Tag: Bengali news

Bengali news

  • Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

    Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তৃণমূল সরকারের আমলে ধান বা আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পান না চাষিরা। এমনই অভিযোগ চাষিদের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনার কথা বলা হলেও আদতে ফড়েরা লাভের গুড় খেয়ে নেয়। তাই, বেশি লাভের আশায় হুগলির গোঘাটের মান্দারণ, কাঁটালি এলাকায় প্রথাগত চাষ ছেড়ে বিঘার পর বিঘা জমি জুড়়ে রমরমিয়ে চলছে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation)। পোস্ত চাষ করা বেআইনি। কারণ, এই পোস্ত থেকে আফিম তৈরি হয়। মাদক বিরোধী প্রচার চলছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কারবার চললেও পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে এলাকার একজন বা দুজন এই চাষ করতেন। আর এই চাষ করে চাষি পরিবার রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতেই গ্রামের অন্য চাষিরা এখন পোস্ত চাষে মেতেছেন।

    এক বিঘা জমিতে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করলে কত আফিম তৈরি হয় জানেন কী?

    বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে।  চাষিদের মতে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পোস্তর আঠা বের করে নেওয়ার পর যে ফলটি পড়ে থাকে, তার ভেতর থেকে তৈরি হয় খাবারের পোস্ত।

    পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) আদতে বেআইনি। জরিমানা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত হতে পারে। কড়া আইন থাকলেও তাকে উপেক্ষা করেই বিঘার পর বিঘা জমিতে চলছে পোস্ত চাষ। প্রশাসনের তরফে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে প্রচার এবং আবগারি দফতর মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও কোনও সুরাহা হয়নি। জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই রমরমিয়ে এই চাষ হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু হুগলির গোঘাট বলে নয়, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম জেলায় এই  চাষের রমরমা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষেরও।

    যদিও এই বিষয়ে গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের খবর আমাকে কেউ দেয়নি। সংবাদ মাধ্যমের কাছেই শুনলাম। যদি কেউ এরকম করে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব।” অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, প্রশাসনের প্রশয়ে এই ধরনের বেআইনি চাষের রমরমা। প্রশাসন খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে, আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তান সমস্যা। খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice) নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সোমবার এই সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতা গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) হুমকি দিয়েছেন, জি-২০’র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সময় হামলা করা হবে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়ানো হবে খালিস্তানের ঝান্ডা। 

    শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice)…

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্জাব (Punjab) ভারত নয় স্লোগান লেখা হয়েছে এসডিও অফিস কমপ্লেক্সে। পঞ্জাবের মোগা জেলার রোড ভিলেজে বাঘাপূর্ণা অ্যান্ড গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের দেওয়ালেও লেখা হয়েছে ওই স্লোগান। শিখস ফর জাস্টিসের তরফে দাবি করা হয়েছে দেওয়ালের ওই স্লোগান লিখেছে তারাই। উল্লেখ্য যে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী জার্নেল সিং ভিন্দ্রেওয়ালা এই রোড ভিলেজেরই বাসিন্দা ছিলেন।

    পান্নুন (Sikhs for Justice) বলেন, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে জি-২০’র বিদেশমন্ত্রীদের। পঞ্জাব ভারত নয়। শিখস ফর জাস্টিস নিউ দিল্লি এয়ারপোর্ট আক্রমণ করবে। সেখানে উড়িয়ে দেবে খালিস্তানি ঝান্ডা। তিনি বলেন, এই হচ্ছে সময় যখন আপনারা (জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীরা) আমাদের খালিস্তানের দাবি সমর্থন করবেন। শিখদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আপনারা সমর্থন করবেন। ভারত ভূখণ্ডকে আপনারা চিনতে পারবেন না। কারণ ভারত কোনও দেশ নয়, শর্তসাপেক্ষে কতগুলো রাজ্যের ইউনিয়ন। তিনি বলেন, যদি মানুষ এই ইউনিয়নে থাকতে না চায়, তাহলে তাদের ভোটের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    শিখস ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) ভারত-বিরোধী কাজকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে দীর্ঘদিন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় খালিস্তানি পতাকা ওড়াতে পারলে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথা তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালে। তখন পান্নুন বলেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি আসছে। লালকেল্লায় ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উড়বে। ২৬ জানুয়ারি ওই পতাকা সরিয়ে টাঙিয়ে দাও খালিস্তানি পতাকা। দিন কয়েক আগে আর এক খালিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিং হুমকি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানি আন্দোলন দমন করতে গেলে অমিত শাহের পরিণতি হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানের দাবি অধিকারের। এর অর্থ, শিখরা তাদের জমি ফেরত পেতে চায়। তাঁদের এই দাবিকে কেউ ছিনতাই করতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gujarat High Court: ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ নয় ’স্যর’ বলাই উচিত, বললেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি  

    Gujarat High Court: ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইয়োর অনার’ নয় ’স্যর’ বলাই উচিত, বললেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থান হাইকোর্টের পথেই হাঁটার বার্তা গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court)! পুরুষ কিংবা মহিলা বিচারপতি যিনিই হোন না কেন, তাঁকে স্যর বলে সম্বোধন করতে হবে। এই মর্মে নোটিশ জারি করেছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতিদের মাই লর্ড বা ইয়োর অনার সম্বোধনে আপত্তি জানালেন গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সোনিয়া গোকানি (Sonia Gokani)। মাত্র ৯ দিনের জন্য গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এই কদিনের মেয়াদেই বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্রথা বাতিলের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।

    রাজস্থান হাইকোর্ট…

    চার বছর আগে রাজস্থান হাইকোর্ট একটি নোটিশ জারি করে জানিয়েছিল, বিচারপতিদের মাই লর্ড বা ইয়োর অনারের বদলে স্যর সম্বোধন করতে হবে। এদিন একটি মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি সোনিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। ওই সময় এক আইনজীবী বেঞ্চের এক বিচারপতি সন্দীপ এন ভট্টকে মাই লর্ড বলে সম্বোধন করেন। তখনই সোনিয়া বলেন, বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে মাই লর্ড বা ইয়োর অনার বলার কোনও প্রয়োজন নেই। স্যর বলাই যথেষ্ট।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    বিচারপতিদের সম্মান জানানোটা জরুরি হলেও, তাঁদের মাই লর্ড বা ইয়োর অনার বলে সম্বোধন করাটা বাধ্যতামূলক নয়। ২০১৪ সালেই সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে একথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, সোনিয়া ছিলেন গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court) প্রথম মহিলা বিচারপতি। ৯ দিনের মেয়াদ শেষে শনিবারই অবসর নেন তিনি। ১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে জেলা জজ হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন সোনিয়া। ২০১১ সালে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে গুজরাট হাইকোর্টে যোগ দেন তিনি। ৯ দিন আগে তাঁকে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতির পদ।

    এদিন সোনিয়া বলেন, স্যর বলাই উচিত। মাই লর্ড কিংবা ইয়োর অনার বলার চেয়ে এটা বলাই ঠিক হবে। এটা লিঙ্গ-নিরপেক্ষও হবে। এদিন তিনি মনে করিয়ে দেন পুরনো একটি ঘটনার কথা। বিচারপতিদের কীভাবে সম্বোধন করা হবে তা নিয়ে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে একটি আলোচনা চক্র হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ইয়োর লর্ড বলাটা সামন্তবাদী ধারণা। তখনই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায় বলেন, অধিকাংশ আইনজীবীই ইতিমধ্যেই স্যর বলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতীর জমি বিন্যাস ও তার বিচিত্র সমীকরণ

    Visva Bharati: বিশ্বভারতীর জমি বিন্যাস ও তার বিচিত্র সমীকরণ

    সোমেশ্বর

    বিশ্বভারতীর অন্যতম প্রধান সমস্যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্যাম্পাস’ সীমায়িত বা ‘ডিমারকেটেড’ নয়। একটি ধর্মীয় আশ্রম হিসাবে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা এবং একটি স্কুল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল, সেখানে স্বাভাবিক কারণেই সীমাবদ্ধ ‘ক্যাম্পাস’ আরম্ভ থেকে ছিল না। কিন্তু ক্রমে ক্রমে এই না থাকার অসুবিধা অনুভূত থাকে। দেখা যায়, গুরুদেবের আশ্রমের বহু জমি তার ভক্তরা নিজের মনে করে দখল করে নিয়েছেন। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী অ্যাক্ট পাশ হওয়ার সময় বিশ্বভারতীর এলাকা হিসাবে ৩০০০ হেক্টরের একটি বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হলেও বাস্তবে সেই জমির সবটার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অধিকার ছিলো না। বিশ্বভারতী সম্ভবত এদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার এলাকায় আস্ত একটা গ্রাম আছে। এরপর ১৯৮৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ’ গঠন করে বিশ্বভারতী এলাকাকেও তাদের ‘উন্নয়ন – এলাকার’ মধ্যে ধরে নিলো। বাইরে থেকে যে ভূমিখণ্ড বিশ্বভারতীর ‘ক্যাম্পাস’ বলে মনে হয় তার ভিতরের চরিত্র বিচিত্র। এই বিচিত্র ‘ক্যাম্পাসে’ তিন ধরণের জমি বা ঘরবাড়ি আছে – বিশ্বভারতীর মালিকানার এবং দখলে আছে, বিশ্বভারতীর মালিকানার কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী লিজে দেওয়া জমি বা তার ওপর বাড়ি এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা বা বাড়ি। জমির এই জটিল চরিত্রের জন্যই সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সমস্যা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া এবং ‘ক্যাম্পাসে’র ভিতর দিয়েই ব্যক্তিগত জমি বা বাড়িতে যাতায়াতের আব্দার সহ্য করা।

    রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথের সময়েই জমি দীর্ঘ মেয়াদী লিজ দেওয়া শুরু হয়। মূলত তৎকালীন বিশ্বভারতীর সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত মানুষ জনকেই এই লীজ দেওয়া শুরু হয়। বিশ্বভারতীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত ছিলেন না এমন মানুষদেরও সেসময় জমি লীজ দেওয়া হয়। মুলতঃ এই উদ্দেশেই ‘ফ্রেন্ডস অফ বিশ্বভারতী’ বা বিশ্বভারতী সুহৃদ সমিতি গঠন করা হয়েছিলো। অমর্ত্য সেন এর দাদু ক্ষিতিমোহন সেন জমির লীজ পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষক হিসাবে; অমর্ত্য সেন এর বাবা আশুতোষ সেন জমির লীজ পেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর ‘সুহৃদ’ হিসাবে। আলাদা আলাদা সময়ে দুটি লিজ দেওয়া হয়েছিলো। ক্ষিতিমোহন সেনকে দেওয়া জমিতে নির্মিত বাড়ি এখনও ভোগ করছেন অমর্ত্য সেন এর মামাতো ভাই ও তাদের পরিবার। রথীন্দ্রনাথের সময়ে দেওয়া ৯৯ বছরের লীজ যাদের নামে দেওয়া হয়েছিলো তারা সবাই প্রয়াত হয়েছেন। লীজের শর্ত হিসাবে সেসব জমিতে বা বাড়িতে তাদের বংশধররা বসবাস করছেন। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা লীজের সময়সীমা শেষ না হলেও সেইসব জমি বা বাড়ি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আবার খুব কৌশলে কিছু জমি যে হাতবদল হয়নি – তাও নয়। বেশিরভাগ দীর্ঘমেয়াদী লীজ ২০৪১ / ৪২ সালে শেষ হয়ে যাবে। যদি বিশ্বভারতীর আগামীদের প্রশাসন লীজ না নবীকরণ করেন, তাহলে এই সমস্ত জমি বা বাড়িই বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু সমস্যার এখানেই শেষ নয়। এরপরেও ব্যক্তি মালিকানার যেসব বাড়ি থেকে যাবে সেগুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ বজায় রাখার পথে বাধা হতে পারে। একটা উদাহরণ দিই – ধরুন আপনি বাইরে থেকে বেড়াতে এসেছেন , সঙ্গীত ভবন সংলগ্ন মাঠে ঘুরছেন, হটাত আপনার চোখে পড়ছে মাঠের সীমানায় একটা আস্ত রেস্টুরেন্ট। আপনি বিস্মিত হবেন – ক্যাম্পাসের ভিতরে এটা কি করে হলো। আসলে ওটি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা একটি প্রাইভেট বাড়িতে। যেহেতু ‘প্রাইভেট’ অতএব যা খুশী করা যায়। বিশ্বভারতীর মধ্যে দিয়ে যে দীর্ঘ রাস্তা – শ্রীনিকেতন থেকে ভূবন ডাঙ্গা অব্দি (অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে দিয়ে) তা এক সময়ে রাজ্য সরকার বিশ্বভারতীকে হস্তান্তরিত করে। বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য ওই রাস্তায় যান চলাচল ও মানুষ চলাচলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইন – শৃঙ্খলা – পরিবেশ বজায় রাখা সুবিধা হয়। কিন্তু অসুবিধা বোধ করেন ক্যাম্পাসের কিছু বাসিন্দা। মুলতঃ তাদের দাবীতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই রাস্তার অধিকার আবার ফিরিয়ে নেন। অর্থাৎ যে খানিকটা ক্যাম্পাসের ‘সীমাবদ্ধতা’ ছিলো তাও নষ্ট হয়ে যায়। বিশ্বভারতীর জমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশসহ অন্ততঃ তিনটে দফতর অবস্থিত। বিশ্বভারতীর জমির ওপর দিয়েই ওইসব জমিতে যাতায়াতের রাস্তা।

    একটি প্রতিষ্ঠান তার দখল হয়ে যাওয়া জমি দখলমুক্ত করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার বেআইনিভাবে দখল না হয় তার জন্য প্রাচীর দিয়ে ঘিরবে – এর মধ্যে অন্যায় কোথায়? কিন্তু বিশ্বভারতীতে কর্তৃপক্ষের এই স্বাভাবিক উদ্যোগকেই অস্বাভাবিক বলে মনে করেন তথাকথিত আশ্রমিক, বুদ্ধিজীবী ও গুরুদেবের কিছু ভক্ত। মেলার মাঠে সীমানা নির্মাণের সময় যা যা ঘটেছে তা এযাবৎ দেশের অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটেছে বলে জানা নেই; সম্ভবত কাশ্মীরেও ‘বুলডোজার’ দিয়ে একটি প্রাচীন তোরণ ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি! বেআইনি পারকিং করে তোলা আদায় সহ নানা বেআইনি কাজের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিলো মেলার মাঠ, ধীরে ধীরে বেআইনি দখলদাররা মাঠ গ্রাস করতে শুরু করে। কারণ এরা সবাই মনে করে – ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’ – অতএব যা খুশী করা যাবে। বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধারের কাজ বা সীমানা প্রাচীর যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রথম শুরু করলেন তা নয়। ২০০৪ সাল থেকেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এমনটা নয় যে – তৎকালীন উপাচার্যরা নিজেদের উদ্যোগে এবং ইচ্ছায় এই কাজ শুরু করেছিলেন। ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে জমি পুনুরুদ্ধারে উদ্যোগী হতে বলা হয় । ২০০৬ এ গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নেতৃত্বে গঠিত ‘হাই লেভেল কমিটি’ তাদের সুপারিশে পরিস্কার ইংরাজিতে লিখেছিলো – ‘The campus boundary will be demarcated and boundary walls and fencing will be constructed to improve and protect the property from encroachment.’ যে দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি উদ্ধারের কাজ হওয়া উচিত ছিল তা হচ্ছে না – এখনো দখলে থাকা বিশ্বভারতীর সিংহভাগ জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সীমানা প্রাচীর বা বেড়া দেওয়ার কাজ অনেকটা করা সম্ভব হলেও রাজ্য সরকার পি ডবলু ডি র রাস্তা ফেরত নিয়ে নেওয়ায় ক্যাম্পাস ঘেরার এই উদ্যোগ অনেকাংশে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে ।

    অমর্ত্য সেনের জমি সম্পর্কে সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যে একটি প্রশ্ন অনেকের মধ্যে এসেছে – ‘আচ্ছা ওনার মতো একজন বিশ্বখ্যাত মানুষ, ভারতরত্ন কে ওই জমিটা উপহার হিসাবে দিয়ে দেওয়া যেত না?’ অধ্যাপক সেন অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সুইডেনের পুরষ্কারটি পাওয়ার পর ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’ গঠন করেন। শোনা যায়, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’ এর অফিস করার জন্য একটি জায়গা চাওয়া হয়েছিলো। অধ্যাপক সেন নিজে চেয়েছিলেন নাকি তার হয়ে কোনো ব্যক্তি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য বা কর্মসমিতি এই প্রস্তাবে রাজী হয়নি, অর্থাৎ তাঁকে ক্যাম্পাসে জায়গা দেওয়া হয়নি। সেই উপাচার্য প্রয়াত হয়েছেন, কিন্তু সেসময়ের দু একজন আধিকারিক এখনো আছেন। তারা হয়তো বলতে পারবেন কেন তাঁকে ক্যাম্পাসে জমি দেওয়া হয়নি। একই ভাবে তার পৈত্রিক বাড়ির জমি নিয়ে এই যে বিতর্ক তা যে শুধুমাত্র বর্তমান উপাচার্যের মস্তিস্কপ্রসুত, তাও নয়। এই জমি নিয়ে মাঝে মাঝেই কথা উঠেছে। শোনা যায়, একজন প্রাক্তন উপাচার্য, যিনি এখনো জীবিত – এই জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান করার জন্য ওনার কাছে, ওনার বাড়িতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেভাবে সাড়া পাননি। অনেকেই বলবেন এসব ‘শোনা যায়’, ‘জানা যায়’ – কথার প্রমাণ নেই। সত্যিই নেই, কারণ এসবের কোনো লিখিত প্রমাণ থাকে না। যদি এই তথ্যগুলো ঠিক না হয়, তাহলে অধ্যাপক সেনের পরিচিত জন অবশ্যই প্রতিবাদ করতে পারেন। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে অমর্ত্য সেনের মতো এত উচ্চাসনে থাকা ব্যক্তি যেভাবে অপ্রীতিকর একটি বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন তার নিরসন হওয়া উচিত। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা ভারত সরকার কি চাইলেই ওই জমি উপহার হিসাবে তাঁকে দিতে পারেন? খানিকটা নিয়ম কানুন বদলে হয়তো সেটা পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আরও নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম হবে, বিশ্বভারতীর জমি সমস্যা জটিলতর হবে। নোবেল প্রাইজ প্রাপক বা ভারতরত্ন না পেলেও সেসময় জমির লীজ প্রাপকরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনেকেই বিখ্যাত। এখন তাদের স্বল্পখ্যাত বংশধররা সবাই যদি উপহার পাবার দাবী তোলেন তখন কি হবে? বামফ্রন্ট সরকার লবনহ্রদে যে জমি দিয়েছিলো সেখানেই এখন ‘প্রতীচী-ট্রাস্টের’ একটি অফিস; শান্তিনিকেতনে ক্যাম্পাসের বাইরে তারা নিজেদের উদ্যোগে একটি অফিস করেছেন। বর্তমান সরকার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের বাইরে আর একটি জমি দিয়ে, ‘প্রতীচী’ বাড়ির আদলে আর একটি বাড়ি তৈরী করে ওনাকে উপহার দিলে কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।

    চাহিদার তুলনায় বিশ্বভারতীর জমির পরিমাণ কম। বিশ্বভারতীকে একটি সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে আরও হোস্টেল ভবন নির্মাণ করতে হবে। এই মুহূর্তে সেখানে হস্টেল সংখ্যা অত্যন্ত কম। ভবিষ্যতে আরও শ্রেণীকক্ষ, খেলার মাঠ, গবেষণাগার ইত্যাদি নির্মাণের জন্য আরও জমির প্রয়োজন হবে। এজন্য একদিকে বেআইনিভাবে দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে হবে অন্যদিকে নিজেদের জমি রক্ষা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: ‘কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণা ঠিক নয়’, বললেন শাহ

    Amit Shah: ‘কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণা ঠিক নয়’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন (Armed Struggle) ভারতে (India) অহিংস আন্দোলনের সাফল্যের ভিত্তি ভূমি রচনা করেছিল। বুধবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অহিংস আন্দোলনের ভূমিকা অস্বীকার করার নয়। আমি বলছি না যে স্বাধীনতার লড়াইয়ে অহিংস আন্দোলনের কোনও ভূমিকা নেই। অবশ্যই এই আন্দোলনের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

    অমিত বচন…

    তিনি বলেন, কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণাটা ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী নিজেদের মতো করে লড়াই করেছেন, আলাদা আলাদা আদর্শে বিশ্বাসীরা নিজেদের মতো করে লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আসলে সকলের মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। অমিত শাহ বলেন, দেশ প্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। সশস্ত্র আন্দোলন এবং বিপ্লবীরা কখনও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ গুরুত্ব পাননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের একটা নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে তার একটা অবদান রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সশস্ত্র আন্দোলন গুরুত্বহীন ছিল।

    আরও পড়ুুন: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    অমিত শাহের (Amit Shah) মতে, স্বাধীনতার যুদ্ধে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন অবশ্যই বড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্য বিপ্লবীরা গুরুত্বহীন। তাঁর অভিযোগ, আমাদের এমনভাবে ইতিহাস পড়ানো হয়েছে, বোঝানো হয়েছে, যাতে অনেকের অবদান উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেস নিজেদের অবদানকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাতে চেয়েছে বলে মনে করেন শাহ। তাই এই যুদ্ধে আরও যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছেন, তাঁরা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে নানা মহলে। এদিন শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন সম্পর্কে যাঁদের বলার কথা ছিল, তাঁরা পুরো গল্প বলেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরা বলেননি যে ভগৎ সিংকে যেদিন ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেদিন লাহোর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত মানুষ এতই আঘাত পেয়েছিলেন যে তাঁরা সেদিন বাড়িতে রান্না পর্যন্ত করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) মুসলমানদের কোনও ভয় নেই। মঙ্গলবারই একথা বলেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর এই বক্তব্যে শিলমোহর দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি মওলানা সাবাবউদ্দিন রাজভি বেরেইলভি। তিনি বলেন, আমি তাঁর (মোহন ভাগবত) বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করি। এবং এটা ঘটনা যে ভারতে মুসলমানেদের প্রতি শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে। ভারতে মুসলমানেরা গর্বের সঙ্গে বসবাস করছেন।

    জামাতের জাতীয় সভাপতি বলেন…

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের জাতীয় সভাপতি বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারে মুসলিমদের প্রতিনিধি কম। তাঁদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, তবে সরকারে মুসলমানদের প্রতিনিধি কতজন থাকবেন, তাঁদের কবে জায়গা দেওয়া হবে, তা স্থির করবেন হায়ার লেভেলের লোকজন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের চাকরিতে মুসলমানদের ব্যালেন্সড শেয়ারও চাইছেন মওলানা সাবাবউদ্দিন রাজভি বেরেইলভি। তিনি বলেন, ভারতে প্রচুর সংখ্যক সুন্নি সুফি বেরেইলভি মুসলমান রয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁরাই সিংহভাগ। তাই তাঁদেরই কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের চাকরিতে ব্যালেন্সড শেয়ার থাকা উচিত।

    আরও পড়ুুন: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, এদিন একটি অনুষ্ঠানে ভারতে মুসলমানেরা সুরক্ষিতই রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আসল সত্যটা হল এই হিন্দুস্তান হিন্দুস্তানই থাকবে। তবে ভারতে যে মুসলমানরা বসবাস করছেন, তাঁদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশের মুসলমানেরা নিরাপদে এবং সুরক্ষিতই রয়েছেন। আজকের ভারতে তাঁদের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। তিনি বলেছিলেন, তাঁরা (মুসলমানেরা) যদি চান, তবে তাঁরা তাঁদের ধর্ম পথে থাকতে পারেন। সংঘ প্রধান আরও বলেন, তাঁরা যদি তাঁদের পূর্ব পুরুষের ধর্মপথে যেতে চান, তবে তাঁরা তা পারেন। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেছিলেন, এটা তাঁদের পছন্দের ব্যাপার। হিন্দুদের এ ব্যাপারে কোনও জেদ নেই। মোহন ভাগবত বলেন, ইসলামের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে একই সঙ্গে মুসলমানদের আধিপত্যের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cabinet Reshuffle: চলতি মাসেই মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল! ঠাঁই পেতে পারেন কারা, জানেন?

    Cabinet Reshuffle: চলতি মাসেই মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল! ঠাঁই পেতে পারেন কারা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে চলতি বছরেই নির্বাচন রয়েছে কয়েকটি রাজ্যে। সেই কারণে মোদি (PM Modi) মন্ত্রিসভায় রদবদল (Cabinet Reshuffle) হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিজেপি (BJP) কিংবা সরকারের তরফে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের কুর্সিতে আসীন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের জুলাই মাসে মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছিলেন। তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়নি। সামনে নির্বাচন রয়েছে বলে সংগঠনেও রদবদল হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

    মকর সংক্রান্তি…

    ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার রদবদল যদি কিছু হয়, তবে তা হবে ১৪ তারিখ মকর সংক্রান্তির পর। শোনা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে এই রদবদল। চলতি মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখে দিল্লিতে রয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেই বৈঠকেই দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। মঙ্গলবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে এক দফা আলোচনা হয়েছে।   

    আরও পড়ুুন: মোহন ভাগবতের বক্তব্য সমর্থন করলেন জামাতের জাতীয় সভাপতি, কী বললেন তিনি?

    চলতি বছর ভোট রয়েছে কর্নাটক, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে। তাই সংগঠনেও হতে পারে রদবদল। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা এবং দিল্লি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলন প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের তারকা প্রচারকের তালিকায় যে সব দলীয় নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের রাখা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে সাংগঠনিক স্তরে বড় পদে নিয়ে আসা কিংবা মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। শোনা য়াচ্ছে, যেহেতু ১৫ মাস পরে লোকসভা নির্বাচন, তাই মন্ত্রিসভা রদবদলের (Cabinet Reshuffle) ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিম বাংলা এবং তেলঙ্গানার মতো বড় রাজ্যগুলিকে।

    মহরাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের সরকার রয়েছে। তাই রদবদল হলে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন শিবসেনার কেউ। বিহার থেকে চিরাগ পাশোয়ানকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে। এবারও রদবদলের সময় চমক থাকতে পারে। গতবার রদবদলের সময় আচমকাই বাদ পড়েছিলেন রবিশঙ্কর প্রকাশ এবং প্রকাশ জাভড়েকর। তার বদলে মন্ত্রিসভায় এসেছিলেন আইএএস অশ্বনী বৈষ্ণব। এবারও তেমন কিছু হতে পারে কিনা, তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ফিরল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্মৃতি! ফের সরকারি অনুষ্ঠানে দেওয়া হল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তার জেরে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে’র যাত্রার সূচনা করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকা নেড়ে। রাজ্যপালের অনুরোধে দিলেন বক্তৃতাও। তবে সেটাও করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বিসদৃশ আচরণে তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্লাটফর্মে আয়োজন করা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে এদিন ভোরে মা হীরাবেন মোদি প্রয়াত হওয়ায় ভার্চুয়ালি ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। সেই সময় দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। দর্শকদের থামানোর চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    রেলের পদস্থ আধিকারিকরাও চেষ্টা করেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। পুরো সময়টাই গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মঞ্চে ওঠেননি। হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেও পুরো অনুষ্ঠান পর্ব মমতা বসে রইলেন মঞ্চের পাশের একটি চেয়ারে। রাজ্যপালের অনুরোধে অবশ্য বক্তব্য রাখতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের যাত্রার। এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মা হীরাবেন মোদির উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করেন মমতা। আলাদা করে উল্লেখ করেন জোকা-তারাতলা মেট্রোর কথাও। এদিন ভার্চুয়ালি এই মেট্রোর সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা স্বয়ং। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠতেই দর্শক আসনে থাকা দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। ক্ষোভে সেদিন বক্তৃতা মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনায় এবার রাজ্যের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, গরুপাচার সহ বিভিন্ন ঘটনায় সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। তাই সিবিআইকে কোণঠাসা করতেই এ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে জলঘোলা করছে রাজ সরকার ও শাসক দল। এজন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দায়ী করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    শুভেন্দু উবাচ…

    পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক অনু্ষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, এর আগেও রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে সেইসব মামলার শুনানি ও তদন্তের কাজ রাজ্যের বাইরে গিয়ে করতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যা সহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সত্যিটা সামনে চলে এলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। এবার সেটাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, লালন শেখের মৃত্যুর পর সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাইরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার খাতিরে চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তাহলেই তাদের আরও ব্যাকফুটে ফেলা যেত।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    শুভেন্দুর দাবি, এ সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি যে আদালত এই মামলায় লালন শেখের স্ত্রীকে পার্টি করেছে। কারণ তাঁর নামে যে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে, সেটি আদতে তৃণমূলের দুই নেতা লিখেছেন। তাঁদের ওই অভিযোগপত্র লেখার নির্দেশ দিয়েছেন ববি। আর ববিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিসি।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিআইডি। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশও দেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাবে। তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এইমস কল্যাণীতে। তবে এজন্য অনুমতি নিতে হবে লালনের স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, লালনের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের সাতজনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Interfaith Marriages: ভিন ধর্মের বিয়ে চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন মহারাষ্ট্র সরকারের

    Interfaith Marriages: ভিন ধর্মের বিয়ে চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন মহারাষ্ট্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডের জেরে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল দেশ। তারপর গ্রেফতার হয়েছে শ্রদ্ধার প্রেমিক তথা লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা ধর্মে হিন্দু হলেও, যাঁর সঙ্গে তিনি এক ছাদের তলায় থাকতেন, সেই আফতাব মুসলমান। ওই ঘটনার পরে ভিন ধর্মে বিয়ের (Interfaith Marriages) ঘটনা নথিভুক্ত করে রাখতে চলেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডের  সরকার।

    ভিন ধর্মে বিয়ে…

    ভিন ধর্মের বিয়ে ট্র্যাক করতে বৃহস্পতিবার উদ্যোগী হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এদিন ১৩ সদস্যের একটি কো-অর্ডিনেশেন কমিটি গড়েছে শিন্ডের সরকার। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন একজন মন্ত্রী। গোটা মহারাষ্ট্রে কতজন ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য সংগ্রহ করা হবে তাঁদের  পরিবারেরও। মহারাষ্ট্র সরকার গঠিত ওই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ইন্টারফেইত ম্যারেজ ফ্যামিলি কো-অর্ডিনেশন কমিটি। কমিটির মাথায় রয়েছেন মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী মঙ্গল প্রভাত লোধা।

    লোধা ছাড়াও বাকি যে সদস্যরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের ডেপুটি কমিশনার। তিনি এই প্যানেলের মেম্বার সেক্রেটারি। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, একটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হবে। যাঁরা ভিন ধর্মে বিয়ে (Interfaith Marriages) করেছেন, সেই সব দম্পতি যাতে সহজে এই কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তাই দেওয়া হচ্ছে এই হেল্পলাইন নম্বর। সরকারি ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যাঁরা পালিয়ে গিয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করছেন কিংবা কোনও ধর্মস্থানে গিয়ে বিয়ে করছেন অথবা রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করছেন বা সামাজিক বিয়ে করছেন তাঁদের প্রত্যেকের নথি সংগ্রহ করা হবে। যেসব মহিলা ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন, তাঁদের প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করানো হবে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    এদিকে, গত শুক্রবার শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা বিকাশ ওয়াকার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে দেখা করেন। মেয়ের হত্যাকারী আফতাব পুন্নাওয়ালার মৃত্যদণ্ডও দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share