Tag: Bengali news

Bengali news

  • WBJEE 2023 Result: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, কে হলেন প্রথম? দেখুন মেধা তালিকা

    WBJEE 2023 Result: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, কে হলেন প্রথম? দেখুন মেধা তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২:৩০ নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ফল প্রকাশ করল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এদিন  জয়েন্টের ‘র‍্যাঙ্ক’ প্রকাশ করল বোর্ড। ২০২৩ সালে জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সাহিল আফতার। তিনি ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন ওই স্কুলেরই সোহম দাস। তবে দুজনেই পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের ছাত্র নন। তাঁরা সিবিএসই বোর্ডে পড়াশোনা করতেন। বিকাল ৪টে থেকে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in থেকে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের ‘র‍্যাঙ্ক কার্ড’ ডাউনলোড করতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে এই login করতে হবে বলে জানিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। রেজাল্টের ভিত্তিতে এই পড়ুয়ারা ইঞ্জিনিয়ারিং -এর স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে পারবেন।

    মেধা তালিকা

    তৃতীয় স্থানাধিকারী সারা মুখোপাধ্যায় বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সারা অবশ্য উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের ছাত্রী। চতুর্থ হয়েছেন সৌহার্দ্য দণ্ডপত। তিনি মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। পঞ্চম স্থানাধিকারী অয়ন গোস্বামী সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র, বিদ্যালয়ের নাম দুর্গাপুর হেমশীলা মডেল স্কুল। ষষ্ঠ হয়েছেন অরিত্র অম্বুধ দত্ত। সোদপুরের নারায়ণা স্কুলের। সেও সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র। সপ্তম হয়েছেন পিন্টন সাহা। রাজস্থানের মা ভারতী স্কুলের ছাত্র। অষ্টম স্থানাধিকারী সাগ্নিক নন্দী, বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের। নবম হয়েছেন রক্তিম কুণ্ডু। রাজস্থানের দিশা দেলভি পাবলিক স্কুলের ছাত্র তিনি। জয়েন্টে দশম শ্রীরাজ চন্দ্র, কাটোয়ায় হোলি এঞ্জেল স্কুলের ছাত্র। আইএসসি বোর্ডের।

    চলতি বছরে ৩০ এপ্রিল হয়েছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা 

    চলতি বছর ৩০ এপ্রিল জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা (WBJEE) হয়েছিল। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ১.২৪ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। মোট ৩০৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে ৩০৩ টি কেন্দ্র ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বাকি দুটি ছিল অসম এবং ত্রিপুরায়। প্রথম পত্র (অঙ্ক) এবং দ্বিতীয় পত্রের (ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রি) পরীক্ষা হয়েছিল। প্রথম পত্রে মোট ৭৫টি প্রশ্ন ছিল। যে পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল দুপুর ২টো থেকে। শেষ হয়েছিল বিকেল ৪টেয়। দ্বিতীয় পত্রে মোট ৮০টি প্রশ্ন ছিল।

    আরও পড়ুন: জুন মাসের ‘নেট’ পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু! জানুন বিস্তারিত

    কীভাবে  ‘র‍্যাঙ্ক কার্ড’ ডাউনলোড করতে পারবেন?

    ১) প্রথমে যেতে হবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.in-তে।

    ২) হোমপেজে ‘WBJEE’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।

    ৩) নতুন পেজ খুললে, সেখানে আবার ‘WBJEE 2023 Result’-র লিঙ্ক দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করতে হবে।

    ৪) এরপর অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে। স্ক্রিনে পরীক্ষার্থীর ‘র‍্যাঙ্ক কার্ড’ দেখা যাবে। তা ডাউনলোড করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে মেয়ে, তবুও একরাশ দুশ্চিন্তায় বসাক দম্পতি!

    HS Rank: উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানে মেয়ে, তবুও একরাশ দুশ্চিন্তায় বসাক দম্পতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকা ডাঙ্গারহাট। সেখানকার বাসিন্দা পেশায় টোটো চালকের মেয়ে সৃজিতা বসাক ৪৯৩ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ স্থান (HS Rank) অধিকার করেছেন। সৃজিতা আগামীতে উচ্চশিক্ষিত হয়ে শিক্ষকতা করতে চান। আর সমাজসেবা করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। তাঁর সাফল্যে পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বসিত হলেও আগামীতে পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলবে, সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সৃজিতার বাবা সুজিত বসাকের।

    কীভাবে চলবে মেয়ের পড়াশোনা?

    সামান্য টোটো চালিয়ে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সংসার খরচই ওঠে না। তবুও এতদিন কষ্ট করে কোনওরকমে মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পেরেছেন। মা সোমা বসাক গৃহবধূ। স্বাভাবিক ভাবেই আগামীতে উচ্চশিক্ষায় বিপুল অঙ্কের অর্থ কীভাবে জোগাড় করে মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করবেন, সেই চিন্তায় কালঘাম ছুটেছে বসাক দম্পতির। সৃজিতার বাবা সুজিত বসাক বলেন, টোটো চালিয়ে সংসার চালাই। এর উপরই পুরো সংসার। মেয়ের এই সাফল্যে (HS Rank) যেমন খুশি, তেমন চিন্তিতও। আগামীতে কীভাবে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাব জানি না।

    ইংরেজিতে এত কম নম্বর (HS Rank), মেনে নিতে পারছেন না

    সৃজিতা ডাঙ্গারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Rank) দিয়েছিলেন। মাধ্যমিকে তিনি ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ ৬৫১ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। তাঁর বিষয়ভিত্তিক নম্বর বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৬৪, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ৯৭, ভূগোলে ১০০, এডুকেশন ১০০ এবং দর্শনে ৯৯ । ইংরেজিতে ৬৪ পাওয়ায় বেস্ট অফ ফাইভ থেকে বাদ গিয়েছে। ইংরেজিতে নম্বর এত কমে যাওয়ার  বিষয়টি তিনি কোনওভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তিনি রিভিউয়ে জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। পড়াশোনোর বাইরে তিনি গল্পের বই পড়তে এবং আবৃত্তি করতে ভালোবাসেন। সৃজিতা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতাম। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়াশোনায় খুব সাহায্য করেছেন। আগামীতে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষকতা করতে চান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamai Sasthi: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জুটল শাশুড়ির ছোড়া ইঁট, শালার গলাধাক্কা!

    Jamai Sasthi: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে জুটল শাশুড়ির ছোড়া ইঁট, শালার গলাধাক্কা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম-কাঁঠাল নয়, জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন শ্বশুরবাড়িতে এসে শাশুড়ির ছোড়া ইঁটের আঘাত এবং শালার গলাধাক্কা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন জামাই। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। রাস্তাঘাটে রীতিমতো আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে এই ঘটনা। জামাই শ্বশুরবাড়ি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত শাশুড়ি, শালা বা স্ত্রী-কেউই এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। এলাকার মানুষের কথা শুনে মনে হয়েছে, তাঁরা জামাইয়েরই পক্ষে।

    স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই বছর পাঁচেক (Jamai Sasthi)

    স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই বছর পাঁচেক হবে। নদিয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। তাঁর কাছ থেকে খোরপোষের মামলা বাবদ বেশ কিছু টাকাও নিয়েছেন স্ত্রী। আটকে রেখে দিয়েছেন তাঁর গাড়ি। দেখা করতে দেওয়া হয় না সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলের সাথে। বারবার বলেও হয়নি কোনও কাজ। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর দু’নম্বর কলোনিতে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর (Jamai Sasthi) দিন হাজির তিনি। শাশুড়ির জন্য শাড়ি, আম-কাঁঠাল, দই-মিষ্টি এবং ছেলের জন্য লজেন্স-বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হল হিতে বিপরীত। তিনি যেতেই স্ত্রী চলে যান বাড়ি ছেড়ে। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন শাশুড়ি এবং শালা। বহু ডাকাডাকির পর শাশুড়ির দেখা মিললেও প্রণাম করতে গিয়ে জুটলো ইঁটের টুকরো। ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে শালা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেয়। প্রতিবেশীরা দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই পরিবারের প্রতি সকলেরই বিতৃষ্ণা রয়েছে। তাই প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছে, জামাই নাকি খুব ভালো।

    আইনি সমস্যায় জর্জরিত জামাই (Jamai Sasthi)

    এ প্রসঙ্গে অনুপবাবু বলেন, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি। কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাশ করাই। আমার সুপারিশে তার বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি হয়। কিন্তু সেখানেও পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে শুরু। পরবর্তীতে প্রতিবেশী একটি ছেলের সাথে গোপন সম্পর্ক whatsapp এ দেখে ফেলি আমি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ি সহ স্থানীয় কাউন্সিলার, বিধায়ক সকলকে জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল। তাই বাধ্য হয়েই আজকের এই সিদ্ধান্ত। খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে এক লক্ষ টাকা নিয়েও তাঁকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করে রাখা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে (Jamai Sasthi) অনুপবাবুর শাশুড়ি এবং শালাকে বারংবার প্রশ্ন করলেও ক্যামেরার সামনে তাঁরা মুখ খোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River:  নদীতে স্নান করতে নেমে বেঘোরে প্রাণ গেল চার বছরের শিশুসহ তিন ভাইবোনের

    River: নদীতে স্নান করতে নেমে বেঘোরে প্রাণ গেল চার বছরের শিশুসহ তিন ভাইবোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাফিয়াদের বালি তোলার কারণে নদীর (River) জলে ডুবে মৃত্যু হল একই পরিবারের চার বছরের শিশুসহ তিনজনের। বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি থানার দো-মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চৌনাগারা গ্রামের সুধানী নদীতে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রোজিনা খাতুন (৯), তাসিনা খাতুন (৭) এবং মহঃ রিজুয়ান (বয়স ৪)। তাদের বাড়ি পশ্চিম চৌনাগারা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ  সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সুধানী নদীতে (River) স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায় চারজন। তাদের মধ্যে ৩ ভাইবোন ও এক প্রতিবেশী শিশু ছিল। সেখানেই তিন ভাইবোনের মধ্যে বোন তাসিনা নদীর হাঁটু জলে নেমে আচমকাই গভীর জলে তলিয়ে যায়। কোলে ছোট ভাইকে নিয়েই বড় বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তারাও একসঙ্গে নদীতে তলিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে তাদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে, অগভীর সুধানী নদীতে এই মরশুমে হাঁটুজল থাকার কথা, সেখানে কীভাবে আচমকা গভীর জলে ডুবে গেল তিন শিশু, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে ওই নদী (River) থেকে লাগাতার বালি তোলার কারবার চালাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। যে কারণে অগভীর নদীর যেখানে সেখানে বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তারজন্যই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে স্থানীয়দের দাবি। জেসিবি বা ট্রাক্টরের টায়ারের ছাপ আছে এখনও। এমনকী নদী থেকে সদ্য তোলা বালি এখনও পাড়ে মজুত করে রাখা হয়েছে। লাগাতার বালি মাফিয়াদের কারবারের জেরে নদী (River) জায়গায় জায়গায় অত্যন্ত গভীর হয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    মৃত শিশুর মামা সাহেব আলি বলেন, নদীর (River) সামনের দিকে খুব কম জল রয়েছে। একটু ভিতরেই অনেকটা গর্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বালি তোলার জন্যই নদীর এই অবস্থা। আর অকালেই তিনজনের মৃত্যু হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sulekha Ink: যাদবপুরের ‘সুলেখা মোড়’ নামের পিছনে লুকিয়ে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের ইতিহাস!

    Sulekha Ink: যাদবপুরের ‘সুলেখা মোড়’ নামের পিছনে লুকিয়ে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের ইতিহাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার যাদবপুর একটি অতি পরিচিত জায়গা। আর তা পরিচিত হওয়ার পিছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, সেটি হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এই যাদবপুরেই আছে আরও এক জায়গা, যাকে যাদবপুরের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক বলা যেতে পারে। তা হল ‘সুলেখা মোড়’। এই জায়গার নাম অতি সাধারণ হলেও এর পিছনে আছে অনেক ইতিহাস। আসলে ‘সুলেখা’ একটি কোম্পানি, যা লেখার কালি প্রস্তুত করত। সেই কালির (Sulekha Ink) ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা যে গোটা ভারত ও বিশ্বে পৌঁছে গিয়েছিল, সেকথাও কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু এর ইতিহাস কি জানেন?

    সুলেখা কালির (Sulekha Ink) উৎপত্তি কীভাবে?

    সময়টা ১৯০৫ সাল। লর্ড কার্জনের কুখ্যাত বঙ্গভঙ্গর সূচনা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সরব অনেকেই। এটি পরিণত হল স্বদেশি আন্দোলনে। মূল লক্ষ্য ছিল, সমস্ত বিদেশি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার করা। এরই ফলে তৈরি হয় এশিয়ান পেইন্টস, টাটা স্টিল নামক অনেক সংস্থা। এই আন্দোলনে গান্ধীজিও প্রভাবিত হন এবং তিনি চিঠি, আবেদনপত্র প্রভৃতি লিখতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কালি খুঁজছিলেন। এই চাহিদার কথা তিনি জানান বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র দাশগুপ্তকে। আর সতীশচন্দ্রের কাছ থেকে একথা জানতে পেরে ননীগোপাল মৈত্র এবং তাঁর ভাই শঙ্করাচার্য মৈত্র দেশীয় কালি বানানোর প্রথম উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগের ফসল হিসাবেই ১৯৩৪ সালে জন্ম নেয় সুলেখা কালি কোম্পানি। আস্তে আস্তে গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই কালির জনপ্রিয়তা। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই কালি ছিল ভারতের প্রথম তৈরি কালি। আর এই কালি উৎপাদন হত দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে। বর্তমানের সুলেখা মোড়েই ছিল এর কারখানা। সেই থেকে এই জায়গা নাম পায় ‘সুলেখা মোড়’।

    সুলেখা নাম কে এবং কেন রাখলেন?

    প্রথমে স্বদেশি কালি নামেই পরিচিত পেয়েছিল এই কালি। কিন্তু পরে গান্ধীজির কাছে এই কালির জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে ওঠে যে তিনি নিজে এর নামকরণ করেন। খুব ভালো লেখা হত, তাই ‘সু-লেখা’ থেকে ‘সুলেখা’ নামকরণ করেন তিনি। এই কালি এই নামেই পরিচিতি পায় সমগ্র ভারতবর্ষে। বাংলার বাইরেও এর উৎপাদন শুরু হয় এই নামেই। এমনকী এই কালির বিজ্ঞাপনের লেখা লেখেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি লেখেন, ‘সুলেখা কালি কলঙ্কের থেকেও কালো’

    ননীগোপাল মৈত্র শিক্ষকতার চাকরি ছেড়েছিলেন কেন?

    স্বাধীনতা সংগ্রামী ননীগোপাল মৈত্র প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন এবং সেই সময় তিনি পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর হন। পরে তিনি ছাড়া পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু সেই সময় স্বদেশী আন্দোলনের দ্বারা তিনি এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যুট পরে যাওয়ার নীতি থাকলেও তিনি ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকেও মেনে না নেওয়ায় চাকরি ছেড়ে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং এই কালির ব্যবসাতেই সম্পূর্ণ  মনোনিবেশ করেন। সে সময় এই কালি “প্রফেসর মৈত্রের কালি” নামেও পরিচিতি পেয়েছিল। এক সময় এই কালির মাসিক বিক্রির হার ছিল প্রায় এক মিলিয়ন বোতল, যা অবাক করার মতো বিষয়। স্বাধীনতা ও স্বদেশি আন্দোলনের এটিও এক নতুন পদক্ষেপ ছিল। এই কালি আজও বাঙালির কাছে নস্টালজিক হয়ে আছে। ১৯৮৯ সালে এই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলেও আবার ২০০৬ সালে এই কালির উৎপাদন শুরু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! গুলিতে নিহত ১, হামলা রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতেও

    Manipur Violence: ফের অশান্ত মণিপুর! গুলিতে নিহত ১, হামলা রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের অশান্তি যেন কিছুতেই থামছে না। বুধবারে মণিপুরের (Manipur Violence) বিষ্ণুপুর জেলাতে গুলিতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভাঙচুর করা হল মণিপুরের মন্ত্রীর বাড়ি। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। জানা গেছে, মণিপুরের যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী গোবিন্দদাস কনথৌজামের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এই ঘটনার জেরে জারি হয়েছে কারফিউ। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর। সেখানে মেইটি, কুকি এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিরোধ এবং বিক্ষোভের জেরে এখনও মণিপুরে মারা গিয়েছেন ৭৪ জন।

    ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ

    জানা গেছে মণিপুরের (Manipur Violence) বিষ্ণুপুর জেলায় বুধবার জঙ্গিদের সঙ্গে একদল মানুষের সংঘর্ষ বাঁধে এবং তাতেই একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। মণিপুরের হিংসায় ঘটনা বহু মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এখন বিষ্ণুপুরের মোরাং এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে নিহত যুবকের নাম তৈজাম চন্দ্র মনি (৩০)। গত মঙ্গলবার রাতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা বিষ্ণুপুর জেলার একটি গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। হঠাৎই বুধবার খবর আসে যে জঙ্গিরা গ্রামের একটি স্কুলে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে যান গ্রামবাসীরা। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয় জঙ্গি এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া

    জানা গিয়েছে, মণিপুরের ইম্ফলের পশ্চিমপ্রান্তে এখন পেট্রোলের দাম চলছে ১৭০ টাকা প্রতি লিটার। আলুর দাম হয়েছে ১০০ টাকা প্রতি কেজি। ৩০ টি ডিম মণিপুরে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্থানীয়দের দাবি, তামাকজাত পণ্যের দামও হু হু করে বাড়ছে। শুধু তাই নয্‌ আগে যে মণিপুরে (Manipur Violence) ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ছিল ৯০০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৮০০ টাকা। একটি গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে লাগছে ১৮০০ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বহুদিন আগেই যুক্ত হয়েছিল নকশালবাড়ি (Naxalbari) স্টেশন। কিন্তু, দূরপাল্লার ট্রেন সেখানে দাঁড়ায় না। নকশালবাড়ির মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাড়ি ভাড়া করে এনজেপি গিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে হয়। এবার সেই দুর্ভোগ মিটতে চলেছে। ২৬ মে, শুক্রবার থেকে শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই স্টপেজের উদ্বোধন করবেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এটিই হবে নকশালবাড়িতে (Naxalbari) প্রথম দূরপাল্লার কোনও মেল ট্রেনের স্টপেজ।

    ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে অবহেলায় নকশালবাড়ি

    কৃষকের অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি (Naxalbari) আন্দোলনের এই পীঠস্থান উন্নয়ন ও প্রসারে সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের ইতিহাস বহনকারী এই জায়গার জনসংখ্যা বেড়েছে। অবস্থানের দিক থেকেও এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। রয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্ত। কিন্তু সেভাবে বাণিজ্যিক প্রসার ও কর্মসংস্থান হয়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম নেতা কানু সান্যালের কমিউন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে নকশালবাড়ি (Naxalbari) এখন চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই নকশালবাড়ি নিয়ে মোদির ভাবনা

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই নকশালবাড়িকে (Naxalbari) তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুযায়ী গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপির। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ায় একটি জনসভা করেছিলেন। সেখানে নকশালবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দার্জিলিংয়ের সাংসদ হওয়ার পর বিজেপির সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া নকশালবাড়ির হাতিঘিসাতে একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পানীয় জল, রাস্তাসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়। তারপর দার্জিলিংয়ের সাংসদ হন বিজেপির রাজু বিস্তা। উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নকশালবাড়িতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। সেইমতো এবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে স্টপেজ দেবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়িতে (Naxalbari)

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়ির (Naxalbari) সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলে। নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিখিল ঘোষ বলেন, “কলকাতার ট্রেন নকশালবাড়িতে দাঁড়ালে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এখানকার ছোট ব্যবসায়ীদের কলকাতা থেকে জিনিস আনতে হয়। এনজেপিতে নেমে তারপরে গাড়ি করে আসতে হয়। কাঞ্চনকন্যা এখানে দাঁড়ালে আমরা সরাসরি নকশালবাড়িতে জিনিস নিয়ে নামতে পারব”।

    কী বলছেন  বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপির নকশালবাড়ি (Naxalbari)-মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি। রাজ্যের তৃণমূল সরকার এখানকার কোনও উন্নয়ন করেনি। আমাদের উদ্যোগে নকশালবাড়িতে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপেজ পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু হচ্ছে। আশা করি এটা স্থায়ী স্টপেজ হবে। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ, যাঁরা চিকিৎসা ও অন্যান্য কাজে কলকাতায় যান, তাঁদের আর শিলিগুড়িতে গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে না। এই অঞ্চলের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি। নানা ধরনের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। সবদিক দিয়েই নকশালবাড়ি (Naxalbari) আরও সমৃদ্ধ হবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বন দফতরে ২০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল, স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: বন দফতরে ২০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল, স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন সহায়ক পদে দু’হাজার জনের চাকরি বাতিল এবং নতুন নিয়োগ (Recruitment Scam) প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিল চাকরিহারাদের একাংশ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ার পর চাকরিহারাদের একাংশ দাবি করে, শুধুমাত্র অযোগ্যদের বহিষ্কার করা হোক। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয় মামলা। কিন্তু মিলল না স্থগিতাদেশ।

    চলতি মাসেই পুরো প্যানেল বাতিল করেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    গত ৩ মে বন সহায়ক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসতেই দু-হাজার জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, নতুন ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং তা দু মাসের মধ্যে করতে হবে। পাশাপাশি বিচারক আরও বলেন, ‘‘নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে চাকরিহারারা অংশগ্রহণ করতে পারবে।’’ আদালতের এই নির্দেশ পেয়ে গত ১৯ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন দফতর। এই সময় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় চাকরিহারাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সেই মামলা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে ওঠে এবং দুই বিচারপতি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ

    ২০২০ সালে ২০০০ বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বন দফতর। তখন বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে বেনিয়ম করে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীদের সুপারিশের ভিত্তিতে এই নিয়োগ করেছেন তিনি। পরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করলে একই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকাশ্য জনসভায় তিনি বলেন, বন দফতরের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাই সার! রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজির কারবার

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকাই সার! রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজির কারবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পরই অবৈধ বাজির কারবার বন্ধ করতে উদ্যোগ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেন। যেখানে বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তা নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ যেমন নিতে বলা হয়েছে, তেমনই সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরও কি পরিস্থিতি আদৌ বদলেছে? অভিযোগ উঠছে, এখনও উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বহু জায়গায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজির কারবার। দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা হোক, কিংবা বারাসত পুরসভার টালিখোলা অথবা আরিফবাড়ি এলাকা। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেআইনি বাজির কারবার। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশ একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন এই কারবারের কথা৷ ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কীভাবে অবৈধ এই বাজির কারবার চলতে পারে! পুলিশ-প্রশাসন কি আদৌ তৎপর বেআইনি বাজির কারবার বন্ধ করতে? তা না হলে কেন এই অবৈধ কারবার বন্ধ করা যাচ্ছে না? তাহলে কি এর পিছনে কারও মদত রয়েছে? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ এবং শাসকদলকে একযোগে দুষেছে বিরোধীরা। যদিও অবৈধ বাজির ব্যবসা বন্ধ করতে পুলিশ যাবতীয় পদক্ষেপ করছে বলে দাবি করেছেন জেলার পুলিশ সুপার।

    অবৈধ বাজির কারবারের আঁতুড়ঘর

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নারায়ণপুর এলাকা অবৈধ বাজির কারবারের আঁতুড়ঘর। পঞ্চায়েতের একেবারে নাকের ডগায় এখনও চলছে বেআইনি এই বাজির কারবার। কখনও লুকিয়ে চুরিয়ে, আবার কখনও প্রকাশ্যে। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক বাজির গুদাম এবং দোকানঘর রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। বেশিরভাগেরই বৈধ অনুমতি নেই বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও কীভাবে চলছে এই অবৈধ কারবার? স্থানীয়দের একাংশের মত, সবটাই হচ্ছে পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মদতে। বিনিময়ে পকেটে ঢুকছে মোটা টাকা। টাকার বিনিময়ে বৈধতার লাইসেন্স মিলছে অবৈধ কারবারে। বছর চারেক আগে এই নারায়ণপুরেই অবৈধ বাজির গুদামে বিস্ফোরণে ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। তারও আগে মজুত বাজিতে আগুন লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ফলে, বাজি বিস্ফোরণের পুরনো ইতিহাস রয়েছে নারায়ণপুরে। এগরা ও মালদা বিস্ফোরণের পর সেখানেও যে আবার কোনও অঘটন ঘটবে না, তা জোর গলায় এখন কেউই বলতে পারছেন না। সবসময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

    “ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পথে বসতে হবে”

    এই পেশাই যে তাঁদের একমাত্র অবলম্বন, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বাজির ব্যবসায়ীরাও (North 24 Parganas)। এই বিষয়ে আলি নামে এক বাজি ব্যবসায়ী বলেন, “২৫ বছর ধরে আমি এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আগে ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে তা আর নেই। করোনা কালের পর থেকে আর আমাদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বেআইনিভাবেই এই বাজির কারবার চালাতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই আমাদের এই পেশা বেছে নিতে হয়েছে। পরিবারের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেবার জন্যই এই পথ বেছে নিতে হয়েছে। এই ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পথে বসতে হবে। সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করলে আমাদের সকলেরই উপকার হবে।

    যারা প্রকৃত বোমা বানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, দাবি বিজেপির

    এ নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার বারাসত (North 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পিকলু শর্মা বলেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই বলেই সাধারণ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এই অবৈধ কারবার চলছে তৃণমূল এবং পুলিশ-প্রশাসনের মদতে। সাধারণ বাজি ব্যবসায়ীদের না ধরে পুলিশের উচিত, এর আড়ালে যারা প্রকৃত বোমা বানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া”।

    অধিকাংশরই বৈধ অনুমতি রয়েছে, দাবি তৃণমূল প্রধানের

    বিরোধীদের অভিযোগকে আমল দিতে চাননি ইছাপুর (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি বলেন, “নীলগঞ্জের একটি এলাকায় অল্পবিস্তর বাজির ব্যবসা চলছে। তবে আমরা সজাগ রয়েছি। নিয়ম মেনে বৈধভাবে যাতে বাজির ব্যবসা হয় সেখানে, দেখা হচ্ছে। যদি কেউ অবৈধভাবে বাজির ব্যবসা করে থাকেন, সেটা দেখা উচিত পুলিশ-প্রশাসনের। এ ব্যাপারে চাইলে পুলিশ-প্রশাসনকে সবরকমের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। ওখানে অধিকাংশরই বৈধ অনুমতি রয়েছে, এটুকু বলতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। তার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার মল্লিকপুর এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম রাজু মিস্ত্রি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সম্প্রতি বুড়ুলে বিজেপির (BJP) জনসভা হয়। সেই জনসভায় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তোলার পর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি কর্মী রাজু মিস্ত্রি। তিনি পেশায় ফ্রিজ মেরামতির কাজ করেন। অভিযোগ, এরপরেই বুধবার রাতে ফ্রিজ সারানোর নাম করে ওই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেছেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই কর্মী। ফলতার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পদক্ষেপ না নিলে এসপি অফিস ঘেরাও করব”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাস বলেন, “দলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এইভাবে বিজেপি (BJP) কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share