Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের ওপরে আক্রমণ হুমকি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই অভিযোগ নিয়েই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)  ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় বুথে বুথে যান। ভোট মিটে যাওয়ার পরদিনও একই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। রবিবার সকালে তপন ব্লকের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে যান সুকান্ত বাবু। সেখানে বিজেপি কর্মীরা তাঁকে অভিযোগ জানান, রাতে বিভিন্ন জায়গায় হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের আটকে রেখে এলাকায় ভোট করা হয়েছে। সকালে গুলির খোল উদ্ধার করে গ্রামবাসী। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে সুকান্তর সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য তা মিটে যায়। এই নিচা কাদমা এলাকায় শনিবার তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করে বলে অভিযোগ। এমনকী রাতভর সন্ত্রাস চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এদিন সকাল হতেই বিজেপি কর্মীরা একযোগে এর প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    অন্য একটি ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের বোয়ালদা গ্রামে শনিবার রাতে বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। সুকান্তবাবু বলেন, গণনার দিন পর্যন্ত তিনি জেলাতেই থাকবেন। যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হবে, সেখানেই তিনি যাবেন এবং তার বিহিত করার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে, ভোটের পরবর্তী সময় থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে হুমকি বিভিন্ন ঘটনা ঘটেই চলেছে এর জন্য দায়ী জেলা পুলিশ প্রশাসন। কারণ তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করছে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সিংহফরকায় ৩৭/১৬২ নম্বর বুথে শনিবার দেদারে চলে ছাপ্পা ভোট। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। প্রতিবাদে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। তৃণমূলের অভিযোগ জল ঢালেন স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি অন্তু রায়। এরপরই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করে বিজেপির বুথ সভাপতিকে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ স্থানীয় জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রদীপ সরকার। বুথ সভাপতির সঙ্গে দেখার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

    পুলিশ ক্যাম্পের কেন দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,তপনের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে শনিবার ভোট হয়নি। বুথের দরজা বন্ধ করেছে ছাপ্পা করেছে। কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এখানাকার যে প্রধান সে মানুষকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। শুধু তাই নয় আজকে সকালে এসে বোমা মেরেছে, গুলি চালিয়েছে। গুলির খোল গ্রামবাসীরা পেয়েছেন। আমরা পুলিশকে বলেছি দ্রুত এই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর জন্য।এই গ্রামে এসটি, এসসিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এসসি কমিশনের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে ওই এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। শাসক-বিরোধী মিলে ভোটের দিনই ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মনোনয়ন থেকে ভোট প্রদানের দিন পর্যন্ত সালার, ডোমকল, ভারতপুর, বেলডাঙা, কান্দি, নবগ্রামে শাসক দল বনাম নির্দল, তৃণমূল বনাম তৃণমূল, তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। জেলা জুড়ে ভোটের আগে থেকেই দেশি বোমা, সকেট বোমা উদ্ধারে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। তাই ভোটদানের পরেও এই জেলা ভীষণ ভাবে উত্তপ্ত। ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত সালার। চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জের হিরানন্দপুর ভাঙা লাইনে বোমাবাজি, নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ।

    সালারে (Murshidabad) ব্যাপক বোমাবাজি

    সালারের চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থক অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ শুধু নয়, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত নেমেছে সালার থানার পুলিশ। আক্রান্ত নির্দল সমর্থক নাজিয়া বিবি বেলন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করে, তারাই আমাদের বাড়িতে বোমাবাজি করেছে। আমার স্বামী বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমাদের দুষ্কৃতীদের হুমকি, বোমা-বন্দুকের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি তৃণমূলের হয়ে বাড়িতে অত্যাচার চালায়, তাহলে তদন্ত করবে কে?

    সামশেরগঞ্জে বোমাবাজি?

    ভোটের পরের দিনই নির্দল এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার হিরানন্দপুর ভাঙা লাইন এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলল বোমাবাজি। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট-পাটকেলও চলে দুই পক্ষের মধ্যে।

    সামশেরগঞ্জে বিধায়ক কী বললেন?

    সাংবাদিক বৈঠকে সামশেরগঞ্জের (Murshidabad) বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, নমিনেশন পর্ব থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠিত হয়েছে। সারা বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসব পালিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিরোধীরা বলেছিল ভোট করতে দেবে না। কিন্তু সামশেগঞ্জেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। তিনি আরও বলেন, পঞ্চগ্রাম আইএএস স্কুলে সকাল থেকেই নজু খানের নেতৃত্বে ভোট কর্মীদের সঙ্গে যুক্তি করে প্রায় ২০০ ব্যালট লুট করে ছাপ্পা মারে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি-নির্দল এবং দুষ্কৃতীরা ব্যালট বক্স ভাঙচুর করে। 

    আক্রান্তদের বাড়িতে গেলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী

    আবার নওদায় (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে একজন কংগ্রেস কর্মী ও সমাজসেবী আনন্দ হালসানার বাড়িতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হামলায় চালিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আজ বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: আলিপুরদুয়ারে ছাপ্পা দেওয়ার দাবিতে পুলিশের সামনেই গুলি তৃণমূলের

    Panchayat Vote: আলিপুরদুয়ারে ছাপ্পা দেওয়ার দাবিতে পুলিশের সামনেই গুলি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসবে কান্নার রোল। আক্ষরিক অর্থেই শোকের আবহে শনিবার শেষ হল ১০ম পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat vote)। অকালে খালি হয়ে গেল রাজ্যের ১৭টি মায়ের কোল। গুলি-বোমা-বারুদের গন্ধে দিনভর ভারী হয়ে রইল রাজ্যের আষাঢ়ের আকাশ। ভোটারের লাল টকটকে রক্তের দাগ লেগে রইল রাজ্যেরই একটি বুথে। নির্বাচন কমিশন রইল ঠুঁটো। যার জেরে কোথাও হাতজোড় করে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানাতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্মীকে। আবার কোথাও আক্রান্ত হল সিভিক পুলিশ। শনিবার শেষ বেলাতে অশান্তি হল আলিপুরদুয়ারেও। ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সামনেই গুলি চালনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এলাকাবাসীদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হঠতে দেখা যায় ঘাসফুলের বাহিনীকে। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তৃণমূল এই জেলায়। বেশকিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে জেলাপরিষদও হাতছাড়া হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের। স্বচ্ছ ভোট হলে হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এদিন তৃণমূল গুলি ছুড়তে থাকে। দুষ্কৃতীদের দাবি,  ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

    আলিপুরদুয়ার জেলার কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার ডাবরির দমনপুর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন সন্ধ্যাবেলায় এলোপাথারি কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। ঘটিনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাত পুলিশ পৌঁছায়। এলাকাবাসীরা তাড়া করলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় মারপিটে জখম হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ওই বুথে তখনকার মতো ভোট বন্ধ হয়ে যায়, পরে ফের ভোট চালু করে প্রশাসন। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ ভোটাররা।

     

    কী বলছেন এলাকাবাসীরা?

    শনিবার এক সাধারণ ভোটার পিঙ্কি দাস বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রনি নামের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর নেতৃত্বে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। ওই সমাজবিরোধীর স্ত্রী এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তৃণমূল এমনটা করছে।’’ পিঙ্কিদেবীর আরও সংযোজন, ‘এদিন এলাকাবাসী তাড়া করতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রানাঘাটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, জখম তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রানাঘাটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, জখম তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করায় রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হল এক বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়ি। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনজন। অভিযোগ রাতে পুলিশের মদতেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার আনুলিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের পাশাপাশি নদিয়া জেলার একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস ভোট লুটের অভিযোগ ওঠে। আর প্রতিটি অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। আনুলিয়া এলাকায় বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর তার প্রতিবাদ করেছিল ওই এলাকারই কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এরপরই শনিবার গভীর রাতে বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। কার্যত বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাঙচুর করা হয় বাড়ির সব আসবাবপত্র। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীর বাড়ির সদস্যদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকী বিজেপি কর্মীর পরিবারকে উল্টে শাঁসানি দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, কোনওরকমে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। এরপরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধায়ক তথা বিজেপি জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।

    কী বললেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্য?

    আক্রান্ত হওয়া এক পরিবারের সদস্য বলেন, রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ১০ -১৫ জন দুষ্কৃতী বাড়়িতে চড়াও হয়। এরপরই দেখি আমার ভাসুরকে ধরে মারছে তারা। কোনওরকমে ভাসুরকে বাঁচিয়ে ঘরে নিয়ে আসি। হামলাকারীরা ঘরের মধ্যে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর করে এবং আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপি (BJP) জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই তাণ্ডব চালিয়েছে। আর পুলিশ পুরোপুরি এদের মদত দিয়েছে। যদি পুলিশ চিহ্নিত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে, তাহলে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করব আমরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী সৌভিক ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। বিজেপির (BJP) কিছু মানুষ অশান্তি করার চেষ্টা করছিল গ্রামের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১৪ তারিখ মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফ থেকে এই দিনটিকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব। চন্দ্রযান বহনকারী হেভিয়েস্ট স্পেস ক্র্যাফ্ট লঞ্চ হবে সেইদিন। এটিই ভারতের প্রথম হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। এটি তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। জানা গিয়েছে, যে রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে, ইতিমধ্যে সেটি অ্যাসেম্বল করা হয়ে গিয়েছে।

    ভারতের ইতিহাসে পূর্বের কিছু চন্দ্র অভিযান

    ২০০৮ সালে ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান শুরু হয় চন্দ্রযান-১ এর মাধ্যমে। সেই বছর চাঁদের কক্ষপথে এটিকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। এর পর ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু উৎক্ষেপণের পর যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সরে গিয়ে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। ফলে এটি অসফল থেকে যায়। আর এই অসফল প্রজেক্টকে সফল করার লক্ষ্যেই এখন পাখির চোখ চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    এবারের চন্দ্রযানে (Chandrayaan-3) কী কী নতুন জিনিস যোগ করা হয়েছে?

    চাঁদের মাটিতে দক্ষিণ প্রান্তে সফলভাবে ল্যান্ড করানোর উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-৩ তে (Chandrayaan-3) থাকবে একটি ল্যান্ডার ও রোভার এবং একটি প্রোপালশান মডিউল। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক ৩-এর সঙ্গে ইতিমধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান-৩ কে। এই চন্দ্রযানটির মোট ওজন চার হাজার কিলোগ্রামের কাছাকাছি। এর মধ্যে বিশেষভাবে প্রোপালশান মডিউলটিকে গবেষণার শীর্ষে রাখা হয়েছিল। কারণ চাঁদের কক্ষপথে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ল্যান্ডার ও রোভারটিকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য একমাত্র এই প্রোপালশান মডিউলের। এটির ওজন ২ হাজার ১৪৮ কিলোগ্রাম। রোভারটিকে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে নামানোর কাজ করবে ল্যান্ডারটি। একটি ফর্মারের ভিতরে যুক্ত রয়েছে এই রোভারটি, যার ওজন ১ হাজার ৭৫২ কিলোগ্রাম।

    পূর্বের চন্দ্রযান ২ এর রোভারের সাথে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর রোভারের কী পার্থক্য রয়েছে?

    চন্দ্রযান-২ এর রোভারের সাথে বিশেষ কিছু পার্থক্য না থাকলেও এর কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোনও রকম যান্ত্রিক গোলযোগ এবং সমস্যার যাতে সম্মুখীন না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আগের থেকে রোভারটির কিছু যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। প্রোপালশান মডিউলটির ৭৫৮ ওয়াট, ল্যান্ডার মডিউলটির ৭৩৮ ওয়াট এবং রোভারটির ৫০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করার মতো ক্ষমতা রয়েছে এবার (Chandrayaan-3)।

    কী উদ্দেশ্য এই চন্দ্রযান-৩ এর (Chandrayaan-3)?

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তরফ থেকে জানা গেছে, চাঁদের মাটিতে বিনা সমস্যায় নির্বিঘ্নে এই চন্দ্রযানটিকে অবতরণ করিয়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। যেটি হতে চলেছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদের অজানা তথ্যকে সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে এই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    সমগ্র প্রকল্পটিতে কত খরচ হয়েছে এখনও পর্যন্ত?

    ইসরোর তরফ থেকে ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী এই সমগ্র প্রকল্পটির (Chandrayaan-3) জন্য যে অর্থায়নের অনুরোধ করা হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ ছিল ৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা বা ৮.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাকি ১৫ কোটি রাজস্ব বহন বাবদ ধার্য করা হয়েছিল। ইসরোর সভাপতি কে সিভান জানিয়েছিলেন, এই সমগ্র অভিযানে খরচ হবে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা, যা মার্কিন ৮৬ মিলিয়ন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক দিনে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে অনেক কম। নির্বাচনে কোনও রকম নিরাপত্তা  এবং সুরক্ষার বিষয় ছিল না বলে বিরোধীরা বিস্ফোরক হয়েছে। শনিবার মালদায় (Malda) আরও এক প্রাণ গেল। সন্ত্রাস, হানাহানি এবং হিংসায় উত্তাল জেলা।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (Malda)?   

    শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। ছাপ্পা ভোট আটকাতে গেলে তাঁকে খুন করা হয়। মৃতের নাম মতিউর রহমান (৪৫), ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনি বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর (Malda) বড় কামাতের বাসিন্দা ছিলেন। ট্রাক চালাতেন। শনিবার কেবিএস প্রাথমিক স্কুল ১৫৬ বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সে সময় সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

    হাজিকুর রহমান ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এবং মতিউর দুজনেই বুথে (Malda) ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমরা এখানে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দুজন করে মহিলার পর একজন করে পুরুষ, পর পর গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখি কংগ্রেসের এক স্কুল শিক্ষক ব্যালটে ছাপ্পা শুরু করে! প্রতিবাদে আমি এবং মতিউর সোচ্চার হই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এই শিক্ষক কর্মী হয়তো বুঝতে পারছিল যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কংগ্রেস হারবে। তাই তৃণমূলকে হারাতে এই ছাপ্পা শুরু করে। আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পিছন থেকে মতিউরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাঁচাতে গেলে হাজিকুর রহমানের হাতেও চাকুর আঘাত লাগে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মতিউরের মৃত্যু হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাত্র কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আর ভোট দিতে এসেই খুন হলেন! আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমদের প্রার্থী ছিলেন রফিকুল, তাঁকে মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আমার স্বামী তৃণমূল করতাম। যারা হত্যা করেছে তারা কংগ্রেস কর্মী। বুথে ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার স্বামীকে ধারলো চাকু দিয়ে পিছন থেকে আঘাত করে খুন করে ওরা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই বলে দাবি করেন মৃত মতিউরের স্ত্রী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda:  ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    Malda: ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে হিংসার বাতাবরণ বর্তমান ছিল। এবার ভোট প্রদানের দিন লাগাম ছাড়া হিংসা, ভোট লুট, বোমাবাজি, হত্যালীলায় রাজ্য কমিশনের কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে গণনার আগেও উত্তপ্ত মালদার (Malda) গাজল। শাসক দল স্ট্রং রুমে ব্যালটে কারচুপি করেছে, এই অভিযোগ তুলে অবস্থাে-বিক্ষোভ করল বিজেপি। বিজেপির আশঙ্কা, ভোট লুট, ছাপ্পা এবং মানুষ হত্যার পর এবার হবে গণনায় চুরি। আর তাই স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থান করলেন বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Malda)?

    গাজোলে স্ট্রং রুমের সামনে ধরনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন। স্ট্রংরুমের মধ্যেই শাসক দলের মদতে কারচুপির করা হচ্ছে। তাই ভোট চুরি আটকাতে অভিযোগ তুলেই ধর্নায় বসেছেন সাংসদ ও বিধায়ক।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, গতকাল ভোটের দিন শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে মানুষের ভোট লুট করেছে, সাধারণ মানুষকে ভোট না দিতে দিয়ে ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল এবং সর্বোপরি মানুষের গণতন্ত্রের অধিকারকে কেড়ে নিয়ে মৃত্যুর হোলি খেলা হল! তার বিরুদ্ধে আমরা আজ গাজলের নাকু মহম্মদ হাই স্কুলে যে স্ট্রং রুম ঠিক করা হয়েছে, সেখানে এসে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থানে বসেছি। ৮৩ নম্বর বুথের ব্যালট বাক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিচে পোলিং অফিসাররা রিসিভ করেছেন। কিন্তু তারপর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও সাহেবকে এই ব্যালট বাক্সের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা নিরুত্তর থাকেন। বিজেপির এই সাংসদ আরও বলেন, আমরা গত কাল রাত ১১ টা থেকে আজ পর্যন্ত বসে আছি। কিন্তু ব্যালট বাক্সের কোনও হদিশ নেই। ২১৭ নম্বর বুথের জেলা পরিষদের ব্যালট বাক্স ফাঁকা করে রাখা হয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসার নিজে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা মারছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে ভাবেই হোক না কেন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে দখল করতে চাইছে শাসক দল! এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এমন যে তার মধ্যে দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকাগুলিকে বাস্তবায়ন করা হয়। কেন্দ্র সরকারের টাকা চুরি করার সহজ রাস্তা হল পঞ্চায়েত দখল করা। আর তাই তৃণমূলের সকল চোরেদের কাছে বিষয়টা এমন যে পঞ্চায়েত হাতে এলেই চুরি করতে সুবিধা হবে! আর এই জন্যই তৃণমূল চাইছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু তৃণমূলই থাকবে। রাজ্যে একতরফা ভোট চুরি করেছে শাসক তৃণমূল। সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গাজলের ২৫৩ টি বুথেই পুনরায় নির্বাচন হোক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    HIV: এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা তলানিতে, স্কুলের কর্মশালা বন্ধ! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালি পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা কিশোরদের মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। আর এর জেরে বাড়ছে বিপদ। প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা!

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইচআইভি (HIV) নিয়ে সচেতনতা কমছে। বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সচেতনতার হার বেশ কম। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫-২৫ বছর বয়সি ৫৪ শতাংশ ছেলের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কীভাবে এই রোগ সংক্রমিত হয়, এই রোগের জেরে কী ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতো কী নির্দেশ (HIV) দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, স্কুল স্তর থেকেই সমস্ত পড়ুয়াদের এইচআইভি সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা পড়ুয়াদের পাঠ্যসূচিতেও রাখতে হবে। কীভাবে এই রোগ ছড়াতে পারে, এই ভাইরাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তা তৈরি করতে হবে, যাতে সমাজে কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়। প্রয়োজনীয় কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। 
    কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেই আটকে থাকলে চলবে না। পড়ুয়াদের সচেতন করতে একাধিক কর্মশালার আয়োজন জরুরি। এই রোগে আক্রান্ত মানেই সে অস্পৃশ্য নয়, কিংবা এই রোগ গোপন রাখার প্রয়োজন নেই, সে সম্পর্কে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ (HIV) নির্ণয় ও তার চিকিৎসা কতখানি জরুরি সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মসূচি করতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সংক্রমণ আটকানো সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়ে। কোন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রোগ সংক্রমণ আটকানো সম্ভব, সে সম্পর্কেও স্কুল স্তর থেকেই সচেতনতা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন কেন? 

    কিন্তু রাজ্যে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার হার কমার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের ভূমিকা। স্কুল স্তরে নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বইতে এইচআইভি (HIV) ভাইরাস সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও, এই নিয়ে কর্মশালা বা প্রয়োজনীয় আলোচনা স্কুলে হয় না বলেই অভিযোগ। স্বাস্থ্য ভবনে এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা এক কর্তা জানান, গত দেড় বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কর্মসূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। কীভাবে বিভিন্ন জেলার স্কুল পড়ুয়াদের একসঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি করা যায়, তা নিয়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যদিও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত আড়াই বছর করোনা মহামারির জেরে ঠিকমতো নিয়মিত স্কুল চালু হয়নি। অনিয়মিত স্কুলের জেরেই নানান কর্মসূচি আটকে রয়েছে। তাই সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই ঘাটতি পূরণ দ্রুত হবে।

    কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    কিন্তু রাজ্য সরকারের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা প্রসারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতাল জে এন এম মেডিক্যাল কলেজে ডায়লিসিস করাতে গিয়ে এইচআইভি সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারীদের সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা। বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, এই ভাইরাস ঘটিত রোগ (HIV) সম্পর্কে মানুষের একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তারপরেও যাঁরা এগিয়ে এসে এই রোগ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, যখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, তখন এই রোগ সম্পর্কে আদৌ সচেতনতা তৈরি করতে চায় কি রাজ্য? সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ধারণা গড়তে না পারলে, ভবিষ্যতে এইচআইভিও কিন্তু আরেক মহামারির রূপ ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লির (Delhi Rain) জনজীবন। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির বিরাম ছিল না শনিবারও। রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন অংশ। বহু এলাকায় বাড়িতে ও দোকানের ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। ভোগান্তির শিকার শহরবাসী। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুজল। সেই জল পেরিয়েই কর্মক্ষেত্রে গিয়েছেন বহু মানুষ।

    শহরের জলছবি

    শহরের জলছবির দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর একাধিক রাস্তায় জল থইথই করছে। শহরের অনেক জায়গাই কোমর সমান জল। তার মধ্যেও শহরবাসী সারছেন নিত্যদিনের কাজ। কোমর সমান জল উজিয়েই রিক্সা টানছেন চালক। চলতে চলতে জলের কারণে কোথাও আবার মাঝ রাস্তায়ই অচল হয়ে গিয়েছে গাড়ি।

    জলযন্ত্রণা (Delhi Rain) সহ্য করেই মানুষ গিয়েছেন কাজে। জলের কারণে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গিয়েছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হন স্কুল-কলেজ-অফিসযাত্রীরা। জমা জলের কারণে মিন্টো ব্রিজের আন্ডারপাসে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। যান চলাচল বন্ধ করতে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।

    লুদ সতর্কতা

    শনিবার কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে সারাদিনই। কোথাও কম, কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর। হাওয়া অফিসের তরফে কোনও কোনও এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে, করোল বাগের টিব্বা কলেজ সোসাইটি এলাকায় (Delhi Rain) দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর আঠান্নর মহিলা রঞ্জিত কাউরের। কালকাজি এলাকায় দেশবন্ধু কলেজের পিছনের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫টি সৌখিন গাড়ি ও ১২টি বাইক ভেঙে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধারাপাত চলবে আরও দু-তিন দিন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের পর ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে এত বৃষ্টি হয়নি দিল্লিতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৬ মিলিমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Poll: অগ্নিগর্ভ চাকুলিয়া, সরকারি বাস ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, অবরোধ, গোয়ালপোখরে ফের খুন

    Panchayat Poll: অগ্নিগর্ভ চাকুলিয়া, সরকারি বাস ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, অবরোধ, গোয়ালপোখরে ফের খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Poll) পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার রামপুরে বিরোধীরা রামপুর-চাকুলিয়া রাস্তা অবরোধ করে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা রামপুরে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। একটি সরকারি বাস সহ একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, ভোটের দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিনের বিক্ষোভ। অন্যদিকে, গোয়ালপোখর-১ ব্লকে শনিবার রাতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সামসুল হুদা। অন্য একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    চাকুলিয়া থানার রামপুর বুথে শনিবার ভোট (Panchayat Poll)  চলাকালীন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বুথের মধ্যে গ্রামবাসীরার লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। সেখানে বহু মহিলা ছিলেন। দুষ্কৃতীরা দুটি গাড়িতে করে আসে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথে ঢোকে। এলোপাথারি বোমাবাজি করে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুখুকমার দাসকে মারধর করে। বুথ দখল করে ভোট লুট করে। এরপরই গ্রামের লোকজন ছুটে এসে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ছেড়ে পালায়। তবে, তারা যে দুটি গাড়ি করে ঘটনাস্থলে এসেছিল, সেই গাড়ি দুটি ফেলে রেখে পালায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জখম হন। শনিবারের ঘটনার পর রবিবার দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া গাড়ি দুটির উপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। গাড়ি দুটিতে আগুন ধরানো হয়। সরকারি বাস সহ একাধিক যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। সরকারি বাসের এক যাত্রী বলেন, আমি মালদা যাচ্ছিলাম। আচমকা আমাদের বাসে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। গাড়ির চালক আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপির পোলিং এজেন্ট?

    বিজেপির পোলিং এজেন্ট সুখুকুমার দাস বলেন, তৃণমূল ভোট (Panchayat Poll) লুট করেছে। গ্রামের মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। মানিকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই বুথে ফের ভোটের দাবি জানাচ্ছি।

    গোয়ালপোখরে ফের এক ব্যক্তি খুন

    অন্যদিকে, এই জেলার গোয়ালপোখর ১ ব্লকের সাহাপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগিরবস্তির নয়াহাঁট এলাকার সামসুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরের দিকে মহম্মদ জামেরুদ্দিন নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর সামসুল হক নামে অপর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। সামসুল হকের মৃতদেহটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাফুজ আলম নামে অপর এক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও এদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share