Tag: Bengali news

Bengali news

  • Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’টি (Waqf Amendment Bill) দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।” বুধবার কথাগুলি বললেন ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল (Jagdambika Pal)। তিনি বলেন, “এদিন যে বিলটি সংসদে পাশ করাতে পেশ করা হচ্ছে, তা দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।”

    “ঐতিহাসিক দিন” (Waqf Amendment Bill)

    এই দিনটিকে “ঐতিহাসিক দিন” বলে অভিহিত করে জগদম্বিকা বলেন, “যৌথ সংসদীয় কমিটির কঠোর পরিশ্রম, যারা বিভিন্ন রাজ্যের স্টেকহোল্ডারদের আস্থা নিয়েছিল, তারা সফল হয়েছে।” তিনি বলেন, “জেপিসি সভাগুলিতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে বিরোধীদের বক্তব্য শোনা হয়েছিল।” যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের কঠোর পরিশ্রম সফল হয়েছে। সরকার আজ সংশোধিত রূপে বিলটি নিয়ে আসছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ এই বিল পাশ হওয়ার মাধ্যমে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলিমরা উপকৃত হবেন। আমরা গত ছ’মাস ধরে জেপিসি সভাগুলি পরিচালনা করেছি। প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে তাদের (বিরোধী পক্ষের) কথা শুনেছি।”

    জগদম্বিকার নিশানা

    বিলটির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জগদম্বিকা নিশানা করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে। তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টির গায়ে রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “রমজানের নমাজের সময় মসজিদে কালো ব্যান্ড পরার জন্য আমাদের বিরোধী দল বা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আবেদনেই স্পষ্ট, তারা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।” এদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়ায় এদিন বিজেপি নেতা মোহসিন রাজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনে এই সংশোধনী পাশ হলে তা প্রান্তিক মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ (উপহার) হবে।”

    সবচেয়ে বড় ‘ইদি’

    সংবাদ মাধ্যমে (Waqf Amendment Bill) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশের সব সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মুসলিম ভাই-বোনেদের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এটি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ হবে।” বিলটির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। সাংসদ কিরণ কুমার চামালা বলেন, “এই বিল যদি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করে, তবে আমরা এর বিরোধিতা করব।” তিনি বলেন, “বর্তমান বাজেট অধিবেশনের মধ্যেও সরকার আজ লোকসভায় আট ঘণ্টার বিতর্ক করতে রাজি হয়েছে।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ

    এদিনই লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি পেশ হতেই ব্যাপক হইচই শুরু করে দেন বিরোধীরা। তার পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ ও বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তার আগে অবশ্য রিজিজু আলোচনা ও সকলের মতামত নেওয়ার জন্য জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধি দল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill) এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।” বিল পেশের ঠিক আগেই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী বলেন, “আজ ঐতিহাসিক দিন। আজ ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল লোকসভা পেশ করা হবে। দেশের স্বার্থেই এই বিল পেশ করা হচ্ছে।”

    ওয়াকফ সম্পত্তি

    প্রসঙ্গত, বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই (Jagdambika Pal)। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নয়া সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি হল, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তি কোনওভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না। নয়া বিলে যে সুযোগও রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডে দুজন অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আপত্তি উঠেছে। একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব (Waqf Amendment Bill)।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রথম পাশ হয় ওয়াকফ আইন। ১৯৯৫ সালে ওই আইনে সংশোধনী এনে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল ওয়াকফ বোর্ডের। তারপর থেকেই বিজেপির তরফে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বিজেপির দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। বঞ্চিত হচ্ছেন (Jagdambika Pal) সাধারণ মুসলমানরা। নয়া আইন কার্যকর হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মুসলমানরা (Waqf Amendment Bill)।

  • National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় পতাকার (National Flag) রং হওয়ার কথা ছিল গেরুয়া। জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসও এটি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু একজনের তীব্র বিরোধিতায় বদলে যায় ভারতের জাতীয় পতাকার রং (Mohandas Karamchand Gandhi)। যাঁর জন্য জাতীয় পতাকার রং গেরুয়া না হয়ে তেরঙা হল, তিনি হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এহেন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। লেখক সচিন নন্দা।

    কী লিখেছেন নন্দা? (Mohandas Karamchand Gandhi)

    বইটির ১২তম অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা ২৩১), নান্ধা লিখেছেন, “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একটি ৭-সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। এদের কাজই ছিল জাতীয় পতাকার রং কেমন হবে, তা নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া। ১৯৩১ সালে কমিটি জানায়, জনগণ চায় অশোক চক্রযুক্ত একটি কেসরি (গেরুয়া) রঙের জাতীয় পতাকা। ‘রিপোর্ট অফ দ্য ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কমিটি’র একটি অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। সেখানে লেখা হয়েছে, “এই মত একমতভাবে গৃহীত হয়েছে যে আমাদের জাতীয় পতাকার ডিভাইসের রং ছাড়া বাকি অংশ এক রংয়ের হওয়া উচিত। যদি এমন একটি রং থাকে যা সমগ্র ভারতীয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, আবার অন্যান্য রংয়ের তুলনায় বেশি স্বতন্ত্র, যে রং দীর্ঘ ঐতিহ্য দ্বারা এই প্রাচীন দেশের সঙ্গে যুক্ত – তা হল কেসরী (গেরুয়া) বা জাফরান রং। সেই মতো এই ধারণা হয়েছে যে ডিভাইসের রং ছাড়া পতাকার রং কেসরী হওয়া উচিত। আর ডিভাইস হিসেবে চরকা ব্যবহার করা হবে এ নিয়েও সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া গিয়েছে।”

    বাগড়া দিয়েছিলেন গান্ধী!

    কমিটির এই রিপোর্ট মেনে নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং আবুল কালাম আজাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা এতে স্বাক্ষরও করেছিলেন। আরএসএস গেরুয়া রংকেই ‘রাষ্ট্র ধ্বজ’ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দেয় (National Flag)। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তটি মহাত্মা গান্ধীর (Mohandas Karamchand Gandhi) কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাঁর সাফ কথা, জাতীয় পতাকার রং শুধু ‘তিরঙ্গা’ হওয়াই উচিত। গান্ধীর এই ভেটোর কারণে জনগণমনের আবেগ ও সভ্যতার পরিচয় উপেক্ষিত হয়। মান্যতা পায় গান্ধীর ইচ্ছা। গেরুয়া নয়, জাতীয় পতাকার রং হয় তেরঙা। বস্তুত, গান্ধীর জন্যই গেরুয়া ধ্বজা আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারেনি। নন্দা লিখেছেন, “ভারত আজও সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁচে আছে, এবং যদিও এটি (ভারত) এ নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে, আধুনিক ভারতের কোটি কোটি মানুষ কিন্তু মনে করেন যে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাটির রং ভুল (Mohandas Karamchand Gandhi)।”

    নন্ধার সাফ কথা

    সম্প্রতি সাংবাদিক বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নন্দা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “দু’বছর শেষে এই কমিটি কংগ্রেসকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তারা বলে, রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে, তা হল মানুষ এমন একটি পতাকা চান যা তাঁদের সাংস্কৃতিক সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যেই নামেই ডাকুন না কেন, তা হতে হবে কেসরী রংয়ের যার কোণের কোনও এক জায়গায় একটি চক্র থাকবে। কমিটির এই রিপোর্টে নেহরু স্বাক্ষর করেছিলেন। আবুল কালাম আজাদ এবং কমিটির অন্যান্য ছ’জন সদস্যও এটি অনুমোদন করেছিলেন। এটি গান্ধীর কাছে গেল এবং গান্ধী এটিতে ভেটো দিলেন। তিনি কমিটিকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, আমি এটা মানব না (National Flag)। এটা তেরঙা পতাকা হতে হবে।” জানা গিয়েছে, গান্ধী (Mohandas Karamchand Gandhi) ভারতের জাতীয় পতাকায় ইউনিয়ন জ্যাক রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যদি চরকার জায়গায় অশোক চক্র বসানো হয়, তবে তিনি একে কুর্নিস করবেন না।

    জাতীয় পতাকার রং বদল

    প্রসঙ্গত, ১১৭ বছরে ভারতের জাতীয় পতাকা পরিবর্তিত হয়েছে মোট ৬ বার। প্রত্যেকবারই এই রাষ্ট্র ধ্বজা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন রূপে। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া আজকের তেরঙা পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই সংবিধান কমিটির সভায় এই পতাকাটি স্বাধীন ভারতের পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করেই রংগুলি যুক্ত করেছিলেন। তেরঙার ওপরে রয়েছে গেরুয়া রং। এটি বীরত্ব ও ত্যাগের প্রতীক। মাঝে রয়েছে সাদা রং। এটি শান্তির প্রতীক। নীচের সবুজ রং সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর মাঝখানে থাকা অশোক চক্রটি সারনাথের অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কর্তব্যের প্রতীক। ১৯০৬ সালে প্রথম ভারতীয় জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়। যদিও তা বর্তমান পতাকার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল (Mohandas Karamchand Gandhi)।

  • Ramakrishna 313: “সমুদ্র দূর হতে হো-হো শব্দ করছে, কাছে গেলে কত জাহাজ যাচ্ছে, পাখি উড়ছে, ঢেউ হচ্ছে—দেখতে পাবে”

    Ramakrishna 313: “সমুদ্র দূর হতে হো-হো শব্দ করছে, কাছে গেলে কত জাহাজ যাচ্ছে, পাখি উড়ছে, ঢেউ হচ্ছে—দেখতে পাবে”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    ভক্তসঙ্গে—নানাপ্রসঙ্গে—ভাব মহাভাবের গূঢ়তত্ত্ব

    “মাখন যদি চাও, তবে দুধকে দই পাততে হয়। তারপর নির্জনে রাখতে হয়। তারপর দই বসলে পরিশ্রম করে মন্থন করতে হয়। তবে মাখন তোলা হয় (Kathamrita)।”

    মহিমাচরণ (Ramakrishna)—আজ্ঞা হাঁ, কর্ম চাই বইকি! অনেক খাটতে হয়, তবে লাভ হয়। পড়তেই কত হয়! অনন্ত শাস্ত্র।

    আগে বিদ্যা (জ্ঞানবিচার)—না আগে ঈশ্বরলাভ? 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি)—শাস্ত্র কত পড়বে? শুধু বিচার করলে কি হবে? আগে তাঁকে লাভ করবার চেষ্টা কর, গুরুবাক্যে বিশ্বাস করে কিছু কর্ম কর। গুরু না থাকেন, তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা কর, তিনি কেমন—তিনিই জানিয়ে দিবেন।

    “বই পড়ে কি জানবে? যতক্ষণ না হাটে পৌঁছানি যায় ততক্ষণ দূর হতে কেবল হো-হো শব্দ। হাটে পৌঁছিলে আর-একরকম। তখন স্পষ্ট দেখতে পাবে, শুনতে পাবে। ‘আলু নাও’ ‘পয়সা দাও’ স্পষ্ট শুনতে পাবে।

    “সমুদ্র দূর হতে হো-হো শব্দ করছে। কাছে গেলে কত জাহাজ যাচ্ছে, পাখি উড়ছে, ঢেউ হচ্ছে—দেখতে (Kathamrita) পাবে।

    “বই পড়ে ঠিক অনুভব হয় না। অনেক তফাত। তাঁকে দর্শনের পর বই, শাস্ত্র, সায়েন্স সব খড়কুটো বোধ হয়।

    “বড়বাবুর সঙ্গে আলাপ দরকার। তাঁর ক’খানা বাড়ি, ক’টা বাগান, কত কোম্পানির কাগজ, এ আগে জানবার জন্য অত ব্যস্ত কেন? চাকরদের কাছে গেলে তারা দাঁড়াতেই দেয় না, — কোম্পানির কাগজের খবর কি দিবে! কিন্তু জো-সো করে বড়বাবুর সঙ্গে একবার আলাপ কর, তা ধাক্কা খেয়েই হোক, আর বেড়া ডিঙ্গিয়েই হোক,—তখন কত বাড়ি, কত বাগান, কত কোম্পানির কাগজ, তিনিই বলে দিবেন। বাবুর সঙ্গে আলাপ (Kathamrita) হলে আবার চাকর, দ্বারবান সব সেলাম করবে।” (সকলের হাস্য)

    ভক্ত—এখন বড়বাবুর সঙ্গে আলাপ কিসে হয়? (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাই কর্ম চাই। ঈশ্বর আছেন বলে বসে থাকলে হবে না।

    “জো-সো করে তাঁর কাছে যেতে হবে। নির্জনে তাঁকে ডাকো, প্রার্থনা কর; ‘দেখা দাও’ বলে ব্যাকুল হয়ে কাঁদো। কামিনী-কাঞ্চনের জন্য পাগল হয়ে বেড়াতে পার; তবে তাঁর জন্য একটু পাগল হও। লোকে বলুক যে ঈশ্বরের (Ramakrishna) জন্য অমুক পাগল হয়ে গেছে। দিন কতক না হয়ে সব ত্যাগ করে তাঁকে একলা ডাকো।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Tuberculosis: ভারতীয় ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলেই কি যক্ষ্মার ঝুঁকি কমতে পারে?

    Tuberculosis: ভারতীয় ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলেই কি যক্ষ্মার ঝুঁকি কমতে পারে?

    মাধ্যম ডেস্কঃ স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই সুস্থ জীবন যাপনের পথ সহজ করবে। ভারতে বাড়ছে যক্ষ্মার দাপট। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিশ্বের মধ্যে যক্ষ্মার দাপট সবচেয়ে বেশি ভারতে। বিশ্বের মোট যক্ষ্মা আক্রান্তের মধ্যে ২৬ শতাংশ রোগী ভারতের। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে এই রোগের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ খাদ্য (Indian home cooked food) অসচেতনতা। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন ভারতে যক্ষ্মার দাপট বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে যক্ষ্মা একটি অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। তার কারণ এই রোগ নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা নিয়েও পর্যাপ্ত সতর্কতা নেই। তার ফলেই সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, টিউবারকুলেসিস ব্যাক্টেরিয়া থেকেই যক্ষ্মা রোগ হয়। এই টিবির জীবাণু সব সময় ফুসফুসেই আক্রমণ করে এমন নয়। শরীরের যে কোনও অংশে এই অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। ভারতে ফুসফুসের যক্ষ্মার পাশপাশি হাড়ের যক্ষ্মার রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাস (Tuberculosis) এবং জীবন যাপনে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এ দেশে যক্ষ্মার দাপট বাড়িয়ে দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেকেই তাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ শেষ করা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই রোগী চিকিৎসা মাঝপথে ছেড়ে দেয়। এর ফলে রোগের দাপট আরও বাড়ে। রোগের দাপট কমলেই চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া এই রোগের সবচেয়ে বড় বিপদ। কিন্তু এই নিয়ে এখনও পর্যাপ্ত সচেতনতা নেই। যার ফলে এই দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বাড়ছে।

    কোন ঘরোয়া খাবারেই যক্ষ্মার ঝুঁকি কমানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি ভারতীয় ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলেই যক্ষ্মার ঝুঁকি কমানো যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত একদিন মেনুতে খিচুড়ি (Indian home cooked food) রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, খিচুড়ি এমন একটি ভারতীয় খাবার, যার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। ডাল ও চালের মিশ্রণের পাশপাশি এই খাবারে থাকে সবজি। অর্থাৎ শরীর সহজেই ভিটমিন, প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট পায়। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান বাড়ে। আবার প্রোটিনের চাহিদাও সহজেই পূরণ হয়।

    সপ্তাহে অন্তত দুদিন পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এবং আয়রন। এর ফলে এই খাবারে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক থাকে। তাই যক্ষ্মা (Tuberculosis) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

    হাড়ের টিবির ঝুঁকি কমায় কোন খাবার (Tuberculosis)?

    টক দই এবং ডিম নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং একাধিক ভিটামিন। তাছাড়া ডিম থেকে সহজেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হয়। আর টক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই খাবার (Indian home cooked food) খেলে একদিকে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া পৌঁছয় এবং হজম শক্তি বাড়ে। টক দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই হাড়ের টিবির ঝুঁকি কমায় এই খাবার।

    রান্নায় রসুনের ব্যবহার টিবির (Tuberculosis) ঝুঁকি কমাবে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এর ফলে রসুন দেওয়া তরকারি খেলে শরীরে যেকোনও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমবে।

    যক্ষ্মার ঝুঁকি কমাতে কোন অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যক্ষ্মার প্রকোপ কমাতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। যক্ষ্মার (Tuberculosis) ঝুঁকি কমাতে তাই কয়েকটি অভ্যাস রপ্ত করা জরুরি। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ধূমপান ত্যাগ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তামাক সেবনের ফলে টিবিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটাই বেড়ে যায়। ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সেবনের অভ্যাস বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যক্ষ্মার (Indian home cooked food) মতো অসুখ রুখতে এই অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।

    মদ্যপানের অভ্যাস যক্ষ্মার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ বার্গার, পিৎজা, হটডগের মতো খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এই সব খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। কিন্তু দিনের পর দিন‌ এই প্রক্রিয়াজাত খাবার (Indian home cooked food) খাওয়ায় শরীরে নানান বিষাক্ত রাসায়নিক প্রবেশ করছে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। যক্ষ্মার (Tuberculosis) মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে।

    মদ্যপানের অভ্যাস যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভারের রোগ দেখা দেয়। তেমনি বাড়তে পারে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 312: “বলিতে বলিতে ভাবপূর্ণ হইয়া উঠিলেন, করুণামাখা সস্নেহ দৃষ্টি, ভাবোন্মোত্ত হইয়া গান ধরিলেন”

    Ramakrishna 312: “বলিতে বলিতে ভাবপূর্ণ হইয়া উঠিলেন, করুণামাখা সস্নেহ দৃষ্টি, ভাবোন্মোত্ত হইয়া গান ধরিলেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ     

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১লা মার্চ
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    ভক্তেরা একদৃষ্টে দেখিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নিচেই মাদুরের উপর বসিয়া আছেন। কাছে মাস্টার, সম্মুখে নরেন্দ্র, চতুর্দিকে ভক্তগণ।

    ঠাকুর একটু চুপ করিয়া নরেন্দ্রকে সস্নেহে দেখিতেছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে নরেন্দ্রকে বলিলেন, বাবা, কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ না হলে হবে না। বলিতে বলিতে ভাবপূর্ণ হইয়া উঠিলেন। সেই করুণামাখা সস্নেহ দৃষ্টি, তাহার সঙ্গে ভাবোন্মোত্ত হইয়া গান ধরিলেন (Kathamrita):

    কথা বলতে ডরাই, না বললেও ডরাই।
    মনে সন্দ হয় পাছে তোমাধনে হারাই হারাই ॥
    আমরা জানি যে মন-তোর, দিলাম তোকে সেই মন্তোর,
    এখন মন তোর; আমরা যে মন্ত্রে বিপদেতে তরি তরাই ॥

    শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) যেন ভয়, বুঝি নরেন্দ্র আর কাহারও হইল, আমার বুঝি হল না! নরেন্দ্র অশ্রুপূর্ণলোচনে চাহিয়া আছেন।

    বাহিরের একটি ভক্ত ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিয়াছিলেন। তিনিও কাছে বসিয়া সমস্ত দেখিতেছিলেন ও শুনিতেছিলেন।

    ভক্ত—মহাশয়, কামিনী-কাঞ্চন যদি ত্যাগ করতে হবে, তবে গৃহস্থ কি করবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তা তুমি কর না! আমাদের অমনি একটা কথা হয়ে গেল (Kathamrita)।

    গৃহস্থ ভক্তের প্রতি অভয়দান ও উত্তেজনা 

    মহিমাচরণ চুপ করিয়া বসিয়া আছেন, মুখে কথাটি নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি)—এগিয়ে পড়! আরও আগে যাও, চন্দনকাঠ পাবে, আরও আগে যাও, রূপার খনি পাবে; আরও এগিয়ে যাও সোনার খনি পাবে, আরও এগিয়ে যাও হীরে মাণিক পাবে। এগিয়ে পড়!

    মহিমা—আজ্ঞে, টেনে রাখে যে—এগুতে দেয় না!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—কেন, লাগাম কাট, তাঁর নাম গুণে কাট। ৺কালী নামেতে কালপাশ কাটে।

    নরেন্দ্র পিতৃবিয়োগের পর সংসারে বড় কষ্ট পাইতেছেন। তাঁহার উপর অনেক তাল যাইতেছে। ঠাকুর মাঝে মাঝে নরেন্দ্রকে দেখিতেছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, তুই কি চিকিৎসক হয়েছিস?

    ‘শতমারী ভবেদ্বৈদ্যঃ। সহস্রমারী চিকিৎসকঃ।’ (সকলের হাস্য)

    ঠাকুর (Ramakrishna) কি বলিতেছেন (Kathamrita), নরেন্দ্রের এই বয়সে অনেক দেখাশুনা হইল—সুখ-দুঃখের সঙ্গে অনেক পরিচয় হইল।

    নরেন্দ্র ঈষৎ হাসিয়া চুপ করিয়া রহিলেন।

     

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 311: “বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না, কিন্তু সার্সী ঘটঘট করে, সত্ত্বগুণের অবস্থায় হইচই হয় না”

    Ramakrishna 311: “বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না, কিন্তু সার্সী ঘটঘট করে, সত্ত্বগুণের অবস্থায় হইচই হয় না”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ     

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১লা মার্চ
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    “একটি ফকির বনে কুটির করে থাকত। তখন আকবর শা দিল্লীর বাদশা। ফকিরটির কাছে অনেকে আসত। অতিথিসৎকার করতে তার বড় ইচ্ছা হয়। একদিন ভাবলে যে, টাকা-কড়ি না হলে কেমন করে অতিথিসৎকার হয়? তবে যাই একবার অকবর শার কাছে। সাধু-ফকিরের অবারিত দ্বার। আকবর শা তখন নমাজ পড়ছিলেন, ফকির নমাজ ঘরে গিয়ে বসল। দেখলে আকবর শা নমাজের শেষে বলছে (Kathamrita), ‘হে আল্লা, ধন দাও দৌলত দাও’, আরও কত কি। এই সময়ে ফকিরটি উঠে নমাজের ঘর থেকে চলে যাবার উদ্যোগ করতে লাগল। আকবর শা ইশারা করে বসতে বললেন। নমাজ শেষ হলে বাদশা জিজ্ঞাসা কল্লেন — আপনি এসে বসলেন আবার চলে যাচ্ছেন? ফকির বললে,— সে আর মহারাজের শুনে কাজ নাই, আমি চল্লুম। বাদশা অনেক জিদ করাতে ফকির বললে—আমার ওখানে অনেকে আসে। তাই কিছু টাকা প্রার্থনা করতে এসেছিলাম। আকবর বললে (Ramakrishna)—তবে চলে যাচ্ছিলেন কেন? ফকির বললে, যখন দেখলুম, তুমিও ধন-দৌলতের ভিখারী—তখন মনে করলুম যে, ভিখারীর কাছে চেয়ে আর কি হবে? চাইতে হয় তো আল্লার কাছে চাইব।”

    পূর্বকথা—হৃদয় মুখুজ্জের হাঁকডাক—ঠাকুরের সত্ত্বগুণের অবস্থা 

    নরেন্দ্র—গিরিশ ঘোষ এখন কেবল এই সব চিন্তাই করে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সে খুব ভাল। তবে অত গালাগাল মুখখারাপ করে কেন? সে অবস্থা আমার নয়। বাজ পড়লে ঘরের মোটা জিনিস তত নড়ে না, কিন্তু সার্সী ঘটঘট করে। আমার সে অবস্থা নয়। সত্ত্বগুণের অবস্থায় হইচই হয় না। হৃদে তাই চলে গেল;—মা রাখলেন না। শেষাশেষি বড় বাড়িয়েছিল। আমায় গালাগালি দিত। হাঁকডাক (Kathamrita) করত।

    নরেন্দ্র কি অবতার বলেন? নরেন্দ্র ত্যাগীর থাক—নরেন্দ্রের পিতৃবিয়োগ 

    “গিরিশ ঘোষ যা বলে তোর সঙ্গে কি মিললো (Ramakrishna)?”

    নরেন্দ্র—আমি কিছু বলি নাই, তিনিই বলেন, তাঁর অবতার বলে বিশ্বাস। আমি আর কিছু বললাম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিন্তু খুব বিশ্বাস! দেখেছিস (Kathamrita)?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার। শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri 2025)। এদিন থেকেই লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হতে শুরু করেছেন আজমেঢ়ের প্রাচীন নবদুর্গা মন্দিরে (Nav Durga Temple)। প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে উড়ছে ১০৮ ফুট উঁচু একটি পতাকা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ই। ত্রিমূর্তির প্রধান দেবতা সৃষ্টিকর্তা ভগবান ব্রহ্মা পুষ্করের নাগ পাহাড়ের প্রান্তে নবদুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাতে নবদুর্গা মা সৃষ্টি যজ্ঞে বাধা সৃষ্টিকারী নেতিবাচক শক্তিগুলিকে ধ্বংস করতে পারেন।

    মন্দিরের বিশেষত্ব (Nav Durga Temple)

    স্থানীয়দের বিশ্বাস, নবদুর্গা মা পুষ্করকে রক্ষা করেন। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, ভক্তরা এখানে এক সঙ্গে দেবীর নটি রূপের দর্শন লাভ করতে পারেন। এটি দেবী দুর্গার এমন একটি মন্দির, যেখানে দেবীর নটি রূপের মূ্র্তিই তৈরি মাটি দিয়ে। ভক্তদের কাছে নবদুর্গা মা নৌসর মাতা নামেও পরিচিত। বছরভর ভক্ত সমাগম হলেও, বছরে দুটি নবরাত্রিতে ব্যাপক ভিড় হয়। গোটা দেশে চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে নবদুর্গার পুজো হয়। আজমেঢ়ের এই মন্দিরেও ঘটা করে পুজো হবে দেবী দুর্গার নটি রূপের। পদ্ম পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে পুষ্করের নাগ পাহাড়ের চূড়োয় অবস্থিত নবদুর্গা মায়ের এই মন্দিরের।

    মন্দির তৈরি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা

    শোনা যায়, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় জগৎপিতা ব্রহ্মা পুষ্করে যজ্ঞ করেছিলেন (Chaitra Navratri 2025)। যজ্ঞ পণ্ড করতে উপদ্রব শুরু করেছিল নেতিবাচক বিভিন্ন শক্তি। তখন ব্রহ্মা আদি শক্তির আরাধনা করে অপশক্তির হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করতে অনুরোধ করেন (Nav Durga Temple)। তখনই দেবী পুষ্করে নটি রূপে আবির্ভূত হন। সৃষ্টি যজ্ঞ শেষে স্বয়ং ব্রহ্মা এখানে নবদুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নৌসর মাতা মন্দিরের পীঠাধীশ্বর রামকৃষ্ণ দেব বলেন, “মায়ের এই মন্দির ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে থেকেই বিদ্যমান। মায়ের এমন রূপ পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।” তিনি বলেন, “এখানে একই দেহে দেবীর নটি ভিন্ন মুখমণ্ডল রয়েছে। নৌসর মায়ের এই অতি প্রাচীন মন্দির ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

    কী বলছেন পীঠাধীশ্বর

    রামকৃষ্ণ বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেলেও, দেবী মূর্তির উজ্জ্বলতা এখনও অক্ষত রয়েছে। এটি একটি রহস্য। দ্বাপর যুগে, বনবাসের সময় পাণ্ডবরা পুষ্করের নাগ পাহাড়ে দীর্ঘকাল বসবাস করেছিলেন। পাণ্ডবরা এখানে শিব ও শক্তির পূজা করতেন। বনবাসের সময় পাণ্ডবরা এই মন্দিরে নবদুর্গার (Nav Durga Temple) পুজো করেছিলেন। এই মন্দিরের নবদুর্গার ভক্ত ছিলেন চৌহান রাজবংশের রাজারা। শোনা যায়, মহম্মদ ঘোরিকে যুদ্ধে পরাজিত করার আগে পৃথ্বীরাজ চৌহানও পুজো করেছিলেন এই নবদুর্গার। পীঠাধীশ্বর (Chaitra Navratri 2025) বলেন, “আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী নবদুর্গা মায়ের মন্দিরের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। তারা মন্দিরের একটি অংশের চারটি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু তারাও মন্দিরে থাকা মায়ের মূর্তির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। মারাঠারা আজমেঢ়ের দখল নিলে নবদুর্গা মন্দিরের সংস্কার সাধন করেছিলেন।” তিনি জানান, পরে মন্দির সংস্কার করেন পীঠাধীশ্বর সন্ত বুধকরণ মহারাজ। সেও প্রায় ১৩২ বছর আগে।

    দেবীর ন’টি রূপ

    প্রসঙ্গত, বছরে চারবার নবরাত্রি উৎসব আসে। এর মধ্যে দুটি গুপ্ত। প্রকট বাকি দুটি – একটি চৈত্র নবরাত্রি, অন্যটি আশ্বিন নবরাত্রি। এই দুই নবরাত্রিতেই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। ন’টি দিনে দেবীর নয় রূপের পুজো করা হয়। দেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত ন’দিন ধরে পালন করা হয় নবরাত্রি ব্রত (Chaitra Navratri 2025)। এই ন’দিনে দেবীর দুর্গার ন’টি রূপের আরাধনা করা হয়। চৈত্রের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি ব্রত।

    কোন দিনে কী রূপে পুজো পান দেবী

    প্রতিপদে দেবী দুর্গা রূপ নেন হিমালয়ের কন্য শৈলপুত্রীর। দ্বিতীয়ায় সেই একই শক্তি ধারণ করেন ব্রহ্মচারিণীর রূপ। তৃতীয়ায় তিনি চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই রূপ সাহস ও সৌন্দর্যের প্রতীক। চতুর্থীতে দেবী রূপ নেন কুষ্মাণ্ডার। পুরাণ অনুযায়ী, এই রূপেই দেবী সৃষ্টি করেন বিশ্ব চরাচর। পঞ্চমীতে দেবী পুজিত হন স্কন্দমাতা রূপে। ষড়ানন কার্তিকের জননী হিসেবে পুজিতা হন তিনি। কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তাই দেবী স্কন্দমাতা (Nav Durga Temple)। ষষ্ঠীতে দেবী পুজিত হন কাত্যায়নী রূপে। এই রূপে রয়েছে দেবীর চার হাত ও ত্রিনয়ন। এখানে দেবীর বাহন সিংহ। সপ্তম দিনে দেবী পুজিত হন কালরাত্রি রূপে। এদিন তিনি ভক্তদের সাহস ও উৎসাহ দান করেন। অষ্টমীতে দেবী হন মহাগৌরী। আর নবমীতে তিনিই হন সিদ্ধিদাত্রী। দেবীর এই রূপে অষ্টসিদ্ধি ঘিরে রাখেন তাঁকে (Chaitra Navratri 2025)।

    প্রসঙ্গত, চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমীতে পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। আর এই নবরাত্রির নবমী তিথি পরিচিত রামনবমী হিসেবে (Nav Durga Temple)।

  • PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: গড়লেন ইতিহাস, আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার হিন্দু নববর্ষ। এদিনই নাগপুরে আরএসএসের (RSS) দফতরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাগপুরে কেশবকুঞ্জে একটি চক্ষু হাসপাতালের সম্প্রসারণের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দফতরের কাছে স্মৃতি মন্দির দর্শনে। শ্রদ্ধা জানান সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে।

    আরএসএসের সদর দফতরে পা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন আরএসএসের সদর দফতরে। ২০১২ সালে শেষবারের মতো সংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন মোদি। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। তারপর কেটে গিয়েছে আস্ত একটা যুগ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই পর্বে দেশজুড়ে বিজেপিকে বিপুল রাজনৈতিক মাইলেজ দিয়েছে সংঘ। তবে সেই কারণে তিনি নাগপুর যাননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এই বৈঠকের পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

    মোদির পাশে ভাগবত   

    এদিন মোদির শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পর্বে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে। আরএসএসের শ্রুতি মন্দিরে সংঘ প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর দীক্ষাভূমি মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংবিধান প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেডকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী যান দীক্ষাভূমিতে। এখানেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন আম্বেডকর (PM Modi)।

    এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে সংঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদি ও ভাগবতকে। তার পরে আবার এদিন এক মঞ্চে দেখা গেল দুই মহীরুহকে। আরএসএসের দফতর ঘোরার শেষে ভিজিটর্স বুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নাগপুরে স্মৃতি মন্দির দর্শন একটি অত্যন্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি জাতির সেবা করতে প্রাণিত করে।” ভিজিটর্স বুকে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ ও সংগঠনের মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত এই পবিত্র স্থান আমাদের দেশের সেবায় প্রেরণা জোগায়। এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত সকল মহান ব্যক্তিদের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম (RSS) জাতির সেবায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মাতার গৌরব উজ্জ্বল হবে (PM Modi)।”

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • Ramakrishna 310: “সকলেই নারায়ণ। সব যোনিই মাতৃযোনি, তখন বেশ্যা ও সতীলক্ষ্মীতে কোন প্রভেদ দেখি না”

    Ramakrishna 310: “সকলেই নারায়ণ। সব যোনিই মাতৃযোনি, তখন বেশ্যা ও সতীলক্ষ্মীতে কোন প্রভেদ দেখি না”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ     

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১লা মার্চ
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    “একটি বাটিতে যদি রসুন গোলা যায়, রসুনের গন্ধ কি যায়? বাবুই গাছে কি আম হয়? হতে পারে সিদ্ধাই তেমন থাকলে, বাবুই গাছেও আম হয়। সে সিদ্ধাই কি সকলের হয় (Ramakrishna)?

    “সংসারী লোকের অবসর কই? একজন একটি ভাগবতের পণ্ডিত চেয়েছিল। তার বন্ধু বললে, একটি উত্তম ভাগবতের পণ্ডিত আছে, কিন্তু তার একটু গোল আছে। তার নিজের অনেক চাষবাস দেখতে হয়। চারখানা লাঙল, আটটা হেলে গরু। সর্বদা তদারক করতে হয়; অবসর নাই। যার পণ্ডিতের দরকার সে বললে, আমার এমন ভাগবতের পণ্ডিতের দরকার নাই, যার অবসর নাই। লাঙল-হেলেগরু-ওয়ালা ভাগবত পণ্ডিত আমি খুঁজছি না। আমি এমন ভাগবত পণ্ডিত চাই যে আমাকে ভাগবত শুনাতে পারে (Kathamrita)।

    “এক রাজা রোজ ভাগবত শুনত। পণ্ডিত পড়া শেষ হলে রাজাকে বলত, রাজা বুঝেছ? রাজাও রোজ বলে—আগে তুমি বোঝ! পণ্ডিত বাড়ি গিয়ে রোজ ভাবে—রাজা এমন কথা বলে কেন যে তুমি আগে বোঝ। লোকটা সাধন-ভজন করত—ক্রমে চৈতন্য হল। তখন দেখলে যে হরিপাদপদ্ম্মই সার, আর সব মিথ্যা। সংসারে বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে এল। কেবল একজনকে পাঠালে রাজাকে বলতে যে—রাজা (Ramakrishna), এইবার বুঝেছি।

    “তবে কি এদের ঘৃণা করি? না, ব্রহ্মজ্ঞান তখন আনি। তিনি সব হয়েছেন,—সকলেই নারায়ণ। সব যোনিই মাতৃযোনি, তখন বেশ্যা ও সতীলক্ষ্মীতে কোন প্রভেদ দেখি না।”

    সব কলাইয়ের ডালের খদ্দের—রূপ ও ঐশ্বর্যের বশ

    “কি বলব সব দেখছি কলাইয়ের ডালের খদ্দের। কামিনী-কাঞ্চন ছাড়তে চায় না। লোকে মেয়েমানুষের রূপে ভুলে যায়, টাকা ঐশ্বর্য দেখলে ভুলে যায়, কিন্তু ঈশ্বরের রূপদর্শন করলে ব্রহ্মপদ তুচ্ছ হয়।

    “রাবণকে একজন বলেছিল (Kathamrita), তুমি সব রূপ ধরে সীতার কাছে যাও, রামরূপ ধর না কেন? রাবণ বললে, রামরূপ হৃদয়ে একবার দেখলে রম্ভা তিলোত্তমা এদের চিতার ভস্ম বলে বোধ হয়। ব্রহ্মপদ তুচ্ছ হয়, পরস্ত্রীর কথা তো দূরে থাক।

    “সব কলাইয়ের ডালের খদ্দের। শুদ্ধ আধার না হলে ঈশ্বরে শুদ্ধাভক্তি হয় না–একলক্ষ্য হয় না, নানাদিকে মন থাকে।”

    নেপালী মেয়ে, ঈশ্বরের দাসী—সংসারীর দাসত্ব 

    (মনোমোহনের প্রতি)—“তুমি রাগই কর আর যাই কর—রাখালকে বললাম ঈশ্বরের জন্য গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরেছিস এ-কথা বরং শুনব; তবু কারুর দাসত্ব করিস, এ-কথা যেন না শুনি।

    “নেপালের একটি মেয়ে এসেছিল। বেশ এসরাজ বাজিয়ে গান করলে। হরিনাম গান। কেউ জিজ্ঞাসা করলে—‘তোমার বিবাহ হয়েছে?’ তা বললে (Kathamrita), ‘আবার কার দাসী হব? এক ভগবানের দাসী আমি।’

    “কামিনী-কাঞ্চনের (Ramakrishna) ভিতের থেকে কি করে হবে? অনাসক্ত হওয়া বড় কঠিন। একদিকে মেগের দাস, একদিকে টাকার দাস, আর-একদিকে মনিবের দাস, তাদের চাকরি করতে হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share