Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

    Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বগটুই গ্রামের কথা মনে আছে। বীরভূমের রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর রাতের অন্ধকারে বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ নৃশংস এই গণহত্যার জন্য রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল রামপুরহাট শহর লাগোয়া এই বগটুই গ্রাম। এই গ্রাম ছিল তৃণমূলের খাসতালুক। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না।  এবার এই শহিদদের সন্মান জানাতে এই গ্রামে শহিদ বেদি তৈরি করছে বিজেপি। শুধু শহিদ বেদি তৈরি নয়, সেখানে শহিদদের সমবেদনা জানাতে সভাও করবে বিজেপি। এখন যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। মূলত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিজেপি নিজেদের জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে বিজেপি এই চক্রান্ত করছে। যদিও পাল্টা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যারা শহিদ হবেন, তাঁদের এভাবে সম্মান জানানো হবে।

    ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে বিজেপির শহিদ স্মরণে কারা আসছেন? Suvendhu Adhikari

    তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা বগটুই গ্রামে তান্ডব চালিয়েছিলেন। নিরীহ মেয়ে, শিশু, বৃদ্ধাদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে গণহত্যা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই স্বজনহারা পরিবারের সদস্য শেখ বদর নলহাটিতে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendhu Adhikari) হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। শহিদদের সন্মান জানাতেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২২ সালে ২১ মার্চ নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ২১ মার্চকে সামনে রেখে বিজেপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বগটুই গ্রামে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendhu Adhikari) সহ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা গ্রামে যাবেন। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশের চারটি গ্রামের সংখ্যালঘুরা হাজির হবেন। জানা গিয়েছে, স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির দেওয়ালে গড়ে উঠছে শহিদ বেদি। তিনি শহিদ বেদি তৈরি করার জন্যই জায়গা দিয়েছেন। মিহিলাল শেখ বলেন, “গত এক বছর আমরা শান্তি ঘুমতে পারছি না। মা-স্ত্রী-কন্যা সবাইকে হারিয়েছি। এই কষ্ট যেন আর কারও না হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে শহিদ বেদি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়েছি। ২১ মার্চ  আমরা স্বজনদের স্মরণ করব। তাই যারা আমাদের পাশে দাঁড়াবে তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি।

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এখন সংখ্যালঘু তোষণে নেমেছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে তারা। একটা বিভেদ করতে চাইছে। এলাকার মানুষ জানেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বজনহারাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের কর্মী, সমর্থকদের খুন করেছে। এই কষ্টের দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kancha Badam song: কাঁচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের একী অবস্থা! জানলে চমকে উঠবেন

    Kancha Badam song: কাঁচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের একী অবস্থা! জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কাঁচা বাদাম কাকুর কথা মনে আছে। ভুবন বাদ্যকর। বীরভূমের দুবরাজপুরের কুড়ালজুড়ি গ্রামে তাঁর বাড়ি। কাঁচা বাদাম গান (Kancha Badam Song) গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি তিনি জগত্ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর গান কচিকাঁচা থেকে সেলেব্রিটি সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও তাঁর গান সমানতালে সমাদৃত হয়েছে। সাউথ থেকে টলিউড কিংবা বলিউডের স্টারদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে অনেকেই তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এক চিলতে ঘরে থাকা বাদাম ফেরি করা ভুবনবাবু গ্রামের বাড়িতে হাঁকিয়েছেন আস্ত একটি অট্টালিকা। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সেখানে সুখে দিন কাটানোর স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু, কথায় বলে সবার নাকি সুখ সই না। বাদামকাকুর সুখও বেশিদিন সইনি। গ্রামের অট্টালিকা ছেড়ে তিনি দুবরাজপুরে ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন।

    নিজের বাড়ি ছেড়ে বাদাম কাকু ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন কেন? Kancha Badam Song

    এমনিতে তাঁর অজান্তেই বাদাম গানের (Kancha Badam Song) কপিরাইট অন্যজনের রয়েছে। তাই, কাঁচা বাদাম নিয়ে গান (Kancha Badam Song) গাইলে কপিরাইটের বেড়াজালে তিনি আটকে পড়ছেন। আর এই আইনি জটিলতায় তিনি বাদাম নিয়ে কোনও গানও লিখতে পারছেন না। ফলে, তাঁর সৃষ্টি কাঁচা বাদাম গানের (Kancha Badam Song) রয়্যালটি তিনি পাচ্ছেন না। এক সময় গ্রামের এক চিলতে ঘর তাঁর ঠিকানা ছিল। তাঁর দিকে কেউ ফিরেও তাকাতো না। সেখান থেকে তাঁর অট্টালিকা তৈরি করা,  গ্রামের সকলের নজর কেড়েছিল। তাই, গ্রামের ছোট-বড় কোনও অনুষ্ঠান হলেই সেলেব্রিটি বাদাম কাকুর কাছে মোটা টাকা চাঁদা চাওয়া হত। সেই টাকা দিতে না পারলে জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। ফলে, গ্রামের একাংশের জুলুমবাজিতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শান্তিতে থাকার জন্যই নিজের অট্টালিকায় তালা ঝুলিয়ে দুবরাজপুর গার্লস স্কুলের কাছে একটি দোতলা বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রোজগার নেই বললেই চলে। স্ত্রীর সঙ্গে রান্না করতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। ভুবনবাবু বলেন, আগের মতো আর ফেরি করতে পারি না। ছেলে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর রোজগারের টাকায় সংসার চলছে আমাদের। নিজের বাড়িতে সুখে থাকব ভেবেছিলাম। সেটাও কপালে সইল না। আর ঘর ভাড়াও অনেক টাকা। তাই, কতদিন ভাড়া বাড়িতে থাকতে পারব না নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তাঁর কোনও এক নতুন গান নেটিজেনদের হৃদয় স্পর্শ করতে পারে। সেই  অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাদাম কাকু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বসন্ত মানেই প্রকৃতি প্রেমী আম বাঙালির কাছে ডেস্টিনেশন হচ্ছে পুরুলিয়া। রাস্তার দুধারে পলাশের (Palash Flower) লাল ফুলে রঙীন হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। প্রকৃতির এই অপরূপ শোভা চাক্ষুস করতেই কলকাতা থেকে বহু পর্যটক লাল পাহাড়ির দেশে ছুটে যান। বহু কবির লেখার জাদুতে এই লাল পলাশ ফুলই আমাদের মনের মণিকোটায় আরও বেশি করে জায়গা করে নিয়েছে।  কিন্ত, এবার বসন্তে লাল পলাশ (Palash Flower) নয়, লাল পাহাড়ির দেশে ভিভিআইপি হয়ে উঠেছে শ্বেত পলাশ গাছ। শুধু এক ঝলক এই গাছকে দেখতে পর্যটকরা হুড়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। রাতারাতি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই শ্বেত পলাশ (Palash Flower)। পুরুলিয়ার হুড়ায় এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে, শুধু হুড়া নয়, বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের পাহানা গ্রামে এবং নদীয়ার তেহট্ট এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

    শ্বেত পলাশ গাছ বাড়িতে থাকলে কত টাকার আপনি মালিক জানেন? Palash Flower

    আর পাঁচটা গাছের মতোই পুরুলিয়ার হুড়ার মালি স্বপন মাহাত শ্বেত পলাশ গাছের (Palash Flower) পরিচর্চা করতেন। ভাগলপুরের এক যুবক এই গ্রামে এসে বিভিন্ন গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করতেন। এই সব দিয়ে তিনি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতেন। তাঁর নজরে পড়ে যায় এই গাছ। সকলের আড়ালেই এই গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করে তিনি নিয়ে যান। পরে, ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বিরল এই শ্বেত পলাশের (Palash Flower) মাহাত্ম্যের কথা বলেন। একজন-দুজন হতে কথাটি পাঁচ কান হয়ে যায়। খবর যায় জেলা উদ্যান পালন দপ্তরে। সেখান থেকে আধিকারিকরা এসে গাছটি পর্যবেক্ষণ করেন। উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে সন্ধান চালিয়ে তেহট্ট এবং ময়ূরেশ্বরের হদিশ পাওয়া যায়।  কলকাতার অনেকের কাছেই এই খবর পৌঁছাই। তাঁরা ছুটে এসেছেন হুড়ায়। এক বছরের জন্যেই শ্বেত পলাশ গাছ লিজ নেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। গাছের মালিক স্বপনবাবু গাছের এই দাম শুনেই হতবাক। তিনি এখনও লিজে দিতে রাজি হননি। তাঁর ধারণা, এই গাছের মূল্য আরও অনেক বেশি। তাই, এখনই এই গাছকে তিনি কারও কাছে হাতছাড়া করতে নারাজ। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, একটি গাছের জন্য ২০ লক্ষ টাকা লিজে নিতে চাইছেন। এরকম গাছ বাড়িতে পাঁচটি থাকলে তো কোটিপতি।

    পুরুলিয়া জেলার উপ উদ্যান পালন অধিকর্তা সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, এই গাছের ফুল, ছাল, আঠা অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন। ক্যান্সার প্রতিরোধক, বন্ধ্যাত্ম দূরীকরণসহ একাধিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় আমরা এই গাছের সন্ধান পেয়েছি।  এই গাছটিকে নিয়ে আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। গাছটি সংরক্ষণ এবং সংখ্যায় আরও বেশি পরিমাণে বাড়ানোর জন্য রাজ্য দপ্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। আর জানতে পেরেছি, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গাছটিকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক? Anubrata Mondal

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেল থেকে ছাড়া না পেলে এবার প্রথম অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত ভোট হবে এই জেলায়। স্বাভাবিকভাবে এটা জেলা নেতৃত্বের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। এদিনের সভায় গদাধরবাবু বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondal) নিয়ে গিয়ে এই জেলার সংগঠন শেষ করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা হতে দেব না। জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ সহ আমরা সকলে রয়েছি। সামনের পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দেব, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ওরা যদি আঘাত করে, কষ্ট দেয় তাহলে এই জেলার বিজেপি কর্মীদের কষ্ট দেব। এই জেলায় বিজেপিকে কী করে শেষ করতে হয় সেটা দেখিয়ে দেব।

    কে এই গদাধর হাজরা?  একসময় গদাধর হাজরা নানুর বিধানসভার (২০১১-২০১৬) বিধায়ক ছিলেন। বিধায়ক থাকার সময় তিনি নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখের সঙ্গ ছেড়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে দল তাঁকে টিকিট দিলেও তিনি জিততে পারেননি। বলা ভাল, তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ তাঁর জয়ের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নানুরে সেবার সিপিএম জয়ী হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে কিছুদিনের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। সেখানেও খুব বেশিদিন টিকতে না পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। একসময় জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হয়ে গোটা বীরভূম চষে বেরিয়েছিলেন। এখন তৃণমূলে ফেরার পর তিনি কার্যত কোণঠাসা। তিনি এখন নানুর ব্লকের মাত্র দুটি অঞ্চলের সভাপতি।  জেলা কোর কমিটির নেতা কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের হাতেই এলাকার রাশ রয়েছে। ফলে, জেলা তো দূরের কথা নানুরে খুব বেশি দাপট দেখাতে পারে না বলে দলের অন্দরেই এই নিয়ে চর্চা রয়েছে। এমনকী দলীয় মিটিংয়ে তাঁকে ডাকা হত না বলে দলীয় নেতাদের কাছে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেকথা বলতে গিয়ে গদাধরবাবু বলেছিলেন, নানুরের ব্লক সভাপতি গ্রুপবাজি করছে। আমাকে মিটিংয়ে না ডাকলে কেন যাব? তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার নানুরে তৃণমূল আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। যদিও রবিবার নানুরের সভায় এক মঞ্চে দলীয় বিধায়ক, ব্লক সভাপতির সঙ্গে গদাধরবাবুকে এক আসনে বসতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নামকে সামনে রেখে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে দলীয় কর্মীদের কাছে আগের মতো তিনি প্রাসঙ্গিক হতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল করছেন।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্যকে কোনওভাবে আমল দিতে নারাজ বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, পাঁচিলের উপরে বসেঅনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ওরা এখন জল মাপছে। মানুষ আর ওদের কথা বিশ্বাস করবে না। আর ওই নেতা নিজেই দলে কোণঠাসা রয়েছেন। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। সামনের পাঁচ বছরের ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এখন দলের অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহেরা নিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর বুথ কমিটির বৈঠকে দলীয় প্রার্থী (Tmc Candidate) ঠিক করা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।  ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    বুথ কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত? Tmc Candidate

    মহেন্দ্রপুর গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মহম্মদ মুজাহিদ। এবার এই বুথে শাসক দলের প্রার্থী (Tmc Candidate)কে হবেন তা নিয়ে হাইস্কুল মাঠে বুথ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নাম সংগ্রহ করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে দলীয় সদস্য মুজাহিদের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেনের নাম ওঠে। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন এই নাম নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এই বিবাদ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁচ্ছে যায়। মুজাহিদের অনুগামীরা জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে সোহেল আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী (Tmc Candidate) হওয়া নিয়ে ঝামেলা। এখন যে পঞ্চায়েত সদস্য আছে সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। আমার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ। আমি ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছি। এবারেও প্রার্থী (Tmc Candidate) হিসেবে আমার নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মহেন্দ্রপুর অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন, যত ভোটের দিন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের কোন্দল তত বাড়বে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে ভরাডুবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এখন বিদায় বেলায় তারা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করে শেষ হবে। এই ঘটনায় আদতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দল নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু সাফাই দিয়ে বলেন,তৃণমূল বড় দল।একই আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।মতান্তর হতেই পারে।এই নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতেও কাটমানি! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদুল শেখের বিরুদ্ধে। তিনি আদতে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়ত প্রধানের স্বামী। আর স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা ইংরেজবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের বিরুদ্ধে। ফলে, দলীয় নেতাদের এই আচরণে শাসক দলের একাংশ বহুদিন ধরেই ক্ষোভ ফুঁসছিলেন। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে দলীয় নেত্রী ও তাঁর অনুগামীদের রীতিমতো কসরত করতে হয়। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীরা কেন বিক্ষোভ দেখালেন?

    ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিলা। তাঁর স্বামী জাহিদুলই বকলমে পঞ্চায়েত চালান বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শুধু পঞ্চায়েত পরিচালনা নয়, আর্থিক সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নেন তিনি। দলের গ্রাম পঞ্চায়ত সদস্যদের তিনি পাত্তা পর্যন্ত দেন না। ফলে, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের পাশাপাশি দলের একটি বড় অংশ তাঁর আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামে দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছিল। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, জাহিদুল পঞ্চায়েতকে ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন দল একে অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। সেই পদ ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করার টোপ দিয়ে তিন-চার লক্ষ টাকা করে তুলছেন। দলীয় সভানেত্রী দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই দলীয় কর্মীদের একাংশ নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে দলীয় নেত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ বলেন, দলের অন্দরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ সেই জাহিদুল শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ তুলে আদালত পর্যন্ত ওরা গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনও সমস্ত বিষয়টি জানে। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tea Stall:  বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    Tea Stall: বাহাত্তর বছরের চায়েওয়ালার জীবন যুদ্ধের কাহিনী জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। চাঁপদানী ফাঁড়ির সামনে অর্জুন টি স্টলের (Tea Stall) মালিক বছর বাহাত্তরের অর্জুন রাজভর তার জ্বলন্ত প্রমাণ। যে সময় মানুষ অবসর জীবন কাটান, সেই বয়সে দাঁড়িয়ে তিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।  ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত তাঁর চায়ের দোকানে (Tea Stall)  ভিড় লেগে থাকে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর এই চায়ের দোকান।

    কীভাবে গড়ে উঠল এই অর্জুন টি স্টল? Tea Stall

    দোকানের মালিক  অর্জুনবাবুর বাড়ি  চাঁপদানীর ফেসুয়াবাজারে। এই দোকান তৈরি হয়েছে মাসখানেক আগে। তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই চায়ের দোকানের (Tea Stall)  পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস। আসলে এই চায়ের দোকানের মধ্য দিয়েই এক জন যাবজ্জীবন কয়েদিকে তার মেয়াদ পূর্ন হবার পর নতুন ভাবে পথ চলার পথ খুলে দেন জেলা প্রবেশন অফিসার মনোজ রায়। অতীত আর মনে রাখতে চাননা অর্জুনবাবু। একসময় তিনি একটি কারখানার গাড়ির চালক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু, ছেলের অসুখকে কেন্দ্র করে কিছু অতিরিক্ত অর্থ দাবি করায় মালিকপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেটা ২০০৪ সাল। খুনে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রায় ১৭ বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংশোধনাগারে তাঁর ভালো আচরণের জন্য জেলা প্রবেশন অফিসারের সুনজরে পরে যান তিনি। সেই অফিসার মনোজ রায় জেলাশাসকের কাছে দরবার করে আইনগত ভাবে অর্জুনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন। আর তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী নিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, পুরোনো দিনের কথা আর মনে রাখতে চাইনা। কিছু ভুল করেছিলাম। তার শাস্তি পেয়েছি। শাস্তি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তাঁর আরও সংযোজন, যাঁরা শাস্তি দিলেন তাঁরাই আবার আমায় সাহারা দিয়েছেন। এরজন্য আমি সরকারি আধিকারিক দের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুধু যে ভালোভাবে তিনি দোকান চালাচ্ছেন তা নয়, দোকানে মাইনে দিয়ে দু জন কর্মচারীও রেখেছেন তিনি। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইকে সকলেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Minority Rights: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত  

    Minority Rights: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নীতির কারণেই গোটা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে একথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতে (India) প্রতিনিধি সীমা পূজানি। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তোলে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের দাবি, নয়াদিল্লির কারণেই তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই ইস্যুতে জবাবের অধিকার প্রয়োগ করে এদিন কড়া জবাব দেন সীমা পূজানি। তিনি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানে কোনও সংখ্যালঘু (Minority Rights) মানুষ মুক্তভাবে তাঁর ধর্মাচরণ করতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, পাকিস্তানের নীতির জন্যই তামাম বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সীমা বলেন, গত এক দশকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৮ হাজারের বেশি অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    সংখ্যালঘুর অধিকার (Minority Rights)…

    সীমা বলেন, বর্তমান সময়ে পাক নাগরিকরা মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেদিকে আদৌ নজর নেই পাক সরকারের। উল্টে সব সময় ভারতকে নিয়েই পড়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতকে নিয়ে কতটা আবিষ্ট হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, আসলে বর্তমান সময়ে নিজেদের অগ্রাধিকার বোঝার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে ইসলামাবাদ। তিনি বলেন, পাক নেতৃত্বকে আমার উপদেশ, এই সব ভিত্তিহীন প্রচার বাদ দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের সুখ-দুঃখ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করুন।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    কিছু দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রতিনিধি (Minority Rights)। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন। এদিন এ প্রসঙ্গে সীমা বলেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের অযাচিত মন্তব্য আমরা অগ্রাহ্য করছি। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং চিরকালই থাকবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান বেআইনিভাবে ভারতের এলাকা দখল করে রেখেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় নাম না করে ভারতকে আক্রমণ করেন হিনা। আমাদের প্রতিবেশী (Minority Rights) দেশে বিপুল পরিমাণে প্রথা বহির্ভূত অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এর জেরই গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। শুধু তাই নয়, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পরমাণু অস্ত্রের দিকে বারবার ঝুঁকেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Magician: জাদুকরের ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল বধূ, কোথায় দেখে নিন?

    Magician: জাদুকরের ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেল বধূ, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাদু সম্রাট জুনিয়র পিসি সরকারের (PC Sarkar) জাদুর ভেলকিতে কিছুক্ষনের জন্যই কলকাতার ভিক্টোরিয়া বিল্ডিং ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে রাজ্যবাসীর অনেকেই সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। এবার রাকেশ পাহাড়ি নামে অন্য এক কুখ্যাত জাদুকরের (Magician) হদিশ মিলেছে। তাঁর হাতযশের ক্যারিশমা এখন হারে হারে টের পাচ্ছেন মালদহের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ, জাদুকরের (Magician)হাতযশে গ্রামের বহু বধূর সোনার গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। আর তাঁর জাদুর ভেলকিতে স্বামীর ঘর থেকে গৃহবধূ ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। হন্যে হয়ে সেই জাদুকরকে খুঁজছে গোটা শান্তিপুর গ্রাম।

    শান্তিপুরে গিয়ে জাদুকর আর কী কী ভেলকি দেখিয়েছেন?

    কিছুদিন আগে নিছক সাইকেল খেলা দেখাবেন বলেই গ্রামে ঘাঁটি বেঁধেছিলেন জাদুকর(Magician) রাকেশ পাহাড়ি। সুঠাম চেহারা, তেমনি মুখে মিষ্টি কথা। তাঁর হাতে ভেলকি ছিল চোখ জুড়ানো। কচিকাঁচা থেকে গ্রামের সকলেই তাঁর জাদুতেই মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। সোনা ডবল করার টোপও দিয়েছিলেন তিনি। সেই ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেক বধূ নিজের কানের সোনার দুল, হাতের বালা, আংটি জাদুকরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আর জাদুকরের (Magician) মিষ্টি কথার জাদুতেই মজে গিয়েছিলেন প্রসেনজিত্ রায়ের অষ্টাদশী স্ত্রী খুশি রায়। তাঁর জাদুর (Magician) ভেলকি এতটাই নিখুঁত ছিল যে স্ত্রীর মন চুরি হওয়ার খবর স্বামীও টের পাননি। স্ত্রীকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রসেনজিত্ রায়। তিনি বলেন, গ্রামে এসে জাদুকর খুব সুন্দর খেলা দেখাতেন। কথাবার্তাও তাঁর খুব ভালো ছিল। গ্রামের সকলের সঙ্গে ওর সখ্যতা হয়ে গিয়েছিল। সোনা, টাকা ডবল করার প্রলোভন দেখিয়ে বহু বাসিন্দাদের সর্বস্ব লুঠ করেছেন ওই জাদুকর। তবে, কখন যে আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তা টের পাইনি। জাদুকরের (Magician) হাত ধরে চলে যাওয়ার পরই আমাদের টনক নড়ে। ততক্ষণে ওই জাদুকর আমাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তবে, শুধু খুশি রায়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নন,অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গোটা গ্রাম।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জাদুকরের (Magician)  বাড়ি নদিয়া জেলায়। তবে, সেটা তাঁর আসল বাড়ি কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ওই জাদুকরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share