Tag: Bengali news

Bengali news

  • BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম লিয়াকত মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হরিহরপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক। অসুস্থতার কারণে লিয়কত সাহেবের মৃত্যু হয়। বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন সীমান্তের ওপারে থাকা মেয়ে। সাদা কাপড়ে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। বিএসএফের মানবিক মুখ দেখলেন সকলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BSF)

    বাবার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে থাকা মেয়ের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পাসপোর্ট জটে আটকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে আসতে পারেননি বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। আর দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব ছিল না। বিজিবি- বিএসএফের (BSF) কাছে তাঁর কাতর আবেদন ছিল, যেন একবার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে আসতে চেয়েছিলেন পৈতৃক ভিটেতে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, বাবার মৃতদেহ শেষবার দেখার। লিয়াকত সাহেবের পরিবারের লোকজন হরিহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মধুপুর ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তাদের অনুরোধ করেন, লিয়াকত সাহেবের মেয়েকে যাতে শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে দেওয়া হয়। এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিজিবি-র মাধ্যমে মেয়েকে দু’দেশের জিরো পয়েন্টে আনার কথা বলা হয়। এরপরই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লিয়াকতের মৃতদেহ আনা হয়। ওপার থেকে মেয়েও আসেন। শেষমেশ বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় জিরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ আনা হয়। বাবাকে শেষ দেখার পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধাও জানান মেয়ে।

    বিএসএফ নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের বধূ?

    লিয়াকত সাহেবের মেয়ে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন ছটফট করছিল। কিন্তু, দুদেশের আইনি জটে সীমান্ত পেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু, বিএসএফ (BSF) উদ্যোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারলাম। বিএসএফের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan General Polls: পাক ভোট-ময়দানে ইতিহাস, পিপিপির হয়ে লড়বেন হিন্দু তরুণী চিকিৎসক!  

    Pakistan General Polls: পাক ভোট-ময়দানে ইতিহাস, পিপিপির হয়ে লড়বেন হিন্দু তরুণী চিকিৎসক!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানে (Pakistan General Polls)। এদিনই হবে প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনও। এই সাধারণ নির্বাচনেই অংশ নিচ্ছেন এক হিন্দু মহিলা। খাইবার পাখতুনখাওয়ার বুনের জেলা থেকে প্রার্থী হবেন পেশায় চিকিৎসক শাবিরা পরকাশ। এজন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি।

    হিন্দু তরুণীর মনোনয়ন জমা

    ২৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন শাবিরা। তবে খবরটির গুরুত্ব অন্যত্র। সেটি হল শাবিরাই প্রথম হিন্দু মহিলা যিনি অংশ নিতে চলেছেন পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির টিকিটে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। গত ৩৫ বছর ধরে এই দলের সক্রিয় সদস্য তাঁর বাবা ওম পরকাশ। ওম অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক। খবরটি আম জনতার নজর কেড়েছে অন্য একটি কারণেও। সেটি হল শাবিরাই বুনেরের প্রথম মহিলা যিনি নামছেন নির্বাচনের ময়দানে।

    কী বললেন শাবিরা?

    ২০২২ সালে অ্যাবোটাবাদ ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন শাবিরা। তিনি পিপিপির বুনের মহিলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। মনোনয়নপত্র পেশ (Pakistan General Polls) করে শাবিরা জানান, বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এলাকায় দরিদ্রদের জন্য কাজ করতে চান তিনি। মহিলাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশেরও ব্যবস্থা করতে চান এই মহিলা চিকিৎসক। এলাকায় মহিলাদের কল্যাণেও কাজ করতে চান তিনি। মহিলাদের অধিকার রক্ষার্থেও কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন শাবিরা। তিনি বলেন, “মহিলারা নির্যাতিতা, উপেক্ষিতা, বিশেষত উন্নয়নের ক্ষেত্রে।”

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপি বঙ্গবাসীকে দেবে আয়ুষ্মান ভারত’, বললেন শুভেন্দু

    বুনেরের এই মহিলা চিকিৎসক জানান, বাবার কাছে প্রথম তিনি প্রার্থী হতে চান বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর বাবা কথা বলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। সেখানে ছাড়পত্র মেলায় মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন শাবিরা। তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে অব্যবস্থা, অসহায়তা দেখেছেন। সেসব দূর করতেই নির্বাচনী ময়দানে নামছেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর শাবিরা পাশে পেয়ছেন অনেককেই। এঁদের মধ্যে একজন বুনের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সিয়ার ইমরান নশাদ খান।

    তিনি বলেন, “শাবিরা গতানুগতিক পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বানের পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৫৫ বছর আগে। তার পর থেকে এই প্রথম কোনও মহিলা রাজনীতিতে নামছেন এবং ভোটে লড়ছেন।” প্রসঙ্গত, সাধারণ নির্বাচনে (Pakistan General Polls) পাঁচ শতাংশ মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্প্রতি নিয়ম সংশোধন করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    ULFA Peace Deal: উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের স্বাক্ষর হল ত্রিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম বা উলফা (ইউএলএফএ) সংগঠনের সঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে অসম সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক স্থায়ী শান্তিচুক্তি (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষরিত হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, “এই চুক্তির ফলে উত্তরপূর্ব সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হবে উলফা (ইউএলএফএ)।”

    কী বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ULFA Peace deal)?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে উলফা নেতৃত্বদের আশ্বস্ত করতে চাই। ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির (ULFA Peace Deal) প্রক্রিয়াকে সফল করবার জন্য তাঁদের আহ্বান জানাবো। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। উত্তর-পূর্বের অনেক এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর আইন এএফএসপিএ অপসারণই প্রমাণ করে দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদ বর্তমানে সমাপ্তির পথে।”

    চুক্তি স্বাক্ষরে ২৯ জনের প্রতিনিধি

    সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপূর্ব ভারতের অসমে বিচ্ছিন্নতাবাদের উপর একটি অতি সক্রিয় সংগঠন ছিল উলফা। এদিন উলফার মোট ২৯ জনের একটি প্রতিনিধির দল দিল্লিতে চুক্তি স্বাক্ষর করতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন সংগঠনের সদস্য এবং বাকি ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ছিলেন। এই চুক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ চুক্তি কারণ, এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার বিচ্ছিন্নতাবাদ অসম রাজ্যে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। বিদ্রোহী সংগঠনকে প্রশমন করতেই উলফার সঙ্গে কেন্দ্র ও অসম সরকারের সাথে চুক্তিতে (ULFA Peace Deal) স্বাক্ষর হল। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শুধু আসাম নয়, গোটা উত্তরপূর্বের জন্য এই চুক্তি শান্তির বাতাবরণ তৈরি করবে।

    উলফা ১৯৭৯ সাল থেকেই সক্রিয়

    এই নিষিদ্ধ সংগঠন উলফা, অসমে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে অভ্যন্তরীণ লড়াইকে অব্যহতি দিয়ে অসম রাজ্য সরকারের সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় সম্মত হয়। এরপর থেকে এই উলফা দুই দলে ভাগ হয়ে যায়। একটি দলের নেতা ছিলেন পরেশ বড়ুয়া, অনুপ চেটিয়া। তাঁরা নিজেদের ভাবনায় স্থির থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনার বিপক্ষে মত দেন। অপরদিকে যে দলটি আলোচনা চেয়েছেন, তাঁরা অসমের মূলনিবাসীদের পরিচয় এবং তাঁদের সম্পদের সুরক্ষায় রাজ্যের কাছে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক সংস্কার চেয়ে জমির অধিকার দাবি করেন। কেন্দ্র সরকার এই চুক্তির বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে একটি চুক্তি (ULFA Peace Deal) প্রস্তাবের খসড়া পাঠিয়েছিল। এরপরে গত দুই সপ্তাহ আগে দিল্লিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। ২৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে উলফার প্রতিনিধি দল আসার পর কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক পর্বে আলোচনা হয়েছিল। উত্তরপূর্বে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নাবাদকে প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছরে আসামের বিদ্রোহী বড়ো, ডিমাসা, কার্বি এবং বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূল নেত্রীর গাড়িতে নীলবাতি! চলছে দিব্যি ঘোরাঘুরি, শহরজুড়ে ব্যাপক শোরগোল

    Siliguri: তৃণমূল নেত্রীর গাড়িতে নীলবাতি! চলছে দিব্যি ঘোরাঘুরি, শহরজুড়ে ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের গাড়িতে নীলবাতির আলো জ্বালিয়ে দিব্যি বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এই তৃণমূল নেত্রী হলেন শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। এই গাড়িতে করেই শিলিগুড়িতে নানান বৈঠক করছেন তিনি। কিন্তু এই ভাবে নীল আলো জ্বালিয়ে কি সহকারী সভাধিপতি গাড়ি করে ঘোরাঘুরি করতে পারেন? আর এই নিয়েও ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। অবশ্য মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের বক্তব্য “এই বিষয়ে কিছু জানা নেই।”

    নাম কী এই সহকারী সভাধিপতির (Siliguri)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী সমাজ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিনেত্রী রোমা রেশমি এক্কা। এই মহকুমার বেশীর ভাগ এলাকায় আদিবাসী মানুষের বসবাস। তিনি আঞ্চলিক ভাষার সিনেমায় কাজ করেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দলের টিকিট দিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু এই ভাবে সহকারী সভাধিপতি কীভাবে নীল বাতি গাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন, তাই নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উঠেছে প্রশ্ন। রোমার অবশ্য বক্তব্য, “নীলবাতি লাগালে প্রশাসনিক কাজে ব্যাপক সুবিধা হয়। রাস্তায় যানজট থাকলে জরুরি বৈঠককে যেতে অসুবিধা হয়। ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা লোকজনের চোখে পড়ে না। ফলে নীলবাতি থাকলে সুবিধা হয়।”

    সরকারী নিয়ম কী?

    সরকারী নিয়মে বলা হয়েছে, যাঁরা মূলত আইন শৃঙ্খলার কাজ করেন তাঁদের মধ্যে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি জরুরি বা আপৎকালীন পরিষেবা দিতে এমন গাড়ির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী এমন কোনও পরিধির মধ্যে নেই। কিন্তু তবুও নীলবাতি! বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ শাসক দলের নেতা-নেত্রীরাই সব থেকে বেশি বেআইনি কাজ করে থাকেন। অবশ্য দার্জিলিং (Siliguri) জেলা শাসক প্রীতি গয়াল বলেন, “বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বলব”।

    বিজেপির বক্তব্য

    মহকুমার (Siliguri) বিজেপি কিসান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনিল ঘোষের বক্তব্য,“অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা, ওঁর কোনও ধারণা নেই। কে লালবাতি আর কে নীলবাতি নিয়ে ঘুরতে পারে সেই সম্পর্কে বিন্দু মাত্র বোধ নেই। বিডিও, এসডিও, ডিএমের মতো উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নীলবাতি লাগাতে পারেন। যিনি শুধু জন প্রতিনিধি তাঁর পক্ষে এই বাতি ব্যবহার করা নিয়মের বাইরে। আসলে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা যাতে না শুনতে হয় তাই নীলবাতি লাগিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের নেত্রী।” মহকুমার সভাধিপতি অরুণ ঘোষের বক্তব্য অবশ্য রোমার গাড়িতে এমন বাতি লাগানো আছে কিনা জানা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ার আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থার উদ্যোগে নির্মিত হিন্দু মন্দির উদ্বোধন (Abu Dhabi Temple Inauguration) করার আমন্ত্রণপত্র এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। মন্দির কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এসে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মোদির হাতে দেশে রাম মন্দির এবং বিদেশে হিন্দু মন্দির উদ্বোধনের ঘটনায় দেশজুড়ে খুশির আবহ।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দির

    মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশের শহর আবু ধাবি। সেখানে বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছিল মন্দির নির্মাণের কাজ। এমনকী, ২০১৮ সালে আমিরাশাহি সফরে গিয়ে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিজের হাতে করে এসেছিলেন মোদি (PM Modi in Abu Dhabi) । মন্দির কমিটি সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ (Abu Dhabi Temple Inauguration) করতে এদিন উপস্থিত হন ঈশ্বরচরণ স্বামীজি, গুরুবর্য মহন্ত এবং ব্রহ্মহারী স্বামীজি। আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হবে এই মন্দির। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করে এই প্রতিনিধিদল। আলোচনায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে সাংস্কৃতিক ভাবনা এবং দর্শন চর্চা। এছাড়াও বিষয় ছিল বিশ্বের কাছে সৌহার্দ্য, হিন্দু সমাজের মাহাত্ম্য, বিশ্বের মঞ্চে ভারতের নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়।

    কেমন হবে মন্দির?

    জানা গিয়েছে, এটিই হতে চলেছে আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) প্রথম স্থাপিত হিন্দু মন্দির। শহরের আল বাকবা নামে একটি জায়গায় ২০ হাজার বর্গমিটার জমির মধ্যেই এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্য এবং শিল্পকলায় যেমন আধুনিক চিত্রকলা থাকবে ঠিক একই ভাবে প্রাচীন চিত্রকলার নিদর্শনও থাকবে (Abu Dhabi Temple Inauguration)। মধ্যেপ্রাচ্যে এই মন্দির ভারতের ধর্ম এবং সংস্কৃতির একটি প্রধানকেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বাচনে জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব।” বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Polls) হবে ৭ জানুয়ারি। বুধবার ইস্তাহার প্রকাশ করে শেখ হাসিনার দল। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনা।

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক

    হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা নির্ধারণ ও ছিটমহল বিনিময়ের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে।” বিদেশনীতি প্রসঙ্গে ইস্তাহারে (Bangladesh Polls) বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব ও ন্যায়সঙ্গত জল বণ্টন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

    ‘যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী’

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামি লিগ সরকার সমগ্র অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিকে নির্মূল করতে দক্ষিণ এশিয়া টাস্ক ফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “যুদ্ধ নয়, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা নির্দেশিত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এই নীতিকে ধারণ করে আওয়ামি লিগের সফল বিদেশনীতির কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শক্তিশালী ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত হলে সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে।”

    আরও পড়ুুন: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের

    আওয়ামি লিগের ইস্তেহারে মোট ১১টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু স্বার্থেও কিছু ঘোষণা। এই ঘোষণায় খুশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বৃহত্তম সংগঠন ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’। এই পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, “যেহেতু গত পাঁচ বছরে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি এবং এবারও সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাই এটি মন্দের ভাল। তবে এই প্রতিশ্রুতি যেদিন বাস্তবায়িত হবে, সেদিন (Bangladesh Polls) আমরা আন্তরিকভাবে খুশি হব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী (Hafiz Saeed)। পাকিস্তানের আদালতে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে লড়তে নেমেছে তাঁর সমর্থিত দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’। এহেন হাফিজ মহম্মদ সঈদকে চেয়ে ইসলামাবাদকে চিঠি দিল নয়াদিল্লি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে ভারত পাবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। মুম্বই হামলার এত বছর পর এই প্রথম (Hafiz Saeed) হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে।

    হাফিজের মাথার দাম

    হাফিজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি টাকা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জল্পনা। হাফিজের ছেলে তলহাও বাবার মতোই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজের দল লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএলের টিকিটে লাহোরের একটি আসন থেকে তলহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে খবর।

    সন্ত্রাসবাদের তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা!

    ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি নির্বাচন হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও। সেই নির্বাচনেই জিতে দলের গা থেকে সন্ত্রাসবাদী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার সন্ত্রাসবাদীর তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন হাফিজ। সেটা ২০১৮ সাল। সেবারও পাকিস্তানের সাধারণ ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক নামে একটি দল।

    আরও পড়ুুন: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    সেবার অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে হাফিজের সমর্থন নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো দলটিকে। এবার অবশ্য ছেলে তলহার জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন হাফিজ। হ্যাঁ, গোপন ডেরায় বসেই। তবে সেটা কতটা মসৃণ হবে, তা বলবে সময়। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাফিজ ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি হাঞ্চলা আদনানকে করাচিতে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় থাকা হাফিজের (Hafiz Saeed) নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। কে জানে, কখন কী হয়!

    পাপ যে বাপকেও ছাড়ে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Express: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেমন হবে নতুন ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’?

    Amrit Bharat Express: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেমন হবে নতুন ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বন্দে ভারতের পর আসছে নয়া ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ (Amrit Bharat Express)। এই ট্রেনের বর্ণ হবে গেরুয়া। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক এই ট্রেন বেশ আশাব্যঞ্জক এবং ফলপ্রসূ হবে। শনিবার, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই ট্রেনের উদ্বোধন হবে। উল্লেখ্য অমৃত ভারত একপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

    শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এই ট্রেনের এর আগে নামকরণ করা হয়েছিল বন্দে সাধারণ। যা আদতে নন-এসি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পরে নাম বদল করে ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ (Amrit Bharat Express) রাখা হয়। ট্রেনের রঙ ধূসর ও গেরুয়ার সংমিশ্রণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যা থেকে উদ্বোধন করতে পারেন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। প্রথম ট্রেন যাবে অযোধ্যা থেকে বিহারের দ্বারভাঙা পর্যন্ত। দ্বিতীয় ট্রেনটি সম্ভবত চলবে মালদা থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত। যদিও, একনও রেলের তরফে সরকারি স্তরে কোনও ঘোষণা হয়নি।

    সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো এই ট্রেনেও পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, ট্রেনের দুদিকের ইঞ্জিন সমানতালে কাজ করবে। সামনের ইঞ্জিন পুল করবে, শেষেরটি পুশ। ট্রেনের উভয় প্রান্তেই ডাব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিন যুক্ত থাকছে।  এই ট্রেনের গতি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। অমৃত ভারত ট্রেনে (Amrit Bharat Express) মোট ২২টি কোচ থাকবে। ৮টি সাধারণ (জেনেরাল) কোচ, ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণির থ্রি টিয়ার স্লিপার কোচ ছাড়া দু’টি কামরা হবে লাগেজ ভ্যান। এতে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তায় জোর

    সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ট্রেনের লোকো পাইলটদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সিটগুলিকে আরামদায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল কামরার উপরে সিটে গদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক সিটের সঙ্গে থাকবে উন্নতমানের মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট। পাশাপাশি, রাখা হয়েছে এলইডি লাইট, বেসিন, পাখা, মেট্রোর মতো ঘোষণার সুবিধাও। ট্রেনে যাতে জলের অপচয় কম রাখা হয় তার জন্য সেন্সর ওয়াটার ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার দিকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। ট্রেনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অবশ্যই কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি কোচে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। 

    ২ ঘণ্টা কম সময় লাগবে

    এই ট্রেনের ট্রায়াল ও অন্যান্য সুবিধাগুলিকে প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব রুটে এই ট্রেনগুলি চলবে সেখানে যাত্রাপথে গন্তব্যে পৌঁছাতে ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে।  প্রবীণ বা বয়স্ক নাগরিক কিংবা বিশেষ সক্ষমরা যাতে উঠতে পারেন তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দরজা থাকবে বেশ চওড়া, জানালা থাকবে বেশ বড়বড়। দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং নতুন প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। দিল্লি থেকে কলকাতায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস (Amrit Bharat Express) ট্রেনে আসত ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “এই ট্রেন হল অমৃত কালের অমৃত ভারত ট্রেন।”

    কেমন হবে ভাড়া?

    অনেকে বলছেন, এই ট্রেন বন্দে ভারতের ছোট ভাই। তবে এর ভাড়া বন্দে ভারতের মতো হবে না। তুলনায় অনেক কম হবে ভাড়া। রেল জানিয়েছে, সাধারণ মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির তুলনায় মাত্র ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি ভাড়া হবে এই ট্রেনে। অন্যান্য মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে এক থেকে ৫০ কিলোমিটারের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রার ন্যূনতম টিকিটের দাম ৩০ টাকা (রিজার্ভেশন এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়া)। সেখানে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) এক থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ন্যূনতম খরচ ৩৫ টাকা। রিজার্ভেশন ফি এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়াই যাত্রীদের দিতে হবে এই অর্থ। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ছাড়ের টিকিট এবং বিনামূল্যে পাসের জন্য টিকিট এই ট্রেনগুলিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনীতির (India Qatar Relations) ময়দানে বড় জয় মোদি সরকারের। কাতারে ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হল বৃহস্পতিবার (Qatar Death Penalty)। 

    অক্টোবরে মৃত্যুর সাজা 

    চরবৃত্তির অপরাধে অক্টোবর মাসে ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল কাতার (Qatar Death Penalty)। এই ৮ জন হলেন— ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে, কাতার প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি কূটনৈতিক (India Qatar Relations) স্তরেও আলোচনা চালাচ্ছিল বিদেশমন্ত্রক। আজ মৃত্যুদণ্ড রদ করে হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত।

    কোর্ট অফ আপিলে জয়

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘আজ কোর্ট অফ আপিল অফ কাতারের রায় অনুযায়ী, দাহরা গ্লোবান কেসে মৃত্যু দণ্ডের সাজা মকুব করা হয়েছে৷ তবে বিস্তারিত রায় এখনও আসেনি৷ আমরা এ বিষয়ে কাতারের আদালতে পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রতীক্ষা করছি। কাতারে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং অন্য আধিকারিকরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে ৮ জনের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন৷ এই বিষয়ের প্রথম থেকেই আমরা নৌ-আধিকারিকদের পাশে রয়েছি৷ আমরা তাঁদের আইনি সব সাহায্য করে যাব৷’’

    চরবৃত্তির অভিযোগে গত বছর গ্রেফতার 

    গত বছর অগাস্ট মাসে নৌসেনার এই ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা। কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ পরিষেবা প্রদান করা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামের একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, প্রথমে তা দোহার ভারতীয় দূতাবাসকেও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। চলতি বছরের এপ্রিলে আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর জানা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পর অক্টোবর মাসে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় কাতারের নিম্ন আদালত (Qatar Death Penalty)। 

    কাতার আদালতের নির্দেশে কার্যতই স্তম্ভিত হয়ে যায় দিল্লি। এর পরই কেন্দ্রের তরফে তৎপরতা দেখা যায়। নভেম্বরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মৃত্যদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের (India Qatar Relations) ছাড়িয়ে আনতে সব রকম আইনি সাহায্য করবে ভারত সরকার৷ গত মাসেই ভারত কাতারের কোর্ট অফ আপিলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানায়৷ তারপর আজ মৃত্যুদণ্ড রদ হওয়ার খবর এল (Qatar Death Penalty)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Black Fever: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Black Fever: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।‌ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক থাকা জরুরি। আর এর মধ্যেই রাজ্যে আরেক বিপদ! বছর শেষে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে কালাজ্বর (Black Fever)। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের দাপট বাড়ছে। তাই ডেঙ্গি, করোনার মাঝে রাজ্যবাসীর জন্য নয়া বিপদ তৈরি করেছে কালাজ্বর।

    কী বলছে সরকারি তথ্য? (Black Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে রাজ্যে ১৪ জন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়ার এক বাসিন্দা কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ফলে, উদ্বেগ বাড়ছে। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি মানুষ চলতি বছরে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৪ জন আক্রান্ত।  ২০০৩ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশ থেকে কালাজ্বর (Black Fever) নির্মূল করার একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পাশপাশি রাজ্যগুলোকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। তবেই এই জ্বর দেশ থেকে নির্মূল হবে বলে সাফ জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    কালাজ্বর থেকে সতর্ক থাকতে কী বলছেন চিকিৎসকেরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। জ্বরের পাশপাশি এই রোগ হলে বমি, পেটে যন্ত্রণা, গোটা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। পাশপাশি খিদে একদম কমে যায়। ত্বকের একাধিক জায়গায় কালো ছোপ হয়। অনেকের কালাজ্বর হলে ডায়েরিয়া হয়। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের কালাজ্বর (Black Fever) হলে জ্বর ছাড়া আর কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তাই দীর্ঘদিন জ্বর আর পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, চিকিৎসা শুরুতে দেরি হলে বিপদ বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বিপদ বাড়ায় কালাজ্বর? (Black Fever) 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে পাকস্থলী এবং লিভারে প্রভাব পড়ে। পাকস্থলীতে ঘা হতে পারে। পাশপাশি লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এই দুই অঙ্গ বিকল হয়ে গেলে বড় সমস্যা দেখা যায়। তাই কালাজ্বরের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি, কালাজ্বর সংক্রমণ ছড়ায়। মাছির মাধ্যমে এই রোগ একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে‌। তাই একজনের এই রোগ (Black Fever) বাসা বাঁধলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা জরুরি। সংক্রামক রোগে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে আরও বেশি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে, বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

LinkedIn
Share