Tag: Bengali news

Bengali news

  • China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বর্তমানে জনসংখ্যা সংকটের (China Population Crisis) মুখোমুখি হচ্ছে। এর কারণ বহু মহিলা ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তে তাঁদের পেশাগত জীবনের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করছেন। পরিবার শুরু করার জায়গায় কেরিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন। যার ফলে জনসংখ্যা দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে এবং জনসংকট একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জন্মহার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিশেষ পরিকল্পনা চালিয়েছে চিন। জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে এক-সন্তান নীতি বাতিল করেছিল চিন। এর পর ২০২১ সালে সন্তান প্রসবের ঊর্ধ্বসীমাকেও বাতিল করে ড্রাগনের দেশ। তা সত্ত্বেও দম্পতিদের সন্তান প্রসব কম হচ্ছে। এবার গবেষণায় এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান কী বলছে (China Population Crisis)?

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু ঝেং বলেছেন, “চিনে (China Population Crisis) বিবাহিত দম্পতিরা কম সন্তান ধারণ করছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একেবারেই সন্তান না থাকা পছন্দ করছেন। কোভিড এখনও তার অনেক নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতের দিকে অনিশ্চয়তার ধারা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও একটি অসহায়তার অনুভূতি রয়েছে যা অনেক মহিলাকে সন্তান ধারণ করতে নিষেধ করছে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় পরিবার প্রসারিত করতে চাওয়া থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।” চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস রিপোর্ট করেছে যে জনসংখ্যা ২০২১ সালে ১.৪১৩ বিলিয়ন থেকে গত বছর ১.৪১২ বিলিয়ন হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক বৃদ্ধির হার নেতিবাচক ছিল ড্রাগনের দেশে।

     কেরিয়ারকে গুরুত্ব চিনা মহিলাদের

    পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় চিনের (China Population Crisis) কর্মশক্তিতে মেয়দের সংখ্যা বেশি। একজন অর্থনীতিবিদ অ্যান্ডি জি বলেছেন, “চিনে কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছা আছে মহিলাদের মধ্যে। বাড়িতে থেকে মা হওয়া কখনই লক্ষ্য নয় তাঁদের। বহু মহিলা উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে কর্মক্ষেত্রে পদে উন্নতি করেছেন। ফলে তাঁরা আশা করেন যে, তাঁদের স্বামীরা তাঁদের থেকে বেশি উপার্জন করবে। ২০২০ সালে মহিলা পড়ুয়াদের ডক্টরেট ডিগ্রি নথিভুক্তিকরণ প্রায় ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষদের তুলনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংখ্যক মহিলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।”

    সন্তানধারণ করতে উৎসাহ

    বেশি মহিলাকে সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার কাজ করছে ট্রিপ ডট কম হল একটি চিনা কোম্পানি। চিনে (China Population Crisis)  এই সংস্থায় ৩০,০০০ কর্মচারীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি কোম্পানি মহিলা কর্মীদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহ দিয়ে থাকে৷ আবার এই সংস্থার সিইও জেন সান গত মাসে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমাদের সংস্থায় মহিলাদের একটি কেরিয়ার, একটি পরিবার এবং সন্তান ধারণের জন্য শুধুমাত্র সাত থেকে আট বছর সময় দেওয়া হয়। গর্ভবতী কর্মচারীদের কর্মস্থলে এবং সেখানে বিনামূল্যে ট্যাক্সি চড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়ে থাকে। তাঁদের সন্তানের জন্ম ও স্কুল শুরু হলে নগদ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়।

    বিয়ে না করে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা

    এনইউএইচ-এর সহকারি অধ্যাপক মু বলেছেন, “চিনের (China Population Crisis) কিছু মহিলা সন্তান চান, কিন্তু তাঁরা বিয়ে বা বৈবাহিক জীবনের জন্য প্রস্তুত নন। মহিলারা এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন। তাই তাঁদের অনেকের কাছে বিয়ে তেমন আকর্ষণীয় বিকল্প নয়।” সিএআইসি-এর তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ৭৬.৪ লক্ষ মহিলা বিয়ে করেছে। তুলনায় ২০২০ সালের ৮১.৪ লক্ষ থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে।

    কী বলছেন সন্তানের মায়েরা

    যে মহিলাদের সন্তান ধারণের পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাঁরা সামাজিক কলঙ্কের সম্মুখীন হন এবং একা সন্তান লালন-পালন করার সময় তাঁদের কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। চিনে একজন ৩৬ বছর বয়সি মহিলা এক সন্তানের মা বলেন, “আমি বিয়ে না করে একক ভাবে মা হওয়া লজ্জাজনক বলে মনে করি না। তবে আমি আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম কারণ আমি চাই না যে সকলে আমাকে অন্যভাবে দেখুক।” সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে বছরের শুরুতে ঘোষণা করেছে যে অবিবাহিত বাসিন্দারা বিবাহিত দম্পতিদের মতো একই সুবিধা পাবেন। এই পদক্ষেপ যা আশা করছে চিনের (China Population Crisis) দেশটির জন্মহার বৃদ্ধি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: কেউ আইএএস নন! বাংলার ৪ জেলাশাসককে সরিয়ে দিল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: কেউ আইএএস নন! বাংলার ৪ জেলাশাসককে সরিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের চার জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এই জেলাগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। অবিলম্বে নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের ছোটা উদয়পুর ও আমেদাবাদ গ্রামীণের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে।

    বদল হয়েছে ডিজিপি-ও (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৮ মার্চ বাংলায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিজিপি রাজীব কুমারকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন বিবেক সহায়। পরের দিনই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকেও। তাঁর জায়গায় বসানো হয় (Lok Sabha Elections 2024) আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে ছিলেন তনভির আফজল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধান রায়। আর বীরভূমের ডিএম ছিলেন পূর্ণেন্দ মাজি। এই চারজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল।

    তিন রাজ্যের ডিএম-এসপি বদল

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাট, পাঞ্জাব ও ওড়িশার বিভিন্ন ডিএম ও এসপিদের বদলির নির্দেশও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বদলি করা হয়েছে পঞ্জাবের পাঠানকোট, জলন্ধর গ্রামীণ ও মালেরকোটলা জেলার এসপিদের। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওড়িশার ঢেঙ্কানলের জেলাশাসক, দেওঘর ও কটক গ্রামীণের এসপিদেরও। বদলি করা হয়েছে পঞ্জাবের ভাটিন্ডার এসএসপি, অসমের শোনিতপুরের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকের শেষেই জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে রয়েছেন তিনজন। জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু।

    আরও পড়ুুন: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    গত সপ্তাহেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন ভোট হবে দেশের ১০২টি আসনে। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। তখন আর সরকার নয়, ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশন। সেই কমিশনের নির্দেশেই সরিয়ে দেওয়া হল বাংলার চার ডিএমকে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

  • PM Modi: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি। তৃতীয়বাবের জন্য ১০০ দিনের কাজের প্ল্যানও করা রয়েছে।” ‘রাইজিং ভারত সামিট ২০২৪’-এ যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রীর রোডম্যাপ (PM Modi)

    তিনি বলেন, “সরকার দশ বছরে কী কাজ করেছে, তার রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছে। আরও কাজ করতে বদ্ধপরিকর সরকার। আগামী পঁচিশ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছে। তৃতীয়বারের জন্য একশো দিনের কাজের প্ল্যানও করা রয়েছে।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০টিরও বেশি আসনে জয়ী হবে বলে এক প্রকার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি নানা জনসভায় তা বলেওছেন। তাই নয়া সরকারের রোডম্যাপ তৈরি বলে জানান তিনি (PM Modi)।

    নেশন ফার্স্ট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নিজের জন্যই শুধু করলে তো সরকার হয় না। দেশের জন্য বাঁচতে হবে। নেশন ফার্স্ট। আমরা যুব দেশ…আমাদের দেশের সব করার সম্ভাবনা রয়েছে। রাইজিং ভারতের ভিত্তিই হল নেশন ফার্স্ট। দেশের জন্যই বাঁচব, দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করব।” এদিনের সামিটে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই নয়া ভারত কখনওই সন্ত্রাসবাদকে কোনও স্থান দেয় না। বরং এটি জঙ্গিদের ধ্বংস অনেক বড় ক্ষতি করেছে। যাঁরা আমাদের দেশকে আতঙ্কে রাখত, সন্ত্রাসের সামনে রাখত, তারা এখন কোথাও নেই। এই নতুন ভারত সন্ত্রাসের জখমকে কখনওই সহ্য করে না। সন্ত্রাসের ক্ষত যারা উপহার দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”

    ‘ঘাম ছুটে যাচ্ছে অনেক নেতার’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি পরিষেবা। দুর্নীতি রোখা গিয়েছে। সরকারি পরিষেবার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১০ কোটি ভুয়ো নাম।” তিনি বলেন, “একটা সময় দেশে দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। আজও বিরোধী দলের একাধিক নেতার বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। তাই ইডি, সিবিআইয়ের নাম শুনলেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে অনেক নেতার।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল, ভোট প্রচারের মাঝে কেন যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের সরকারি দফতরগুলো একটা সময় পাওয়ার হাউজ হয়ে গিয়েছিল। আমরা সেগুলিকে সেবা কেন্দ্র করেছি। যাতে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পান। আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি, একটা ফাইল যেন এই টেবিল থেকে ওই টেবিলে ঘুরে না বেড়ায় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল, ভোট প্রচারের মাঝে কেন যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে?

    PM Modi News: প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল, ভোট প্রচারের মাঝে কেন যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) ২ দিনের ভুটান যাওয়ার কথা ছিল। তবে বুধবার রাতেই এই সফর বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে ভুটানের পারো বিমানবন্দর এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কেন্দ্রের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর বাতিল করা হয়েছে, দুই দেশের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। নতুনভাবে দিনক্ষণ স্থির করা হবে আলোচনার মাধ্যমে।’’ প্রসঙ্গত, ২১-২২ মার্চ ভুটান সফরে থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।

    কেন হঠাৎ ভুটান সফর?

    চলতি মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন ভুটানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ১৪-১৫ মার্চ দিল্লি সহ একাধিক শহরে সফর করেন তিনি। নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও ভুটান সফরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারদের কথায়, ‘‘এই জাতীয় নিমন্ত্রণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News) দ্রুত নিমন্ত্রণ রক্ষার সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’’ প্রসঙ্গত, বুধবারই দেশে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। আর একমাসও বাকি নেই,  ১৯ এপ্রিল দেশের ১২০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই সময়ে নিজের তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী পড়শি দেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিষ্টাচারের কারণেই।

    কূটনৈতিক দিক থেকে ভুটান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    যদিও, প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi News) সফরে, দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি সম্পাদনের কর্মসূচি ছিল না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে রাজা জিগমে খেসার নামগায়েল ওয়াংচুক এবং প্রাক্তন রাজা জিগমে সিংঙে ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কয়েক দফা কথা হত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ভোটের ব্যস্ততার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরের অন্যতম কারণ ছিল, পাহাড়ি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতার বার্তা দেওয়া। সেই কারণেই দ্রুত সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে সফরের সিদ্ধান্ত নেন মোদি। অন্যদিকে, ভুটানের সঙ্গে চিনের দীর্ঘ সীমা রয়েছে। কূটনৈতিক দিক থেকে ভুটান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই সুসম্পর্কে আগ্রহী। তাই প্রধানমন্ত্রী এই সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ৫৪ বছরে মার্চের শীতলতম দিন! বসন্তে শীতের আমেজ, কবে থামবে বৃষ্টি?

    Weather Update: ৫৪ বছরে মার্চের শীতলতম দিন! বসন্তে শীতের আমেজ, কবে থামবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সারাদিনই মুখভার ছিল আকাশের। একইসঙ্গে কখনও কখনও হালকা বৃষ্টি, পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া চলেছে। বসন্তকালে ঠিক যেন শীতের (Weather Update) আমেজ দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, এক ধাক্কায় পারদ অনেকটাই কমে গিয়েছে। হাওয়া অফিসের মতে, বুধবার এমন আবহাওয়ার কারণে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছিল স্বাভাবিকের থেকে। তবে জানা গিয়েছে, আজকে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সারাদিন একইভাবে আকাশের মুখভার থাকবে। তবে শুক্রবার থেকে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ক্রমেই, তাপমাত্রার বাড়তে বাড়তে ৩০ ডিগ্রির ঘরে ঢুকে পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি আগামী শনিবার পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার খবর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২১.১ ডিগ্রি। যা গত ৫৪ বছরে মার্চ মাসে শীতলতম দিন (Weather Update)। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮.২ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় কুয়াশার দাপট দেখা দিয়েছে। আজও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায়। এর পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রির মধ্যেই থাকবে।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার খবর

    অন্যদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ মার্চ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত।

    আরও পড়ুুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘নির্বাচনী বিধিভঙ্গ’ করেছেন ফিরহাদ, মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: ‘নির্বাচনী বিধিভঙ্গ’ করেছেন ফিরহাদ, মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচ এলাকায় বহুতল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আহতদের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রিমশাই।

    নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ (Lok Sabha Elections 2024)

    এর পরেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের (Lok Sabha Elections 2024) অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। সোমবার পদ্ম শিবিরের তরফে পাঠানো হয় ওই চিঠি। তাতে লেখা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তা ভেঙেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে (Lok Sabha Elections 2024) অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।”

    আদালতে বিজেপি নেতা

    এদিকে, গার্ডেনরিচের ঘটনায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ। তাঁর বক্তব্য, গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় এমন আরও প্রায় ৫০টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। রাতের অন্ধকারে ওই সব নির্মাণ হয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে জানস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    প্রসঙ্গত, রবিবার গার্ডেনরিচ এলাকায় কয়েকটি ঝুপড়ির ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি বহুতল। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ধ্বংসস্তূপের নীচেও কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন বলে অনুমান। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রোমোটার সহ দু’জনকে। এই ঘটনায় আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ।

    নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। তাই এই সময় থমকে যায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ফিরহাদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। মেয়রের পাশাপাশি তিনি মন্ত্রীও। তাই আদর্শ আচরণ বিধির কথা অজানা নয় তাঁর। বিরোধীদের মতে, নির্বাচনের আগে ক্ষতিপূরণের কথা (Lok Sabha Elections 2024) ঘোষণা করে ফিরহাদ কৌশলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের মানবিক মুখের বিজ্ঞাপনই দিতে চেয়েছিলেন। যা করতে গিয়ে স্রেফ ‘ফেঁসে’ গিয়েছেন মন্ত্রিমশাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Ananda Bose: নিশীথ প্রামাণিকের উপর তৃণমূলের হামলা, ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: নিশীথ প্রামাণিকের উপর তৃণমূলের হামলা, ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের অনুগামীরা আচমকা আক্রমণ করলে দুই মন্ত্রীর মধ্যে বচসার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তাঁদের উপর। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির উপর দায় ঠেলেছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এবার এই ঘটনায় সত্যানুসন্ধানে নেমেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ঘটনার সত্যতা জানতে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    কী বলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    মঙ্গলবারের ঘটনার এক দিন পর বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাগডোগরা থেকে সড়কপথে কোচবিহারে পৌঁছান রাজ্যপাল। দিনহাটা চৌপতি এলাকা যান রাজ্যপাল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্য়ানের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। রাজ্য পুলিশের DG-র কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। এক্ষেত্রে আমার স্পষ্ট মতামত হল, নির্বাচন চলাকালীন কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এর পুনরাবৃত্তি হবে না, এটা একটা অঙ্গীকার।’’ এর আগে, এদিন বেলায় কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার সময়ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ যে ভালো নেই সেই নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। সামনেই লোকসভার ভোট। তাই রাজ্যে সন্ত্রাস মুক্ত নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই রাজ্যপাল সক্রিয় বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    নির্বাচন প্রসঙ্গে কী বললেন?

    একই ভাবে এদিন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) আরও বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবনা।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্য প্রশাসনের ডিজিকে এই রাজনৈতিক আক্রমণের ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছেন। রাজ্যে কোনও রকম অশান্তি কাম্য নয় বলে জানান তিনি। একই ভাবে আগের বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে মনোনয়ন থেকে ভোট দেওয়া এবং ফলাফল ঘোষণা থেকে ভোট পরবর্তী সময় পর্যন্ত ব্যাপক সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দেন। কোনও ভাবেই যে হিংসাকে বরদাস্ত করবেন না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে দেন তিনি। রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছ তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Economy: পরের অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ, বলছে ‘এস অ্যান্ড পি’

    India Economy: পরের অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ, বলছে ‘এস অ্যান্ড পি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী অর্থবর্ষে ভারতের (India Economy) আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৬.৮ শতাংশ। অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স। এর আগে এই সংস্থাই জানিয়েছিল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৬ শতাংশ। এখন তারাই জানাল, বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ।

    অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার (India Economy)

    এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, এই সময় বিশ্বব্যাপী আর্থিক বৃদ্ধির গড় হার হতে পারে ২.৩ শতাংশ থেকে ২.৬ শতাংশ। সংস্থার (India Economy) তরফে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৪ অর্থবর্ষের পূর্বাভাস আমরা পুনর্মূল্যায়ন করছি। বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যা আশা করা হয়েছিল, ভারতের বৃদ্ধি তার চেয়েও বেশি হবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিবেশের উন্নতি এবং গৃহস্থের অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে চলবে অর্থনৈতিক কাজকর্ম।’’

    ‘মুডি’জ-এর ইঙ্গিত

    ঠিক একদিন আগেই ভারতের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল মুডি’জ নামে আরও একটি সংস্থা। ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস করতে গিয়ে তারা জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে বৃদ্ধির পরিমাণ ৬.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৮ শতাংশ। মুডি’জ বলেছিল, জি২০-র প্রধান দেশগুলির মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধি হবে ভারতের। এ দেশের প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে প্রায় ৮ শতাংশ। মার্চে যে অর্থবর্ষ শেষ হবে, সেখানেই বৃদ্ধির পরিমাণ হবে ৮ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    সরকারি মূলধন ব্যয় ও উচ্চ অভ্যন্তরীণ চাহিদা ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে জোরালো করবে। অধিকন্তু, বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির কারণেই পোক্ত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। অক্টোবর-ডিসেম্বরে দেশ রেজিস্টার্ড করেছিল ৮.৪ শতাংশ জিডিপি। ম্যানুফ্যাকচারিং, ইলেকট্রিসিটি এবং নির্মাণ শিল্পে জিডিপির বৃদ্ধি এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, বৈশ্বিক বৃদ্ধি ২.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২.৬ শতাংশ হবে। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ভারতের জিডিপির হার বাড়বে বলেই জানিয়েছে এই সংস্থা (India Economy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলা শুনানি শেষ হল বুধবার। প্রতিদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এসএসসি নিয়োগ মামলার (SSC Recruitment Case)। শুনানি শেষ হলেও, স্থগিত রয়েছে রায় ঘোষণা।

    ‘অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিল হওয়া উচিত’ (SSC Recruitment Case)

    সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এদিন আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতেই রায়ের ইঙ্গিত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি বসাক বলেন, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, এসএসসিতে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment Case) সংক্রান্ত একাধিক মামলা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে ঘোরাফেরা করছে।

    রায় ঘোষণা মুলতুবি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (অধুনা অবসরপ্রাপ্ত), বিচারপতি অমৃতা সিনহা সহ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এই মামলার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ। বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যেই শুনানি শেষ করতে বলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে প্রতিদিনই শুনানি হয়েছে এই মামলার। এই বেঞ্চেই এদিন শেষ হয় শুনানি। যদিও রায় ঘোষণা মুলতুবি রেখেছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। শূন্যপদের চেয়েও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। ওই সব দুর্নীতির টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।” বিকাশের বক্তব্য, “এই দুর্নীতির ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত আদালতের। তা না হলে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে।”

    এদিন মামলাকারীদের আইনজীবীরা অতিরিক্ত নিয়োগের খতিয়ানও প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের তরফে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল ১১ হাজার ৪২৫ জনের। সেবার পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল ১২ হাজার ৯৬৪টি। যার অর্থ, বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ জনের। ওই বছরই একাদশ-দ্বাদশে বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১৯৯ জনের। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬৬৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়। গ্রুপ-সি পদে বাড়তি নিয়োগ হয়েছিল ৪১৬জন (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, “কারও সর্বনাশ, তো কারও পৌষ মাস।” বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্যটি কিঞ্চিৎ সংধোধন করে বলাই যায়, “চিনের সর্বনাশ, ভারতের পৌষ মাস।” ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক কাজের কথায়। এতদিন বিশ্ববাজারে (Made In India) একচেটিয়া রাজ করছিল চিনে খেলনা। সেই বাজারে গুঁড়ি মেরে থাবা বসাচ্ছিল ভারত।

    বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত (Made In India)

    বর্তমানে চিনকে টপকে বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতে তৈরি খেলনা। ১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২৩ অর্থবর্ষ – এই সময়সীমার মধ্যে বিশ্বে ভারতের খেলনা রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ শতাংশ। আমদানি কমে গিয়েছে ৫২ শতাংশ। ভারতে খেলনা বিক্রি করতে গেলে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্সের অনুমোদন প্রয়োজন। তাছাড়া বেসিক কাস্টমস ডিউটি বাড়ানো হয়েছে ৭০ শতাংশ। তার জেরেই পিছিয়ে পড়ছে চিন, চুটিয়ে ব্যবসা করছে ভারতীয় খেলনা কোম্পানিগুলি। মুনাফা ভালো হওয়ায় ভারতে দিন দিন বাড়ছে খেলনা কারখানাও।

    কমেছে চিন নির্ভরতা 

    খেলনাশিল্প সূত্রে খবর, স্পিন মাস্টা, হাসব্রো, ম্যাট্টেলের গ্লোবাল ব্যান্ড খেলনা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি সোর্সিংয়ের জন্য নির্ভর করত ইটালিয়ান মেজর ড্রিম প্লাস্ট, মাইক্রোপ্লাস্ট এবং ইনকাসের। এতদিন এরা চায়না খেলনার ওপর নির্ভর করত। বর্তমানে চিন-প্রীতি ছেড়ে ভারতীয় খেলনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে তারা। চিনে খেলনার ওপর এতদিন নির্ভর করত ভারতও (Made In India)। বর্তমানে চিন নির্ভরতা কমেছে ৮০ শতাংশ। চেন্নাই ভিত্তিক ফানস্কুলের মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক আর জেসওয়ান্ত বলেন, “বিআইএস চিনা ক্ষমতার অনুমোদন দেবে বলে আমি মনে করি না। চিন থেকে খেলনা আমদানি কমেছে। দেশীয় খেলনার উৎপাদন বাড়ায় কমেছে আমদানি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    ১০ বছর আগেও ভারত থেকে সোর্সিং হত দৈবাৎ। আর এখন অনেক কোম্পানিই ভারতে সেটআপ তৈরি করেছে।” কেবল খেলনা নয়, ফানস্কুল এমআরএফ নামের টায়ারও উৎপাদন করে। এই কোম্পানিই এখন ভারতে তৈরি খেলনা পাঠাচ্ছে হাসব্রো, স্পিন মাস্টার, ফ্লেয়ার, আর্লি লার্নিং সেন্টার এবং ড্রুমন্ড পার্ক গেমসকে। দিল্লি ভিত্তিক আমদানি-রফতানিকারী সংস্থা আরপি অ্যাসোসিয়েটসের মালিক পবন গুপ্তা বলেন, “ভারতে খেলনা উৎপাদন বাড়ছে। অনেকে ভারতে তাঁদের সেটআপ তৈরি করেছেন। বহু ক্রেতা যারা এতদিন চিন থেকে সোর্সিং করত, তারা এখন চিনের থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশের দিকে তাকাচ্ছে। এদের মধ্যে ভারতও রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকায় মাইক্রোপ্লাস্ট, ড্রিম প্লাস্ট এবং ইনকাসের মতো অনেক বড় বড় কোম্পানিও রয়েছে (Made In India)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share