Tag: Bengali news

Bengali news

  • Imran Khan: ইমরানের খেলা শেষ, তোপ দাগলেন নওয়াজ কন্যা মারিয়াম

    Imran Khan: ইমরানের খেলা শেষ, তোপ দাগলেন নওয়াজ কন্যা মারিয়াম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মারিয়াম নওয়াজের তোপের মুখে পড়লেন ইমরান খান (Imran Khan)। তেহরিক-ই-ইনসাফ এর প্রধান ইমরান খানের উদ্দেশে নওয়াজ কন্যা বলেন, ‘‘আপনার খেলা শেষ।’’ এদিন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শিয়াল বলেও কটাক্ষ করেছেন মারিয়াম। প্রসঙ্গত, মারিয়াম নওয়াজ হলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ পিএমএল(এন) এর সহ-সভাপতি।

    আরও পড়ুন: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

    দলের যুব সম্মেলনে ইমরানকে (Imran Khan) একহাত নেন মারিয়াম

    শনিবার পাকিস্তানের বাহারিতে তাঁর দলের একটি যুব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন মারিয়াম। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইমরানের (Imran Khan) দল তেহরিক-ই-ইনসাফ ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। সেই ঘটনাকে টেনে এনে ইমরানের উদ্দেশে এই কটাক্ষ করেন মারিয়াম। পাশাপাশি ৯ মে ইমরানের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে সারা পাকিস্তান জুড়ে যে অশান্তি এবং হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে, তারও কড়া নিন্দা করতে শোনা যায় নওয়াজ কন্যাকে। তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘একজন নেতা যখন শিয়ালের মতো হন, তখন তাঁর সঙ্গে কেমন করে মানুষ থাকবে?’’ এরপর পাকিস্তানে হওয়া যাবতীয় হিংসার দায় তিনি ইমরানের উপর চাপিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের হিংসার আসল ষড়যন্ত্রী ইমরান।’’

    চলতি মাসেই ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল গোটা পাকিস্তান

    জমি দুর্নীতির অভিযোগে ৯ মে ইমরানের গ্রেফতারির পর সে দেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ইমরানের দলের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে গাড়ি জ্বালাতে থাকেন। পাশাপাশি সেনা অফিসারদের বাড়িতেও চলে হামলা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ইমরানের দল। তাঁর জামিনের দিনেও হিংসা ছড়ায় কোর্ট চত্বরে। সেখানে তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। হিংসায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দৃষ্টিহীন হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১২ নম্বর পেয়ে সফল রিয়া রায়

    Murshidabad: দৃষ্টিহীন হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১২ নম্বর পেয়ে সফল রিয়া রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিহীনদের লেখাপড়ার স্বার্থে লুই ব্রেইল যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, সেই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে সফল হলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর কান্তনগরের এক কাপড় ব্যবসায়ীর জ্যেষ্ঠ কন্যা রিয়া রায়।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে পড়াশুনা করত রিয়া

    রিয়া প্রমাণ করলেন, মনের জোর থাকলে সমস্ত কিছুই সম্ভব। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে কোনও রূপ বাধা সৃষ্টি করতে পারে না, আবারও প্রমাণ করলেন লিপিকা গার্লস মেমোরিয়াল স্কুলের (Murshidabad) ছাত্রী রিয়া রায়। এবার তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে ব্রেইল পদ্ধতিতে ৪১২ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর গ্রেড এ প্লাস। বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলি হল ইংরেজিতে ৮৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৮৫, ইতিহাসে ৮৬, সংস্কৃতে ৮০ এবং বাংলায় ৭৪। রিয়া আরও জানিয়েছেন, একজন ছাত্রীকে প্রচণ্ড অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্দেশ্যকে সুস্থির রেখে পড়াশুনা করতে হয়। রিয়ার বাবা বিশ্বনাথ রায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী এবং মা জবা রায় গৃহিণী। রিয়া এরকম রেজাল্ট করার জন্য তাঁর স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকা এবং বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আরও বলেন,, আজ এই দিনে যদি লিপিকা গার্লস মেমোরিয়াল স্কুল এবং আমার বন্ধুবান্ধব না থাকত, তাহলে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে সপ্তাহ ব্যাপী উদযাপনের অনুষ্ঠানে রিয়া কন্যাশ্রী প্রকল্পের কন্যাশ্রী আবৃত্তি করে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছিলেন। রিয়া রায় পড়াশুনোর পাশাপাশি কবিতা আবৃতি এবং গান করতে খুব ভালোবাসেন। আগামিদিনে পড়াশোনা করে অধ্যাপক হতে চান।

    স্কুলের শিক্ষিকা এবং অভিভাবকের প্রতিক্রিয়া

    রিয়া রায় সম্পর্কে লিপিকা গার্লস মেমোরিয়ালের প্রধান (Murshidabad) শিক্ষিকা শালিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, মনের জোর থাকলে সবকিছু জয় করা যায়। আর তার চাক্ষুষ প্রমাণ আজকের রিয়া রায়। তিনি আরও বলেন, রিয়া আমাদের প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা, কোনও কিছুতেই সে হার মানে না। আর সেই জন্যই তার ফলস্বরূপ আজ রিয়া উচ্চমাধ্যমিকে এই ফল পেয়েছে। রিয়ার এই রেজাল্টে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ সমস্ত শিক্ষিকারা উচ্ছ্বসিত। সেই সঙ্গে বাবা বিশ্বনাথ রায় জানিয়েছেন, মেয়ের পড়াশুনার জন্য সব রকম সহযোগিতা আমরা করব। ওর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সব সময় ওর সঙ্গে আছি। রিয়ার জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করি। দৃষ্টিহীন ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য সকল প্রতিবন্ধকতাকে কীভাবে অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Hospital: সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা? দালালচক্রে হয়রান রোগী ও পরিজনেরা

    WB Hospital: সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা? দালালচক্রে হয়রান রোগী ও পরিজনেরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, সরকারি হাসপাতাল (WB Hospital) নিয়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল, দালালচক্র। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে ওষুধ সবটাই হবে বিনামূল্যে, সম্পূর্ণ নিখরচায়, এমন কথা সব সময় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও টাকা দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে সক্রিয় একাধিক দালালচক্র। অন্য হাসপাতাল থেকে রেফার হোক কিংবা সরকারি হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি, দালালকে টাকা দিলে তবেই সম্ভব। না হলে, ‘বেড নেই’, এমনই শুনতে হয়। 

    কী অভিজ্ঞতা হয় রোগীর পরিবারের (WB Hospital)? 

    সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) ভর্তি নিয়ে নানান অভিযোগ রোগীর পরিবারের। তবে, দালালচক্রের জন্য সবচেয়ে বেশি হয়রানি হতে হয় রোগী ও পরিজনের। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে এক রোগী জ্বর, কাশি ও ফুসফুসের কিছু সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁকে পরীক্ষার পর চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ফুসফুসের সমস্যার জন্য তাঁকে ভর্তি হতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে কাউন্টারের কাছে কিছু ব্যক্তি এসে তাঁর পরিজনদের জানান, তাঁরা হাসপাতালের কর্মচারী। পরিবারের কাছে নগদ কয়েক হাজার টাকা দাবি করা হয়। তবেই রোগী ভর্তি করা হবে, এমনও জানানো হয়। পরিবারের সেই টাকা দেওয়ার সামর্থ ছিল না। তাঁরা রোগী ভর্তি করতে পারেননি। পরে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সেই রোগী আরও জটিল বক্ষঃরোগ নিয়ে ভর্তি হন। মুর্শিদাবাদের ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। এমনই অভিজ্ঞতা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের এক রোগী ও তাঁর পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে যান বীরভূমের এক প্রৌঢ়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে হলেও দালালচক্রকে টাকা দিতে হবে বলেই অভিযোগ করেন ওই প্রৌঢ় ও তাঁর পরিবার।ফলে, বিনা চিকিৎসাতেই হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হয়। ভোগান্তির শিকার রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, কলকাতা হোক বা জেলা, রাজ্যের যে কোনও সরকারি হাসপাতাল বিশেষত যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রোগী ভর্তি করতে হলেই নগদ টাকা দিতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দালালচক্রে যাঁরা সক্রিয় থাকেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের কর্মী। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও অধিকাংশ সময়ই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় না।

    দালালচক্র (WB Hospital) নিয়ে সরব খোদ বিধায়ক থেকে সাংসদ? 

    সরকারি হাসপাতালের (WB Hospital) দালালচক্রের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শুধু রোগী ও তাঁর পরিবার নয়। এবার তা নিয়ে মুখ খুলছেন তৃণমূলের বিধায়ক থেকে সাংসদ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি দলের অন্দরেই একাধিক নেতা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বারবার বিজ্ঞাপনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বলা হচ্ছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে রোগী হয়রানি বাড়ছে। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, সময়মতো চিকিৎসাও পাওয়া যায় না। তবে, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে যেভাবে সরাসরি দালালচক্রের খপ্পরে পড়তে হয়, তা বন্ধ করা দরকার বলে দলের অন্দরেই জানাচ্ছেন নেতারা। তবে শুধু বন্ধ ঘরে নয়, হাসপাতালের দালালচক্র নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র থেকে সাংসদ শতাব্দী রায়। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে মুখ খোলেন মদন মিত্র। সংবাদ মাধ্যমে জানান, টাকা না দিলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায় না।তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ও অভিযোগ করেন, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের দালালচক্র নিয়ে। 

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর কিন্তু এ নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) দালালচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানায়, অভিযোগ জমা পড়লেই খতিয়ে দেখা হয়। কেউ ভোগান্তির শিকার হলে অভিযোগ জানান। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাত সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজেশ পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি। তিনি খড়্গপুরের একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁকে শুধু গ্রেফতার নয়, খড়্গপুরের স্কুল থেকে কোচবিহারের সিতাইয়ে বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার শালবনির শালডহরা এলাকায় কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

    দলীয় নেতা গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমন মাহাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন একজন রাজেশকে গ্রেফতার করে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেবেন, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। আমাদের আন্দোলন থামবে না। বরং, এই ঘটনার পর আমাদের এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    শালবনির সভা থেকে কুড়মিদের নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরে জাতি দাঙ্গার মতো এখানে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাহাড় আলাদা করে দাও। এই জাতি দাঙ্গা করেছিল বিজেপি। আমি কোনওরকমে সামলেছি।  রাজবংশী আর কামতাপুরীদের আলাদা করে দাও। আমি সামলেছি।   এখন আদিবাসী আর কুড়মিদের লরিয়ে দিচ্ছে। টাকা দিচ্ছে বিজেপি। জাতি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এরপরই কুড়মিদের হুঁশিয়ারি, আমাকে চমকানোর চেষ্টা করবেন না। হিংসা করলে আমাকে পাশে পাবেন না। আমরা চারবার কেন্দ্রের কাছে কুড়মিদের জন্য চিঠি দিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ কুড়মি নেতারা, কেন?

    শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁদের থানায় দিনভর আটকে রাখা হলেও  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমনবাবু বলেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় হামলার সঙ্গে কুড়মিরা কেউ জড়িত নই। আর কারা এই কাজ করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তারা চিহ্নিত করুক। আর সাত দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু, থানায় আমাদের আটকে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর কুড়মিদের নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন দাঙ্গাবাজ নেত্রী। তাই, সবকিছুতেই তিনি দাঙ্গাকে দেখতে পান। মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্যই জঙ্গলমহলে কুড়মিরা আন্দোলন করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে তৃণমূল শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে, তাদের উন্নয়নে কিছু করেনি। তাই, কুড়মিরা এভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: শিব-শক্তির মেলবন্ধন, বিমল প্যাটেলের ভাবনার মূর্ত প্রতীক নয়া সংসদ ভবন

    New Parliament Building: শিব-শক্তির মেলবন্ধন, বিমল প্যাটেলের ভাবনার মূর্ত প্রতীক নয়া সংসদ ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার উদ্বোধন হল দেশের নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। এটি নির্মাণ করা হয়েছে শ্রী যন্ত্র ধাঁচে। শ্রী যন্ত্র হল ন’টি ত্রিভুজের একত্রীভূত একটি মডেল, যার উপরের চারটি ত্রিভুজ শিবের প্রতীক এবং নিচের পাঁচটি ত্রিভুজ শক্তির প্রতীক। নতুন সংসদ ভবন এই শিব-শক্তি প্রতীকের আদলে তৈরি করা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনের স্থপতি হলেন আমেদাবাদের বিমল প্যাটেল।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    কে এই বিমল প্যাটেল

    ৬৪ বছর বয়সী একজন স্থপতি বিমল প্যাটেল বিভিন্ন আরবান প্ল্যানিং এবং ডিজাইনিং-এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষ তিনি। বর্তমানে তিনি আমেদাবাদের ‘সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং অ্যান্ড টেকনোলজি’-র সভাপতি পদে রয়েছেন। শোনা যায়, বিমল প্যাটেলের বাবাও ছিলেন একজন নামকরা স্থপতি হাসমুখ প্যাটেল। যিনি গুজরাট হাইকোর্টের নকশা বানিয়েছিলেন ১৯৯২ সালে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেরও নকশা করেছিলেন বিমল প্যাটেল

    দেশের নামকরা এই স্থপতি আরও অনেকগুলি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথের করিডর স্থাপন। এছাড়াও মুম্বই পোর্ট ট্রাস্টেরও কাজ তিনি করেছেন। আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রমের পুনর্নির্মাণও তাঁর হাতেই সম্পন্ন হয় বলে জানা যায়।

    রবিবার সকালেই উদ্বোধন হল নতুন সংসদ ভবনের

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সংসদ ভবন চত্বরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে গাঁধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তার পর বিশেষ পুজোয় অংশ নেন। সেখানে তাঁর পাশে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। পাশাপাশি বসে পুজোয় অংশ নেন দু’জনে। এর পর সামনে রাখা ‘সেঙ্গল’ (Sengol) দেখে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন মোদি। তার পর তাঁর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন অধিনাম পুরোহিতরা। এর পর সংসদভবনের ভিতরে যান মোদি। নয়া সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের পাশেই থাকবে সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’। সেই মতো সেখানে সেটিকে প্রতিস্থাপিত করেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: সর্বধর্ম প্রার্থনা, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন! ট্যুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    New Parliament Building: সর্বধর্ম প্রার্থনা, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন! ট্যুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রীতি ও ঐতিহ্য মেনে উদ্বোধন হল নতুন সংসদ ভবনের। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে পাশে নিয়ে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে লিখলেন, “সংসদের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধনে আমাদের হৃদয় গর্ব, আশা ও প্রতিশ্রুতিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আশা করি দেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই সংসদ ভবন।” 

    ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি এই ভবন। সংসদ ভবন উদ্বোধনের আগে সর্বধর্ম প্রার্থনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

    আজকের অনুষ্ঠান 

    সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের আচার অনুষ্ঠান। শুরুতেই যজ্ঞ ও পুজো করা হয়। তারপর স্থাপন করা হয় সেঙ্গল। এতদিন প্রয়াগরাজের জাদুঘরে রাখা ছিল এই সোনার রাজদণ্ড। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে দেশের জ্ঞানীগুণী মানুষ।

    দুপুর ১২টার সময় আজকের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগের সূচনা হবে। সেই সময় দু’টি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হওয়ার কথা। তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির বার্তা পাঠ করবেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। এরপর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বক্তৃতা পেশ করবেন। সংসদ ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে একটি কয়েন এবং একটি স্ট্যাম্প উন্মোচন করা হবে। আজকের অনুষ্ঠান শেষ হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের মাধ্যমে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি নতুন সংসদ ভবনে ভাষণ দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: নতুন অধ্যায় শুরু! প্রতিস্থাপিত হল সেঙ্গল, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির

    নির্মাণকর্মীদের সম্মান

    নির্মাণকর্মী থেকে সাফাইকর্মী, যাঁরা নতুন সংসদ ভবন তৈরিতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের চাদর পরিয়ে এদিন সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে যে বিশেষ স্মারক তৈরি করা হয়েছে, তা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নতুন সংসদ ভবনের চত্বর এদিন ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া সহ এনডিএ জোট অন্তর্ভুক্ত কমপক্ষে ১৮ জন সদস্য়দের। ২৫টি বিরোধী দলের তরফেও এই অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New parliament building: নতুন অধ্যায় শুরু! প্রতিস্থাপিত হল সেঙ্গল, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির

    New parliament building: নতুন অধ্যায় শুরু! প্রতিস্থাপিত হল সেঙ্গল, সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো সংসদ ভবনের পথ চলা শেষ। আজ, রবিবারই উদ্বোধন হবে নবনির্মিত সংসদ ভবনের (New parliament building)। সকাল থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সংসদভবন চত্বরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমে গাঁধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তার পর বিশেষ পুজোয় অংশ নেন। সেখানে তাঁর পাশে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। পাশাপাশি বসে পুজোয় অংশ নেন দু’জনে। এর পর সামনে রাখা ‘সেঙ্গল’ (Sengol) দেখে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন মোদি। তার পর তাঁর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন অধিনাম পুরোহিতরা। এর পর সংসদভবনের ভিতরে যান মোদি। নয়া সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের পাশেই থাকবে সোনার রাজদণ্ড ‘সেঙ্গল’। সেই মতো সেখানে সেটিকে প্রতিস্থাপিত করেন মোদি।

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘সেঙ্গল’ প্রদান

    নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের (New parliament building) আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে ঐতিহাসিক ‘সেঙ্গল’ তুলে দেন পবিত্র শৈব মঠ তিরুভাদুথুরাই আধিনামের সন্ন্যাসীরা। শনিবার চেন্নাই থেকে দিল্লিতে পৌঁছন আধিনামের ৬০ জন সাধু। এদিনই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হন তাঁরা। মন্ত্র পাঠ করে নরেন্দ্র মোদির হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেওয়া হয় আধিনামের পক্ষ থেকে। সাধুদের থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন মোদি। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। 

    রজনীকান্তের স্বাগত বার্তা

    সেঙ্গল প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণী সুরাপস্টার রজনীকান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিল ভাষায় ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, ‘তামিল শাসক শক্তির ঐতিহ্যবাহী প্রতীক – রাজদণ্ড ভারতের নতুন সংসদ ভবনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তামিলিয়ানদের গর্ব এটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, যিনি তামিলদের জন্য গর্বের একটি জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Parliament House: বর্তমান পার্লামেন্টের উদ্বোধন কে করেছিলেন জানেন? 

    Indian Parliament House: বর্তমান পার্লামেন্টের উদ্বোধন কে করেছিলেন জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ মে রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে সেই উদ্বোধনকে ঘিরে সাজো সাজো রব চারিদিকে। সকাল থেকেই শুরু হবে পুজো। দেশের সাধু-সন্তদের উপস্থিতিতে সেঙ্গল স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক অধ্যক্ষের চেয়ারের কাছেই। এদিন উপস্থিত থাকার কথা দেশের ২৫টি রাজনৈতিক দলের। জানা যাচ্ছে, বর্তমান সংসদ ভবনের (Indian Parliament House) ১০০ বছর পূর্তি হতো ২০২৭ সালে। স্যার এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বার্ট বেকারের নেতৃত্বে এই ভবন গড়ার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯২১ সালে। উদ্বোধন হয়েছিল ১৯২৭ সালে।

    বর্তমান সংসদের (Indian Parliament House) ইতিকথা

    সে সময় এই সংসদ ভবনের (Indian Parliament House) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন রানী ভিক্টোরিয়ার পুত্র প্রিন্স আর্থার। শোনা যায়, সে সময় ৫ বছর ধরে এই কাজ চলেছিল। ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়াররা মধ্যপ্রদেশের উত্তরে অবস্থিত বিখ্যাত ৬৪ যোগিনী মন্দির এর আদলে বর্তমান সংসদ ভবনের নকশা বানিয়েছিলেন। ১৯২৭ সালে ভবনটি উদ্বোধন করেন বড়লাট লর্ড আরউইন। তখন অবশ্য এই ভবনের নাম ছিল কাউন্সিল হাউস। এবং ভেতরেই চলত কেন্দ্রীয় আইনসভা। প্রসঙ্গত ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল এই ভবনের ভিতরেই বোমা নিক্ষেপ করে স্লোগান তুলেছিলেন ভগত সিং এবং বাংলার বটুকেশ্বর দত্ত।

    আরও পড়ুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    একনজরে পৃথিবীর প্রাচীনতম সংসদ ভবনগুলি

    ফ্রান্সের কথাই ধরা যাক। ফ্রান্সের বর্তমান সংসদ ভবনটি বানানো শুরু হয়েছিল ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয় ১৬৪৫ সালে। আবার বেলজিয়ামের কথা ধরলে সেখানকার সংসদ ‘প্যালেস অফ দ্য নেশন’ নামের এই ভবনটি তৈরি হয়েছিল ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে। চেক প্রজাতন্ত্র তাদের সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল  ১৬২৩ সালে। শোনা যায় ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। আবার গ্রিসের কথা ধরুন, তাদের ‘ওল্ড রয়েল প্যালেস’ এর উদ্বোধন হয়েছিল ১৮৪৩। ব্রিটিশ সংসদ অনেক পুরনো। ১৮৩৪ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে ভবনটি পুড়ে গেলে ১৮৭৬ সালে আবার তাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়। আবার আমেরিকার কথা বলতে গেলে তাদের সংসদ ভবন বানানোর কাজ শেষ হয়েছিল ১৮০০ সালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share