি কমিটির জোট।

    কী বললেন আইএসএফ নেত্রী?

    আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, ভোটের দিন (Panchayat Poll) থেকেই তৃণমূলকে সাহায্য করছে প্রশাসন। আমাদের জেলা পরিষদের এক প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, রাত সাড়ে বারোটার সময় বিডিও জানিয়ে দেন সে ৩৬০ ভোটে হেরেছে। আইএসএফের দাবি, পুলিশ ও তৃণমূল সেটিং করে তাদেরকে হারিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা এই সিটে পুনরায় গণ্নার দাবি জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গণনা শেষ হতেই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গণনা শেষ হতেই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর বারাকপুর-১ ব্লকের কাউগাছি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী আগুন লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি বেলে শংকরপুরে সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফল বের হওয়ার পরই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী এলাকায় তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। আমাদের দলীয় প্রার্থী মৌসুমী মিত্রের বাড়িতে ভাঙচুর করে ওরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আসলে বিজেপি বহু জায়গায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তাতেই তৃণমূল এসব করে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, বিজেপির (BJP) অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে রাজনৈতিক কারণে কোনও ভাঙচুর করা হয়নি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আর বেলে শংকরপুর এলাকায় সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙুচর হয়েছে। তবে, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্র থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

    বারাকপুর মহকুমায় পানপুর মাখনলাল ও ঘোলা শশীভূষণ স্কুলে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। পানপুরে মামুদপুর গণনাকেন্দ্র কিছুক্ষণের জন্য বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি প্রার্থী বরুণ সরদার দাবি করেন, যেসব ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের পুরো সই নেই, সেগুলি বাতিল করতে হবে। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিতণ্ডা বেধে যায়। নৈহাটি টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে অভিযোগ করেন, তিনি মদ খেয়ে বেলেল্লাপনা করছেন। এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই অশান্তি বেধে যায়। পরে তৃণমূল নেতাদের কথা মতো পুলিশ ওই বিজেপি প্রার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share