Tag: Bengali news

Bengali news

  • Birbhum: গোষ্ঠী কোন্দল? ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে

    Birbhum: গোষ্ঠী কোন্দল? ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ দুবরাজপুরের (Birbhum) নেতাকে৷ তৃণমূলের শুরু থেকেই দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন ভোলা মিত্র৷ রবিবার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্ব বীরভূম কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হল। ওখানে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে৷”

    বিজেপির দখলে এই বিধানসভায় ১৫ জনের কমিটি (Birbhum)

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের ১১ টি বিধানসভার মধ্যে দুবরাজপুর (Birbhum) বিজেপির দখলে৷ তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল৷ পরিবর্তে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়৷ তারমধ্যে ২ জন আহ্বায়ক। এদিন বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা (Birbhum) সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ, বিশ্ববিজয় মাড্ডি৷ গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে পদে বহাল রেখে জেলার সাংগঠনিক কার্য পরিচালনার জন্য ৯ জনের কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বীরভূমের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে৷ পর্যবেক্ষক হওয়ার পর এই প্রথম তিনি বীরভূমের (Birbhum) কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে জেলা কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, পুর প্রধান সহ জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

    দলেই থাকব, বললেন ভোলা মিত্র

    পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তৃণমূল নেতা (Birbhum) ভোলা মিত্র বলেন, “দল যা ভালো বুঝবে করবে৷ আমি দলে আছি, দলেই থাকব৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Abhishek Banerjee: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেকের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। রোড শো এর পরেই বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার বাড়ি না পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্থানীয়রা। যোগ্য প্রাপকদের দিকে নজর দিন, উঠল দাবি।   

    কোথায় ক্ষোভের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)?

    উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে, চন্দ্রকোণা রোড এলাকায় রোড শো-তে অংশ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এরপরই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। নিচুতলার সংগঠনের উপর জোর দিন! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই উপদেশ দিতে দেখা যায় স্থানীয় মহিলাদের।  

    জনজোয়ার যাত্রায় কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    জনজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) গাড়িকে লক্ষ্য করে স্থানীয় মানুষের দাবি, আমাদের ঘর নেই, ঘর দরকার! গাড়ি ঘিরে ধরে তাঁদের দাবি, এলাকার অনেকের ঘর ফেটে গেছে, খুব অসহায়বোধ করছি আমরা। কিছু কিছু মানুষের ঘর প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাই এই অবস্থায় আমাদের সরকারি সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, আমরা গাড়ির সামনে যেতে পারলেও নিরপত্তারক্ষীরা (Abhishek Banerjee) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যেতে দেননি। তাঁরা বলেন, আমরা আমাদের অসুবিধার কথা বলার সময় পর্যন্তও পেলাম না। যাঁদের ঘর পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরাই পাচ্ছেন না। যাঁদের আছ্‌ তাঁরা আরও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। এক স্থানীয় মাহিলার দাবি, আমি তো ভোট দিয়ে থাকি, তাহলে আমার কথা কেন শুনলেন না উনি? এখানে যাঁদের তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাঁরাই ঘর পাচ্ছে, আমরা কিছুই পাচ্ছি না। আমাদের কথা শোনার মতো সময় নেই নেতাদের। এলাকার মানুষের একটাই আক্ষেপ, নেতারা যদি আমাদের কথাই না শোনেন, তাহলে ভোট দিয়ে কী লাভ? পঞ্চায়েত ভোট সামনে, তাই আর কবে তৃণমূলের নেতারা এই এলাকার মানুষের কথা শুনবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • President Of India: ‘‘সংসদের আস্থার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী’’, শুভেচ্ছা বার্তায় বললেন রাষ্ট্রপতি

    President Of India: ‘‘সংসদের আস্থার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী’’, শুভেচ্ছা বার্তায় বললেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনে রবিবার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন রাষ্ট্রপতি (President Of India) দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি নতুন সংসদ ভবনকে গণতন্ত্রের জীবন্ত উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে এদিন ভারতীয় সংসদের আস্থার প্রতীকও বলেন রাষ্ট্রপতি।

    কী বললেন রাষ্ট্রপতি?

    রাষ্ট্রপতি এদিন শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘‘আমি খুবই আনন্দিত, প্রধানমন্ত্রী যিনি আমাদের সংসদের আস্থার প্রতীক, তিনি এই নতুন ভবনের উদ্বোধন করলেন।’’ রাষ্ট্রপতির প্রেরিত শুভেচ্ছা বার্তা এদিন পাঠ করে শোনান রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ। রাষ্ট্রপতির (President Of India) ওই বার্তায় আরও উল্লেখ রয়েছে, ‘‘এই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন থেকেই ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ নয়া সংসদ ভবন আমাদের বিশাল ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ পূর্ব থেকে পশ্চিমে থাকা প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে আনন্দ ও গর্বের বিষয়। ভারতীয় সংসদ আমাদের চেতনায় স্থান পেয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সংসদ আমাদের এমন অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার জেরে দেশবাসীর জীবনে সুপরিবর্তন এসেছে।’’ এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ওই শুভেচ্ছা বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সংসদ ভবন সাক্ষী থেকে রয়েছে, কীভাবে ভারত ৭০ বছর ধরে এগিয়েছে এবং কোটি কোটি ভারতীয়র জীবনযাত্রার পরিবর্তনেরও সাক্ষী রয়েছে দেশের সংসদ ভবন।

    শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ও 

    উপরাষ্ট্রপতি তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘‘সংসদই হল একমাত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যা জনগণের মতামতকে প্রতিফলিত করে। এই সংসদ ভারতবর্ষের আইন প্রণেতা এবং আগামী দিনের দিশা দেখানোর প্রতিষ্ঠানও বটে।’’

     

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result: এই প্রথম আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ৪ ছাত্রী!

    Madhyamik Result: এই প্রথম আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ৪ ছাত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠে ধান পোঁতার কাজ সেরে পড়াশোনা। এই প্রথম একটি গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে (Madhyamik Result) উত্তীর্ণ হল এমনই ৪ ছাত্রী৷ আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রাম শান্তিনিকেতনের সাহেবডাঙা। বিংশ শতাব্দীতে এসে নারী শিক্ষার অগ্রগতির নজির এই চার ছাত্রীর উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে খুশি গ্রামবাসীরা৷

    কীভাবে এল এই সাফল্য (Madhyamik Result)?

    শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙা আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। উন্নয়নের আলো সেভাবে পৌঁছায়নি এই গ্রামে। পাশাপাশি শিক্ষার আলো থেকেও এতকাল বঞ্চিত ছিল এই গ্রাম৷ অথচ, শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত শান্তিনিকেতন। কিন্তু, প্রবাদবাক্য আছে ‘প্রদীপের নিচে অন্ধকার’। যদিও, এই প্রবাদবাক্যকে উপেক্ষা করে এই প্রথম এই গ্রাম থেকে ৪ জন মেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হল। বোলপুর পারুলডাঙা শিক্ষানিকেতন আশ্রম বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী বাসন্তি টুডু, লতিকা মুর্মু, মিরু হাঁসদা ও গুসকড়ার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুলের ছাত্রী সুমিত্রা টুডু এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Result) উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে এই গ্রাম থেকে কোনও মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেইনি, উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা৷ নারী শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আন্দোলন চলছে বহু দিন ধরেই৷ সেই আন্দোলনের নজির বলা যায় ৪ আদিবাসী কন্যার সাফল্যকে৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে মাঠে ধান পোঁতা, ধান কাটার কাজ করে তারা৷ তার ফাঁকেই পড়াশোনা। তারা জানায়, এর আগে কোনও মেয়ে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি৷ কারণ পরিকাঠামো নেই, বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেই পড়াশোনার পরিবেশ। সদ্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে৷ তাদের তত্ত্বাবধানেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তারা৷ যে যুবকের উদ্যোগে তাদের এই সাফল্য সেই বুদ্ধিশ্বর মণ্ডল বলেন, “এই গ্রামের উন্নয়ন একেবারেই নেই৷ প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে ৪ টি মেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ। আমি ওদের সঙ্গে আছি বহু দিন ধরে৷ তাদের সাফল্যে খুব খুশি হয়েছি।”

    কী বলল উত্তীর্ণরা (Madhyamik Result)?

    সুমিতা টুডু, বাসন্তি টুডু, মেরু হাঁসদা বলে, “এই গ্রামে আগে কোনও মেয়ে মাধ্যমিক (Madhyamik Result) পাশ করেনি৷ কারণ কোনো রকম সুযোগ সুবিধাই ছিল না৷ টিউশন পড়তে পারতাম না। আমাদের গ্রামের অবস্থাও ভালো নয়৷ সবাই মাঠে কাজ করে৷ আমরাও ধান পোঁতার কাজ করি৷ আমরা পাশ করায় গ্রামের সবাই খুব খুশি। আগামীতে গ্রামের বাকি মেয়েদের বলব, তারাও যেন পড়াশোনা করে আরও ভালো ফল করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine war: রাশিয়ার তেলের পাইপ লাইনে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের! পাল্টা কী নির্দেশ দিলেন পুতিন?

    Russia Ukraine war: রাশিয়ার তেলের পাইপ লাইনে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের! পাল্টা কী নির্দেশ দিলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার তেলের পাইপ লাইনগুলির উপর হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন (Russia Ukraine war)। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার সূত্রে খবর, পশ্চিম সাইবেরিয়ান থেকে ইউরোপ পর্যন্ত পাইপলাইনে শনিবারও একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। শোনা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার উপর ড্রোন হামলার পরিমাণ ক্রমশই বাড়িয়ে চলেছে ইউক্রেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। কিন্তু রবিবারই পুতিন রাশিয়ান সেনাকে অতি দ্রুত মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    ড্রোন হামলা….

    মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত টিভার অঞ্চলের তেলের পাইপ লাইনে এদিন দুটো ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম তেলের পাইপলাইন বলেই জানা গেছে। সে দেশের সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, টিভার অঞ্চলের একটি গ্রামে এদিন ভেঙে পড়ে ইউক্রেনের ড্রোন। গ্রামটি ইউক্রেনের সীমানা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, তারা গত ২৪ ঘন্টায় ১২টি ইউক্রেনের ড্রোনকে ধ্বংস করেছে।

    আরও পড়ুন: ইমরানের খেলা শেষ, তোপ দাগলেন নওয়াজ কন্যা মারিয়াম

    সেনাকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে দ্রুত প্রবেশের নির্দেশ দিলেন পুতিন

    অন্যদিকে, রবিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের (Russia Ukraine war) সেই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে প্রবেশ করতে হবে, যা মস্কোর দখলে রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার উপরে ড্রোন হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়াতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, খাবার, বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী, সামরিক ও বেসামরিক যানবাহন অতি দ্রুত মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। আবারও কি তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পুরোদমে শুরু হতে চলেছে? উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। অন্যদিকে শনিবার ইউক্রেনও ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত আছে। প্রসঙ্গত, ১৫ মাস ধরে এই যুদ্ধ চলছে। খেরসন, জাপোরিঝিয়া, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক হল ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল যা বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী হলেন ‘লেডি কিম’! কেন এই তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী হলেন ‘লেডি কিম’! কেন এই তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়াতে শহিদ মিনারে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সংসদ ভবনের উদ্বোধনের মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে নব পালক সংযোজিত হল। এই রাজ্যে আক্রান্তদের পাশে নেই রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে উত্তর কোরিয়ার কিমের সঙ্গে তুলনা করেন শুভেন্দু।  

    নন্দীগ্রামে কী বললেন (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী?

    সোনাচূড়াতে শহিদ মিনারে মন কি বাত অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, আজ ভারতীয় হিসাবে আমরা গর্বিত। আত্মনির্ভর ভারত এবং আধুনিক ভারতের আরেকটি প্রয়াস হচ্ছে মোদিজির মাধ্যমে। নতুন সংসদ ভবনের বিষয়ে বলেন, ভারত মাতার নব রূপ সংযোজিত হল। আমি প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে নতুন সংসদ ভবন উদ্ভোধন হওয়ায় ভীষণ ভাবে গর্ব অনুভব করছি।

    সরব রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে

    রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আবার গতকাল শনিবার এগরাতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, এগরা বিস্ফোরণের ১১ দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী ভানু বাগের শ্রাদ্ধে খেতে এসেছিলেন। পাশাপাশি কুড়মি আন্দোলনে রাজেশ মাহাতর গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আইনি বিষয়, তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি কোনও আইনি সাহয্যের দরকার হয়, আমি রাজেশ মাহাতকে আইনি লড়াইতে সাহায্য করব। সব কিছু সমস্যা তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে জনজাতি সমাজ এবং অপরদিকে কুড়মিদের উস্কে দিচ্ছেন। রাজ্যে অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে প্রশাসনের ব্যর্থতার বলে তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    কিমের সঙ্গে তুলনা মুখ্যমন্ত্রীকে

    সবার মুখ্যমন্ত্রী নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উনি হলেন লেডি কিম। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো অত্যন্ত ক্রূর, সব সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। এই ভাবেই সমালোচনা করলেন শুভেন্দু। মানুষের উপরে নানান ভাবে অত্যাচার করছেন বলে বিশেষ অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল কিছু ভোট ব্যাঙ্কেরই কেবলমাত্র প্রতিনিধি। সবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারেননি। শুভেন্দু বলেন, বগটুই হত্যাকাণ্ডে সেখানকার মুসলমান মহিলাদের পুড়িয়ে মারার পর আমি গিয়েছি, তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি জানি তাঁরা আমাদের ভোট দেননি। আগামী দিনে দেবেন কি না তাও জানি না। কিন্তু আমি বিরোধী দলের নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে ঘটনারস্থলে গিয়েছিলাম। একই ভাবে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলারকে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। উল্লেখ্য, এখানেও মুখ্যমন্ত্রী যাননি, আমিই মৃত কাউন্সিলারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, তিনি কেবল বিজেপির নেতা নন, এই রাজ্যে যত সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হবেন, তাঁদের সবাইকার নেতা শুভেন্দু। আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকা বিরোধী দলের নেতাদের প্রধান কাজ। এবং এই কাজ করতে উনি রাজ্যবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবন ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্খার প্রতীক, বললেন মোদি

    New Parliament Building: নতুন সংসদ ভবন ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্খার প্রতীক, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন নয়া সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। উদ্বোধনের পর এদিন প্রধানমন্ত্রী শাসক এবং বিরোধীদলের সমস্ত সাংসদদের অভিবাদন জানান। তাঁর বক্তব্যে নয় বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যগুলিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। স্মারক হিসাবে এদিন তিনি উদ্বোধন করেন ৭৫ টাকার কয়েনেরও।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নতুন সংসদ ভবন আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিষেবায় পরিপূর্ণ। এই সংসদ ভবন ৬০ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছে। তাদের এই কঠোর পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে আমরা ডিজিটাল গ্যালারি তৈরি করেছি।’’ তাঁর বক্তব্যে শোনা যায় ন’ বছরের কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যগাথাও।

    তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভবন থেকে সংসদ ভবন (New Parliament Building) আমাদের অনুপ্রেরণা হল দেশ ও সমাজের উন্নয়ন। ৯ বছরে আমরা চার কোটি মানুষের মাথার উপরে ছাদ এবং ১১ কোটি শৌচালয় বানাতে পেরেছি, এটা আমাদের অপরিসীম তৃপ্তি দেয়।’’ নতুন সংসদ ভবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পুরনো সংসদ ভবনে সকলের কাজ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। প্রযুক্তিগত সমস্যাও ছিল। বিগত দেড়, দুই দশক ধরে আলোচনা হচ্ছিল নতুন সংসদ ভবনের। সময় চাহিদাতেই নতুন সংসদ ভবন তৈরি হল। আমার বলতে গর্ব হচ্ছে আধুনিক মানের প্রযুক্তিরও সুবিধা রয়েছে এখানে।’’ নতুন সংসদ ভবনকে এদিন তিনি ১৪০ কোটি মানুষের আকাঙ্খার প্রতীকও বলেন।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building) স্মারক হিসাবে ৭৫ টাকার কয়েনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন ৭৫ টাকার কয়েনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা চেম্বারে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে যে কয়েনটির ওজন ৩৪.৬৫ থেকে ৩৫.৩৫ গ্রামের মধ্যে। কয়েনের একদিকে রয়েছে অশোক স্তম্ভের ছবি। দেবনাগরী অক্ষরের লেখা রয়েছে ভারত, এবং ইংরেজিতে লেখা ইন্ডিয়া। টাকার সিম্বলও সেখানে দেওয়া রয়েছে। কয়েনের উল্টোদিকে রয়েছে নতুন পার্লামেন্ট ভবনের ছবি এবং তাতে লেখা রয়েছে ২০২৩ সাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiger: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বাঘের আতঙ্ক! তোলপাড় গোটা এলাকা

    Tiger: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বাঘের আতঙ্ক! তোলপাড় গোটা এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাতসকালেই বাঘের (Tiger) আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। ভরতপুর থানার হামিদপুর বাগেশ্বর মন্দিরের পাশে একটি জঙ্গলে বাঘের আতঙ্কে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। পরে, গ্রামের বাসিন্দারা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন দিনভর হামিদপুর সহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বাঘের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন সকালে গ্রামের এক যুবক জঙ্গলে আম কুড়োতে গিয়ে বাঘের (Tiger) মতো জন্তু দেখে ছুটে পালিয়ে যান। বাঘেশ্বর মন্দিরে পিছনে জঙ্গলে জন্তুটিকে তিনি দেখতে পান। গ্রামে ফিরে তিনি সমস্ত বিষয়টি সকলকে বলেন। জন্তুটি চিতা বাঘের মতো দেখতে বলে তিনি সকলকে জানান। চিতা বাঘের মতো দেখতে খবর জানাজানি হতেই আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা ওই জন্তুটিকে দেখতে জঙ্গলে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর জন্তুটিকে দেখতে পাই। একটি গাছের মধ্যে উঠে বলেছিল। শ্রীমন্ত ঘোষ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বাবাদের মুখে শুনেছি, বাঘেশ্বর মন্দির এলাকায় বাঘের দেখা পাওয়া যেত। তবে, আমরা কোনওদিন এই এলাকায় বাঘ দেখিনি। এদিন পাড়ার ওই যুবকের কথা শুনে বাঘ দেখতে ছুটে আসি। পরে, বাঘের মতো জন্তুটিকে দেখতে পাই। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ এই ধরনের জন্তু আগে দেখেনি। ফলে, আমরা খুব আতঙ্কিত ছিলাম। বন দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে জানার পরই আমরা স্বস্তি ফিরে পাই।

    কী বললেন বন দফতরের আধিকারিক?

    এদিন বন দফতর বিষয়টি জানার পরই সেখানে আসে। বন দফতরের এক আধিকারিক সঞ্জয় সরকার বলেন, বাঘ (Tiger) দেখা গিয়েছে শুনে আমরা সেখানে যাই। পরে, দেখি বাগরোল। মেছো বিড়াল বলা হয়। এই ধরনের জন্তু এখন অনেক কম দেখা যায়। সাধারণত এরা হামলা করে না। তবে, কেউ তাড়া করলে এর হামলা করতে পারে। এই ধরনের জন্তুর সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জন্তুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: কৃষি দফতরে গ্রুপ সি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ  লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Uttar Dinajpur: কৃষি দফতরে গ্রুপ সি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতী ও তাঁদের অভিভাবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন তৃণমূল নেতা। টাকা তুলে তার পরিবর্তে চাকরি দেননি কাউকেই। টাকা তোলা এবং চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ এনে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল (Uttar Dinajpur) সভাপতির বাড়ির সামনে অবস্থানে বসলেন বিক্ষোভকারীরা।

    উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) অভিযোগ কী?

    শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা-মহাশো এলাকায়। অবস্থান-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনিন্দ্য কুমার দাস অভিযোগ করেন, কৃষি দফতরের গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থী পিছু ১১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি উত্তম ঘোষ, তাঁর ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ এবং ভাই অনিল ঘোষ। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও চাকরি তো জোটেইনি, উল্টে চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করা হচ্ছে। এর আগেও টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এক বিক্ষোভকারী সুমন কুমার নাথ বলেন, প্রায় ছয় মাস হল তাঁদের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে না। টাকা নেওয়ার জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউ এবং নকল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন তিনি। প্রার্থীদের অবিলম্বে সেই টাকা ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে এই আন্দোলন বলে জানানো হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে এক অভিভাবক নৃপেন্দ্রনাথ দাস বলেন, উত্তম ঘোষের ভাগ্নে মিঠুন ঘোষ যে টাকা নিয়েছেন, সে কথা স্বীকার করা একটি ভিডিও রয়েছে আমাদের কাছে। আমরা পুলিশের কাছে যাব।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিঠুন ঘোষের বক্তব্য

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিঠুন ঘোষ বলেন, আমার মামা উত্তম ঘোষ এলাকায় (Uttar Dinajpur) অনেকদিন ধরেই সুনামের সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর পরিবারকে কালিমালিপ্ত করতেই এই চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। তবে মিঠুনের দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ওঁদের কাছ থেকে আমি ১১ লক্ষ টাকা নিয়েছি। আজ শনিবার টাকা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমি দিতে পারিনি। আগামী রবিবার ওঁদের ডেকে আমি মামার উপস্থিতিতে সব টাকা দিয়ে দেব। এরকম একটি বক্তব্য সামজিক মাধ্যমে ঘুরছে বলে জানা গেছে।

    তৃণমূল নেতা উত্তম ঘোষের বক্তব্য

    অপরদিকে উত্তম ঘোষ বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। এর সাথে কোনও ভাবেই আমি যুক্ত নই। প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি দেবে, তা মাথা পেতে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই (Uttar Dinajpur) ছিলাম। অসত্যকে আশ্রয় করে কীভাবে একটি অভিযোগ আনা যায়, সে বিষয়টি আমি লক্ষ করেছি। তবে মিঠুন ঘোষ তাঁর ভাগ্নে, একথা স্বীকার করেন উত্তম বাবু স্বয়ং। তিনি আরও বলেন, মিঠুনের টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু আমার ভাগ্নের টাকা নেওয়ার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার বদনাম করা হচ্ছে। আমি প্রয়োজনে মানহানি মামলা করব।

    পুলিশের ভূমিকা

    অন্যদিকে, এদিনের এই ঘটনার (Uttar Dinajpur) খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে স্থানীয় কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আন্দোলন তুলে নেন এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে। প্রতারিত ব্যক্তিরা কবে টাকা ফিরে পান, তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারমুডা ট্রায়াঙ্গল-এর নাম শোনেননি, এরকম মানুষ হয়তো খুব কমই আছেন। বিভিন্ন সময় নানা চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)। এই জায়গা ঘিরে আছে অসংখ্য রহস্য এবং অলৌকিক ঘটনা। এই জায়গাকে ঘিরে বিভিন্ন ‘কন্সপিরেসি থিয়োরি’ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করে। আটলান্টিক মহাসাগরে ৩টি স্থানের কাল্পনিক বিন্দুকে যোগ করে এই ত্রিভুজাকৃতি জায়গাটি গড়ে উঠেছে। এখানে সময় যেন থমকে যায়। বিভিন্ন বড় বড় জাহাজ থেকে শুরু করে বিমান এই অঞ্চলে একবার এলেই নিমেষের মধ্যে হারিয়ে যায়, যার খোঁজ পাওয়া যায় না কোনও ভাবেই। একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হন পাইলট থেকে জাহাজের নাবিকরা। এখানে কাজ করে না কম্পাস, নিজের তালে ঘুরতে থাকে দিকনির্ণয় যন্ত্রগুলি! ফলে অনায়াসে দিক ভুল করে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমান ও জাহাজ। এই জায়গাতে এমন কেন হয়, এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, যা আজও গবেষণার বিষয়। কিন্তু এই আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ছাড়াও আমাদের বাংলারই প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতে আছে এমন এক ট্রায়াঙ্গল, যা বারমুডার থেকে ভিন্ন নয়। এখানেও ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। কেন হয় এবং কীভাবে হয়, তা আজও রহস্য।

    কোন কোন অঞ্চলকে নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)?

    আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের (Bermuda Triangle) মতো ভারতেও ওড়িশার আমারদা রোড বিমানঘাঁটি, ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার পিয়ারডোবার কাছে তিনটি অঞ্চলকে নিয়ে একটি কাল্পনিক বিন্দু দিয়ে ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে ঘটে গেছে অনেক বিমান দুর্ঘটনা। কিন্তু কেন শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই এমন হয়, সেই যুক্তি হুবহু বারমুডার সাথে মিলে যায়। সেই দিকভ্রষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা, সব যেন এক।  এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে এই অঞ্চলেই। এই অঞ্চলের কিছু বিমান দুর্ঘটনা মানুষকে, বিজ্ঞানকে বার বার ভাবিয়েছে।
    এখানে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪৪ সালের ৪ মে, মার্কিন লিবারেট যুদ্ধবিমান এবং হার্ভার্ড দ্য হাভিল্যান্ড-এই বিমান দুটি যখন আমারদা রোড বিমানঘাঁটির কাছে এসে পৌঁছায়, তখন মুখোমুখি মারাত্মক সংঘর্ষ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান দুই বিমানে উপস্থিত মোট চারজন অফিসার। আবার এর ঠিক তিনদিন পরেই অর্থাৎ ১৭ই মে একই জায়গাতে আবার একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আরেকটি লিবারেটর যুদ্ধবিমান সেখান থেকে টেক অফ করে এবং কুড়ি মিনিটের মধ্যে সেখানে ভেঙে পড়ে। আরও অবাক হতে হয় ওই একই সপ্তাহের মধ্যে ১৩ই মে আমারদা রোড থেকে আরেকটি বিমান টেক অফ করার পরে সেখানে ভেঙে পড়ে। সেটি ছিল একটি হাভিল্যান্ড বিমান। কিন্তু এই দুর্ঘটনাতে কেউ মারা যায়নি।
    এখানেই শেষ নয়, আবার ১৯৪৫ সালের ২৬ শে জুলাই এই অঞ্চলে সব থেকে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। চার ইঞ্জিনের দুটি বোমারু বিমান ব্রিটিশ রয়াল যুদ্ধবিমান B-24  লিবারেটর ওই একই স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জন অফিসারের। সম্প্রতি ২০১৮ সালে আবার ওই অঞ্চলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আরেকটি বিমান। সব থেকে অবাক করা বিষয়, তখন আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার। বিমানের কোনও যান্ত্রিক গণ্ডগোলও ছিল না। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় কোনও মৃত্যু হয়নি।

    কেন এমন হয় শুধুমাত্র এই অঞ্চলে (Bermuda Triangle)? 

    শেষবার যে দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে, সেই বিমান চালক প্রাণে বেঁচে যান এবং তাঁর দেওয়া বর্ণনা শুনে আঁতকে ওঠেন সবাই। বিমান চালকের বর্ণনা অনুযায়ী, তাঁর বিমানটি যখন আমারদা বিমানঘাঁটির (Bermuda Triangle) ওপর এসে পৌঁছায়, তখন হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে প্লেনটি, যেন কোনও অদৃশ্য শক্তি টেনে নামিয়ে আনছে বিমানটিকে। অথচ তাঁর বিমানে কোনও সমস্যা ছিল না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি দেখলেন, বিমানটি একদম মাটির কাছাকাছি নেমে এসেছে। তিনি তৎক্ষণাৎ বিমান থেকে লাফ দেন এবং নিচে পড়ে যান। তাঁর কোনও রকম ক্ষতি না হলেও বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন কেন হয়, এই নিয়ে সবার মধ্যে অনেক বিতর্ক আছে। 
    বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, যত দুর্ঘটনা এই আমারদা বিমানঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই। এই বিমানঘাঁটির কাছাকাছি একটি জায়গা আছে ঝাড়খণ্ডের জাদুগোরা ইউরেনিয়াম খনি। সেখানে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবেই হয়তো বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়। বিমানের  র‌্যাডার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আবার কেউ কেউ বলেন, আমারদা বিমানঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় আছে বিশাল এক চৌম্বক ক্ষেত্র, যা বিমানকে টেনে নিচে নামিয়ে আনে এবং দুর্ঘটনা ঘটে।
    কিন্তু এসব যুক্তি এখনও প্রমাণিত নয়, কোনও গবেষণা এখনও এসব প্রমাণ করতে পারেনি। কেউ কেউ মনে করেন, সরকারি গবেষণায় হয়তো এর কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটি সরকার থেকে গোপন রাখা হয়েছে। কেননা কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই বিষয়ে গবেষণা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যাই হোক, এই অঞ্চল আজও রহস্যে ঘেরা। অনেক অজানা বিষয় আছে এই অঞ্চলকে ঘিরে। হয়তো ভবিষ্যতে রহস্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share