Tag: Bengali news

Bengali news

  • CAA: ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান? কী কী লাগবে জেনে নিন

    CAA: ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চান? কী কী লাগবে জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সন্ধ্যায় লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালু করে দিল এ সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টাল। যাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে অনলাইনের দ্বারস্থ হবেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের জন্য ‘সিএএ-২০১৯’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও কেন্দ্র চালু করবে বলে খবর।

    সিএএ (CAA)

    ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় সিএএ বিল। পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মেলায় বিলটি পরিণত হয় আইনে। তবে বিরোধীদের অপপ্রচারের জেরে সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় বলে অভিযোগ। প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশজুড়ে লাগু হয় সিএএ আইন। এই আইন বলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত যেসব শরণার্থী (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়া হবে। এই আইন তাঁদের সাংস্কৃতিক, লিঙ্গুইস্টিক এবং সোশ্যাল আইডেন্টিটি রক্ষা করবে। এটা তাঁদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, মুক্তভাবে চলাচল করা এবং সম্পত্তি কেনার অধিকারও দেবে।

    কী কী নথি প্রয়োজন (CAA)

    প্রথমেই নথি পেশ করতে হবে যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত

    • বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া পাসপোর্ট।
    • ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসারের দেওয়া রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোনও স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকার বা এই তিন দেশের কোনও সরকারি সংস্থার ইস্যু করা যে কোনও ধরনের পরিচয়পত্রের নথি।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারি কোনও সংস্থার দেওয়া যে কোনও লাইসেন্স কিংবা সার্টিফিকেট।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের  জমি কিংবা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
    • আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সরকারের দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারীর বাবা-মা বা পিতামহ কিংবা প্রপিতামহ এই তিন দেশের কোনও একটির নাগরিক ছিলেন।
    • বাংলাদেশ বা আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা সংস্থার দেওয়া কোনও নথি যা প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী এই তিন দেশের কোনও একটি থেকে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটে বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    এ ছাড়াও আরও কিছু তথ্য লাগবে, যা প্রমাণ করবে আবেদনকারী ভারতে এসেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে (CAA)। এগুলি হল—

    • ভারতে আসার ভিসা এবং ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্পের কপি।
    • রেজিস্ট্রশন সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল পারমিট যেটা ইস্যু করেছেন ভারতের ফরেনার্স রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার কিংবা ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসার।
    • জনগণনার সময় ভারতে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল।
    • সরকারের ইস্যু করা কোনও লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট বা পারমিট (ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি)।
    • আবেদনকারীর ভারতীয় রেশন কার্ড।
    • অফিসিয়াল স্ট্যাম্প-সহ কোনও চিঠি যা ভারত সরকার কিংবা আদালত আবেদনকারীকে দিয়েছে।
    • আবেদনকারীর ভারতে জন্মের শংসাপত্র।
    • ভারতে আবেদনকারীর নামে থাকা জমি বা ভাড়ায় থাকলে তার রেকর্ড।
    • তারিখ-সহ প্যানকার্ড ইস্যুর নথি।
    • অন্য কোনও নথি, যা কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্য সরকারের দেওয়া।
    • কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার বা ব্যাঙ্ক কিংবা অন্য কোনও পাবলিক অথরিটির দেওয়া নথি।
    • গ্রাম কিংবা শহরের কোনও নির্বাচিত সদস্য বা রেভিনিউ অফিসারের দেওয়া সার্টিফিকেট।
    • আবেদনকারীর নামে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের রেকর্ড এবং অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস।
    • আবেদনকারীর নামে ভারতে থাকা কোনও ইন্স্যুরেন্স পলিসির নথি।
    • আবেদনকারীর নামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাগজ কিংবা বিদ্যুতের বিল।
    • আবেদনকারীর কোর্ট কিংবা ট্রাইব্যুনাল রেকর্ডের নথি।
    • আবেদনকারী চাকরি করলে তার নথি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশনের কাগজ।
    • স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের নথি।
    • আবেদনকারীর ভারতীয় কোনও স্কুল পরিত্যাগের নথি।
    • ভারতের কোনও স্কুল বা কলেজ বা বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট।
    • আবেদনকারীর মিউনিসিপ্যালিটি ট্রেড লাইসেন্স।
    • বিয়ের শংসাপত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: আসন্ন ভোটে বাংলায় আসন সংখ্যায় বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: আসন্ন ভোটে বাংলায় আসন সংখ্যায় বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ভোট রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে করলেন বড় ভবিষ্যদ্বাণী। ‘পিকে’ (এই নামেই বেশি পরিচিত) জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পশ্চিমবঙ্গে অভূতপূর্ব সাফল্য পেতে চলেছে বিজেপি। বাংলায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজেপি উঠে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেবে বলেও মত প্রশান্ত কিশোরের। তাঁর আরও বক্তব্য, তৃণমূলের জন্য কঠিন দিন আসছে। এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কর্মীরা যে তাঁকে বিজেপির এজেন্ট বলে তোপ দাগবেন সে কথাও বলতে ভোলেননি, একদা তৃণমূলের এই ‘স্ট্র্যাটেজি মেকার’।

    ‘‘বঙ্গে বিজেপির চমৎকার সাফল্য দেখতে তৈরি থাকুন’’

    হায়দরাবাদে ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন প্রশান্ত কিশোর। এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনুমান করছি যে বিজেপি সমস্ত দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের থেকে খুব ভালো ফল করবে। আগামী লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বাংলা থেকে বিজেপির চমৎকার সাফল্য দেখতে সবাই তৈরি থাকুন। আমার মনে হয় যে আগামী লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে আসবে। এই কথা বলার কারণে অনেকে আমাকে বিজেপির এজেন্ট বলবে। কিন্তু যদি আমি এই আসল সত্য না বলি তাহলে এটা ভুল হবে। কারণ আমি একজন পেশাদার। নিজের পেশার ক্ষেত্রে আমি সৎ।’’

    তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কঠিন সময়

    প্রশান্ত কিশোর এরপরে আরও বলেন, ‘‘আমি কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র নই যে আমাকে পার্টি যেটা বলে দেয় সেটা বলতে হয়। কিন্তু এটা তথ্য আছে আমার কাছে। আমি দেখতে পাচ্ছি যে বিজেপি অনেক বড় কামব্যাক করতে চলেছে বাংলায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য অত্যন্ত নিরাশাজনক খবর হবে সেটা। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কঠিন সময় (Lok Sabha Election 2024) দেখতে পাচ্ছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: প্রার্থী কি অপছন্দ? উত্তর মালদায় প্রসূনের প্রচারে দেখা গেল না তৃণমূলের বড় নেতাদের

    Malda: প্রার্থী কি অপছন্দ? উত্তর মালদায় প্রসূনের প্রচারে দেখা গেল না তৃণমূলের বড় নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে চরম অসহযোগিতা চোখে পড়ল উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে। দেখাই গেল না জেলার বড় নেতাদের। তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী ঘোষণার পর গত সোমবারই মালদায় এসেছেন প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার জেলার একাধিক জায়গায় বৈঠক এবং নির্বাচনী প্রচার করলেও দেখে মেলেনি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বড় মুখদের। তাহলে দলের অন্দরে কি প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে? উঠেছে প্রশ্ন।

    বহিরাগত প্রার্থী (Malda)?

    প্রার্থী কি অপছন্দ? বিজেপি তৃণমূলের প্রার্থীকে বহিরাগত বলে অভিযোগ করেছে। এবার কি উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল নেতারাও সেটাই মনে করছেন? মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে কার্যত জেলার বড় নেতাদের অসহযোগিতার চিত্রই চোখে পড়ল। প্রার্থী নিজেই দেওয়াল লিখনে অংশগ্রহণ করলেন। সেই সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করলেন এদিন। অবশ্য তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব আব্দুর রহিম বক্সি, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ নেতাদের এদিন প্রচারে দেখাই গেল না। তাহলে কি তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দ নয়? এই রকম অনেক প্রশ্ন উঠছে রাজনীতির একাংশের মধ্যে।

    বিজেপির বক্তব্য

    উত্তর মালদার (Malda)  প্রার্থী প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, “তৃণমূলের কর্মীরা আসলে হতাশ, কারণ এই জেলার দুই কেন্দ্রে বহিরাগতদের প্রার্থী করা হয়েছে।” অপর দিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিমের দাবি, “দলে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই।  আমাদের উত্তর মালদার প্রার্থী ওল্ড মালদায় থাকবেন এবং এখান থেকেই তিনি প্রচারের কাজ করবেন। সকলেই আমরা তাঁর সঙ্গে আছি।”

    কী বললেন প্রার্থী?

    তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার (Malda) কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে গতকাল নির্বাচনের প্রচার করেন। তিনি বলেন, “সবেমাত্র প্রচার শুরু করলাম। আলাপচারিতার মাধ্যমে সকলের সঙ্গে দেখা হবে। টাউনের প্রেসিডেন্টরা সঙ্গে রয়েছেন। সকলেই আমার পাশে রয়েছেন। সকলের সঙ্গে আলাপ করব। যেখানে বিজেপির লোকেরা জয়ী হয়েছেন এবার সেখানে তৃণমূল জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে কংগ্রেস”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে কংগ্রেস”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা রটাচ্ছে কংগ্রেস।” মঙ্গলবার হায়দরাবাদের জনসভায় এমনই অভিযোগ করলের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন ‘বিজয় সঙ্কল্প সম্মেলনে’ যোগ দিয়েছিলেন শাহ। সেখানেই সিএএ (CAA) নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ‘স্বপ্ন পূরণের সরকার’

    বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন মোদির সেনাপতি। ভিড়ে ঠাসা জনসভায় শাহ বলেন, “কংগ্রেস, মাজিস এবং বিআরএস সিএএ-র (CAA) বিরোধিতা করেছিল। সেই বাধা উপেক্ষা করেই মোদি সরকার প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। স্বদেশে নিপীড়িত ওই শরণার্থীরা যে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সে স্বপ্ন পূরণ করছে এই সরকার।”

    ‘সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বিজেপি’

    ‘উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তেহারে যে সিএএ-র (CAA) প্রতিশ্রুতি ছিল, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তিনি বলেন, “বিজেপির ইস্তাহারে সিএএ-র উল্লেখ দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে মোদিজি তাঁর ১০ বছরের রাজত্বে সমস্ত দেয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তিন তালাক বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সিএএ-রও। এসবই আমরা পূরণ করেছি। তা সত্ত্বেও ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে কংগ্রেস আমাদের বিরোধিতা করে চলেছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    সংখ্যালঘুদের শাহি-বার্তা

    শাহ বলেন, “গতকালই (সোমবার) আমরা সিএএ-র (CAA) প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে পড়শি তিন দেশ থেকে এ দেশে শরণার্থী হিসেবে এসেছেন, এই আইন বলে তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। অথচ তারা (কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল) মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আমি এ দেশের সংখ্যালঘুদের বলতে চাই, সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। বরং নাগরিকত্ব দেবে।”

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত প্রেসিডেন্ট মৌলানা শাহাবউদ্দিন রাজভি বরেলভি বলেছিলেন, “সিএএকে স্বাগত জানানো উচিত ভারতীয় মুসলমানদের।” তিনিও বলেছিলেন, “ভারতের কোনও মুসলমানের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না এই আইন। মুসলমানদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বীজ বপন করেছেন কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    PM Modi News: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এটা আপনারা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে।’’ আমেদাবাদে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করে এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ‘‘বিগত ১০ বছরে মোদি সরকার একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩৭০ ধারা সরানো, দেশকে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে নিয়ে যাওয়া, রাম মন্দির নির্মাণ সমেত সর্বশেষ সংযোজন সিএএ লাগু করা। এর বাইরেও তাঁর অনেক কিছু করা বাকি আছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সেটাই মঙ্গলবার গুজরাটে বোঝাতে চাইলেন তিনি।’’

    ‘‘আমাদের কাছে উন্নয়ন মানে দেশ গঠন’’

    গুজরাটে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণার মধ্যে ছিল রেলওয়ে, পেট্রোকেমিক্যাল সংক্রান্ত নানা প্রজেক্ট। এদিনই নরেন্দ্র মোদি দশটি আরও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, দেশে বন্দে ভারতের সংখ্যা বর্তমানে ১০০-তে পৌঁছে গেল। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘আমাদের কাছে উন্নয়ন বলতে আবার একবার সরকার গঠন নয়, আমাদের কাছে উন্নয়ন মানে দেশগঠন।’’ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi News) বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আগামী পাঁচ বছরে যুবকরা দেখবে, ভারতীয় রেলের কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। যেটা তাঁরা কল্পনাও করতে পারবেন না। যুবকরা সিদ্ধান্ত নেবেন, কেমন ধরনের দেশ তাঁরা চান। এটা আপনারা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে।’’ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ঘোষণার মধ্যে ছিল ২০ হাজার কোটি টাকার ‘পেট্রোন্যাট এলএনজি’র উদ্বোধনও। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘‘এই প্রকল্পগুলি ভারতের যুবসমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকেই গ্যারান্টি দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রত্যেকটি সরকারই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিকে প্রাধান্য দিত এবং এর প্রভাব পড়তো ভারতের রেলের উপরে।’’

    মারুতি-সুজুকি গাড়ি কারখানার ভিতর পর্যন্ত রেল লাইন

    গুজরাটের হনসলপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পেরও এদিন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi News)। ওই প্রকল্পে মারুতি-সুজুকি গাড়ি কারখানার ভিতর পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। মূল রেললাইন থেকে আলাদা হয়ে এই লাইন চলে যাবে। সেই লাইন দিয়ে কেবলমাত্র সংস্থার গাড়ি মালগাড়িতে তোলার কাজই হবে। আবার গাড়ি তোলা হয়ে গেলে, ওই লাইন দিয়ে গিয়ে মূল লাইনে যুক্ত হয়ে মালগাড়ি বিভিন্ন দিকে বেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবে। দেশের প্রথম কোনও গাড়ি কারখানায় এমন ডেডিকেটেড ‘ইন প্ল্যান্ট রেলওয়ে সাইডিং’ প্রকল্প হল। রাস্তা দিয়ে ট্রাকে চাপিয়ে গাড়ি পাঠানোর ফলে যে জ্বালানি লাগত, তা প্রয়োজন হবে না। এরফলে কার্বন নিঃসরণ কমবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে। সড়কে যানজট কমবে। মোট ৯৭৬ কোটি টাকার এই রেল প্রকল্পের মধ্যে মারুতি-সুজুকি বিনিয়োগ করছে ৩৫৯ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নেই বাংলার কোনও আসন

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নেই বাংলার কোনও আসন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ৮ মার্চ কংগ্রেস প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। ১২ মার্চ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল কংগ্রেস। দ্বিতীয় দফায় ৪৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা (Congress Candidate List) প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দফার মতো এবারেও বাংলার কোনও আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি (Lok Sabha Election 2024)। যে রাজ্যগুলির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস সেগুলি হল- অসম, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড এবং দমন ও দিউ। বাংলার আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে কেন দেরি করছে কংগ্রেস? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিধান ভবনে।

    পরিবারতন্ত্রের প্রতিফলন প্রার্থী তালিকায়

    তবে এই দ্বিতীয় দফার তালিকাতেও (Lok Sabha Election 2024) দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের পরিবারবাদী রাজনীতির ছাপ। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমলনাথ ও তাঁর পুত্র বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এমন জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেল, এবারের লোকসভা ভোটে সেই কমলনাথের ছেলে নকুলনাথকে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস (Congress Candidate List)। অন্যদিকে রাজস্থানেরও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব গেহলটও টিকিট পেয়েছেন। রাজস্থানের জালোর থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র গৌরব গগৈকে সেরাজ্যের জোরহাট থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।

    রাজস্থানেরই ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ৪৩ জন প্রার্থীর (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ১৩ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের। যেখানে, ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন তফশিলি জাতির এবং ৯ জন প্রার্থী তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের রয়েছেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় রাহুল গান্ধী, শশী থারুর-সহ ৩৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় তালিকায় (Congress Candidate List) ৪৩ জনের প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই রাজস্থানের ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives News: সেনা সরাতে শুরু করেছে ভারত, দাবি মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমের

    Maldives News: সেনা সরাতে শুরু করেছে ভারত, দাবি মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের মিত্র দেশ মলদ্বীপ (Maldives News) থেকে ধাপে ধাপে সেনা সরাতে শুরু করল ভারত। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনা সেখানে পর্যবেক্ষক বিমান চালনা করত। ওই জওয়ানদেরই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মলদ্বীপের স্থানীয় সংবাদপত্র মিহারু-তে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ জন ভারতীয় সেনা ১০ মার্চের আগেই এলাকা ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে ভারতীয় সেনা যাতে কোনওভাবেই মলদ্বীপে না থাকে তার সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে সেখানকার সরকার।

    চিনের উসকানি!

    মলদ্বীপে ভারতের দেওয়া দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমানও ছিল। সূত্রের খবর, এই জোড়া কপ্টার ও বিমানের সাহায্যে ভারত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রত্যন্ত বহু এলাকায় অত্যাবশ্যক চিকিৎসাসামগ্রী, খাদ্য ও পণ্য যেমন সরবরাহ করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এমনকী, প্রয়োজনে অসুস্থদের এয়ারলিফ্‌ট করে রাজধানী মালেতে যাতায়াত করা বা দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও জরুরি ছিল ভারতের দেওয়া ফ্লাইট সার্ভিস। সেগুলি এ বার থেকে চালনা করবেন অসামরিক ভারতীয় কর্মীরা। তারা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চিনের উসকানিতেই মলদ্বীপ এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

    ১০ মে-র মধ্যে সরাতে হবে সেনা

    মলদ্বীপের সংবাদপত্র মিহারুর দাবি, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দিল্লিতে বৈঠকে বসে দুই দেশ যা স্থির করেছিল, তা-ই করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন চিনের অত্যন্ত কাছের মানুষ মহম্মদ মুইজ্জু (Maldives News)। তার পরই তিনি ঘোষণা করেন, সে দেশ থেকে সরিয়ে নিতে হবে ভারতীয় সেনা। ফেব্রুয়ারির ওই বৈঠকে স্থির হয়, ১০ মে-র মধ্যে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেবে ভারত। প্রথম ধাপে সেনা সরানোর কথা ওই বৈঠকে ১০ মার্চ বলা হয়। সেই মতোই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল। যদিও এই নিয়ে ভারত বা মলদ্বীপ সরকার কোনও মন্তব্য করেনি।

    লাক্ষাদ্বীপে সেনা জড়ো করছে ভারত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই চিনের সঙ্গে সামরিক সাহায্য নেওয়ার চুক্তিতে সই করেছে মলদ্বীপ। চিন ঘনিষ্ঠ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এতে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হবে। চুক্তি অনুসারে তাঁদের সেনাবাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দেবে চিন। ভারত মহাসাগরে চিন দাদাগিরি করতেই মলদ্বীপকে (Maldives News) ব্যবহার করছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তবে মোদি সরকারও বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে। গত মাসেই ভারত সরকার জানিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপে এখন নৌবাহিনী জড়ো করা হচ্ছে। সেখান থেকেই নজরদারি চালানো হবে ভারত মহাসাগরে। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। নৌবাহিনী সূত্রে আরও খবর, লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয়তে বাহিনী জড়ো করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TET 2022: ভুল ছিল ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নেও, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৫০০ পরীক্ষার্থী

    TET 2022: ভুল ছিল ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নেও, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৫০০ পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি, দুটি নয়, ২০২২ সালের টেটে ভুল রয়েছে ১৫টি প্রশ্নে। মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মৌসোনা মিত্র-সহ ৫০০ টেট পরীক্ষার্থী (TET 2022)। তাঁদের দাবি, টেটের ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এর পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    কী বলল আদালত? (TET 2022)

    তাঁর মন্তব্য, প্রশ্ন ভুল নিয়ে স্থায়ী কোনও সমাধান বের করতে হবে পর্ষদকে। তারা কী পদক্ষেপ করবে, আদালতকে তা জানাতে হবে পরবর্তী শুনানির দিন। তা না হলে নীতি নির্ধারণ করবে আদালতই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ মার্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রশ্ন ভুল হলে কোন ক্ষেত্রে কাদের নম্বর দেওয়া হবে, কাদের দেওয়া হবে না, তা নিয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ তা (TET 2022) না পারলে নীতি নির্ধারণ করবে আদালতই।’

    অতীতেও টেটে ভুল প্রশ্ন

    এই প্রথম নয়, ২০১৪ সালের টেটেও প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় সব পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মুখ পোড়ে সেখানেও। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন পরীক্ষার্থীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ২০১৪, ২০১৭ সালের টেটের প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে ভুল রয়েছে ২০২২ সালের টেটেও।

    আরও পড়ুুন: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের টেটে সাতটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ২০২৩ সালে। সেবার আবেদন করেছিলেন শুক্লা ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন টেট পরীক্ষার্থী। ওই একই অভিযোগে মঙ্গলবার ফের দায়ের হল মামলা। 

    শিক্ষক মহলের আশঙ্কা, পর্ষদ যদি সাতটি প্রশ্নে ভুল থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করে নেয়, তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা আরও বাড়বে। কারণ, যেসব পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হবে টেট পরীক্ষার্থীর তালিকা। তালিকায় অদল-বদলও ঘটাতে হবে। তখন আর শেষ থাকবে না বিড়ম্বনার (TET 2022)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in Pokhran: “ত্রিশক্তির এই মহড়া ঘোষণা করছে নয়া ভারতের উত্থান”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi in Pokhran: “ত্রিশক্তির এই মহড়া ঘোষণা করছে নয়া ভারতের উত্থান”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সৈন্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Pokhran)। মঙ্গলবার রাজস্থানের পোখরানে ভারতীয় সেনার (Indian Army) ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আজ যে দৃশ্য আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ত্রিশক্তি বাহিনীর যে সাহসের সাক্ষী আমরা হলাম, তা অনন্য সাধারণ। আকাশে ভারতীয় সেনার গর্জন, স্থলভাগে ভরতীয় সেনার দুঃসাহস এবং সেনার বিজয়োল্লাস যে দিকে দিকে ধ্বনিত হচ্ছে, তা সগর্বে ঘোষণা করে নয়া ভারতের উত্থান।”

    আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান

    এদিন পোখরানে ত্রিশক্তির অনুশীলন (Exercise Bharat Shakti) প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বলেন, “আজ পোখরান আরও একবার সাক্ষী রইল আত্মনির্ভর ভারত, আত্মবিশ্বাসী ভারত এবং আত্মগর্বিত ভারতের।” সোমবারই অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran) তাকে ‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের দিকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। অতীতে যে এই পোখরানেই ভারত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “পোখরান ভারতের আত্মনির্ভরতা, বিশ্বাস এবং আত্মগৌরবের সাক্ষী হয়ে রইল।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran)?

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের ধারণাকে মাথায় রেখেই হয়েছে এদিনের সেনা মহড়া (Exercise Bharat Shakti)। প্রদর্শিত হয়েছে ভারতের তৈরি বিশেষ যুদ্ধ সরঞ্জাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান। এদিনের মহড়ায় তেজস যুদ্ধবিমান, এএলএইচ মার্ক-৪, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, কে-৯, আর্টিলারি গান, ইউএভি (ড্রোন), পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার, শর্ট রেঞ্জ মিসাইল অংশগ্রহণ করেছিল। অবশ্য এই প্রথম নয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় বায়ুসেনার মহড়ায়ও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উন্নত ভারতের স্বপ্নপূরণ লুকিয়ে রয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের মধ্যেই। উন্নয়ন পেতে গেলে আমাদের অবশ্যই অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। তাই ভোজ্য তেল থেকে কাটিং এজ এয়ারক্র্যাফ্ট পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আত্মনির্ভরতায় জোর দিচ্ছে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী (Modi in Pokhran) বলেন, “এই যে ভারত শক্তির সেলিব্রেশন হচ্ছে, এটা কেবল রাজস্থান নয়, সাহসের এই গাথা পৌঁছে যাবে তামাম বিশ্বে।”

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। সেটা ২০২২ সাল। সে বছরই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হয় প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে। মস্কো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ওই আঘাত হানতে চেয়েছিল। তবে, সময়মতো হস্তক্ষেপ করে, একটা বড় বিপর্যয় রুখে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। 

    মোদির (PM Modi) উদ্যোগের প্রশংসা

    রাশিয়া যদি ওই পারমাণবিক আঘাত হানত, তাহলে সেটা হত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ-উত্তর প্রথম পারমাণবিক হামলার ঘটনা। প্রায় আশি বছর আগে জাপানের ওই দুই শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। সিএনএন-এর রিপোর্টেই এই তথ্য মিলেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে নিরস্ত করেছিলেন যিনি, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও কয়েকটি দেশও রাশিয়াকে নিষেধ করেছিল ইউক্রেনে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে।

    শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)

    ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ সমর্থন করেনি ভারত। তাই এসসিও সামিটে উজবেকিস্তানে গিয়ে যখন পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তখনই তিনি পুতিনকে শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়, বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কো যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্বেগে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনও। সিএনএন-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে আঁচ করেই ভারত (PM Modi) সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য চায় বাইডেন প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    এই দেশগুলি যাতে পুতিনকে বোঝায়, তিনি যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন। প্রবীণ এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “আমরা ওই দেশগুলিকে কেবল বার্তা পাঠিয়েই ক্ষান্ত হইনি, আমরা তাদের কাছে জোরালো অনুরোধও করেছিলাম। তারা যাতে অন্য দেশগুলিকেও একই অনুরোধ করে, তাও বলেছিলাম।” সিএনএনের প্রবীণ কর্তারা স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য কয়েকজন এই সঙ্কট (ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ) কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের ওই বর্ষীয়ান আধিকারিক বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উদ্বেগ বুঝতে পারবে রাশিয়া।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এ বিষয়ে কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে ভারতও সচেষ্ট হয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র হামলা রুখে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share