Tag: Bengali news

Bengali news

  • Covid 19: কলকাতায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮, কী অবস্থা তাঁদের?

    Covid 19: কলকাতায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮, কী অবস্থা তাঁদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় নতুন আরও কয়েক জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস (Covid 19)। বৃহস্পতিবারই খবর মিলেছিল তিন জন করোনা আক্রান্তের। এদের মধ্যে একজন ছিল ছয় মাসের শিশু। বাকি দুই জনের মধ্যে একজন কলকাতার মিডল টন রোয়ের বাসিন্দা এবং অপরজন ভবানীপুরের বাসিন্দা। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ওই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। ছয় মাসের ওই শিশুকে রাখা হয়েছে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অন্যদিকে, একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজন করোনা (Covid 19) আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন।

    নতুন করে আক্রান্ত যাঁরা…

    নতুন যে আক্রান্তদের সন্ধান মিলেছে, তাঁদের মধ্যে ৫৮ বছর বয়সি বেহালার এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে চারজনের দেহে ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এদের মধ্যে দুজন একই পরিবারের বলে জানা গিয়েছে। বাড়িতে থেকেই প্রত্যেকে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন বলে ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন একটি বিয়ে বাড়ির পার্টির অনুষ্ঠানে যান এবং সেখান থেকেই ফেরেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। তবে তাঁরা কি করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্ট জেনএন.১-এ আক্রান্ত কিনা তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত ৬

    এদিকে, কেন্দ্রের দেওয়া শুক্রবারের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ৬ জন করোনা (Covid 19) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৩২৮। তবে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকেই গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার সারা দেশে করোনার সক্রিয় কেসের সংখ্যা ছিল ২৩১১। ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে ২৯৯৭ হয়েছে। দেশে এতদিনে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪.৫০ কোটি। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,৩৩,৩২৮।

    রাজ্যগুলিকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ কেন্দ্রের 

    বিশ্বজুড়ে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন১। ইতিমধ্যে আমেরিকা চিন সহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই নয়া উপ প্রজাতির সন্ধান আমেরিকাতে মেলে সেপ্টেম্বর মাসেই। অন্যদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর চিনে সন্ধান মেলে জেএন১ এর। চিনেও হাসপাতালগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়। দেশের মধ্যে করোনা (Covid 19) রোগী সংখ্যা বর্তমানে সব থেকে বেশি দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরলে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য গাইডলাইনও জারি করেছে। বুধবার জরুরি ভিত্তিতে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। করোনা (Covid 19) পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে লাঘু হয়েছে করোনা বিধিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পেতে হচ্ছে সাইকো-অ্যানালিসিস টেস্ট!

    Lok Sabha Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পেতে হচ্ছে সাইকো-অ্যানালিসিস টেস্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভাকাণ্ডে (Lok Sabha Security Breach) ধৃতদের মানসিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হল। সেজন্য ইতিমধ্যেই ধৃতদের মধ্যে একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। মানসিক পরীক্ষা করা হবে বাকিদেরও। লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে রয়েছে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ললিত ঝা ও মহেশ কুনওয়াতকে।

    মন পরীক্ষার ব্যবস্থা

    লোকসভায় হানা দেওয়ার সময় তাদের মানসিক অবস্থা কী ছিল, তা জানতেই মন পরীক্ষার ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে ধৃতদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। সেই প্রশ্নগুলির উত্তর তারা কী দিচ্ছে, তা থেকেই জানা যাবে তাদের মনের হদিশ। ঠিক কী ধরনের ভাবনাচিন্তা মাথায় নিয়ে তারা লোকসভায় হামলা করেছিল, তা জানা যাবে। মনের হদিশ জানতে (Lok Sabha Security Breach) শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাবের এই পরীক্ষা করিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।

    মনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা

    এর পর এবার লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা। লোকসভাকাণ্ডের পর ধৃতেরা জানিয়েছিল, মণিপুর হিংসা, বেকারত্ব, কৃষক সমস্যা প্রভৃতি বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করছিল তারা। তাদের এই দাবি কতটা সত্য, তা জানতেই ধৃতদের মন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত তদন্তকারীদের। ১৩ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন রংবোমা নিয়ে লোকসভায় ঢুকে পড়ে সাগর ও মনোরঞ্জন। দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে লাফিয়ে বেড়ায় তারা। জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং বোমা ফাটায় তারা। ছড়িয়ে দেয় হলুদ ধোঁয়া।

    আরও পড়ুুন: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    দুই সাংসদ ধরে ফেলেন হানাদারদের। তুলে দেওয়া হয় মার্শালদের হাতে। ওই একই সময় সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় নীলম ও অমলকে। পরে গ্রেফতার করা হয় ললিত ও মহেশকে। এই ছ’ জনেরই মন জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই কারণেই এদের মধ্যে একজনকে পাঠানো (Lok Sabha Security Breach) হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Upper Primary: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    Upper Primary: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারি (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরাতে। হঠাৎ করেই সেই আন্দোলনের ঢেউ এদিন পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির খুব কাছেই। সেখানে বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?”  এরই সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। চাকরিপ্রার্থীরা এদিন একটা দাবি বারবার জানাতে থাকেন যে অবিলম্বে আসন সংখ্যা আপডেট (Upper Primary) করে নিয়োগ করতে হবে তাঁদেরকে। তাঁরা এও বলতে থাকেন যে মুখ্যমন্ত্রী অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন না।

    ১০ বছরের বঞ্চনা

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা ন্যায্য দাবি জানাতে এসেছেন, দশ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত। বিক্ষোভকারীদের এই কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালীঘাট চত্বর। শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে পুলিশ। এই ঘটনায় তুলে ধরছে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব চিত্রকে এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্য কর্মসংস্থানের (Upper Primary) বেহাল দশা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই বিক্ষোভ।

    ল্যাজেগোবরে অবস্থা শাসক দলের

    প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারের চাকরি দাবিতে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা (Upper Primary)। শুক্রবার এই আন্দোলন পা দিয়েছে ৫৫৫ দিনে। এই দিনে হাজরায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। তাঁরাই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে। অন্যদিকে বিকাশ ভবনের সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টেট পরীক্ষার্থীরা। একদিকে হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা রয়েছেন জেলে। তারই মাঝে এমন বিক্ষোভ চলছেই কলকাতায়। দিনকয়েক আগে মাথা মুণ্ডন করেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। বেশ ল্যাজে-গোবরে অবস্থা শাসক দলের। কোনও কোনও মহলের মতে এর প্রভাব পড়বে আগামী লোকসভার ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ!

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। আগে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে জানুয়ারিতে ভারতে আসতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তার পরেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মাক্রঁকে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

    এর আগে আরও পাঁচবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৬ সালে এসেছিলেন ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক। ১৯৮৮ সালেও এসেছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে এসেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভ্যালেরি গিসকার্ড ডি’ইস্টাইং। ২০০৮ সালে প্রধান অতিথির সম্মান দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে। ২০১৬ সালে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে। মাক্রঁ এলে তিনি হবেন ফ্রান্সের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট, যিনি সম্মানিত হবেন প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলঙ্কৃত করে।  

    ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’  

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। সম্ভবত সেই কারণেই ভারতে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।জুলাই মাসে মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ‘বাস্তিল ডে প্যারেডে’ যোগ দিতে ফরাসি সরকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। ওই প্যারেডে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের সুর বাজানো হয়েছিল। এই প্যারাডে ভারতীয় বায়ুসেনার এক রাফাল যোদ্ধাও অংশ নিয়েছিলেন। ফ্রান্স সফরের পরে মাক্রঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বাস্তিল দিবসের পাশাপাশি এবছর ছিল ভারত-ফ্রান্স স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্বের ২৫ বছর পূর্তি। সেই সম্পর্ক উদযাপন করতেও ফ্রান্সে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ফ্রান্স থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। অতি সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে পরেই ফরাসি প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।

    জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতে এসেছিলেন মাক্রঁ। সেই সময় মোদির সঙ্গে মাক্রঁও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও না কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায় ভারত সরকার। তবে করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ ও ২২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে। এ বছর, প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল-সিসি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: অ্যাক্টিভ কেস ৩ হাজার ছুঁইছুঁই! দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার গ্রাফ

    Covid 19: অ্যাক্টিভ কেস ৩ হাজার ছুঁইছুঁই! দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার গ্রাফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid 19)। নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। বাদ নেই আমাদের দেশও। দৈনিক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার গ্রাফ। অন্তত পরিসংখ্যান এমনটাই বলছে। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ করোনা আক্রান্তের (Covid 19) মৃত্যু হয়েছে।

    দেশে অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ২,৯৯৭

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া বৃহস্পতিবারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত (Covid 19) হয়েছেন ৩২৮ জন। এ নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বেশ কিছু রাজ্যে চালু হয়ে গেছে করোনা বিধি। এতেই ফিরে আসছে আড়াই-তিন বছর আগের সেই আতঙ্কের স্মৃতি। মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে ফের কি মাস্ক-যুগ শুরু হচ্ছে? তবে উদ্বেগ থাকলেও আশার কথা শোনা গিয়েছে চিকিৎসকদের কাছ থেকে। বিজ্ঞানীমহল বলছে, নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ওষুধ ছাড়াই সেরে ওঠা যাবে জেএন-১ এর সংক্রমণ থেকে। অন্তত তেমনটাই দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে। যদিও কোমর্বিড রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজনীয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ফের ফিরছে মাস্ক-যুগ? কলকাতার তিন হাসপাতালে ভর্তি ৩ করোনা আক্রান্ত

    জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর নির্দেশ

    নতুন সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেক পজিটিভ করোনা নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কোভিড টাস্ক ফোর্সের চিকিৎসক রাজীব জয়দেবনের মতে, জেএন-১ সাধারণত প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এদিকে, কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত ৩২৮ জনের মধ্যে মধ্যে ২৬৫ জনই কেরলের বাসিন্দা। দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০৬। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে নিরাপদ স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন মুসলমানেরা।” ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশের চেয়ে এ দেশে ভালো রয়েছেন মুসলিমরা। তাঁরা এখানে স্বর্গ খুঁজে পেয়েছেন। এদেশে সুখে-সমৃদ্ধিতে রয়েছেন। এর অর্থ হল, ভারতীয় সমাজ কোনও ধর্ম কিংবা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না।”

    বৈষম্যমূলক আচরণ নেই

    এ প্রসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী অতি সংখ্যালঘু পার্শিদের কথাও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পার্শিরা এ দেশে আর্থিক সাফল্য পেয়েছেন। সুখে-শান্তিতে বাস করছেন।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলমান রয়েছেন। শতাংশের হিসেবে তাঁরা মোট জনসংখ্যার ১৪.২৮। ভারতে যে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক কোনও আচরণ করা হচ্ছে না, তা জুন মাসে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়ে বুক বাজিয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে বসবাসকারী মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে কী কী পদক্ষেপ তিনি করেছিলেন। তাঁদের বাক স্বাধীনতাও এদেশে রক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    দেশে রয়েছে বাক স্বাধীনতা 

    গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গ উত্থাপন হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে তো বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কাগজে, টিভি চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভিডিও, ট্যুইট-বার্তায় তাঁরা তো এসব নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতেই পারেন। তাঁদের এই অধিকার রয়েছে। তাঁদের মতো অন্যদেরও তো এমনই অধিকার রয়েছে।” তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় ব্রিটিশরা ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক ভবিদ্ব্যবাণী করেছিল। আমরা দেখেছি, সেসবই মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও মিথ্যে প্রমাণ করব।”

    আরও পড়ুুন: “ভোটের আগে ললিপপ”! চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের সময় সে প্রসঙ্গও ওঠে। সে প্রসঙ্গ টেনেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। ভারতের সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনের মনোন্নয়ন হওয়ায় ধন্যবাদ সবাইকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • J-K Terror Attack: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

    J-K Terror Attack: পুঞ্চে সেনা-ট্রাকে পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা জঙ্গিদের, শহিদ ৫ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। আবারও পুলওয়ামা ধাঁচে সেনা কনভয়ে হামলা চালালো জঙ্গিরা (J-K Terror Attack)। পুঞ্চে ডেরা কি গলি (Poonch Terror Attack) এলাকায় হওয়া এই হামলায় শহিদ হলেন সেনার ৫ জওয়ান। আহত হয়েছে চিকিৎসাধীন আরও কয়েকজন।

    ঠিক কী ঘটেছে? 

    জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত থেকে সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল ডেরা কি গলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হচ্ছিল। পথেই, পৌনে ৫টা নাগাদ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের (Rashtriya Rifles) একটি জিপ এবং ট্রাকের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা (J-K Terror Attack)। জানা গিয়েছে, হামলায় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করে জঙ্গিরা। সেনা সূত্রে খবর, সুরনকোট থানার অধীন বাফলিয়াজ থেকে রাজৌরির দিকে যাচ্ছিল সেনার গাড়ি দু’টি। বাফলিয়াজ এবং ডেরা কি গলির মাঝে ধতয়ার মোড়ে একটি পাহাড়ের উপরে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। এই অঞ্চলটি গভীর জঙ্গলে ঘেরা। কাছে টোপা পীর অঞ্চলের কাছে একটি সঙ্কীর্ণ পাহাড়ি বাঁকের মুখে সেনার জিপ এবং ট্রাকের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা (Poonch Terror Attack)। 

    হামলার নেপথ্যে লস্কর?

    বিস্ফোরণের পাশাপাশি, সেনা লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর দুপক্ষের মধ্যে লড়াই হয়। গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিন জওয়ান (J-K Terror Attack)। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুঞ্চের জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক এবং সেনা আধিকারিকরা। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এক জওয়ান সেখানে মারা যান। শুক্রবার সকালে আরও এক আহত জওয়ানের মৃত্যু হয়। হামলার দায় নিয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ)। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অনুমান, পুলিশ বুধবার ভোররাতে পুঞ্চেরই সুরানকোটে (Poonch Terror Attack) রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর শিবিরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই দলটিই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত থাকতে পারে। 

    পুলওয়ামা-ধাঁচে হামলা

    ২০০৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই অঞ্চলটি মূলত সন্ত্রাসবাদ মুক্ত ছিল। এরপর ঘনঘন সংঘর্ষ শুরু হয়। গত মাসে রাজৌরি জেলারই কালাকোটে সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক বিশেষ বাহিনী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়েছিল (J-K Terror Attack)। সেই ঘটনায় সেনার দুই ক্যাপ্টেন সহ পাঁচ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। তার আগে, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে রাজৌরি-পুঞ্চ অঞ্চলে জোড়া হামলায় শহিদ হন ১০ জওয়ান। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছিল। সিআরপিএফের কনভয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ওই নাশকতায় মৃত্যু হয় ৪০ জন জওয়ানের। ভয়ঙ্কর সেই বিস্ফোরণের ধাঁচেই এবারও নিশানা করা হয় সেনার ট্রাককে (Poonch Terror Attack)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    Amit Shah: রবিবার রাতে ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রবিবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। আগামী লোকসভা ভোটের আগে প্রস্তুতি বৈঠক করতেই তিনি আসছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে তিনি আসবেন এবং সোমবার সারাদিন থাকবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে তাঁর এই সফরসূচি পরিবর্তন হতে পারে, এমন আভাসও মিলেছে।

    দিল্লিতে শুরু বিজেপির বৈঠক (Amit Shah)

    আগামীকাল শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে বিজেপির বিশেষ বৈঠক শুরু হচ্ছে। এই বৈঠক মূলত সাংগঠনিক। এখানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হবে প্রত্যেক রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে। উল্লেখ্য, সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই রণকৌশল ঠিক কী হবে, তার আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে কীভাবে বিজেপি প্রচার অভিযান করবে, সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপরেই বঙ্গে অমিত শাহের (Amit Shah) সফরকে নির্বাচনী রণকৌশলের অঙ্গ বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকেরা।

    রাজ্যে ফের অমিত শাহ

    সূত্রের খবর, রাজ্যগুলিতে বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা এবং প্রচার কাজের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। ফলে এবারও বিজেপি পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভার কেন্দ্রকে। আগামী রবিবার তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ (Amit Shah) ফের কলকাতায় আসছেন। সোমবার দিনভর বৈঠক করবেন। দলের ঠিক কী অবস্থা, সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় কোথায় রয়েছে, সংগঠনের ভিতরে আরও কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন, দলের মধ্যে কোনও রদবদল দরকার কিনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, শুধু বঙ্গ নয়, আরও অনেক রাজ্যে লাগাতার যাবেন তিনি। পাশপাশি সময় অনুসারে বিজেপির দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন অনেক বৈঠক করবেন। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CEC-EC Bill: সংসদে ধ্বনিভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২৩

    CEC-EC Bill: সংসদে ধ্বনিভোটে পাশ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার সংসদে পাশ হয়ে গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার্স বিল ২০২৩ (CEC-EC Bill)। গত ১৭ দিন ধরে চলা সংসদের অধিবেশনে আজ সাংসদরা এই বিলে সম্মতি দিয়েছেন। এদিন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল সংসদে এই বিল উপস্থাপন করেছিলেন। বিলে বিশেষ ভাবে সমর্থন করেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। এদিন রাজ্যসভায় এই বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়।

    কী বলা হয়েছে বিলে (CEC-EC Bill)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে এদিন বিলে (CEC-EC Bill) বলা হয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের একটি প্রক্রিয়া মেনে নিয়োগ করতে হবে। কমিশনারের কাজের পরিধি, মেয়াদ, শর্তাবলি, দায়িত্ব এবং অফিসের মেয়াদ ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ম রয়েছে এই বিলে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় বিলে উল্লেখ আছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য আগে গত ১০ অগাস্ট সংসদের অধিবেশনে উত্থাপন করা হইয়েছিল এই বিলটি। কিন্তু ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী এতদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও ধারা ছিল না। সেই আইনের সংস্করণ করতেই এই বিলকে আরেকবার উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার থেকে এই বিলের তৈরি হওয়া আইনে এই বিষয়ে সরকার কাজ করবে।

    কী বলেন আইনমন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানিয়েছেন, “আইনের (CEC-EC Bill) আগে দুর্বল ছিল। সেই জন্য নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা ছিল। উল্লেখ্য যে কোনও ভারতীয় নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন। এই পদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানো হয়েছে। আবার এই শীতকালীন অধিবেশনে জম্মু এবং কাশ্মীর সংক্রান্তও বিলপাশ হয়েছে। উল্লেখ্য এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    Cough Syrup: ৪ বছরের কমবয়সিদের কাশির সিরাপ না খাওয়ানোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্থার, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের কমবয়সি শিশুদের জন্য সর্দি-কাশি কম করার জন্য নানা ধরনের সিরাপকে (Cough Syrup) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের ওষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা— সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন (সিডিএসসিও)। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কাশির সিরাপে ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে বিশ্বব্যাপী গাম্বিয়া, উজবেকিস্তান এবং ক্যামেরুনে মোট ১৪১ জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। আর তাই ভারতে সতর্কতা জারি করে বেশ কিছু কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে অ্যান্টি-কোল্ড ড্রাগ, তাকেও এক নির্দেশিকায় নিষিদ্ধ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন সিরাপ নিষিদ্ধ (Cough Syrup)?

    শীতের সময় ঠান্ডা লাগলেই থাকে সাধারণ ভাবে। আর তাই ঠান্ডা আর কাশি (Cough Syrup) থেকে মুক্তি পেতে কাশির সিরাপের ব্যবাহার ব্যাপাক ভাবে বেড়ে যায়। তবে সব সিরাপ ব্যবহার যোগ্য এমনটাও নয়। শিশুদের জন্য ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন বা এফডিসি-র অন্তর্গত কোনও সিরাপ ঠান্ডায় ব্যবহার করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, ক্লোরোফেনিরামাইন ম্যালেট এবং ফেনাইলেফ্রাইন— এই দুই ধরনের উপাদান মিশ্রিত ওষধ বন্ধ করতে হবে। এমনকী, নিজের উৎপাদনের উপর সতর্কতা জ্ঞাপক কথা হিসাবে “৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এফডিসি ব্যবহার করা উচিত নয়” লিখতে হবে বলে গত ১৮ ডিসেম্বর ওষধ প্রস্তুত কারক সংস্থাগুলিকে একথা জানিয়েছে সিডিএসসিও। 

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোলের বক্তব্য

    সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন জানিয়েছে, “২১০৪টি পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ১২৮টি সংস্থার মধ্যে ৫৪টি ওষধ কাশি (Cough Syrup) নিরাময়ে সাফল্য লাভ করেনি। বর্তমানে বিভিন্ন প্রদেশের ওষধের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গাম্বিয়ার ৬৬টি শিশু মারা গিয়েছে নিম্নমানের ওষধ খাওয়ার কারণেই। এর পরে পরেই আমেরিকা এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে কাশির সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করে সমীক্ষা করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপর থেকে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সিরাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার কাশি সিরাপ ব্যবহার না করাই ভালো বলে জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share