Tag: Bengali news

Bengali news

  • Buddhadeb Bhattacharjee: বাড়ল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, খেলেন স্যুপ, ভাল আছেন বুদ্ধদেব

    Buddhadeb Bhattacharjee: বাড়ল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, খেলেন স্যুপ, ভাল আছেন বুদ্ধদেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক অবস্থার ক্রমশই উন্নতি হচ্ছে। তিনি আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছে সংক্রমণের মাত্রা খুব বেশি তাঁর শরীরে বাড়েনি বরং আগে যা ছিল তার থেকে কিছুটা অল্প হলেও কমেছে। শুক্রবারে নতুন করে তাঁর রক্তের রিপোর্টকরানো হয়। কিন্তু সেটিও স্বাভাবিক রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

    শুক্রবার বিকেলে বুদ্ধবাবুকে আমের রস খাওয়ানো হবে

     শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Buddhadeb Bhattacharjee) স্যুপ খাওয়ানো হয়েছে বলেও হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, আম খেতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই কথা মাথায় রেখে বিকেলে তাঁকে আমের রস খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনই রাইলস টিউব খোলা হচ্ছে না। তবে চেষ্টা করানো হচ্ছে তাঁকে মুখ দিয়ে খাওয়ানোর। আস্তে আস্তে এই অভ্যাসটা তৈরি করানো হবে। শুক্রবার সকালের মেডিকেল রিপোর্টে জানানো হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নন ইনসেটিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বর্তমানে দেখাশোনা করছেন চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বুদ্ধবাবুকে (Buddhadeb Bhattacharjee)। বর্ষীয়ান চিকিৎসককে ছত্তিশগড় থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার বিকেলে ফের একবার মেডিকেল বোর্ড বসবে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়েছে

     ইতিমধ্যে রক্ত পরীক্ষা করার পরে দেখা যাচ্ছে যে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও আগের থেকে বেশ খানিকটা বেড়েছে (Buddhadeb Bhattacharjee)।  আগের মতোই রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী থেকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কলাকুশলীরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারও সারাদিন তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং একমাত্র সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। গত শনিবারে অসুস্থতার মাত্রা বাড়তে থাকায় তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেদিন হাসপাতালের মেডিকেল বুলেটিন সম্পর্কে জানানো হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শ্বাসনালীতে সংক্রমণ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher: অবাক কাণ্ড! থানায় লাইন দিয়ে মুচলেকা জমা দিলেন শিক্ষকরা, কেন জানেন?

    Primary Teacher: অবাক কাণ্ড! থানায় লাইন দিয়ে মুচলেকা জমা দিলেন শিক্ষকরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সিলেকশান কমিটিতে কোনও আত্মীয় ছিলেন না’, এই মর্মে প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে হলফনামা নিচ্ছে পুলিশ। ২০১২ সালে নিয়োগ পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের ৩,৯২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে দ্রুত এই হলফনামা স্থানীয় পুলিশ স্টেশন ও প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের অফিসে জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরেই জেলার ২১টি থানায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই হলফনামা জমা দিতে দেখা গিয়েছে।

    থানায় লাইন দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়া নিয়ে কী বললেন প্রাইমারি শিক্ষক?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১২ সালে প্রাথমিকে ঢালাও শিক্ষক নিয়োগ হয় রাজ্য জুড়ে। সেই নিয়োগে সিলেকশন কমিটিতে প্রার্থীদের আত্মীয়দের থাকার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃণাল কান্তি মাইতি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার সূত্র ধরেই ২০১২ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে হলফনামা চায় জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল। ৪ আগষ্টের মধ্যে এই হলফনামা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আচমকাই পুলিশের তরফ থেকেও ওই শিক্ষকদের ফোন করে থানাতেও হলফনামা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা শাসকের থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই পুলিশের তরফ থেকেও  মুচলেকা জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। থানায় লাইন দিয়ে হলফনামা জমা প্রসঙ্গে এক শিক্ষক বলেন, মনে হচ্ছে আমরা কোনও অপরাধ করেছি। অন্য এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষা দফতর থেকে পুলিশের কাছে মুচলেকা জমা দেওয়ার কোনও নির্দশ নেই। কিন্তু আচমকা পুলিশের ফোন পেয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখন নির্দেশ মেনেই আমরা হলফনামা জমা দিয়েছি।’

    কি রয়েছে এই হলফনামায়?

    জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হলফনামায় নিজের নাম পরিচয় উল্লেখ করার পাশাপাশি ৩টি পয়েন্টের উল্লেখ করতে হচ্ছে। যেখানে ওই শিক্ষকদের জানাতে হচ্ছে, ‘আমি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১২ সালে চাকরি প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। ইন্টারভিউ বোর্ড বা সিলেকশন কমিটির এক বা একাধিক সদস্য আমার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এবং আমি ঘোষণা করছি, আমার দেওয়া বিবরণ মিথ্যা বা ভুল হলে আমার নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং আমি প্যানেল কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকব’। স্ট্যাম্প পেপারে এই হলফনামাটি লিখে এফিডেভিটের পর তা জেলা স্কুল কাউন্সিলে জমার পাশাপাশি প্রত্যয়িত কপি থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। এই পরীক্ষায় বেসিক পাশ না থাকাদেরও বসতে সুযোগ দেওয়া হয় এবং ওই বছর বিপুল পরিমাণে নিয়োগ হয় রাজ্যে। যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর শীর্ষস্থানে ছিল বলে খবর। পরে এনসিইআরটি’র গাইডলাইন মেনে এই সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক ভাবে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে নতুন করে পাশ করতে হয় এবং ডিএড পাশ করে সেই সার্টিফিকেটও জমা করতে হয় সংসদে। এবার নতুন করে এই সমস্ত শিক্ষকদের হলফনামা দেওয়া নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চিঠি ধরালেন শুভেন্দু! কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চিঠি ধরালেন শুভেন্দু! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির শর্ত লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, এই অভিযোগে কেন্দ্রকে চিঠি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, চাকরির শর্ত ভেঙে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় গলা মেলাচ্ছেন। কেন্দ্র সরকারকে বার বার ওদের সরকার তোপ দাগছেন মুখ্যসচিব, এমনটাই অভিযোগ শুভেন্দুর।

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আবেদন জানিয়েছেন যেন অবিলম্বে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয় এবং চাকরি জীবনের পরবর্তীকালে তিনি যে সুযোগ সুবিধাগুলো পাবেন সেখানে কাটছাঁট করা হয়। প্রসঙ্গত ১০০ দিনের কাজের বিপুল পরিমাণে দুর্নীতির অভিযোগে সেই খাতে টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামেগঞ্জের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তো ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে যে স্থানে পুকুর খনন দেখানো হয়েছিল, সেখানে দেখা যাচ্ছে ভুট্টার ক্ষেত। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আদায়ের দাবিতে বুধবারই সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজ্যের আর্থিক অবস্থার বিবরণ দেন। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের সমালোচনাও শোনা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসেছিলেন মুখ্যসচিব।

    কী বললেন শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় অভিযোগ করেন, নবান্নের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন মুখ্যসচিব। কেন্দ্রীয় আধিকারিক হয়ে এমন মন্তব্য নিয়ম বহির্ভূত বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভার মিডিয়া পয়েন্টে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু যখন এই কথাগুলি বলছিলেন তখন তিনি একটি ভিডিও দেখান। ওই ক্লিপের বক্তব্যের ইংরেজি অনুবাদ জুড়ে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সচিব এবং অর্থ সচিবকে চিঠি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘একজন আধিকারিক যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া এক্সটেনশন পেয়ে কাজ করছেন, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। তিনি নিজের কর্মজীবনে যাবতীয় শর্ত লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী মন্তব্য করেছেন। এটা নিয়ম বহির্ভূত। মুখ্যসচিবের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তার কাজের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’’ বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, তিনটি মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যসচিবকে শো-কজের দাবি জানানো হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heritage Building: হাওড়ায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি যেন আস্ত সংগ্রহশালা

    Heritage Building: হাওড়ায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি যেন আস্ত সংগ্রহশালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমর কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটিও গল্প বা উপন্যাস পড়েননি, এমন বাঙালি বোধহয় বিরল। হুগলির দেবানন্দপুর, পরে বিহারের ভাগলপুর, সাবেক বার্মা অধূনা মায়ানমার, হাওড়া শহরের বাজেশিবপুর ইত্যাদি জায়গায় থেকেছেন শরৎবাবু। তবে তাঁর শেষ জীবনের আবাসস্থল হাওড়া জেলার পশ্চিম সীমান্তের গ্রাম সামতাবেড় (Heritage Building)। ১৯২৬ থেকে ১৯৩৮, প্রায় বারো বছর তিনি কাটিয়েছিলেন নিজের কেনা এই বাড়িটিতে। জীবনের শেষ উপন্যাস বিপ্রদাস লিখেছিলেন এখানে বসেই।

    স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি (Heritage Building) দেখতে আসেন বহু মানুষ

    প্রচুর মানুষ এখানে আসেন তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি দেখতে। দেখতে আসেন বহু কালজয়ী গল্প-উপন্যাসের স্রষ্টার সাধনস্থল। ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার হেরিটেজ অ্যাক্ট আইন অনুসারে এটিকে ঐতিহ্য ভবন (Heritage Building) ঘোষণা করে। অমর কথা সাহিত্যিকের আবক্ষ মূর্তি উদ্বোধন করেন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। লাল টালিতে ছাওয়া দোতলা বার্মিজ প্যাটার্নের বাড়িটি তাঁর বার্মাতে থাকার কথা মনে করিয়ে দেয়। নিস্তব্ধ পরিবেশ যেন মন কেমনের অনুভূতি বহন করে। নীরব গাম্ভীর্য সমীহ আদায় করে নেয়। অনতিদূরেই রূপনারায়ণ নদীর তীর বেড়ানোর পক্ষে আদর্শ। কলকাতা বা অন্যান্য জায়গা থেকে অনেকেই আসেন এখানে পিকনিক করতে। মানুষ আসেন ঢিল ছোড়া দূরত্বে রূপনারায়ন নদীর তীরের পিকনিক স্পটে। এপারে হাওড়া ওপারে মেদিনীপুর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর জানুয়ারিতে শুরু হয় শরৎ মেলা। পানিত্রাস স্কুল মাঠে চলে এক সপ্তাহ ধরে।

    কীভাবে যাবেন?

    হাওড়া স্টেশন থেকে দক্ষিণ পূর্ব রেলপথে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার দেউলটি স্টেশন থেকে মাত্র পনেরো-কুড়ি মিনিটের পথ সামতাবেড়। সরাসরি গাড়িতে করেও আসা যায়। সাঁতরাগাছি হয়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। এ পথে টোটো চলে বেশি। স্টেশন থেকে টোটো বুকিং করেও আসা যায়। ঘুরে আসা যায় কাছাকাছি নাউপালা বাংলো। স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে শরৎবাবুর বাড়ি শরৎ কুঠী (Heritage Building) বলেই পরিচিত হয়ে গিয়েছে। পানিত্রাস রোড হয়ে পঞ্চায়েতের বানানো ঢালাই রাস্তা ধরে মিনিট পাঁচেক গেলেই শরৎচন্দ্রের বাড়ি।

    গড়ে উঠেছে সংগ্রহশালা

    ব্যক্তিগত উদ্যোগে শরৎচন্দ্রের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে একটি সংগ্রহশালা গড়ে উঠেছে এখানে। সাধারণত সকাল ৭টা থেকে ১২টা ও বিকেল ৪টে থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত বাড়িটি সাধারণের জন্য খোলা থাকে। এখানে রয়েছে শরৎচন্দ্রের ব্যবহৃত বুক সেলফ, খাট, আরাম কেদারা, গড়গড়া, ভালভ্ সিস্টেম রেডিও, দেওয়াল ঘড়ি, রাধাকৃষ্ণের মূর্তি প্রভৃতি। রয়েছে হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশি যা তিনি গরীব মানুষের অসুখ-বিসুখে দিতেন। সবই বেশ ঝকঝকে তকতকে অবস্থায় রয়েছে। আর রয়েছে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগানো সেই টেবিল ও চেয়ার। যেখানে বসেই সৃষ্টি হয়েছে মর্মস্পর্শী সাহিত্যের মণিমাণিক্য মহেশ, অভাগীর স্বর্গ, পল্লিসমাজ প্রভৃতি। বাড়ির ভিতরে তাঁর নিজের হাতে লাগানো পেয়ারা গাছ ও উল্টো দিকের জল টলটলে দিঘিটি হলো রামের সুমতির পটভূমি। গল্প অনুযায়ী রামের অতি প্রিয় এই গাছটি ও কার্তিক গণেশ খ্যাত দিঘির মাছ দুটির স্মৃতি যেন বইয়ের পাতা থেকে বাস্তবে উঠে আসে। পল্লিসমাজের রমেশ, রমা প্রভৃতি চরিত্রগুলি আজও যেন হেঁটে চলে ফেরে এখানে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গেও এই বাড়িটি (Heritage Building) জড়িয়ে রয়েছে। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্যতম আশ্রয়স্থল ছিল এই বাড়ি। এখানে একসময় এসেছেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, বিপিনবিহারী গাঙ্গুলী, বাঘাযতীন প্রমুখ।

    সময় বের করে যাওয়াই যায়

    শহর কলকাতার যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু সময় বের করে আসাই যায় সামতাবেড় (Heritage Building)। খানিকটা গ্রাম্য পরিবেশ, সবুজের সমারোহ, নদীর ধার ভালোই লাগবে। মনে সাহিত্য ভাবনা না এলেও এক অন্য অনুভূতি যে হবেই তা হলফ করে বলা যায়। আর শরৎচন্দ্রের বাড়ি এলে তো নিজেকে হারিয়ে ফেলাই হবে! একটু অনিয়ম হবে? হোক না! শ্রীকান্তরা কোনকালেই বা নিয়ম মেনে চলতে চেয়েছে? শ্রীকান্তরা যে চিরকালের মূর্তিমান অনিয়ম!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জমি বিবাদে চলল গুলি, বোমা! কাঠগড়ায় পুলিশ-প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা

    Murshidabad: জমি বিবাদে চলল গুলি, বোমা! কাঠগড়ায় পুলিশ-প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি বিবাদে চললো গুলি, ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুই। সেই সঙ্গে ঘটেছে ব্যাপক বোমাবাজি। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল মধুরকুল অঞ্চলের সব্দলপুর এলাকায়। ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আক্রমণের মূলে পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বিবাদ বলে জানা গেছে। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যর এই জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারে এই জেলার হিংসার খবর সংবাদপত্রের শিরোনাম ছুঁয়েছে। এবার পারিবারিক বিবাদেও অস্ত্র এবং বোমা ব্যবহারের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে ডোমকলের (Murshidabad) সব্দলপুর এলাকায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জমি দখলের লড়াই চলছিল। সমস্যা চরমে পৌঁছালে, চালানো হয় গুলি এবং করা হয় বোমাবাজি, এমনটাই অভিযোগ। ওই ঘটনায় সাহাবুদ্দিন বিশ্বাস (২৬) এবং মোজাম্মেল বিশ্বাস (৩৫) নামে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হলে জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী ইউসুফ বিশ্বাস, সইদুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

    আক্রান্ত পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত (Murshidabad) পরিবারের সদস্য বাচ্চু বিশ্বাস বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা প্রত্যেকে জোট পার্টি করে আর আমরা তৃণমূল পার্টি করি। জমি নিয়ে মূলত ৩-৪ বছর ধরে ঝামেলা চলছে। জমির দলিল এবং রেকর্ড আমাদের নামেই। আমার বাবার নামে জমির কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু ওদের নামে কিছুই নেই। গতকালও আমাদের উপর বোমা নিয়ে হামলা করে। এরপর থানায় জিডি করলেও পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। পাশাপাশি বেআইনি ভাবে জমি রেকর্ড করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত পক্ষ। কিন্তু আজকে বিকেলের পরপরই মুখ ঢেকে সাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, সইদুল বিশ্বাস, মুজাম্মেল বিশ্বাস ও গাইজুল বিশ্বাস সহ আরও অনেক ব্যক্তি বোমা নিয়ে আক্রমণ করে। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের হাতেই পিস্তল ছিল। আক্রান্ত পরিবারের আরেক সদস্য শাহউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমরা বাড়িতে যাওয়ার পরই দেখি পাশের বাড়ি থেকে বোমা-গুলি ছুড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় ইউসুফ বিশ্বাস এবং সইদুল বিশ্বাস দুজনের হাতেই মেশিন দেখেছি। মূলত জমির অধিকার নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিবাদ ছিল ওদের।  

    একটি পারিবারিক বিবাদে কীভাবে এই বন্দুক এবং বোমাবাজির ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Breast Feeding: জন্মের পরের ছ’মাস কি কেবল মায়ের দুধ? সন্তানের স্তন্যপান জরুরি কেন?

    Breast Feeding: জন্মের পরের ছ’মাস কি কেবল মায়ের দুধ? সন্তানের স্তন্যপান জরুরি কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সদ্যোজাতের যত্নের মূল চাবিকাঠি কি রয়েছে মায়ের কাছেই? আজীবন রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে মজবুত করতে মায়েই কাছেই কি রয়েছে মূল মন্ত্র? আর সন্তান প্রসবের পরে সুস্থ জীবন কাটাতে এবং নানান মারণ রোগের ঝুঁকি কমানোর কৌশলও কি নতুন মা আর সন্তানের মধ্যেই গোপন রয়েছে? বিশেষজ্ঞ মহলের উত্তর, হ্যাঁ! নবজাতকের সুস্থ জীবন কিংবা মায়ের দীর্ঘ রোগমুক্ত জীবন এই সবকিছুর চাবিকাঠি স্তন্যপান (Breast Feeding)! ব্রেস্ট ফিডিং অ্যাওয়ারনেস উইকে এমনই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল!

    কী বলছেন চিকিৎসকরা (Breast Feeding)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস তার জন্য শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ (Breast Feeding) যথেষ্ট। বাইরের কোনও রকম খাবার কিংবা জলের প্রয়োজন শিশুর নেই। বরং জন্মের প্রথম ছ’মাস শিশুকে বাইরের খাবার কিংবা জল দিলে, তা শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে! তাই এই সময়ে শিশুকে শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধ পানের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, স্তন্যপান মা ও শিশু দু’ জনের স্বাস্থ্যের জন্য সমানভাবে উপকারী। মা যে কোনও শারীরিক অবস্থাতেই শিশুকে স্তন্যপান করাতে পারেন। এমনকি করোনার মতো সংক্রামক মহামারীতে আক্রান্ত হলেও শিশুকে মা স্তন্যপান করাতে পারেন। এমনই নিদান দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মায়ের দুধের কোনও বিকল্প নেই বলেই জানাচ্ছে তারা।

    কেন শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধ (Breast Feeding) উপকারী? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, ঠিক কোন কোন উপাদানে মায়ের দুধ তৈরি হয়, তা আজও বিজ্ঞানের কাছে অজানা। তাই মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প তৈরি করা যায়নি। কিন্তু এই দুধের উপকার জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সাধারণত ছ’মাসের পরে যখন শক্ত খাবার শিশু খেতে শুরু করে, তখন থেকেই তার পেটের সমস্যা ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়। দেখা গিয়েছে, যারা ফর্মুলা দুধ খেয়ে অভ্যস্ত, সেই শিশুদের সমস্যা বেশি হয়। মাতৃদুগ্ধ শিশুর লিভার, কিডনি এবং পরিপাকতন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ায়। শিশুকে সুস্থ রাখে। তাছাড়া, জন্মের পরের প্রথম ছ’মাসের মধ্যে শিশুকে বাইরের জল খাওয়ালে, তার কিডনির উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই শিশুর কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরের পাশপাশি মস্তিষ্কের বিকাশেও মাতৃদুগ্ধের (Breast Feeding) গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে মাতৃদুগ্ধ। স্মৃতিশক্তি বাড়ানো এবং চিন্তাশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করে মাতৃদুগ্ধ। 
    এর পাশপাশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সন্তান ও মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও মাতৃদুগ্ধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যে মা সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করান, তার সঙ্গে সন্তানের মানসিক সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ় হয় বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    সন্তানকে স্তন্যপান (Breast Feeding) মায়ের শরীরের জন্য কতখানি উপকারী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র সন্তানকে সুস্থ রাখা নয়, নিজেকেও সুস্থ রাখতে স্তন্যপান (Breast Feeding) করানো জরুরি। সন্তান জন্মের পরে মা স্তন্যপান করালে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্তন্যপান করালে স্তন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে, শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি কমে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকার জেরে মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। অধিকাংশ মায়েরা সন্তান প্রসবের পরে পোস্ট পার্টম ডিপ্রেশনের শিকার হন। এটা এক ধরনের মানসিক অবসাদ। সন্তানকে স্তন্যপান করালে এই অবসাদ কমার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলেও জানাচ্ছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাছাড়া, অনেকের গর্ভবতী থাকাকালীন শরীরের ওজন বেড়ে যায়। বাড়তি ওজন কমাতেও বেশ সময় লাগে। তবে, নিয়মিত স্তন্যপান করালে দ্রুত ওজন কমে বলেও জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। 

    তবে, সন্তানের প্রথম ছ’মাসে যে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং-এর পরামর্শ চিকিৎসকরা দিচ্ছেন, এই পর্বে মায়ের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ, স্তন্যপান করানোর সময় মা যাতে নিয়মিত অন্তত ছ’লিটার জল পান করেন, সে দিকে নজর দিতে হবে। পাশপাশি, মাকে পর্যাপ্ত দুধ, ডিম, মাংস, মাছ এবং সব্জি খেতে হবে। যাতে তার শরীরে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি না পড়ে। তাছাড়া, আপেল, নাশপাতি, কলার মতো ফল নিয়মিত খেতে হবে, যাতে শরীরে ফাইবার ও আয়রন পর্যাপ্ত থাকে। পাশপাশি, মা স্তন্যপান করালে তাঁর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই পরিবারে তরফে নজর রাখতে হবে, যাতে সময় মতো মা বিশ্রাম নিতে পারেন। তবেই, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • TMC: টোল প্লাজায় গাড়ি আটকানো অপরাধ! টোল কর্মীকে গলা ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের, ভাইরাল ভিডিও

    TMC: টোল প্লাজায় গাড়ি আটকানো অপরাধ! টোল কর্মীকে গলা ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রকাশ্যে এক পুলিশ আধিকারিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। প্রশাসনের কর্তাদের গায়ে হাত তোলার নজিরও রয়েছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার টোল প্লাজায় কিছুক্ষণ গা়ড়ি দাঁড় করানোর ‘অপরাধে’ এক টোল কর্মীকে গলা ধাক্কা দিয়ে মারতে উদ্যত হলেন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আর টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। সিসি ক্যামেরার এই ভিডিও ফুটেজটি বৃহস্পতিবার রাতে ‘ভাইরাল’ হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের একটি গাড়ি টোলপ্লাজার সামনে দাঁড়ালো। টোল প্লাজার কর্মী এসইউভি গাড়িটিকে দাঁড় করান। গাড়ির চালক সঙ্গে সঙ্গে সামনে থাকা ব্যারিয়ারটিকে ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় তা পড়ে যায়। সেটি টোলকর্মী তুলে পাশে সরিয়ে রাখেন। ঠিক তার ১০ সেকেন্ড পরেই গাড়ি থেকে নীল পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা পরে থাকা এক ব্যক্তি মারমুখি অবস্থায় ছুটে আসেন। ওই টোল কর্মীকে গলায় ধাক্কা দেন। তারপর দেখা যায় তিনি কর্মীর দিকে হাত তুলে মারতে যাচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মারতে উদ্যত হওয়া ব্যক্তিটি হলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার পৌনে একটা নাগাদ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর মেমারির পালসিট টোলপ্লাজায়।

    কী বললেন টোলপ্লাজার কর্মী?

    টোলপ্লাজার কর্মী উজ্জ্বল সিং সর্দার বলেন, আমি ভিআইপি গেটে ডিউটি করছিলাম। সেই সময় একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়ির মধ্যে কে আছে তা দেখতে চাই। তখনই গাড়ির চালক ব্যারিয়ারে ধাক্কা মারে। আমি বেরিয়ারটিকে সরিয়ে রাখতেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে একজন এসে আমাকে গলা ধাক্কা দেন। পরে, জানতে পারি তিনি তৃণমূলের (TMC) এমপি। আমাকে ক্ষমা চাইতে হয়। আমি নিজের ডিউটি করছিলাম। কিন্তু, তিনি যে ভাবে আচরণ করলেন তাতে খুব কষ্ট পেয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: সরকারি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত কিট! ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে গিয়ে নাজেহাল রোগীরা!

    Dengue: সরকারি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত কিট! ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে গিয়ে নাজেহাল রোগীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরের ধাক্কার পরেও বদল হয়নি পরিস্থিতি। সরকারি হিসাবে গত বছরে এ রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও এ বছরে কি বিশেষ হেলদোল দেখা যাচ্ছে? রোগ মোকাবিলায় সরকার কি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে? ডেঙ্গির বিষয়ে সাম্প্রতিক রোগী হয়রানির অভিযোগ এই প্রশ্নগুলোকে আরও জোরালো করছে।

    কী অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীরা (Dengue)? 

    এ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও পরিবারের একাংশের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে একাধিক সরকারি হাসপাতালে জ্বর, কাশি এবং হাতে-পায়ে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ নিয়ে গেলেও ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষা হয়নি। হাসপাতালের তরফে তাদের জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। তাই ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কিংবা বাইরে থেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। 
    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অভিজ্ঞতা হচ্ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। যার জেরে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়েই রোগীকে থাকতে হচ্ছে। সামান্য পরীক্ষা করানোর জন্য অসুস্থ ব্যক্তি কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সময় এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে হচ্ছে। আর তার পরে পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে তার সংক্রমণ হয়েছে কিনা। এতেই বাড়ছে বিপদ।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল (Dengue)? 

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি সময় মতো সংক্রমণ আটকানো এবং রোগীর চিকিৎসা করা। এমনই জানাচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু যেভাবে ডেঙ্গি পরীক্ষা করতেই বাড়তি সময় ব্যয় হচ্ছে, তাতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, ডেঙ্গির উপসর্গ থাকা ব্যক্তির যদি সংক্রমণ হয়ে থাকে, আর তিনি এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল বিনা চিকিৎসায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে একদিকে তাঁর সময় মতো চিকিৎসার সুযোগ কমছে। তাঁর শরীরের অবনতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তেমনি তাঁর থেকে, তাঁর পরিবার ও এলাকার মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ রুখতে তাই উপসর্গ থাকা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত নিশ্চিত হলে রোগীকে আলাদাভাবে রাখা এবং তার চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। সামান্য পরীক্ষার জন্য যদি রাজ্যবাসীকে শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ নির্ভর হতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলেই তাদের আশঙ্কা। জেলা হাসপাতাল নয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার কিট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত রাখতে হবে। তবেই দ্রুত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনটাই মনে করছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা (Dengue)? 

    স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, জুলাই মাস থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরীক্ষার চাহিদা বেড়েছে। গত এক মাসে ডেঙ্গিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৭০০-র কাছাকাছি। আগস্টের প্রথম সপ্তাহেও সেই ধারা এক রকম আছে। তাই অনেক হাসপাতাল বিশেষত নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা ও হুগলি জেলার কিছু হাসপাতালে সাময়িক সঙ্কট হয়েছিল। কিন্তু তা মিটে গিয়েছে বলেও দাবি করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। পাশপাশি তাঁরা জানান, রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কিট যাতে পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গি রোগীর যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন। এমনই জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

    Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়াতে (Nadia) আবারও ডেঙ্গির বলি হলেন একজন। এই নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। আক্রান্ত প্রায় ১৫০০-র উপরে। আতঙ্কে গোটা জেলাবাসী। গোটা রাজ্যজুড়ে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। নদীয়া জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছরের তুলনায় এবছর রেকর্ড মাত্রা ছাড়িয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত। যত দিন যাচ্ছে ততই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার। যার কারণে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রতন কর্মকার। তাঁর বাড়ি নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটের নন্দীঘাট এলাকায়। বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। প্রায় ৭-৮ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। প্লেটলেট অনেকটা কমে যাওয়ায় অবশেষে তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গি পজিটিভ-এর কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মৃত রতনবাবুর বউমা বিথীকা কর্মকার বলেন, বাড়িতেই চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তিন-চার দিন চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। স্যালাইন চলছিল, কিন্তু, প্লেটলেট কমে যাওয়ার কারণে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করার পরই তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক?

    এই প্রথম নয়, এর আগেও ডেঙ্গির বলি হয়েছেন আরও পাঁচজন। নদিয়া (Nadia) জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী বেডের পরিমাণ অনেকটা কম থাকায় মেঝেতে শুয়েই চলছে চিকিৎসা। ‌যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাইক প্রচার করে চালানো হচ্ছে সচেতনতা বার্তা। পঞ্চায়েত এবং স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ দমনে চলছে কীটনাশক স্প্রে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road Accident: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    Road Accident: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল বেহালা। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম সৌরনীল সরকার। এই ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় গোটা এলাকায়। জনতার রোষে পুলিশের ভ্যান দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বেহালায়। সরকারি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। স্থানীয়দের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার রোডও বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ করে। অভিযোগ, দুর্ঘটনার (Road Accident) পর লরিচালককে ধরা গেলেও, পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। পরে, সকাল দশটা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা নামক জায়গা থেকে লরি চালককে গ্রেফতার করেছে হাওড়া ট্রাফিক পুলিশ।

    জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ মাটি বোঝাই একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে। তার বাবা ছিটকে গিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খুদে পড়ুয়ার (Road Accident)। গুরুতর জখম তার বাবা সরোজ সরকারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। বর্তমানে, এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন পড়ুয়ার বাবা। এদিকে, এই দুর্ঘটনার পরই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় (Road Accident)। পথচলতি সাধারণ মানুষকে এই কারণে ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এরপরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী ও পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে বলে খবর রয়েছে।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি

    এদিন বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন যে পুলিশ নিজের কাজ করে না। ঘুষ খেতে ব্যস্ত। পুলিশ সচেষ্ট হলে এমন ঘটনা কি ঘটতে পারে? এদিন স্কুলের অভিভাবকদের মুখেও শোনা যায় ক্ষোভের সুর। তাঁরা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলতে থাকেন যে স্কুলের সামনে কোনও ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। দূরে যারা বসে থাকে তারা সবসময় ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে। অন্যদিকে বড়িশা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমার একটি ছেলেকে এইভাবে হারাতে হবে (Road Accident) আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। পুলিশ যদি সচেতন হতো, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share