Tag: Bengali news

Bengali news

  • Rashid Khan: অত্যন্ত সঙ্কটজনক শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে

    Rashid Khan: অত্যন্ত সঙ্কটজনক শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানের খুবই আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এর ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে গায়ককে। রাখা হয়েছে অক্সিজেনের সাহায্যে। বছরের শেষে কিছুটা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন শিল্পী (Rashid Khan)। কিন্তু নতুন বছর শুরু হতেই আচমকা মঙ্গলবার সকালে তাঁর অবস্থার অনেকটা অবনতি হয়। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শিল্পী। বছরের শেষে যদিও তাঁর স্বাস্থ্যের অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। এই খবর শুনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল তাঁর ভক্ত মহলও। সেসময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছেন গায়ক। এর মধ্যে তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে তাঁকে খাওয়ানোও শুরু হয়। তবে তখনই হাসপাতালের তরফে  শোনা গিয়েছিল, স্ট্রোকের ফলে তাঁর বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও ছিল।

    মাসখানেকের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি রশিদ খান

    মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নামকরা শিল্পী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, অতীতে তাঁর প্রস্টেটে ক্যানসারও হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি বেশ সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই তাঁর মস্তিষ্কে একাধিক বার রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয় তাঁর।  এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পরিবারের তরফে। সেই থেকে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর (Rashid Khan) ভক্তরাও এখন উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যেই ফের স্বাস্থ্যের অবনতির খবর মিলল। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, ‘‘শিল্পীর (Rashid Khan) অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে স্নায়ুচিকিৎসকেরা দেখছেন। মেডিসিন এবং ক্যানসারের চিকিৎসকদের একটি দলও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে সর্বক্ষণ।

    সংক্ষিপ্ত পরিচয়

    উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম আদতে উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। অল্পবয়স থেকেই তিনি সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো তিনি। তাঁর কাকাই প্রথম শিল্পীকে (রশিদ খান) মুম্বই নিয়ে যান। সেখানে গানের তালিম নেন রশিদ খান। জানা যায় পরবর্তীকালে উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নিতে থাকেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Lakshadweep Tourism: লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ-ঝড়, গুগলে সার্চ বৃদ্ধি ৩৪০০ শতাংশ!

     Lakshadweep Tourism: লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ-ঝড়, গুগলে সার্চ বৃদ্ধি ৩৪০০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় আছড়ে পড়েছে  ‘লাক্ষাদ্বীপ ট্যুরিজম’ ও ‘ভিজিট লাক্ষাদ্বীপ’ ঝড়। গত এক সপ্তাহে, ভ্রমণ সংক্রান্ত অনলাইন সার্চে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছে একটাই নাম— লাক্ষাদ্বীপ।

    গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপে (Lakshadweep Tourism) গিয়েছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে। সেইসঙ্গে এই দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে স্নরকেলিং করেছেন। সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক মনোরম ছবি বিনিময় করে পর্যটকদের ছুটি কাটানোর জন্য উৎসাহ দেন তিনি। এরপর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন মলদ্বীপের ৩ মন্ত্রী। অভিযোগ করে বলা হয়, মলদ্বীপের পর্যটন থেকে নজর ঘোরাতে লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনকে প্রচার করছেন মোদি।

    এরপর থেকেই ভারতের বহু পর্যটক মলদ্বীপের ভ্রমণসূচি বাতিল করছেন। বাতিল হয়েছে হাজার-হাজার বিমান টিকিট। বাতিল হয়েছে শয়ে-শয়ে রুমের বুকিং। শুধু সাধারণ পর্যটক নন, ভারতের পর্যটন ব্যবসায় জড়িত একটি ভ্রমণ সংস্থাও মালদ্বীপের ট্যুর বাতিল করেছেন। সমাজিক মাধ্যমে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ এবং ‘লাক্ষাদ্বীপ ট্যুরিজম’ লিখে ব্যাপাক প্রচার চলছে। সেই প্রচারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন বলি তারকা থেকে শুরু করে ভারতের ক্রিকেটাররা। সমাজমাধ্যমে লাক্ষাদ্বীপের ছবি ভাইরাল হতেই সেখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের ঝোঁক হু হু করে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে সার্চ করার আগ্রহও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে।

    কী বলছে মেক মাইট্রিপ (Lakshadweep Tourism)?

    অনলাইনে ট্র্যাভেল এজেন্সি মেক মাইট্রিপ পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, এই লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep Tourism) নিয়ে অনলাইনে সার্চ বেড়ে গিয়েছে ৩৪০০ শতাংশ। সামজিক মাধ্যমে একাধিক ট্রেন্ড এবং হ্যাশট্যাগ চলছে প্রচুর পরিমাণে। মোদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে শুধু ভারতেই নয় এশিয়া, ইউরোপ, অ্যামেরিকা থেকেও বাড়ছে সার্চের পরিমাণ। লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের চাহিদা এখন পর্যটকদের কাছে প্রচুর।

    ৩৬টি ছোট ছোট দ্বীপের সমূহ লাক্ষাদ্বীপ

    লাক্ষা, আমিনদিভি, মনিকয় দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ৩২ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep Tourism)। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে মত ৩৬টি দ্বীপ রয়েছে। লাক্ষা পর্যটন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে এই দ্বীপে বেড়াতে যেতে হয়। বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় হল ভ্রমণ করার আদর্শ সময়। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ ভীষণ ভাবে পর্যটকদের মনকে মুগ্ধ করবে। এখানে ঘুরে দেখার সুন্দর জায়গাগুলি হল-

    আগাত্তি দ্বীপপুঞ্জ

    লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep Tourism) প্রবেশদ্বার হল এই আগাত্তি দ্বীপ। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর লেগুন (নোনা জলের উপহ্রদ) রয়েছে এখানে। এখানে সুইমিং, স্বরকেলিং, কায়াকিংয়ের মতো ওয়াটার স্পোর্টস করার সুযোগ রয়েছে।

    বাঙ্গারাম দ্বীপপুঞ্জ

    আগাত্তি দ্বীপের খুব কাছেই হল বাঙ্গারাম দ্বীপ। এখানে মানুষ বসবাস করে না। ফসফোরেসেন্ট প্লাঙ্কটনের জন্য বাঙ্গারাম দ্বীপ আসেন পর্যটকরা। এই সৈকত রাতে নীলাভ হয়। ডলফিন, অক্টোপাস, ফ্রগফিস দেখা যায়।

    মিনিকয় দ্বীপ

    উত্তর দ্বীপপুঞ্জের ২০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপ। এই দ্বীপ অন্যতম বড় লেগুন। এখানে ১১ গ্রামের ক্লাস্টার রয়েছে। এইগুলিকে আভাহ নামে পরিচিত।

    কালপেনি দ্বীপপুঞ্জ

    স্বচ্ছ এবং নীল জলের জন্য বিখ্যাত এই দ্বীপ। এখানে সুইমিং, স্নরকেরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।

    কাভারাত্তি দ্বীপপুঞ্জ

    এই দ্বীপ পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় জায়গা। স্থানীয় বাজার বেশ দর্শনীয় স্থান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshadweep: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    Lakshadweep: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের বুকে ইতিউতি ছড়িয়ে বেশ কয়েকটি দ্বীপ। সাগরের নীল জলরাশির মধ্যে এখানে ওখানে মাথা তুলে রয়েছে ঘন সবুজ বনানী। জলের নীচে গেলেই ধাঁধিয়ে যায় চোখ। রং-বেরংয়ের প্রবাল প্রাচীরের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। এই হল লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) অপার সৌন্দর্যের নির্যাস।

    শিরোনামে লাক্ষাদ্বীপ

    মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর (অ)সৌজন্যের জেরে বর্তমানে ভারতের যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল খবরের শিরোনামে। এহেন সৌন্দর্যের আধার দখল করে নিচ্ছিল পাকিস্তান। পারেনি। কারণ যে সময় পাক সেনা দখল করার চেষ্টা করেছিল লাক্ষাদ্বীপ, সেই সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। স্বাধীনতার পরে পরে দেশের সর্বত্র পতপত করে উড়ছে তিরঙ্গা পতাকা। দেশের যেসব অঞ্চল রাজা কিংবা রানির শাসনাধীন ছিল, সেই সব রাজা-রানিকে বুঝিয়ে ভারতের অন্তর্ভু্ক্ত করে ফেলেছেন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল, তাই মুসলমান অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপের রাশ যাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের হাতে। কারণ তখনও লাক্ষাদ্বীপ ছেড়ে যায়নি ব্রিটিশরা।

    লৌহমানবের কৌশলে কুপোকাত পাকিস্তান

    এমতাবস্থায় আরব সাগরের বুকে মুসলমান অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপের (Lakshadweep) গুরুত্ব অনুধাবন করে দখল নিতে ছোটে পাক বাহিনী। সে খবর কানে পৌঁছে যায় লৌহমানবের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেন ভারতীয় রণতরী। পাক বাহিনী লাক্ষাদ্বীপে পা রাখার ঢের আগেই সেখানে ইউনিয়ন জ্যাক (ব্রিটেনের পতাকা) নামিয়ে ভারতীয় সেনা তুলে দেয় তিরঙ্গা পতাকা। ভারত লাক্ষাদ্বীপের দখল নিয়েছে শুনে আর এগোনোর সাহস দেখায়নি পাক বাহিনী। লাক্ষাদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত হয় ভারতের মানচিত্রে। যার পুরো ক্রেডিটই বর্তায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাটেলের ওপর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    ৩৬টি দ্বীপের সমাহার লাক্ষাদ্বীপ। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের আয়তন ৩২.৬৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৌশলগত অবস্থানের কারণেই এই দ্বীপপুঞ্জের দখল নেওয়ার স্বপ্নে পাড়ি জমিয়েছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের যে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন ভারত গৌরব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। প্রসঙ্গত, মালাবার উপকূলের কাছেই লাক্ষাদ্বীপ। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপলব্ধি করেছিলেন এই দ্বীপপুঞ্জের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব। তার জেরেই আজও রত্নগর্ভা এই দ্বীপপুঞ্জ (Lakshadweep) জ্বলজ্বল করছে ভারতের মানচিত্রে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    India Maldives row: “ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি”, মলদ্বীপকাণ্ডে জানাল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করি।” মলদ্বীপকাণ্ডে (India Maldives row) এবার জানিয়ে দিল কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত চিন। ভারত বিরোধিতা করার জন্য মলদ্বীপকে চিনের তরফে কোনও উসকানিও দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিল বেজিং।

    ঘটনার নেপথ্যে চিনা উসকানি?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় ব্যাপক হইচই হয় দেশজুড়ে। যেহেতু মলদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত, তাই অনেকের ধারণা চিনের তরফে উসকানি পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এই ঘটনায় (India Maldives row) সোমবার দায় ঝেড়ে ফেলল ড্রাগনের দেশ। কিছুদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল একদলীয় চিনের সরকারি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’। সেই গ্লোবাল টাইমসেই এদিন বলা হয়েছে, আমরা মলদ্বীপকে সমান স্তরের সহযোগী ভাবি এবং তাদের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি।

    চিন সফরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    বর্তমানে চিন সফরে গিয়েছেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের যাতে আর অবনতি না হয়, সেই কারণেই বেজিং ভারতকে বার্তা দিল বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। কারণ, মলদ্বীপে শিক্ষা-সহ নানা ধরনের উন্নতিতে দ্বীপরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-বিরোধী নানা পদক্ষেপ করেছেন মলদ্বীপের চিনপন্থী এই শাসক। এহেন আবহে সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন সমাজমাধ্যমে। সেই ছবি এবং ভিডিও ভাইরালও হয়।

    আরও পড়ুুন: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত কোর কমিটির বৈঠকে

    অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কিছু ছবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘পুতুল’ ও ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় ওই তিন জুনিয়র মন্ত্রীকে। মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করতে থাকেন ভারতীয় পর্যটকরা। চাপে পড়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ মলদ্বীপে ফি বছর যত পর্যটক আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। মুইজ্জুর বিরোধীরা তড়িঘড়ি জানিয়ে দেন, মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্য তাঁদেরই, মলদ্বীপের সাধারণ মানুষের নয়। এমতাবস্থায় মলদ্বীপকাণ্ড নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলল চিনের শি জিনপিং সরকার। জানিয়ে দিল, “ভারত-মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আমরা শ্রদ্ধা করি। ভারতের সঙ্গ ছাড়তে চিন কখনওই বলেনি মলদ্বীপকে (India Maldives row)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্প হিসেবে বার্ধক্য ভাতা চালু রয়েছে। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য চলতি জানুয়ারি মাস থেকে আলাদাভাবে আলাদা বার্ধক্য ভাতা চালুর কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’। যে সমস্ত প্রবীণ ব্যক্তি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি মাসে খরচ হবে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি। এ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, এই কর্মসূচির নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের চুরির টাকা বিলি করছেন। তিনি এ নিয়ে ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের গোয়েন্দা এবং ফৌজদারি বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    আয়কর দফতরে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ হাজার ৩৮০ জন বড় হৃদয়ের স্বেচ্ছাসেবককে পেয়েছেন, যাঁরা প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে সম্মত হয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। প্রসঙ্গত, ১৬ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভার ছিল প্রবীণদের খুঁজে বের করার। ওই চিঠিতে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, কয়লা পাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন ওই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হওয়ার সুবাদে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

    উঠছে প্রশ্ন

    বিভিন্ন মহলের মতে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো প্রকল্পগুলি সরকারি প্রকল্প, এসব বাদ দিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধি কীভাবে মানুষকে টাকা বিলি করতে পারেন। এভাবে টাকা বিল করা যায় না। নির্বাচনের সময়ে টাকা বিলি করাকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের তালিকায় ফেলা হয়। অথচ অভিষেকে বলছেন তাঁর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসেই মিলবে টাকা। এই টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির (ED) দুই কর্তা। জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনার পরে ওই দিনই সন্ধেয় বনগাঁয় গিয়েও প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা।

    ইডির বিবৃতি

    ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দলের সাফাই ছিল, পুলিশকে না জানিয়ে যাওয়ায়ই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইডির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টি ৪৬ মিনিটে ই-মেইল মারফত অভিযানের বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁর পুলিশকে। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়।

    এফআইআরের প্রতিলিপি মেলেনি

    তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়। তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডে ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।

    আরও পড়ুুন: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছে ইডি (ED)। আবার সিআরপিএফের মাধ্যমেও ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। এদিকে, শাহজাহানকে ধরতে নবান্নের ওপর তৈরি হচ্ছে চাপ। শাহজাহানের গতিবিধি জানতে ও তাকে ধরতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। এর (ED) পরেই লাঠিচার্জ করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরকারি কেন্দ্রে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Malda: সরকারি কেন্দ্রে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধলতা নেওয়ার অভিযোগে কৃষকেরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মালদা (Malda) নালাগোলা রাজ্য সড়কের মোটর কালী মোড়ে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি। এই ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে সরব হয়েছেন এলাকার চাষিরা। দিন কতক আগে এই একই অভিযোগে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ি এবং বর্ধমানের চাষিদের। ধানের ওজনে কারচুপি করে, দামে কম দিয়ে কৃষকদের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ (Malda)

    এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্য ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগের কথা তুলে পথ অবরোধ করলেন করলেন কৃষকেরা। এদিন কৃষকেরা বেলা ২টোর সময় ধান বোঝায় ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি ১৫% ভেজা থাকার ফলে তাঁদের কাছ থেকে কেন ধলতা চাওয়া হচ্ছে? কিছুতেই ধলতা দেবেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। ধলতা দেওয়া মানেই হল, ধানের মূল ওজন থেকে অনেকটা পরিমাণ ধানের ওজন বাদ দেওয়া এবং মূল্যও কম দেওয়া। এরপর প্রতিবাদে প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলে সড়কে। খবর পেয়ে লালগোলা (Malda) আউট পোস্টের ওসি সিদ্ধার্থ রায়ের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

    কৃষকদের বক্তব্য

    ধলতার প্রতিবাদে চাষি প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “সকাল ১০ থেকে আমরা ধান নিয়ে আমরা ক্রয় কেন্দ্রে বসে রয়েছি। কিন্তু সরকারি অফিসারার এসেছেন বেলা ২ টোর সময়। অথচ তাঁদের আসার সময় সকাল ১১ টায়। এরপর ধান মাপা হলে মসচার এসেছে ১৫.২  শতাংশ, তাই ধানের ওজন থেকে ৪ কেজি ধালতা হিসাবে বাদ দিয়ে দাম ধরা হচ্ছে। এখন সমস্যা হল যদি এভাবে চলে তাহলে কুইন্টাল প্রতি ওজন ৫ থেকে ৬ কেজি বাদ দেওয়া হবে। তাই এই ভাবে আমাদের ধানের দাম কম দিলে আমরা মানব না। তাই প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে মোটরকালী মোড়ে (Malda) সড়ক অবরোধ করলাম। সরকারি কোনও আধিকারিক আমাদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা করেননি। আমরা স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি ধানে কোনও চুরি মানবো না।” এছাড়াও ফজিরুল ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, “আগেও তো ধান বিক্রি করেছি, কিন্তু তখন ধলতা দিতে হয় নি। এবার আমরা ধলতা দেবো না।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডবল সেঞ্চুরি পার আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জয়ী (Bangladesh Elections 2024) হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল। হাসিনার জয়ে উচ্ছ্বসিত ভারত। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে হাসিনাকে জানান ভার্মা।

    হাসিনা-ভার্মা বৈঠক

    বস্তুত ভার্মাই প্রথম দূত, যিনি হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আওয়ামি লীগ সরকারের নয়া ইনিংসে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভার্মা। দুই দেশই তাদের জাতীয় উন্নয়নে সাহায্য করবে বলেও আলোচনা হয়েছে হাসিনা-ভার্মা বৈঠকে। ভারত যে সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, বৈঠকে তাও জানান ভার্মা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, বাংলাদেশ যাতে স্থায়ী, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সেজন্য সাহায্যের হাত (Bangladesh Elections 2024) বাড়াবে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে ভারত পাশে ছিল, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বন্ধুত্ব, তাও অটুট থাকবে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন ভার্মা।

    বিপুল ভোটে জয়ী হাসিনা 

    রবিবারই হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। যদিও তাতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশের নাগরিকরা। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি বাদে সে দেশের সব রাজনৈতিক দলই। বহু নির্দল প্রার্থীও ছিলেন নির্বাচনী ময়দানে। গোপালগঞ্জ-৩ কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হন আওয়ামি লীগ সুপ্রিমো হাসিনা। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার ৯৬২টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহম্মদ আতিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৯৯৯টি ভোট। প্রধানমন্ত্রীর আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুর মোল্লার ঝুলিতে পড়েছে মোটে ৪২৫টি ভোট।  

    আরও পড়ুুন: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    এনিয়ে হাসিনা সংসদে গেলেন পাঁচ বার। হাসিনার দল জয়ী হয়েছে ২২৩টি আসনে। রবিবার ভোটগ্রহণ শেষেই শুরু হয় গণনা। প্রথম থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন হাসিনার দলের প্রার্থীরা। গণনা শেষে দেখা যায় ২২৩টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে আওয়ামি লীগ। ফল বের হওয়ার ঢের আগেই হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনার ফাঁদে পা দিতে নিষেধ করেন। কোনও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যাতে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা মারপিটে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারেও সর্তক করে দিয়েছিলেন (Bangladesh Elections 2024) হাসিনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিনই আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। হলফনামা দিয়ে এই মামলায় নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা, সেই সঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত গত বছরের জুন মাসের ৮ তারিখে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করার অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক অফিস (Panchayat Vote)। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলে, কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশও যথাযথ পালন না করায় ফের অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। তখনই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন ক্ষমা চাইলেন রাজীব।

    হলফনামায় কী বললেন রাজীব? 

    হলফনামায় রাজীবের বক্তব্য, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য আদালতের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। হাইকোর্টে এদিন রাজীবের হলফনামা গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি মস্করা করেই বলেন, ‘‘হলফনামায় কী দিয়েছেন? কোনও ভাবে আদালত অবমাননা হয়নি? সব কিছু ঠিকঠাক করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন— হলফনামায় এ সবই লিখেছেন তো? দেখি কী রয়েছে?’’ আইনজীবী উত্তরে জানিয়েছেন, কোনও ভুল হয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Panchayat Vote) অন্য পক্ষ রাজীবের হলফনামার প্রেক্ষিতে পাল্টা হলফনামা দিতে চায়। তার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।

    গত ১৩ অক্টোবর আদালত অবমাননার রুল জারি করে আদালত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। রাজীব ক্ষমা চাওয়াতে কার্যত তা বিরোধীদের কাছে নৈতিক জয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) সরাসরি তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি রাজীব। রাজ্যে পঞ্চাশেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তখনও নির্বিকার ছিলেন বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। অবশেষে আজকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share