Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেক আগে তিনি বেরিয়েছিলেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায়। এবার ফের নামছেন পথে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও একবার যাত্রা শুরু করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই যাত্রার পোশাকি নাম ‘ন্যায় যাত্রা’। রাহুলের যাত্রা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি, মণিপুর থেকে। ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা পেরিয়ে যাত্রা শেষ হবে ২০ মার্চ। কংগ্রেসের প্রাক্তন এই সভাপতির ‘ন্যায় যাত্রা’কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।

    ‘আসল ন্যায় করছেন মোদি’

    দলের মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, “আসল ন্যায় করছেন নরেন্দ্র মোদি। আর তা তিনি করছেন ২০১৪ সাল থেকে।” মোদির আমলে দেশজুড়ে উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “এসবের কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি মানুষের কথা ভাবেন। যা দিয়ে কারওর লক্ষ্যকে ভাল করা যায় বা ভাল নীতি কার্যকর করা যায়, তা-ই করছেন প্রধানমন্ত্রী।” এই প্রসঙ্গেই তিনি তুলে ধরেন বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প, ভর্তুকিযুক্ত বাড়ি, মুদ্রা ঋণের বিষয়গুলি।

    ন্যায় বিচার দেবে কীভাবে? 

    রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে নিশানা করেছেন বিজেপির (BJP) আর এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “যারা ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের নামে দেশ ভাগ করছে, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ১৯৮৪ সালে শিখ-বিরোধী হিংসায় যারা এখনও বিচার দিতে পারেনি, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ওই হিংসার শেকড়ে পৌঁছতে সিট গঠন করেছে মোদি সরকার।” অনুরাগ বলেন, “ইন্ডি-জোট, যাতে কংগ্রেসও রয়েছে, তারা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ করতে নয়। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে হেরে গিয়ে পরাজয় স্বীকার না করে তারা দুষছে ইভিএমকে! অন্য দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্ম এবং সম্প্রদায়িক বিভাজনের নামে রাজনীতি করছে।”

    আরও পড়ুুন: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    তিনি বলেন, “আজ দেশ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেগুলির তালিকায় ভারতের স্থান পাঁচে। অচিরেই দেশ পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। উন্নয়নের এই ধারা থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে এরা। এরা হয়ত জানেন না, যে ১৪০ কোটি ভারতবাসী রয়েছেন মোদিজির পাশে।” অনুরাগ বলেন (BJP), “কংগ্রেস শ্রী রামকেও কাল্পনিক বলছে। তাদের সহযোগী দলগুলি সবসময় সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার চেষ্টা করে চলেছে। উল্টো দিকে দেখুন, মোদি সরকারের একমাত্র পাখির চোখ – দেশের উন্নয়ন, দরিদ্রদের কল্যাণ। মোদির নেতৃত্বেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Actor-Politician Vijayakanth: কোভিডে কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত তামিল অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত

    Actor-Politician Vijayakanth: কোভিডে কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত তামিল অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ডিমএমডিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত (Actor-Politician Vijayakanth)। বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। জানা গিয়েছে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Actor-Politician Vijayakanth)

    হাসপাতাল সূত্রে একটি জানা গিয়েছে, নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন এই তামিল অভিনেতা বিজয়কান্ত (Actor-Politician Vijayakanth)। তাঁর অত্যধিক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিল। এরপর ভেন্টিলেশন সাপোর্টেও ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করা গেল না। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ত বুধবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার মধ্যেই তিনি করোনা আক্রান্ত হন। প্রিয়জন তথা ভক্তকূলের কাছে ‘ক্যাপ্টেন’ নামে পরিচিত ছিলেন বিজয়কান্ত। সিনেমায় সেনা চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য এই বিশেষ পরিচয়ে সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সেলুলয়েডে তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে তাঁকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমজি রামচন্দ্রণের সঙ্গে তুলনা করা হতো। বিজয়কান্ত ১৫০টির বেশি তামিল সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

    ডিএমডিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন

    ২০০৫ সালে দেশিয়া মুরপোক্কু দ্রাবিড় কাজাগাম (ডিএমডিকে) দল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন বিজয়কান্ত (Actor-Politician Vijayakanth)। ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে-র বিকল্প দল হিসবে তামিলনাড়ুতে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন তিনি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ললিতার এডিএমকে-র সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়াই করে ২৯টি আসনে জয়ী হয় তাঁর দল। পরে অবশ্য জোট ভাঙার কারণে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছিলেন তিনি। অনেকদিন ধরে ডায়বেটিসের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ২০২২ সালের একটা সময়ে এই রোগের কারণে পায়ের একটি আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গেও জোট করেছিলেন বিজয়কান্ত।

    করোনার বাড়বাড়ন্ত

    ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সারা দেশে করোনা সংক্রমণের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার। দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে কেরলে এই সংক্রমণের প্রভাব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের নতুন সংস্করণ জেএন ওয়ানের প্রমাণ মিলেছে বেশ কিছু রাজ্যে। এই অভিনেতার (Actor-Politician Vijayakanth) মৃত্যুতে করোনায় চিন্তা বাড়িয়েছে।

    সফদরজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. জুগল কিশোর জানিয়েছেন, “করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পর সেটা বাড়তে শুরু করে। ফলে ভারতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমণ চরম আকার নিতে পারে। সকলকে তাই আরও সতর্ক থাকতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ একটা। দুই মুখ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কার রেটিং কত? প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে চাইছে বাংলা? কী বলছেন বাংলার (Lok Sabha Poll 2024) ভোটাররা? সম্প্রতি জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। সেখানেই জানা গিয়েছে, রাহুলের চেয়ে যোজন খানেক এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ৬০ শতাংশ ভোটারও তাঁকেই দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী পদে। কিছুদিন আগেই ফল বেরিয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যেই তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। কংগ্রেসের মুখ রক্ষা হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। বিজেপির দাবি, তিন রাজ্যে জয় এসেছে মোদি ম্যাজিকেই।

    অগোছালো বিরোধীরা

    বিজেপির জয়ের গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন ঘরই গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোট। জোট গঠনের পর থেকে চার-চারটি বৈঠক হয়েছে বটে, তবে এখনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীই ঠিক হয়নি। এনিয়েও জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অশান্তি। জোট শরিক তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চাইলেও, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার আবার তাতে আপত্তি জানিয়েছেন।

    এগিয়ে মোদি

    ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখনও ঠিক না (Lok Sabha Poll 2024) হলেও, সি-ভোটারের সমীক্ষকরা তুল্যমূল্য বিচার করছেন মোদি বনাম রাহুলের রেটিং। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে ওই পদে দেখতে চাইছেন ৩২ শতাংশ মানুষ। এই দুজনের মধ্যে কাউকেই পছন্দ করেন না ৪ শতাংশ ভোটার। মতামত দেননি ৫ শতাংশ মানুষ।

    একমাত্র পাঞ্জাবেই মোদির চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন রাহুল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ। তবে বাকি রাজ্যগুলিতে রাহুলকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিয়েছেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। এখানকার ৬০ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মোদিকে। ছত্তিসগড়ের ৬৭ শতাংশ, কর্নাটকের ৬৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৬ শতাংশ, রাজস্থানে ৬৫ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৫০ শতাংশ, বিহারে ৬৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৫ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন মোদিকেই।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    মোদি এবং রাহুলের মধ্যে কাউকেই পছন্দ নয় ছত্তিসগড়ে ১, কর্নাটকে ২, মধ্যপ্রদেশে ৩, রাজস্থানে ২, তেলঙ্গানায় ২, বিহারে ৬, মহারাষ্ট্রে ৬, পঞ্জাবে ১৪, উত্তরপ্রদেশে ৮ এবং পশ্চিমবঙ্গের ২ শতাংশ ভোটারের। মোদি-রাহুল দ্বৈরথের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ১৩ শতাংশ মানুষ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ১০ শতাংশ মানুষ। আর ৯ শতাংশ মানুষ চাইছেন (Lok Sabha Poll 2024) প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Loksabha Poll 2024: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    Loksabha Poll 2024: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরেই মহারণ। লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Poll 2024)। এই নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি। অন্তত সি-ভোটারের সমীক্ষায় মিলল তেমনই ইঙ্গিত। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে সমীক্ষা চালিয়েছিল সি-ভোটার। সমীক্ষকরা কথা বলেছেন ১৩ হাজার ১১৫ জন ভোটারের সঙ্গে।  

    সি-ভোটারের ইঙ্গিত

    নতুন বছরের মাঝ-এপ্রিলেই লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার ঢের আগেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া দশা ইন্ডি জোটের। বিজেপিকে মাত দিতে এই জোট গড়েছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। নানা সময় বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সেই জোটের অন্দরে বয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত। কখনও কখনও কেউ কেউ প্রকাশ্যে উগরে দিয়েছেন ছাইচাপা ক্ষোভের লাভাও। এমতাবস্থায় বিজেপি যে ফের ফিরছে (Loksabha Poll 2024) কেন্দ্রে, তা জানতে জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হতে হয় না। সি-ভোটারের দেশজোড়া সমীক্ষায়ও মিলল তেমনই ইঙ্গিত।

    কোথায় কত আসন

    সমীক্ষায় প্রকাশ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ২৯৫-৩৩৫টি আসনের রাশ। তারা পেতে পারে ৪২ শতাংশ ভোট। ইন্ডি জোট জয়ী হতে পারে ১৬৫-২০৫টি কেন্দ্রে। তারা পেতে পারে ৩৮ শতাংশ ভোট। অন্য দলগুলি পেতে পারে ৩৫-৬৫টি আসন। পূর্ব ভারতে লোকসভার আসন রয়েছে ১৫৩টি। এর ৮০-৯০টি আসনে জিততে পারে বিজেপি ও তার জোট শরিকরা। ইন্ডি জোটের ঝুলিতে পড়তে পারে ৫০-৬০টি আসন। অন্য দলগুলি জয়ী হতে পারে ১০-২০টি কেন্দ্রে।

    পশ্চিম ভারতে লোকসভার আসন রয়েছে ৭৮টি। এর মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে পারে ৪৫-৫৫টি আসন। ২৫-৩৫টি আসন পেতে পারে ইন্ডি জোট। অন্য দলগুলি পেতে পারে বড়জোর ৫টি আসন। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, উত্তর ভারত প্রায় পদ্মময়। এই অঞ্চলে রয়েছে ১৮০টি লোকসভা কেন্দ্র। তার মধ্যে বিজেপি-জোটের দখলে যেতে পারে ১৫০-১৬০টি আসন। ভোট পেতে পারে ৫০ শতাংশ। ইন্ডি জোট পেতে পারে ২০-৩০টি আসন। ৩৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে তারা। ৫টির মতো আসন পেতে পারে অন্য দলগুলি। 

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    দক্ষিণ ভারতে মোট আসন ১৩২টি। এই অঞ্চলে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলি পেতে পারে ২০-৩০টি আসন। ভোট পেতে পারে ১৯ শতাংশ। ইন্ডি জোট পেতে পারে ৭০-৮০টি আসন। তারা পেতে পারে ৪০ শতাংশ ভোট। অন্য দলগুলি জিততে পারে ২৫-৩৫টি আসন। তারা পেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট (Loksabha Poll 2024)। সমীক্ষার ফল মিলবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে কেন্দ্রে যে ফের বিজেপিই আসবে, সে প্রত্যয় ধরা বারংবার ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। তাঁর জমানায় দেশজুড়ে উন্নয়নের যে জোয়ার বয়ে গিয়েছে, তার জেরেই বিজেপির জয় নিশ্চিত, বলছেন পদ্ম নেতারাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল অযোধ্যা রেলস্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নাম। নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ওই দিনই হবে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি হবে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এদিনই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা রেলস্টশনেরও। বদলে যাচ্ছে এই স্টেশনের নামই।

    অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম বদল

    অযোধ্যা রেলস্টেশনটি আদতে একটি জংশন। যেহেতু মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হওয়ার পরে এই পুণ্যভূমিতে ঢল নামবে ভক্তের, তাই ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনটিকে। স্টেশনটির পরতে পরতে রয়েছে অত্যাধুনিকতার ছাপ। এহেন রেলস্টেশনের নাম বদলে যাওয়ার কথা জানালেন স্থানীয় সাংসদ বিজেপির লাল্লু সিংহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “অযোধ্যা স্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নতুন নাম হবে অযোধ্যা ধাম।” নবনির্মিত স্টেশনের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যা জংশন হল অযোধ্যা ধাম জংশন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশে জনগণের ভাবাবেগ ও প্রত্যাশায় সাড়া দিয়ে নবনির্মিত গ্র্যান্ড অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন অযোধ্যা জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ধাম জংশন করা হয়েছে।”

    বিজ্ঞপ্তি জারি রেলের

    সাংসদের এই দাবির আগেই অবশ্য রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়েছে রেল। রেলের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এবার থেকে অযোধ্যা জংশনের নাম হল অযোধ্যা ধাম জংশন’। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের। রেলস্টেশনের নাম যেমন হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন, তেমনি বিমানবন্দরের নামেও রয়েছে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। নবনির্মিত বিমানবন্দরটির নাম দেওয়া হয়েছে পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিন প্রথমে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৫ কিলোমিটার পথে করবেন রোড-শো। এভাবেই তিনি পৌঁছবেন রেলস্টেশনে। উদ্বোধন করবেন নবকলেবর-প্রাপ্ত এই স্টেশনেরও। পরে একটি জনসভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে ২২ জানুয়ারি। দেবদর্শন শুরু হবে তার পরের দিন (Ayodhya Railway Station) থেকে। অযোধ্যা প্রশাসনের অনুমান, এদিন থেকে প্রতিদিনই অযোধ্যায় আসবেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন থাকবেন দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরাও, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসু মানুষও। তাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে রামজনমভূমিকে।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prisoners Verification: বন্দিদের আধার যাচাই, দেখা করতে এলেও লাগবে তথ্য, নয়া নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    Prisoners Verification: বন্দিদের আধার যাচাই, দেখা করতে এলেও লাগবে তথ্য, নয়া নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই দিব্যি অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে বন্দি (Prisoners Verification)। আত্মীয়ের ছদ্মবেশে যাঁরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, তাঁদের মাধ্যমেই হাসিল হয়ে যাচ্ছে কাজ। এই যেমন জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। গারদে বসেই কানাডায় থাকা গোল্ড ব্রারের সঙ্গে শলা করে জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে খুন করা হয়।

    গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাণ্ড

    গত বছর ৯ মে পাঞ্জাবের ওই ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। তদন্তে জানা গিয়েছিল, ওই সময় যারা জেল বন্দি লরেন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন, তাঁদের মারফতই যাবতীয় পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল মুসেওয়ালাকে। জেল থেকে বসে এমন একজন নামজাদা ব্যক্তিত্বকে খুন করায় তাজ্জব বনে গিয়েছিল পুলিশও। মুম্বই সহ কয়েকটি রাজ্য থেকে জেলে বসেই গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ নানারকম অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও ওঠে।  

    বন্দির সাক্ষাৎপ্রার্থীদের দেখাতে হবে আধার

    এই সব ঘটনার (Prisoners Verification) পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সংশোধনাগারে থাকা সব বন্দি ও তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা লোকজনের আধার কার্ড যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গোটা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে ওই নির্দেশিকা। নির্দেশ এসেছে এ রাজ্যের কারা দফতরের কাছেও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশোধনাগারে থাকা যে কোনও বন্দি বা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা ব্যক্তিদের আধার কার্ডের সত্যতা যাচাই করতে হবে। সেসব তথ্য নথিভুক্ত করাতে হবে ‘দ্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন সেন্টার ই-প্রিজনার্সে’। সেই তথ্য পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও। ফলে নজরদারির ফোকর গলে আর দুষ্কর্ম চালানো অনায়াস হবে না।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    জেলে নতুন কেউ এলে, তার যাবতীয় পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসেন, তাঁদেরও পরিচয়পত্র দেখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দেখতে হবে আধার নম্বরও। এবং এসব তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে দ্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন সেন্টার ই-প্রিজনার্সে (Prisoners Verification)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯। সিবিআই হন্যে এক পুলিশ কর্তার খোঁজে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা শহরে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ভূ-ভারতে এমন নজির আর একটিও রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরাও।)

    কী বললেন শুভেন্দু?

    যে পুলিশ কর্তার জন্য এতকাণ্ড, সেই রাজীব কুমারকেই রাজ্যের ডিজি পদে বসালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পরেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজীবকে ডিজি করে প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কারও নির্দেশে কখনও বলি দিতে যাবেন না। ভগবান ভালো করবেন না।”

    রাজীব কুমার

    ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব। বাম আমলে তিনি বামেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। পালাবদলের পর বদলে যান রাজীবও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন তিনি। যার জেরে সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজীবের খোঁজে পুলিশ যখন হন্যে, তখন তাঁর ‘কবচ-কুণ্ডল’ হয়ে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এহেন রাজীবকে পুলিশের ডিজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এদিনই মেয়াদ শেষ হয়েছে পুলিশের বর্তমান জিজি মনোজ মালব্যের।

    মাঝ-এপ্রিলেই হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজীবকে পুলিশে নয়া পদ দেওয়ার নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অবশ্য একে প্রতিদান হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “সারদার প্রমাণ নষ্ট করে রাজীব কুমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদান দিচ্ছেন। আমি সিবিআইকে বলব, সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠছে না কেন? সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা পড়ে রয়েছে, তা তোলার ব্যবস্থা করুন। নইলে আমরা, বাংলার মানুষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা তোলার জন্য যা করার করব।”

    আরও পড়ুুন: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    রাজীবের পদপ্রাপ্তিতে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব কুমারকে এখন তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখেও অটল মুখ্যমন্ত্রী। তাই ডিজির পদ আলোকিত করবেন রাজীব।

    স্বাভাবিক। দুয়ারে যে লোকসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে মদ খেয়ে বেসরকারি ডুয়ার্সের রিসর্টে (Dooars Resort) গভীর রাতে এসে রীতিমত তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের মেটালিতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুলিশের বসানো মদের আসর থেকে গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ কটূক্তি করার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল বড়দিনের রাতে। প্রতিবাদ করলে পুলিশই পালটা গ্রামের মানুষদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডুয়ার্সে ফের অভিযুক্ত পুলিশ।

    ঘটনা কী কীভাবে ঘটেছে (Dooars Resort)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার নদিয়া থেকে বেশ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের (Dooars Resort) চালসা ইনডর এলাকায় এক রিসর্টে ওঠেন। এরপর রাতের বেলায় নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে দেখেন তিনজন পুলিশ রিসর্টে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশেরা রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর শুরু করে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান। এমনকি পর্যটকদের গাড়ির ড্রাইভারদেরও অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে মেটালি থানার পুলিশকে খবর দেয় রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

    তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল

    মদ খেয়ে পুলিশ উন্মত্ত অবস্থায় রিসর্টে (Dooars Resort) গিয়ে ঘরের বুকিং চায়। কিন্তু ঘর খালি না থাকায় রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা। কিন্তু তাণ্ডবের ভিডিও ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পুলিশের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। সাধারণত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন স্থানীয় পুলিশেরাই। অচথ্‌ পুলিশের কাছেই সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। রীতিমতো পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

    পর্যটকদের বক্তব্য

    নদিয়া থেকে ডুয়ার্স রিসর্টে (Dooars Resort) ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা, সন্তু গুহ বলেন, “পুলিশের এই তাণ্ডবে আমরা নিজেদের অত্যন্ত অসুরক্ষিত মনে করছি। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গাড়ির চালকদের ব্যাপক মারধর করে। আমাদের সঙ্গে মহিলা এবং শিশুরা ছিল, ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India China LAC) বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনটাই মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা (Lt General RP Kalita)। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে এবং চিনকে চুপ রাখতে হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন হচ্ছে সমাধান।

    ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’

    চলতি বছরের শেষে অবসর নিচ্ছেন বর্তমান আরপি কলিতা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। অবসরের প্রাক্কালে এদিন কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই চিন সীমান্ত থেকে শুরু করে মণিপুর ও মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (India China LAC) নিয়ে কলিতা বলেন, চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁর কথায় ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’। অর্থাৎ, কখন কী হবে, অনুমান করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে কোনও (প্রতিকূল) পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত। 

    চিনকে দমিয়ে রাখার দাওয়াই…

    বিদায়ী কমান্ডারের মতে, চিনকে দমিয়ে রাখতে সীমান্তে (India China LAC) প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোগত ও যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সড়ক হোক বা বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড কিংবা হোক ডেটা-নেটওয়ার্ক— পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেই সীমান্তাঞ্চলের কায়েম বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভারত এখন করে চলেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে একদিকে যেমন বাহিনীর সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ নাগরিকদেরও ভালো হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে আধুনিকতম অস্ত্র মোতায়েন করাও সমান জরুরি বলে মনে করেন সেনা কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে সীমান্তে। তবেই কেউ সাহস করবে না। 

    মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে এই দুই!

    চলতি বছর সেনার পূর্ব কমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মণিপুরের অশান্তি। এ প্রসঙ্গে সেনা কমান্ডার জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ— প্রথমত, উপজাতিদের হাতে অস্ত্র চলে আসা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তপার অনুপ্রবেশ। কলিতা (Lt General RP Kalita) জানান, ওখানে জঙ্গিরা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মিশে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। তার ওপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এসে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। কমান্ডারের মতে, এই প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের হাতে চলে আসা বাহিনীর থেকে লুট হওয়া বা মায়ানমার থেরে চোরাচালান করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

    ভৌগলিক বিন্যাস সমস্যা…

    একইসঙ্গে, সীমান্তপার অনুপ্রবেশও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন কলিতা। কমান্ডারের (Lt General RP Kalita) মতে, ওই এলাকার ভৌগলিক বিন্যাস অন্যরকম। তা ঘন জঙ্গলে ঘেরা। ফলে, কাঁটাতার লাগাতে সমস্যা হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ও আগ্নেয়াস্ত্রই শুধু নয়, প্রভূত পরিমাণে মাদক চোরাচালানও হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলেই, শুধু মণিপুর নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলিতা। যদিও, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কলিতা। তিনি জানান, কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। নজরদারি ও তল্লাশি-অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share