Tag: Bengali news

Bengali news

  • Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে তিন দিনের সম্মেলনে আরএসএস, আলোচ্যসূচি কী জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে তিন দিনের সম্মেলনে আরএসএস, আলোচ্যসূচি কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠি পড়তে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ঢাকে। তার আগে নাগপুরে আরএসএসের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়ে গেল ১৫ মার্চ, শুক্রবার। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশের দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি। নাগপুরের রেসিমবাগ এলাকায় স্মৃতি ভবন কমপ্লেক্সে ১৫-১৭ হবে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সংঘ প্রভাবিত ৩২টি সংগঠন এবং কিছু গোষ্ঠী যোগ দেবেন এই সভায়।

    সম্মেলনের আলোচ্যসূচি

    আরএসএসের প্রতিনিধি সভায় সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আগামী বছরের কার্যক্রম নিয়েও হতে পারে আলোচনা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি নিয়ে পাস হতে পারে (Lok Sabha Elections 2024) রেজ্যুলিউশন। আলোচনায় উঠে আসতে পারে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রসঙ্গও। আলোচনা হতে পারে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়েও। উপস্থিত নেতাদের কাছে এ ব্যাপারে ফিডব্যাকও নেওয়া হবে। আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গের শাখার কাছ থেকে এ ব্যাপারে ডিটেইলড রিপোর্টও চাওয়া হতে পারে।

    সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট 

    সন্দেশখালির বিষয়টি যে আরএসএসের সম্মেলনে উঠবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন সংগঠনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছিলেন, “সন্দেশখালি এখন নারী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন যা দেশ দেখেছে। সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা যারা এই অঞ্চলে কাজ করে, এবং প্রান্ত প্রচারক, যাঁরা সম্মেলনে উপস্থিত হবেন  তাঁরাই ঠিক কী হয়েছিল, সে সম্পর্কে আমাদের ব্রিফ করবেন। আমরা এই আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করব। আরএসএস কীভাবে নির্যাতিতদের সমর্থন করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।” সম্মেলনে উঠবে কৃষক বিক্ষোভের প্রসঙ্গও। এই বিষয়ে ফিডব্যাক দেবে আরএসএসের পাঞ্জাব ইউনিট।

    আরও পড়ুুন: ১৭-য় থামবে তৃণমূল! বাংলায় বিজেপি পাবে ২৫ আসন, দাবি ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষায়

    আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে আরএসএসের এই সম্মেলনে। সেটি হল, উপজাতির মানুষদের ধর্মান্তকরণ। এই বিষয়ে রিপোর্ট দেবে সংঘ অনুমোদিত বনবাসী কল্যাণ আশ্রম। মণিপুরের হিংসা নিয়েও আলোচনা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কীভাবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়েও হবে আলোচনা। লোকসভা নির্বাচনের আগে আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা ভোটারদের দোরে দোরে যাবেন বলেও নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। জনগণকে তাঁদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন করবেন এই স্বেচ্ছাসেবকরা (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ মায়ানমারে তিনি গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজে। সেখান থেকেই তিনি হয়েছেন লটারি কিং। সেই সান্তিয়াগো মার্টিনের (Santiago Martin) সংস্থাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি টাকা দান করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সান্তিয়াগোর সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে লটারি কিংয়ের কেরামতি!

    কে এই সান্তিয়াগো? (Santiago Martin)

    সান্তিয়াগো (Santiago Martin) একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালান। এই ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। ভারতে ফেরেন ১৯৮৮ সালে। শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে তামিলনাড়ুতে শুরু করেন লটারি ব্যবসা। পরে তাঁর এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে কেরল, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। পরে নেপাল ও ভুটানেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর লটারি ব্যবসা। উত্তর-পূর্বে সরকারি লটারি স্কিমগুলি পরিচালনার ভারও নিয়েছিলেন সান্তিয়াগো। লটারি ব্যবসার টাকা তিনি বিনিয়োগ করেন নির্মাণ শিল্প, রিয়েল এস্টেট, বস্ত্র এবং হোটেল ব্যবসায়। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ লটারি ট্রেড অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টও তিনি। তাঁরই প্রচেষ্টায় ওয়ার্ল্ড লটারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এটাই তাঁর সংস্থার নাম।

    সান্তিয়াগোর (Santiago Martin) সংস্থায় তল্লাশি!

    যে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসকে ‘দাতা’র ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই তহবিল তছরুপ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে এই অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। তার আগে সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সান্তিয়াগো মার্টিন (Santiago Martin) ও তাঁর সংস্থা ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ীর টিকিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯১০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে সিকিম সরকারের। সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। গত মে মাসে সংস্থার কোয়েম্বত্তুর ও চেন্নাইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে হায়দরাবাদের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই তালিকায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ইন্ডিগো, আইটিসি সহ একাধিক সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prasar Bharati: নিউজ সার্ভিস চালু প্রসার ভারতীর, বিনামূল্যে মিলবে কপিরাইট-ফ্রি খবরাখবর

    Prasar Bharati: নিউজ সার্ভিস চালু প্রসার ভারতীর, বিনামূল্যে মিলবে কপিরাইট-ফ্রি খবরাখবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংবাদমাধ্যম থেকে সংবাদসংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে প্রসার ভারতী। নাম রাখা হচ্ছে PB-SHABD. যার সম্পূর্ণ নাম ‘Prasar Bharati-Shared Audio Visuals for Broadcast and Dissemination.’ প্রতিটি দেশেরই এমন সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা থাকে। যেমন চিনের রয়েছে জিনহুয়া। রাশিয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে ইতার-তাস। ভারতের ক্ষেত্রে প্রথমবার এমনটা হতে চলেছে। বর্তমানে ভারতের রয়েছে পিটিআই। এবার সেই সরণীতে প্রবেশ করল প্রসার ভারতীও। যে কোনও সংবাদমাধ্যমকে বর্তমানে পিটিআই/এএনআই প্রভৃতি সংবাদসংস্থা থেকে টাকার বিনিময়ে খবর কিনতে হয়, প্রসার ভারতীর (Prasar Bharati) ক্ষেত্রে তা নিখরচায় মিলতে চলেছে। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    সংবাদমাধ্যমের নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে

    তবে যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম গুলি নিজেদের নাম প্রসার ভারতীতে নথিভুক্ত করাবে, তারাই পাবে কেবল এই সুবিধা। খবর, ছবি, অডিও, ভিডিও— সবটাই পাওয়া যাবে এবার থেকে প্রসার ভারতীর (Prasar Bharati) সৌজন্যে। যে কোনও প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া এই সুবিধা নিতে পারবে। সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যানেলগুলিও এর আওতায় থাকবে। সকলেই প্রসার ভারতীর ওয়্যারড-নিউজ সার্ভিসের সৌজন্য খবরাখবর সংগ্রহ করতে পারবে। একেবারে নিখরচায়। এমনকী, প্রসার ভারতীকে কোনও ক্রেডিট বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার অথবা সৌজন্য দিতে হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘আবকি বার-৪০০ পার’ হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের, বলছে নিউজ১৮-র সমীক্ষা

    কী বলছেন অনুরাগ ঠাকুর?

    নিজের বিবৃতিতে অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, প্রসার ভারতীর (Prasar Bharati) এই কপিরাইট-ফ্রি ব্যবস্থায় নাম নথিভুক্ত করতে পারবে যে কোন টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র। এর পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়াগুলিও যে কোনও ধরনের ছবি-ভিডিও-অডিও সমস্তটাই নিতে পারবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিগত বছরগুলিতে প্রসার ভারতী অনেক বড় নিউজ নেটওয়ার্কের পরিণত হয়েছে। বর্তমানে অন্যান্য প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে সেগুলি শেয়ার করতে চান তাঁরা। প্রসার ভারতীর বর্তমান সিইও গৌরব দ্বিবেদী জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি মিডিয়া সংস্থা তৈরি করতে চলেছেন, যেখানে প্রসার ভারতীর খবরগুলি অন্য সংবাদমাধ্যমও পাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: বাংলায় সিএএ-র লাভের কড়ি ঘরে তুলবে বিজেপি, বলছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’-র সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: বাংলায় সিএএ-র লাভের কড়ি ঘরে তুলবে বিজেপি, বলছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’-র সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। সোমবারই লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। লোকসভা নির্বাচনে এর কেমন প্রভাব পড়বে, তা জানতে সমীক্ষা চালিয়েছিল ইন্ডিয়া টিভি সিএনএক্স (India TV-CNX Opinion Poll)। কী উঠে এল সমীক্ষায়?

    ভোটে সিএএ-র প্রভাব কতটা

    জানা গিয়েছে, সিএএ (CAA) লাগু হওয়ায় ৬২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন বিজেপি লাভবান হবে। ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন ২৪ শতাংশ মানুষ। ১৪ শতাংশ মানুষ বলছেন, তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। সিএএ লাগু হওয়ার ফলে মেরুকরণ হবে বলে মনে করছেন ৭২ শতাংশ মানুষ। ২০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। ৬ শতাংশ মানুষ কোনও মতামত দেননি। ২ শতাংশ মানুষ বলছেন, মুসলমানরা এবার মোদিজির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারবেন।

    জ্বালাময়ী ভাষণে উদ্বেগ

    সিএএ (Lok Sabha Elections 2024) লাগু হওয়ায় ৬৫ শতাংশ মুসলমান জানাচ্ছেন তাঁরা উদ্বিগ্ন। দু’ শতাংশ মানুষ জানাচ্ছেন, তাঁরা উদ্বিগ্ন নন। কিছু বলতে চাননি ৩৩ শতাংশ মানুষ। আবার অধিকাংশ হিন্দু ভোটার মনে করছেন, সিএএ নিয়ে মুসলমানদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে এক শ্রেণির রাজনৈতিক দল। সিএএ (CAA) নিয়ে মুসলমানদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে মনে করছেন ৩৫ শতাংশ হিন্দু। কিছু সংখ্যক মৌলানার জ্বালাময়ী মিথ্যে ভাষণের জন্য সিএএ নিয়ে মুসলামানরা ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ২১ শতাংশ হিন্দু ভোটার। ১২ শতাংশ মানুষ এ ব্যাপারে কোনও মতামত দেননি।

    মতুয়া-মহলে জোর প্রভাব সিএএ-র (CAA)

    মতুয়া অধ্যুষিত বাংলায় সিএএ-র কী প্রভাব পড়বে, তাও জানতে চেয়েছিলেন সমীক্ষকরা। কারণ বাংলার প্রায় ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্ণায়ক শক্তি মতুয়ারাই। তাই রাজ্যে লোকসভার বেশ কিছু আসনে মতুয়া ভোটাররা যে ফ্যাক্টর, তা বলাই বাহুল্য। সমীক্ষায় (India TV-CNX Opinion Poll) জানা গিয়েছে, হাওড়া এবং বর্ধমান-পূর্বে তৃণমূলের শক্তি বেশি। এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে এক সময় বিজেপি দুর্বল ছিল। কিন্তু, সিএএ (CAA) লাগু হওয়ার পর হাওয়া-বদল হতে শুরু হয়েছে এখানেও। সমীক্ষায় দাবি, এই দু’জায়গাতেও পদ্ম শিবির জোর টক্কর দেবে তৃণমূলকে। বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বোলপুরে এগিয়ে বিজেপি। এই দুই কেন্দ্রে সিএএ-র ফসল কুড়োবে গেরুয়া শিবির। এই একই কারণে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ, রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি।

    আরও পড়ুুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

    প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধেয় দেশে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। এনিয়ে মুসলমানদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মৌলানা শাহাবউদ্দিন রাজভিরও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছেন, ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে বিরোধীরা খেলছে সিএএ তাস। তিনি সাফ জানিয়েছেন, সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না, নাগরিকত্ব দেবে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনে ‘আবকি বার-৪০০ পার’ গেরুয়া শিবিরের, বলছে ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষা

    Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনে ‘আবকি বার-৪০০ পার’ গেরুয়া শিবিরের, বলছে ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) হতে চলেছে বিজেপির জয়জয়কার। দাবি করল ‘নিউজ ১৮ মেগা ওপিনিয়ন পোল’ (News 18 Mega Opinion Poll)। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হতে চলেছে। এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৪০০ আসনেরও বেশি সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসতে চলেছে। বিজেপি একাই জিতবে ৩৫০ আসন। সমীক্ষা (Opinion Poll) অনুযায়ী, মোট ভোটের পঞ্চাশ শতাংশ পেতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট। এটা উঠে এসেছে সমীক্ষায়। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ২১ রাজ্যে চলেছে এই সমীক্ষা। জানা গিয়েছে, ৫৪৩ টির মধ্যে ৫১৮টি লোকসভা আসনে চালানো হয় এই সমীক্ষা।

    এনডিএ জোট পেতে চলেছে ৪১১ আসন

    সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই সমীক্ষা হল দেশের সবথেকে বড় ওপিনিয়ন পোল। ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে চলেছে ৪১১ আসন। বিজেপি একার ক্ষমতাতেই জিততে (Lok Sabha Election 2024) চলেছে ৩৫০ আসন এবং অন্যান্য এনডিএ শরিকরা, যার মধ্যে রয়েছে বিহারের জনতা দল ও তেলেগু দেশম পার্টি, এরা জিতবে ৬১ আসন।

    ‘হিন্দি হার্ট লাইন’-এ রেকর্ড ভোট

    ওই সমীক্ষা (Opinion Poll) অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ‘হিন্দি হার্ট লাইন’-এ রেকর্ড ভোট পেতে চলেছে বিজেপি। এবং গেরুয়া ঝড়ে কার্যত সেখানে উড়ে যাবে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশের ৮০-এর মধ্যে ৭৭টি আসনে দখল করতে চলেছে এনডিএ জোট। মধ্যপ্রদেশে এনডিএ পেতে চলেছে ২৮টি আসন। ছত্তিশগড়ের এনডিএ জোট পেতে চলেছে ১০টি আসন। বিহারে বিজেপি-নীতীশের জোট (Lok Sabha Election 2024) পাবে ৩৮টি আসন। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি পাবে ১২টি আসন।

    বাংলায় ২৫ আসন বিজেপির 

    দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকে বিজেপি জোট পেতে চলেছে ২৫টি আসন। ওড়িশাতে ১৩টি আসন জিততে চলেছে তারা। এবং অভূতপূর্ব নির্বাচনী ফলাফল হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। এখানে ২৫টি আসনে বিজেপি জিতবে বলে দেখা যাচ্ছে। ওই সমীক্ষা (Opinion Poll) অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তেলঙ্গানায় ৮টি আসনে জিতবে এনডিএ জোট, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৮টি আসনে বিজেপি জোট জিততে চলেছে। গুজরাটে এবারেও সবগুলি আসনই পেতে চলেছে বিজেপি। মোদি রাজ্যের ২৬টি আসনই যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে বিজেপি জোটের ঝুলিতে (Lok Sabha Election 2024) আসবে ৫টি আসন। কেরালাতে এনডিএ জোট পাবে দুটি আসন।

    ‘ইন্ডি’ জোট পাবে ১০৫ আসন 

    নিউজ ১৮-র এই সমীক্ষায় (News 18 Mega Opinion Poll) আরও দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডি’ জোট পেতে চলেছে মাত্র ১০৫ আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস ৫০ আসন ডিঙোতে পারছে না। তারা ৪৯ আসনেই থেমে যাচ্ছে। সমীক্ষা (Opinion Poll) অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর এটাই হতে চলেছে কংগ্রেসের সবথেকে খারাপ ফল। অন্যদিকে যে দলগুলি ইন্ডি বা এনডিএ (Lok Sabha Election 2024) কোনও জোটেই নেই, সেই সমস্ত দলগুলি অর্থাৎ এআইএডিএমকে বা ডিএমকে, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এরা সবাই মিলে ২৭ আসন পেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • HS Examination: উচ্চ মাধ্যমিকে চালু হচ্ছে সেমেস্টার সিস্টেম, জানুন বিশদে

    HS Examination: উচ্চ মাধ্যমিকে চালু হচ্ছে সেমেস্টার সিস্টেম, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (HS Examination) সিস্টেম। চালু হয়ে গেল সেমেস্টার সিস্টেম। এতদিন একবারই অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হত। এবার থেকে থেকে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে দু’বার। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, তাদেরই পরীক্ষা দিতে হবে দু’বার।

    চলতি শিক্ষাবর্ষেই চালু নয়া ব্যবস্থা

    জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, একাদশ ও দ্বাদশের পাঠ্যক্রমকে চারটি সেমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে। এবার যারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তারা এই পদ্ধতিতেই পড়াশোনা করবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে বসেছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে সেমেস্টার ভাবনা লাগুর কথা জানান। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হয় সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই পদ্ধতিই বিস্তারিত জানালেন সংসদ সভাপতি।

    পরীক্ষা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি

    ১) একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে (HS Examination) চারটি সেমেস্টারে পরীক্ষা হবে। একাদশের পরীক্ষা নেবে স্কুল। দ্বাদশের দুটি পরীক্ষা নেবে সংসদ। উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে শুধু শেষের দুটি সেমেস্টার থেকেই। 

    ২) দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পর তৃতীয় সেমেস্টারের আগেই দিয়ে দেওয়া হবে অ্যাডমিট কার্ড। সেই কার্ড নিয়েই পরীক্ষা দিতে যেতে হবে অন্য স্কুলে। 

    ৩) প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে নভেম্বর মাসে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টার হবে মার্চে। 

    ৪) প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে এমসিকিউ প্রশ্নে। তৃতীয় সেমেস্টার হবে ওএমআর শিটে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে হবে বড় প্রশ্নে। 

    আরও পড়ুুন: রামনবমীতে রেকর্ড ভিড়ের প্রত্যাশা, গুচ্ছ নিয়ম লাগু রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের

    ৫) একাদশ ও দ্বাদশ দুই শ্রেণিরই পরীক্ষা দিতে হবে ১০০ নম্বরের। লিখিত ও প্রজেক্ট ধরেই একশো নম্বর। যাদের ল্যাব নির্ভর বিষয় রয়েছে, তাদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে ৭০ নম্বরের, ৩০ নম্বর বরাদ্দ প্র্যাক্টিক্যালের জন্য। বাকিদের লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ৮০ নম্বর, বাকি ২০ প্রজেক্টের জন্য। যাদের ৭০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে, তাদের প্রথম সেমেস্টারে দিতে হবে ৩৫ নম্বরের পরীক্ষা। দ্বিতীয় সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে হবে বাকি ৩৫ নম্বরের। যাদের ৮০ নম্বরের পরীক্ষা, দুটি সেমেস্টারে তাদের দিতে হবে ৪০ নম্বর করে। প্র্যাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টের নম্বর যোগ হবে বছরের শেষে।

    ৬) প্রথম তিনটি সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টার। চতুর্থ সেমেস্টারে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকবে দু’ঘণ্টা। কোনও পরীক্ষার্থী প্রথম সেমেস্টারে কোনও বিষয়ে শূন্য পেলে পরের সেমেস্টারে ফের সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ নম্বর তোলার সুযোগ পাবে। তবে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেও যদি কোনও পরীক্ষার্থী প্র্যাক্টিক্যাল কিংবা প্রজেক্টে ফেল করে, তবে তাকে ফেল বলেই গণ্য করা হবে। এতদিন (HS Examination) ৬০টি বিষয়ের পরীক্ষা হত। এবার থেকে হবে ৬২টি। এর মধ্যে রয়েছে এআই, সায়েন্স অফ ওয়েল বিইয়িং এবং সাইবার সিকিউরিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Basanti Puja 2024: চলতি বছরে বাসন্তী পুজো কবে? জেনে নিন পৌরাণিক আখ্যান

    Basanti Puja 2024: চলতি বছরে বাসন্তী পুজো কবে? জেনে নিন পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র মাসের দুর্গা পুজো নামে পরিচিত বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে দুর্গার প্রথম পুজারী হিসেবে রাজা সুরথের নাম পাওয়া যায়। চলতি বছরে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি পড়ছে ৮ এপ্রিল বেলা ২টো ১১ মিনিট থেকে। কিন্তু উদয়া তিথি মেনে নবরাত্রির ঘট স্থাপন হবে ৯ এপ্রিল। সেই হিসেবে ২০২৪ সালে ৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে চৈত্র নবরাত্রি। নবরাত্রির অবসান হবে ১৭ এপ্রিল। পুরো ৯ দিন ধরে চলবে চৈত্র নবরাত্রি পালন।

    দেবীর আগমন ঘোটকে

    শাস্ত্র মতে, দেবীর আসা ও যাওয়ার বাহনের উপর নির্ভর করে গোটা বছর কেমন কাটতে চলেছে মর্ত্যবাসীর। দেবী দুর্গা কোনও বছর ঘোড়া, কোনও বছর হাতি, আবার কোনও বছর নৌকায় আসেন। চলতি বছরে চৈত্র নবরাত্রিতে দেবীর আগমন (Basanti Puja 2024) হবে ঘোটক বা ঘোড়ায়। ঘোড়ায় চড়ে দেবীর মর্ত্যে আগমন জ্যোতিষ অনুসারে শুভ লক্ষণ হিসাবে মানা হয় না। এর ফলে ক্ষমতার পরিবর্তন ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    রামনবমীর তিথি 

    ২০২৪ সালে ১৬ এপ্রিল পড়ছে রামনবমীর তিথি। ওই দিন দুপুর ১টা ২৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে রামনবমীর তিথি। আর তিথি চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৭ এপ্রিল দুপুর ৩টে ১৪ মিনিটে শেষ হচ্ছে রামনবমীর তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে উদয়া তিথিতে এই উৎসব (Basanti Puja 2024) পালিত হয়। সেই নিয়মেই ১৭ এপ্রিল রামনবমীর তিথি পালিত হবে।

    দুর্গা পুজোর পৌরাণিক আখ্যান

    একবার রাজা সুরথ প্রতিবেশী রাজ্যের আক্রমণে পরাজিত হন, এই সুযোগে তাঁর সভাসদরা লুঠপাঠ চালায়। নিজের লোকেদের এমন আচরণে তিনি হতাশ হয়ে যান। এই সময় তিনি নিরাশ হয়ে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঋষি মেধসের আশ্রমে পৌঁছান। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজার মনে কোনও শান্তি ছিল না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সঙ্গে সমাধি বলে একজন বৈশ্যর দেখা হয়। সুরথ জানতে পারেন সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তবুও তিনি বউ ছেলের ভালো-মন্দ এখনও ভেবে চলেছেন। এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে কী করণীয়? ঋষির কাছে তা জানতে চান দুজনেই। ঋষি মহামায়ার আরাধনা করতে বলেন। সেই মতো রাজা বসন্তকালের শুক্লপক্ষে দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেন। সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। এরপরেই রাজা সুরথ নিজের রাজ্য ফিরে পান। বৈশ্য সমাধি ফিরে পান নিজের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: রামনবমীতে রেকর্ড ভিড়ের প্রত্যাশা, গুচ্ছ নিয়ম লাগু রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের

    Ram Temple: রামনবমীতে রেকর্ড ভিড়ের প্রত্যাশা, গুচ্ছ নিয়ম লাগু রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় রামনবমী। তার আগেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তের ঢল। রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছে এই ট্রাস্টই) জানিয়েছে, প্রতিদিন এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষ অযোধ্যায় আসছেন রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনে। রামনবমীতে সেই ভিড় ছাপিয়ে যাবে বলে ধারণা মন্দির কর্তৃপক্ষের। ফলে, আগাম কিছু নিয়ম লাগু করা হয়েছে রাম মন্দিরে। 

    ভিড় বাড়বে রামনবমীতে

    এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে রামনবমী। তাই এপ্রিল শুরু হলেই ভক্ত সংখ্যা বেড়ে ফি-দিন দু’লক্ষ বা তার বেশি হয়ে যাবে। ভক্তের ভিড় সামলাতে বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এগুলি হল, দেব দর্শন করা যাবে সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত। মন্দিরে ঢোকার আগে ভক্তদের জুতো, মোবাইল ফোন, পার্স বাইরে রেখে আসতে হবে। ফুল-মালা কিংবা প্রসাদ নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। বিগ্রহের শৃঙ্গার আরতি হবে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। শয়ন আরতি রাত ১০টায়।

    জারি গুচ্ছ নিয়ম

    শৃঙ্গার আরতি দেখতে হলে সংগ্রহ করতে হবে এন্ট্রি পাস। অন্য আরতি (Ram Temple) দেখার জন্য কোনও পাস লাগবে না। ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে এন্ট্রি পাস সংগ্রহ করতে হবে। এই পাসের জন্য প্রয়োজন হবে নাম, মোবাইল নম্বর ও আধারকার্ড। দেব দর্শন করতে হবে লাইন দিয়ে। অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে কেউ আগেভাগে দর্শন করতে পারবেন না। দেব দর্শন করতে হবে ৬০ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে। শারীরিকভাবে অসুস্থরা হুইল চেয়ারে বসে বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন।

    প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও করা হয়। তার পরের দিন থেকেই আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। সেদিন থেকেই মন্দির প্রাঙ্গনে তিল ধারণের জায়গা নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, ভিড়ের কারণে যাঁরা অযোধ্যায় গিয়ে বালক রামের দর্শন করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য সুখবর শুনিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, দূরদর্শনে অযোধ্যার রাম মন্দিরের আরতি লাইভ সম্প্রচার করা হবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে আধঘণ্টা ধরে দেখানো হবে ওই আরতি। রামনবমীর দিন থেকেই দূরদর্শনে লাইভ সম্প্রচার শুরু হবে আরতির। তাই অযোধ্যায় সশরীরে না গিয়েও রামলালার শৃঙ্গার আরতি ঘরে বসেই দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা (Ram Temple)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো?’’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এভাবেই নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই হাবড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে ডিটেনশন ক্যাম্পের কথাও। যার সিএএ-র (CAA) সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সিএএ নিয়ে মমতাকে রাজনীতি বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাকটাই বোঝেন না।’’

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন যে, আপনারা দরখাস্ত করলে সব নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। অধিকার বাতিল করে দেবে। এটা এনআরসি-র সঙ্গে যুক্ত। আপনাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ এর পরই মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি বিরোধী দলনেতা ও একজন বিধায়ক হিসাবে বলছি- সিএএ (CAA) চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হলে কারোর নাগরিকত্ব যাবে না।’’

    মমতাকে তোপ শাহের

    এদিকে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সিএএ (CAA) ইস্যুতে মমতাকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এমন একটি ইস্যুতে আপনি রাজনীতি করছেন। আপনি যদি এভাবে তোষণের রাজনীতি করতে থাকেন আর শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চান, তাহলে মানুষ আপনার পাশে আর থাকবে না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং পরেই তা আইনে পরিণত হয়। সিএএ আইনের মূল বিষয় হল ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • East West Metro: গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল মেট্রো, নীল আলো জানান দিল ট্রেন নদীর তলায়

    East West Metro: গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল মেট্রো, নীল আলো জানান দিল ট্রেন নদীর তলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। চালু হয়ে গেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (East West Metro)। যাত্রী নিয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটে গেল এই রুটের প্রথম মেট্রো। শুক্রবার সকালেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল মেট্রোর প্রবেশদ্বার। ঐতিহাসিক সফরের সাক্ষী রইলেন বহু মানুষ।

    চালু ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো

    আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল জানিয়েছিল, শুক্রবার সকাল ৭টায় এসপ্ল্যানেড থেকে দিনের প্রথম মেট্রো ছাড়বে হাওড়া ময়দানের উদ্দেশে। একই সময় হাওড়া ময়দান থেকেও প্রথম ট্রেন রওনা দেবে এসপ্ল্যানেডের উদ্দেশে। সেই মতোই প্রথম ট্রেনটি হাওড়া ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করল। উল্টোদিক থেকেও এসপ্ল্যানেডের উদ্দেশেও রওনা দিল আরও একটি মেট্রো।

    এক টিকিটেই একাধিক রুটে যাত্রা 

    জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশন থেকে এক টিকিটেই কবি সুভাষ বা দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। হাওড়ার দিক থেকে যাঁরা অন্যত্র যাবেন, তাঁদের ট্রেন বদল করতে হবে এসপ্ল্যানেডে। এজন্য যাত্রীদের যেতে হবে এই স্টেশনের কমন প্যাসেজ দিয়ে। কার্ড বা টোকেন পাঞ্চ করে ভ্রমণ করা যাবে অন্য রুটের মেট্রোয়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গেট দিয়ে ঢুকে যাত্রীরা ধরতে পারবেন নর্থ-সাউথ মেট্রো।

    এদিন গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো যাওয়ার সময় আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন যাত্রীরা। গঙ্গার তলদেশ পেরোতে মেট্রোর (East West Metro) লাগল ৪৫ সেকেন্ড। গঙ্গার নীচে ট্রেন যেতেই জ্বলে উঠেছিল নীল আলো। এই সিগন্যালই বুঝিয়ে দেবে ট্রেন রয়েছে নদীর নীচে। হাওড়া ময়দান ছেড়ে ট্রেন আসে হাওড়া স্টেশনে। পরে নদী পার হয়ে পৌঁছায় মহাকরণে। তার পরের স্টেশনই এসপ্ল্যানেড। যেহেতু হাওড়ায় মেট্রো স্টেশনটি পুরানো ও নতুন কমপ্লেক্সের মাঝখানে রয়েছে, তাই সুবিধা হবে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের যাত্রীদের।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি আরও দুটি মেট্রো রুটের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ছিল জোকা-তারাতলা ও নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডের দূরত্ব ৪.৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে গঙ্গার নীচে রয়েছে ৫২০ মিটার পথ। এই পথেই ট্রেন যাওয়ার সময় জ্বলে উঠল নীল আলো। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে কত যাত্রী হচ্ছে, তা দেখেই ঠিক হবে কতক্ষণ ছাড়া চালানো হবে ট্রেন (East West Metro)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share