Tag: Bengali news

Bengali news

  • AIR: তানপুরা এবং বেহালা সহযোগে তৈরি হয়েছিল আকাশবাণীর সিগনেচার টিউন!

    AIR: তানপুরা এবং বেহালা সহযোগে তৈরি হয়েছিল আকাশবাণীর সিগনেচার টিউন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশবাণীর (AIR) সিগনেচার টিউন আজ ইতিহাসের পাতায়। এই মিউজিকটি কয়েক কোটি মানুষের আবেগ হয়ে আছে এখনও। সকাল বেলায় রেডিও খুলতেই বেজে উঠত এই টিউন। রেডিও এই ডিজিটাল যুগে লুপ্ত প্রায় কিন্তু রেডিও-র কিছু মুহূর্ত যা পুরনো হলেও এখনও যথেষ্ট জোরালো প্রভাব ফেলে মানুষের আবেগে। তেমনই এই সিগনেচার টিউনটি, যা এত বছরের পুরনো হলেও এখনও একটি আলাদা স্থান অধিকার করে আছে। কিন্তু এই সিগনেচার টিউনটির ইতিহাস অনেকেরই অজানা।

    কে রচনা করেছিলেন এই যুগান্তকারী টিউনটি (AIR)?

    এই টিউনটি (AIR) সবার মনে গেঁথে থাকলেও, অনেকেরই হয়তো অজানা এই আবহ সঙ্গীতটির রচয়িতা কে। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতেই উঠে আসে একজন ইহুদি উদ্বাস্তুর কথা, তাঁর নাম ওয়েল্টার কাফম্যান।

    কে এই ওয়েল্টার কাফম্যান (AIR)?

    ওয়েল্টার কাফম্যান ছিলেন একজন সঙ্গীত শিল্পী (AIR) ও সঙ্গীত বিজ্ঞানী। একই সঙ্গে সুরকার এবং শিক্ষক। সঙ্গীত সম্পর্কে ছিল তাঁর অশেষ জ্ঞান। তিনি ১৯০৭ সালে প্রাক্তন চেকোস্লাভাকিয়ার কর্লসবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে তিনি বার্লিনের স্ট্যাটলিচ হোচশুল ফর মিউজিক নামক এক সঙ্গীত বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।

    ভারতীয় সঙ্গীতে (AIR) কীভাবে তাঁর আবির্ভাব হল?

    ওয়েল্টার ইহুদি উদ্বাস্তুদের মধ্যে একজন ছিলেন, যাঁরা নাৎসিদের কাছ থেকে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ওয়েল্টার ভারতে এসে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত মুম্বইয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। মুম্বই আসার কয়েক মাসের মধ্যেই কাফম্যান বোম্বে চেম্বার মিউজিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি প্রত্যেক বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওয়েলিংডন জিমখানায় অনুষ্ঠান করত। ভারতে থাকাকালীন ১৯৩৫ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে (AIR) চাকরি পান। এবং সেই সময় ভারতীয় রাগ শিবরঞ্জিনীর ওপর ভিত্তি করে মেহেলি মেহতার সহযোগে তানপুরা এবং বেহালা ব্যবহার করে সিগনেচার টিউনটি তৈরি করেন। এর পর থেকেই (AIR) এ তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কাফম্যানের কর্মকাল (AIR) তাঁকে ভারতের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল বিজেপি দম্পতির

    Asansol: সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল বিজেপি দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে যখন মনোনয়নপর্ব ঘিরে বিরোধীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে, ঠিক তখনই অন্য চিত্র দেখা গেল আসানসোলের (Asansol) রানীগঞ্জে। সমস্ত ভয় কাটিয়ে এবার বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন রানীগঞ্জের এক দম্পতি।

    আসানসোলের (Asansol) কোথায় মনোনয়ন হল?

    সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করলেন দম্পতি। জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জ (Asansol) ব্লকের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিকাশ ঢাং ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রমুখী ঢাং। জানা যায়, মা চন্দ্রমুখী তাঁর সাত মাসের কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই রানীগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এই দম্পতি জানিয়েছেন, বিজেপির হয়ে তাঁরা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন। আগামী দিনে বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন দম্পতি।

    দম্পতি আর কী বললেন?

    মনোনয়ন জমা করে বিকাশ ঢাং বলেন, আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে প্রার্থী হয়েছি। আমি ২৭৯ নম্বর বুথের (Asansol) এবং আমার স্ত্রী ২৭৮ নম্বর বুথের প্রার্থী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিরোধীরা মনোনয়ন করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। রাজ্যের সর্বত্র আতঙ্কের পরিস্থিতি চলছে। শাসক দলের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড, বন্দুক, বোমা। কিন্তু তারপরেও আমরা মাঠে নেমে বিরোধী রাজনীতি করব বলে মনোনয়ন করেছি। হিংস্র শাসকের অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে কাউকে না কাউকে তো লড়াই করতেই হবে। আর তাই এই লড়াইতে আমি এবং আমর স্ত্রী ভোটের ময়দানে নেমেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই রাজ্যে বিরোধী রাজনীতি করা এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু তার পরেও আমরা ঘরে (Asansol) ঘরে গিয়ে তৃণমূল শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের বক্তব্য প্রচার করব।

    স্ত্রী চন্দ্রমুখী ঢাং বলেন, সাত মাসের বাচ্চা কোলে নিয়ে অন্য কাজ করাটা খুব কঠিন। কিন্তু প্রচার না করলে সাধারণ মানুষ কেনই বা ভোট দেবেন! আর তাই আমরা আমাদের শত বাধা অতিক্রম করে, তৃণমূল শাসক কীভাবে পঞ্চায়েত স্তরে সাধারণ মানুষের অধিকারের সঙ্গে বঞ্চনা করছে, সেই কথাই সর্বত্র প্রচার করব। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয়টা বড় কথা নয়, নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করাটাই একটা বড় প্রচেষ্টা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাজের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁকে রোল মডেল করার কথা বলা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বিজুর ১ নম্বরের এরকম একজন দক্ষ পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে টিকিট দিল না তৃণমূল। তবে, ঝর্ণাদেবীও এই অপমান সহ্য করার পাত্রী নন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে, তিনি একা দলত্যাগ করেছেন এমন নয়। এলাকার শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলবদল করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দোড়গোড়ায় এই ঘটনা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন দলত্যাগী তৃণমূল প্রধান?

    শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে গাড়ি, বাড়ি হাঁকিয়ে ফেলে। চারচাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ বিষয়। সেই শাসক দলের প্রধান হওয়ার পরও ঝর্ণা রায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঝর্ণা রায়ের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাঁকে রোল মডেল করার কথাও তিনি বলেছিলেন। তাঁর আশা ছিল, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তাঁকে ফের প্রার্থী করবে। কিন্তু, দলের টিকিট না পেয়ে ঝর্ণাদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে আমি সার্টিফিকেট পেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে কাজের সম্মান পাওয়ার পরও দল আমাকে প্রার্থী করার জন্য যোগ্য মনে করল না। কার নিরিখে প্রার্থী ঠিক হল, তা বুঝতে পারলাম না। আমি সততার দাম পেলাম না। তাই আমি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলাম।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল থেকে প্রায় দু’হাজার পরিবার কংগ্রেসে যোগদান করেছে। আসলে তারা টাকা তুলে দলকে দিতে পারেনি, দলের কাছে তাদের সম্মান নেই। আগামী দিনে এরাই কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা ভাল ফল করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলে দু’টো দিক থাকে। একটা প্রশাসনিক আর অন্যদিক হল সাংগঠনিক। তাই দল হয়তো কিছু ভেবেছিল, ঝর্ণা রায়কে সাংগঠনিক কাজে লাগাবে। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি দল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেলেন। আমরাও তাঁর কাজের প্রসংশা করি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাজের প্রসংশা করেছিলেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতে পেট ভরে খাওয়ার পরেও কয়েক ঘণ্টা পার হলেই খিদে পায়! বারবার খিদের (Nutrition) জন্য কোনও কাজেই মনস্থির করা যায় না! এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার পরেও খিদে না মিটলে সজাগ হতে হবে। শরীর ও মন সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কোন কোন বিপদের (Nutrition) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পাওয়া (Nutrition) মোটেও সুস্থ থাকার লক্ষণ নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। একাধিক কারণে এমন হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্থূলতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার মতো শারীরিক সমস্যার শিকার হলে পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও খিদের ভাব থাকে। বিশেষত, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অর্থাৎ, ভাত, রুটি এই সব খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। যেহেতু স্থূলতার জন্য পাকস্থলীতে খাদ্য ধারণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। যদিও তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, অতিরিক্ত খাবার হার্ট, কিডনি, লিভারের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। স্থূলতার সমস্যার জন্য দেহে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ হয়। যা সরাসরি হার্ট ও কিডনিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তাতে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেলে সতর্ক হতে হবে। কোন খাবার, কতটা পরিমাণ খাওয়া জরুরি, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুব প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    খিদের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ

    খিদের (Nutrition) সঙ্গে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে ভুগলে অকারণ খিদে পায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে যাঁরা ভোগেন, অনেক সময়ই তাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খান। ভরপেট খাওয়ার পরেও, তাঁরা পেস্ট্রি, কেক কিংবা যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন। আবার অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে ব্যবধান রাখতে পারেন না। কারণ, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় অনেক সময়ই ভুক্তভোগী খিদে, ঘুমের মতো শারীরিক চাহিদা ঠিক মতো অনুভব করতে পারেন না। তাই ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছাড়াও ঠিক মতো ডায়েট না থাকলেও ভারী খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন ডায়েট সমস্যার (Nutrition) সমাধান করতে পারে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, কখন হচ্ছে, আর কত পরিমাণে হচ্ছে, সে বিষয়ে নজর দিলেই মুশকিল আসান হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার না থাকলেই সমস্যা বাড়ে। অর্থাৎ, ভাত, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি থাকলে, সাময়িক পেট ভরলেও বারবার খিদে (Nutrition) পেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় থাকুক পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার ভারী থাকা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে সকালে দুধ-কনফ্লেক্স, ফল, ডিম সিদ্ধের মতো খাবার তালিকায় থাকুক। তাতে পেট ভরবে (Nutrition) আবার হজম সহজে হবে। রাতের খাবারে ডাল কিংবা পনির, চিকেনের মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাল, পনির, সোয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। আবার যব, রাগির মতো দানা শস্যে থাকে ফাইবার। এগুলো খাবারের তালিকায় রাখলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আবার এগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি না থাকায়, হজমের সমস্যা বা স্থূলতার সমস্যা বাড়ার ঝুঁকিও কম হয়। তাই সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে শরীর ও মন সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ব্যালট পেপারের যে যুদ্ধ হতে চলেছে ৮ জুলাই, তার আগে বুলেটরাজ দেখছে বাংলা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাংলায় ৭ জন খুন হয়েছেন। মনোনয়ন শুরু হওয়ার দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ফুলচাঁদ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নবগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোজাম্মেল শেখ (৪২)। তিনি হজবিবিডাঙা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে রমজান শেখের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাহারুল্লা শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহেব। নবগ্রাম থানার হজবিবিডাঙা গ্রামে প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। এরপরই দু রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের (TMC) এই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর এবং গুলি করে করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। হামলা চালানোর অভিযোগ  উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় ওই নেতা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতে তাঁদের আটকে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নবগ্রামে আগে কোনও রাজনৈতিক খুন দেখা যায়নি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধ ডেকেছি।’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অঞ্চল সভাপতি প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তখন কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা ওঁর উপরে হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ-লোহার রড-গুলি করে খুন করা হয়।’

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল (TMC) ভোট বানচাল করে দিতে চাইছে। আমাদের এক দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই খুনের ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১৬/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১৬/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য-কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সন্ধ্যাবেলা একাধিক আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হওয়ায় উৎসাহিত হবেন। 

    ২) সন্তানের তরফে প্রতিকূল সংবাদ পাবেন।

    বৃষ

    ১) মানসিক শান্তি লাভ করবেন।

    ২) নতুন চুক্তি পাওয়ায় পদ ও প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি হবে।

    মিথুন

    ১) ছাত্ররা পরীক্ষায় সাফল্য লাভের জন্য শিক্ষকদের সহযোগিতা কামনা করবেন। 

    ২) রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। 

    কর্কট

    ১) আপনার মান-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে অর্থ লাভ সম্ভব। 

    সিংহ 

    ১) ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত হবে।

    ২) ব্যবসায় আয়ের নতুন উৎস তৈরি হবে। 

    কন্যা

    ১) রোজগারের ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত সাফল্য লাভ করবেন।

    ২) দুপুরের পর কোনও আইনি বিবাদ ও মামলায় জয় লাভ করতে পারেন। 
     
    তুলা 

    ১) আশপাশের পরিবেশ আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দ বৃদ্ধি পাবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় অধিক মনোনিবেশ করতে হবে, তা না-হলে আপনার লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) ব্যস্ততা সত্ত্বেও প্রেম জীবনের জন্য সময় বের করতে পারবেন।

    ধনু

    ১) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হতে পারে।
     
    ২) পরিবারের সদস্যের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজিত করতে পারেন।  

    মকর

    ১) রাতে কোনও প্রিয় ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার ফলে মনে আনন্দ থাকবে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ করে সময় কাটাবেন।

    কুম্ভ

    ১) সন্তানের ভবিষ্যতের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ২) বাবার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    মীন

    ১) ধর্মীয় স্থানের যাত্রায় অর্থ ব্যয় হবে।

    ২) যাত্রায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে সতর্ক থাকুন, কারণ দামী জিনিস চুরি হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে মনোনয়নের শেষ বেলায়, বৃহস্পতিবার দলীয় টিকিট না পেয়ে জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস ছাড়াও আরও পাঁচজন কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দিলেন জেলা পরিষদ আসনে। তাঁদের দাবি, তাঁরা নির্দল নয়, তৃণমূলের হয়েই মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিলেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানা-পোড়েনের পর বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করেই ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের ফোন করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। দলীয় সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর। বুধবার ১৭ জন মনোনয়ন জমা দেন এবং বৃহস্পতিবার বাকি দু’জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    কারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দিলেন?

    অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, সুজলা তরাই (বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ), শুভ্রা মাহাত (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ), মামণি মুর্মু (বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ), সুপ্রিয়া মাহাত (মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ) এবং তপন ব্যানার্জি (কৃষি কর্মাধ্যক্ষ) মনোনয়নপত্র জমা করেন তৃণমূলের হয়ে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা এসটি সেলের জেলা সভাপতি অর্জুন হাঁসদা ওরফে লাল জেলা পরিষদের আসনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূলের হয়ে। জেলা পরিষদের তালিকায় অর্জুনের নাম ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্জুনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিন অর্জুন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বলছেন বিক্ষুব্ধরা (Panchayat Election)?

    তবে মাধবী ও পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দেওয়ায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষদের মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দেওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা তৃণমূলের মধ্যে। এদিন মাধবী বিশ্বাস বলেন, “দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন আমাদের দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন হবে। দাদার কথা না রেখে দাদাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানকার রাজনৈতিক নেতারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের মতে প্রার্থী ঠিক করেছে।  তাঁর আরও অভিযোগ,”চক্রান্ত করে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই জেলা পরিষদের পুরনো একজনকেও প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। একজন জেলা সভাধিপতি, যিনি দলের মুখ, তাঁকে যেখানে টিকিট দেওয়া হল না, সেখানে কর্মাধ্যক্ষদের টিকিট দেওয়া হবে, তা কি আশা করা যায়।’’ সভাধিপতি জানান, “দলীয় প্রতীক না পাওয়া গেলে নির্দলেই লড়াই করবেন।’’ বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামণি মুর্মু বলেন, ‘‘দলের হয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। এখনও কিন্তু আমি দল থেকে পদত্যাগ করিনি। দলেই রয়েছি।’’

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Panchayat Election)?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষেরই আশা, স্বপ্ন থাকতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকটা স্বপ্ন পূরণ হবে, তা তো নয়। দলীয় সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন (Panchayat Election) করা হয়েছে। আমি ওঁদের অনুরোধ করব দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই ছিল মনোনয়নে শেষ দিন। ঘটনাক্রমে কয়েক মাস আগেই জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, এমন দিন আসবে যেদিন তৃণমূলকে কলাগাছ নারকেল গাছ প্রতীক হিসেব বেছে নিতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আঞ্চলিক তোলামূল দল বিজেপির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়েছিল। এরপর তারা জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তোলামূল পার্টির দলীয় প্রতীক চিহ্ন আঞ্চলিক দলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।’’

    শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘‘এমন দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে কেউ ভোটে লড়তে চাইলে তাঁদের নৌকা, সাইকেল রিকশ, নারকেল বা কলাগাছের মতো প্রতীক চিহ্ন, যা ফ্রি সিম্বল, সেটাই বেছে নিতে হবে।’’

    পঞ্চায়েত ভোটে আঞ্চলিক দল ও জাতীয় দল

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য ৬টি জাতীয় দল রয়েছে। আম আদমি পার্টির ঝাড়ু, বহুজন সমাজ পার্টির হাতি, ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল, সিপিআই(এম)-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, কংগ্রেসের হাত ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বইয়ের চিহ্ন রয়েছে। আঞ্চলিক দলের তালিকায় তৃণমূলের ঘাসফুলের পাশাপাশি রয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ।

     

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    Panchayat Election: জলপাইগুড়িতে বিরোধীদের মনোনয়ন ছেঁড়ার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের সন্ত্রাস চলছেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ চিত্রটা একই। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অশান্তি দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। শেষ দিনের মনোনয়ন ঘিরে সারাদিন চলল তৃণমূলের তাণ্ডব। কোথাও বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হল না, তো কোথাও ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল। কেউ কেউ আবার মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে ঢুকেছিলেন। কিন্তু অফিসের ভিতরেই মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়, অভিযোগ বিরোধীদের

    বিরোধীদের অভিযোগ, এই সব কিছুই হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল না। এই ধরনের ঘটনা আগে জলপাইগুড়িতে কখনও দেখা যায়নি বলে জানান মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীরা। পাহাড়পুর থেকে একজন মহিলা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু বিডিও অফিসের ১ কিলোমিটার আগেই তাঁকে আটকে তাঁর হাত থেকে নমিনেশন পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। একই ঘটনা ঘটে অপর এক মহিলা প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। অন্যদিকে মালকানির একজন বিজেপি প্রার্থী জলপাইগুড়ির বিডিও অফিসের ভিতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর হাত থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে, সেখানে কীভাবে দুষ্কৃতীরা অফিস চত্বরে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে? একই ঘটনা ঘটেছে আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে চার প্রার্থীর নমিনেশন পেপার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুই সিপিএম প্রার্থী, এক বিজেপি প্রার্থী ও এক নির্দল প্রার্থীর নমিনেশন ফর্ম ঘরে ঢুকে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব অভিযোগই শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বলছেন শাসক দলের নেতা?

    যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এ সমস্ত ঘটনার কথাই অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা তপন ব্যানার্জি বলেন, এমন ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এমন প্রতিশ্রুতি যে ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয়, তা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে শাসক দলের সন্ত্রাসই বলে দিচ্ছে। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন আক্রান্ত সমস্ত প্রার্থীরাই। এর পরেই পুলিশ সেই প্রার্থীদের ফের বিডিও অফিসে ঢুকিয়ে পুনরায় নমিনেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share