Tag: Bengali news

Bengali news

  • Heavy Rain: অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত! বন্ধ স্কুল, বাতিল ট্রেন, মৃত ২৪

    Heavy Rain: অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত! বন্ধ স্কুল, বাতিল ট্রেন, মৃত ২৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে উত্তর ভারতে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৃষ্টির কারণে দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে সোমবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলি। অন্যদিক হিমাচলে সোম ও মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে স্কুলগুলি। হিমাচলে এখনও অবধি ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৭টি ট্রেন। হিমাচলের ১০টি জেলায় ধসের কারণে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শেষ তিন দিনে হিমাচলের ছোট-বড় সাতশোর বেশি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে ধসের কারণে। 

    বর্ষা ঢোকার পর থেকেই ধস নামতে শুরু করে উত্তর ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে

    বর্ষা ঢোকার পর থেকেই হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক ধস নামতে শুরু করে। একাধিক জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের কারণে। দিন কয়েক আগেই হড়পা বানের কারণে উত্তরাখণ্ডে ভেসে যায় একটি সেতু। অতি ভারী বৃষ্টিতে জম্মু-কাশ্মীরে বন্যার সতর্কতাও জারি করে প্রশাসন। মাঝখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রাও। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। দিল্লিতে যমুনা নদী এবং মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদী আপাতত ফুঁসছে বলে খবর রয়েছে। এমন অবস্থায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদী তীরবর্তী স্থানগুলিতে। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে নর্মদা নদীর জল বাড়ায় চারজন মানুষ আটকে পড়েন। তাঁদের ড্রোনের মাধ্যমে খাদ্য সমেত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। রবিবারও রাজস্থান সমেত উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারী বর্ষণের খবর মিলেছে। হিমাচল প্রদেশেও একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিপাশা নদীর বন্যার কারণে ৬ জন মানুষ আটকে পড়েন। পরে তাঁদের সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে উদ্ধার করা হয়। হিমাচলের একাধিক জনবহুল অঞ্চলে হাঁটু পর্যন্ত জল জমার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    ৫০ বছরে রেকর্ড বৃষ্টি উত্তর ভারতে

    ইতিমধ্যে অতি ভারী বর্ষণের (Heavy Rain) ফলে উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যের করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। কোথাও জলে ভাসছে গাড়ি, তো কোথাও বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েছে জল। হাওয়া অফিস বলছে, সাম্প্রতিক অতীতে দিল্লিতে অতি ভারী বর্ষণের এমন নজির দেখা যায়নি। শেষবার এমন প্রবল বর্ষণ দিল্লিতে হয়েছিল ১৯৮২ সালের জুলাইতে। হরিয়ানার আম্বালায় রবিবার বৃষ্টি হয়েছে ৩২২ মিমি। অন্যদিকে দিল্লিতে এর পরিমাণ ১৫৩ মিমি। বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে হিমাচলে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৫ মিমি। পাঞ্জাব হরিয়ানা সমেত সব রাজ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই রাজ্যগুলিতে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আসানসোলে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা

    Panchayat Vote: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আসানসোলে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামছাড়া হিংসা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। সন্ত্রাসের বলি হয় ১৭টি তরতাজা প্রাণ। আবার ভোট শেষ হতেই দেখা যায় ঘরছাড়া হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এ যেন ঠিক ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে। সোমবার রাজ্যের প্রায় ৭০০ বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। মঙ্গলবার রয়েছে ভোট গণনা। যেভাবে ভোটের দিন অশান্তি ছড়িয়েছে, তাতে গণনা কেন্দ্রগুলিতে কতটা শান্তি বজায় থাকবে, সেই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গণনার পরে বিরোধীদের ওপর সন্ত্রাস আরও বাড়তে পারে!

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা 

    শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই শাসক দলের হুমকির মুখে পড়ে ৬ জন বিজেপি কর্মী বারাবনি বিধানসভা এলাকা থেকে আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিলীপ দে। তাঁর আরও অভিযোগ, শনিবার নির্বাচন চলাকালীন তাঁদের বুথ এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই এই ছয় জন বিজেপি কর্মী নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এই কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজেপির আসানসোল দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন বিজেপির জেলা সভাপতি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বলছেন ঘরছাড়ারা

    এদিন আসানসোলের দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘শনিবার দুপুর গড়াতেই বুথে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারা ছাপ্পা দেওয়ার দাবি তোলে। এই সময় আমরা প্রতিরোধ করতেই তারা মারধর শুরু করে। সবটাই পুলিশের সামনে হচ্ছিল। তবে প্রশাসন সেদিন নির্বিকার ভাবে বসেছিল। সন্ধ্যার পরেও তারা হামলা চালায়। আমাদের এক কর্মীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার ক্ষেতের সমস্ত ফসল নষ্ট করে দেয়। গোটা এলাকায় বিজেপি সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে আছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Vote: প্রায় ৭০০ বুথে আজ পুনর্নির্বাচন, শীর্ষে মুর্শিদাবাদ

    Panchayat Vote: প্রায় ৭০০ বুথে আজ পুনর্নির্বাচন, শীর্ষে মুর্শিদাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে রাজ্যের ৬৯৬টি বুথে। শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়ায়। সন্ত্রাসের বলি হয় ১৭টি তরতাজা প্রাণ। এর মধ্যে সবথেকে বেশি জন মারা যায় মুর্শিদাবাদে। ওই জেলায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে, এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। প্রতি বুথে মোতায়েন থাকছে প্রায় ৮ জন করে কেন্দ্রীয় জওয়ান। দার্জিলিঙ, কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রাম ছাড়া সব জেলারই কোনও না কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যালট পেপার নষ্ট সমেত একাধিক কারণে এই পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। তবে ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন হলেও রবিবার বিজেপি প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার বুথে ভোট করানোর দাবি জানায়।

    কোন জেলায় কত বুথে নির্বাচন (Panchayat Vote)

    মুর্শিদাবাদ ১৭৫

    মালদহ ১০৯

    নদিয়া ৮৯

    কোচবিহার ৫৩

    উত্তর ২৪ পরগনা ৪৬

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩৬

    পূর্ব মেদিনীপুর ৩১

    হুগলি ২৯

    উত্তর দিনাজপুর ৪২

    দক্ষিণ দিনাজপুর ১৮

    জলপাইগুড়ি ১৪

    বীরভূম ১৪

    পশ্চিম মেদিনীপুর ১০

    বাঁকুড়া ৮

    হাওড়া ৮

    পশ্চিম বর্ধমান ৬

    পুরুলিয়া ৪

    পূর্ব বর্ধমান ৩

    আলিপুরদুয়ার ১

    রবিবার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) ব্যাপক হিংসার প্রতিবাদে শনিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারি। প্রতীকী ওই প্রতিবাদের পর রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কমিশনারের ঘর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন জগন্নাথ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যেখানে যেখানে ছাপ্পা হয়েছে, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি, সেখানে সেখানে আমরা পুনর্নির্বাচন চাইছি।’’ জানা গিয়েছে, রবিবার বিজেপি ১০-১২ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। রবিবার জগন্নাথ আরও বলেন, ‘‘পুনর্নির্বাচন না হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করব। ১১ তারিখ ভোট গণনা হবে। সেখানেও জোরদার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’’

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১০/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১০/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) যে কাজ করলে আত্মসম্মান বাড়বে, তা ভেবেচিন্তে করুন।     

    ২) ব্যবসায় কোনও সহকর্মীর সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, তা না-হলে আইনি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    বৃষ

    ১)  দিন ভালো কাটবে ও ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন।  

    ২) ব্যবসায় নতুন সহযোগী পাবেন এবং তাঁদের সঙ্গে মিলে ব্যবসা অগ্রসরের পরিকল্পনা করবেন।     

    মিথুন

    ১)  জীবনসঙ্গীর পূর্ণ সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে অতিথি আগমন হতে পারে।    

    কর্কট

    ১) চাকরিজীবীরা পার্টটাইম কাজ করার পরিকল্পনা করে থাকলে, তার জন্য সময় বের করবেন। 

    ২) প্রেম জীবনে জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে অবসাদ পেতে পারেন।    

    সিংহ 

    ১) ব্যবসায় লগ্নির পরিকল্পনা করে থাকলে তার জন্য় দিন ভালো। 

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।  

    কন্যা

    ১) পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিবাদ উৎপন্ন হতে পারে। 

    ২) ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করবেন।     

    তুলা 

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটিয়ে আনন্দিত হবেন। 

    ২) কোনও প্রিয় বন্ধুর সাহায্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া কাজ সম্পন্ন হবে। 

    বৃশ্চিক

    ১) পরিবারে কোনও শুভ কাজের আলোচনা হবে। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা চোখের রোগে বাবার কষ্ট বাড়বে।    

    ধনু

    ১) ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত হবে। 
     
    ২) দৈনিক অর্থ ব্যয় বাড়বে।  

    মকর

    ১) চাকরিজীবীরা কোনও কোনও মহিলা বন্ধুর সাহায্যে পদোন্নতি পেতে পারেন।  

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও বিবাদ উৎপন্ন হলে তা এড়িয়ে যান, তা না-হলে আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।     

    কুম্ভ

    ১) যে কাজ করবেন, তাতেই সাফল্য লাভ সম্ভব। তাই আপনার অত্যন্ত প্রিয় কাজগুলিই আপনাকে করতে হবে।

    ২) সন্তানের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত কোনও পরিকল্পনায় লগ্নি করবেন।      

    মীন

    ১) আজকে অবসাদ কমবে।
     
    ২) বাবা কোনও রোগের কারণে কষ্ট পেয়ে থাকলে, তাতে উন্নতি হবে।         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

     

  • BJP: গঙ্গাজলঘাঁটিতে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গঙ্গাজলঘাঁটিতে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম। রাতভর গ্রামে একের পর এক বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে নির্বিচারে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশকে জানিয়ে নিরাপত্তা চাইলে পুলিশ পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই আতঙ্কে গোটা বড়শাল গ্রামে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    শনিবার গ্রামে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। সেই বচসা পরে মিটে গেলেও ভোট মিটতেই তৃণমূলের নেতৃত্বে গ্রামে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গ্রামে হামলা করে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গ্রামের একাধিক টালির চালা। গ্রাম জুড়ে চলে ইট বৃষ্টি। হামলা চলাকালীন বিষয়টি গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় জানানো হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,  হামলাকারীরা গ্রাম ছাড়ার পর গ্রামে পুলিশ পৌঁছে পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই আতঙ্ক চেপে বসেছে গ্রাম জুড়ে। গ্রামে আতঙ্ক এতটাই যে গ্রামবাসীরা রবিবার সকাল থেকে বাড়ির বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন। ঘটনার পর গ্রামে হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও তাদের উপর ন্যুনতম আস্থা নেই গ্রামবাসীদের।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এই  ঘটনার কড়া নিন্দা করে পুলিশ ও তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। তিনি বলেন, তৃণমূলীরা গ্রামে তাণ্ডব চালাল। আর পুলিশ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জীতেন গড়াই বলেন, বড়শাল গ্রামের ঘটনাটিকে গ্রামের একটি পরিবারের পারিবারিক বিবাদ। তার জেরেই গণ্ডগোল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কোনওভাবেই দায়ী নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lion Safari: নন্দনকাননে পর্যটকদের বাস ঘিরে ধরে ঘুরল সিংহের দল, তারপর?

    Lion Safari: নন্দনকাননে পর্যটকদের বাস ঘিরে ধরে ঘুরল সিংহের দল, তারপর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লায়ন সাফারি’তে (Lion Safari) গিয়ে গর্তে পড়ে গেল পর্যটক বোঝাই বাস। মানুষের গন্ধ পেয়ে দ্রুত ছুটে এল এক পাল সিংহ। বাসের ভিতরে তখন ইষ্টমন্ত্র জপ করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। শনিবার হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নন্দনকাননে। খবর পেয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেন পর্যটকদের। শিকার হাতছাড়া হওয়ায় জঙ্গলের গভীরে ফিরে যায় হতাশ শ্বাপদের দল।

    ‘লায়ন সাফারি’

    যাঁরা জগন্নাথ দর্শনে পুরী যান, তাঁদের অনেকেই নন্দনকানন চিড়িয়াখানায় ‘লায়ন সাফারি’তে (Lion Safari) যান। ভুবনেশ্বরের ওই চিড়িয়াখানায় পশুরা থাকে মুক্ত পরিবেশে। গহীন অরণ্যে কাছ থেকে হিংস্র পশুর দেখার অভিজ্ঞতাই আলাদা। এই অভিজ্ঞতাই অর্জন করতে গিয়েছিলেন ৩০ জন পর্যটক। চিড়িয়াখানারই একটি বাসে করে লায়ন সাফারিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাস চলতে শুরু করার পরেই আনন্দে আত্মহারা হন পর্যটকরা। কিছু সময় পরে বাস ঢুকে পড়ে জঙ্গলের কোর এরিয়ায়। এখানেই বাস করে পশুরাজের দল। আচমকাই একটি গাড্ডায় পড়ে যায় বাস। বাসটিকে গর্ত থেকে তুলতে অনেক মেহনত করেন চালক। তার পরেও বাস দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।

    চলে এল সিংহের দল

    জঙ্গলের বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মানুষের গন্ধ। সেই গন্ধ পেয়েই বাসটির কাছে চলে আসে সিংহের (Lion Safari) দল। গর্জন করতে থাকে শ্বাপদের দল। বাসের চারপাশে ঘুরঘুর করতে থাকে তারা। বাসের ভিতরে তখন পর্যটকদের অনেকেই প্রাণ ভয়ে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছেন। সিংহের দল আস্ত খেয়ে ফেলবে ভেবে ইষ্টনামও জপ করতে শুরু করেন পর্যটকদের অনেকেই। এভাবেই কেটে যায় ঘণ্টা দেড়েক।

    আরও পড়ুুন: আরএসএসের প্রাক্তন প্রধানকে নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট দিগ্বিজয়ের, মধ্যপ্রদেশে বিপাকে কংগ্রেস

    খবর পেয়ে নন্দনকানন কর্তৃপক্ষ পাঠান উদ্ধার কারী দল। ওই দলের সদস্যরা প্রথমে সিংহদের (Lion Safari) ফিরিয়ে দেয় তাদের আস্তানায়। পরে অন্য একটি বাসে করে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনেন জঙ্গলের বাইরে। স্বস্তির শ্বাস ফেলেন পর্যটকরা। অবশ্য এই প্রথম নয়, ২০২১ সালেও একবার নন্দনকাননের ভিতরে ঠিক একইরকমভাবে কাদায় আটকে গিয়েছিল পর্যটকদের বাস। অন্য একটি বাস পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁদের। ওই ঘটনার ঠিক দু বছর পরে ফের একবার একই ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই। নন্দনকাননের অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। কীভাবে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোর্টের নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার। মানেনি নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে সিভিক, কনস্টবলদের দিয়ে রাজ্য জুড়ে ভোট করানো হল। আর অসুরক্ষিত বুথে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে বেঘোরে প্রাণ গেল বহু রাজনৈতিক কর্মীর। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাহকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     শনিবার ভোট চলাকালীন চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।  সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশানগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।  শাহেনশার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিদ্যানন্দপুর। খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কবুতরখুপি সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসর টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ শাহেনশা। ভোটের দিন কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নির্বাচনে পরিবারের সদস্যকে হারানোর ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নিহত শাহেনশার পরিবার।

    কী বললেন মৃতের মা?

    ছেলের শোকে ভেঙ্গে পড়েছেন মৃতের মা সহ অন্যান্যরা। মৃতের মা আকরিবা খাতুন  বলেন, “আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।” অপরদিকে নিহত শাহেনশার ভাতৃবধূ খুশবু বেগম বলেন,”এই ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী প্রশাসন। বুথে একটি মাত্র পুলিশ ছিল। বুথে না ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ, না কেন্দ্রীয় বাহিনী। একজন পুলিশ কর্মী কি একা গন্ডগোল থামাতে পারেন? দোষীদের চরমতম শাস্তি চাই।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোজাফফর মহম্মদ  বলেন, এমন তরতাজা প্রাণ অকালেই চলে যাবে তা কেউ ভাবতেই পারছে না। কংগ্রেস শাসিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে এমন ঘটনা এড়ানো যেত। এর ঘটনার জন্য প্রশাসন দায়ী।

    রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে হেমতাবাদে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন

    হেমতাবাদের তৃণমূল (TMC) কর্মী নারায়ণ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহন করেনি অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার  হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন এবং পরিবারের সদস্যরা।  আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গিয়াশীলের বাসিন্দা নারায়ন সরকারকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ এখনও কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা মানতে রাজি নন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে দোষীকে খুঁজে বের করে তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট চলাকালীন হেমতাবাদের ধোয়ারই এলাকায় পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় নারায়ণ সরকারের মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলেন তিনি তারপরই তার মৃত্যুর খবর এসে পৌছয় পরিবারের কাছে। ঘটনায় শোকে ভেঙে পরে গোটা পরিবার।

    কী বললেন মৃতের ছেলে?

    এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের ছেলে বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিন বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ চলার পর অবরোধ স্থলেই পুলিশের কাছেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই লাঠি ও বঁটি নিয়ে চড়াও মহিলারা, কুলপিতে চাঞ্চল্য

    South 24 Parganas: গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই লাঠি ও বঁটি নিয়ে চড়াও মহিলারা, কুলপিতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট অশান্তিতে গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই লাঠি ও বঁটি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হলেন সাধারণ মহিলারা ভোটাররা। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলপির (South 24 Parganas) উদয়রামপুর ৭৪ নং বুথ। ভোটের পরের দিন তৃণমূল-নির্দলের সংঘর্ষ হলে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। হিংসার পরিস্থিতিকে সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ করেনি পুলিশ। সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে দেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই জেলা জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। শুধু তাই নয়, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে, মগরাহাটে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং পুলিশ উত্তপ্ত এলাকায় মার খায় বলেও জানা যায়।

    মূল অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    এলাকার (South 24 Parganas) নির্দল কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, রবিবার এলাকার তৃণমূল প্রার্থী আবুল হোসেন গাজি দলবল নিয়ে নির্দল প্রার্থী চম্পা হালদারের উপর চড়াও হন। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াই বেধে যায়। ঘটনায় কুলপি থানার পুলিশ নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। আর এই আটকের পরেই গ্রামের মহিলারা লাঠি, ঝাঁটা, বঁটি নিয়ে গ্রামে পুলিশ ঢুকতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ঘটনা ঘটার সময় কেন পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করেনি, সেই রাগেই পুলিশের উপর চড়াও হন সাধারণ মানুষ।

    পুলিশের বক্তব্য

    অন্যদিকে পুলিশের (South 24 Parganas) পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃণমূল ও নির্দল দুটি দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উদয়রামপুর এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে আপাতত। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার বক্তব্য, এলাকায় নির্দল প্রার্থীর পরাজয় বুঝে এই রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। দল আমদের এই সব কাজকে অনুমোদন করে না। পুলিশের উপর আঘাত করে আইন হাতে তুলে নেওয়াটা ভীষণ অন্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ধরা পড়েই তৃণমূলের প্রার্থী বললেন, “আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না”!

    Cooch Behar: ধরা পড়েই তৃণমূলের প্রার্থী বললেন, “আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না”!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে এসে গ্রামবাসীর তৎপরতায় ধরা পড়ে গেল এক ছাপ্পা প্রদানকারী। তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ঘটনাটি কোচবিহারের (Cooch Behar) নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গুড়িয়াহাটি- ১ নম্বর অঞ্চলের ৮/১৪৪ নম্বর বুথে। এই ঘটনা ঘটে যাবার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রার্থী মানিক দে বলেন “আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না”। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

    তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর বক্তব্য (Cooch Behar)

    তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (Cooch Behar) মানিক কুণ্ডু বলেন, এই বুথে ভোট বন্ধ হয়েছে ভালো হয়েছে! আমি এই ভাবে জিততে চাই না! দুষ্কৃতীরা এসে ছাপ্পা মেরেছে। অত্যন্ত অন্যায় কাজ। কারা ছাপ্পা মেরেছে জিজ্ঞেস করলে নাম বলতে চাননি তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না, সাধারণ মানুষের কাছে আমি ছাপ্পা ভোটে জিততে চাই না। মানুষের পছন্দের রায় আমি মাথা পেতে নেব।

    বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর বক্তব্য

    বুথে (Cooch Behar) দুপুর ঠিক ১২ টায় ভোট শান্তিপূর্ণ চলছিল। কিন্তু আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে সকলকে বলে ভোট হয়ে গেছে, সকলে চলে যাও। এরপর জেলা পরিষদের ব্যালটে ছাপ্পা দিতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বুথের ভিতরে একজন বন্দুকধারী পুলিশ ছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতীদের কিছুই বললেন না। এই পরিস্থিতিতে এলাকার ভোটাররা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আর এর পরেই এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে উত্তেজিত ভোটাররা।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য

    ৮/১৪৪ বুথের (Cooch Behar) প্রিসাইডিং অফিসার চৈতন্য পোদ্দার বলেন, সকাল থেকে ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল। দুপুরে ১২ টায় পাঁচ থেকে ছয় জন মুখে গামছা বেঁধে বুথের ভিতরে ঢোকে এবং এরপর ব্যালট পেপার নিয়ে টানাটানি করে ছাপ্পা মারতে শুরু করে। এরপর বক্সগুলিতে জল ঢেলে দিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরে সাধারণ ভোটাররা প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। নির্দেশ এলে আবার ভোট নেওয়া হবে বলে জানান প্রিসাইডিং অফিসার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সামনেই চার রাজ্যে, তারপর লোকসভা ভোট! হায়দরাবাদে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    BJP: সামনেই চার রাজ্যে, তারপর লোকসভা ভোট! হায়দরাবাদে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক চলছে হায়দরাবাদে। এদিন সকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভবনে দলের সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার পৌরোহিত্যে শুরু হয় এই বৈঠক। চলতি বছরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই আবহে শীর্ষ নেতৃত্বের এমন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি সূত্রে খবর, এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন ১১টি রাজ্যের দলীয় সভাপতিরা ছাড়াও বিজেপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

    তিনটি পৃথক অঞ্চলে ভাগ

    ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে যথেষ্ট ব্যাকফুটে রয়েছে বিরোধীরা। তাদের নেই কোনও নির্দিষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদের মুখ। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ফের একবার মোদি সরকার গঠনের। এমন অবস্থায় পুরো দেশকে কয়েকটি সাংগঠনিক জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রাখা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। সূত্রের খবর, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দুটি বৈঠক গত সপ্তাহে হয়ে গিয়েছে। রবিবার চলছে দক্ষিণের বৈঠক।

    কোন কোন জোনে কী কী রাজ্য?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, গুজরাত, দমন দিউ-দাদরা এবং নগর হাভেলি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং হরিয়ানাকে উত্তরাঞ্চল জোনে রাখা হয়েছে। ৫৪৩ সদস্য বিশিষ্ট লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে পূর্বাঞ্চলে রাখা হয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে। অন্যদিকে, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মুম্বই, গোয়া, আন্দামান-নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপকে দক্ষিণাঞ্চলে রাখা হয়েছে।

    সব বৈঠকেই হাজির ছিলেন নাড্ডা

    এই সব জোনের বৈঠকেই হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, জোনের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীরা। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, রাজ্য সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরাও ছিলেন। এই বৈঠকগুলিতে একেবারে মাটির তলায় কীভাবে বিজেপির প্রচার করা যায়, সে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। আগামীদিনের কর্মসূচিগুলির রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে এই জোন বৈঠকগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share