Tag: Bengali news

Bengali news

  • Yashasvi Jaiswal: মাঠে ফিরেই গুচ্ছ রেকর্ড যশস্বী জয়সওয়ালের, জানুন বিশদে

    Yashasvi Jaiswal: মাঠে ফিরেই গুচ্ছ রেকর্ড যশস্বী জয়সওয়ালের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠের চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেই রেকর্ড গড়লেন ভারতের তরুণ ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। টেস্ট ক্রিকেটে করলেন দ্বিশতরান। রাজকোটের স্টেডিয়ামে দুরমুশ করলেন ইংল্যান্ডের বোলারদের। বিনোদ কাম্বলি, বিরাট কোহলির পর যশস্বীই তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার যিনি পর পর দুটি টেস্টে করলেন দ্বিশতরান। এদিন ৪৩০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত। তাই জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৫৫৭ রান।

    রেকর্ডের খতিয়ান

    ডন ব্র্যাডম্যান ২১ বছর ৩১৮ দিন বয়সে টেস্টে দুটি দ্বিশতরান করেছিলেন। এই একই রেকর্ড বিনোদ কাম্বলি করেছেন ২১ বছর ৫৪ দিন বয়সে। আর যশস্বী (Yashasvi Jaiswal) এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ২১ বছর ৪৯ দিন বয়সে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ এই রেকর্ড করেছিলেন ২২ বছর ১৭৩ দিন বয়সে।

    সর্বোচ্চ ইনিংস 

    বিশাখাপত্তনমে যশস্বী প্রথম ইনিংসে ২০৯ রান করেন। রাজকোটে ফের এল দ্বিশতরান। ২৩১ বলে তিনি করলেন ২১৪। টেস্টে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস। এই ইনিংসে তিনি মেরেছেন ১২টি ছয় এবং ১৪টি চার। এদিন পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। ৮৫ তম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। ফাইন লেগ, এক্সট্রা কভার এবং তিন নম্বর ছক্কাটি অ্যান্ডারসনের মাথার ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন যশস্বী। অ্যান্ডারসনের এই ওভারে মোট ২০ রান করেন ভারতের এই তরুণ ব্যাটার।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, পাশ রেজলিউশন

    ভারতের প্রথম ব্যাটার হিসেবে যশস্বী ইতিমধ্যেই এক ইনিংসে ১০টিরও বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে টেস্টের এক ইনিংসে আটটি ছয় মেরেছিলেন নভজোত সিং সিধু। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে ম্যাচ খেলতে নেমে এক ইনিংসে ময়াঙ্ক আগরওয়ালও ছয় মেরেছিলেন আটটি।

    যশস্বীর রেকর্ড আরও আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ২৯টি ইনিংস খেলে ছক্কা হাঁকানোর হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন যশস্বী। ১৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম প্লেয়ার হিসেবে টেস্ট সিরিজে ২০টি ছক্কা মারার নজির গড়েছেন তিনি। যশস্বীই (Yashasvi Jaiswal) প্রথম ভারতীয় ব্যাটার যিনি টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি দ্বিশতরান করার নজির গড়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP Resolution: রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, পাশ রেজলিউশন

    BJP Resolution: রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, পাশ রেজলিউশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল বিজেপির দু’ দিন ব্যাপী জাতীয় কনভেনশন। অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে এই কনভেনশনেই পাশ হল রেজলিউশন (BJP Resolution)। রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, যা চলবে হাজার বছর ধরে। এই মর্মেই জোর দেওয়া হয়েছে এই রেজলিউশনে।

    রাম মন্দির

    রেজলিউশনে বলা হয়েছে, ভগবান রামের জন্মস্থান অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানে নয়নাভিরাম রাম মন্দির গঠন করা হয়েছে। মন্দিরটি ভগবান রামকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি জাতির একটি গৌরবজনক অধ্যায়। রাম মন্দির নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। রেজলিউশনে এও বলা হয়েছে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ভগবান শ্রী রাম এবং রামায়নের সীতার একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। আমাদের সংবিধানও যে রাম রাজ্যের ধারণা থেকে প্রাণিত হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে এই রেজলিউশনে।

    গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ

    এই রেজলিউশনেই (BJP Resolution) বলা হয়েছে, সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও বিচারের ধারণা রয়েছে, তা মিলেছে ওই রাম রাজ্যের ধারণা থেকে। সংবিধানের যে আসল কপি, তাতেও ভগবান শ্রী রাম, মা সীতা এবং লক্ষ্ণণজির লঙ্কা জয় করে অযোধ্যায় ফিরে আসা, এসবেরই প্রেরণা রয়েছে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের নেপথ্যে। রেজলিউশনে এও বলা হয়েছে, রাম রাজ্যের ধারণা থেকেই প্রাণিত হয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। এটিই প্রকৃত গণতন্ত্রের এপিটোম।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয় বালক রামের মূর্তি। এই মন্দির নির্মাণের সিংহভাগ ক্রেডিটই বিজেপি নেতাকর্মীরা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করতে আসতে যাতে দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য তৈরি করা হয়েছে বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকেও। প্রতিদিন ৫০-৫৫ হাজার দর্শানার্থী আসছেন মন্দির দর্শনে। এই মন্দির উদ্বোধনের সময়ও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, সংবিধানেই রয়েছে রাম রাজ্যের ধারণা। পদ্ম শিবিরের বিশ্বাস, সেই রাম রাজ্যই প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে (BJP Resolution)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একাধিক অপশন থাকায় ভারতের সমালোচনা করা উচিত নয়।” শনিবার কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী।

    মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স

    মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানে এক প্যানেল ডিশকাসনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আন্নালেনা বেরবক। সেখানে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়, কীভাবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ও আমেরিকার সঙ্গে একই সঙ্গে জোট বজায় রাখতে পারছে নয়াদিল্লি? উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটা কি কোনও সমস্যা? কেন এটাকে কোনও সমস্যা হিসেবে দেখা হবে? আমি যদি একাধিক বিষয় সামলে নিতে পারি, তাহলে তো আপনার আমাকে সম্মান জানানো উচিত।” তিনি বলেন, “আজকের দিনে কোনও দেশের কাছেই এমন প্রত্যাশা করা উচিত নয়, যে তারা একমাত্রিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে।”

    জয়শঙ্করের জবাব

    ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়িয়েও কীভাবে সে দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনছে ভারত? এর উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “এটা কেন কোনও সমস্যা হবে? আমি যথেষ্ট স্মার্ট, আমার কাছে একাধিক অপশন রয়েছে। এটাকে শ্রদ্ধা করা উচিত, সমালোচনা করা নয়। এটা কি অন্য কারও কোনও সমস্যা হতে পারে? আমার তো মনে হয় না।” এই সময় হাসতে দেখা যায় ব্লিঙ্কেনকে। জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের দেশের ওপর কী কী চাপ রয়েছে, সেগুলি আমরা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। একমাত্রিক সম্পর্ক রাখা এ যুগে বড্ড কঠিন।”

    আরও পড়ুুন: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে চাই না, এমনকি অসাবধানতাবশতও। এই ধারণাও দিতে চাই না যে আমরা সৎভাবে ট্রানজেকশনাল। আমরা তেমন নই। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। আমরা কাজে বিশ্বাসী, কোনও কিছু ঘটলে আমরা তা শেয়ারও করি। কিন্তু এমন সময়ও আসে, যখন আপনি বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন, উন্নয়নের বিভিন্ন স্তর রয়ছে, অভিজ্ঞতাও ভিন্ন ভিন্ন। আসলে জীবন হল জটিল, প্রত্যেকের জীবন আলাদা আলাদা।” তিনি বলেন, “যারা ভালো বন্ধু তারা তাদের পছন্দগুলো জানিয়ে দেয়। আর যারা স্মার্ট বন্ধু, তারা এর কিছু পছন্দ গ্রহণ করে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির (Russian Opposition Leader Dead)। বয়স হয়েছিল সাতচল্লিশ বছর। রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিসের তরফে এ খবর মিলেছে। ডিসেম্বরেই নাভালনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। এখন এল মৃত্যুর খবর। আর্কটিক পেনাল কোলোনিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    অচৈতন্য হয়ে পড়েন নাভালনি

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নানা সময় মুখর হয়েছিলেন নাভালনি। রাশিয়ার কারা বিভাগের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার জেলেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন নাভালনি। তার আগে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয় মেডিক্যাল স্টাফদের। কিন্তু নাভালনিকে বাঁচানো যায়নি। নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিস বলেন, “তিনি যে বেঁচেছিলেন (অচৈতন্য হওয়ার সময়), সে আশা ছিল না।”

    রাশিয়ার কারাগারে বন্দি

    একুশের জানুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার কারাগারে বন্দি ছিলেন পুতিন-বিরোধী (Russian Opposition Leader Dead) এই নেতা। গ্রেফতারির আগে পুতিন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। এ নিয়ে প্রচারও করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের কড়া সমালোচনাও করেছিলেন নাভালনি।  

    ক্রেমলিন বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বও দেন। তার পরেই উগ্রপন্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালত তাঁকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিস নাভালনির মৃত্যুর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    পুতিন বিরোধী নেতার জেলবন্দি দশায় মৃত্যুতে ফুঁসছে তামাম বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “এই ঘটনার জন্য পুতিনই দায়ী। পুতিন সরকারের দুর্নীতি, হিংসা এবং সব খারাপ কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যালিক্সি। তাই তাঁকে মরতে হল। তাঁর মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী। একমাত্র পুতিন দায়ী।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বলেন, “এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুতিন কতদূর যেতে পারেন। রাশিয়ার মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে যিনিই কথা বলতে চাইবেন, তাঁকে থামানোর জন্য যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারেন পুতিন। গোটা বিশ্বের আরও একবার মনে পড়ে গেল, পুতিন ঠিক কত বড় (Russian Opposition Leader Dead) রাক্ষস।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident)  গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। তৃণমূলের আর এক নেতা পলাতক শেখ শাহজাহানের সাগরেদ ছিল শিবু। শনিবার ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে নাম রয়েছে শিবু ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারের। মামলা রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার ধারায়ও। আগেই গ্রেফতার হয়েছিল উত্তম। এদিন ধরা পড়ল শিবুও।

    শাহজাহান কোথায়?

    তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, “ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকে (ডাক নাম শিবু। এই নামেই সবাই চেনেন শিবপ্রসাদকে)। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে।” শনিবারই আদালতে সন্দেশখালির এক বধূর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident) গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরেই বসিরহাটের পুলিশ জানিয়ে দেয়, কাউকে ছাড়া হবে না। এর পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার। এরই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে।

    শিবুর গুণপনা

    তৃণমূল নেতা শিবুর গুণপনার শেষ নেই। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই নেতা স্থানীয়দের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে লিজের টাকা দিত না। তৃণমূল নেতা হওয়ায়, তাকে কেউ ঘাঁটাতেও সাহস পেতেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বৈঠকের অছিলায় গ্রামের সুন্দরী মহিলাদের কখনও তৃণমূল পার্টি অফিসে, কখনওবা নিজের খামারবাড়িতে নিয়ে যেত শিবু। কেউ যেতে না চাইলে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে দিত। শিবুর ডাকে মহিলারা উপস্থিত হলে কিছুক্ষণ পার্টির কর্মসূচি নিয়ে কথা হত। পরে বাছাই করা (অভিযোগ, যাঁকে যেদিন মনে ধরত শিবুর) কয়েকজনকে থেকে যেতে বলত শিবু ও তার অনুগামীরা। তারপর তাঁদের ওপর হত নির্যাতন।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    ৭ ফেব্রুয়ারির শিবুদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের তৎকালীন অঞ্চল সভাপতি উত্তমের বাড়ি। শিবুর বাগানবাড়ি ও মুরগির খামারও ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মুরগির খামারে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamal Nath: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    Kamal Nath: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! মিলিন্দ দেওরা, অশোক চহ্বান, বাবা সিদ্দিকি, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকরের পর এবার সপুত্র কমল নাথ (Kamal Nath) কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে নকুল নাথ তাঁর নামের পাশ থেকে কংগ্রেস শব্দটি মুছে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন কমল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে পদ্ম আঁকা ঝান্ডা হাতে তুলে নিতে পারেন কমল।

    পদ্ম শিবিরে কমল নাথ!

    মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যে কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম-শিবিরে ভিড়তে চলেছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল শুক্রবারই। এদিন বিজেপির মুখপাত্র তথা কমল নাথের (Kamal Nath) প্রাক্তন পরামর্শদাতা নরেন্দ্র সালুজা একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে ছিলেন সপুত্র কমল নাথ। ছবির ক্যাপশনে সালুজা লিখেছেন, জয় শ্রীরাম। এর পরেই চড়তে থাকে কমলের পদ্ম-যোগের জল্পনার পারদ।

    কী বলছে কংগ্রেস?

    শুক্রবারই এই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি নেহরু-গান্ধী পরিবারের হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন, এটা কী করে আশা করা যায়। এরকম কিছু আশা করাই উচিত নয়।” শনিবার দিল্লিতে কমল বলেন, “আপনারা এত উত্তেজিত কেন হয়ে পড়ছেন? যদি এরকম কিছু হয়, তবে আমি অবশ্যই আপনাদের জানাব।”

    বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কমলের এক অনুগামীও। সজ্জন সিং ভার্মা নামের ওই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের সোনকাছ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হাত চিহ্নে জয়ী হয়েছিলেন। কমল দিল্লি যেতেই তাঁর প্রোফাইল থেকে কংগ্রেসের লোগো মুছে ফেলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “আগামী নির্বাচনে বাংলায় আমরাই ক্ষমতায় আসব”, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    জানা গিয়েছে, ছেলে নকুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত কমল। কারণ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল মাত্রই একটি আসনে। এই কেন্দ্রটি ছিন্দওয়ারা। এক সময় এটি ছিল কমল নাথের দুর্গ। বাবার সেই দুর্গে দাঁড়িয়েই কোনও মতে জয়ী হয়েছেন নকুল। ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রে নিরন্তর শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি। প্রত্যাশিতভাবেই প্রমাদ গুণছেন কমল (Kamal Nath)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছেলের একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই দিল্লিতে হাজির মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • JP Nadda: “আগামী নির্বাচনে বাংলায় আমরাই ক্ষমতায় আসব”, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    JP Nadda: “আগামী নির্বাচনে বাংলায় আমরাই ক্ষমতায় আসব”, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় বিজেপির ভোট ছিল ১০ শতাংশ, আসন ছিল তিনটি। বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ৩৮.৫ শতাংশ, আসন হয়েছে ৭৭টি। আগামী নির্বাচনে আমরাই ক্ষমতায় আসব।” শনিবার বিজেপির দু’ দিন ব্যাপী কনভেনশনে কথাগুলি বললেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে বিজেপি পাঁচটি রাজ্যে রাজ করত। আর বর্তমানে দেশের ১২টি রাজ্যের কুর্সিতে রয়েছে পদ্ম-পার্টি। ১৭টি রাজ্যে রয়েছে এনডিএ।”

    ঠিক কী বললেন নাড্ডা?

    নাড্ডা বলেন, “তিরিশ বছর পরে ২০১৪ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে একটি দল। ঠিক পাঁচ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসে সরকার।” তিনি বলেন, “এখন আমরা গর্বের সঙ্গে অধিবেশনকে মহা অধিবেশন বলতে পারি। দলীয় নেতা-কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমেই এটা সম্ভব হয়েছে। গত সাত দশক ধরে ভারতীয় জনসঙ্ঘ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি অনেক কিছু দেখেছে। আমরা লড়াইয়ের পর্ব দেখেছি, আমরা উপেক্ষা পর্বের সাক্ষী হয়েছি। আমরা জরুরি অবস্থা দেখেছি। নির্বাচনে বিজয় এবং হারের পর্বেরও সাক্ষী হয়েছি।”

    মোদির আমলে শুধুই প্রাপ্তি!

    তিনি (JP Nadda) বলেন, “তবে গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের শুধুই প্রাপ্তি হয়েছে। ২০২৪ সালে বিজেপির জাতীয় কনভেনশনের সাক্ষী আমরা যারা হয়েছি, তারা ভাগ্যবান। অতীতে বিজেপির জয়ের সাক্ষী আমরা হয়েছি। আবারও জয়ের সাক্ষী হব। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের স্বপ্নও পূরণ হয়েছে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। কারণ তাঁরই নেতৃত্বে রাজনীতিতে একটা নয়া গতি এসেছে। গতি এসেছে পার্টিতে, সমাজে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় বর্তমানে ৮০ কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।”

    নাড্ডা বলেন, “গত দশ বছরে মোদি সরকার প্রায় ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে নিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রেই প্রতিটি ভারতবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।” তিনি (JP Nadda) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।”

    আরও পড়ুুন: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    Hooghly Murder: রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার, পড়ে রয়েছে গণেশ মূর্তি, হুগলির শিশু খুনের নেপথ্যে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর আটেকের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির কোন্নগরের (Hooghly Murder) আদর্শনগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন শিশুটির ঘরে জোরে জোরে চলছিল টিভি। কী ব্যাপার জানতে ঘরে ঢুকেছিল তাঁর খুড়তুতো দিদি। সে-ই প্রথম রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে।

    খুনিদের কঠোর সাজার দাবি

    শিশুটির বাবার অভিযোগ, ছেলেকে পাশবিকভাবে হত্যা করেছে কেউ। ছেলের খুনিদের কঠোর সাজা দাবি করেছেন তিনি। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ওই ব্যক্তি। বলেন, “বাড়ির সিঁড়ির কাছে একটি থান ইট ছিল। সেটি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ঘরে একটি গণেশমূর্তি ছিল। সেটি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে। রান্নাঘরে যে সবজি কাটার ছুরিটি ছিল, সেটি ঘরেই মিলেছে রক্তমাখা ও বেঁকে যাওয়া অবস্থায় (Hooghly Murder)।” তিনি বলেন, “বাড়িতে যে ভলিউমে টিভি চলছিল, তা কোনও বাড়িতেই চলে না। তাঁর ছেলেও কখনও এত ভলিউম দিয়ে টিভি চালাত না।”

    ‘শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে’

    পুলিশ জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস বলেন, “ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। শ্রীরামপুরের হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। মৃতের পরিবার ও এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে।”

    আরও পড়ুুন: পাক রাজনীতিতে সক্রিয় আইএসআই, গাঁটছড়া বাঁধছে পিটিআই-পিপিপি!

    কানাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কেউ খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। বালকের মা-বাবা বাইরে কাজ করেন। সেই সময় তাঁর বাবা বাড়িতে ছিলেন না।” পুলিশ সূত্রে খবর, বালকের মাথার পিছনে ভারী ও ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে। দেহের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময় ফুল ভলিউমে চলছিল টিভি। চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে নমুনা সংগ্রহ করবে…আশা করছি, তাড়াতাড়ি খুঁজে আমরা পাব, ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে। শিশুটির দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা (Hooghly Murder)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ ঢাকার কাপড়ের দোকানে! ধৃত বিশ্বজিতের ইডি হেফাজত

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ ঢাকার কাপড়ের দোকানে! ধৃত বিশ্বজিতের ইডি হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিৎ দাসকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।  শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিশেষ ইডি আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি৷ এর পর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডির আধিকারিকরা। গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ফেরেন মঙ্গলবারই। বিমানবন্দরে তাঁকে পাকড়াও করে ইডি। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে কাপড়ের ব্যবসায় বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগও করেছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত বিশ্বজিৎ দাস, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের৷ 

    বিশ্বজিৎকে জেরা করে কী জানতে পারলেন গোয়েন্দারা?

    বিশ্বজিৎকে জেরা করে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ঢাকায় বিশ্বজিতের একটি বড় কাপড়ের দোকান রয়েছে৷ এখানেই জোরালো হচ্ছে হাওয়ালার মাধ্য়মে (Ration Scam) দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশ্বজিতের ভূমিকা। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু দুবাইতে নয়, বাংলাদেশে কাপড়ের ব্যবসার মাধ্যমেও রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন বনগার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য৷ তাঁকে জেরা করেই বিশ্বজিতের নাম পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা৷

    টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড বিশ্বজিৎ

    ইডির দাবি, বিশ্বজিৎ দাসই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Ration Scam) বিপুল টাকা বিদেশে পাচার করতেন৷ তাঁর হাতেই কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছে৷ গোয়েন্দাদের মতে, কালো টাকা পাচারের ক্ষেত্রে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমন কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেছে নিয়েছিলেন। যাঁদের আন্তর্জাতিক কারবার ও বিদেশেও একাধিক ব্যবসা আছে৷ ইডির সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এমন আরও চার ব্যবসায়ী। আগামী সপ্তাহে তাঁদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন গোয়েন্দারা। তদন্তের জাল ক্রমশই গুটিয়ে আনছে ইডি।

     

    আরও পড়ুন: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা লোকসভা ভোট! রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ধর্ষণের প্রমাণ কোথায়? নির্যাতিতাকে প্রশ্ন পুলিশের! বিস্ফোরক সন্দেশখালির মহিলা

    Sandeshkhali: ধর্ষণের প্রমাণ কোথায়? নির্যাতিতাকে প্রশ্ন পুলিশের! বিস্ফোরক সন্দেশখালির মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মহিলারা। গুন্ডা বাহিনী সঙ্গে নিয়ে রাতে মহিলাদের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার ফের পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠল। সন্দেশখালির এক মহিলার দাবি, থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করতে গেলে পুলিশের একাংশ নাকি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, যৌন নির্যাতন হয়ে থাকলে, তার মেডিক্য়াল রিপোর্ট কোথায়? পুলিশ নির্যাতিতাকে বলে, আপনাদের সঙ্গে যে এরকম হয়েছে, প্রমাণ হিসেবে তার মেডিক্যাল রিপোর্ট দিন। এই চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। সংবাদমাধ্যমের সামনে ওই মহিলার আরও অভিযোগ, ‘‘কোনও দোষী কি দোষ করে আমাদের হাতে মেডিক্য়াল রিপোর্ট গুঁজে দিয়ে গিয়েছে, যে আপনারা গুছিয়ে রাখুন পরবর্তীকালে যখন কোনও কিছু হবে দেখাবেন।’’

    সন্দেশখালির মহিলাদের বক্তব্যে সিলমোহর জাতীয় মহিলা কমিশনের

    এই আবহে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্যকে সিলমোহর দিয়ে সামনে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের বিবৃতিও। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি, রাজ্যের কমিশনের প্রতিনিধিরা মহিলাদের ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পাননি বলে সমাজ মাধ্যমের পাতায় দাবি করে রাজ্য় পুলিশ। তারই পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে, নির্যাতিতারা শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন, যা সংগঠিত করেছেন পুলিশ এবং তৃণমূলের সদস্য়রা। জানা গিয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকও করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা।

    নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি সন্দেশখালি?

    প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে স্থানীয় মহিলারা যে বিবৃতি দিয়েছেন তা আজ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে সভ্যতাকে! সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধানের দাবি, “বাচ্চাকাচ্চা থেকে শুরু করে বউ-ঝি রাতে ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারে না। রাত দুটোর সময়ে বলছে, ওমুক জায়গায় যেতে হবে। মিটিং মিছিল করতে হবে। না গেলেই সাদা শাড়ি হাতে ধরিয়ে দেবে। স্বামী ছেলে মেয়ে সন্তান সবাইকে নিয়ে আতঙ্কে রাত কাটাতে হচ্ছে। তাদের ওপর অত্যাচারের হত।” মহিলা প্রধান আরও বলেন, “দিনের পর দিন এই অত্যাচার চলেছে। আমরা শিক্ষিত বাড়ির বউরা সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বেরোই না।”  সংবাদ মাধ্যম এরপর প্রশ্ন করে, তবে রাত দুটোয় কিসের মিটিং? কেন অতো রাতেই ডাকা হত? এই কথা শুনে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক মহিলার উত্তর, “বোঝো না তোমরা। কীসের মিটিং। কেন বাড়ির বউদের কেন নিয়ে যায় রাত দুটোর সময়ে! আমরা সেসব নোংরা কথা কথা মুখে নিতে পারছি না। ভাল ভাল মেয়েদের বেছে বেছে পেয়ে…।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share