Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Modi: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    PM Modi: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়েছিলেন আপনারা। তাই কংগ্রেস ছাড়ছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন তাঁরা কংগ্রেস-সঙ্গ ত্যাগ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিকশিত ভারত

    এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজস্থানের জয়পুরে ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত রাজস্থান’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। এই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসকে নিশানা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্যই হল মোদির বিরোধিতা করা।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ওদের (কংগ্রেসের) মোদির প্রতি এত ঘৃণা যে তা সমাজে বিভাজন তৈরি করে। এটাই হয় যখন কেউ স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়ে। আজ সবাই কংগ্রেস ছেড়ে দিচ্ছেন। একমাত্র একটি পরিবারই কংগ্রেসে রয়েছে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির 

    তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল এদের দূরদর্শিতা ও ইতিবাচক নীতি গঠনের অভাব। কংগ্রেস ভবিষ্যতও দেখতে পায় না। আর তাদের কাছে ভবিষ্যতের কোনও রোডম্যাপও নেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস বিকশিত ভারত নামটা পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। কারণ এতে কাজ করছে মোদি। কংগ্রেস মেড ইন ইন্ডিয়াকেও সমর্থন করেনি। সমর্থন করেনি ভোকাল ফর লোকালকেও। কারণ মোদি একে সমর্থন করে।”  

    বিকশিত ভারত প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা শুধু একটা শব্দ নয়, বরং আবেগ। এই প্রকল্প প্রতিটি পরিবারের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। গরিবি দূর করবে এই প্রকল্প। যুব প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান ও দেশে আধুনিক পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে এই প্রকল্প।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘মণিপুর-ধাঁচে হোক তদন্ত’’! সন্দেশখালি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে, এদিন আরও একবার তা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “ভারতকে উন্নত দেশ তৈরি করতে সরকার চারটি ক্ষেত্রকে মজবুত করছে – যুব প্রজন্ম, মহিলা, কৃষক ও গরিব। আমাদের কাছে এরাই সব থেকে বড় শ্রেণি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের অনুকূল’’, রাষ্ট্রপতি ভবনে রিপোর্ট পেশ তফশিলি কমিশনের

    Sandeshkhali: ‘‘পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের অনুকূল’’, রাষ্ট্রপতি ভবনে রিপোর্ট পেশ তফশিলি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদের ঢেউ এবার পৌঁছে গেল রাইসিনা হিলসে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। এলাকা জুড়ে মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচার শুনে এসেছেন তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেই নিয়েই এবার রিপোর্ট জমা পড়ল রাষ্ট্রপতি ভবনে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় কমিশনের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন বলে খবর। কী আছে সেই রিপোর্টে?

    রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কমিশনের প্রধান অরুণ হালদার জানিয়েছেন, সন্দেশখালির হিংসার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন গতকাল সন্দেশখালিতে যাই, তখন শাহজাহান এবং তার বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসের পরিস্থিতি কায়েম করেছিল। তার জন্য স্থানীয়রা কথা বলতে ভয় পেয়েছেন। বলা হয়েছিল, কমিশন চলে যাওয়ার পরেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হবে।’’ অরুণ জানান, তাঁরা সন্দেশখালি থানায় গিয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু কমিশনের সদস্যদের দেখে থানা ছেড়ে অফিসাররা পালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘‘সেখানকার পরিস্থিতি এক কথায় ভয়াবহ। আদিবাসীরা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় কমিশন মনে করে, অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা দরকার।’’

    বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল তফশিলি কমিশন

    গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিল তফশিলি কমিশন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তাঁদের কাছে মহিলারা জানিয়েছেন, রাতের পর রাত কীভাবে তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে। রাতভর চলত অত্যাচার। দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটতে থাকলেও, পুলিশ কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। শুধুমাত্র মহিলাদের নয়, পুরুষদেরও মারধর করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকাল পুলিশ

    আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সন্দেশখালি নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তৈরি করেছিলেন। সেই মতো শুক্রবার সকালে বিজেপির ৬ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু সন্দেশখালি পৌঁছনোর আগেই ধামাখালির কাছে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সন্দেশখালিতে এখন ১৪৪ ধারা। এই পরিস্থিতিতে ৬ জনকে সেখানে যেতে দেওয়া হবে না। এর পরই পুলিশের সঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের বচসা বেঁধে যায়। পরে বিজেপির প্রতিনিধি দলের ৪ জন সেখানে যেতে চাইলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে ৪ জন থেকে কমিয়ে ২ জনের যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হলেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ১৪৪ ধারা সন্দেশখালির সব অংশে লাগু নেই, তবু কেন বাধা দেওয়া হল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলকে।

    আরও পড়ুন: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। শুক্রবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে সংযুক্তার আর্জি, সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার শুনানি হতে পারে মামলাটির।

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বাধা

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) পুলিশ সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দেয় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকেও। এদিন সকালে ওই কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সন্দেশখালির কয়েকটি গ্রামও পরিদর্শন করার কথা ছিল তাঁদের। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বচসা। পরে রামপুরে রাস্তার ওপরই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থাকলেও, দরজা খুলে ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। কিছুক্ষণ পরে শাহজাহানের অনুগামী তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    শাহজাহান গা ঢাকা দিতেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, শাহজাহানের দলবল স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে পাঠাতেন পার্টি অফিসে। করা হত বর্বরোচিত নির্যাতন। এরই প্রতিবাদে দফায় দফায় অশান্তি শুরু হয় সন্দেশখালিতে। ঘটেছে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও। অশান্তি রুখতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এ নিয়ে রাজ্যের উদ্দেশে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন ছিল, “গোটা সন্দেশখালিজুড়ে উত্তেজনা কেন? গোটা এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা? এর পর তো বলবেন কলকাতাজুড়েই জারি করতে হবে ১৪৪ ধারা।” এর পরেই সন্দেশখালি থেকে তুলে নেওয়া হয় ১৪৪ ধারা। তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

    ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    এদিকে, সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পেয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে এই মামলারও। শুভেন্দুর বক্তব্য, আদালত ১৪৪ ধারা বাতিল করেছে। ফের ১৪৪ ধারা জারি করে পথ আটকাচ্ছে পুলিশ। শাসকদলের নেতাদের যেতে দেওয়া হলেও, বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ! গ্রেফতারির আগে সেখানেই ছিলেন বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ! গ্রেফতারির আগে সেখানেই ছিলেন বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) দু’দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে গ্রেফতারির আগে এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ আর এই তথ্য সামনে আসতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি ৷ তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাই চলে যেত টাকা। সেই লিঙ্কই এখন খুঁজছে ইডি। বালু ও শঙ্করের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে কি ভূমিকা নিতেন বিশ্বজিৎ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। পাশাপাশি ইডি-র আরও সন্দেহ এ রাজ্যের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সে দেশের (বাংলাদেশ) ব্যবসায়ীরাও (Ration Scam) যুক্ত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, বালুর ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে গিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।

    মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি

    মঙ্গলবার বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি (Ration Scam) অভিযান চালায় ইডি। এর পাশাপাশি অভিযান হয়েছিল বড়বাজারের আর একটি স্থানেও। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ইডি। নথিপত্র ঘেঁটে ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে যে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন তা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। আর তাতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। রেশন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যোগ ছিল কিনা তা এবার খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷

    হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট বিশ্বজিৎ বাড়িতে

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) বিশ্বজিৎ দাসের হাওয়ালা যোগ আদালতে আগেই জানিয়েছিল ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ বাড়ি ও অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট। বাড়িতে ইডি হানার খবর পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ থেকে কলকাতা উড়ে আসেন বিশ্বজিৎ। দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিশ্বজিৎ-কে। তারপরেই আটক করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCs Earnings: নির্বাচনী বন্ডে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের আয় কত জানেন?

    TMCs Earnings: নির্বাচনী বন্ডে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের আয় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় দলের তকমা ঘুচেছে আগেই। শিবরাত্রির সলতের মতো টিমটিম করে কেবল একটি রাজ্যেই রাজত্ব করে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এহেন ‘ক্ষয়িষ্ণু’ একটি দলের এক বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। নির্বাচনী বন্ড থেকে তাদের আয় (TMCs Earnings) হয়েছে মোট চাঁদার ৯৭ শতাংশেরও বেশি।

    নির্বাচনী বন্ড

    ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে চাইলে নির্বাচনী বন্ড কিনতে হয়। সেই বন্ড বিক্রির দায়িত্বে থাকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার, নির্বাচনী বন্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই, শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিতে দেখা যায় তৃণমূলের মুখপাত্রকে। অথচ, গত ২ বছর ধরে, শতাংশের বিচারে এই তৃণমূল দলই সবচেয়ে বেশি আয় করেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমেই! অর্থাৎ, নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল তৃণমূল, আর সেই দলই কিনা এদিন নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে!

    ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ কত পড়ল?

    জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ঝুলিতে পড়েছিল প্রায় ৪১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫২৫ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। যা ছিল মোট আয়ের (৫৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ)  ৯৬ শতাংশ। ফি বছর প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দিতে হয় আয়-ব্যয়ের হিসেব। সেই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের আয়ে উপচে পড়ছে তৃণমূলের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’।

    গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আয় (TMCs Earnings) হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯৭ শতাংশই (৩২৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা) এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। বাকি ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে সদস্যদের চাঁদা, মুখপাত্রের গ্রাহক চাঁদা এবং অর্থসংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    অ-বিজেপি দলগুলির আয়

    আরেকটি আঞ্চলিক দল ডিএমকের কোষাগারে নির্বাচনী বন্ড বাবদ জমা পড়েছে মোট আয়ের ৮৬.৩০ শতাংশ। বিজু জনতা দলের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৮৩.৯৫ শতাংশ। ভারত রাষ্ট্র সমিতি এই খাতে আয় করেছে ৭১.৭১ শতাংশ টাকা। আর নির্বাচনী বন্ডে ৬৯.৫২ শতাংশ টাকা আয় করেছে ওয়াইএসআরসিপি। সব চেয়ে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসের। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’তে যেসব আঞ্চলিক দল রয়েছে, তাদের মধ্যে বোধহয় নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে কম আয় হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলের। এই খাতে কংগ্রেসের আয় শতাংশের হিসেবে মাত্রই ৩৭.৮০ টাকা (TMCs Earnings)।

    এবার তাকানো যাক বিজেপির আয়ের দিকে। কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের সব চেয়ে বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে পদ্ম-পার্টি। অঙ্কের হিসেবে তাদের আয় (TMCs Earnings) সবচেয়ে বেশি। তবে শতাংশের বিচারে বিজেপির আয় তৃণমূলের আয়ের কাছে নেহাতই শিশু। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডে গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছে মোট আয়ের মাত্র ৫৪.৮১ শতাংশ টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • ISRO: ‘দুষ্টু ছেলে’র পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর উপগ্রহ

    ISRO: ‘দুষ্টু ছেলে’র পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর উপগ্রহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর (ISRO) রকেট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, যে রকেটে চড়ে উপগ্রহটি মহাকাশে পাড়ি দেবে তার নাম ‘নটি বয় (দুষ্টু ছেলে)’।  জানা গিয়েছে, আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাস আরও নিখুঁত ভাবে দেবে ‘নটি বয়’। এর পাশাপাশি নতুন উপগ্রহটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও পৃথিবীপৃষ্ঠে আগাম সতর্কতা পৌঁছে দেবে। মহাকাশ থেকেই ‘নটি বয়’ মাটি এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর নজরদারি চালাবে।

    কেন এমন নামকরণ?

    ‘নটি বয়’-এর ভালো নাম (ISRO) অবশ্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV)। শনিবারই ঠিক বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইনস্যাট-থ্রিডিএস-কে পিঠে বসিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে রকেটটি। ‘নটি বয়’ ডাকনামটি দিয়েছেন সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান। হঠাৎ কেন এমন আজব নাম নির্বাচন করা হল? কারণ হল, এই রকেটটির মতিগতি বোঝা খুব শক্ত। রকেটটির মতিগতি বুঝতে হিমশিমও খেতে হয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। ঠিক যেন মুডের ওপর নির্ভর করে। ভালো থাকলে সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। তাই আদর করে সেটির নাম রাখা হয়েছে ‘নটি বয়’। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ বার উৎক্ষেপণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে রকেটটি (ISRO) যার মধ্যে ৬বার ব্যর্থ হয়েছে এটি। শেষবারের জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়, ২৯ মে ২০২৩। তখন উৎক্ষেপণ সফল হয়। কিন্তু তার আগে ২০২১ সালের ১২ অগাস্ট রকেটটির উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছিল।

    কী বলছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানী?

    আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম রবিচন্দ্রনের কথায়, ‘‘ভারতীয় আবহাওয়া উপগ্রহগুলি আরও উন্নত ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ এই উপগ্রহগুলি (ISRO) আকাশের চোখ হিসাবে কাজ করে। যা ভারতকে ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ সম্পর্কে নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।’’ জিএসএলভি একটি ত্রিস্তরীয় রকেট যা ৫১.৭ মিটার দীর্ঘ। এর ওজন ৪ লাখ কেজিরও বেশি।

     

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    Manipur Clash: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, মৃত ২, জখম অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur Clash)। এক হেড কনস্টেবলের সাসপেনশনকে কেন্দ্র করে এবারের অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনায় এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এর পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার জেরে চূড়াচাঁদপুর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    তাণ্ডব জনতার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে চূড়াচাঁদপুরে এসপি এবং ডিসির অফিসে হামলা চালায় ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষের একটি দল (Manipur Clash)। সরকারি সম্পত্তি তছনছ করার পাশাপাশি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। তার পরেই পাঁচ দিনের জন্য এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

    সংঘর্ষে মৃত ২

    একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা (Manipur Clash) যায়, চূড়াচাঁদপুর জেলার এক হেড কনস্টেবলকে কয়েকজন সশস্ত্র লোকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনাটি নজরে পড়ে পুলিশের বড় কর্তাদের। এর পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। ওই হেড কনস্টেবলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। সেই দাবি জানিয়েই ওই রাতে এসপি অফিসে তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকটি বাস, ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। দু পক্ষের সংঘর্ষে কুকি-জো অধ্যুষিত এই এলাকায় মৃত্যু হয় দু জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

    আরও পড়ুুন: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মণিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তিন-চারশো জনের একটি দল এসপি অফিসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে। তারা পাথর ছুড়তে থাকে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। চূড়াচাঁদপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল সিয়ামলালপলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কয়েকজন অস্ত্রধারী নাগরিকের সঙ্গে ভিডিও তৈরি করছেন। সিয়ামলালপলকে বিনা অনুমতিতে রাজ্যের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    এদিকে, ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে এসপি শিবাবনন্দকেই। ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এসপি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজকর্ম করছেন না। আমরা তাঁকে কোনও আদিবাসি এলাকায় থাকতে দেব না। এখনই ওই কনস্টেবলের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই জেলা ছেড়ে চলে যেতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে যে কোনও রকম পরিস্থিতির জন্য এসপি শিবানন্দ সার্ভে দায়ী থাকবেন (Manipur Clash)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বিজনেস পার্টনার পার্থর স্ত্রী-জামাই! কে এই রাজীব দে, যার বাড়িতে হানা ইডি-র?

    Recruitment Scam: বিজনেস পার্টনার পার্থর স্ত্রী-জামাই! কে এই রাজীব দে, যার বাড়িতে হানা ইডি-র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতার ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে (Recruitment Scam) ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি। যাঁর বাড়ি ও অফিসে ইডির তল্লাশি চলছে তাঁর নাম রাজীব দে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই রাজীব পেশায় প্রোমোটার। জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজীবের সম্পর্ক এলাকার অনেকেই জানেন। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে রাজীবের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। যে বাড়ি থেকে পার্থ গ্রেফতার হয়েছিলেন দেড় বছর আগে, তার খুব কাছেই অবস্থিত রাজীবের বাড়ি। আর সেই বাড়ির কাছেই ফের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি গোলপার্কের একটি গয়নার দোকানের অফিসে এবং বাঁশদ্রোণীতে রাজীবের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাজীবের সংস্থার দফতরেও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    কে এই রাজীব?

    তদন্তে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার রাজীব দে। সংস্থার (Recruitment Scam) ডিরেক্টর হিসেবে নাম ছিল পার্থর স্ত্রী বাবলিদেবীরও। ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর হন।

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা প্রোমোটিং ব্যবসায় লগ্নি?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (Recruitment Scam) সংস্থা সূত্রে খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর পার্থ সরকার এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা করে রাজীব সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে ইডি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, রাজীব কি পার্থর স্ত্রী এবং জামাইকে সামনে রেখে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায় লগ্নি করেছেন? এই উত্তরের সন্ধান পেতেই শুক্রবার সকাল-সকাল সক্রিয় হয়ে উঠেছেন গোয়েন্দারা। নাকতলায় রাজীবের পাঁচতলা বাড়িতে চলছে ইডি হানা। ইডি আধিকারিকরা যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ধনখড়ের করা নিয়োগ বহাল থাকল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ধনখড়ের করা নিয়োগ বহাল থাকল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড়ের একটি নিয়োগ খারিজ করেছিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশকে খারিজ করে ধনখড়ের নিয়োগকে পুনরায় সিলমোহর দিল। বহাল থাকল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতির করা নিয়োগ।

    ইজেডসিসি-তে ধনখড় নিয়োগ করেন আশিস গিরিকে

    ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের (ইজেডসিসি) ডিরেক্টর পদে আশিস গিরি নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়। নির্ধারিত নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনেই ওই পদের জন্য তিন জনকে বাছাই করেছিল রাজভবন। সেই তিন জনের নাম কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে পাঠান জগদীপ ধনখড়। সেখান থেকে আশিস গিরি নিয়োগ পান। তৎকালীন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জল গড়ায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা হয় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। একক বেঞ্চ সেই নিয়োগ খারিজ করে দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক, জেনে নিন কী কী নিয়ম আছে?

    চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চারটি আবেদন জমা পড়েছিল

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চারটি আবেদন জমা পড়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও আবেদন করা হয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ভিএম ভেলুমানির ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩(২) ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। সেই নিয়োগ খারিজও করা যায় না। প্রসঙ্গত, ইজেডসিসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই সংস্থার কাজ রয়েছে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, ওড়িশা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদাধিকার বলে এই সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

     

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে তলব ইডির

    Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী সোমবারই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ওই সাংসদকে। বৃহস্পতিবারই ইডির তরফে সমন পাঠানো হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করার একটি মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকে তলব করেছে ইডি। তলব এসেছে মুকুল রায়েরও। এরই মধ্যে মহুয়াকে তলবের খবর সামনে এল। তবে মহুয়া যাবেন কি না, তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

    ১৯ ফেব্রুয়ারি তলব মহুয়াকে

    ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে মহুয়াকে জবানবন্দি দিতে বলা হয়েছে। তাঁর সেই জবানবন্দি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট (ফেমা) আইনের অধীনেই রেকর্ড করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআইও পৃথক তদন্ত করছে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ৷ লোকপালের নির্দেশ মতো মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত করছে সিবিআই। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অভিযোগ এনেছিলেন। প্রসঙ্গত, লোকসভার এথিক্স কমিটিই সুপারিশ করে দর্শন হীরানন্দানি ও মহুয়ার (Mahua Moitra) লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ওই আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করার মতো প্রযুক্তিগত কাঠামো কমিটির নেই। তাই যেন সরকার তার তদন্ত করে।

    ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন!

    গত ডিসেম্বরেই সাংসদ পদ যায় মহুয়ার। মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুবাই-কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে উপহার ও টাকা নিয়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নে তিনি আদানির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। সাংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দর্শনকে মহুয়া দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের। একই অভিযোগ করেছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share