Tag: Bengali news

Bengali news

  • Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    Malda: মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলা, জখম ডিএসপি সহ পুলিশ কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহে ভোট সম্পন্ন হল। মালদায় (Malda) তৃণমূলের মন্ত্রী এবং পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী এক পুলিশ কর্মীকে পাথরের আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট এলাকায় পুলিশ কর্মী দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ চলছে।

    হরিশ্চন্দ্রপুরে (Malda) পুলিশ আক্রান্ত

    জানা যায়, ভোটের দিন শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তজমুল হোসেন ও হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থানার পুলিশ এলাকার ২ নং ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভোট পরিদর্শন করে ফিরছিলেন। হঠাৎ বস্তা গ্রামে একদল দুষ্কৃতী রাজ্যের মন্ত্রী ও পুলিশের গাড়ি আটকে পাথর ও ইটের টুকরো ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় গাড়ির কাচ এবং এক পুলিশকর্মী জখম হন। আক্রান্ত পুলিশ কর্মী হচ্ছেন মালদার ট্রাফিকের ডিএসপি বিপুল ব্যানার্জি। রাতেই এই পুলিশ কর্মীকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। তবে অনুমান করা হচ্ছে বিহার থেকে এসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে পুলিশ।

    মগরাহাটে আক্রান্ত পুলিশ

    একই দিনে মালদায় পুলিশ আক্রান্তের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও পুলিশ আক্রান্তের খবর মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মগরাহাট থানার ৩ পুলিশ কর্মী। মগরাহাট থানার একজন এসআই সহ দুই কনস্টেবল আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের নৈনান এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে নৈনান এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মগরাহাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সেখানেই কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে বলে জানা যায়। ঘটনায় মাথা ফেটেছে পুলিশ কর্মীদের। আহত তিন পুলিশ কর্মী হলেন এসআই আরিফ মহম্মদ ও ২ কনস্টেবল লালটু ও প্রসেনজিৎ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ঘটনার পর নৈনান এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    Parkinson’s Disease: পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে কি স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাতে কয়েক ঘণ্টা ঘুমের মধ্যেই নানা দুঃস্বপ্ন। কিংবা যে কোনও একটি হাত ক্রমাগত নড়াচড়া করা। অন্যের কথা বুঝতে বা নিজের মনের ভাব বুঝিয়ে বলতে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটা হতে পারে পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease)! ভারতে বাড়ছে এই সমস্যা। বিশেষত ৬০-এর চৌকাঠ পেরলেই এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স এক ধরনের স্নায়ু ঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে এক ধরনের সমস্যার জেরে পার্কিনসন্স হয়। এর জন্য আক্রান্তের হাত-পা সহ দেহের একাধিক পেশির ভারসাম্য নষ্ট হয়। দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ফলে, হাঁটাচলা কিংবা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ঘটিত রোগের (Parkinson’s Disease) জেরে বাড়তে থাকে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা।

    কারা এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই রোগে  (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, বয়স্কদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রৌঢ়দের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ৬০ বছরের পরেই নানা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সেগুলো নজর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তখন চিকিৎসা শুরু করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের ৩২ শতাংশ পার্কিনসন্স সমস্যায় জর্জরিত।

    কী কী উপসর্গ (Parkinson’s Disease) দেখা যায়? 

    পার্কিনসন্স আক্রান্তের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন আক্রান্ত হলে, তাঁর হাত বা পা লাগাতার নড়বে। অনেক সময়ই সেগুলো নাড়ানো বন্ধ করার ক্ষমতা পেশি হারিয়ে ফেলে। 
    পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের ঘুম খুব কম হয়। অধিকাংশ সময়ই তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন। আবার অনেক সময় তাঁরা খুব দুঃস্বপ্ন দেখেন। ফলে, গভীর ঘুম হয় না। 
    কথা জড়িয়ে যাওয়া পার্কিনসন্সের অন্যতম লক্ষণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেহেতু এটা স্নায়ু ঘটিত রোগ, তাই অনেক সময়ই তার প্রভাব মুখের পেশি ও স্বরযন্ত্রের উপর পড়ে। তাই কথা জড়িয়ে যাওয়া কিংবা অন্যের কথা বুঝতে না পারার মতো সমস্যা দেখা যায়। 
    পার্কিনসন্স আক্রান্তের আরেকটি লক্ষণ হল সন্ধ্যায় একাকিত্ব বোধ করা। বিশেষত সূর্য ডোবার পরে, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের এক ধরনের অবসাদ গ্রাস করে।

    এই ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে তাঁর প্রতি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    এই রোগে (Parkinson’s Disease) আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease) আক্রান্তের চিকিৎসা সম্ভব। শুধু তাই নয়, নানা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হলেও মানুষ দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই লক্ষণ বুঝতে পারলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। কারণ, অনেক সময়ই শুধু ওষুধ যথেষ্ট হয় না। পার্কিনসন্স রোগীদের জীবন যাপন ঠিক করতে দরকার হয় থেরাপির। বিশেষত একাধিক আক্রান্ত যদি একসঙ্গে নাচ-গান-কবিতা কিংবা কেক বানানোর মতো সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে অনেকটাই তাঁরা উন্নতি করেন।
    এ প্রসঙ্গে পার্কিনসন্স নিয়ে কাজ করা স্নায়ু চিকিৎসক হৃষিকেশ কুমার বলেন, হাত-পায়ের পেশি সচল রাখা যেমন জরুরি, তেমনি দরকার রোগীকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা। তাই থেরাপি আবশ্যক। বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে স্নায়ুর সমস্যা কমানো যায়। কিন্তু থেরাপি মনকে ভালো রাখে। আর তখনই কাজ সহজ হয়। তাই পার্কিনসন রোগীদের নানা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হয়। তাহলে তাঁরা দীর্ঘ জীবন কাটাতে সক্ষম হবেন। 
    পার্কিনসন্স রোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্কিনসন্স রোগীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাঁরা একাকিত্বে ভোগেন। তাঁদের মনের কথা সবাই বুঝতে পারেন না। থেরাপি না হলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়ে। কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা বা থেরাপি হলে রোগী দীর্ঘ জীবন কাটাতে পারেন।”

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ব্যুমেরাং! সিপিএমের বুথ দখল আটকাতে গিয়ে তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর

    Panchayat Vote: ব্যুমেরাং! সিপিএমের বুথ দখল আটকাতে গিয়ে তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল অণ্ডালের কাজরা এলাকা। শনিবার ৮ জুলাই ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঝরেছে রক্ত, হয়েছে প্রাণহানি। উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগও। ভোট পর্ব শেষ হতেই অণ্ডালের কাজরা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজনৈতিক সংঘর্ষে। শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, কাজরা এলাকার সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকরা ১১৭ ও ১১৮ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল। বাধা দিতেই তৃণমূলের কার্যালয় এবং দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তারা। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম। তাদের তরফে সন্ত্রাসের পাল্টা অভিযোগ করা হয় শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    কী বলছে সিপিআইএম নেতৃত্ব?

    এলাকার সিপিআইএম নেতা তুফান মণ্ডল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সিপিআইএমের লোকেরা বুথ দখল করেনি, বরং তৃণমূলই দখল করেছিল ভোটগ্রহণ (Panchayat Vote) কেন্দ্র। তাদের বাধা দিতেই সিপিআইএমের লোকেদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।’’ বুথের বাইরে সিপিআইএম-তৃণমূলের বচসা তুঙ্গে ওঠে। পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। সিপিআইএম নেতা তুফান আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের বুথ দখলের চেষ্টা আমরা ব্যর্থ করতেই, শাসক দলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে সিপিআইএমের লোকজনদের ওপর। পরে প্রচুর সংখ্যক সিপিআইএম কর্মী সমর্থক জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মীদের প্রতিরোধ করে। প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয় তৃণমূল কর্মীরা।’’

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    কাজরা এলাকার তৃণমূল প্রার্থী চন্দন সিং বলেন, ‘‘১১৭ ও ১১৮ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল সিপিআইএম নেতাকর্মীরা। তাদের বুথ দখলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতেই প্রতিহিংসায় সিপিআইএমের বহু সংখ্যক দুষ্কৃতী এসে তৃণমূলের তিনটি দলীয় কার্যালয় এবং প্রার্থীদের বাড়ি গাড়িতে হামলা চালায়।’’ পাশাপাশি এলাকায় সিপিআইএমের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করারও অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে অণ্ডাল থানার প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেয়েছে বহু তৃণমূল কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: গঙ্গারামপুরে বুথের সামনেই চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    Panchayat Poll: গঙ্গারামপুরে বুথের সামনেই চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) শেষ লগ্নে চললো গুলি। বুথের কাছেই গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের প্রার্থী। আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থীর নাম নূর আমিন মিঁয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৯ নম্বর বুথের সামনে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। নূর আমিন গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ নম্বর আসনে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় গুলি চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা, শনিবার সকাল থেকে ৪৯ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণ ভোট (Panchayat Poll) হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর ৪৯ নম্বর বুথের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। সেই সময় বিরোধীরা মূলত বিজেপি এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা তাতে বাধা দেয়। আর সেই সময়েই বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের গণ্ডগোল ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং গুলিও চলে। সেই গুলি গিয়ে লাগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থীর গায়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সংঘর্ষে বিরোধী পক্ষেরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বোমাবাজির সময়ে বিজেপির তিন জন সমর্থকও জখম হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

    স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    এক তৃণমূল কর্মী বলেন, সকাল থেকে বুথে কোনও অশান্তি হয়নি।  বিজেপি ভোট (Panchayat Poll) লুট করতে আসে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে গুলি করে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির নেতা মানস সরকার বলেন, ৪৯ পঞ্চগ্রাম বুথে সকাল থেকে বুথ দখলের একটা চেষ্টা চলে। তৃণমূলের মধ্যে চরম গোষ্ঠী কোন্দল  শুরু হয়। সেই গোষ্ঠীকোন্দলে এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে গুলি চালায়। বোমাবাজি শুরু হয়। বোমার আঘাতে আমাদের বিজেপির কয়েকজন কর্মী আহত হন। গুলিকাণ্ডে বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: ‘নীল-সাদা’ নয়! এবার ছুটবে ‘গেরুয়া’ বন্দে ভারত

    Vande Bharat: ‘নীল-সাদা’ নয়! এবার ছুটবে ‘গেরুয়া’ বন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিকতা, গ্ল্যামার, বিশ্বমানের সুবিধা, সব কিছুই মেলে বন্দে ভারতে (Vande Bharat)। এই ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের উৎসাহও চোখে পড়ার মতো। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে ২৫টি রুটে ছুটছে বন্দে ভারত। নীল-সাদা রঙের যে ট্রেন দেখতে অভ্যস্ত দেশবাসী, তা এবার বদলে হচ্ছে ‘গেরুয়া’, এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম বন্দে ভারত ছোটে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

    ২৮ তম বন্দে ভারত হতে চলেছে গেরুয়া

    ২৭ তম বন্দে ভারত পর্যন্ত রং ছিল নীলন-সাদা। এবার গেরুয়া রং ‘গায়ে মাখবে’ দেশের ২৮ তম বন্দে ভারত। ইতিমধ্যে সামনে এসেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ট্যুইট করা নতুন বন্দে ভারতের ছবি। সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে গেরুয়া পোশাকে বন্দে ভারতকে। তবে আগামী দিনে সব বন্দে ভারতকেই ‘গেরুয়া’ করা হরে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী মোদি দুটি নতুন বন্দে ভারতের (Vande Bharat) উদ্বোধন করেন। একটি গোরখপুর থেকে লক্ষ্ণৌ এবং অপরটি সবরমতী থেকে যোধপুর।

    হঠাৎ কেন গেরুয়া হচ্ছে বন্দে ভারত (Vande Bharat)?

    এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের জাতীয় পতাকা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন বন্দে ভারতের রং বদলে গেরুয়া করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে এই রং বদলানো হচ্ছে। শনিবার চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী। শুধু রং বদল নয়, বন্দে ভারতে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। নিরাপত্তার বিষয়েও বেশ কিছু বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বন্দে ভারত এবং অন্যান্য ট্রেনেও এই নিরাপত্তা পদ্ধতি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন রেলমন্ত্রী?

    রেলমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ভারতের ইঞ্জিনিয়াররা তা তৈরি করেছেন। বন্দে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে বেশ কিছু সুরক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অ্যান্টি ক্লাইম্বিং ডিভাইস। বন্দে ভারত চালুর পর থেকে আমরা এসি, টয়লেট ইত্যাদি বিষয়ে যে সমস্ত ফিডব্যাক পেয়েছি, তা কার্যকর করা হচ্ছে। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাসন্তী, কুলতলিতে ফের দুজন তৃণমূল কর্মী খুন, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: বাসন্তী, কুলতলিতে ফের দুজন তৃণমূল কর্মী খুন, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের সন্ত্রাসে রাজ্যে আরও দুই তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃত্যু হল। দুটি ঘটনায় ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। একটি বাসন্তী, আর অন্যটি কুলতলি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম আলি আজগর লস্কর (৬২) এবং আবু সালেম খান (৪৮)। শনিবার গভীর রাতে কলকাতা হাসপাতালে আজগরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রবিবার সকাল থেকে উত্তেজনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আর আবু সালেমকে বুথের সামনে গুলি করে খুন করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বাসন্তীর রাধারাণীপুর এলাকায় ২৪১ নম্বর বুথে আরএসপির সংগঠন ভাল। তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে আরএসপি প্রার্থী দিয়েছে।  সকাল থেকেই ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছিল। ভোটের পর পরই ব্যালট বক্স ছিনতাইকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাধে। অভিযোগ, বুথ থেকে ভোটের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আরএসপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তখনই তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আর এস পি ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। বুথের সামনে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। গাড়ি ভাঙচুর করে ব্যালট বাক্স বের করে নেয়। তাতে বাধা দেয় তৃণমূল। তখনই দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ৮ জন  আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরে, তৃণমূল কর্মী আজগরসাহেবের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, কুলতলির জালাবেড়িয়া-১ পঞ্চায়েত এলাকায় পশ্চিম গাবতলায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি সহ বিরোধী দলের কর্মীদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। বুথে ছাপ্পা ভোটকে কেন্দ্র করেই ঝামেলা বাধে। তখনই তৃণমূল কর্মী আবু সালেমকে পিটিয়ে গুলি করে খুন করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। মানুষ উন্নয়নের নিরিখে ভোট দিয়েছে। এটা আরএসপি বুঝতে পেরে গিয়েছে। তাই, ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর  পরই আরএসপি সন্ত্রাস করে ভোট লুট করতে চেয়েছিল। সেটা তৃণমূল কর্মীরা রুখে দেন। আর তারজন্যই আরএসপিদের হাতে আমাদের কর্মীরা রক্তাক্ত হয়। একজনের প্রাণ গেল। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, কুলতলির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, বিজেপি সহ বিরোধী দলের লোকজন বুথ দখল করতে এসেছিল। তৃণমূলের ওই কর্মী প্রতিহত করতে গিয়ে খুন হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে চলেছে কর্মচারী সংগঠনগুলি

    Panchayat Vote: কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করতে চলেছে কর্মচারী সংগঠনগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) কেন্দ্র করে শাসক দলের বেলাগাম সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। শনিবারের ভোটে ঝরল ১৭টি তরতাজা প্রাণ। দুপুরের পর কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি এমন হয় যে প্রতি মিনিটে একটি করে খুনের খবর মিলতে থাকে। সাধারণ ভোটার থেকে সন্ত্রাসের শিকার নির্বাচনের ডিউটিতে থাকা সরকারি কর্মচারীরাও। পুলিশ কর্মী থেকে ভোটকর্মীদের কান্নার করুণ চিত্রও দেখা গেল এদিন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, তবুও বুথে বুথে মিলল না কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ইস্যুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা সহ অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন দিন ধরে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, ধর্না করছে এই সংগঠন। দিল্লিতেও কয়েক মাস আগে ধর্না দেয় এই সংগঠন। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথাও তুলেছিল তারা। রবিবারই মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে সন্ত্রাস ইস্যুতে এই সংগঠন রাস্তায় নামতে চলেছে। প্রসঙ্গত, শনিবার প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ৪ লাখ সরকারি কর্মচারীকে নির্বাচনের ডিউটি করতে হয়। অজস্র বুথে আগ্নেয়াস্ত্রর সামনে মাথা নত করতে হয় তাঁদের।

    অসহায় ভোট কর্মীরা 

    ভোটকর্মীদের অসহায় অবস্থা সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে সকলেই দেখতে পান। বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা, স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতিতে শাসক দলের তাণ্ডব, এসব চলতেই থাকল। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের রাজচন্দ্রপুর গ্রামের ১৪৭ নং বুথে দেখা যায় করুণ চিত্র। আতঙ্কে, সন্ত্রাসে সেখানে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন প্রিসাইডিং অফিসার রঙ্গনা সেন। তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যালট বক্স। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের রানিগঞ্জে ভোটের (Panchayat Vote) ডিউটি করতে যাওয়া সরিফুল ইসলামেরও একই অবস্থা। ভোট লুট করতে আসা দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কে লুকিয়ে ছিলেন বেঞ্চের নীচে।

    সোমবার কলকাতায় মিছিল করবে কর্মচারী সংগঠন

    রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবার রাজপথে নামতে চলেছে কর্মচারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জানা গিয়েছে, লাগাম ছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগে এবং তার প্রতিবাদে সোমবার শহরে মিছিল করা হবে। একথা জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আন্দোলকারী ঘোষণা মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বাহিনীর বিষয়ে মানা হয়নি কোর্টের কোনও নির্দেশ। এই পুরো পরিস্থিতির জন্য দায়ী কমিশন।’’

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইনশৃঙ্খলার অবনতি! কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: আইনশৃঙ্খলার অবনতি! কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে শনিবার ব্যাপক হিংসা ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। সন্ত্রাসের বলি হন একদিনে ১৫ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের বুথে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ। এবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলল বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহকেও। ভোট ঘোষণা থেকে একে একে ঝরে পড়েছে তিরিশের ওপর তাজা প্রাণ, জেলায় জেলায় লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শনিবার বলেন “কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই এখনই। সেটা ৩৫৫ হতে পারে, ৩৫৬ হতে পারে। কোনটা হবে, সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক। জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছি।” সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৫৫ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে, কেন্দ্রের হাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব চলে যায়। আর ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, রাজ্য প্রশাসন চালাতে অক্ষম হলে, পুরো প্রশাসনিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে চলে যায়।

    শনিবার সকাল থেকেই হিংসা ছড়ায় রাজ্যে 

    শনিবার সকাল থেকেই নির্বাচন-সন্ত্রাসের খবর সামনে আসতে থাকে। বোমাবাজি, গুলিচালনা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই চলতেই থাকে। পঞ্চায়েত ভোটে এক দিনে মৃতের সংখ্যা পৌঁছায় ১৭-তে। শনিবার দুপুরের পর থেকে, কিছুটা সময় এমনও ছিল যখন প্রতি মিনিটে একটা করে লাশ পড়তে থাকে। রাজ্যের অজস্র স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন না করে শুধুই সিভিক দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার দুপুরেই অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন। শুভেন্দু বলেন, “আমি একটা কারণে, একটা লক্ষ্য নিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এসেছি। সেই লক্ষ্যে আমাকে যা করতে হয় করব। পতাকা ধরে কিংবা পতাকা ছেড়ে, টু সেভ ডেমোক্র্যাসি, আমাকে যা করতে হয় করব।” তাঁর আরও সংযোজন, দুটি পথ খোলা। এক, ‘কালীঘাট চলো’, দ্বিতীয়ত ‘৩৫৬ কিংবা ৩৫৫ ধারা।’

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Force: কমিশনের অসহযোগিতাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা, পাল্টা তোপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Central Force: কমিশনের অসহযোগিতাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা, পাল্টা তোপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার যাবতীয় দায় শনিবার দুপুরেই রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল রাজীবের তত্ত্ব মিথ্যা। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেনি বলেই বাহিনী যথা সময়ে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে। সহযোগিতা পেলে ভোটের আগে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী হাজির হত বাংলায়।

    রাজ্য জুড়ে হিংসা ও রাজীবের সাংবাদিক সম্মেলন

    ভোটের সকাল থেকেই জেলায় জেলায় হিংসা, বোমাবাজি, মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে তড়িঘড়ি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে রাজীব সাংবাদিক বৈঠক করেন দুপুর ২ টো নাগাদ। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। শনিবার পর্যন্ত ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছতে পেরেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসতে এত দেরি হল কেন? আমরা তো বাহিনী চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম ২২ জুন। তারপর মনেও করিয়েছিলাম বেশ কয়েক বার। তা সত্ত্বেও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দিতে জুলাই মাসের ৩ তারিখ হয়ে গেল! আমার মনে হয় আরও কিছু আগে বাহিনী এলে সুবিধা হত।’’

    অমিত শাহের মন্ত্রকের পাল্টা উত্তর

    রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ছিল, সেখানে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বরং কোনও বুথ দখলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখলেই কড়া হাতে দমন করেছে বাহিনী। কিন্তু কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে আর কোন বুথে থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেলাশাসক। স্পর্শকাতর বুথগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল কমিশনের কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি বলেই জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। এই ইস্যুতে একাধিক অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে এনেছে স্বরাষ্ট মন্ত্রক। মন্ত্রকের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য অনেক দেরিতে অনুরোধ করেছে কমিশন। রাতারাতি বাহিনী পাঠনো যায় না, তাদের প্রশিক্ষণ সমেত অন্যান্য ব্যবস্থা করতে সময় লাগে। অমিত শাহের মন্ত্রক আরও জানাচ্ছে, বাহিনীকে কোথায় নামতে হবে, কোথায় তাদের থাকার ব্যবস্থা হবে, এনিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছে কমিশন। তারা বার বার দায় সেরেছে একটা কথাতেই, ‘জেলাশাসক’ নির্দেশ দেবেন এব্যাপারে। এছাড়া কমিশনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, কিছু বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় নামে, এই বাহিনীকে স্ট্রংরুমের পাহারার কাজে লাগানো যেত। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কমিশন।

    অশান্তির ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) সম্পর্ক নেই, দাবি বিএসএফের

    প্রথম দিন থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েনের তালিকা ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েও পাননি বিএসএফ এবং সিআরপিএফ কর্তারা। অন্য দিকে তাঁরা জানাচ্ছেন, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে যেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই জায়গায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল।

     

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০৯/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০৯/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১)  কোনও কাজের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে পারেন। বহুদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।    

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ভারসাম্য বজায় থাকবে। 

    বৃষ

    ১) বাড়ির জন্য কোনও কাজের জিনিস কিনতে পারেন। 

    ২) দাম্পত্য জীবনে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোনও কারণে তর্ক হতে পারে।     

    মিথুন

    ১) কোনও মিত্র বা পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।  

    ২) কোনও নিকটাত্মীয়ের কথা ও ব্যবহার আপনার মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।    

    কর্কট

    ১)  কোনও কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলে, তাতে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন এবং সফল হবেন।  

    ২) চাকরিজীবীরা কাজে প্রশংসা ও লাভ অর্জন করতে পারেন।  

    সিংহ 

    ১) বহুদিন ধরে আটকে থাকা কোনও কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।  

    ২) সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে অংশগগ্রহণ করবেন।

    কন্যা

    ১) পরিবারে কোনও শুভ ও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হবে।  

    ২) কোনও বরিষ্ঠ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে লাভ হবে।   

    তুলা 

    ১) নিজের আত্মীয়দের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন। 

    ২) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) অন্যের সাহায্য ও সামাজিক কাজে অর্থ ব্যয় করবেন। 

    ২) আপনার প্রভাব ও উন্নতি দেখে অনেকে ঈর্ষান্বিত হতে পারেন।    

    ধনু

    ১) পারিবারিক জিনিসের কেনাকাটায় অর্থ ব্যয় হতে পারে। 
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও ধর্মীয় স্থানে যাবেন। 

    মকর

    ১) আর্থিক লেনদেনে সতর্ক থাকুন। 

    ২) পরিবারে জীবনসঙ্গী বা সন্তানের স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত থাকবেন।     

    কুম্ভ

    ১) পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে বিবাদ বা অবসাদ হতে পারে। সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা আনন্দে দিন কাটাবেন।     

    মীন

    ১) পড়াশোনার সঙ্গে জড়িত জাতকদের জন্য দিন অনুকূল। 
     
    ২) ছাত্ররা প্রতিযোগিতা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ভালো প্রদর্শন করবেন।        

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

     

LinkedIn
Share