Tag: Bengali news

Bengali news

  • Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনই দাবি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু, সেই দাবি যে একেবারেই ভিত্তিহীন তা প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, বুথের কর্মীদের মতামত না নিয়েই তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। সেই প্রার্থী পছন্দ নয়। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন ৮ জন তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীরা?

    একাধিকবার ব্লক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হলেও প্রার্থী তালিকাতে বিস্তর ফারাক। ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই,  তৃণমূল কর্মীরা দল বেঁধে সোমবার ঘাটাল বিডিও অফিসে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দেওয়ানচক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নলগেড়িয়া, রঘুনাথপুর, চকসাদি গ্রামের নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের বক্তব্য, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করছি। এমনকী অঞ্চলের একাধিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন অনেকেই। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমাদের কথা না শুনে তৃণমূলের ব্লকস্তরের নেতা কর্মীরা তাঁদের খেয়াল খুশি মতো প্রার্থী বাছাই করেছে। তাই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসন রয়েছে। আপাতত ৮টি আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আরও প্রার্থী দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিষ হুতাইত বলেন, দলগতভাবে আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়নি। যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তারা আদৌ তৃণমূল করে কি না তা আমরা জানি না। ফলে, ওরা কী অভিযোগ করল তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাস্তায় বের হলে চোর চোর বলে ডাকে। চায়ের দোকানে, বাজারেও গেলেও কথা শুনতে হয়। নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।” শাসকদল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) চারজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। অভিমানে তাঁরা তৃণমূল ছাড়লেন। সোমবার  অভিনব কায়দায় তাঁরা তৃণমূল দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ত্যাগ করার পাশাপাশি তাঁদের কাছে থাকা দলের সমস্ত ফ্ল্যাগ,ফেস্টুন তাঁরা ডাকযোগে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পাঠিয়ে দেন। তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেও তারা অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ওই পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল অবশ্য তাদের দলে থেকে যাবার ব্যাপারে বোঝানো হবে বলে জানিয়েছেন।

    কী বললেন দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা?

    জানা গিয়েছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস ৭ টিতে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনসুর আলির উদ্যোগে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। মনসুর আলির স্ত্রী লায়লা খাতুন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বছরখানেক পর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ ওঠার পর দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে ওই প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যের দূরত্ব বাড়তে থাকে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান চারজন সদস্য লায়লা খাতুন, মলয় সরকার, রুপো জালি ও উৎপলা বর্মন  প্রচুর সংখ্যক দলীয় কর্মী সমর্থক নিয়ে রায়গঞ্জের মুখ্য ডাকঘরে এসে তাদের কাছে থাকা দলীয় পতাকা, ফেস্টুন  খামে ভরে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, আমরা একনিষ্ঠ দলীয় কর্মী হওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছুদিন ধরে দলীয় নেতৃত্ব আমাদের প্রাপ্য  সম্মান দিচ্ছে না। এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানালেও তা আমল দেওয়া হয়নি।এর প্রতিবাদেই আমরা এদিন দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। দলত্যাগী এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মনসুর আলি জানিয়েছেন,” পাড়ায়, গ্রামে, চা এর দোকানে তাদের প্রতিনিয়ত “চোর ” বলে সম্বোধন করা হয়। নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি। এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভেই আমরা এদিন দলত্যাগ করেছি।তবে দলের প্রতীক ও পতাকার প্রতি আমাদের সন্মান রয়েছে।এগুলো যত্রতত্র পড়ে থাকার থেকে ফ্ল্যাগ,ফেস্টুনগুলির যাতে অবমাননা না হয়, সেই কারনেই আমরা সেগুলো ডাকযোগে এদিন জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ” ছোটখাটো মানঅভিমান থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যায়। আমি তাদের দলত্যাগ না করারই কথা বলবো। তবে দলীয় পতাকার অবমাননা না হওয়ার জন্য তাঁরা যে ফেরত পাঠিয়েছে, এটা প্রশংসার। “

    তৃণমূলে (TMC) ভাঙন ধরাল বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর অঞ্চলে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি। সোমবার এই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। এদিন জেলা বিজেপির কার্যালয়ে মলয় বাবু প্রায় ৩০০ জন অনুগামী নিয়ে দলবদল করলেন। সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারি মলয় সরকার বলেন, তৃণমূল দলে ক্রমশ দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। এই পঞ্চায়েতের অধীনেও প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি মুক্ত করে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নে বাধা! আক্রান্ত বিরোধী প্রার্থীরা, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: মনোনয়নে বাধা! আক্রান্ত বিরোধী প্রার্থীরা, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের কীর্ণাহারে সিপিআইএমের নেত্রীদের হেনস্থা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার নানুর বিডিও অফিসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় পথ আটকে তাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে নানুর ও কীর্ণাহার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছে। বীরভূম জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে নানুরে। এদিন, কীর্ণাহার থেকে নানুর ব্লক অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআইএমের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাঁশ-লাঠি নিয়ে পথ আটকায় তৃণমূলের লোকজন। সিপিআইএমের নেত্রীদের হেনস্থা সহ অন্যান্য কর্মীদের মারধর করা হয়। ইট ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নানুরে সিপিআইএমকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার স্পষ্ট বলছেন বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া যাবে না। মানুষকে ভোটাধিকার দিতে হবে। তারপরেও বীরভূমের দিকে দিকে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা, মারধর, হেনস্থার অভিযোগ উঠে আসছে।

    কী বললেন আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী?

    সিপিআইএম প্রার্থী সুনয়নী ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েতে নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নানুরে যাচ্ছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন আমাদের রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। আমরা আপত্তি জানালে আমাদের মারধর করা শুরু করে। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে ওরা। তৃণমূলীদের হামলার কারণে আমরা আর মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। সকলেই ফিরে আসি। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার কোর কমিটির নেতা কাজল সেখ বলেন,‘‘যাঁরা আজ বামেদের উপর হামলা চালিয়েছেন, তাঁরা কেউই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নন। যাঁরা আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের দলে থাকারও কোনও অধিকার নেই। আমি পুলিশকে বলেছি, তারা যাতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: করমণ্ডলের থেকেও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল এরাজ্যে! কীভাবে হয়েছিল সেই দুর্ঘটনা?

    Train Accident: করমণ্ডলের থেকেও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল এরাজ্যে! কীভাবে হয়েছিল সেই দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Train Accident) রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার রাত দশটা নাগাদ মেদিনীপুর হাওড়া শেষ লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হয় খড়গপুর ঢোকার মুখে। জ্ঞানেশ্বরী, করমণ্ডলের পর নতুন করে আবার মেদিনীপুর হাওড়া লোকাল ট্রেন। বারে বারে এই রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) মনে করিয়ে দিচ্ছে  ৭৫ বছর আগে এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কথা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ওই দুর্ঘটনায় রূপনারায়ণের জল মৃতদেহের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল।

    ৭৫ বছর আগে কীভাবে ঘটেছিল সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)?

    কোলাঘাটের ইলিশের স্বাদ সে সময় ছিল জগৎজোড়া। শোনা যায়, পরাধীন ভারতে বহু ভারতীয় কোলাঘাটের ইলিশ খাইয়ে সাহেবদের তোষামোদ করতেন। মাছ অন্যত্র রফতানির জন্য কোলাঘাট রেল স্টেশনে নিয়মিত ট্রেন থামানো হতো। এরজন্য নির্দিষ্ট কিছু ট্রেনের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করে রাখা হত। তখন রূপনারায়ণ নদের উপর দুই দিক খোলা রেলের দু’টি সেতুও ছিল। ১৯৪৮ সালের ১৪ অক্টোবরের দুর্ঘটনার (Train Accident) রাতে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। যদিও সেই বৃষ্টি চলছিল কয়েক দিন ধরেই। বৃষ্টির জেরে রূপনারায়ণের গাঙে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছিল। ১৪ অক্টোবর রাত ৯ টা নাগাদ হাওড়া থেকে ছেড়ে আপ পুরুলিয়া এক্সপ্রেস এসে থামে কোলাঘাট স্টেশনে। ট্রেনে তখন ইলিশের ঝাঁকা তোলা চলছিল। হঠাৎই একই লাইনে এসে পড়ে হাওড়াগামী  ডাউন নাগপুর এক্সপ্রেস। প্রচণ্ড গতিতে পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে ধাক্কা মারে সেটি। দুমড়ে মুচড়ে যায় দু’টি ট্রেনের একাধিক কামরা। দুর্ঘটনার জেরে রেল স্টেশন চত্বর এবং কোলাঘাটের পাড়ে ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য মৃত দেহ।

    স্থানীয় পত্রিকায় বেরিয়েছিল সেই দুর্ঘটনার খবর

    ‘কোলাঘাট সম্পদ’ নামে স্থানীয় একটি পত্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন এক হাজারেরও বেশি যাত্রী। রক্তে ভেসে গিয়েছিল রূপনারায়ণের জল। দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে সে সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন দু’টিতে ব্যাপক লুঠপাঠও চলেছিল বলে অভিযোগ। তখন কোলাঘাট ছিল পাঁশকুড়া থানার অধীন। পরের দিন পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। রেলের উদ্যোগে বহু দেহ কোলাঘাট স্টেশনের নীচে রেলের কাঠের পুরনো স্লিপার দিয়ে দাহ করা হয়েছিল।

    সেদিনের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)  নিয়ে কী বললেন স্থানীয় প্রবীণরা?

    বারে বারে এই ট্রেন দুর্ঘটনা প্রায় ৭৫ বছর আগের সেই ঘটনার কথায় মনে করিয়ে দিচ্ছে বহু প্রবীণদের। মহাদেব সেনগুপ্ত নামে কোলাঘাটের এক সমাজসেবী বলেন, “সেদিনের দুর্ঘটনার (Train Accident) পর একাধিক গাড়িতে করে পুলিশ মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সে ছবি এখনও আমার চোখে ভাসছে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার মতোই ভয়াবহ ছিল স্বাধীন ভারতের প্রথম বড় রেল দুর্ঘটনা।’’ কোলাঘাটের বাসিন্দা বাগনান কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক জয়মোহন পাল বলেন, “সেদিন বৃষ্টির জন্য কোলাঘাটে জেলেদের জালে টনটন ইলিশ উঠছিল।মাছ তোলার জন্য ট্রেন অতিরক্ত সময় ধরে দাঁড়িয়েছিল। সম্ভবত ভুল সিগন্যালের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় ৪০০ জন যাত্রী সেদিনের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১২/০৬/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১২/০৬/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা ক্ষেত্র, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য– কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) মেষ রাশির জাতকরা সহজ ও সরল স্বভাব বজায় রাখুন।

    ২)  আপনার স্বভাবের কারণে পরিবারে অশান্তির পরিবেশ গড়ে উঠবে।

    বৃষ

    ১) কাজ ও ব্যবসায় অধিকাংশ সময় দিতে করতে পারবেন না। তবে কম সময়ে ব্যয় করা টাকা তুলে নিতে পারবেন।

    ২)  গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাতিল করবেন না, তা না-হলে তা পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    মিথুন

    ১) মিথুন রাশির জাতকরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট থাকবেন। 

    ২) এই রাশির মহিলারা দুখী হতে পারে।

    কর্কট

    ১)  ব্যবসায় ভুলেও লগ্নি করবেন না, এর ফলে লোকসান সম্ভব। পরিবারে উৎসবের পরিবেশ থাকবে। 

    ২) কাম-বাসনা অধিক থাকবে।

    সিংহ 

    ১) সিংহ রাশির জাতকদের আজকের দিনটি আগের তুলনায় ভালো কাটবে। 

    ২) মনস্কামনা পূরণে বাধা আসবে। 

    কন্যা

    ১) কন্যা জাতকদের আজকের দিনটি খুব আরামে কাটবে।

    ২)  ভেবেচিন্তে কথা বলুন। তা না-হলে আপনার অপমান হতে পারে। 

    তুলা 

    ১) তুলা রাশির জাতকদের আজকের দিনটি সমস্যা সঙ্কুল। কর্মক্ষেত্রে অনুকুল পরিবেশ লাভ করবেন। 

    ২) অসম্পূর্ণ কাজ করার ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন। 

    বৃশ্চিক

    ১) দিনের প্রথমাংশে লাভের পরিমাণ কমবে। 

    ২) কোনও না-কোনও চিন্তা আপনার মাথায় ঘোরাফেরা করতে থাকবে।

    ধনু

    ১) ধনু রাশির জাতকদের আজকের দিনটি অপ্রয়োজনীয় দৌড়ঝাপে কাটবে।
     
    ২) পারিবারিক কাজের জন্য বিবাদ সম্ভব, দুপুর পর্যন্ত এর দ্বারা প্রভাবিত হবেন।

    মকর

    ১) মকর রাশির জাতকরা কাজকর্মের প্রতি কম গম্ভীর থাকবেন।

    ২)  দিনের শুরু থেকে আলস্য় প্রভাব বিস্তার করবে আপনার ওপর।

    কুম্ভ

    ১) বাবা বা বয়স্ক ব্যক্তির স্বাস্থ্যের পিছনে ব্যয় হবে।

    ২) দীর্ঘযাত্রার পরিকল্পনা মনের মধ্যেই থেকে যাবে। 

    মীন

    ১) মীন রাশির জাতকদের পরিজনদের স্বভাব আপনার ব্যবহারের ওপর নির্ভর করবে। 
     
    ২) পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে দোটানায় থাকবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যেকোনও পরামর্শ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Indian Cricket Team: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হারল ভারত

    Indian Cricket Team: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হারল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দ্বিতীয় বার, ফাইনালে হার। টেস্ট ক্রিকেটেও সেরার শিরোপা পেল না ভারত। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ভারত (Indian Cricket Team)। প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ইতিপূর্বে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত তিনটি সিরিজই জিতেছে ভারত। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এক হল না। টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথম দিন থেকেই ব্যাকফুটে ছিল ভারত। শেষ অবধি ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হার হল ভারতের।

    কেন এই হার?

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকেই এক্ষেত্রে দায়ী করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ আইপিএল ফাইনাল ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মাঝে মাত্র এক সপ্তাহের মতো সময় পাওয়া গেছিল। ভারতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আইপিএল-এ ফোকাস রেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র ক্রিকেটাররা এক্ষেত্রে আইপিএল নয়, এই ম্যাচকেই পাখির চোখ করেছিলেন, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।ভারতের হারের মূল কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। পিচ বুঝতে ভুল করা, টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া এবং একাদশে অশ্বিনকে না রাখাও অন্যতম কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন নাথান লিয়ঁ। প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে, অশ্বিনকে এই ম্যাচে খেলানো উচিত ছিল না?

    শেষ ইনিংসে বিতর্ক শুভমনের আউট নিয়ে

    ভারতের শেষ ইনিংসে শুভমনের আউট নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক। স্কট বোল্যান্ডের বল শুভমনের ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে যায়। তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরন গ্রিন বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে লুফে নেন বল। এই ক্যাচ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরে সেই বিতর্কে উস্কে দিয়েছেন শুভমন নিজেই। ওই ক্যাচের ছবি ট্যুইট করেছেন তিনি। শুভমন কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও ছবি দেখে মনে হচ্ছে ক্যাচ নেওয়ার সময় বল মাটিতে ঠেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ভাঙন শাসক দলে। রবিবার মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল বেশ কিছু পরিবার। এরা প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলেই জানা গেছে। বিজেপি (BJP) এতদিন বলে এসেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে শুধু ভোটার হিসেবেই ব্যবহার করেছে তৃণমূল। এদিন এই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল যোগদানকারীদের কণ্ঠেও।

    জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে থেকে হয় এই যোগদান কর্মসূচি

    জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন জুখিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি শেখ রমজান আলি। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কিছু পরিবার এদিন হাজির ছিল যোগদান কর্মসূচিতে। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তৃণমূল ছেড়ে সংখ্যালঘু মানুষজনের বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কিছুটা হলেও চমক দিল বিজেপি। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    কী বললেন যোগদানকারী তৃণমূল নেতা?

    এদিন শেখ রমজান বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল দল করতাম। কিন্তু দলটাতে আজ আর দুর্নীতি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই।’’ রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়েও এদিন রমজান সরব হন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘গরিব মানুষদের ওপর তৃণমূল যে সন্ত্রাস করেছে তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এই জেলায় একাধিক গরিব মানুষের বাড়ি লুঠ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপিই একমাত্র মানুষের কথা ভাবে। বিজেপিতে থেকে সাধারণ মানুষের কাজ করব।’’

    কী বললেন এলাকার বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি?

    রবীন্দ্রনাথ মাইতি এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটার হিসেবেই দেখেন। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’

    আরও পড়ুুন: পাহাড়়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মতুয়ারা ছিলেন তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মতুয়ারা। গত বিধানসভাতেও মতুয়াদের আস্থা ফিরে পায়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরনগরে এসে অভিষেককে কার্যত মুখ ঝামটা খেতে হল। মন্দিরে ঢোকার আগেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তোলেন মতুয়ারা। শুধু তাই নয়, অভিষেক আসতেই তাঁর সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মতুয়ারা। কালো পতাকা দেখানো হয়। কার্যত বিক্ষোভের জেরে অভিষেক মতুয়াদের মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, মূল মন্দিরে পুজো না দিয়েই অভিষেককে ফিরতে হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    তৃণমূলে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে রবিবার ঠাকুরনগরে আসার কথা ছিল অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। তার আগে পাল্টা প্রস্তুতি নিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করার জন্য আজও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক পুজো দিতে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মতুয়ারা। অভিষেক আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ‘ধিক্কার’ পোস্টারেও ছেয়ে গিয়েছিল ঠাকুরবাড়ি এলাকা। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরনগরে পৌঁছয় অভিষেকের কনভয়। ঠাকুরবাড়ির সামনেই অনুগামীদের নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছতেই শান্তনু মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাইরে তৃণমূল কর্মী এবং মতুয়া ভক্তদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলা হয় তোরণ। অভিষেককে দেখে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়। আর মতুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আর প্রবেশ করা হয়নি অভিষেকের। সেই সময় আগাগোড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    মন্দিরে ঢুকতে না পেরে মমতাবালাকে পাশে নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘আমার কোনও কর্মসূচি ঠাকুরনগরে ছিল না। ছিল ২০ কিলোমিটার দূরে হাবড়ায়। আমি এখানে এসেছিলাম পুজো দিতে। কিন্তু দরজা বন্ধ করে আমাকে পুজো দিতে দেওয়া হল না। বিজেপি ও শান্তনু ঠাকুর মিলে এই কাজ করেছে। আমি তার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখানকার জনগণকে দিয়ে রাখলাম।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঠাকুরবাড়ি কারও একার সম্পত্তি নয়।’’

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    শান্তনুর মন্তব্য, ‘‘মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত হলে প্রতিবাদ তো হবেই। তবে, বিজেপি নয়, যা করেছে মতুয়ারা করেছে। মতুয়ার নাটমন্দিরে কেন পুলিশ? গোবরজলে শোধন হবে মন্দির।” তবে, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে নাটমন্দির থেকে সমস্ত পুলিশকে সরিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    PM Modi: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-১১

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অগ্রগতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ৯ বছরে প্রযুক্তির ভরপুর প্রয়োগ করেছে মোদি (PM Modi) সরকার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডিজিটাল লেনদেন। লক্ষণীয়ভাবে বিগত কয়েক বছরে এর প্রবণতা বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম এখন ক্যাশলেস লেনদেনকেই বেশি পছন্দ করে। ২০২৩ সালের জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী, দু লাখ কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে সারা ভারত জুড়ে। দেশের ডিজিটাল লেনদেন সংযুক্ত হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও। এর ফলে বিভিন্ন আমদানি-রফতানি ব্যবসাও বাড়ছে রমরমিয়ে। মোবাইল ব্যবহারে ভারত নতুন রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশে ১২১ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৭৯ কোটি মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। এই বিপুল পরিমাণ মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে ভারতেই ডেটা সবথেকে সস্তা। ইতিমধ্যে ফাইভ-জি সার্ভিসও আমাদের দেশে চলে এসেছে।

    ভারত নেট প্রকল্পে ৭০% এরও বেশি, প্রায় ২,৫০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সার্ভিস চালু করা গেছে। বর্তমান দিনে ব্রডব্যান্ড কানেকশন ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও পৌঁছে গেছে, যা মোদি (PM Modi) সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাল মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবাও মেলে। ডিজিটাল ব্যবস্থা কংগ্রেস জমানার দুর্নীতিকেও নির্মূল করতে পেরেছে। পাশাপাশি সাধারণ ভারতীয়দের জীবনমানের উন্নতিও সম্ভব হয়েছে এর দ্বারা। মোদি সরকার প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন ডিজিটাল টুলগুলিকে ব্যবহার করছে সরকারি সুবিধা দিতে। প্রত্যন্ত গ্রামেও প্রযুক্তির সুবিধা যেমন পৌঁছে গেছে, তেমনি মহাকাশ গবেষণাতেও গত ৯ বছরে মিলেছে একাধিক সাফল্য। বিভিন্ন ধরনের মিশন বিশ্ব জুড়ে আলোচিত হয়েছে। সম্প্রতি বিক্রম-এস স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে মহাকাশে। যা ভারতের প্রথম বেসরকারি উপগ্রহ। ভারত এখন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত অগ্রগতির নতুন ধাপে পৌঁছানোর জন্য, যা আসবে প্রযুক্তির সহায়তায়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গত ৯ বছরে কতটা এগিয়েছে দেশ 

    ১) ১২১ কোটি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে ভারতবর্ষে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, এর মধ্যে ৭৯ কোটি মানুষ বর্তমানে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছেন। ১.৯৮ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে অপটিক ফাইবার চালু করা গেছে। প্রতি জিবি ডেটার দাম ৩০৮ টাকা থেকে কমে ৯.৯৪ টাকায় নেমেছে।

    ২) নতুন স্টার্ট-আপ প্রজেক্ট শুরু করা গেছে ৬৬৯ টি জেলায়।

    ৩) ২০২২ সালের রিপোর্ট বলছে, সারা বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনের ৪৬ শতাংশই হল ভারতের।

    ৪) বিগত পাঁচ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

    ৫) ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে ৫.৪৭ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার শুরু করা গেছে।

    ৬) ভারত নেট প্রকল্পের আওতায় ৬.২০ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সম্প্রসারণ হয়েছে।

    ৭) ১০৪টি উপগ্রহকে মহাকাশে স্থাপন করা গেছে, যা একটি বিশ্ব রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: ৩.২৮ লক্ষ কিমি গ্রামীণ রাস্তা থেকে চেনাব ব্রিজ! মোদি জমানায় বদলে গেছে দেশ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

LinkedIn
Share