Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: গণনার দিনেও মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ, ভাঙল বাড়ি, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের একের পর এক এলাকা। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এই জেলায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে বেলডাঙায় এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কান্দি, খড়গ্রাম থেকে সালার, ভরতপুর, বেলডাঙা, রানিনগর, হরিহরপাড়া, ডোমকল সহ একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। এই জেলার ভরতপুর বিধানসভার আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের আমলাই গ্রামে মজুত থাকা সকেট বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সকেট বোমা একটি পরিত্যক্ত জায়গাতে রাখা ছিল। মূলত একটি বাড়ি লাগোয়া পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা মজুত রাখা ছিল। সেই পরিত্যক্ত ঘরটি এলাকার মানুষ শৌচাগার হিসাবে ব্যবহার করত। পাশেই রাস্তা রয়েছে। সেই ঘরে বোমাগুলি মজুত ছিল। সেখানেই এদিন আচমকা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির কিছু সরঞ্জাম। বোমা বিস্ফোরণের ফলে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিশ আমলাই গ্রামে পৌঁছায়। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের গ্রাম শান্তিপূর্ণ। এখানে কোনও গণ্ডগোল হয় না। এদিন আচমকা বিকট আওয়াজে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। সকলেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখি, পরিত্যক্ত ওই ঘরটির অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) বড় বিপদ হতে পারত। লোহাদহ গ্রামের বাসিন্দা শরদিন্দু মণ্ডল বলেন, আমলাইয়ের মতো গ্রামে এত বোমা কারা মজুত করল। পুলিশের তদন্ত করা দরকার। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে আরাবুলের খাস তালুকে হারল তৃণমূল, উচ্ছ্বাস জমি কমিটির

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে আরাবুলের খাস তালুকে হারল তৃণমূল, উচ্ছ্বাস জমি কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে নিজের খাস তালুকে হারলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। হারের পর ভাঙড়ের গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি। ভাঙড়ের পোলেরহাট (South 24 Parganas) দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ছাতছাড়া হল তৃণমূলের। গতবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল জমি কমিটি। উচ্ছ্বাস জমি কমিটির কর্মীদের মধ্যে।

    কীভাবে হারল তৃণমূল (South 24 Parganas)?

    ভাঙড়ের পোলেরহাট (South 24 Parganas) ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে হারল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে জয় পেল জমি কমিটির প্রার্থী। জয়ের প্রবণতা স্পষ্ট হতেই গণনা কেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল ইসলাম। পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলে হার হয়েছে বলে স্বীকারও করে নেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল। পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে এবার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২৪। সব আসনেই এবার প্রার্থী দিয়েছিল জমি কমিটি। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনটি এবং জেলা পরিষদের একটি আসনেও মনোনয়ন দাখিল করেছিল জমি কমিটি।

    জয় জমি কমিটির

    ২০১৬ সালে ভাঙড়ে (South 24 Parganas) পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের সময় তৈরি হয়েছিল জমি, জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি বা জমি কমিটি। গতবারও পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করেছিল তারা। তাদের মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জমি কমিটির সদস্যরা। এবার অবশ্য তেমন অভিযোগ ওঠেনি। সংবাদ মাধ্যমে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেছিলেন,’ প্রথম দিন বাধা দিতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু আমরা বলেছিলাম, আমাদের উপরে হামলা হলে পাওয়ার গ্রিডই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেব।’ ২০১৮ সালেও পোলেরহাটে দাপট দেখিয়েছিল জমি কমিটি। সেবার পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮টি আসনে জিতেছিল। বাকি ৮টিতে জমি কমিটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটি আসন পেয়েছিল জমি কমিটি। তৃণমূল জিতেছিল ৩টি আসনে। তৃণমূল ১৬টির মধ্যে ১১টি আসন জিতলেও পঞ্চায়েত অফিসে কার্যত ঢুকতে পারেননি জয়ীরা। প্রধান, উপ প্রধানদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার সময় বাধা দিয়েছিল জমি কমিটির সদস্যরা।

    পিছনে কি আইএসএফ?

    ২০১৮ সালের সঙ্গে এবার অনেকটাই ফারাক রয়েছে। কারণ ২০২১ সালে ভাঙড়ে জয়লাভ করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তারপর থেকে ভাঙড়ে (South 24 Parganas) দাপট বেড়েছে আইএসএফের। এবারও ভাঙড়ে মনোনয়নপত্র পেশ ঘিরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছিল আইএসএফের। তার ফলে জমি কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ আর নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের ফল বলছে, পোলেরহাটে এখনও জমি কমিটির একটা বড় সমর্থন রয়েছে।

    প্রক্তন বিধায়কের বক্তব্য?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, ভাঙড় কেন্দ্রে জিতেছি। কিন্তু পোলেরহাটে (South 24 Parganas) হেরেছি। আমাদের ৭জন প্রার্থী মাত্র ৫, ৭, ১০টি করে ভোটে হেরেছে। দেখা যাক কী হয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Threads: ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী “মেটা থ্রেডস” কী কী বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে?

    Threads: ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী “মেটা থ্রেডস” কী কী বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বাজারে এসেছে ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ্লিকেশন “মেটা থ্রেডস”(Threads)। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় প্রতিটি মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল। চারপাশে কী ঘটছেে, তা জানা থেকে শুরু করে প্রিয়জনকে বার্তা প্রদান-সব কিছু আজ এই সোশ্যাল মিডিয়া-নির্ভর। আর এসবের মাঝেই মেটা নিয়ে এসেছে আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘থ্রেডস’। অ্যাপটি লঞ্চ হতেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। লঞ্চ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর ইউজার সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। কী এই অ্যাপ? কীভাবে এই অ্যাপ কাজ করে? সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।

    কী এই মেটা থ্রেডস অ্যাপ?

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি মেটা তাদের নতুন অ্যাপ Threads লঞ্চ করেছে। এটি মূলত একটি মাইক্রো ব্লগিং অ্যাপ। এটি ট্যুইটারের বিকল্প হিসাবে ইউজাররা ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে ব্যবহারকারীরা ট্যুইটারের মতো সমগ্র ইন্টারফেস এবং ফিচারগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। নিজের মতামত থেকে শুরু করে ছবি, ভিডিও সমস্তই এখানে আপলোড করা যাবে এবং সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন অন্যান্য ইউজারদের সাথে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, Meta অনেকদিন ধরেই এই Threads অ্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এটি এখন সমগ্র ইউজারদের ব্যবহারের জন্য অনুমতি পেয়েছে। এটি (Threads) বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ও IOS উভয় ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ। এই অ্যাপের ইন্টারফেসটি অনেকটা ইনস্টাগ্রাম-এর মতো। আর ব্যবহারের দিক থেকে অনেকটা ট্যুইটারের মতো। যাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে, তারা সরাসরি ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমেই এই অ্যাপে sing in করতে পারেন।

    কীভাবে এই Threads অ্যাপে লগ-ইন করবেন এবং ব্যবহার শুরু করবেন?

    এই অ্যাপটির ইন্টারফেস খুবই সহজ এবং সাধারণ রাখা হয়েছে। অ্যাপটি (Threads) প্রথমে ডাউনলোড করার পর শুরুতেই ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমে লগ-ইন করার সুযোগ আসবে। ইতিমধ্যে যদি আপনার কোনও instagram অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে সরাসরি সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই একটি সিঙ্গল ট্যাপ ও ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনি লগ-ইন করতে পারবেন। এর পর প্রোফাইলটি নিজের পছন্দ মতো সেট-আপ করতে পারবেন। চাইলে ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত বায়ো এবং লিংক দিয়েই আপনার প্রোফাইল সেট-আপ করতে পারেন। সব শেষে ‘Join Threads’ তে ক্লিক করলেই ব্যবহার শুরু করতে পারবেন।

    এই Threads কি Twitter কে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে?

    সাম্প্রতিক ট্যুইটার অ্যাপ ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে, যা অনেক ব্যবহারকারীর পছন্দ হয়নি। যেমন আগে দিনে সীমাহীন ভাবে যত খুশি ট্যুইট দেখতে পেতেন ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এখন তাকে একটি সীমার আওতায় আনা হয়েছে। আবার আগে লগ-ইন না করেই ব্যবহারকারীরা ট্যুইট দেখতে পেতেন। কিন্তু এখন লগ-ইন না করে ট্যুইট দেখতে পারবেন না ব্যবহারকারীরা। এর জন্য লগ-ইন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সবের কারণেই অনেকে এই অ্যাপ থেকে সরে আসতে চেয়েছেন। আর এই সময়ে Threads app এর আবির্ভাবে নতুন একটি বিকল্পকে বেছে নিতে পিছপা হননি ইউজাররা। এতে সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা ইউজারদের খুব পছন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এইসব দিক থেকে বিচার করলে ট্যুইটারের ভবিষ্যৎকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে Threads, এমনটা আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। অথচ এতদিন এই গ্রামে তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নিজেরও নজরে রয়েছে তাঁর মামার বাড়ি। সেখানেই ঘাসফুলকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। এই গ্রামে এবার পদ্মফুলের জয় জয়কার।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ির গ্রামে কটি আসন দখল করল বিজেপি?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এখনও এই গ্রামে তাঁর মামার বাড়ির লোকজন সপরিবারের রয়েছেন। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হল। মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ির গ্রামে এভাবে পদ্মফুল ফোটায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। জয়ী বিজেপি প্রার্থী গঙ্গাধর হাজরা বলেন, লোকসভা ভোটে আমাদের বিনা কারণে তৃণমূল জেল খাটিয়েছিল। এলাকার মানুষ তার সাক্ষী। এই ঘটনা তারা মেনে নিতে পারেনি। আর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে তার বিরুদ্ধে মানুষ এই রায় দিয়েছে। আমার স্ত্রী পাশের বুথে দাঁড়িয়েছিল। সেই বুথেই মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ি। সেই বুথেও আমার স্ত্রী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে। আর এভাবে তৃণমূলকে হারাতে পেরে খুব ভাল লাগছে। মানুষের জন্য কাজ করব। মানুষের রায়ে জয়ী হয়েছি। কোনও অবস্থাতেই আমরা তৃণমূলে যাব না। ৩১ নম্বর আসনের বিজেপি জয়ী প্রার্থী অর্চনা হাজরা বলেন, এই জয়, মানুষের জয়। মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে তৃণমূলকে হারাতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গণনার দিনেও ভাঙড়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    South 24 Parganas: গণনার দিনেও ভাঙড়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের (South 24 Parganas) কাঁঠালিয়া হাইস্কুলের গণনা কেন্দ্রে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার তিনি ভাঙড়ের ওই গণনা কেন্দ্রের সামনে পরিদর্শনে যান। তিনি এদিন গণনা কেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে যান। এরপর তিনি এখান থেকে বেরিয়ে ক্যানিং, বাসন্তী যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

    হিংসা রুখতে রাজ্যপাল (South 24 Parganas) জেলায়

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই হিংসার বিরুদ্ধে কলকাতার রাজভবনকে মোবাইল রাজভবনে পরিণত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাহাড়, কোচবিহারের দিনহাটা থেকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম এবং ভাঙড় থেকে বাসন্তী-সর্বত্র হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যপাল। নিপীড়িত, আর্ত এবং স্বজনহারা পরিবারের মানুষের সঙ্গে দেখা করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের বিষয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। ভোটের দিনে যেমন সক্রিয় ছিলেন রাজ্যপাল, ঠিক তেমনি ভোট গণনার দিনেও দক্ষিণের (South 24 Parganas) জেলাগুলিতে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। 

    দিল্লি থেকে ফিরেই গণনা কেন্দ্রে পরিদর্শন  

    ভোটের আগে-পরে ঘটনা এবং রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনার বিশেষ রিপোর্ট নিয়ে ৯ই জুলাই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। দিল্লিতে নেমেই কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, হিংসার বাতাবরণ থেকে মুক্ত বাতাস নিতে চান! এরপর গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। আর বৈঠক শেষ করেই দিল্লি থেকে ফিরে সরাসরি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে পৌঁছান। হিংসা এবং অশান্তির বাতাবরণ থেকে বাংলার গণতন্ত্রকে সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ সক্রিয়তা দেখিয়েছেন তিনি। রাজভবনে পিস রুম তৈরি করেন। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে ঘটা হিংসার জন্য অভিযোগ জানানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল। ভোটের দিন সব থেকে বেশি প্রাণহানি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদে। রাজ্যপাল বার বার নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে রাজধর্ম পালনের কথা মনে করিয়ে দেন। বন্দুক-গুলি নয়, গণতন্ত্রে মত প্রকাশের উপর জোর দিয়েছেন বেশি করে। আর তাই মানুষের মন ভয়মুক্ত করে প্রশাসনের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাসকে ফেরানোর উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আর এই জন্যই দক্ষিণের জেলা পরিদর্শনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    Lungs Disease: বাড়ছে দূষণ, কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাতাসে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় বাতাসে ধুলোকণার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যার জেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা। বিশেষত ফুসফুস ঘটিত রোগের (Lungs Disease) সমস্যা আরও বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো রোগের পাশপাশি একটানা কাশির সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ছে ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো রোগের দাপট বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা জরুরি। 

    কী বলছে পরিসংখ্যান? 

    সম্প্রতি, এক সর্বভারতীয় সংস্থা সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বড় শহরগুলোর শিশুদের বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা (Lungs Disease)। বড় শহরগুলোর ৫৩ শতাংশ শিশু ফুসফুসের সমস্যায় ভোগে। যে তিনটি ফুসফুস ঘটিত সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি হচ্ছে, সেগুলো হলো, অ্যাস্থমা বা হাঁপানি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। সিওপিডি অর্থাৎ, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ। এই রোগের জেরে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা আরও বেশি হয়। আর সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নিউমোনিয়ার জেরে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। কারণ, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা শেষ হতে পারে। এছাড়াও বাড়ছে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ। সাধারণ সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যাও বড় বিপদ তৈরি করছে। 

    কোন ঘরোয়া উপাদান ফুসফুস (Lungs Disease) সুস্থ রাখতে সাহায্য করে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবার সুস্থ রাখে ফুসফুস। তাই শিশুদের সেই সব খাবার নিয়মিত দিলে অনেকটাই প্রতিষেধক (Lungs Disease) গড়ে তোলা যাবে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ানো দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদে থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। দুধে থাকে একাধিক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। তাই এই দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। 
    নিয়মিত মধু ও তুলসি পাতা খেলে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে। ফুসফুসও সুস্থ থাকে। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের বাদাম ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত কাজু, পেস্তা, আখরোটের মতো বাদাম জাতীয় খাবার খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে থাকে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজ উপাদান ফুসফুসকে (Lungs Disease) সুস্থ রাখে। 
    পাশপাশি, যে কোনও রান্নায় আদা ও রসুন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, আদা ও রসুনে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের কার্যক্রম বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, শারীরিক জটিলতা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পিছিয়ে থাকায় গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী!

    Cooch Behar: পিছিয়ে থাকায় গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়া, বাক্স লুট করা এবং আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রচুর ঘটেছিল। ঠিক একই ভাবে গণনার দিনেও কোচবিহারের (Cooch Behar) ফলিমারি জিপির ৪/৪১ নম্বর গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে ব্যালটে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ করেলেন কাউন্টিং অফিসার রফিকুল ইসলাম। তীব্র চাঞ্চল্য গণনা কেন্দ্রে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Cooch Behar)?

    গণনা কেন্দ্রে (Cooch Behar) গণনা চলাকালীন এক তৃণমূল প্রার্থী পিছন দিয়ে ঢুকে, গণনার টেবিলে রাখা ব্যালট বক্সে আচমকা জল এবং কালি ঢেলে সমস্ত ব্যালট নষ্ট করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। গণনা কেন্দ্রে কীভাবে অনুমতি ছাড়া ঢুকে এই অপকর্ম হল! সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, গণনায় ওই বুথে বিজেপি অনেক এগিয়ে ছিল, কিন্তু সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই পিছনে ছিল। তৃণমূল ভোটে হারার ভয়ে এই অপকর্ম করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপি। সেই সঙ্গে যাঁরা গণনা করছেন তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণনা কেন্দ্র সুরক্ষিত নয়! কোনও নিরাপত্তা নেই। ভোট কর্মীরা এরপর নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গণনা কেন্দ্রে নিরপত্তার অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন ভোট কর্মীরা।

    কাউন্টিং অফিসারের বক্তব্য

    গণনা কেন্দ্রে (Cooch Behar) কাউন্টিং অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার পিছন দিয়ে এক মহিলা তৃণমূল প্রার্থী এসে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেন। সেই সঙ্গে ব্যালট বক্সে জলের পর কালি ঢেলে দিয়ে সব ব্যালট পেপারকে নষ্ট করে দেন। তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রে কোনও পুলিশ নেই। আমরা যখন ঢুকি তখন আমাদের কত কিছু পরীক্ষা করে ঢোকানো হয়। আর গণনা শুরু হতেই বেপাত্তা পুলিশ। অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছি!

    বিজেপির বক্তব্য

    বুথের (Cooch Behar) বিজেপির এজেন্ট জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, ৪১ নম্বর বুথে বিজেপি গণনায় অনেক এগিয়ে ছিল। একটি বাক্সে গণনায় দেখা যায় ১০০ টি ব্যালটের মধ্যে বিজেপি ৯৭ টা ভোট পেয়েছে। আর মাত্র ৩ টি ভোট তৃণমূল পেয়েছে। এই গণনায় তৃণমূলের হার বুঝেই তৃণমূল প্রার্থী হিংসার আশ্রয় নেয়। তিনি আরও বলেন, এই ভাবে জল ঢেলে মানুষের রায়কে আটকানো যাবে না। তৃণমূলের চরিত্র সবাই বুঝে গেছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: বীরভূম থেকে মালদা! গণনার দিনও চলছে লাগাতার অশান্তি, অভিযুক্ত শাসক দল

    Panchayat Vote: বীরভূম থেকে মালদা! গণনার দিনও চলছে লাগাতার অশান্তি, অভিযুক্ত শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার দিনও লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। জেলায় জেলায় গণনা কেন্দ্রগুলোতে বিরোধী প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে। শনিবার ভোটের (Panchayat Vote) দিন যে হাড়হিম সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছিল বাংলা, গণনার দিনও সেই চিত্র বজায় রয়েছে। কোথাও কোথাও গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজিও হয়েছে বলে খবর। 

    নানুরে সিপিএমকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে ‘বাধা’

    বীরভূমের নানুরে গণনা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সিপিএম কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ঘটনার প্রতিবাদে কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিপিএম কর্মীরা। যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

    আমডাঙায় ‘অপহৃত’ দুই সিপিএম প্রার্থী, অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    গণনা কেন্দ্রের সামনে থেকে দুই সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। জানা গিয়েছে, ‘অপহৃত’ দুই সিপিএম প্রার্থীর মধ্যে একজনের নাম বিশ্বজিৎ সামন্ত। তিনি সন্তোষপুর ১৩৯ নম্বর বুথের প্রার্থী। অন্যজনের নাম মহম্মদ কুতুবউদ্দিন। তিনি চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথের প্রার্থী। 

    মালদার রতুয়ায় পরিস্থিতিও  উত্তপ্ত

    মালদায় রতুয়ায় স্ট্রং রুমের বাইরে সোমবার রাত থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে খবর মিলেছে। রতুয়া ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির বিরুদ্ধে জোর করে স্ট্রং রুমে ঢোকার অভিযোগ। এই সময়ই বিরোধীরা তৃণমূল নেতাকে আটকে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের সামনে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। সে সময় এলাকায় পৌঁছলে আরও ২ তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভের পর স্ট্রং রুমের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ইংরেজবাজারে কাউন্টিং হলের সামনে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদের ঢোকার অনুমতি ঘিরে বিশৃঙ্খলা।

    মুর্শিদাবাদে সকাল থেকেই বোমাবাজির অভিযোগ

    ভোট গণনার দিন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে বোমাবাজি ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকা জুড়ে। ঘটনায় জখম হয়েছেন দুজন। তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    বারাবনিতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ব্যাপক বচসা

    গণনার আগে সোমবার রাত থেকেই পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভোট গণনা শুরুর আগেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুমুল বচসা বেধে যায়, হয়েছে হাতাহাতিও।

    বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ

    বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে স্ট্রং রুম থেকে বের করে দিল পুলিশ। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর বচসা শুরু হয় গণনা কেন্দ্রের ভিতরে, ভোট লুঠের অভিযোগ করেন ওই বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    BJP: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। আর এর পরই প্রশাসনের চাপে রহস্যজনক কারণে গণনা কেন্দ্র থেকে তুলে নেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যামন্দিরে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যেতেই স্ট্রং রুমের ভিতরে শুরু হয় তৃণমূলীদের তাণ্ডব। বহিরাগতরা এসে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কার্যত দাপিয়ে বেড়ায়। বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বেধড়ক মার দেওয়া হয়। ব্যালট বাক্স লুট চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ভোট কর্মীরা কার্যত কাজ বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় ভোটের গণনা। তৃণমূলীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    বিজেপি (BJP) কর্মীদের বক্তব্য, এদিন সকাল থেকে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। গণনায় অধিকাংশ আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেটাই তৃণমূল মেনে নিতে পারল না। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হল। এর পরই বহিরাগতরা গণনা কেন্দ্রের দখল নেয়। ভিতরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কার্যত তাণ্ডব চালায়। বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাই।

    গণনাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি সাংসদ

    গণনা কেন্দ্রের সামনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তড়িঘড়ি তাঁকে ধরে ফেলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। কোলে তুলে দৌড়াতে দৌড়াতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁকে। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে অভিযোগ ওঠে সেখানকার কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীরা রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলর আসেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার। গণনা কেন্দ্রের বাইরে সে বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত এবং এসডিপিও-র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

    কী বললেন ভোট কর্মীরা?

    এদিন সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে গণনা চলছিল। বেশ কিছুক্ষণ গণনা হওয়ার পর দফায় দফায় প্রশাসনের আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেন। বহুবার আলোচনার পর আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী গণনা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই ভোট কর্মীরা গণনা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভোট কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা কী করে, কার নির্দেশে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হল? এখন কার্যত বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় গণনা করা সম্ভব নয়। আমাদের পরিবার রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই, কাজ বন্ধ রেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া গণনা করব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সামনেই বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপি (BJP) কর্মীদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হয়। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কেউ গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাটোয়া থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে, সিপিএম কর্মীদেরও মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ভোটের দিন তৃণমূল বহু বুথে ছাপ্পা মেরে ভোট লুট করেছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এদিন ওরা আমাদের কাউকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওরা কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতেই আমরা অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। পাশাপাশি আমরা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, দলীয় কর্মীরা যখন গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের গাড়ি থামিয়ে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    গলসিতে বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালাল তৃণমূল

    বুদবুদে ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা। পা ভেঙে দেওয়া হল সিপিআইএম প্রার্থী তরুণপদ বাগদির। তিনি গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাডি গ্রামের ১৭৪ নং বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী। তাছাড়াও শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন গ্রামের কাজল মুন্সী নামে এক কংগ্রেস সমর্থককে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিকে গলসি ১ ব্লকের পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ৬৫ নং আসনের প্রার্থী জয়শ্রী বিষ্ণুকে পুলিশের সামনেই মেরে বার করে দিল তৃণমূলের লোকজন। এমনই অভিযোগ তাঁর। স্ট্রং রুম থেকে তাঁর ব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

    বর্ধমানেও বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা

    বর্ধমান ১ ব্লকের বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে সিপিএম, বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল। পুলিশ সাহায্য করেছে না বলে অভিযোগ। গণনা কেন্দ্রের ভিতর পরিচয়পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিরোধীরা। হেনস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিজেপির এজেন্ট। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল ঘোষ। তিনি বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির ৩১ নং মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার সাউ বলেন, ওনাকে গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে বারবার বের করে দেওয়া হয়। চরম হেনস্থা করা হয়। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার পর বিডিও নিজের গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share