Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ram Mandir: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেও আখ্যায়িত করলেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    সোমবার, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। এদিন মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন ভগবান রাম। এই অনুষ্ঠানে যজমানের ভূমিকা পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে তাঁকে শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির চিঠির জবাব দিতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অযোধ্যা ধামে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবে শুভকামনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নের যাত্রাকে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।”

    কী লিখেছিলেন রাষ্ট্রপতি?

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা রাষ্ট্রপতির চিঠিতে ছিল ব্রতচারণে মোদির অটুট নিষ্ঠার ভূয়সী প্রশাংসার কথা। রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, “আপনি ১১ দিন ধরে যা ব্রত পালন (Ram Mandir) করেছেন, তা শুধু পবিত্র আচারই নয়, ভগবান শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করাও।” মহাত্মা গান্ধীর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, “গান্ধীজিও ভাগবান রামের বড় ভক্ত ছিলেন। অযোধ্যার মহোৎসব ভারতের চিরন্তন আত্মার বহিঃপ্রকাশ।”

    তিনি লিখেছেন, “আপনি ভগবান রামের জন্মভূমিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে নবনির্মিত মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। আমি মনে করতে পারি কীভাবে ধাপে ধাপে আজ আপনি পবিত্রভূমে পৌঁছচ্ছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমাদের জাতির এই পুনরুত্থানের সাক্ষী হতে পারায় আমরা খুব ভাগ্যবান।”

    আরও পড়ুুন: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে শুরু হয়েছে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। আচার পালন শুরু হয়েছে ১৬ তারিখ থেকে। এদিন হবে মূল পর্বের অনুষ্ঠান। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি শুরু হবে এদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। তার আগে থেকেই চলছে পুজোআচ্চা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (Ram Mandir) উপস্থিত থাকার কথা হাজার তিনেক ভিভিআইপির। তাঁদের নিরাপত্তায় সতর্ক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Shankaracharya: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    Shankaracharya: “মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের”, বললেন শঙ্করাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা বেড়েছে হিন্দুদের।” রবিবার কথাগুলি বললেন শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নন, বরং তাঁর একজন ভক্ত, তাও জানিয়ে দেন এই শঙ্করাচার্য। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত যত জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁর মধ্যে একমাত্র মোদিই হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

    কী বলছেন শঙ্করাচার্য

    অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, “সত্যটা হল এই যে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মমর্যাদা জাগরিত হয়েছে হিন্দুদের। এটা ছোটখাট কোনও একটি বিষয় নয়। আমরা সব সময় বলেছি, আমার মোদির বিরুদ্ধে নই, বরং তাঁর ভক্ত।” তিনি (Shankaracharya) বলেন, “আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি কারণ, স্বাধীনতার পর থেকে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এত সাহস দেখাননি। এর আগে হিন্দুদের পাশে কে দাঁড়িয়েছে? আমরা কারও সমালোচনা করছি না। তবে এটা ঠিক যে তিনিই (মোদি) প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দুদের আবেগকে সমর্থন করেন।”

    ৩৭০ ধারাকেও স্বাগত

    সম্প্রতি রাম মন্দির নিয়ে শঙ্করাচার্যদের বক্তব্যকে বিকৃত করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, “আপনারা, যাঁরা সংবাদমাধ্যম, তাঁদের একমাত্র কাজই হল আমাদের মোদি-বিরোধী বলে প্রতিপন্ন করা। আমায় বলুন, যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছিলেন, তখন আমরা তাকে স্বাগত জানাইনি? আমরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকেও স্বাগত জানিয়েছি। প্রকাশ্যে তাঁর প্রশংসা করেছি। আমরা তাঁর কাজে খুশি হয়েছি। হিন্দুদের বিশ্বাস বিকশিত হতে সাহায্য করছেন তিনি। মোদির কাজকর্মের অভিমুখ সেই দিকেই।”

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    ২২ জানুয়ারি সোমবার অযোধ্যায় শুরু হয়েছে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। এদিনই শুভক্ষণে গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার প্রস্তরমূর্তির। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই এই অনুষ্ঠানের যজমান। সেজন্য গত ১১ দিন ধরে কঠোর সংযম পালন করছেন তিনি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের নেতৃত্বে একটি দল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক আমন্ত্রিত অতিথি (Shankaracharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ram Mandir: রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান তারকাদেরও, কে কত দিলেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান তারকাদেরও, কে কত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই হতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আজ সোমবারই রামলালার (Ram Mandir) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যায়। হাজির থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলিউডের তারকা থেকে শিল্পপতিরা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’-এর যত এগিয়ে আসছে, ততই দেশজুড়ে বাড়ছে উন্মাদনা।

    ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪ বছরের মাথায় উদ্বোধন হচ্ছে মন্দির। জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণে (Ram Mandir) খরচ হয়েছে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। রামমন্দির তৈরিতে বিপুল আর্থিক অনুদান দিয়েছেন সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষজন। অক্ষয় কুমার থেকে অনুপম খের, হেমা মালিনী আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

    কোন তারকা দিয়েছিলেন কত? দেখে নেওয়া যাক—

    অক্ষয় কুমার

    দিন কয়েক আগেই গত ১৭ জানুয়ারি অক্ষয় কুমার সকলকে অনুরোধ করেছিলেন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নির্মাণে অনুদান দেওয়ার জন্য। সেসময়ই তিনি নিজের অনুদান দেওয়ার বিষয়টিও জানান। কিন্তু টাকার পরিমাণ কোনওভাবেই সামনে আনেন নি তিনি। শোনা যায়, কোটিতে দান করেছেন অক্ষয় কুমার।

    অনুপম খের

    রাম মন্দিরের নির্মাণে ইটের জন্য পয়সা দিয়েছেন অনুপম খের। সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি এক ভিডিও বার্তায় (Ram Mandir)। তাঁর অনুদানের প্রতিটি ইটের উপর ‘রাম’ লেখা।

    প্রণিতা সুভাষ

    কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি ছবির অতিপরিচিত মুখ প্রণিতা সুভাষও অনুদান করেছেন রামমন্দির নির্মাণে। জানা গিয়েছে তিনি দিয়েছেন ১ লক্ষ টাকা।

    গৌতম গম্ভীর

    বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের অনুদানের পরিমাণ এক কোটি টাকা।

    মুকেশ খান্না

    ‘শক্তিমান’ও অনুদান করেছেন মন্দির নির্মাণে। তিনি দিয়েছেন এক লক্ষ ১১ হাজার টাকা। নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন একথা।

    পবন কল্যাণ

    দক্ষিণী অভিনেতা পবন কল্যাণও রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণে অর্থ সাহায্য করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পবন দিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

    হেমা মালিনী

    বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীও অনুদান করেছেন মন্দির নির্মাণে। যদিও অর্থের পরিমাণ সকলের সামনে আনতে চাননি তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই অযোধ্যা পৌঁছন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। রামনগরীতে (Ram Mandir) পা রেখেই মোহন ভাগবত জানান, অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ভারতবর্ষের ‘পুনর্নির্মাণ’ অভিযানের সূচনা হতে চলেছে। এর পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘দ্বন্দ্ব এবং তিক্ততা’-র অবসান হওয়া উচিত।

    গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ভিত্তিতে নির্মাণ হয়েছে রাম মন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সমাজমাধ্যমের পাতায় মোহন ভাগবত লেখেন, ‘‘গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ। যে বিতর্ক, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল, তা এখন শেষ হওয়া উচিত। সেই নিয়ে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা-ও শেষ হওয়া উচিত। সমাজের আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এ বার দেখা উচিত, যাতে ওই বিতর্ক নির্মূল হয়।’’

    রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’

    প্রসঙ্গত, ৫০০ বছরের লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)। মন্দিরের নির্মাণকে ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’ বলে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত। তিনি লিখেছেন, ‘‘রাম জন্মভূমিতে রামলালার প্রবেশ এবং তার প্রাণপ্রতিষ্ঠা আদতে ভারতবর্ষের পুনর্নির্মাণ অভিযানের সূচনা, বৈরিতা ছাড়া সকলকে গ্রহণ, সম্প্রীতি, ঐক্য, উন্নয়ন, শান্তির পথ দেখানোর সূচনা।’’ মোহন ভাগবতের কথায় উঠে এসেছে বিদেশি আক্রমণকারীদের প্রসঙ্গও। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিদেশি আক্রমণকারীরা ভারতে মন্দির ধ্বংস করেছে। এক বার নয়, বার বার। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সমাজকে মনোবলহীন করে তোলা, যাতে ওরা দীর্ঘ সময় বাধাহীন ভাবে ভারতে রাজত্ব করতে পারে।’’

    ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি

    প্রসঙ্গত, ১৫২৮ সালে রাম মন্দির (Ram Mandir) ধ্বংস করে সেই স্থানে বাবরি মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। একথাও উল্লেখ পেয়েছে মোহন ভাগবতের লেখায়। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বিদেশি আক্রমণকারীদের কৌশল খাটেনি বলেই মনে করেন মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি। প্রতিহত করার লড়াই এখানে ক্রমাগত চলেছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই কারণেই বার বার জন্মভূমি (রাম)-র দখল নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে। তার জন্য অনেক যুদ্ধ, লড়াই, আত্মত্যাগও হয়েছে। রাম জন্মভূমি ইস্যু ভারতবাসীর মর্মে প্রবেশ করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে মন্দিরকে ঘিরে বহু বিতর্ক হয়েছে, যে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করতে গিয়ে দিতে হয়েছে আত্মবলিদান, সেই মন্দিরই হাল ফেরাবে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতির। অন্তত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট থেকে তা-ই জানা গিয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির এবং অন্যান্য পর্যটনস্থলগুলি থেকে রাজস্ব আয় হতে পারে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    রবিবার এসবিআইয়ের তরফে প্রকাশ করা হয় রিপোর্টটি। সেখানে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রের পিলগ্রিমেজ রিজুভেনেশন অ্যান্ড স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অগমেন্টেশন ড্রাইভ প্রকল্পে আদতে লাভবান হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশই। এ রাজ্যের বাজেট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব জমা হবে ২.৫ লাখ কোটি টাকা। এর সঙ্গে পর্যটন বাবদ আয় ধরলে টাকার অঙ্কটা হবে স্ফীতকায়। যা আদতে শক্ত করবে রাজ্যের অর্থনীতির ভিত।

    বাড়বে পর্যটক

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩-এ উত্তরপ্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের পদক্ষেপের ফলে আমরা আশা করছি, উত্তরপ্রদেশে পর্যটকরা যা ব্যয় করবেন, তার পরিমাণ চলতি বছরের শেষে পেরিয়ে যাবে ৪ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। রিপোর্ট (Ram Mandir) থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে দেশের পর্যটকদের কাছ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের রোজগার হয়েছিল ২.২ লাখ কোটি টাকা। ওই বছর যোগী রাজ্যে বেড়াতে আসা ভিনদেশিদের থেকে সরকার আয় করেছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ওই বছর অযোধ্যা দর্শনে এসেছিলেন ২.২১ কোটি পর্যটক।

    আরও পড়ুুন: ৮ লক্ষ প্রদীপশিখায় রামের ছবি, তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিস্মিত ভাটপাড়া

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে যে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই কারণেই রাম জন্মভূমিতে তৈরি হয়েছে আস্ত একটি বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকেও। সরকারের আশা, রাম মন্দির দর্শনের পর রামের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলি দর্শন করবেন পর্যটকরা। কেবল তাই নয়, রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাও। নেপালে রামের শ্বশুরবাড়ি। আর লঙ্কায় রাবণ-বধ করেছিলেন ভগবান। এই তিন দেশের সহযোগিতায় যদি একটি ট্যুরিস্ট ম্যাপ তৈরি করা যায়, তাহলে পর্যটকের আনাগোনা আরও বাড়বে বলেই আশা সংশ্লিষ্টমহলের (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতির হাল। তাতে সব চেয়ে বেশি অবদান যাঁদের, তারা ভারতীয় অভিবাসী। এই ভারতীয়দের জন্যই যে বদলাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চিত্র, সেকথা মনে করিয়ে দিলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ উগান্ডা। রাজধানী কাম্পালা। এখানেই এবার হচ্ছে নন অ্যালায়েড মুভমেন্টের ১৯তম সামিট (NAM Summit)।

    প্রেসিডেন্টের স্বীকারোক্তি

    এই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করে নেন ভারতীয় অভিবাসীদের অবদান। প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিলাম ভারতীয় অভিবাসীরা আমাদের দেশে কতগুলো কল-কারাখানা বানিয়েছেন। তারা আমায় বলল, তাঁরা (ভারতীয় অভিবাসীরা) ফিরে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কল-কারখানা স্থাপন করেছেন।” ভারতীয় অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়ানো যে ঠিক হয়নি, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। উগান্ডা থেকে এশিয়ান, বিশেষত ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো হয়েছিল ইদি আমিনের শাসনকালে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে মুসেভানি বলেন, “সরকার কাজটি (ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো) ভুল করেছিল।”

    কী বললেন মুসেভেনি?

    উগান্ডার প্রেসিডেন্ট বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টের (NAM Summit) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কখনও কখনও ভুল করেছিল। এই যেমন উগান্ডায় করেছিল।” প্রসঙ্গত, আমিনের শাসনকালে ভারত-উগান্ডা সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। যার জেরে এক সময় উগান্ডার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ভারত। আমিনের সিদ্ধান্তের প্রভাব যে উগান্ডার অর্থনীতিতে পড়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টে আপনাদের একজন নেতা ছিলেন, যিনি দেশীয় অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছিলেন। যাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছিল, চিনি, হোটেল এবং ইস্পাত উৎপাদন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান কম নয়।”

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মুসেভেনি বলেন, “আমাদের (নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট) দেশগুলিতে বিনিয়োগের পরিবেশ খতিয়ে দেখা হয়। আমরা এই সব লোকদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে সরকারে ফেরে আমার দল। তারপর ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। আমরা আমাদের এশিয়ান নাগরিক বা অ-নাগরিকদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। অথচ এঁদেরই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইডি আমিন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনেছি। এনিয়ে পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছিল। কেউ বলছিলেন, কাজটি ঠিক হবে না। আমরা বলছিলাম, না, তাঁদের অবশ্যই সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। সেই মতো সম্পত্তি ফেরতও দেওয়া হয়েছে।” নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট (NAM Summit) প্রতিষ্ঠায় ভারতের অবদানও স্বীকার করেছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ramlala: রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় থাকবেন মোট ১৫ যজমান, নাম ঘোষণা ট্রাস্টের

    Ramlala: রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় থাকবেন মোট ১৫ যজমান, নাম ঘোষণা ট্রাস্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫টি দম্পতি রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যজমানের ভূমিকা পালন করবে। ভারতের নানা প্রান্ত থেকে এই যজমানরা এসেছেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। এমনটাই জানানো হয়েছে ট্রাস্টের তরফে।

    যজমান হিসাবে দলিত ও আদিবাসী রয়েছেন (Ramlala)

    আজ, ২২ জানুয়ারি মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। ৫০০ বছরের দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রভু রামলালার মন্দিরের পুনর্নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হতে চলেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশ থেকে ১৫টি দম্পতিকে চয়ন করা হয়েছে।  এই ১৫ যজমানকে শাস্ত্রমতে বিধিবিধান, নিমায়চার, শুদ্ধাচার, পূজাচার ইত্যাদি পালনের মধ্যে দিয়ে মন্দিরের পুজোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই যজমানদের মধ্যে সমাজের নানা বর্গের মানুষকে স্থান দেওয়া হয়েছে। যজমানদের মধ্যে রয়েছেন দলিত, আদিবাসী, ওবিসি এবং অন্যান্য শ্রেণিভুক্তরা।

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় প্রধান যজমানের ভূমিকায় থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় গর্ভগৃহে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন রাও ভাগবত, ট্রাস্টের সভাপতি নিত্য গোপাল দাস, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে, বাইরে পূজাচার ও ধর্মীয় রীতি ও যজ্ঞের জায়গায় থাকবেন বাকি ১৪ যজমান।

    কোন কোন জায়গা থেকে যজমানরা রয়েছেন?

    শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে বাকি ১৪ জন যজমানের নামা ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যকেই মন্দিরের রামলালার (Ramlala) প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে বৈদিক নিয়ম এবং শাস্ত্রানুসারে বিধিবিধান পালন করছেন। তাঁদের মধ্যে হলেন আরএসএস অনুমোদিত সংগঠন বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের সভাপতি রামচন্দ্র খাঙ্গারে। তিনি মূলত রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা। তিন যজমান বারাণসী থেকে এসেছেন। তাঁরা হলেন— আনিল চৌধুরি, কৈলাশ যাদব এবং কাবেন্দ্র কুমার সিং। আর বাকি যজমানের নাম হল, রাম কুই জেমি, জয়পুরের সর্দার গুরু চরণ সিং, হরিদ্বারের রবিদাস সমাজের কৃষ্ণ মোহন, মুলতানি থেকে রমেশ জৈন, তামিলনাড়ুর আদলারাসন, মুম্বই থেকে ভিত্তলরাও কামলে, লাতুর থেকে মহাদেব রাও গায়কোয়োড়, কর্নাটকের কুলবর্গী থেকে লিঙ্গরাজ বাসবরাজ আপ্পা, লখনউ থেকে দিলীপ বাল্মীকি এবং হরিয়ানা থেকে অরুণ চৌধুরি। তবে প্রধান যজমানের ভূমিকা পালন করবেন আরএসএস নেতা অনিল মিশ্র এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পুরুষোত্তম। তিনি (Ram Temple) অবতার। দুষ্ট দমন করে শিষ্ট পালন করতেই তিনি ধারণ করেছিলেন পার্থিব দেহ। যে শরীর ধারণ করলে কষ্ট পায় জীব, সেই পঞ্চভৌতিক শরীর ধারণ করে দুঃখ-কষ্ট-বিরহ-দহনজ্বালা তিনি সয়েছেন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো।

    ভগবান রাম

    ভারতভূমে প্রতিষ্ঠা করেছেন রামরাজ্য। তাই তিনি হয়েছেন মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই চরিত্রের পায়েই প্রণতি স্বীকার করেন আসমুদ্রহিমাচলবাসী। আবার নিছকই মহাকাব্যীয় কল্প-চরিত্র বলে গল্পকথা রটিয়ে দেয় অর্বাচিনের দল। এহেন মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত একটি মন্দির। বানর সেনার সেতু বন্ধনের মতো যে মন্দির তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন তামাম ভারতবাসী। যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি, সোমবার প্রতিষ্ঠিত হবে তাঁর বালকরূপের প্রতিমূর্তি। রচনা হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক মানুষ। তাঁরা সবাই (Ram Temple) যে ভক্ত, তা নন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে রাম মর্যাদা পুরুষোত্তম।

    পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য ‘মহাভারত’

    এহেন অবতার পুরুষোত্তমের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে ‘মহাভারত’। অযোধ্যায় তিনি প্রকাশিত হন সেই কোন ইতিহাসের কালে। তারপর তাঁর দৃপ্ত পদচারণা অখণ্ড ভারতে। যে ভারতভূম ছিল তাঁর এক সময়ের লীলাভূমি, সেখানেই তিনি ছিলেন নিজ ভূমে পরদেশির মতো। তারপর সরযূ নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোত। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আক্ষরিক অর্থেই এবার রাজপ্রাসাদে ঠাঁই পেতে চলেছেন ভগবান রাম।

    অযোধ্যা

    তাঁর শৈশবের লীলাভূমি অযোধ্যা (Ram Temple) এখন ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই অযোধ্যায়ই কেটেছিল তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোর। পরে বিয়ে হয় তাঁর। সীতাকে বিয়ে করতে তিনি গিয়েছিলেন নেপালের জনকপুরে। পরে পিতা দশরথের প্রতিজ্ঞা পালনে তিনি হন বনবাসী। তাঁর সঙ্গ নেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণ। এর পর লঙ্কার রাবণ কর্তৃক অপহৃত হন সীতা।

    অশোকবন

    একদা রাজনন্দিনীর ঠাঁই হয় রাবণের অশোক বনে। বানর সেনার সহায়তায় সেখানে গিয়ে সীতাকে উদ্ধার করেন রাম। এজন্য তুমুল যুদ্ধ হয় লঙ্কায়। যে যুদ্ধে হত হন রাবণ। আসুরিক শক্তি অবনত হয় পুরুষোত্তম রামের পায়ে। সীতা এলিয়ার গ্রামের এই অশোক বনে রয়েছে সীতা আম্মার মন্দির।

    চিত্রকূট-পঞ্চবটী

    রামের (Ram Temple) পদধূলিতে ধন্য হয়েছে মধ্যপ্রদেশও। এখানে চিত্রকূট পাহাড়ের কাছে নদী তীরে লক্ষ্মণ তৈরি করেছিলেন কুটির। এখানেই রামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ভাই ভরতের। এখান থেকেই রামের পাদুকা নিয়ে ভারত ফিরে যান অযোধ্যায়। নাসিকের পঞ্চবটী বনে রাম-সীতার বসবাসের জন্য কুটির তৈরি করেছিলেন লক্ষ্মণ। এখান থেকেই অপহৃত হন সীতা। অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষীও ধন্য হয়েছে রামের পদধূলিতে। এখানেই সীতা চুরির ঘটনার কথা রাম জানতে পারেন ভক্ত জটায়ূর কাছে। এখানেই ডানা কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন জটায়ূ। এখানেই শাপোদ্ধার হয় শবরীর, রামের অপেক্ষায় এক যুগ ধরে পাথর হয়ে পড়েছিলেন যিনি।

    আরও পড়ুুন: গোধরা গণহত্যায় হত ৫৮ করসেবকের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ অযোধ্যায়

    রামেশ্বরম

    তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম এবং ধনুষ্কোটিও রয়েছে রামের লীলাভূমির তালিকায়। ভক্ত হনুমান যখন সীতাকে অশোক বনে খুঁজে পেলেন, তখন রাম এই জায়গাটিতে একটি ধনুক পুঁতে রাখেন। সীতা উদ্ধারে লঙ্কায় যেতে বানর সেনার সাহায্যে এখানেই হয়েছিল সেতুবন্ধন। রাবণকে পরাস্ত করে দিভিরুমপোলা এলাকা থেকেই সীতাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যার দিকে রওনা দেন রাম। শ্রীঙ্গভেরপুরে গঙ্গা পার হন রাম-লক্ষ্মণ-সীতা। গঙ্গা পেরিয়ে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা পৌঁছান প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এখানেই ভরদ্বাজ ঋষির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রামের। পরে ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাম চলে যান চিত্রকূট পর্বতের দিকে। রামটেক এখানে ঋষি অগস্ত্যর কাছে ব্রহ্মাস্ত্রের বিষয়ে জানেন রাম।

    দণ্ডকারণ্য

    সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্যে। আশীর্বাদ নেন অত্রি ঋষির। তাঁর স্ত্রী অনসূয়া সীতার হাতে তুলে দেন তাঁর হারানো গয়নার কয়েকটি। দণ্ডকারণ্যের পর তাঁরা যান কর্নাটকের কিষ্কিন্ধ্যায়। এখানেই রাম-লক্ষ্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বালি ও সুগ্রীবের। কিষ্কিন্ধ্যার হৃত সাম্রাজ্য ফেরত পেতে সুগ্রীবকে সাহায্যও করেছিলেন রাম। লঙ্কায় যাওয়ার যে সেতু তৈরি করা হয়েছিল, সেই সেতু রাম সেতু নামে পরিচিত। ভান্ডারদারা, তুলজাপুর, সুরিবানা, কোপ্পালের ধুলোয়ও রয়েছে মর্যাদা পুরুষোত্তমের পদচিহ্ন। তিরুচিরাপল্লি, রামপদ এবং রামনাথপূরম ধন্য হয়েছে তাঁর পদধূলিতে।  সুভেলায় সেনাদের একত্রিত করেছিলেন রাম।

    আলাইমান্নার

    শ্রীলঙ্কায় রয়েছে আলাইমান্নার সমুদ্র সৈকত। এখানেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল রাম-রাবণের। ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে এই জায়গায়ই দশানন বধ করেন রাম। দুষ্ট দমন শেষে শিষ্ট পালন করতে পুরুষোত্তম অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন রামরাজ্য। সোমবার তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোরের সেই লীলাভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত (Ram Temple) হবেন রামলালা। আবারও প্রতিষ্ঠা হবে রামরাজ্য। যে রাজ্যে সুখে কাল কাটাবেন ভারতবাসী। মন দেবেন রাম-নাম জপে। অস্ফুটে বলবেন, ‘মন জপ নাম…’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ‘ওড়িশার অযোধ্যা’য়ও চলছে উৎসব, কেন জানেন?

    Ayodhya Ram Temple: প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে ঘিরে ‘ওড়িশার অযোধ্যা’য়ও চলছে উৎসব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন। এদিন ওড়িশার অযোধ্যা গ্রামেও হবে উৎসব। রামনগরী অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) যেমন সাজো সাজো রব, ঠিক তেমনই ওড়িশার অযোধ্যা গ্রামে চলছে বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। উত্তরপ্রদেশে রামলালার মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে নগরপরিক্রমা, গর্ভগৃহের বেদিতে রাম লালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা, বৈদিক মন্ত্রপাঠ, শাস্ত্রমতে পূজাচার, যজ্ঞ, সরযূ নদীর জলে গর্ভগৃহ ধোয়ার কাজ, আরও কত কী! ওড়িশার অযোধ্যায়ও মানুষ পালন করছেন উৎসব। ভগবান রামের পদধূলি ধন্য এই গ্রামটি বালেশ্বর জেলার নীলগিরি ব্লকে অবস্থিত।

    ওড়িশার এই অযোধ্যা রামের স্মৃতিধন্য (Ayodhya Ram Temple)

    ওড়িশার অখ্যাত এই গ্রামে কেন আয়োজন উৎসবের? জানা গিয়েছে, ওড়িশার এই গ্রামে একবার এসেছিলেন রামচন্দ্র। স্থানীয়দের বিশ্বাস, স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে পূর্ণব্রহ্ম রাম যখন ১৪ বছরের জন্য বনবাসে গিয়েছিলেন, সেই পর্বে এই গ্রামেও এসেছিলেন তিনি। তাই গ্রামের নাম হয়েছে রামের জন্মভূমির নামে। অন্য একটি মতে, ভগবান রাম ১৪ বছরের বনবাস-পর্ব শেষে যখন অযোধ্যায় ফিরছিলেন, তখন আনন্দে উৎসব পালন করেন এই গ্রামের বাসিন্দারাও। সেই থেকে এই গ্রামের নাম হয় ‘অযোধ্যা’। এই গ্রামে রয়েছে প্রচুর পুরাতন মন্দির। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রচেষ্টায় ৪০টিরও বেশি প্রাচীন দেবদেবীর মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে এই গ্রাম থেকে। সেই প্রাচীন মূর্তিগুলো গ্রামের একটি জাদুঘরে রাখা হয়েছে। গ্রামটি অতি প্রাচীন, অনেক ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। তাই উত্তরপ্রদেশের রামনগরীর (Ayodhya Ram Temple) পাশাপাশি উৎসবে মেতেছেন ওড়িশার এই তল্লাটের মানুষরাও। 

    গ্রামবাসীর বক্তব্য

    অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা বটকৃষ্ণ খুন্তিয়া বলেন, “নীলগিরি ব্লকের বাসিন্দারাই এই গ্রামের নাম অযোধ্যা রেখেছেন। ১৪ বছরের নির্বাসন-পর্বে ভগবান রামচন্দ্র বালেশ্বর জেলার রেমুনায় সপ্তসারা নদীর কাছে একটি স্থান পরিদর্শন করেছিলেন। সেই ঘটনা স্মরণে রাখতেই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে অযোধ্যা।” গ্রামের আর এক বাসিন্দা জীবনকৃষ্ণ শা বলেন, “ভগবান রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনে আমাদের গ্রামে ভজন, কীর্তন এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।” গ্রামের মন্দিরের পুরোহিত সর্বেশ্বর পান্ডা বলেন, “আমরা গর্বিত যে আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের গ্রামের নাম রেখেছেন ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থানের নামে। বালেশ্বরের অযোধ্যা গ্রামের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার (Ayodhya Ram Temple)  একটা গভীর আত্মিক যোগসূত্র রয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে রাম সেতু-খ্যাত ‘আরিচল মুনাই’ পরিদর্শন মোদির

    Narendra Modi: প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে রাম সেতু-খ্যাত ‘আরিচল মুনাই’ পরিদর্শন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) রাম সেতুর উৎপত্তিস্থল তামিলনাড়ুর ধানুষ্কোটিতে আরিচল মুনাই পরিদর্শন করলেন। গত কয়েকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ ভারত সফর করছেন। দর্শন করেছেন ভগবান রামের স্মৃতি বিজড়িত নানা মন্দির এবং জায়গা। শুনেছেন দ্রাবিড় ভাষায় রচিত রামায়ণ কথা। করছেন ভজন-কীর্তন শ্রবণও। গত এগারো দিন ধরে রয়েছেন কঠোর সংযম পালনে। রাত পোহালেই ২২ জানুয়ারি। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। তিনি থাকবেন যজমানের ভূমিকায়। গোটা দেশ এখন মুখরিত রাম নামের জয়গানে। 

    আরিচাল মুনাই

    তামিলনাড়ুতে অবস্থিত এই আরিচাল মুনাই। লোক-বিশ্বাস, ভগবান রাম যে জায়গা থেকে থেকে সেতু নির্মাণ শুরু করেছিলেন, সেই জায়গাটি হল এটি। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) এই জায়গায় পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদিনই গিয়েছিলেন রামেশ্বরমের শ্রীকোথান্দারামা স্বামী মন্দিরে। কোথান্দারাম নামের অর্থ ধনুকের সঙ্গে রাম। এটিও ধনুষ্কোটিতেই অবস্থিত। রামায়ণে আছে, এখানেই রাবণের ভাই বিভীষণ প্রথমবার ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। এই জায়গা থেকেই রামচন্দ্র রাক্ষসরাজ রবাণকে পরাজিত করার সংকল্প নিয়ে ছিলেন। এরপর লঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন।

    দক্ষিণ ভারতের একাদিক মন্দির দর্শন 

    শনিবার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) তিরুচিরাপল্লীর শ্রীরঙ্গনাথস্বামী মন্দির এবং রামেশ্বরমের শ্রী আরুলমিগু রামনাথস্বামী মন্দির পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে বলেছেন, “আরুলমিগু রামানাথস্বামী মন্দিরে গতকালের পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। মন্দিরের প্রতিটি অংশে নিবিড় ভক্তিভাব রয়েছে”। সেই সঙ্গে নাসিকের রামকুন্ড, শ্রী কালারাম মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের পুট্টপার্থীর লেপাক্ষীর বীরভদ্র মন্দির, কেরলের গুরুভায়ুর মন্দির এবং ত্রিপ্রয়ার শ্রী রামস্বামী মন্দির পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় যোগদান করার আগে ১১ দিন ধরে শাস্ত্র নির্দেশিত বিভিন্ন নিয়ম পালন করছেন। এর মধ্যে রয়েছে সংযমরক্ষা, খাদ্যাভ্যাসে বিধিনিষেধ রক্ষা, রাতে মাটিতে কম্বল পেতে শোয়ার মতো কঠোর সংযমও। তিনি একবেলা আহার করছেন। করছেন ফলাহার। পান করছেন ডাবের জল।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share