Tag: Bengali news

Bengali news

  • Pm Modi: ‘‘প্রতি বছর কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ৬.৫ লাখ কোটি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Pm Modi: ‘‘প্রতি বছর কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ৬.৫ লাখ কোটি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষি এবং কৃষকদের জন্য প্রতি বছর ৬.৫ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হয় সরকারি কোষাগার থেকে, এমনই তথ্য উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি কৃষক ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করে লাভ করবেনই, এটা আমার গ্যারান্টি (ইয়ে মোদি কা গ্যারান্টি হ্যায়)।’’ শনিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন দিল্লিতে আয়োজিত ১৭ তম কো-অপারেটিভ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের পাতায় পুরানো! বাদল অধিবেশন কি নয়া সংসদ ভবনেই?

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)?

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি যা বলছি তা প্রতিশ্রুতি নয়। যা কাজ করতে পেরেছি, তার ভিত্তিতেই কথা বলছি। ২০১৪ সালের আগে দেশে যখন কংগ্রেস জমানা ছিল তখন মাঝারি এবং ছোট কৃষকরা হতাশায় ভুগতেন। কংগ্রেস সরকারের কোনও নীতি ছিল না তাঁদের প্রতি।’’

    ২০১৪ সালের পর থেকেই দেশের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে 

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন বলেন, আপনারা সকলেই নিশ্চয় উপলব্ধি করতে পারছেন যে ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের নীতি পরিবর্তিত হয়েছে। এবং তার সুফলও মিলছে। ২০১৪ সালের আগে দেশের কৃষকরা বলতেন সরকার খুবই সামান্য সাহায্য করে। যেটুকু সাহায্য কংগ্রেস জমানায় পাওয়া যেত সেটাও আবার দালালদের অ্যাকউন্টে ঢুকতো। কিন্তু এখন দিন বদলেছে।  

    কয়েক কোটি কৃষক পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি  

    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও জানান, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২.৫ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটাই হল গত ন’ বছরের পরিবর্তন। কোনও মিডলম্যান নেই। ’’ প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘২০১৪ সালের আগে দেশে কৃষিক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ হতো ৯০ হাজার কোটি টাকা।’’

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Panchayate Vote: দক্ষিণ দিনাজপুরে বহু আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর ৭দিন বাকি। তার আগে আবার তৃণমূলে ভাঙন। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি বিধানসভার লোহাগঞ্জ এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২০টি আদিবাসী পরিবারের প্রায় ৯০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন বিকেলে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। জেলা সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২০টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি (Panchayat Vote) বাড়ল বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে মানুষ যেভাবে বিজেপিতে যোগাদান করছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী দলের জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী।

    কী বললেন যোগদানকারীরা (Panchayat Vote)?

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূল দল আমাদের দেখে না। আমরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতারা বলে, আমরা তাদের ভোট (Panchayat Vote) দিইনি। তারা ভোটের সময় খাওয়াদাওয়া দিয়েছিল। সেই খাওয়াদাওয়া দিয়ে পরে বলে, আমরা তোমাদের ভোট কিনে নিয়েছি। তোমরা কোনও সুযোগ সুবিধা পাবে না। তাই আমরা তৃণমূল দল থেকে বেরিয়ে আজ বিজেপিতে ২০ টি পরিবার যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি (Panchayat Vote)?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, লোহাগঞ্জে এদিন ২০ টি আদিবাসী পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। যোগদানকারীরা সবাই তৃণমূল করত। কিন্তু তৃণমূল দল তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেয়নি। তৃণমূল তাদের বার বার বলেছে, আমরা ভোট কিনে নিয়েছি, কেন সুযোগ সুবিধা দেব। তৃণমূল এইভাবে দিনের পর দিন এই লোহাগঞ্জ এলাকার মানুষদের বঞ্চিত করেছে। সেই জন্য আজ লোহাগঞ্জের ২০ টি আদিবাসী পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। এরা যোগদান করায় বিজেপির আরও শক্তি বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভাল ফলাফল (Panchayat Vote) করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০২/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০২/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সমস্ত কাজে শুভ ফলাফল লাভ করবেন। 

    ২) বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে। 

    বৃষ

    ১) পারিবারিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চাকরিজীবীরা বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন। 

    ২) পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে।

    মিথুন

    ১) চাকরিজীবীরা আজ বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন। 

    ২) কাউকে কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলে তা পূরণ করতে হবে।

    কর্কট

    ১) বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ কাজ পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন। মা-বাবার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন।   

    ২) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাবেন।

    সিংহ 

    ১) নতুন বস্তু কেনার পরিকল্পনা করে থাকলে অবশ্যই জীবনসঙ্গীর পরামর্শ নিন।

    ২) ছাত্রদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    কন্যা

    ১) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কোনও বিবাদ চললে আজ তার সমাধান হবে।  

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

    তুলা 

    ১) দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।  

    ২) ছাত্ররা কোনও পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিশ্রম অনুযায়ী ফলাফল পাবেন না। তবে অর্থ লাভে সন্তুষ্ট থাকবেন। 

    ২) পরিবারের সদস্যদের উচ্চাকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবেন।

    ধনু

    ১) পারিবারিক ব্যবসায় ঝুঁকি নিলে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মকর

    ১) কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মন একাগ্র থাকবে না। এর ফলে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। 

    ২) কারও সাহায্যে কাজ করলে অন্যেরা এর মধ্যে আপনার স্বার্থ খোঁজার চেষ্টা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে সম্মান লাভ করবেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।     

    মীন

    ১) যে কাজ হাতে নেবেন, তাতে শীঘ্র সাফল্য লাভ সম্ভব। এর ফলে আপনার মন প্রসন্ন হবে। 
     
    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।   

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০১/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০১/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) আজ আপনি আপনার পুরনো বন্ধুদের সম্পূর্ণ সমর্থন পেতে পারেন। 

    ২) আজ আপনি আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে ভালো সমর্থন পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজ শ্রমজীবী ​​মানুষের জন্য হঠাৎ লাভের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। 

    ২) আপনি আজ সন্ধ্যায় একটি শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারেন।

    মিথুন

    ১) বর্তমানে আপনাকে ব্যবসায়িক ব্যয়ের উপর নজর রাখতে হবে। 

    ২) আজ আপনাকে যদি অর্থের লেনদেন করতে হয় তবে খুব সাবধানে করুন।

    কর্কট

    ১) শিক্ষার্থীদের জন্য আজকের দিনটি খুব ভালো যাচ্ছে। 

    ২) ব্যবসায়ীরা আজ কিছু নতুন সুযোগ পেতে পারেন।

    সিংহ 

    ১) পিতামাতার সাহায্য এবং আশীর্বাদে আপনি আপনার সমস্ত কাজে সাফল্য পাবেন। 

    ২) আজ গৃহস্থ জীবনে কোনো কিছু নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায়িক প্রতিযোগীরা আপনার প্রতিটি কাজে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করতে পারে। 

    ২) আজ আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া হতে পারে।

    তুলা 

    ১) জীবনসঙ্গীর সাথে তর্ক হতে পারে। 

    ২) আজ ব্যবসায় আপনার বেশিরভাগ কাজ সামান্য পরিশ্রমে সম্পন্ন হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনি যদি আজ একটি সম্পত্তি কেনার পরিকল্পনা করেন তবে আজকের দিনটি তার জন্য খুব শুভ দিন হবে। 

    ২) যারা অংশীদারিত্বে কারও সাথে ব্যবসা করেন তারা আজ প্রচুর লাভ পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) বাবার সহযোগিতা এবং আশীর্বাদ আপনার পরিকল্পনাগুলিকে ত্বরান্বিত করবে।

    ২) আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে।

    মকর

    ১) বিদেশে বসবাসকারী প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ আপনি কিছু সুখবর শুনতে পেতে পারেন।

    ২) আজ আপনার ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব পরিবারে অনুমোদিত হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্যের সঙ্গে আজ আপনার বিবাদ হতে পারে।  

    ২) আপনি যদি আজ কোথাও বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে দিনটি তার জন্য ভালো যাবে।   

    মীন

    ১) আজ আপনার মনের কথা অন্য কারো সামনে তুলে ধরার দরকার নেই। 
     
    ২) সামাজিক কাজে সাফল্য পাবেন।   

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ‘‘একবারের জন্যও হিংসা বন্ধের আবেদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী’’! তোপ দিলীপের

    Purba Bardhaman: ‘‘একবারের জন্যও হিংসা বন্ধের আবেদন করেননি মুখ্যমন্ত্রী’’! তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পঞ্চায়েতগুলিতে টিএমসি রয়েছে। শুধুই দুর্নীতি হয়েছে এত বছর ধরে। কিন্তু প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-কারও বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর হয়নি। ঠিক এই ভাবেই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Purba Bardhaman)?

    নির্বাচনী প্রচারে (Purba Bardhaman) এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না দুর্নীতি বন্ধ হোক। তিনি দুর্নীতি করাচ্ছেন এবং তিনিই দায়িত্ব নিয়ে হিংসা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একবারের জন্য রাজনৈতিক হিংসা বন্ধের কথা বলেননি। তিনি মাথার ওপর বসে বসে সমস্ত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। আজ সায়নী ঘোষের ইডিতে হাজিরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি করার পর অনেকেই এমন কথা বলেন! এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, যাদের ইডি ডেকেছে, এখন কোথায় আছে খোঁজ নিয়ে দেখুন। এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা এদিন বলেছেন, বিজেপি চক্রান্ত করে সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে। উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, যেখানে বিজেপি রাজ্যে রয়েছে, সেখানে দুর্নীতি সব থেকে কম হয়েছে। আর যেখানে বিজেপি নেই, সেখানে দুর্নীতি সব থেকে বেশি হচ্ছে।

    মনোনয়ন নিয়ে কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রার্থীদের ইচ্ছে করে বিডিও অফিস থেকে নাম বাতিল করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিরোধীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূলের দুর্নীতি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হয়েছে। অধিকাংশ বিরোধীদের মনোনয়ন বাতিলে বিডিও-এসপিরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বান্ডিল করে বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র তুলে, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পূরণ করে আবার বিডিও অফিসে জমা করেছে তৃণমূলের নেতারা। বিডিও সাহেবরা ভালো করে নজরই দেননি। কারণ তৃণমূলের মনোনয়ন ছিল বলে কথা। সৌদি আরব থেকেও পঞ্চায়েতে মনোনয়ন হয়েছে। ঠিক এই ভাবেই পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) এসে তৃণমূল সরকারের প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।

    বাহিনী প্রসঙ্গে কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ (Purba Bardhaman) আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত এগারো বছরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন যে আজ সরকারি কর্মচারীরা বলেছেন, সেন্ট্রাল ফোর্স ছাড়া ভোট করতে যাবেন না। তাই তৃণমূলের তৈরি করা শাসন কাঠামো এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের জনমত গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূলকে হারানোর জন্যই বিজেপি লড়ছে। তিনি আরও বলেন, নবজোয়ারের নামে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে রাজনীতি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল-বিকেল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালিগালাজ করেন, আবার বিপদে পড়লে সেই বাহিনীর কাছে গিয়েই আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    Governor: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না। একথা জানিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং কলেজের একটি অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকে দর্শকাসনে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই আহ্বান জানান রাজ্যপাল। চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার কালিম্পং সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি প্রথমে ১২ মাইলের এক বৃদ্ধাশ্রমে যান। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে উপহারও তুলে দেন। তার পর সেখান থেকে চলে যান কালিম্পং কলেজে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    কালিম্পং কলেজের ওই অনুষ্ঠানের খোলা মঞ্চ থেকেই তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। তার পরে তিনি মঞ্চ থেকেই উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মতামত আহ্বান করেন। তার রেশ ধরে তিনি দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি (Governor) জানান। এই সফরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ১৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করার বিষয়টিও এদিন তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার বার্তা এই অনুষ্ঠানে দেন রাজ্যপাল। এ ব্যাপারে উপস্থিত পড়ুয়াদের শপথও নেওয়ান তিনি।

    কী বলছে শিক্ষক সমাজ?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষকরা বলেন, নিয়োগ থেকে শিক্ষা, সর্বত্র দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে কালিমালিপ্ত হয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সংঘাত চলছে। এভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবার ব্যাট হাতে ময়দানে নেমেছেন খোদ আচার্য তথা রাজ্যপাল (Governor)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের আগে ফের পিস্তল সহ গ্রেফতার যুবক, উদ্ধার সকেট বোমা, তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: ভোটের আগে ফের পিস্তল সহ গ্রেফতার যুবক, উদ্ধার সকেট বোমা, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে সরগরম রাজ্য। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে বিরোধীরা প্রত্যেক দিন আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট প্রদানের আগেই উত্তাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা। এই জেলার সামশেরগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি আবারও তাজা সকেট বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় সাগরপাড়ায়। জেলা জুড়ে ভোটের আবহে আতঙ্কের ছায়া।

    সামসেরগঞ্জে (Murshidabad) কী হয়েছে?

    গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার চশকাপুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকায় একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল এবং সাত রাউন্ড গুলি সহ গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম অরিজিৎ সিংহ (২৬)। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানা এলাকায়। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার মোটর বাইকটিকেও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠিক কাকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল, কোন কাজে ব্যবহার করা হবে? এই সব প্রশ্ন সামশেরগঞ্জে উঠেছে। ধৃত যুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    সাগরপাড়ায় (Murshidabad) উদ্ধার হল সকেট বোমা

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার রওশান নগর এলাকায় পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সকালে একটি আম বাগানে তল্লাশি চালিয়ে ছটি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করে। আর তারপরেই ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বোমার আতঙ্কে বহরমপুর থেকে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষ টিম এসে পৌঁছেছে। আপাতত বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। তবে কে বা কারা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বোমা এলাকায় রেখেছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিশ।

    নির্বাচন কেমন হবে

    মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং প্রচারের মধ্যে দিয়ে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হয়েছে। আমবাগান, পাটক্ষেত থেকে আগেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। বিরোধী দলের প্রার্থী, কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে প্রশাসনের কাছে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে হাইকোর্ট বারংবার নির্বাচন কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। এখন ৮ই জুলাই নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: অভিনব ছড়ার মাধ্যমে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Poll: অভিনব ছড়ার মাধ্যমে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথে বুথে আওয়াজ তোলো/ চোরগুলোকে তাড়িয়ে ছাড়ো। কাঁদছে মাটি, কাঁদছে মা/এই দৃশ্য আর না। হুগলির পাণ্ডুয়ার বেনেপাড়া, কালীতলা, সামন্তগলি প্রভৃতি এলাকা পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) এই ধরনের ফ্লেক্স, ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রার্থী তনয়া সাহা। এবার বিজেপি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী তিনি।

    ফ্লেক্সে অভিনব প্রচারে কী লেখা রয়েছে?                 

    পাণ্ডুয়া ব্লক জুড়েই পানীয় জলের সমস্যা। ঘটা করে সজলধারা প্রকল্প আনা হয় বাড়ি বাড়ি। কিন্তু সেখানে সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সরু সুতোর মতো জলের গতি। তাও চালু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। পানীয় জলের জন্য গ্রামে গোটা চারেক নলকুপই ভরসা। কথা হচ্ছিল পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী তনয়া সাহার সঙ্গে। এই আসনে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও গত বিধানসভাতে বিজেপির লিড ছিল। আর সেই ভরসায় বিজেপি এই আসনে প্রার্থী করেছে গৃহবধূ তনয়া সাহাকে। তফশিলি সংরক্ষিত এই আসনে এবার ত্রিমুখী লড়াই। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মামনি রায় এবং সিপিএমের অর্চনা দাস। চুঁচুড়া কোর্টের আইনজীবী সৌম্যদীপ্ত সাহার ঘরণী তনয়া মূলত স্বামীর প্রেরণাতেই এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। আর নির্বাচনে দাঁড়িয়েই রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছেন ব্যানার, ফ্লেক্স ও দেওয়াল লিখনে। পাণ্ডুয়ার বুকে এধরনের ছড়া কেটে আর কেউ প্রচার করেননি। বুথে বুথে আওয়াজ তোলো/চোরগুলোকে তাড়িয়ে ছাড়ো। বুক ফুলিয়ে ঘুরিস যে তুই কিসের এতো জোর? বিজেপি করি দাদা, কেউ বলে না চোর।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    তনয়া দেবীর বর্ধিষ্ণু পরিবার। পাণ্ডুয়ার আদি বাসিন্দা। তিনি বলেন, মোদিজির আমলে দেশের উন্নয়ন যে ভাবে হয়েছে, সেটা দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে এসেছি। আমি মোদিজির ফ্যান। মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য, গরিব মানুষগুলোকে সাহায্য করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি ভেবে দেখেছি এ রজন্য বিজেপিই হল উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। আসলে যে এলাকা থেকে আমি পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) প্রার্থী হয়েছি, সেখানে সাড়ে পাঁচশো ভোটারের মধ্যে অধিকাংশই প্রান্তিক মানুষ। এলাকায় ড্রেনেজ প্রকল্প বলে কিছু নেই। অলিগলিতে পর্যাপ্ত আলো নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের। আমার লক্ষ্য নিজের এলাকার উন্নয়ন। আর সেই জন্যই আমার জেতা খুব জরুরি। আর এটা বোঝানোর জন্য স্বামীকে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় চষে বেড়াচ্ছেন তনয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    Purulia: “এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক”, তীব্র আক্রমণে সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পুরুলিয়ার (Purulia) পুঞ্চায় মহা মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন পুঞ্চার দলহা মোড় থেকে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডি পর্যন্ত এই মহা মিছিল হয়। এদিন সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সভাপতি বিবেক রাঙা সহ দলের নেতৃত্ব। এদিন মিছিল শেষে পুঞ্চা কিষাণ মান্ডির পাশে একটি পথসভায় যোগদান করেন সুকান্তবাবু।

    পুরুলিয়ার (Purulia) জেলা পরিষদ নিয়ে কী বললেন?

    পুরুলিয়া (Purulia) পৌঁছে ট্রেন থেকে নেমে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বলেন, এই পুরুলিয়ার এসপি আগে ডায়মন্ডহারবারে ছিলেন। কয়লা চোর ভাইপো পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ভোট লুটের জন্য পাঠিয়েছেন এই দলদাস পুলিশকে। কিন্তু লাভ হবে না। পুরুলিয়ার মানুষ ভোটের মাধ্যমে তৃণমূল সরকারকে বহিষ্কার করবেন। এখানকার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই থাকবে বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের ভোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কুড়মি সমাজের ভোট বিজেপিই পাবে। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের ইডি দফতরে হাজিরা প্রসঙ্গে বলেন, সব চোর জেলে যাবে। কয়েকদিন পরেই ‘সায়নীর অন্তর্ধান রহস্য’ সিনেমা প্রকাশিত হবে বলে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    সভা মঞ্চ থেকে কী বললেন সুকান্ত

    এদিন মঞ্চ (Purulia) থেকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, এই সরকার চায় না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। শাসক ভেবেছিল, বিজেপি হয়তো ভয় পেয়ে গেছে। কিন্তু মনোনয়নের প্রথম দু’ দিনেই আমরা আমাদের প্রার্থীদের অধিকাংশ মনোনয়ন করে দিয়েছি। বিরোধীদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মনোনয়ন জমা করেছে একা বিজেপিই। শাসক দল বিজেপির মনোনয়ন দেখে ভয় পেয়ে গেছে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াই গণতন্ত্র মেনেই করব। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বাহিনী প্রয়োগের যথাযথ রিপোর্ট পাঠায়নি। যে ৩২২ কোম্পানি নিয়ে আসা হয়েছে, তাকে কীভাবে বুথ স্তর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শাসক এবং নির্বাচন কমিশন যে কোনওভাবেই শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন চায় না, সেই বিষয়েও তিনি সুনিশ্চিত! 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    Tala Tank: কলকাতায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে টালা ট্যাঙ্ক, চমকপ্রদ এর ইতিহাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের কথা ভাবলে ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার, জোর-জুলুমের কথাই বেশি মাথায় আসে। কিন্তু তাদের শাসিত ভারতে ব্রিটিশরা এমন সব স্থাপত্য দিয়ে গিয়েছে, যেগুলির ভূমিকাও উপেক্ষা করার নয়। ব্রিটিশদের এই ধরনের কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হল কলকাতায় অবস্থিত ‘টালা ট্যাঙ্ক’। এই সুবিশাল ওভারহেড রিজার্ভারটি শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank)। এটি কোনও সাধারণ ট্যাঙ্ক নয়। এর পিছনে আছে অনেক ইতিহাস।

    কী উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল এই ট্যাঙ্ক (Tala Tank)?

    ব্রিটিশ আমলে ধীরে ধীরে কলকাতা যখন একটি পূর্ণ শহরে পরিণত হচ্ছে, সেই সময় পরিষেবা বাড়ানো ছিল ব্রিটিশদের মূল লক্ষ্য। তার মধ্যে সব থেকে বেশি যেটির প্রয়োজন ছিল, তা হল নাগরিকদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। আর সেই উদ্দেশ্যেই কয়েকটি পুকুর খনন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হেদুয়া, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, ভবানীপুরের পুকুর থেকে সেই সময় কলকাতায় পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু, শহর আরও বাড়তে থাকলে পানীয় জলের প্রয়োজনও বাড়তে থাকে। এই সমস্যাকে মাথায় রেখে তৎকালীন পৌর ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার ডেভেরাল তাঁর সহকারী মিস্টার পিয়ার্স-এর সাথে মিলিতভাবে ১৯০১ সালে একটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক (Tala Tank) তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই প্রস্তাবটি ১৯০২ সালে গ্রহণ করা হয়। 

    কত খরচ হয় এই ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক (Tala Tank) নির্মাণে?

    ১৯০৩ সালে পুরসভায় নিযুক্ত হন নতুন ইঞ্জিনিয়ার ডব্লু বি ম্যাকক্যাবে। তিনি এই প্রস্তাব দেখেন এবং কিছু রদবদল করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে কলকাতার মানুষ আরও উন্নত জল পরিষেবা পেতে পারে। আর এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় সমস্ত পৌরসভা। এই সময় ট্যাঙ্কটি (Tala Tank) নির্মাণ করতে তিনি ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৪ টাকা খরচ ধার্য করেন, যা ছিল আগের অঙ্কের থেকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এতে পূর্ণ সমর্থন ছিল সবার।

    কোথায় এবং কীভাবে নির্মিত হয় এই ট্যাঙ্কটি (Tala Tank)?

    ১৯০৯ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার এই ট্যাঙ্ক নির্মাণের (Tala Tank) সূচনা করেন। ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে টি সি মুখার্জি অ্যান্ড কোম্পানি। কংক্রিট ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে স্যার রাজেন্দ্রলাল মুখার্জির মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি। আর তার সাথে বাকি কাজে যুক্ত ছিল লিডসের ক্লেটন কোম্পানি। 
    প্রথমে যে স্থানে ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করা হবে, সেখানে পুকুরগুলি বোজানোর কাজ শুরু হয়। পুকুরগুলিকে জলশূন্য করে চারদিকে শালবল্লার খুঁটি দিয়ে ২০-২৫ ফুট পাইল করে খোয়া দিয়ে ভর্তি করে স্টিম রোলার দিয়ে সমান করা হয়। এর ওপর বোল্ড স্টিল জয়েন্টের ওপর স্তম্ভগুলিকে দাঁড় করানো হয়। ১৯১১-র ১২ জানুয়ারি এর কাজ শেষ হয় এবং এই বছরেই ১৬ই মে এটি চালু করা হয়। এটি ছিল ১১০ ফুট উঁচু, ১৬ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট, ১ লক্ষ বর্গফুট আয়তনের। এর জলধারণ ক্ষমতা  ৯ লক্ষ গ্যালন। গোটাটা চারটি কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা হয়, যাতে জল পরিষেবা বন্ধ না রেখেই অন্য একটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। 

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে লক্ষ্য ছিল টালা ট্যাঙ্ক (Tala Tank) ধ্বংস করা

    ভারতীয় ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী অতীত বহন করে চলেছে এই টালা ট্যাঙ্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে জাপানিরা পর পর অনেকগুলি বোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু ধ্বংস করতে পারেনি একে। মাত্র নয়টি বোমার ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ১৯৬২ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধেও চিন ও পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল এই ট্যাঙ্ক। কিন্তু তারাও কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এই টালা ট্যাঙ্ক। আজও তা (Tala Tank) কলকাতার জল পরিষেবার একমাত্র আধার হিসাবে জল পৌঁছে দিচ্ছে গোটা শহর জুড়ে।

    আর বর্তমানে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share