Tag: Bengali news

Bengali news

  • Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    Panchayat Elections 2023: অভিষেকের ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ, ভোটকর্মীদের আটকে দেদার ‘ছাপ্পা’ তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আর তখন থেকেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে বেপরোয়া রাজনৈতিক হিংসা। একদিকে যেমন ঝরছে রক্ত, তেমন অন্যদিকে, শাসকদলের বেলাগাম ভোট-সন্ত্রাস ও লুটের ছবি উঠে আসছে। যেমনটা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার থেকে। 

    অভিষেকের কেন্দ্রে সন্ত্রাসের অভিযোগ

    রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এটি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড হারাবারে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই ছবি সামনে আসায় ফের বিরোধীদের দাবি জোরালো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) শাসক দলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, ভোটকর্মীদের আটকে রেখে ও ভয় দেখিয়ে ছাপ্পা মারার খবর পাওয়া গেছে। ভোটকর্মীদের মারধরও করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কোচবিহারে পুড়ল ব্যালট, লুট উত্তর দিনাজপুরে! শাসক-সন্ত্রাস নিয়ে সরব সুকান্ত

    ঠিক কী বলছেন স্থানীয়রা?

    স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট দিতে এসে তাঁরা দেখেন, তাদের ভোট পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা মারার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও ইতি উতি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বেলাগাম ছাপ্পা মেরে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সকালে ভোটকেন্দ্রে এসে ব্যালট বাক্স খুলে সব ব্যালট ফেলে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও 

    এই মর্মে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যদিও সেই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূলের ছেলেরা রাতেই ছাপ্পা মেরেছে। সরকারি কর্মী, অফিসার ও পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সকালে এসে সেই ব্যালট বক্স (Panchayat Election 2023) বাইরে ফেলে দিয়েছি।’’ এক পুলিশকর্মীকে কাতরভাবে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাতে এখানে অনেক লোকজন ঢুকে পড়েছিল। বোমা-বন্দুক দেখিয়ে আমাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের মারধর করা হয়। আমরা কোনও প্রতিরোধ করতেই পারিনি। প্রাণের ভয় রয়েছে।’’

    ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দাউদাউ করে করে জ্বলছে ব্যালট পেপার। রাতে ছাপ্পা মারার অভিযোগে সেই ব্যালট পেপারগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিরোধীরা। সেখানে অনেকগুলির ব্যালটে তৃণমূলের প্রতীকের উপর ভোটের ছাপ দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল কোচবিহার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল বিজেপির (BJP) এক পোলিং এজেন্টের। শনিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ফলিমারি ৪/৩৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মাধব বিশ্বাস। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার জখম হন।  বুথে থাকা এক পুলিশ কর্মীও গুরুতর জখম হন। সকাল থেকে গণ্ডগোলের জেরে এই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে, ভোট শুরু হওয়ার আগেই এদিন সকালে মালদার মানিকচকে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হন আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মালেক (৪০)। তিনি ওই এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই কোচবিহারের ফলিমারি বুথে বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাস যান। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা বুথে হামলা চালায়। বুথের মধ্যেই চলে বোমাবাজি। বিজেপির পোলিং এজেন্ট বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার সুমন রায় জখম হন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিজেপি কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট হচ্ছে। তৃণমূলের হামলায় আমাদের কর্মীর প্রাণ গেল। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। অন্যদিকে, এদিন সকালে মালদার মানিকচকে ভোট শুরুর আগেই ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। অভিযোগ কংগ্রেসের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী শেখ মালেকের। ঘটনার পর পই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার সাত সকালেই হিংসার বলি এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থক। ঘটনাটি বারাসত-১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আব্দুল্লাহ (৪১)। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বসিন্দারা। কদম্বগাছি রোড অবরোধ করে মৃতের পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূল (TMC) কর্মী খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সদরউদ্দিন সেখ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাওয়ার পর এলাকায় বিক্ষোভ তৈরি হয়। কারণ, এলাকার বড় অংশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তৃণমূল প্রার্থী কোটি টাকার মালিক। টাকার বিনিময়ে তিনি টিকিট পেয়েছেন। তিনি টিকিট পাওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৪১ ও ৪২ নম্বর বুথে নিজেদের মতো করে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান। তাঁদের সমর্থনেই আব্দুল্লাহ ভোট প্রচার করছিলেন। অভিযোগ, লাগাতার তাঁর উপর হুমকি আসছিল। শুক্রবার রাতে আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী সমর্থিত কর্মী সমর্থক দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেখানেই তাঁদের ওপর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হয়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার পাশাপাশি আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গভীর রাতেই তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।  অন্যদিকে, শুক্রবারই মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি খড়গ্রামেও যান। রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। এদিন সকালে জমি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: রাজ্যপালের কনভয় দাঁড় করালেন বিরোধীরা! অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না

    Panchayat Vote: রাজ্যপালের কনভয় দাঁড় করালেন বিরোধীরা! অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর-১ ব্লকের কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থীরা রাজ্যপালের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অভিযোগ জানাচ্ছেন। শনিবার সকালেই কল্যাণী হাই রোড দিয়ে রাজ্যপাল যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসুদেবপুর মোড়ে তাঁর গাড়ি দাঁড় করান বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না। তৃণমূল অশান্তি শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    সকাল থেকেই পথে রাজ্যপাল 

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ছটার সময়ই রাজভবন ছাড়েন রাজ্যপাল। সূচি অনুযায়ী সকালেই পৌঁছান উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর, বাসুদেবপুর। সেখানেই তাঁর গাড়ি দাঁড় করান বিরোধীরা। সূত্রের খবর, বারাকপুর, বাসুদেবপুর হয়ে নদিয়া যাবেন রাজ্যপাল। সেখানেই সারবেন মধ্যাহ্নভোজ। রাজভবনে ফিরে তিনি বসিরহাটে রওনা হবেন। এছাড়া ভোটপ্রক্রিয়া (Panchayat Vote) চলাকালীন কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটলে বা হিংসা ছড়ালে সেখানেও যেতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, এমনটাই খবর রয়েছে।

    মনোনয়ন শুরু থেকেই হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল

    মনোনয়ন পর্বে (Panchayat Vote) সন্ত্রাসের জেরে শিরোনামে এসেছিল ক্যানিং-ভাঙড় থেকে কোচবিহার-মুর্শিদাবাদ। সর্বত্রই পৌঁছাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। এমনকী ভোটে সন্ত্রাস হলে বিরোধীরা যাতে সুবিচার পেতে পারেন, সেই কারণে রাজভবনে কন্ট্রোল রুমও খোলেন রাজ্যপাল। যার পোশাকি নাম হয় পিস রুম। শুক্রবারই খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মীর ফুলচাঁদ শেখের পরিবারের বাড়িতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকে ফেরার পথেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। ভোটের দিনও যে রাজ্য পরিদর্শন করবেন তা নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় তখনই। তিনি বলেন, ‘‘কালও আমি রাস্তায় থাকব। মানুষের স্বার্থেই, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বার্থে আমি থাকব। এই পিস রুম আগের রাজভবনের পিস রুমের মতো নয়। মানুষের জন্য আমি রাস্তায় থাকব।’’

    আরও পড়ুন: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ কেশপুরে! আহত উভয়পক্ষের ৮

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ কেশপুরে! আহত উভয়পক্ষের ৮

    Panchayat Vote: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ কেশপুরে! আহত উভয়পক্ষের ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) আগের রাতেই ফের উত্তপ্ত কেশপুর। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। শুক্রবার রাতে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীকে এই ঘটনার কারণে পুলিশকে ফোনে হুমকিও দিতে শোনা যায়। আজ শনিবার রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ঠিক তার আগের রাতে এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের আশঙ্কা, ভোটের দিনও অশান্তি ছড়াতে পারে।

    আরও পড়ুন: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    ঠিক কী ঘটনা?

    জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ১৫ নম্বর অঞ্চলের বাগরুই এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্য়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বাগরুই এলাকায় তৃণমূলের লোকজন গিয়ে হামলা চালায় তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর। এতেই ঝামেলার সূত্রপাত। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আহত হয়েছেন চারজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক।

    কী বলছে বিজেপি?

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতে সন্ত্রাস করছে তৃণমূল। তাদের ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন সব কিছু ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তৃণমূল মারধর করছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের এই সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে গেলেই সংঘর্ষ বেধে যায় বলে জানিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে তৃণমূল? 

    পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদেরও চারজন কর্মী-সমর্থক আহত। কেশপুর ব্লকের তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী মহম্মদ রফিক এদিন মেদিনীপুর হাসপাতালে এসে এই ঘটনার জন্য পুলিশকে ফোনে শাসানিও দেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, যে এলাকায় গোলমাল হয়েছে, সেখানে তৃণমূলের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আহত হয়েছেন তৃণমূলের চারজন কর্মী-সমর্থক। ঘটনার পর অবশ্য কেশপুর বা মেদিনীপুর হাসপাতালে সন্ধ্যা অবধি কেউ ভর্তি হননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    Panchayat Poll: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যে দু’জন রাজনৈতিক কর্মী খুন হলেন। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাবর আলি। অন্যদিকে, রেজিনগর থানার নাজিরপুরে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইয়াসিন সেখ। পাশাপাশি কোচবিহারের ওকড়াড়ির মহেশ্বর এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর নাম রফিকুল ইসলাম ব্যাপারি। তিনি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  শুক্রবার রাতে গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন বাবর আলি। তখনই দুষ্কৃতীরা এসে ফুলচাঁদ শেখ ও বাবর আলিকে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দুজন তৃণমূল কর্মীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বাবর আলির মৃত্যু হয়।  

    তৃণমূল ও বাম কংগ্রেস জোট কর্মীদের সংঘর্ষ

    ভোটের (Panchayat Poll) কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইসলামপুর। তৃণমূল ও  বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থকদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের একাধিক কর্মী জখম হন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মুর্শিদাবাদের রানিনগর-১ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর থানার লোচনপুর পঞ্চায়েতের কেশবপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ দিতে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর হামলা চালায় বাম-কংগ্রেস জোট কর্মীরা। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও পাল্টা বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ, জোটের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। চারজন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকা ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। একইসঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জের সুলিতলা। কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি। দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার ঘটনা। ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০৮/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০৮/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও আধিকারিকের সঙ্গে বিবাদ হলে তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। তা না-হলে আদালত পর্যন্ত এই মামলা গড়াতে পারে।   

    ২) সন্ধ্যাবেলা আপনার বাড়িতে কোনও কাজ আসতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়ি ও অফিসে নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

    ২) সুখ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য অর্থ ব্যয় হবে। এর ফলে আপনার লাভ হবে।   

    মিথুন

    ১) পুরনো ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। 

    ২) ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অধিক পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ করবেন।   

    কর্কট

    ১) শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গে বিবাদ হলে জীবনসঙ্গীর সঙ্গ লাভ করবেন।

    ২) আজ ভালই অর্থ ব্যয় হবে। 

    সিংহ 

    ১) চাকরিতে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকলে তার সমাধান হবে। 

    ২) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সময় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যয় করবেন।

    কন্যা

    ১) সন্ধ্যাবেলা কোনও শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করবেন। 

    ২) প্রেম জীবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রেমীর সাক্ষাৎ করাবেন।  

    তুলা 

    ১) বাড়িতে শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

    ২) বিদেশি আত্মীয়দের কাছ থেকে ভালো সংবাদ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কোথাও যাত্রার সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে ধন লাভ সম্ভব।   

    ধনু

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ সমাপ্ত হবে। 
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও বন্ধুর বাড়িতে পার্টি করতে যাবেন।

    মকর

    ১) নিজের মনের কথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। তা না হলে ভবিষ্যতে হতাশ হতে পারেন। 

    ২) কাউকে টাকা ধার দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করুন।।

    কুম্ভ

    ১) আয়ের কথা মাথায় রেখে ব্যয় করুন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।    

    মীন

    ১) ব্যবসায় লগ্নি করলে ভবিষ্যতে ভাল মুনাফা হবে।
     
    ২) ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় আগত বাধা দূর হবে।     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতাদের সকলের জামিন, মুখ পুড়ল সিআইডি-র

    Abhishek Banerjee: অভিষেক কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতাদের সকলের জামিন, মুখ পুড়ল সিআইডি-র

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিন বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মুখ পুড়ল সিআইডির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের হামলা কাণ্ডে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত সহ সকলেই জামিন পেলেন। রাজেশ মাহাত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলা, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জামিন পেলেন কুড়মি নেতারা।

    কেন কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল?

    ২৬ মে নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঝাড়গ্রাম থানার গড়শালবনি এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)  কনভয়ের উপর হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সুয়োমুটো মামলা রুজু করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনার রাতেই ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারপরের দিন ওড়িশা সীমানা লাগোয়া এলাকার নয়াগ্রাম থানা এলাকা থেকে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাত সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ঘটনা তদন্তে নেমে সিআইডি আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় মোট গ্রেফতার হন ১১ জন। সিআইডি রাজেশ মাহাত, শিবাজী মাহাতকে একাধিকবার নিজেদের হেফাজতে চেয়েও তাদের হেফাজতে পায়নি। এই প্রভাবশালী কুড়মি নেতাদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনির ঘটনায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি চালক এবং ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি নবু গোয়ালা ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই মামলাতে ধৃত কুড়মি নেতাদের শোন অ্যারেস্ট এর জন্য ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। অপরদিকে জামবনি থানার আরও দু’টি মামলাতেও যুক্ত করা হয়েছিল কুড়মি নেতাদের। এছাড়াও খেমাশুলিতে রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ঘটনাতেও খড়গপুর লোকাল থানার মামলাতেও যুক্ত করা হয় কুড়মি নেতাদের। সিআইডি-র মামলাটি ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালতে চলছিল। কয়েকদিন আগে রাজেশ মাহাত ও শিবাজী  মাহাত ছাড়া সবাই জামিন পেয়েছিলেন।

    জামিনে ছাড়া পেয়ে কী বললেন কুড়মি নেতা?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন কুড়মি আন্দোলনের দুই নেতা রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত। গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তাঁরা। এর আগে ঝাড়গ্রাম জেলার ছয়টি মামলায় জেলবন্দি কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত জামিন পেয়েও জেল থেকে বের হতে পারেননি। কারণ, খড়্গপুর লোকাল থানার খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক  অবরোধের পুরানো মামলা থাকায় তাঁদেরকে জেলে থাকতে হয়েছিল। এদিন মেদিনীপুর আদালত থেকে দুই নেতার জামিনের কাগজপত্র আসে ঝাড়গ্রাম জেলে। তারপর সেই নথি খতিয়ে দেখে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের ছাড়েন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেক (Abhishek Banerjee) কনভয়কাণ্ডে জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত বলেন,’আমরা আইনের উপর বিশ্বাস ভরসা রেখেছিলাম এবং ন্যায় বিচার আমরা পেয়েছি। আমাদের আন্দোলন  শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। নির্বাচন পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমস্ত প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাই। জঙ্গলমহলের শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সবার। সকলে শান্তি, মৈত্রী বজায় রাখবেন।’ তারপরেই হিন্দিতে রাজেশ বলেন,’সওয়াল বনগর ফির আঙ্গুয়া/ জবাব তেয়ার রাখনা/ জেল মে বিতে হুয়ে এদিন/ বেকার নেহি জায়েগা/ ফের এক এক দিনকা হিসাব রাখনা।’ তাঁর এই কথা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার (Malda) রতুয়ার-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী‌ ও কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে পরানপুরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদার (Malda) রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাদপুর চাঁদপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা নিজেদের প্রচার ক্যাম্পে বসেছিলেন ওই এলাকার বাম কংগ্রেস সমর্থিত কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রার্থী শারিফুল শেখ ও তাঁর কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, ওই সময় হঠাৎ করেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ শাহজাহান ১২ থেকে ১৪ জনের দল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় জোট প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ওপর। মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি জোট প্রার্থী ও কর্মীদের ব্যাপক মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর ও টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলার জেরে  মোট ৯ জন জোট কর্মী সমর্থক জখম হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন জোটের নেতৃত্ব?

     জোট প্রার্থী শারিফুল শেখ বলেন, পঞ্চায়েতে মালদা (Malda) জেলা জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর লক্ষ্যে এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য আমাদের উপর পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবল। আমরা আক্রমনের পরেও চুপ রয়েছি। কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা কংগ্রেসের সদস্য আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন,  পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা না দিলেও তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোট বানচাল করে দেওয়া। আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     যদিও জোটের তোলা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জোট প্রার্থী ও তাঁর দলবল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবারেও তারাই আমাদের কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা চাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share