Tag: Bengali news

Bengali news

  • Adah Sharma Accident: গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন, নায়িকা আদা

    Adah Sharma Accident: গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন, নায়িকা আদা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনার কবলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর পরিচালক এবং নায়িকা (Adah Sharma Accident)। জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের করিমনগরে একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন এবং নায়িকা আদা শর্মা। সে সময় তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার (Adah Sharma Accident) কবলে পড়ে। শেষ পাওয়া খবর অবধি পরিচালক এবং নায়িকা দুজনেই জখম হয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রসঙ্গত, মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সারা দেশ জুড়ে জোর চর্চা চলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত বলেছেন, ‘‘দ্য কেরালা স্টোরি সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে দিয়েছে।’’ একাধিক রাজ্যে এই সিনেমাতে কর মুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের এই সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এরপরেও দেশ জুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে কেরালা স্টোরি, ইতিমধ্যে তা ১০০ কোটির ক্লাবের সদস্যও হয়ে গেছে। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে অনেক সময় হুমকির মুখেও পড়েছেন আদা শর্মা এবং পরিচালক। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার (Adah Sharma Accident) কারণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

    হাসপাতাল থেকেই ট্যুইট করলেন পরিচালক এবং অভিনেত্রী

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ খ্যাত অভিনেত্রী আদা শর্মা ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমি ভাল আছি বন্ধুরা। আপনারা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন বুঝতে পারছি। আমাদের দুর্ঘটনার (Adah Sharma Accident) খবর ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি আমরা দলের সবাই ঠিক আছি। বড় কোন বিপদ হয়নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।’’ 

    অন্যদিকে ট্যুইট করেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন নিজেও। তিনি ট্যুইটে লিখছেন, ‘‘আজ আমাদের যাওয়ার কথা ছিল করিমনগরে। সেখানে যুবক যুবতীদের ভিড়ে আমাদের ছবিটা নিয়ে কথা হতো। কিন্তু হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। যেতে পারলাম না, খুব দুঃখিত আমরা সেখানকার মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দ্য কেরালা স্টোরি ছবিটা বানিয়েছিলাম আমাদের কন্যাদের রক্ষা করতে। দয়া করে আপনারা পাশে থাকুন।’’

  • Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মালদহের (Malda) মানিকচকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন চলছে। তারই মধ্যে শনিবার এক ভুয়ো শিক্ষিকা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক  কী অভিযোগ ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে?

    তফশিলি জাতির জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ওই শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন মালদহ (Malda) সদরের মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে শনিবার ওই ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে। ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তিনি তফশিলি কোটায় চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি চাঁপাদেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপাদেবীকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে এনিয়ে চাঁপাদেবীকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেনি । কিছু বলতে চায়নি পুলিশও।

    কী বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি?

    এই প্রসঙ্গে মালদহ (Malda) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন,”ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, তাই সন্তানের মৃতদেহ ফিরল ব্যাগে করে

    Kaliyaganj: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, তাই সন্তানের মৃতদেহ ফিরল ব্যাগে করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে ফের অমানবিকতার সাক্ষী রইল কালিয়াগঞ্জবাসী। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত শিশুকে ব্যাগে করে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে বাড়ী ফিরল মৃত শিশুর অসহায় বাবা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কি ঘটেছিল?

    কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। পাঁচমাস পর হঠাৎ দুই শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত রবিবার তাঁদের দুইযমজ সন্তানকেই কালিয়াগঞ্জ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যথারীতি নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও অবস্থা খারাপ দেখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। এরপর অবশেষে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অসুস্থ শিশুদের। গত বৃহস্পতিবার এক শিশু সুস্থ্য হলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসে অসীম দেবশর্মার স্ত্রী। পরে শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজেই আরেক যমজ সন্তানের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে শনিবার রাতেই মৃত্যু হয় যমজ সন্তানের। মৃত দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক অসীম দেবশর্মা অর্থের অভাবে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পারেন নি। আর না পারায় মৃত ছেলেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে বেসরকারি বাসে করে প্রথমে রায়গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছান। পরে অপর আরেকটি বাসে চেপে কালিয়াগঞ্জে পৌঁছান। তারপর সন্তানের দেহ বাড়িতে নিতে স্থানীয় কাউন্সিলের সহযোগিতায় একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে শেষপর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ থেকে বাড়িতে ফেরেন। কালিয়াগঞ্জ থেকে বাড়ি পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স পেলেও জোটেনি শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায়। দেবশর্মা বলেন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার যেটুকু টাকা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ৮ হাজার টাকা দাবী করে। কিন্তু এমনিতেই চিকিৎসা বাবদ ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে আর অ্যাম্বুলেন্সের টাকা ছিল না, তাই বাসে করেই মৃত ছেলেকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত ফিরেছি। সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চাইলে শিলিগুড়ি পুলিশ কোন সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন দেবশর্মা বাবু।

    শাসক দলের মন্তব্য

    তৃণমূলের ব্লক (Kaliyaganj) সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন ঘটনাটি খুবই দুঃখদায়ক। তবে পরিবারের লোকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। আমারা কিছুই জানতাম না সংবাদ মাধ্যেম খবর পেয়েছি। আগামী দিনে প্রশাসনকে বলব মানবিকতার সঙ্গে যেন বিষয়গুলি দেখা হয়।

    শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট

    এই ঘটনায় ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

     

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মন্তব্য

    এই ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) বিজেপি কাউন্সিলর গৌরাঙ্গ দাস বলেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়েই কোন রাজনৈতিক ভাবে নয় মানবিকতার খাতিরে একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন অন্তত বাড়ী অবধি মৃত শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্স করে যেন নিতে পারে অসহায় বাবা। তবে এই ঘটনায় গৌরাঙ্গ বাবুর গরীব ও অসহায় মানুষের পরিষেবা না পাওয়ার জন্য সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। যে শিশু চলে গেলে পৃথিবী ছেড়ে তাঁকে তাঁর বাবার ব্যাগে করে ফিরতে হল! একটা বাহনও জুটল না এতটাই কি প্রশাসন অমানবিক! গরীব সাধারণ মানুষেরা কি সামজে অ্যাম্বুলেন্স পাবে না ? এই বলে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন গৌরাঙ্গ বাবু। গোটা ঘটনাটা অত্যন্ত নির্মম এবং সেই সঙ্গে শোকের। প্রশাসন কবে মানবিক হয়ে উঠবে তাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের মন্দিরে এসে মা মনসার এরকম রূপ দেখবেন তা আশা করেননি এলাকাবাসী। অন্যদিনের মতো রবিবার ভোরবেলায় মন্দিরে এসে প্রণাম করে যান অনেকে। কিন্তু, স্থানীয় এক বাসিন্দা হাতজোড় করে মায়ের মুখের দিকে তাকাতেই হতবাক হয়ে যান তিনি। কারণ, মা মনসার চোখ এভাবে বন্ধ থাকার দৃশ্য তিনি কখনও দেখেননি। এদিন এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর (Dubrajpur) পুরসভার ডাঙ্গালতলার মনসা মন্দিরে। খবর চাউড় হতেই আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো মানুষ মন্দিরে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাজারে আসা ব্যবসায়ীরাও ছুটে আসেন। অনেকে মায়ের চোখ বন্ধ থাকার ছবি মোবাইলবন্দি করেন।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    মনসা হিন্দুধর্মের লৌকিক সর্পদেবী। পরবর্তীকালে পৌরাণিক দেবী রূপে স্বীকৃত হন। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মা মনসা দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুবরাজপুরে (Dubrajpur) এই মন্দিরেও জাঁকজমকভাবে পুজো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর দে, মা মনসা খুব জাগ্রত। তবে, লৌকিক না অলৌকিক বলতে পারব না। মায়ের এই রূপ আগে কখনও দেখিনি। তাই, বিষয়টি আমাদের কাছে উদ্বেগের। স্থানীয় বাসিন্দা মেনকা বাগদি বলেন, মন্দিরে এসে মাকে চোখ বন্ধ অবস্থায় দেখলাম। বহু লোক মন্দিরে ভিড় করেন। কেউ মায়ের এই রূপ দেখেননি। পরে, মন্দিরের সেবাইত এসে মুখে জল দিতেই মায়ের আগের মতো চোখ খুলে যায়। তবে, যুক্তিবাদীদের অনেকেই বলেন, বিষয়টি অলৌকিক হতেই পারে। তবে, কেউ মা মনসার চোখে রং লাগিয়ে দিয়েছিল। জল দেওয়ার পর ফের চোখ খুলে যায়।

    কী বললেন মন্দিরের সেবাইত?

    মন্দিরের সেবায়েত দিলীপ গড়াই বলেন, মায়ের চোখ বন্ধ রয়েছে শুনেই আমি মন্দিরে ছুটে আসি। আমি নিজে সেই দৃশ্য দেখি। এরপর মায়ের মুখ জল দিতেই চোখ খুলে যায়। রাতে কী হয়েছে আমি তা জানি না। এরকম কোনওদিন দেখেনি। কেন এরকম হল তা বলতে পারব না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে কার্যত গেরুয়া (BJP) ঝড়। শনিবার ফল বের হয় ওই নির্বাচনের। তার পরেই যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এই ফলই তার প্রমাণ। ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বিজেপি কর্মী এবং পুরভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ১৭টি পুরসভার মধ্যে মেয়র পদে জিতেছে ১৭টিতেই। অযোধ্যা, ঝাঁসি, বরেলি, মথুরা-বৃন্দাবন, মোরদাবাদ, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, শাজাহানপুর এবং গাজিয়াবাদে জয়ী হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    উত্তরপ্রদেশে দলের এই বিরাট জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব বিজেপির তরফে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। নির্বাচনের আগে ১৩ দিনে ৫০টি জনসভা করেছেন তিনি। বস্তুত এ রাজ্যে বিজেপির প্রচারের মুখ ছিলেন তিনিই। তাই প্রধানমন্ত্রীও তাঁর প্রশংসা করেছেন। দু দফায় হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। ভোট (PM Modi) হয়েছে মেয়র, নগর পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন এবং নগরপালিকা পরিষদ চেয়ারপার্সন বাছাই করতে। সর্বত্রই ক্লিন বোল্ড হয়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মূলত দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

    একটি হল, উত্তরপ্রদেশে অপরাধী এবং মাফিয়াদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়টি হল, অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত, ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে ১৭টি মেয়র পদে। নগর পঞ্চায়েতের ৫৪৪টি আসন গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। নগর পালিকা পরিষদ নির্বাচনে ১৯৯টি আসনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রাজ্যের যে ১৭টি নগর নিগমে বিজেপি (PM Modi) জিতেছে সেগুলি হল রাজধানী লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর শহর গোরক্ষপুর এবং অযোধ্যা। সাহারানপুর, আগ্রা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলি, শাহজাহানপুর এবং আলিগড়ও রয়েছে এই তালিকায়। এই নগরনিগমগুলির মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরেটর পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসনও গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Emi Martinez: জুন মাসেই কি কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ?

    Emi Martinez: জুন মাসেই কি কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের জুন মাসেই কলকাতায় পা দিতে পারেন ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emi Martinez)। জানা গিয়েছে, কলকাতার জনৈক শতদ্রু দত্ত যাঁর উদ্যোগে তিলোত্তমায় পা দিয়েছিলেন পেলে এবং মারাদোনা, তিনিই আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর কলকাতা সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। সূত্রের খবর, মার্টিনেজ (Emi Martinez) জানিয়েছেন, জুন মাসে তাঁর কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ নেই সেই সময়ে তিনি কলকাতায় আসবেন।

    ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emi Martinez)

    গত বছরের ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। ক্রীড়া মহলের মতে, কাতার বিশ্বকাপ জিততে মার্টিনেজের ভূমিকাও কম নয়। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি পেনাল্টি সেভ করেছিলেন এবং ফাইনালেও ফ্রান্সের বিপক্ষে তিনি কার্যত চিনের দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যদিও ৮০ মিনিটের মাথায় কিলিয়ান এমবাপের দুটি গোল তিনি আটকাতে পারেন নি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরেও অজস্র সম্মান পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী মাটিনেজ (Emi Martinez)। বর্তমানে আর্জেন্টিনার গোল রক্ষক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেন। মার্টিনেজ (Emi Martinez) ২০২২ সালের বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকাতেও তিনি একই সম্মান পেয়েছিলেন

    ২০১০ সালেই আর্জেন্টিনা ছেড়ে কিশোর বয়সে মার্টিনেজ (Emi Martinez) চলে যান ইংল্যান্ডে

    জানা গিয়েছে, মার্টিনেজের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সেইমতো ২০১০ সালে কিশোর বয়সে তিনি আর্জেন্টিনা ছাড়তে বাধ্য হন এবং আর্সেনালের ইউথ ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করেন। এখানেও রয়েছে এক গল্প। ইংল্যান্ডে গিয়ে ভাষা সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। এরপর ক্লাবের তরফ থেকেই তাঁকে ইংরেজি শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং বলা হয় কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা যদি মার্টিনেজ পাশ করতে পারেন, তাহলে তাঁকে ভারতীয় মুদ্রায় কুড়ি লাখ টাকারও বেশি বোনাস দেওয়া হবে এবং ওই পরীক্ষায় উতরেও যান মার্টিনেজ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: কর্নাটক (Karnataka) ক্যাডারের আইপিএস (IPS) অফিসার প্রবীণ সুদ (Praveen Sood) হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) নয়া ডিরেক্টর। রবিবার এই পদে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সিবিআইয়ের বর্তমান প্রধানের। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নয়া সিবিআই প্রধান নির্বাচন। সেই জন্যই শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এদিন সিবিআই প্রধান পদে তিনজনের নামের সুপারিশ জমা পড়েছিল। এঁরা হলেন, কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসান।

    সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর…

    বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর পদে রয়েছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুবোধকুমার জয়সওয়াল। ২০২১ সালের ২৬ মে সিবিআই ডিরেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। ২৫ মে শেষ হতে চলেছে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে, নাকি নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে, তা ঠিক করতেই শনিবার বসেছিল বৈঠক। রবিবার ঘোষণা করা হল প্রবীণের নাম।

    বস্তুত সিবিআই ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই এগিয়েছিলেন প্রবীণ। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা প্রবীণ আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনী। ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার তিনি। এর আগে টানা তিন বছর ধরে কর্নাটকের ডিজিপি হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ। ২০২৪ সালের মে মাসে অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সিবিআই ডিরেক্টর মনোনীত হওয়ায় তাঁকে কাজ করতে হবে কমপক্ষে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, দুর্নীত ও অর্থনৈতিক নানা অপরাধ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রবিবার যে সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে প্রবীণকেই সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারত সরকার। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু বছর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটি নিয়োগ করেন সিবিআই প্রধানকে। এই পদে কাউকে মনোনীত করা হয় দু বছরের জন্য। পরে প্রয়োজনে সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে তাঁর মেয়াদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী। সম্প্রতি হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করেছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইকের নাম। মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইক ২০১৬ সালে মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি চাবাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পদে কাজে যোগ দেন। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের খবর চাউর হতেই মালবাজার সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় শোরগোল পড়ে যায়। এই বাতিলের তালিকায় শিলিগুড়িরও ৩৫০ জন শিক্ষককের নাম রয়েছে। এদের চাকরি পাওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা বিবেচনা করার দাবিতে শিলিগুড়ির সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে নেমেছেন।

    কী বলছেন এলাকাবাসী?

    রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তাই এই দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর অনৈতিক কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস নেই সাধারণ মানুষের। মন্ত্রীর মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে জেনে সকলেই খুশি। মালবাজারের বিভিন্ন অংশের মানুষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম চোখে পড়লেও তা বলতে পারি না। কেননা প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূলের চোখরাঙানি ও হুমকির মুখে পড়তে হয়। তাই মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা জেনেও আমরা চুপ থেকেছি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে শুধু মেয়েরই নয়, তার আরও অনেক আত্মীয়স্বজনকে চাকরি করে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টে নিরপেক্ষ তদন্তে হওয়ায় এই বিষয়টি এবার প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলাম।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    চাকরি বাতিলের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এখবর আর গোপন নেই। এলাকায় সকলে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবুও এনিয়ে সুষমা চিকবরাইক কিছু বলতে চাননি। তাঁর বাবা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক বলেন, আমার মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে। তবে মহামান্য আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আদালতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। আমার মেয়ে সুষমা যথেষ্ট যোগ্য ও উপযুক্ত। দু’বার ডবলুবিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে। ভাইবাও দিয়েছে। আমার মেয়ে পরীক্ষায় বসেই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিল। কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। আবারও পরীক্ষা হলে বসবে এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।

    চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি হতেই  শিলিগুড়িতে কেন আতঙ্ক?

    এদিকে শিলিগুড়িতে ৩৫০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) মামলায় সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে। এই তদন্তে আমরা প্রথম থেকে সবরকম সহযোগিতা করে এসেছি। তদন্তের মূল দিক হলো, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি (Scam)  করেছে, সেই মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া। মূল অপরাধীকে খুঁজতে গিয়ে এভাবে আমাদের চাকরি বাতিল করা মেনে নিতে পারছি না। এতে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বো। আমাদের পরিবার রয়েছে। অনেকের লোন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারালে আমরা গভীর সঙ্কটে পড়বো। তবে ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ তারা। অভিজিতবাবু আরও বলেন, সচিন তেন্ডুলকার যেমন রোজ নেমে সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সেরকম সবসময় পরীক্ষা বসেই যে আমরা ভাল রেজাল্ট করে পাশ করবো তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই আবার পরীক্ষায় বসার বিষয়টি কেন আসছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mayapur: জীবসেবা এখানে সত্যিই যেন শিবসেবা! মায়াপুরের মন্দিরে পরম আদরে রয়েছে প্রভুভক্ত কুকুররা

    Mayapur: জীবসেবা এখানে সত্যিই যেন শিবসেবা! মায়াপুরের মন্দিরে পরম আদরে রয়েছে প্রভুভক্ত কুকুররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরে সাধুসন্ন্যাসী কিংবা ভক্তরা নন, সবসময় থাকে ২০ থেকে ২৫ টি কুকুর। তারাই দেয় মন্দিরের পাহারা, আবার চেয়ারে বসে আরাম করে। এমনকী ঘোরাঘুরি করে মন্দির চত্বরে  মায়াপুরের (Mayapur) এক মন্দিরে প্রবেশ করলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রভুভক্ত এইসব কুকুরের ভিড়।

    কোন মন্দিরে প্রভুভক্ত কুকুর?

    মায়াপুরের (Mayapur) গঙ্গা তীরবর্তী শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর জিউর মন্দিরে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন এই দৃশ্য। মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে মায়াপুরে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় আরও মন্দির। সেই সমস্ত মন্দিরে কমবেশি ভক্তদের ভিড়ও লক্ষ করা যায়। তবে শ্যামসুন্দর জিউর মন্দিরে ভক্তদের তুলনায় প্রভুভক্ত কুকুরের ভিড়ই থাকে বেশি, এমনটাই ভক্তদের মুখে শোনা যায়।

    কীভাবে মন্দিরে এল প্রভুভক্ত কুকুর

    মন্দিরের (Mayapur) সেবাইত স্বামী তৎপর মহারাজ বলেন, ভগবান সর্বত্র বিরাজমান, রাস্তার কুকুরের মধ্যেও ভগবান রয়েছেন। কর্মফল অনুযায়ী আজ এঁরা কুকুর হয়েছেন, এঁরা আগে হয়তো মুনিঋষি ছিলেন। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় কুকুরকে রাস্তায় মারধর করা হয়, গাড়ি চাপা পড়ে পা ভেঙে যায় কিংবা বিভিন্নভাবে তাদেরকে উত্যক্ত করা হয়। মারধরের কারণে পালিয়ে এরা আশ্রয় নেয় এই মন্দিরে। এরপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে কুকুররা এসে এই মন্দিরে থাকতে শুরু করে।

    ভরণপোষণ কীভাবে চলে?

    মহারাজ বলেন, লকডাউনের সময় মায়াপুর (Mayapur) ইস্কন ক্যাম্পের এক বাবু খাবার দিয়ে যেতেন। আবার ইস্কনের মহারাজ নিজে কুকুরদের জন্য খাবার পাঠাতেন। সেই সময় থেকেই কুকুরদের এই মন্দিরে আগমন হয়। কিন্তু লকডাউনের পর খাবারের পরিষেবা কিছুটা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে বেশ কিছু কুকুরদের খাদ্যের অভাব হয়েছিল বলে জানা যায়। মাসে প্রায় এক কুইন্টাল চাল এবং দশহাজার টাকা খরচ হয় বলে মহারাজ জানান। তাঁদের সমস্ত রকম চিকিৎসা থেকে শুরু করে খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এই মন্দির থেকেই। বর্তমানে অর্থসঙ্কট দেখা যাচ্ছে বলে জানা যায় মন্দিরের তরফ থেকে।

    প্রভুভক্ত কুকুরের প্রধান সেবক স্বামীজি

    সমস্ত কুকুরকে রক্ষণাবেক্ষণ এবং তাদের সেবাশুশ্রূষা করার জন্য বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়, যা অতি কষ্টে মিটিয়ে থাকে এই মন্দির (Mayapur)। তবে একার পক্ষে খরচ বহন করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বামী তৎপর মহারাজের মতে, কিছু অনুদান পেলে ভালো হয়। তবে সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই মন্দিরে বিগ্রহের মতই কুকুরদেরও দিনের পর দিন সেবাশুশ্রূষা করে আসছেন স্বামীজি। জীবসেবাই যে শিবসেবা, তার বাস্তাব দৃষ্টান্ত যেন এই মন্দিরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Wine Shop: দোকানে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

    Wine Shop: দোকানে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানে ঢুকে কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে মেরে অবাধে লুটপাট চালালো দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আসানসোল দক্ষিণ থানার এসবি গড়াই রোডের একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে (Wine Shop)। ক্যাশবাক্স থেকে ৪ লক্ষ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয় চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দোকানের কর্মীদের কাছে থেকে মোবাইলও কেড়ে নিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর পরই দোকানের (Wine Shop) কর্মীরা দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু, ততক্ষণে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ শাটার বন্ধ করে ভিতরে হিসেব মেলানোর কাজ করছিলেন দোকানের (Wine Shop) কর্মী শ্যামল দত্ত ও তাঁর সহযোগী সন্দীপ পাল। ঠিক সেই সময় শাটার তুলে তিনজন দুষ্কৃতী ভিতরে ঢোকে। দুজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ঢোকার পরই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সব টাকা বের করে দিতে বলে। কিন্তু, দোকানের কর্মীরা আপত্তি করলেই আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ক্যাশবাক্স থেকে সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। সিসিটিভিতে দুষ্কৃতীদের ছবি ধরা পড়েছে। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। সিসিটিভি-র ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    কী বললেন দোকানের কর্মীরা?

    দোকানের (Wine Shop)  কর্মী সন্দীপ পাল বলেন, আচমকা শাটার তুলতেই আমরা ভেবেছিলাম কোনও ক্রেতা এসেছে। তিনজনই কোনও কথা না বলে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। আমরা তখন সারাদিনের বিক্রি হিসেব করছিলাম। ওরা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে টাকা দিতে বলে। আমরা আপত্তি করলে ওরা চড়াও হয়। এরপরই ক্যাশবাক্স থেকে সব টাকা নিয়ে নেয়। একজনের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। হিন্দিতে কথা বলছিল। আমাদের মোবাইল সব কেড়ে নেয়। আমরা বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। সমস্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওরা পালায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share