Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ayodhya Ram Mandir: ১০৮ ফুট! ভদোদরা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে বিশাল ধূপকাঠি

    Ayodhya Ram Mandir: ১০৮ ফুট! ভদোদরা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে বিশাল ধূপকাঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য ১০৮ ফুট লম্বা এবং সাড়ে ৩ ফুট চওড়া একটি ধূপকাঠি তৈরি করা হয়েছে। এই ধূপকাঠি তৈরি হয়েছে গুজরাটের ভাদোদরায়। এই বিশাল মাপের ধূপকাঠি অর্পণ করা হবে ২২ জানুয়রি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই। প্রভু শ্রীরাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই ৩৫০০ গ্রাম ওজনের এই ধূপকাঠিকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ধূপকাঠি বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামানায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী। ভক্ত মহলে এই অভিনব ধূপকাঠিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা।

    এই ধূপকাঠির নির্মাতা কে?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশাল আকৃতির ধূপকাঠি নির্মাণের শিল্পী হলেন গুজরাটের ভাদোদরা তালশালি এলাকার ভিহাভাই ভারওয়াদ নামের এক ব্যক্তি। আরও জানা গিয়েছে, তিনি গত ছয় মাস ধরে পরিশ্রম করে এই ধূপকাঠি তৈরি করেছেন। তবে এই মাসের শেষেই এর কাজ সম্পন্ন হবে। রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) জন্য নিবেদন করা হবে এই ধূপকাঠি। এর আগেও তিনি ১১১ ফুটের আরও একটি বিশাল ধূপকাঠি তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by DeshGujarat (@deshgujaratinsta)

    নির্মাণে কী কী ব্যবহার করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে এই বৃহৎ ধূপকাঠি নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৩০০ কেজি গোবর, ৯১ কেজি গব্য ঘি, ২৮০ কেজি দেবদারু গাছের কাঠ, ৩৭৬ কেজি গুগল, ২৮০ কেজি তেল, ২৮০ কেজি জাব, ৩৭০ কেজি কোপারা গুঁড়ো এবং ৪২৫ কেজি হবন বা আহুতির মশলা। এই কাজে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সাংসদ সদস্য রঞ্জাবেন ভট্ট। তিনি প্রত্যেক দিন এই কাজে দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে সময় ব্যয় করেছেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধূপকাঠিকে নিয়ে মন্দিরের প্রচার করা হবে।

    কেমন হবে যাত্রা পথ?

    ভাদোদরা থেকে অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir) প্রায় ১৮০০ কিমি দূরত্ব। এই বিশাল আকৃতির ধূপ কাঠি লম্বা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে অযোধ্যায়। ধুপকাঠি নিয়ে যাওয়ার যাত্রাপথ হবে, ভাদোদরা হয়ে হালোল, কালোল, গোধরা, শহেরা, আরাবল্লি, মোদাসা, শামলাজি, খেরওয়াদা, উদয়পুর, মালভাদা, সাভারিয়া শেঠ মন্দির, চিত্তোর, ভিলওয়ারা, দাদিয়া, কিষাণগড়, জয়পুর, ঘোসা মেহেন্দিপুর, বালাজি চোরায়া হয়ে ভরতপুর। এরপর আবার আগরা থেকে লখনউ, ইটাভা, কানপুর, উনাও, বরাবাঁকি হয়ে পৌঁছাবে অযোধ্যায়। ভক্ত মহলে এই নিয়ে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    Parliament Security Breach: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হানার (Parliament Security Breach) ঘটনায় দিল্লি পুলিশ আরও দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন কর্নাটকের বিদ্যাগিরির বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাই কৃষ্ণ। পুলিশ সূত্রে খবর, সাই কৃষ্ণের বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি। অন্যদিকে, অপর এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের জালাউন জেলা থেকে। জানা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সি এই ব্যক্তির নাম অতুল কুলক্ষেত্র।

    মনোরঞ্জনের রুমমেট ছিলেন সাইকৃষ্ণ

    প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বরই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় মনোরঞ্জন ডি নামের এক অভিযুক্তকে। ধৃতের বাড়ি কর্নাটকের মাইসুরুতে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির রুমমেট ছিল সাই কৃষ্ণ। এটা অবশ্য এখনকার কথা নয়, যখন তারা একসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং (Parliament Security Breach) পড়ত তখনকারই কথা। সাই কৃষ্ণের নাম উঠে আসে পুলিশি তদন্তে। মনোরঞ্জনকে আটক করার পরেই তার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া যায়, সেখানেই উঠে আসে সাই কৃষ্ণের নাম। পুলিশ বুঝতে পারে যে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল মাইসুরুতে মনোরঞ্জনের (Parliament Security Breach) বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গিয়েছে। টানা তিনদিন ধরে চলেছে এই জিজ্ঞাসাবাদ।

    ধৃত চারজনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে 

    অন্যদিকে, বুধবারই গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের স্মোক কাণ্ডের অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তারপর তাদের তুলে দেওয়া হয় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের হাতে।  ছয় অভিযুক্তের মধ্যে মনোরঞ্জন আনমোল এবং সাগর এবং নীলমের পুলিশি হেফাজত বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারই কলকাতায় তদন্তের জন্য পৌঁছেছিলেন ৩ সদস্যের দিল্লি-পুলিশের তিন সদস্যের দল। ধৃত ললিত ঝা যেখানে যেখানে থাকতো সব জায়গাতেই তল্লাশি (Parliament Security Breach) চালায় পুলিশ কথা বলে স্থানীয়দের সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Corona Update: বছর শেষে ফিরল করোনা আতঙ্ক! কেরলে মৃত ৩, দেশজুড়ে আক্রান্ত ২ হাজার পার

    Corona Update: বছর শেষে ফিরল করোনা আতঙ্ক! কেরলে মৃত ৩, দেশজুড়ে আক্রান্ত ২ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষে ফের করোনার (Corona Update) আতঙ্ক দেশে। যার জেরে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য একাধিক রাজ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে কেরলে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিকে, এরাজ্যেও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতা এবং জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনার কথা ভেবেই আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। রোগীদের নমুনা সংগ্রহে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মতো বিষয়গুলির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

    আবার সক্রিয় করোনা (Corona Update)

    বছরের শেষেই আবার করোনা (Corona Update) চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বুঝেই রাজ্যগুলি সতর্ক মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার নতুন উপপ্রজাতি জেএন ওয়ান-এর (JN.1) প্রাদুর্ভাব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের উপর বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। আরটিপিসি টেস্টে বিশেষ খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। টেস্ট পজেটিভ হলেই রোগীর নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে করোনার (Corona Update) প্রভাব বিষয়ে সতর্কতার বার্তা পেয়েই বেলাঘাটা আইডি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে জেলার হাসপাতালগুলিকে করোনার জন্য বেশ কিছু বেড সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধেই রোগীদের জন্য সতর্কতা এবং বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এমআর বাঙুর হাসপাতালের বেশ কিছু বেড কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আইসিইউ বেডও রয়েছে।

    কেরলে আক্রান্তের মৃত্যু সব থেকে বেশি

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যার অনুযায়ী, কেরলে গত এক দিনে ২৯২ জন করোনায় (Corona Update) আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ এবং মহারাষ্ট্রে ১১। এছাড়াও তেলঙ্গানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, গোয়া এবং গুজরাট মিলিয়ে মোট ৩৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দেশে সব মিলিয়ে মোট সক্রিয় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০,৩১১।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত (Criminal Law Bills) তিনটি বিল। কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিলগুলির বিষয়ে। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। পরিমার্জন করে এই বিলগুলিই পেশ হয়েছিল লোকসভায়। বুধবার সংসদে পাশও হয়ে গেল বিল তিনটি।

    ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত ৩ বিল

    এদিন যে তিনটি বিল পাশ হল, সেগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। আইপিসির পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। ইন্ডিয়ান এভিডেন্ট অ্যাক্টের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। বিল পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “নয়া ফৌজদারি আইনের প্রতিটি দাঁড়ি, কমা খতিয়ে দেখেছি।” তিনি জানান, মোদি সরকারের তরফে এই বিল সংক্রান্ত ১৫৮টি বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই বিলের ক্ষেত্রে ভারতীয়তা, ভারতীয় সংবিধান ও জনগণের কল্যাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

    যৌন নিপীড়নের জন্য সাজা

    নয়া বিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৩ (অনুমতি ছাড়াই আদালতে কার্যক্রম প্রকাশ), ৮৬ (নিষ্ঠুরতা) ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারা ৭৩-এ অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন বিলগুলিতে পুরানো ফৌজদারি আইনে ‘মানসিক অসুস্থতা’র মতো শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ‘অস্থির মন’।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা (Criminal Law Bills) ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। ব্রিটিশ জমানায় রাজদ্রোহ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে দেশদ্রোহ আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে দিতে চলেছেন।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তরকালে নরেন্দ্র মোদির সরকারই এক মাত্র নির্বাচনের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে।” তিনি জানান, সিআরপিসিতে ৪৮৪টি ধারা ছিল। বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩১টি। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ৯টি নয়া অনুচ্ছেদ। যোগ হয়েছে ৩৯টি উপধারাও। নয়া ধারা নিয়ে আসা হয়েছে ৪৪টি।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    শাহ বলেন, “গণপিটুনি একটি জঘন্য অপরাধ। এই আইনে আমরা এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছি। সাইবার অপরাধের জন্যও অনেক বিধান রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “নয়া তিনটি বিলে পুলিশ ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এর ফলে শাস্তি দেওয়ার সংখ্যা বাড়বে। ন্যায়বিচার, সমতা ও নিরপেক্ষতার ধারণাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরেনসিক বিজ্ঞানও (Criminal Law Bills)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: তৃণমূলের চক্রান্তে হচ্ছে না উড়ালপুল! আন্দোলনে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির শিকার শিলিগুড়ির (Siliguri) এনজেপির কাছে ঠাকুরনগরে প্রস্তাবিত রেল উড়ালপুল। রাজ্য সরকার এনওসি না দেওয়ায় রেল সম্পূর্ণ নিজের খরচে এখানে উড়ালপুল তৈরি করতে পারছে না। ফলে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে নাজেহাল হচ্ছেন। রোগী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রেলগেটে আটকে থাকছে অ্যাম্বুলেন্স। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এই উড়ালপুল তৈরির জন্য এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের পাশে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন এলাকার বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    ঠাকুরনগরে কেন রেল উড়ালপুল দরকার? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রেলগেটে এলাকার মানুষ নিত্যদিন নাকাল হন। এনজেপি দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ঘনঘন এই গেট বন্ধ হয়। দুপারে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাতে তীব্র যানজট তৈরি হয়। সাহুডাঙ্গি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সহজে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই রেলগেটই ভরসা। এই রেলগেট দিয়ে পাঁচটি জেলার মানুষের শিলিগুড়িতে যাতায়াত। সেই সব মানুষদের সঙ্গে পর্যটকরাও এই রেলগেটে আটকে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এই এলাকায় উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। আজও এখানে রেল উড়ালপুল না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়ছে।

    উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ

    সাংসদ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মানুষের এই দুর্ভোগ বন্ধ করতে  উদ্যোগ নেন বিজেপির ডাঃ জয়ন্ত রায়। বিষয়টি তিনি রেলমন্ত্রীর নজরে আনেন। সবকিছু বিবেচনা করে রেলের পক্ষ থেকে ঠাকুরনগরে সম্পূর্ণ নিজের খরচে উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় এক বছর আগে রেল মন্ত্রক থেকে এনওসি চেয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। অজানা কারণে জেলাশাসক তথা রাজ্য সরকার এনওসি দিচ্ছে না বলে জানান সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    এনওসির দাবিতে বিজেপি বিধায়কের বিক্ষোভ অবস্থান

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এনওসির দাবিতে মঙ্গলবার ঠাকুরনগর রেলগেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। তিনি বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে আমরা একাধিকবার দেখা করেছি। রেলের চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও তিনি এনওসি কেন দিচ্ছেন তা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। কেননা এখানকার সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সব বিজেপির। সেই রাগেই তৃণমূল উড়ালপুল তৈরি করতে দিতে চাইছে না। এবার এনওসি আদায়ের জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, এখানে রেল উড়ালপুলের দরকার। তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরাও এনজেপিতে রেল আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক এনওসি দিচ্ছেন না, বিষয়টি আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির ২২ তারিখে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। প্রত্যাশিতভাবেই এদিন কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আগত ভক্তদের জন্য লঙ্গরখানা খুলবেন সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর। তিনি নিহাঙ বাবা ফকির সিং খালসার ১৮তম বংশধর। ঘটনাটি ঘটছে ১৬৫ বছর পরে। ১৮৫৮ সালে তাঁর পূর্বপুরুষ অযোধ্যার বাবরি মসজিদের দখল নিয়েছিলেন। কীভাবে? ভগবান রামের জন্মভূমির ওপর মুঘলরা মসজিদ গড়েছিলেন। ১৬৫ বছর আগে সেই মসজিদের দেওয়ালে রাম নাম খোদাই করে দিয়েছিলেন তাঁরই এক পূর্বপুরুষ।  

    মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই

    ভগবান রামের প্রতি তাঁর বংশের ভক্তি অটুট। রসুলপুর জানান, ১৮৫৮ সালে ফকির সিং ও তাঁর নিহাঙ সিং সঙ্গীরা মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই করে দিয়েছিলেন। উড়িয়ে দিয়েছিলেন গেরুয়া ধ্বজা। ঘটনার (Ram Mandir) প্রেক্ষিতে নভেম্বরের ৩০ তারিখে আওয়াধ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের আগেও তিনি জানিয়েছিলেন একথা। শিখ এবং হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ কোনওদিনই চাইতেন না ফকির সিং। রসুলপুরের দাবি, তাঁদের পরিবারের বরাবর সমান বিশ্বাস শিখ ও হিন্দু ধর্মের প্রতি। তিনি জানান, রাম মন্দিরের দাবিতে প্রথম যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তা কোনও হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, এক শিখের বিরুদ্ধে।

    মাথায় পাগড়ি, পরেন রুদ্রাক্ষ 

    কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন রসুলপুর। তিনি জানান, একই সঙ্গে নিহাঙ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। শিখ হয়েও রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন রসুলপুর। একই শরীরে বহন করেন শিখ ও হিন্দুধর্মের প্রতীক। এই মানুষটিই মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় খুলবেন লঙ্গরখানা। শিখধর্মে লঙ্গরখানার চল রয়েছে। এই লঙ্গরখানার অর্থ হল নিখরচায় আগত অতিথিদের খাওয়ানো। সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক এই লঙ্গরখানা। রসুলপুর জানেন, মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আসবেন ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী হতে। লঙ্গরখানায় তাঁদের খাইয়ে তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি ও নিঃস্বার্থ সেবার বার্তাই দিতে চান রসুলপুর।

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা যখন মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের শেষ প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, তখন রসুলপুর দিন গুনছেন কবে আসবে বহু প্রতীক্ষিত সেই দিন। যেদিন তাঁর লঙ্গরখানায় সেবা করিয়ে তামাম ভারতকে রসুলপুর মনে করিয়ে দেবেন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সুমহান বাণী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প, রায় মার্কিন আদালতের

    Donald Trump: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প, রায় মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন মুলুকে। সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে তাঁর সমর্থকরা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ট্রাম্পের ভূমিকার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।

    কোন ধারায় লড়তে পারবেন না ট্রাম্প?

    উল্লেখ্য, ট্রাম্পই হলেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, যাঁকে নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করল সে দেশের আদালত। মার্কিন সংবিধানে বলা হয়েছে, যেসব অফিসিয়াল বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা পদে থাকতে পারবেন না। সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ীই নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প। জো বাইডেনের মেয়াদ শেষের মুখে। তাই মার্কিন মুলুকে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রস্তুতি। এই নির্বাচনেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ভূতপূর্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্প যাতে প্রার্থী হতে না পারেন, তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলোরাডোর ভোটারদের একটা অংশ। পিটিশনে তাঁরা জানান, ক্যাপিটলে হামলার জন্য নিজের সমর্থকদের প্ররোচিত করায় ট্রাম্পকে ডিসকোয়ালিফাই করতে হবে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আদালত জানিয়ে দিল, ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

    রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান তিনি। তার পরেও বেশ কিছু দিন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরে অবশ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেন। জর্জিয়ায় নির্বাচনের ফলে কারচুপির অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সংক্রান্ত বারোটিরও বেশি চার্জ ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এদিন ট্রাম্পের আইনজীবী আদালতে বলেন, ক্যাপিটলে অশান্তির ঘটনা এমন গুরুতর নয় যে, ট্রাম্পকে বিদ্রোহী বলা যাবে। আদালতের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনে লড়াই করা থেকে ট্রাম্পকে বঞ্চিত করার আদেশ দেওয়ার অধিকার নেই আদালতের।”

    আরও পড়ুন: সংসদের চেম্বার, লবি-গ্যালারিতেও প্রবেশ নিষিদ্ধ সাসপেন্ডেড সাংসদদের, জারি নির্দেশিকা  

    কলোরাডো সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়েছে ট্রাম্প শিবির। ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রচার কমিটির এক মুখপাত্র বলেন, “কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট আজ রাতে একটি সম্পূ্র্ণ ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত জারি করেছে। আমরা দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করব। এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ খুইয়েছেন। তাই ছাড়তে হবে দিল্লির সরকারি বাংলো। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে নোটিশও পান তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী।

    মহুয়ার আবেদন

    রিট পিটিশন দাখিল করে মহুয়ার আবেদন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা পর্যন্ত যাতে তিনি ওই বাংলোয় থাকতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। মঙ্গলবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত এড়াতেই এই নির্দেশ বলে জানান বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ। বিচারপতি প্রসাদের পর্যবেক্ষণ, “মহুয়া (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে তাঁর বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তাই এখন সরকারি বাংলো নিয়ে হাইকোর্ট যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তবে বাধাপ্রাপ্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়া। তাই আপাতত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।

    কী বললেন বিচারপতি?

    তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদের উদ্দেশে বিচারপতি প্রসাদের মন্তব্য, “আপনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করে সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আবার অন্য মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদি শীর্ষ আদালত সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে এই বিষয়টির শুনানি হতে পারে।” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে মহুয়ার মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানি হতে পারে ৩ জানুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত মহুয়ার বাংলো মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাই ৪ জানুয়ারি মামলাটি শুনবেন বিচারপতি প্রসাদ। এই সময়ের মধ্যে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে অভিযুক্ত হন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, নগদ টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে মহুয়াকে (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যান মহুয়া। তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এথিক্স কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mallikarjun Kharge: ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে! নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Mallikarjun Kharge: ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গে! নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একটি রাজ্যে জিতে কোনওরকমে মুখরক্ষা করেছে কংগ্রেস। এহেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেই (Mallikarjun Kharge) হচ্ছেন ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বছর আশির খাড়্গে উত্তরপ্রদেশের তফশিলি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত কোনও আসনে প্রার্থী হতে পারেন।

    খাড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব

    খাড়্গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। খাড়্গে অবশ্য বলছেন, “আগে জয়ী হওয়া যাক। পরে ভাবা যাবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।” মমতা ও কেজরির এই প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডি জোটের শরিক সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    নেপথ্যে কোন পার্টি-গণিত?

    পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটিতে জিতেছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস সভাপতিকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী আঁক কষেই। খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। উত্তর প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশই দলিত। তাই খাড়্গে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে কেবল উত্তর প্রদেশ নয়, বদলে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনের পার্টি-গণিতই। কারণ এই দলিত ভোটারদের সমর্থনেই ২০০৭ সালে তৃতীয়বারের জন্য উত্তর প্রদেশের কুর্সিতে বসেছিলেন বিএসপির মায়াবতী। ইন্ডি জোটের ভোট ম্যানেজারদের হিসেব, এই ভোটের সঙ্গে কংগ্রেসের নিজস্ব ভোট যোগ হলে, গোটা দেশেই ঘুরে দাঁড়াবে কংগ্রেস। যার জেরে আদতে উপকৃত হবে ইন্ডি জোট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    এহ বাহ্য। খাড়্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একমাত্র শিখ মনমোহন সিংহ। খাড়্গেকে দাঁড় করিয়ে সংখ্যালঘু ভোটও ইন্ডি জোটের ঝুলিতে নিয়ে আসতে চাইছেন ভোট ম্যানেজাররা। সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সোনিয়ার জেতা রায়বেরিলি কেন্দ্রেই প্রার্থী করা হতে পারে খাড়্গেকে। এই কেন্দ্রে তফশিলি ভোট রয়েছে ১৫ শতাংশ। মুসলিম ভোট ২৫ শতাংশ। এর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী দলগুলির ভোট এক বাক্সে পড়লে খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) জয় একপ্রকার নিশ্চিত। তবে খাড়্গে জিতলেও, ইন্ডি জোটের কী হাল হয়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share