Tag: Bengali news

Bengali news

  • NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    NIA: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (plfi) ডেরায় হানা এনআইএ-র (NIA)। সূত্র মারফত খবর পেয়ে চার রাজ্যে অভিযান চালায় এনআইএ। উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় সেনার উর্দি এবং আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন দুই মাওবাদীকে। ঝাড়খণ্ড লিবারেশন টাইগার্স নামে পরিচিত পিএলএফআই আদতে মাওবাদীদের দলছুট একটি গোষ্ঠী। এদের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

    কী কী মিলল?

    শুক্রবার ঘণ্টা চারেক ধরে অভিযান চলে। বিহারে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন এনআইএ-র ডিএসপি মহেন্দ্র সিংহ রানা। উদ্ধার হয় ভারতীয় সেনার একটি উর্দি, দুটি বেআইনি অস্ত্র, প্রচুর নথিপত্র, নগদ টাকা এবং সোনার গয়না। চলতি বছর ১১ অক্টোবর পিএলএফআইয়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। এর পরেই পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এনআইএ। সেই মতো শুক্রবার চার রাজ্যের ২৩টি জায়গায় একই সময়ে হানা দেয় এনআইএ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে জঙ্গি কার্যকলাপ করার পরিকল্পনা করেছিল পিএলএফআই। তাদের বিরুদ্ধে জুলুম ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

    কোথায় কোথায় হানা? 

    এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, এদিন ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লির মোট ২৩টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দুটি পিস্তল, কিছু কার্তুজ এবং বিস্ফোরকের পাশাপাশি সোনার গয়না, নগদ তিন লক্ষ টাকা, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং নথিপত্র। এনআইএ (NIA) সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের গুমলা, রাঁচি, সিমডেগা, খুঁটি, পালামু, পশ্চিম সিংভূম জেলার ১৯টি ডেরায় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। অভিযান চালানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সিধি, বিহারের পাটনা এবং দিল্লির দুটি ডেরায়।

    আরও পড়ুুন: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে মাওবাদীদের ডেরায় ভারতীয় সেনার উর্দি মেলায় জঙ্গিরা নাশকতার ছক কষেছিল কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা (NIA)। ফি বার প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে লালকেল্লায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দেশ-বিদেশের প্রচুর অতিথি-অভ্যাগত উপস্থিত থাকেন। তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, সেনার উর্দি পরে সেদিনই সেনার ভিড়ে মিশে গিয়ে হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে ফরাক্কা স্টেশনের কাছে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। রেল লাইনের ওপরে উঠে যায় ট্রাক। চালক জুরুরি ব্রেক কষায় চাকায় আগুল লেগে যায়। তবে, এই ঘটনার জের মিটতে মিটতেই অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মুম্বই মেল (Mumbai Mail)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বীরশিবপুর স্টেশনে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mumbai Mail)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলে উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে আপ মুম্বই মেল (Mumbai Mail) ছাড়ে। ছাড়ার ঠিক পরেই ট্রেনের কাপলিং খুলে যায় বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে। ট্রেনের কাপলিং খুলে দু’টি কামরা নিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় মুম্বই মেল। বাকি কামরা পড়ে থাকে বীরশিবপুর স্টেশনেই। এই দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। যাত্রী দুর্ভোগ চূড়ান্ত। অবশেষে চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টার পর রাত দেড়টা নাগাদ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় মুম্বই মেলটি। যাত্রীরা বলেন, জোরে শব্দ করে ট্রেনটি কিছু দূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। আচমকা ট্রেন কেন দাঁড়িয়ে গেল দেখতে দেখি, ট্রেনের দুটি কামরা সহ ইঞ্জিন নেই। যদিও  দু’টি কোচ নিয়ে ইঞ্জিন এগিয়ে গিয়ে থেমে গিয়েছে। বাকি কামরাগুলো পিছনেই রয়ে গিয়েছে। ফলে, চরম আতঙ্কিয় হয়ে পড়েছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খবর পেয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে কাপলিং মেরামতের কাজ শুরু করেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারি আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন,  এই দুর্ঘটনার ফলে ট্রেন চলাচলে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। আর কাপলিং খুলে গেলেও বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ অটোমেটিক ব্রেক লক হয়ে যায়। রেল কর্মীরা গিয়ে দ্রুত মেরামতির কাজ করেছেন। তবে কী ভাবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানতে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan Peoples Party: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন বিলাওয়াল ভুট্টো?

    Pakistan Peoples Party: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন বিলাওয়াল ভুট্টো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (Pakistan Peoples Party) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। প্রার্থী হচ্ছেন তাঁর বাবা আশিফ আলি জারদারিও। পাকিস্তানের এই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফের লড়বেন প্রেসিডেন্ট পদে। দলের চেয়ারম্যান ফয়জল করিম কুন্ডি জানিয়েছেন বিলাওয়াল ও তাঁর বাবার প্রার্থী হওয়ার খবর। জারদারি যে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন, সে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সিনিয়র জারদারি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে বিলাওয়াল নিজে কিংবা খুরশিদ শাহ দলের তরফে হবেন যোগ্য প্রার্থী।

    কী বললেন আশিফ? 

    আশিফ বলেন, “বিলাওয়াল প্রার্থী হতে পারে। আমিও প্রার্থী হতে পারি। খুরশিদ শাহও বলেছেন প্রার্থী হবেন।” ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফয়জল কুন্ডি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন বিলাওয়াল। ২০১৮ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তিও হতে পারে। আশিফ আলি জারদারিকে ফের প্রেসিডেন্ট পদে দেখা যেতে পারে। তিনি বলেন, “২০১৮ সালের রিপ্লে দেখতে চাই আমরা। আশিফ আলি জারদারিকে প্রেসিডেন্ট করতে চাই।” প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালেও প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন আশিফ আলি জারদারি।

    ‘ড্রয়িং রুম পলিটিক্স’

    তিনি জানান, পিপিপির অবস্থানই হল, ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির পরে নির্বাচন হওয়া উচিত নয়। নওয়াজ শরিফের সমালোচনা করে কুন্ডি বলেন (Pakistan Peoples Party), নওয়াজের দল নির্বাচনে অংশ নিতে দ্বিধা করছে। তিনি একে ‘ড্রয়িং রুম পলিটিক্স’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, “নির্বাচন এড়িয়ে কেন তারা দাবি করছে যে তারা দেশের বৃহত্তম দল?” কুন্ডির দাবি, দেশবাসী পিপিপির সঙ্গেই রয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে দল পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?

    নির্বাচনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রসঙ্গে কুন্ডি জানান, এই জাতীয় নিষেধাজ্ঞা দল প্রসারিত করার স্বাধীনতার পরিপন্থী। মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে জনগণের। এদিন নওয়াজকেও নিশানা করেছেন কুন্ডি। বলেন, “এই ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে। একটার পর একটা মামলায় তিনি খালাসও হচ্ছেন। তাই জনগণের জানা উচিত ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো ঠিক না ভুল।” তিনি (Pakistan Peoples Party) বলেন, “ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো কারও সম্পত্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) ধৃত ললিত ঝায়ের। টানা পুলিশি জেরায় ললিতের স্বীকারোক্তি, প্ল্যান-এ সফল না হলে প্ল্যান-বি তৈরি ছিল সাগর-নীলমদের। লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এই ললিতই। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে সে। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সে নষ্ট করে ফেলেছে নিজের ও বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনগুলি।

    মাস্টারমাইন্ড ললিত

    বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়ে দুই হানাদার। আগে থেকে জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তার জেরে অধিবেশন কক্ষ ভরে যায় রঙিন ধোঁয়ায়। পরে দুই সাংসদের হাতে ধরা পড়ে যায় হানাদাররা। ওই ঘটনায় সংসদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। তার পরেই জানা যায়, লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মাস্টারমাইন্ড ললিত। ললিতকে টানা জেরা করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।

    কী জানাল ললিত?

    লাগাতার জেরায় তদন্তকারীদের ললিত জানিয়েছে, যদি ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণের সুযোগ সাগর-নীলমরা না পেত, তাহলে তৈরি ছিল প্ল্যান-বি। ললিত বলেন, “যদি প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী নীলম ও আমল সংসদের সামনে পৌঁছতে না পারত, তাহলে মহেশ ও কৈলাশকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। অন্য দিক থেকে লোকসভায় গিয়ে কালার বম্ব ফাটাত ওরা। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে স্লোগান দেওয়ার জন্যও তৈরি ছিল দুজন।”

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পর যাতে তারা পালাতে পারে, সেজন্য বাকিদের সাহায্য করতেও একটি প্ল্যান তৈরি করে রেখেছিল ললিত। কথা ছিল, সকলেই পালিয়ে যাবে রাজস্থানে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নীলম, সাগর, মনোরঞ্জন ও আমলকে পালাতে সাহায্য করার কথা ছিল মহেশের। ললিতের জন্য গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করেছিল এই মহেশই। এই গেস্ট হাউসে বসেই টেলিভিশনের পর্দায় লোকসভাকাণ্ডের খবরের ওপর নজর রাখছিল সে।

    এদিকে, সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার দিনের মতোই সাগর ও মনোরঞ্জন দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেবে লোকসভার চেম্বারে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি পেরিয়ে বুধবার তারা কীভাবে লোকসভার অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েছিল, মূলত তা-ই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Parliament Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সময় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া দাবি করে বঞ্চনার রজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন বার বার। সেই প্রেক্ষাপটে ওই বৈঠকে বকেয়া নিয়েই আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তার আগে এই বৈঠক নিয়ে মমতাকে কটাক্ষবাণে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার হলদিয়ার (Haldia) এক সভা থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার আশা আদৌ পূরণ হবে না। তিনি সরাসরি আক্রমণ হেনে বলেন, “মোদিজির পায়ে ধরে লাভ নেই। কিছুই পাবেন না।” শুভেন্দুর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রী সময় চাইলে উনি দেবেন, এটাই সৌজন্য। কিন্তু এভাবে দরবার করে কোনও আর্থিক সাহায্য মিলবে না।

    টাকা ফেরত পাবেন, আশ্বাস শুভেন্দুর (Haldia)

    শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন। তৃণমূলের ক্যাডাররা যেভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, তা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, “সব চোর জেলে যাবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, জনগণের টাকা যারা মেরেছে, তাদের জেলে পোরা।” বঞ্চিত এবং হতাশ মানুষকে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা সব কাগজ গুছিয়ে রাখবেন। সব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আবাস যোজনায় চোরেদের নাম কেটে প্রকৃত উপভোক্তার নাম ঢোকাতে হবে।” এদিন তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরও শাসক দলের অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, সতীশ সামন্তর জন্ম বার্ষিকীতে এদিন দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল হলদিয়ায় (Haldia)।

    তৃণমূলকে সরিয়ে দিল পুলিশ (Haldia)

    এদিনই আর একটি উলট পুরাণের সাক্ষী থাকল হলদিয়া (Haldia)। বিজেপির সভামঞ্চের কাছেই দু’দিন ধরে ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। শুক্রবার আচমকাই তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ধর্নার জন্য পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না বলে প্রশাসনের বক্তব্য। যদিও এই বিষয় নিয়ে এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোটে। তাই কি আদালতের তিরস্কার আটকাতেই আগেভাগে অতি সক্রিয়তা দেখালো পুলিশ? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এই নজিরবিহীন পদক্ষেপে আদালত অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, এই ধরনের সমস্যায় পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বহু বছর পর তিনি দেখলেন, তারা এই ধরনের ব্যাবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আর্জি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি পর্বের রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। অভিষেকের এই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

    কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার? তদন্তে নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সম্প্রতি একটি মুখবন্ধ খামে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে কি এত নথি জমা পড়ত? এসব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?” বিচারপতি সিনহা এও বলেছিলেন, “দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৪ সালের পর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি। এই ব্যপারটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে?”

    অভিষেকের আবেদন

    বিচারপতি সিনহার সেই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তৃণমূল নেতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর মক্কেলের (Abhishek Banerjee)।” কলকাতা হাইকোর্টের যে বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি রয়েছে, সেখানে থেকে মামলাটি সরানোর আর্জিও জানানো হয়। অভিষেকের সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, “যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এই সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Parliament Security Breach: বাগুইআটিতে ললিতের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ, থাকত পরিবারও, কী বলছে ভাই?

    Parliament Security Breach: বাগুইআটিতে ললিতের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ, থাকত পরিবারও, কী বলছে ভাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই সংসদ হামলার (Parliament Security Breach) অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-র বাংলা যোগের প্রমাণ মিলেছিল। এবার বাগুইআটিতে মিলল দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ। জানা গিয়েছে, বাগুইআটির হেলা বটতলার পালপাড়াতে তিন বছর ধরে পরিবারের সঙ্গেই ভাড়া থাকত ললিত। তবে ললিত যে এমন কাজ করতে পারে তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা। ভালো ছেলে বলেই পরিচিত ছিল ললিত। জানা যায়, সংসদ ভবনে হানার দিন বাইরে নীলম এবং আনমোল যখন স্লোগান দিচ্ছিল, তখন তা ভিডিও করে ললিত। এরপরে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দেয় সে। সেখানে ললিতকে (Parliament Security Breach) সাহায্য করে মহেশ ও কৈলাস নামে দুই ব্যক্তি। তাদেরকেও আটক করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। মূলত তাদের সহায়তেই রাজস্থানের হোটেলে থাকে ললিত। শুক্রবার ললিতকে পাতিয়ালা কোর্টে তোলা হলে, বিচারক তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    ১০ ডিসেম্বর পরিবার যায় বিহারে, থেকে যায় ললিত

    প্রতিবেশীদের দাবি, গত ১০ ডিসেম্বর ললিতের বাবা-মা এবং ভাই বিহারে চলে যায়। ললিত কিন্তু পালপাড়াতে থেকে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে সে প্রতিবেশীদের জানায় কয়েক দিনের মধ্যে সে ফিরে আসবে। এক প্রতিবেশীর মতে, সেখানে তারা (ললিতের পরিবার) অনেকদিন ধরেই ভাড়া থাকত এবং স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াত ললিত। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের টিউশনিও দিত সে। বাড়িতে সন্দেহভাজন সেরকম কেউ আসত না বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সংসদ ভবনে হামলার অভিযোগে এখনো পর্যন্ত সকল অভিযুক্তকে (Parliament Security Breach) গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই সেদিন চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশাল শর্মাকে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ললিত।

    কী বলছে ললিতের ভাই?

    ললিতের ভাই সোনু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দশ ডিসেম্বর শিয়ালদা স্টেশনে তাদেরকে রওনা করতে এসেছিল ললিত। সেদিনই তারা (ললিতের পরিবার) বিহারে পৈতৃক বাড়িতে ফিরে যায়। তখনই তাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয় ললিতের। তারপর ১১ ডিসেম্বর ফোনে কথা হয়। তখন ললিত (Parliament Security Breach) বলে যে সে দিল্লিতে যাবে। জানা গিয়েছে, ললিতের বাবা পেশাতে পুরোহিত এবং পূজা-অর্চনা করেন। ললিতের বাকি দুই ভাই দোকানে কাজ করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর ঘরে কারা ঢুকছেন, বেরচ্ছেনই বা কারা, এবার থেকে তা নজরদারি করবে সিআরপিএফ। ব্যবহার করতে হবে রেজিস্টার খাতা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তা খুলে ফেলার নির্দেশও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে আদালত।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ইডি। এর পরেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে মামলা করেন মন্ত্রী। তার জেরেই এদিন মন্ত্রীর কেবিন থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ

    বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, মন্ত্রীর ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা রাখা যাবে না। তবে রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে লাগানো থাকলে, তদন্তের স্বার্থে তার ফুটেজ দেখতে পারবেন ইডির তদন্তকারী অফিসার। সিসি ক্যামেরার পরিবর্তে মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর ঘরে যাঁরা যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের গতিবিধি নথিভুক্ত করতে হবে রেজিস্টার খাতায়। 

    রাজ্য পুলিশকে চিঠি ইডির

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Jyotipriya Mallick) মামলায় তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও, সেভাবে তদন্ত হয়নি। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই অভিযোগগুলির তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ মিলবে। তাই রাজ্য পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির জাল। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইডি তা (Jyotipriya Mallick) করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rajasthan: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ভজনলাল শর্মার

    Rajasthan: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ভজনলাল শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রাজস্থানের (Rajasthan) ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভজনলাল শর্মা। এদিনই তাঁর সঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখা যায় দিয়া কুমারী এবং প্রেমচাঁদ বৈরওয়াকে। শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে (Rajasthan) হয় এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি। বিজেপির সূত্রে খবর, পরবর্তী সময় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে।

    কারা হাজির ছিলেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি, উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য সমেত অন্যান্যরা। এই দিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজস্থানের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও।

    শপথের আগে জয়পুরের একটি মন্দিরে পুজো দেন ভজনলাল

    শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের (Rajasthan) আগে জয়পুরের একটি স্থানীয় মন্দিরে পুজো অর্পণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। তার আগে তিনি বাবা এবং মায়ের পা ধুয়ে প্রণামও করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রসঙ্গত, ছত্তিসগড়, রাজস্থান (Rajasthan), মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয় ৩ ডিসেম্বর। সেদিনই তিন রাজ্যে বিপুল জয় পায় বিজেপি। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাকি ২ রাজ্যের মতো রাজস্থানেও পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। পর্যবেক্ষক দল বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন ভজনলালকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও ছিলেন এই পর্যবেক্ষক দলে। তাঁর উপস্থিতিতে ভজনলালের নাম ঘোষণা করেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

    প্রাক্তন এবিভিপি কর্মী ছিলেন ভজনলাল

    এর আগে ভজনলাল বিজেপির রাজস্থানের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ভজনলাল শর্মা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের প্রাক্তন কর্মী বলে পরিচিত। তিনি ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়ণের বিরুদ্ধে এবিভিপির আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন। সেই সময় অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান (Rajasthan) বিধানসভাতে বিজেপি জিতেছে ১১৫টি আসনে কংগ্রেস জিততে সমর্থ হয়েছে ৬৯ আসনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    Parliament Security Breach: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদের সময় একজোট হওয়াটাই দস্তুর। এমন উদাহরণ রয়েছে ‘মহাভারতে’ও। তবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি আবার কবে মান্যতা দিয়েছে ‘রামায়ণ’-‘মহাভারত’কে? তাই লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) পরেও সরকারের পাশে না থেকে লড়াই করছেন রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে! অন্তত এমনই অভিযোগ শাসক দলের।

    কী বললেন শাহ?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এটি একটি সিরিয়াস ঘটনা। বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ফাঁক ছিল। কিন্তু সবাই জানে, সংসদের নিরাপত্তা স্পিকারের অধীনে থাকে ও স্পিকার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গড়েছি। খুব শীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে স্পিকারের কাছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন কেন হল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি লোকসভার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তদন্ত (Parliament Security Breach) কমিটিকে। তিনি বলেন, “কোনও ফাঁক থাকা উচিত নয়। যদি কোনও ফাঁক থেকে যায়, তা পূরণ করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের আবেদন, এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।”

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেয় দুই হানাদার। যে সময় তারা লাফিয়ে পড়েছিল, সেই সময় ছিল লোকসভার জিরো আওয়ার। প্রশ্ন করছিলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। হঠাৎ করে এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান সাংসদরা। সেই সুযোগে হানাদাররা জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেডের ক্যান দেয়। রঙিন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় অধিবেশন কক্ষ। সেই সময় কোনওমতে দুই সাংসদ – উত্তরপ্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির মালুন নাগর ও রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির হনুমান বেনীওয়াল ধরে ফেলেন হানাদারদের।

    আরও পড়ুুন: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামের ওই দুই হানাদারকে তুলে দেওয়া হয় মার্শালের হাতে। পরে সংসদের বাইরে একই কাণ্ড ঘটানোয় গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। চারজনকেই তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে। ঘটনার দিন লোকসভায় ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরের দিনই তিনি প্রবীণ মন্ত্রীদের ডেকে সবিস্তারে অবগত হন বিষয়টি। সেই সময়ই তিনিও জানিয়েছিলেন, এটা নিরাপত্তার বিষয়। এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তারই (Parliament Security Breach) প্রতিধ্বনি শোনা গেল তাঁরই সতীর্থ অমিত শাহের মুখেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share