Tag: Bengali news

Bengali news

  • Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তাঁকে চেনে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তিনি বিশ্বনেতা (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল ‘বাবা’র ভূমিকায়। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সফরে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দির দর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী। পালন করছেন তাঁর বিশেষ ব্রত। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন কেরালার ত্রিশূরের গুরুভায়ুর শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। সেখানেই পুজো দেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি যোগ দেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে কন্যাদানও করতে দেখা যায়।

    কার হয়ে কন্যাদান করলেন মোদি?

    দক্ষিণের সুপারস্টার সুরেশ গোপীর কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, সুরেশ এক জন খ্যাতনামা দক্ষিণী অভিনেতা তো বটেই, সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদও তিনি। একাধিকাবার নিজের পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। এবার নিজের কন্যাদানের গুরু দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতেই তুলে দিলেন সুরেশ। প্রধানমন্ত্রী এদিন বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণামও করেন, ঠিক যেভাবে কোনও কন্যার পিতাকে নিজের মেয়ের বিবাহে দেখা যায়।

    হিন্দু রীতি অনুযায়ী কন্যাদান

    হিন্দু রীতি অনুসারে, কন্যাদানের দায়িত্ব অর্পিত থাকে পিতা বা পিতার অবর্তমানে পিতৃস্থানীয় কারও। পরিবারের জ্যাঠা, কাকা বা মামারাও এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ওই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীকে পিতার ভূমিকায় দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক বিশিষ্টজনই।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ তারিখে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখতে পারেন, তাই ঘোষণা করা হয়েছে অর্ধদিবস ছুটি।

    অর্ধদিবস ছুটি

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সব কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেও রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটি। উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন মদের দোকান বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, অসম এবং হরিয়ানা সরকারও। স্কুল ও সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে গোয়া সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে এদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।

    বার কাউন্সিলের আর্জি

    মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছে বার কাউন্সিল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র রাম মন্দির উদ্বোধনের তাৎপর্য, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর নানা প্রভাবের উল্লেখ করেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে ডিডি নিউজ ও ডিডি ন্যাশনালে। ইউটিউবে দূরদর্শনের চ্যানেলেও লাইভ দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    সোমবারের অনুষ্ঠান নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব গোটা দেশে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার আমন্ত্রিত। এঁদের মধ্যে ভিভিআইপি রয়েছেন তিন হাজার জন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। অতিথিদের থাকার জন্য বুক করা হয়ে গিয়েছে হোটেল। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকে। তৈরি করা হয়েছে নয়া বিমানবন্দরও। যেহেতু ২২ তারিখে ভিভিআইপির ভিড়ে ঠাসা থাকবে অযোধ্যা, তাই আমজনতা দেব দর্শন করতে পারবে তার পরের দিন থেকে। মন্দির কমিটির আশা, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ অযোধ্যায় আসবেন দেব (Ram Mandir) দর্শনে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি বাংলা বলতে চাই। আপনারাও বাংলায় সওয়াল করুন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মঙ্গলবারই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টে কেন বাংলায় মামলার সওয়াল করা হবে না?’  

    ‘আমি বাংলায় বলতে চাই’

    বৃহস্পতিবার এজলাসে ঢুকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলায় বলতে চাই। আমি আশা করব, আপনারাও বাংলায় সওয়াল করবেন। কারণ এজলাসে উপস্থিত অনেক মামলাকারী রয়েছেন, যাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে কারও অসুবিধা থাকলে তিনি ইংরেজিতেই বলতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট উত্তর চাইলে তার উত্তরও দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।” আইনজীবী শীর্ষন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনের সমস্ত বিষয় ইংরেজিতেই হয়ে থাকে। বাংলায় সওয়াল করলে কীভাবে চলবে? সওয়াল পর্ব কী কাজে ব্যবহার করা হবে?

    ‘২১ ফেব্রুয়ারি অর্থহীন হয়ে পড়বে’

    প্রত্যুত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি তা বলিনি। আদালত চত্বরে যাঁরা আসেন, আদালত কক্ষে কী হচ্ছে তাঁরা যাতে তা বুঝতে পারেন, সেকথা ভেবেই সওয়ালটা বাংলায় করা হোক। কারও বাংলায় সমস্যা থাকলে ইংরেজিতে বলতে পারবেন। আমি বাংলায় বলতে চাই। অন্য দিনও বাংলায় শুনানি করব।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি এখানে অনেকে এসে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কাটছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যেখানে জিভ কাটতে হয়, সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না।” আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ভারতের বিভিন্ন আদালতে সেখানকার মাতৃভাষায় কথোপকথন হয়।”

    আরও পড়ুুন: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    এই সময় বিচারপতি আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, “এই শুরুটা আপনি করুন। ভাষার প্রতি সংবেদনশীলতা থাকা প্রয়োজন।” এই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলা নিয়ে কেউ আমার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার উত্তর দেব।” এর পরেই বাংলায় কোর্ট অফিসারকে বিচারপতি বলেন, “তালিকায় থাকা পরের মামলাটি ডাকা হোক।” দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আদালতের গা থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের গন্ধ মোছার ‘ভগীরথ’ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Howrah: সাঁতরাগাছির ঝিলে ব্যাপক দূষণ! পরিযায়ী পাখি গণনায় অশনি সংকেত!

    Howrah: সাঁতরাগাছির ঝিলে ব্যাপক দূষণ! পরিযায়ী পাখি গণনায় অশনি সংকেত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝিলের জলদূষণ, ক্রমাগত মাথা তুলতে থাকা বহুতল আর জলে কচুরিপানা বেড়ে যাওয়া  মূলত এইসব কারণেই এক ধাক্কায় প্রায় দু’হাজার কম পাখি এবছর হাওড়ার সাঁতরাগাছির (Howrah) ঝিলে এসেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। এছাড়াও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও প্রশাসনিক উদাসীনতা রয়েছেই। ট্রান্স-হিমালয়ান বিদশী পাখিদের মধ্যে শুধুমাত্র গ্যাডওয়াল এসেছে, তাও গননার দিন গত শনিবার ৪টি পাখি পাওয়া গেলেও পরবিন মাত্র তিনটির দেখা মিলল।

    ২০১৪ সালে পাখি ছিল ৭ হাজার (Howrah)

    ২০১৪ সালে যেখানে সওয়া সাত হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি এই ঝিলে এসেছিল, সেখানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ক্রমাগত কমতে কমতে এখন সাড়ে চার হাজারে ঠেকেছে। প্রকৃতি সংসদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, “এভাবে পাখি আসা কমতে থাকলে বছর তিনেক পরে সাঁতরাগাছির (Howrah) ঝিলে আদৌ পরিযায়ী পাখি আসবে কিনা সন্দেহ। এজন্য তিনি আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার পশাপাশি দূষণ ও প্রশাসনিক উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “বছর দশ এর আগে পর্যন্ত অন্তত ৫-৬ টি প্রজাতির একশোর কাছাকাছি বিদেশি ট্রান্স হিমালয়ান পাখি আসতো। গত বছর মাত্র চারটি এসেছিল। বিদেশি পাখির সংখ্যা একেবারে কমে গেছে।”

    কবে থেকে আসে পরিযায়ী পাখি?

    নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানে সাধারণত পরিযায়ী পাখি আসা শুরু হয়। তাদের উপযোগী করে তোলার জন্য ঝিলের (Howrah) মাঝে ‘দ্বীপ’ বানানো হয়। কচুরিপানা সরানো হয়, প্রয়োজনে ওয়াটার-ট্রিটমেন্ট করে জলও কিছুটা শোধনও করা হয়। মোটামুটি ভাবে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পাখি আসা শুরু হয়। শীত যত বাড়ে পাখির আসাও তত বাড়ে। কিন্তু এবার পরিযায়ী পাখি আসার মরসুমে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায়, সেটি তাদের আসার পথে অন্তরায় তৈরি করেছে।

    পাখি দেখতে ভিড় করেন প্রকৃতি প্রেমীরা

    এই ঝিলের (Howrah) পরিযায়ী পাখিরা বেশিরভাগ আসে হিমালয়ের প্রাচীর টপকে অথবা হিমালয় পাদদেশ থেকে। লেসার হুইসলিং ডাক, গাডোয়াল, ফেরুজিনাস পোচার্ড, নর্দান পিনটেল, কমন টিল এবং গার্গানি প্রজাতির হাঁসেরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এখানে আসে। তারা সারাদিন কচুরিপানা ভর্তি ঝিলের জলে খেলে বেড়ায়। দেশ-বিদেশের হরেকরকম পাখির কলতানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আকাশের দিকে চোখ মেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের ওড়া নজরে আসে। আর ৩৩ একর রেলের এই ঝিলে পাখি দেখতে ভিড় করেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পক্ষীপ্রেমীরা। গোটা শীতে হাতে বায়নোকুলার, বুকে ক্যামেরা আবার কারোর হাতে দামি মোবাইল সেট নিয়ে ভিড় করেন প্রকৃতি প্রেমীরা। যে যেমন পারে মনের আনন্দে পাখি দেখেন এবং ছবি তোলেন। সেই সঙ্গে আসে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও।

    ঝিলে পাখি গণনায় অশনি সংকেত

    সম্প্রতি প্রকৃতি সংসদের সদস্যরা ঝিলে (Howrah) পাখি গণনার কাজটি শেষ করেন। তাতেই বিপদের ইঙ্গিত পেয়েছেন। এবছর ঝিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা মাত্র ৪৮১৪। প্রজাতির সংখ্যা  ১৪ রকম। ট্রান্স হিমালয়ান বার্ড অর্থাৎ যারা মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়া এবং উত্তর চীন থেকে আসে তাদের সংখ্যাও মাত্র হাতেগোনা। অথচ গত বছরেও ১৪ ধরনের প্রজাতির মোট ৬৭৪২টি পাখি এসেছিল। তার আগের বছরে ১৩ টি প্রজাতির ৫৬৫১ টি পাখি এসেছিল। আর বছর নয় দশেক আগের যদি হিসাব নেওয়া যায় তাতে দেখা যাচ্ছে ২০ টি প্রজাতির ৭০০০ বেশি পাখি ভিড় করেছিল।

    প্রকৃতি সংসদের বক্তব্য

    প্রকৃতি সংসদের (Howrah) সদস্য এবং প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দা জানিয়েছেন, “যেখান থেকে পাখিরা আসছে সেখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন, খাদ্যাভাব এবং শিকার কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তবে সাঁতরাগাছি ঝিলে এখনই যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে আগামী তিন-চার বছর পরে পাখিরা এখানে না আসতেও পারে।” ঝিল বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিষ্কার করার জন্য যতটা পরিকল্পনা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে না এবং যত টাকা দরকার তাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকৃতি সংসদের সদস্যরা।

    পাখির পরিসংখ্যান কত?

    সাঁতরাগাছির ঝিলে পাখির সংখ্যা কমতে কমতে ২০১৮ সালে তা আটশোয় এসে দাঁড়ায়। পরের বছর তা ২৮৮৯ এবং করোনার সময় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২০২০ সালে তা হয় ৫৬৯৪, পরের বছর ৫৬৫১। ২০২২ সালেও এই ধারা বজায় থাকলেও ২০২৩ সালে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৭৪২। কিন্তু এবছর আবার কমেছে পাখির সংখ্যা। আর এবছর এসেছে ৪৮১৪টি পাখি। প্রকৃতি সংসদ থেকে এই সংখ্যা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে এবছর সবচেয়ে বেশি এসেছে লেজার হুইসলিং ডাক (৪৬৬৮)। এছাড়াও অল্প সংখ্যায় এসেছে গ্যাডওয়াল (৪), সিনামম বিটার্ন (১), ইয়োলে বিটার্ন (২), ব্ল্যাক উইংড স্টিল্ট (২), লিটল করমোর‌্যান্ট (৬), কমন মুরহেন (২৩), হোয়াইট ব্রেস্টেড ওয়াটারহেন (১), ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন (১৩), ক্যাটেল এগ্রেট (৫৮), ব্রোঞ্জ উইংগড জাকানা (৯), বার্ন সোয়ালো (২৩), পার্পল হেরন (১), হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার (৩)। আবহাওয়ার কারণে এবছর অবশ্য সারা পশ্চিমবঙ্গেই পাখির সংখ্যা কমে গেছে।

    গত কয়েক বছরে (Howrah) সাঁতরাগাছি ঝিলে পাখির পরিসংখান হল ২০১৪-(২০ প্রজাতির)-৭৩১৭, ২০১৫-(২০ প্রজাতির)-৭২৯৭, ২০১৬-(১৮ প্রজাতির)-৫৪৭৪, ২০১৭-(১৪ প্রজাতির)-৩১১৮, ২০১৮-(১৪ প্রজাতির)-৮০০, ২০১৯-(১৬ প্রজাতির)-২৮৮৯, ২০২০-(১৬ প্রজাতির)-৫৬৯৪, ২০২১-(১৩ টি প্রজাতির)-৫৬৫১, ২০২২-( ১৩ টি প্রজাতির) -৫৬৫১, ২০২৩- ( ১৪ টি প্রজাতির) -৬৭৪২, ২০২৪ – ( ১৪ টি প্রজাতির) – ৪৮১৪

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে তীব্র শোরগোল। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার ফের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে করা হয়েছে অনিয়ম। এই নিয়োগের অভিযোগের কথা বলে কটাক্ষ করলেন আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অবশ্য পশ্চিম বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বহুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষকের পদগুলি শূন্য রয়েছে। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্যরা।

    কী বলেন অগ্নিমিত্রা পল (Asansol)?

    আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী বলেছেন, “সরকারের নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হচ্ছে না। শিক্ষকদের কাউন্সিলিংয়ের সময় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকছেন। শিক্ষকদের পছন্দের মতো স্কুল বেছে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষক নেতারাই জোর করে তাঁদের পছন্দ করা স্কুলে নিয়োগ করাচ্ছেন।”

    কীভাবে অনিয়ম হচ্ছে?

    আসানসোলের (Asansol) বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থ পাল জানিয়েছেন, “নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী নিয়ম হল শিক্ষকদের সিনিয়রিটি উপর ভিত্তি করে একটা প্রথমে তালিকা করা হয়। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। তারপরে তালিকায় অনুযায়ী শিক্ষকদের লিখিত চিঠি পাঠিয়ে ডাকার কথা থাকে। কিন্তু তা না করে, জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা নিজেদের পছন্দের লোককেই ডেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শেষ করার কাজ করার চেষ্টা করছেন।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য

    জেলা (Asansol) প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, “সরকার নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের কাজ চলছে। না জেনে অনিয়মের অভিযোগ করা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা (Asansol) সভাপতি হিমাদ্রি সরকার বলেন, “বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপির কোনও কাজ নেই তাই এইরকম অনিয়ম বেনিয়মের কথা বলে মিডিয়ার কাছে জনপ্রিয়তা চাইছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদল, ক’টা থেকে শুরু পরীক্ষা?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদল, ক’টা থেকে শুরু পরীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূচি অপরিবর্তিত থাকলেও মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) এবং উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার সময় পরিবর্তিত হল। বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এই পরিবর্তিত সময়ের কথা জানানো হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে পর্ষদ এবং সংসদের বিশেষ বৈঠক হয় এবং তার পরেই পরীক্ষার সময়ের বদলের কথা জানানো হয়। সমানেই পরীক্ষা তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই নতুন সময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। 

    কী বলা হয়েছে সংসদের বিবৃতিতে (Madhyamik Examination)?

    আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। যা চলবে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এখন নতুন বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষার সময় সওয়া ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। একইভাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাধ্যমিকের (Madhyamik Examination) পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। আগে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে কিন্তু এখন পরীক্ষা শুরু হবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। পরীক্ষা শেষ হবে সময় দুপুর ১টায়। তবে সংসদের তরফ থেকে কেন সময় পরিবর্তন করা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

    রুটিনের বদল হচ্ছে না

    পরীক্ষার সময় পরিবর্তিত হলেও সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। বদলাচ্ছে না পরীক্ষার দিন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু এবং তা চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার সূচি বা রুটিনের মধ্যে বিষয় বা দিনের কোনও রকম বদল ঘটছে না। কেবল মাত্র পরীক্ষার সময় বদলের কথা জানানো হয়েছে।

    একই ভাবে মাধ্যমিক (Madhyamik Examination)  শুরু পরীক্ষা হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম দিন হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা৷ পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি হবে ইতিহাস, ৬ ফেব্রুয়ারি হবে ভূগোল, ৮ ফেব্রুয়ারি হবে অঙ্ক, ৯ ফেব্রুয়ারি হবে জীবন বিজ্ঞান, ১০ ফেব্রুয়ারি হবে ভৌত বিজ্ঞান এবং ১২ ফেব্রুয়ারি-ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা।      

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন’’, রাজ্যকে নির্দেশ আনন্দ বোসের

    CV Ananda Bose: ‘‘দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন’’, রাজ্যকে নির্দেশ আনন্দ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে নবান্নকে নির্দেশ দিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। সূত্রের খবর, রাজভবনের পিস রুমে একাধিক অভিযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান না থাকায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

    রাজভবনের নির্দেশ

    রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, রাজভবনের পিস রুমে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তাতে বলা হয়েছে, পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ না হওয়ায় চাকরি পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা। পিএসসি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনও আধিকারিক নেই দীর্ঘদিন। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে আগেই অপসারণ করা হয়েছে পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে। তার পরেও দীর্ঘদিন আর নিয়োগ হয়নি এই পদে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি দফতরে নিয়োগে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

    আরও পড়ুুন: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে থাকে সন্ত্রাসের ঘটনা। তার পরেই রাজভবনে পিস রুম চালু করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জানিয়ে দেন, রাজ্যে কোথাও কেউ আক্রান্ত হলে রাজভবনের পিস রুমে জানাতে পারেন। রাজভবন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই পিস রুমে অভিযোগ জমা পড়েছিল বিস্তর। তার পর থেকে রাজভবনে খোলাই রয়েছে পিস রুম। যে রুমে প্রায়ই জমা পড়ে কোনও না কোনও অভিযোগ। চাকরি না পাওয়ার কারণ জানিয়ে পিস রুমে অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তার পরেই রাজ্য সরকারকে দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দেন আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Pakistan: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    Pakistan: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কাকভোরে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছিল ইরান। চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই তার পাল্টা জবাব দিল পাকিস্তান (Pakistan)। বৃহস্পতিবার আঘাত হানল পাকিস্তান। ইরানে এয়ারস্ট্রাইকের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে দাভোসের ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম ছেড়ে ইসলামাবাদে ফিরে আসেন পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকার।

    ইরানে মিসাইল হানা 

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুনতাজ জাহারা বালোচ বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফর কাটছাঁট করেছেন।” ইরানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তের সিস্টান-বালুচিস্তান প্রদেশে একাধিক মিসাইল হানা হয়েছে। তিন মহিলা ও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃত্যু হয় আরও দুজনের। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৯। পাকিস্তানের (Pakistan) তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইরানে যে আঘাত হানা হয়েছে, তাতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জঙ্গির। নির্দিষ্ট করে জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আজ যে হামলা চালানো হয়েছিল, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের নিজের নিরাপত্তা এবং দেশীয় স্বার্থ। এর সঙ্গে কোনওভাবে আপস করা হবে না। 

    ইরানের কালো তালিকায় জায়েস

    বালুচিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ অল-আদাল। এই ঘাঁটি দুরমুশ করতেই হামলা চালিয়েছিল ইরান। তেহরানের দাবি, ২০১৩ সাল থেকে ইরানে লাগাতার অশান্তি করে যাচ্ছে তারা। ২০১২ সালে গড়ে ওঠে জয়েশ। তার পরে পরেই সুন্নি মুসলমানের উগ্রপন্থীদের এই গোষ্ঠীটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ইরান। তারা ইরানের মধ্যে থাকা সিস্টান ও বালুচিস্তানের স্বাধীনতা চায়। এদিকে, বালোচ লিবারেশন ফ্রন্ট পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশ থেকে স্বাধীনতা চায়। পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়েছে এই সংগঠন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    ইরান-পাকিস্তানের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই তলানিতে। তবে সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্ত পেরিয়ে আঘাত হানার ঘটনা এই প্রথম। ২০১৩ সালে ১৪ জন ইরানীয় গার্ডকে হত্যা করে জয়েশ। তার চার বছর পরে হত্যা করা হয় আরও দশ জনকে। ২০১৮ সালে ইরানের চার পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়। ২০১৯ সালে পাকিস্তান দাবি করে, ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বালুচিস্তানে হত্যা করে ১৪ জনকে। ২০২৩ সালে জয়েশ দাবি করে, ইরানের ১১ জন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এয়ারস্ট্রাইক শুরু হয়েছে দুই মুসলিম রাষ্ট্র ইরান ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে। সব মিলিয়ে ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে এশিয়ার আকাশে যুদ্ধের মেঘ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বছরভর রাজ্য সফর করেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। ছুটে যান এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। এককথায় গোটা রাজ্যকে হাতের তালুর মতো চেনেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক কী রকম। অতীতে বিবিন্ন ভোটের সময়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদন্তে অথবা রাম নবমীকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। তাই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে খোঁজ নিলেন তিনি। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা। ২২ জানুয়ারি কলকাতায় ‘সংহতি মিছিল’-এর ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মিছিলে রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে তাই তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ওই দিন স্থানে স্থানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা। যদিও, শাসক দলের কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে রাম মন্দির, কাটোয়ার করসেবক শোনালেন ১৯৯২ সালের অভিজ্ঞতা

    ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ

    ফলে, একদিকে মমতার মিছিল আবার ওইদিন বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও চলবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনে। সেক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এম আবহে ওইদিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা বৃহস্পতিবারই জানতে চাইলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। চিঠিও দিলেন মুখ্যসচিবকে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে রাজ্যপালও যে সর্বদা চিন্তিত থাকেন এই চিঠিই তার প্রতিফলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে”, কেন বললেন ইসরো প্রধান?

    Artificial Intelligence: “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে”, কেন বললেন ইসরো প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভবিষ্যতে বিভিন্ন জিনিসের উপর শাসন-নিয়ন্ত্রণ থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence)। আপনার ব্যবহার করা প্রত্যেকটি ডিভাইস প্রতিনিয়ত আপনাকে একটু একটু করে শিখে চলেছে।” এই কথাগুলি ইসরো প্রধান এস সোমনাথের। অসমের গুয়াহাটির প্রাগজ্যোতিষপুর বিশ্ববিদ্যাল্যয়ের একটি আলোচনাচক্রে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ইসরো প্রধান (Artificial Intelligence)?

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব নিয়ে কথা বলছিলেন ইসরো প্রধান। তিনি বলেন, “আজকাল আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা এআই-এর কথা বলছি। এই এআই আমাদের চারপাশেই রয়েছে। যে সব মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহার করি তার মধ্যে থাকা সিস্টেম, ডিভাইস, সফটওয়্যার, অ্যাপগুলি অজান্তেই আমাদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নিচ্ছে। যা ব্যবহার করছি সেগুলিই আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, আপনি কে? আপনার পছন্দ কেমন? সব কিছুই কম্পিউটার আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা যতটা নিজেকে জানি না, তার থেকে অনেক বেশি পারিমাণে কম্পিউটার আপনার ওপর নজর রাখছে। এমনকী, বন্ধু-বান্ধবরা যা জানে না তার থেকে অনেক বেশি জানে এই সিস্টেম। আগামী দিনে এমন একটি সময় আসবে যখন দেখা যাবে এই সিস্টেম এআই একাধিক বিষয়ের উপর শাসন চালাবে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আরও উন্নত প্রযুক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে।”

    স্যাটেলাইট তৈরির ভূমিকা নেবে এআই

    গত দুই সপ্তাহ আগেও ইসরো প্রধান জানিয়েছিলেন, মহাকাশ গবেষণায় ৫০টি সার্ভেল্যান্স স্যাটেলাইটের একটি সমূহ তৈরি করা হবে। গোটা গবেষণার কাজ করা হবে এআইকে (Artificial Intelligence) কেন্দ্র করেই। এই স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলি একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। ফলে জিও-ইন্টেলিজেন্সের উপর নানান তথ্য সংগ্রহ করবে। ২০২৩ সাল থেকেই এই অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিজ্ঞানীরা সংশয়ও প্রকাশ করেছেন। আগামী দিনে মানুষের হাতে-কলমে কাজের পরিসর অনেক কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share