Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ১২/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ১২/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবার ও প্রিয়জনদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে একা সময় কাটাবেন। এর ফলে সম্পর্ক মজবুত হবে।

    বৃষ

    ১) মনে আনন্দ থাকবে।

    ২) অর্থের অপচয় এড়িয়ে যান, তা না-হলে আর্থিক পরিস্থিতি আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।    

    মিথুন

    ১) সন্ধ্যাবেলা আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় সময় কাটাবেন। 

    ২) আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন। ব্যবসায় লাভ হবে।   

    কর্কট

    ১) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ২) চাকরিতে অংশীদারদের কাছ থেকে ভালো মুনাফা অর্জন করবেন।  

    সিংহ 

    ১) ব্যবসায় পরিকল্পনা কার্যকর করবেন, এর ফলে লাভ হবে।

    ২) কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতের ফলে মুখে হাসি ফুটবে।

    কন্যা

    ১) বিদেশি আত্মীয়দের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন। 
     
    ২) বরিষ্ঠ সদস্যের সাহায্যে বোনের বিয়েতে আগত বাধা সমাপ্ত হবে।    

    তুলা 

    ১) বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ২) খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নিন। শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার স্থান পরিবর্তন করলে দিন ভালো কাটবে।

    ২) পরিবারের সদস্যরা আপনার কাছে কিছু আবদার করতে পারেন।    

    ধনু

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে রুচি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে জনসমর্থন লাভ করবেন।
     
    ২) রোজগারের খোঁজে থাকলে আজ কোনও সুসংবাদ পাবেন।

    মকর

    ১) অফিসে বিরোধীরা সক্রিয় থাকবেন, তাই তাঁদের ওপর নজর রাখতে হবে।

    ২) লেনদেনের জন্য দিন ভালো নয়।      

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন, তবে এতে যাতে কেউ আপনাকে স্বার্থপর না বোঝেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    ২) বিবাদ এড়িয়ে যান, তা না-হলে আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়বেন।     

    মীন

    ১) সম্পত্তি বিক্রির জন্য দিন ভালো।
     
    ২) অংশীদারীত্বের ব্যবসার জন্য ভালো দিন।        

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

  • Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর বিধানসভা (Purba Medinipur) কেন্দ্রে দুটি ব্লকের ১৭ টি অঞ্চলের মধ্যে দশটি অঞ্চলে জয় বিজেপির। আর বাকি সাতটি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে গেল। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খেলা হল গেরুয়া আবির। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের আগে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলাফলের পর এলাকায় জয়ের তীব্র উত্তেজনা দেখা গেল।

    নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) ফলাফল কেমন হল বিজেপির?

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৮ই জুলাই ভোটের দিন নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছিল বিরোধীদের মুখে। নন্দীগ্রামে ১০ই জুলাই পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ ছিল নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম বিধানসভার দুটি ব্লক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক ও রিয়াপাড়া ব্লক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে দশটি অঞ্চল এবং রেয়াপাড়া ব্লকে ৭ টি অঞ্চল। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে ১০ টি অঞ্চলের মধ্যে ৫ টি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে ও বিজেপি বাকি ৫ টি অঞ্চল দখল করে। রেয়াপাড়া ব্লকের ৭ টি অঞ্চলের মধ্যে তৃণমূল ২ টি অঞ্চল ও বিজেপি ৫ টি অঞ্চল দখল করেছে। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে হরিপুর অঞ্চলে খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল। এখানে ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৫ টিই বিজেপির দখলে।

    অন্য দিকে কাঁথিতেও জয়ী বিজেপি

    অপর দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতেও উড়ল গেরুয়া আবির। কাঁথি ১ নং ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। তাই জয়ের পরেই শান্তিকুঞ্জের সামনে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা গেরুয়া আবির মেখে উল্লাসে মেতে ওঠে। সবার মুখেই একটাই কথা ‘শুভেন্দু ম্যাজিক’ কাজে লেগেছে। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি পাঁচটি অঞ্চল দখল করেছে। এখন দেখার বিষয় জেলার ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ কার দখলে যায়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “দাদা আমাকে বাঁচান”, নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে অঝোরে কান্না বিজেপি প্রার্থীর

    Cooch Behar: “দাদা আমাকে বাঁচান”, নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে অঝোরে কান্না বিজেপি প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিতাই ব্লকে (Cooch Behar) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী। ওই মহিলা বললেন, তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হতে পারে। বোমা মারার হুমকিতে আতঙ্কে আছেন তিনি। ফলাফল ঘোষণার পর এইভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই বিজেপি প্রার্থী। ভোটে হেরেছেন। তার জন্য তৃণমূলকে দিতে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা। না হলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে তৃণমূলের গুন্ডারা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

    কেন পায়ে ধরে সুরক্ষা চাইলেন (Cooch Behar)?

    সিতাই বিধানসভার (Cooch Behar) ৬/১০৪ নম্বর বুথে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ছিলেন বিউটিবালা দাস। নির্বাচনে কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। আর এর পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যাপক হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরে আশ্রয় চান তিনি! প্রার্থী বলেন, দাদা আমাকে বাঁচান! মন্ত্রীর পায়ে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন এই বিজেপি প্রার্থী। প্রার্থী আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করবে। বাড়িঘর ভাঙচুর করবে! ইতিমধ্যেই লুটপাটের হুমকি আসছে বলে অসহায় হয়ে আশ্রয় চাইলেন। প্রার্থী আরও বলেন, গণনা কেন্দ্রে আমাদের না ডেকেই গণনা করা হয়েছে। একতরফা আমদের ঢুকতে না দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। মন্ত্রী পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি তিনি আরও জানান, যদি মন্ত্রী তাঁর পাশে না দাঁড়ান, তাহলে তাঁর আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। যদিও দলীয় প্রার্থীর মুখে এমন আর্তনাদ শুনে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য

    এত সন্ত্রাসের পরে এই ফল! সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) বলেন, এত সন্ত্রাসের চোখ রাঙানি, বোমা-বারুদ, মারামারি-হানাহানি-লড়াইয়ের মধ্যেও মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে লড়াইতে নেমেছেন, এটা কম বড় বিষয় নয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। কিন্তু সাহস দেখিয়ে চোখে চোখ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটাই আসল কথা। তৃণমূল যেখানে যেখানে ছাপ্পা মেরেছে, সেখানে সেখানে জয়ী হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়, ছাপ্পা হবে বুঝতে পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন প্রতিরোধ করতে পারল না বিজেপি? উত্তরে নিশীথ বলেন, যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে সন্ত্রাস করে, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে লড়াই করবে! প্রশাসন দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দেয়, বিরোধীদের মিথ্যা কেসে তুলে নিয়ে যায়। তৃণমূলের গুন্ডাদের সঙ্গে লড়াই সম্ভব। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে লড়াই কী করে সম্ভব? সুতরাং তৃণমূলের শাসন শেষ না হলে এই ব্যবস্থার বদল ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, আগামী লোকসভার ভোটে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের দিন এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটে বেড়িয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। মনোবল বাড়িয়েছিলেন কর্মী-সমর্থকের। এবার গণনার দিনও এলাকা চষে বেড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কথা বলেছেন বিজেপির গণনা কেন্দ্রের এজেন্টদের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র চত্বরে যান তিনি। শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর নয়, উত্তর দিনাজপুরেও ছুটেছেন তিনি।

    কর্মীদের কী বার্তা দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন। গণনা কেন্দ্রে এজেন্টরা যাতে মাঝ পথে উঠে চলে না আসে, তাই প্রতিটা গণনা কেন্দ্রে গিয়ে একই বার্তা দিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি। মূলত, কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতেই বিভিন্ন এলাকায় ছুটেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভোট যা হয়েছে তাতে আমাদের কর্মীদের একটাই কর্তব্য, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। কাউন্টিং হলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি  উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহারে যান তিনি। গত কয়েকদিন থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেই রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এবং পুনর্নির্বাচনের দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন তিনি। যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই দলীয় কর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। সুকান্তর দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে সারা রাজ্যেই।

    প্ররোচনা পা না দেওয়ার বার্তা বিজেপির রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কার্যকর্তারা তৈরি আছে লড়াইয়ের জন্য। আমরা খুব ভালো করে লড়েছি। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদে বিজেপির পতাকা উড়বে। বিজেপি বহু জায়গায় ভাল ফল করেছে। আরও ভাল ফল করবে। দলীয় কর্মীদের বলেছি কোনওরকম ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা দেবেন না। এবং গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যেন গণনা কেন্দ্র না ছাড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Population Day 2023: ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস! প্রথম দশে কোন দেশগুলি?

    World Population Day 2023: ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস! প্রথম দশে কোন দেশগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day 2023)। অনেক দেশের কাছেই জনসংখ্য়া হল জনসম্পদ। আবার জনবিস্ফোরণের তত্ত্বও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গেই উঠে আসে। এতে বাড়ে বেকারত্ব, কমে জীবন জীবিকার মান। তবে এসব বিতর্ক সরিয়ে রেখেই প্রতিবছর  সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিনটিকে জনসংখ্যা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে শীর্ষে রয়েছে ভারত।

    বিশ্বের জনসংখ্যা (World Population Day 2023)

    ২০২২ সালের এমন সময় ওয়ার্ল্ডওমিটার বিশ্বের জনসংখ্যা গণনা করে জানিয়েছিল, ৭৯৫ কোটি। চলতি বছরের হিসেব অনুযায়ী  বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৪ কোটিতে পৌঁছেছে  বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে নয় কোটি। ওয়ার্ল্ডওমিটারের ক্যালকুলেটর দ্রুত গণনা করতে থাকে সবসময়ই, এবং তা এখনও কাজ করে চলেছে, সামনের বছরের হিসাব দেওয়ার জন্য। এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে পৃথিবীতে প্রায় ২৪০টি শিশু জন্মায়

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩-এর থিম

    সারা বিশ্বে যে কোনও দিবস উদযাপনের পিছনে একটি উদ্দেশ্য থাকে। প্রতিবছর সেই উদ্দেশ্য পালন এবং প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট থিমও থাকে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৩ এর থিম হল ‘Imagine a world where everyone all 8 billion of us has a future bursting with promise and potential.’ 

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের নানা কর্মসূচি

    জনসংখ্যা দিবসে লিঙ্গ সমতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার এবং যৌন সম্পর্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি প্রচারের আলোয় আনা হয়। প্রতিবেদনের শুরুতেই যে কথা বলা হয়েছে, জনসম্পদ ও জনবিস্ফোরণ তত্ত্ব। এনিয়েও মানুষকে সচেতন করা হয়। এদিনে বিভিন্ন স্থানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। 

    জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের প্রথম দশটি দেশ

    ১) ভারত: জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বে এখন শীর্ষে ভারত। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্ট অনুসারে ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১,৪২.৫৮ কোটি। 

    ২) চিন: দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমাদেরই প্রতিবেশী চিন। তাদের জনসংখ্যা ১,৪২.৫৭ কোটি।

    ৩) আমেরিকা: তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। মার্কিন দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ৩৩.১৯ কোটি।

    ৪) ইন্দোনেশিয়া: তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এই দেশটির জনসংখ্যা ২৭.৩৮ কোটি।

    ৫) পাকিস্তান: তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। বর্তমানে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২৩.১৪ কোটি।

    ৬) ব্রাজিল: ব্রাজিল রয়েছে তালিকায় ছয় নম্বর স্থানে। ব্রাজিলের জনসংখ্যা ২১.৪৩ কোটি।

    ৭) নাইজিরিয়া: নাইজিরিয়া রয়েছে তালিকায় সাত ‌‌নম্বরে। ২১.৩৪ কোটি জনসংখ্যা এই দেশের।

    ৮) বাংলাদেশ:  তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এই দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬.৯৪ কোটি।

    ৯) রাশিয়া: রাশিয়া রয়েছে নবম স্থানে। রুশ দেশের জনসংখ্যা ১৪.৩৪ কোটি।

    ১০) মেক্সিকো: তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে মেক্সিকো। এই দেশের জনসংখ্যা ১২.৬৭ কোটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা, কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা, কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ার নেতাজি কলেজের ভোট গণনা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) ক্যাম্প অফিসে বিধায়কের সামনেই কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির লোকজনের গাড়ি এবং মোটর বাইক ভাঙচুর করা হয়। ইট, পাথর ছোড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনে হামলা চালানো হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    নিয়ম মেনেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে ছিলেন। আর গণনা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্যাম্প অফিস করা হয়। সেখানে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি সহ বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক মজুত ছিলেন। ক্যাম্প অফিসের পাশে রাখা ছিল গাড়ি, একাধিক বাইক। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা দল বেঁধে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক পেটায়। আমাদের গাড়ি, বাইকে ভাঙচুর চালায়। ওরা কার্যত এলাকায় তাণ্ডব চালায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শালতোড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউরি বলেন, বিজেপির লোকজন গণনা কেন্দ্র থেকে ৪০০ মিটার দূরে ক্যাম্পে বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই হামলা চালানো হয়। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায়  চন্দনা দেবী হামলার হাত থেকে বাঁচেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের শালতোড়ার ব্লক সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল বলেন, চন্দনা বাউরির আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে বিজেপির (BJP) নিজেদের দলীয় কোন্দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে চাপাতে চাইছে। বরং ওরাই আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা করে। পাথর ছোঁড়ে। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে তৃণমূলের উপর ওরা এখন দায় চাপাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জয়ী নির্দলকে হারাতে ব্যালট পুকুরে ফেলে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতী

    North 24 Parganas: জয়ী নির্দলকে হারাতে ব্যালট পুকুরে ফেলে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন জেলা জুড়ে অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার গণনার পর পুনরায় গণনা করতে গেলে তৃণমূলের এজেন্ট ব্যালট নিয়ে ফেলে দিল পুকুরে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় অশোকনগর (North 24 Parganas) বয়েজ স্কুলের গণনা কেন্দ্রে।

    কীভাবে ঘটল এই মারাত্মক ঘটনা (North 24 Parganas)?

    এবার গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে পালাল তৃণমূলের এক দুষ্কৃতী। সরাসরি ব্যালট পেপার নিয়ে দৌড়ে ঝাঁপ দিল পাশের পুকুরে‌। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুলের গণনা কেন্দ্রে। ভুরকুন্ডা (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ১৮ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন, নির্দল প্রার্থী শওকত মণ্ডলের কাছে হেরে যান। কিন্তু গণনায় ভুল হয়েছে বলে দাবি করে দ্বিতীয়বার গণনা করতে বলেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপর গণনা শুরু হতেই ব্যালট পেপার নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট মুন্না মণ্ডল। এরপর এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। সিপিআইএম ও আইএসএফ কর্মীরাই ব্যালট পেপারওগুলো উদ্ধার করেন। জয়ী নির্দল প্রার্থী অবশ্য সিপিএম, আইএসএফের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্দলের জয় আটকাতে ব্যালট ফেলা হল পুকুরে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করল নির্দল প্রার্থী।

    নির্দল প্রার্থীর বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ভরকুন্ডা পঞ্চায়েতের পুমলিয়া ১৮ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থী আম চিহ্নে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আম চিহ্নের নির্দল প্রার্থীর সওকাত মণ্ডল বলেন, গণনার শেষে তাঁর জয় নিশ্চিত হতেই পুনরায় গণনার দাবি তোলে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ও তাঁর অনুগামীরা। এরই মধ্যে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে একটি পুকুরে ছুড়ে ফেলা হয়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় (North 24 Parganas) এক ব্যক্তি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, এক যুবক দৌড়ে এসে আমাকে ধাক্কা মেরে ব্যালট পেপারগুলিকে পুকুরে ছুড়ে ফেলে। যে ফেলেছিল তার হাতে অনেকগুলি ব্যালট পেপার ছিল। অনেকেই ধরার জন্য চিৎকার করেছিল, কিন্তু ধাক্কা মারায় আমি ধরতে পারিনি। অপর আরেকজন স্থানীয় সালাম মণ্ডল বলেন, আম প্রার্থী জিতে গিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল ব্যালট নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। তিনি আরও বলেন, যে ছেলেটা ব্যালট ফেলেছে পুকুরে, তাকে পরে ধরলেও সে আবার পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য জল থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যালট গুলোকে।

    এছাড়াও আইএসএফ প্রার্থীকে বেরাবেরি পঞ্চায়েতের ৫৬ /৫৭ নম্বর বুথে বুথের গণনা কেন্দ্র থেকে টেনে হিচঁড়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। কিন্তু নিঃশ্চুপ প্রশাসন।  ভোট গণনার সময় কেন্দ্র থেকে টেনে বের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসন নিজেরাই সরে গেছে, পুলিশের কোনও খোঁজ নেই গণনা কেন্দ্রে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের একের পর এক এলাকা। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এই জেলায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে বেলডাঙায় এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কান্দি, খড়গ্রাম থেকে সালার, ভরতপুর, বেলডাঙা, রানিনগর, হরিহরপাড়া, ডোমকল সহ একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। এই জেলার ভরতপুর বিধানসভার আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সকেট বোমা একটি পরিত্যক্ত জায়গাতে রাখা ছিল। মূলত একটি বাড়ি লাগোয়া পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা মজুত রাখা ছিল। সেই পরিত্যক্ত ঘরটি এলাকার মানুষ শৌচাগার হিসাবে ব্যবহার করত। পাশেই রাস্তা রয়েছে। সেই ঘরে বোমাগুলি মজুত ছিল। সেখানেই এদিন আচমকা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির কিছু সরঞ্জাম। বোমা বিস্ফোরণের ফলে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিশ আমলাই গ্রামে পৌঁছায়। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের গ্রাম শান্তিপূর্ণ। এখানে কোনও গণ্ডগোল হয় না। এদিন আচমকা বিকট আওয়াজে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। সকলেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখি, পরিত্যক্ত ওই ঘরটির অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) বড় বিপদ হতে পারত। লোহাদহ গ্রামের বাসিন্দা শরদিন্দু মণ্ডল বলেন, আমলাইয়ের মতো গ্রামে এত বোমা কারা মজুত করল। পুলিশের তদন্ত করা দরকার। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে আরাবুলের খাস তালুকে হারল তৃণমূল, উচ্ছ্বাস জমি কমিটির

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে আরাবুলের খাস তালুকে হারল তৃণমূল, উচ্ছ্বাস জমি কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে নিজের খাস তালুকে হারলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। হারের পর ভাঙড়ের গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি। ভাঙড়ের পোলেরহাট (South 24 Parganas) দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ছাতছাড়া হল তৃণমূলের। গতবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল জমি কমিটি। উচ্ছ্বাস জমি কমিটির কর্মীদের মধ্যে।

    কীভাবে হারল তৃণমূল (South 24 Parganas)?

    ভাঙড়ের পোলেরহাট (South 24 Parganas) ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে হারল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে জয় পেল জমি কমিটির প্রার্থী। জয়ের প্রবণতা স্পষ্ট হতেই গণনা কেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল ইসলাম। পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলে হার হয়েছে বলে স্বীকারও করে নেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল। পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে এবার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২৪। সব আসনেই এবার প্রার্থী দিয়েছিল জমি কমিটি। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনটি এবং জেলা পরিষদের একটি আসনেও মনোনয়ন দাখিল করেছিল জমি কমিটি।

    জয় জমি কমিটির

    ২০১৬ সালে ভাঙড়ে (South 24 Parganas) পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের সময় তৈরি হয়েছিল জমি, জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি বা জমি কমিটি। গতবারও পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করেছিল তারা। তাদের মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জমি কমিটির সদস্যরা। এবার অবশ্য তেমন অভিযোগ ওঠেনি। সংবাদ মাধ্যমে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেছিলেন,’ প্রথম দিন বাধা দিতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু আমরা বলেছিলাম, আমাদের উপরে হামলা হলে পাওয়ার গ্রিডই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেব।’ ২০১৮ সালেও পোলেরহাটে দাপট দেখিয়েছিল জমি কমিটি। সেবার পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮টি আসনে জিতেছিল। বাকি ৮টিতে জমি কমিটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটি আসন পেয়েছিল জমি কমিটি। তৃণমূল জিতেছিল ৩টি আসনে। তৃণমূল ১৬টির মধ্যে ১১টি আসন জিতলেও পঞ্চায়েত অফিসে কার্যত ঢুকতে পারেননি জয়ীরা। প্রধান, উপ প্রধানদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার সময় বাধা দিয়েছিল জমি কমিটির সদস্যরা।

    পিছনে কি আইএসএফ?

    ২০১৮ সালের সঙ্গে এবার অনেকটাই ফারাক রয়েছে। কারণ ২০২১ সালে ভাঙড়ে জয়লাভ করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তারপর থেকে ভাঙড়ে (South 24 Parganas) দাপট বেড়েছে আইএসএফের। এবারও ভাঙড়ে মনোনয়নপত্র পেশ ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছিল আইএসএফের। তার ফলে জমি কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ আর নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ফল বলছে, পোলেরহাটে এখনও জমি কমিটির একটা বড় সমর্থন রয়েছে।

    প্রক্তন বিধায়কের বক্তব্য?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, ভাঙড় কেন্দ্রে জিতেছি। কিন্তু পোলেরহাটে (South 24 Parganas) হেরেছি। আমাদের ৭জন প্রার্থী মাত্র ৫, ৭, ১০টি করে ভোটে হেরেছে। দেখা যাক কী হয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Threads: ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী “মেটা থ্রেডস” কী কী বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে?

    Threads: ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী “মেটা থ্রেডস” কী কী বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বাজারে এসেছে ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ্লিকেশন “মেটা থ্রেডস”(Threads)। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল। চারপাশে কী ঘটছেে, তা জানা থেকে শুরু করে প্রিয়জনকে বার্তা প্রদান-সব কিছু আজ এই সোশ্যাল মিডিয়া-নির্ভর। আর এসবের মাঝেই মেটা নিয়ে এসেছে আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘থ্রেডস’। অ্যাপটি লঞ্চ হতেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। লঞ্চ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর ইউজার সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। কী এই অ্যাপ? কীভাবে এই অ্যাপ কাজ করে? সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।

    কী এই মেটা থ্রেডস অ্যাপ?

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি মেটা তাদের নতুন অ্যাপ Threads লঞ্চ করেছে। এটি মূলত একটি মাইক্রো ব্লগিং অ্যাপ। এটি ট্যুইটারের বিকল্প হিসাবে ইউজাররা ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে ব্যবহারকারীরা ট্যুইটারের মতো সমগ্র ইন্টারফেস এবং ফিচারগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। নিজের মতামত থেকে শুরু করে ছবি, ভিডিও সমস্তই এখানে আপলোড করা যাবে এবং সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন অন্যান্য ইউজারদের সাথে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, Meta অনেকদিন ধরেই এই Threads অ্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এটি এখন সমগ্র ইউজারদের ব্যবহারের জন্য অনুমতি পেয়েছে। এটি (Threads) বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ও IOS উভয় ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। এই অ্যাপের ইন্টারফেসটি অনেকটা ইনস্টাগ্রাম-এর মতো। আর ব্যবহারের দিক থেকে অনেকটা ট্যুইটারের মতো। যাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে, তারা সরাসরি ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমেই এই অ্যাপে sing in করতে পারেন।

    কীভাবে এই Threads অ্যাপে লগ-ইন করবেন এবং ব্যবহার শুরু করবেন?

    এই অ্যাপটির ইন্টারফেস খুবই সহজ এবং সাধারণ রাখা হয়েছে। অ্যাপটি (Threads) প্রথমে ডাউনলোড করার পর শুরুতেই ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমে লগ-ইন করার সুযোগ আসবে। ইতিমধ্যে যদি আপনার কোনও instagram অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই একটি সিঙ্গল ট্যাপ ও ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনি লগ-ইন করতে পারবেন। এর পর প্রোফাইলটি নিজের পছন্দ মতো সেট-আপ করতে পারবেন। চাইলে ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত বায়ো এবং লিংক দিয়েই আপনার প্রোফাইল সেট-আপ করতে পারেন। সব শেষে ‘Join Threads’ তে ক্লিক করলেই ব্যবহার শুরু করতে পারবেন।

    এই Threads কি Twitter কে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে?

    সাম্প্রতিক ট্যুইটার অ্যাপ ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে, যা অনেক ব্যবহারকারীর পছন্দ হয়নি। যেমন আগে দিনে সীমাহীন ভাবে যত খুশি ট্যুইট দেখতে পেতেন ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এখন তাকে একটি সীমার আওতায় আনা হয়েছে। আবার আগে লগ-ইন না করেই ব্যবহারকারীরা ট্যুইট দেখতে পেতেন। কিন্তু এখন লগ-ইন না করে ট্যুইট দেখতে পারবেন না ব্যবহারকারীরা। এর জন্য লগ-ইন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সবের কারণেই অনেকে এই অ্যাপ থেকে সরে আসতে চেয়েছেন। আর এই সময়ে Threads app এর আবির্ভাবে নতুন একটি বিকল্পকে বেছে নিতে পিছপা হননি ইউজাররা। এতে সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা ইউজারদের খুব পছন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এইসব দিক থেকে বিচার করলে ট্যুইটারের ভবিষ্যৎকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে Threads, এমনটা আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share