Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ram Temple: হাজার বছরেও সংস্কার করতে হবে না অযোধ্যার রাম মন্দির, টলবে না ভূমিকম্পেও!

    Ram Temple: হাজার বছরেও সংস্কার করতে হবে না অযোধ্যার রাম মন্দির, টলবে না ভূমিকম্পেও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বোধনের দোরগোড়ায় অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Temple)। মন্দির নির্মাণ হয়েছে নাগারা স্টাইলে। নির্মাণ করছে চন্দ্রকান্ত ভাই সোমপুরা। গোলাপি স্যান্ড স্টোন দিয়ে তৈরি হয়েছে মন্দির। খোদাই করা হয়েছে রাজস্থানের মির্জাপুর ও বাঁশি-পাহাড়পুর থেকে আনা মার্বেল পাথর। ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথরও ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, “এ পর্যন্ত ২১ লক্ষ কিউবিক ফিট গ্রানাইট, স্যান্ডস্টোন এবং মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির নির্মাণে।”

    ভূমিকম্পে নড়বে না মন্দির

    মন্দির নির্মাণে স্টিল এবং সাধারণ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। চেন্নাই আইআইটির পরামর্শে মন্দিরের ভিত ১২ মিটার গভীর। ভিত ভরতে যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে, আঠাশ দিনের মধ্যেই তা পাথরে পরিণত হতে পারে। রাই জানান, যেভাবে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে, তাতে অন্ততপক্ষে হাজার বছর মন্দির সংস্কারের প্রয়োজন হবে না। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৫ হলেও, ভিত নড়বে না মন্দিরের। মন্দিরের সিংহদুয়ার পেরিয়ে ভগবৎ দর্শনে যেতে পার হতে হবে ৩২টি সিঁড়ি। মন্দির নির্মাণে (Ram Temple) যেসব ইট-পাথর ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি ১৯৯২ সালের আগে-পরে শিলাদান কর্মসূচিতে দিয়েছিলেন ভক্তরা। গত তিন দশক ধরে বিশ্বহিন্দু পরিষদ এগুলি অযোধ্যাক্ষেত্রে জমা করেছিলেন। মন্দির কমিটির তরফে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রাউন্ড ফ্লোরের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে নির্মাণ কর্মীদের। কারণ ২২ জানুয়ারি এখানেই হবে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা।

    নির্মাণ কাজ শেষ হবে কবে?

    ফার্স্ট ও সেকেন্ড ফ্লোরের কাজ হবে দ্বিতীয় দফায়। এই দুই তলে থাকবে ৩৬০টি অতিকায় পিলার। এই পিলারগুলিতে থাকবে ম্যুরাল, খোদাই কার্য। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই দুই তলের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে নির্মাণ কর্মীদের। ফার্স্ট ফ্লোরে হবে রাম দরবার। এখানকার প্রতিটি স্তম্ভে ২৫-৩০টি মূর্তি খোদাই করা হবে। মন্দির বাইরে নির্মাণ করা হবে মহর্ষি বাল্মীকি, বিশ্বামিত্র, নিষাদ, শাব্রি প্রমুখের সাতটি মন্দির। মন্দির নির্মাণের তৃতীয় দফার কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। এই দফায়ই গড়ে উঠবে ওই সাতটি মন্দির। তৈরি হবে অডিটোরিয়াম, ব্রোঞ্জের ম্যুরাল ইত্যাদিও।

    আরও পড়ুুন: রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন পর্দার রাম অরুণ গোভিলও

    রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এরই একটি বসানো হবে মন্দিরের গর্ভগৃহে। বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হবে ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৭ জানুয়ারি সকাল থেকে সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার। রামলালার যে তিনটি বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার একটি মাকরানা মার্বেল পাথরে তৈরি। আর বাকি দুটি তৈরি করা হয়েছে কৃষ্ণ শিলা থেকে। শিলাগুলির গুণমান যাচাই করতে পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্সে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মেলার পর মূর্তি নির্মাণ করতে বলা হয়েছে ভাস্করদের। তিনটি মূর্তিও ৫১ ইঞ্চি লম্বা। দেব দর্শন করতে হবে ২৫ ফুট দূর থেকে। ফি বছর রাম নবমীর দিন বেলা ১২টায় গর্ভগৃহে থাকা রামলালার কপালে পড়বে সূর্যালোক। মন্দির কমিটির দাবি, এই দৃশ্য দেখতেও রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনে আসবেন বহু অনুসন্ধিৎসু মানুষও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manik Bhattacharya: বাম আমলে হয়েছিলেন অধ্যক্ষ, তৃণমূলের সেই ‘মানিকে’র নিয়োগই অবৈধ, জানাল ইউজিসি

    Manik Bhattacharya: বাম আমলে হয়েছিলেন অধ্যক্ষ, তৃণমূলের সেই ‘মানিকে’র নিয়োগই অবৈধ, জানাল ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি গাছেরও খেয়েছেন, তলারও কুড়িয়েছেন! বাম জমানায় হয়েছিলেন কলেজের প্রিন্সিপাল। সেই তিনিই তৃণমূল জমানায় হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। ঘাসফুল প্রতীকে নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে বিধায়কও হয়েছেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় পরে অবশ্য সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এহেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাম জমানায় ১৯৯৮ সালে অবৈধভাবে কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন তিনি।

    কী বলছে ইউজিসি?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের এই ‘মানিক’। জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন তিনি কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। মানিককে ওই পদে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মানিকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়েছিল কিনা, তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সেই হলফনাম জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। হলফনামায় জানানো হয়েছে, বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল মানিককে (Manik Bhattacharya)। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ হতে গেলে কোনও ব্যক্তিকে স্নাতকোত্তর স্তরে অন্তত ৫৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। পিএইচডি কিংবা সমতুল্য কোনও কোনও যোগ্যতা থাকাও বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এই সব যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মানিক যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

    বেআইনিভাবে অধ্যক্ষ হয়েছিলেন!

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে রয়েছেন জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ফিরলে মামলাটি উঠবে শুনানির জন্য। সেই শুনানিতেই এই হলফনামা নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানাবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, দানিশ ফারুকি নামে যোগেশের এক ছাত্র অবৈধ নিয়োগ নিয়ে মামলা করেন হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, যোগেশের প্রিন্সিপাল হিসেবে মানিকের নিয়োগ অবৈধ ছিল। প্রিন্সিপাল পদে বসার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও, ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলাকারীর দাবি, যত দিন মানিক (Manik Bhattacharya) ওই কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে বেতন নিয়েছিলেন, সেই বেতন তাঁর কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: উদ্বেগের অবসান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহন যাদব, সিলমোহর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “জম্মু-কাশ্মীরকে অন্য রাজ্যগুলোর সমতুল করতেই ৩৭০ ধারা”, বললেন বিচারপতি কাউলও

    Supreme Court: “জম্মু-কাশ্মীরকে অন্য রাজ্যগুলোর সমতুল করতেই ৩৭০ ধারা”, বললেন বিচারপতি কাউলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়। সোমবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধান মেনেই উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    কী বললেন বিচারপতি কাউল?

    এদিনই ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে অন্য একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউল জানান, ১৯৮০ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিচারপতি কাউল বলেন, “ভূস্বর্গে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র নয় এমন কলাকুশলীদের দ্বারা যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, তার তদন্তে যে নিরপেক্ষ ট্রুথ ও রিকনসিলিয়েশন কমিটি গড়া হয়েছে, আমি তা অনুমোদন করেছিলাম। ১৯৮০ সাল থেকে ওই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে চলেছে। সমন্বয় সাধনের যেসব পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে, আমি তাও অনুমোদন করি।”

    ‘ভূস্বর্গের ক্ষতগুলো নিরাময়ের প্রয়োজন’

    তিনি (Supreme Court) আরও বলেন, “সামনের দিকে এগোতে গেলে ভূস্বর্গের ক্ষতগুলো নিরাময়ের প্রয়োজন। সেখানকার বাসিন্দারা আন্তঃপ্রজন্মীয় ট্রমায় ভুগছেন। তাঁদের ক্ষত নিরাময় করতে গেলে প্রথমে জানতে হবে সেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র নয় এমন কলাকুশলীদের দ্বারা যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে, সে সম্পর্কে।” বিচারপতি কাউল বলেন, “৩৭০ ধারার উদ্দেশ্যই ছিল, জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর সমতুল করে তোলা। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার অনুমোদনকে এভাবে দেখা ঠিক হবে না যে, এটা কোনও আলাদা অঙ্গরাজ্য।” তিনি বলেন, “৩৬৭ ধারা ব্যবহার করে ৩৭০ ধারার সংশোধন করার সময়ও আমি বলেছি, যখনও কোনও পদ্ধতি নিয়ে কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়, তখন তা অনুসরণ করতে হয়। পিছনের দরজা দিয়ে সংশোধনী আনা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয় (Supreme Court)।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানি যোগ! ১০ দিনে ৫২জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। যার জেরে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ পায়। এনিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়। সোমবার ওই মামলায় রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Yadav: উদ্বেগের অবসান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহন যাদব, সিলমোহর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের

    Mohan Yadav: উদ্বেগের অবসান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহন যাদব, সিলমোহর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। বিদায়ী সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন বছর আটান্নর মোহন। উজ্জ্বয়িনী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। মোহন এই জেলা থেকে পর পর তিনবার বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। বিদায়ী সরকারে মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। সেই পদেই মোহনকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    মোহন কাহিনি

    ১৯৬৫ সালে জন্ম মোহনের। ছাত্রাবস্থায়ই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ২০১৩ সালে পদ্ম প্রতীকে জিতে প্রথমবার পা রাখেন বিধানসভায়। পাঁচ বছর পর ফের বিপুল ভোটে জয়ী হন মোহন। ২০২০ সালে শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় মোহনের। হন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। দক্ষতার জেরে দ্রুত মোহন নজরে পড়ে যান বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ফের পদ্ম প্রতীকে জয়ী হন মোহন (Mohan Yadav)। বস্তুত তার পরেই মোহনের মাথায় যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ উঠবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার বিজেপির তরফে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহনের নাম ঘোষণা করা হয়। তার পরেই মধ্যপ্রদেশজুড়ে খুশির হাওয়া। যদিও স্বভাব-বিনয়ী মোহন বলছেন, “আমি দলের একজন ছোট কর্মী। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ায় দলকে ধন্যবাদ।” 

    শিবরাজের শুভেচ্ছা

    মুখ্যমন্ত্রী পদে মোহনের নাম ঘোষণা হতেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। মোহনের মাথায় হাত রেখে তাঁকে আশীর্বাদও করতে দেখা যায় চৌহানকে। মধ্যপ্রদেশের কুর্সিতে বিজেপি কাকে বসায়, তা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। চর্চায় ছিল বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম। শেষমেশ সিলমোহর পড়ে মোহনের নামে। জানা গিয়েছে, মোহন আরএসএস ঘনিষ্ঠ। শিবরাজও আরএসএস ঘনিষ্ঠ। সঙ্ঘের তরফে তাঁকেই উত্তরসূরি বাছতে বলা হয়েছিল। তিনিই প্রস্তাব করেন মোহনের নাম। শিবরাজের বিরুদ্ধে দলের মধ্যেই পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ক্ষোভ। তাছাড়া মোহন ওবিসি সম্প্রদায়ের। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের কুর্সিতে মোহনকে বসিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারল বিজেপি। একদিকে যেমন উজ্জ্বল ভাবমূর্তির মোহনকে বসিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়া গেল, তেমনি বার্তা দেওয়া হল ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদেরও। মধ্যপ্রদেশের (Mohan Yadav) অনেক আসনেই নির্ণায়ক শক্তি যাঁরা।    

    আরও পড়ুুন: বিশ্বমানের শহর হিসেবে রামনগরীকে গড়ে তুলতে সরকারের ৮ নীতি কী কী?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Courts Verdict: ৩৭০ ধারা নিয়ে ‘সুপ্রিম’ রায়, কী বলছেন ভূস্বর্গের নেতারা?

    Supreme Courts Verdict: ৩৭০ ধারা নিয়ে ‘সুপ্রিম’ রায়, কী বলছেন ভূস্বর্গের নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়। সোমবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Courts Verdict)। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধান মেনেই উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুশি বিজেপি নেতারা।

    কী বলছেন ভূস্বর্গের নেতারা?

    তবে ভিন্ন সুর ভূস্বর্গের বিজেপি-বিরোধী নেতাদের কণ্ঠে। কী বলছেন ভূস্বর্গের নেতারা? কাশ্মীরের রাজা হরি সিংহের ছেলে কংগ্রেস নেতা করণ সিংহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের একটি শ্রেণি এই রায়ে খুশি হননি। তাঁদের প্রতি আমার পরামর্শ, অনিবার্য রায় মেনে নিন। সুপ্রিম কোর্ট এই পদক্ষেপ বহাল রেখেছে। তাই এখন দেওয়ালে মাথা ঠোকা অর্থহীন।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন (Supreme Courts Verdict), “হতাশ হলেও লড়াই চলবে। এই জায়গায় পৌঁছতে বিজেপির কয়েক দশক লেগেছে। দীর্ঘ পথ চলার জন্য আমরাও প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, রবিবারই বারামুলার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ওমর আবদুল্লা বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই চলবে।

    কী বলছেন মুফতি, আজাদ?

    কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের মানুষ হার মানবে না, আশাও ছাড়বে না। আমাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার লড়াই অব্যাহত থাকবে। এখানেই সব শেষ হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্ত ভারত ভাবনার পরিপন্থী।” কংগ্রেস ছেড়ে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি গড়েছেন গুলাম নবি আজাদ। কাশ্মীরের এই নেতা বলেন, “এই রায় দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এই রায়ে খুশি নন, কিন্তু আমাদের গ্রহণ করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ বৈধ! রায় সুপ্রিম কোর্টের, জানেন এই ধারার ইতিহাস?

    এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ভূস্বর্গে। জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির দাবি, গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁদের। যদিও আবদুল্লা ও মুফতির দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার। তিনি বলেন, “একেবারেই ভিত্তিহীন দাবি। কোনও নেতাকেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়নি। গুজব ছড়ানোর জন্যই এসব বলা হচ্ছে (Supreme Courts Verdict)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানালেন মোদি-শাহ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানালেন মোদি-শাহ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”। সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে আমাদের ভাইবোনেদের আশা-আকাঙ্খা, সমৃদ্ধি এবং ঐক্যের প্রতিধ্বনি এই রায়।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, সেই সিদ্ধান্ত উনিশের ৫ অগাস্ট নিয়েছিল দেশের সংসদ। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে আমাদের ভাইবোনেদের আশা-আকাঙ্খা, সমৃদ্ধি এবং ঐক্যের প্রতিধ্বনি এই রায়। আমরা ভারতীয়রা, যে ঐক্যকে ভালবাসে এবং সবকিছুর ওপরে গুরুত্ব দেয়, এই ভাবনাকে তার গভীর জ্ঞান দিয়ে মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।”

    প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের প্রাণোচ্ছ্বল বাসিন্দাদের আমি এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, আপনাদের স্বপ্নপূরণের যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, তা পূরণের কাজ চলছে। উন্নতির সুফল যে কেবল আপনাদের হাতে পৌঁছবে তা নয়, তার লভ্যাংশ ভোগ করবেন সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ। ৩৭০ ধারা আরোপের জেরে যাঁরা এতদিন ধরে দুঃখকষ্ট ভোগ করেছেন, তাঁরাও এর সুফল কুড়োবেন।“ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও লিখেছেন, “শীর্ষ আদালতের এই রায় কেবল একটি বৈধ রায় নয়, এটা একটা আশার আলো, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি এবং আরও শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার দলিল।” 

    রায়কে স্বাগত শাহেরও

    সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক্স হ্যান্ডেল তিনিও লিখেছেন, “ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে আমি সম্মান করি। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদিজি। তার পর জম্মু-কাশ্মীরে ফিরে এসেছে শান্তি এবং স্বাভাবিকতা। লাগাতার হিংসায় উপত্যকাবাসীর জীবনছন্দের যে তাল কেটে গিয়েছিল, সমৃদ্ধি এবং বিকাশ তাঁদের জীবনে নতুন অর্থ দিয়েছে। পর্যটনে সমৃদ্ধি এবং কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখবাসীর আয় বাড়িয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায় জানিয়ে (PM Modi) দিল, ৩৭০ ধারা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা পুরোপুরি সাংবিধানিক।”

    আরও পড়ুুন: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়”, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত বৈধ।” সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে মামলা চলছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই মামলায়ই এদিন রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

    ‘৩৭০ ধারা বাতিল অসাংবিধানিক নয়’

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও ফের কেন্দ্রের রাশ যায় মোদির হাতে। তার পরেই ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার রদ করে কেন্দ্র। তার জেরেই মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, ৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে যে বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছিল, তা সাময়িক। কাশ্মীরের গণপরিষদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও রাষ্ট্রপতির ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করার অধিকার ছিল। তাই যা হয়েছে, তা অসাংবিধানিক নয়।

    পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা

    জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দিতেও কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেলেও, লাদাখ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলই থাকবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই বেঞ্চই দ্বর্থ্যহীনভাবে জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত বৈধ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা মনে করি, ভারতে অন্তর্ভুক্তির পর জম্মু-কাশ্মীরে কোনও অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বের গুরুত্ব থাকে না।” আদালত জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতেই অঙ্গ। জম্মু-কাশ্মীরে যুদ্ধ পরিস্থিতি মাথায় রেখেই ৩৭০ ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এটা সাময়িক ব্যবস্থা। তাই এটি বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির।

    আরও পড়ুুন: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। যাতে সবরকম পদক্ষেপ করা হয়, আমরা সেই নির্দেশ দিচ্ছি। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের তকমা যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে এর আগেও একাধিকবার জানানো হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। শুনানি (Supreme Court) চলাকালীন এদিন আরও একাবার তা জানিয়ে দিল কেন্দ্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছোঁবে ৭ শতাংশ। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়ে দিলেন উন্নততর ভবিষ্যৎ হাতছানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারত যখন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, তখন প্রত্যেকেই উন্নততর ভবিষ্যৎ দেখতে পাবেন।”

    ভারতের উজ্জ্বল অতীত স্মরণ

    শনিবার লালকেল্লায় ইন্ডিয়ান আর্ট, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন বিন্নেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি। এর লক্ষ্যই হল, আত্মনির্ভর ভারত নতুন সুযোগ এনে দিচ্ছে।” এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের উজ্জ্বল অতীতের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। অতীতে ভারতের অর্থনীতি নিয়েও আলোচনা হত বিশ্বজুড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই থেকে আজও ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে চলেছে।”

    ইন্ডিজেনাস ডিজাইনকে শিক্ষার অঙ্গ!

    লালকেল্লায় আত্মনির্ভর ভারত সেন্টার ফর ডিজাইনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। কমেমরোটিভ স্ট্যাম্পও চালু করেন। এদিন প্রদর্শনীকক্ষ ঘুরেও দেখেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান আর্ট, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ডিজাইন বিন্নেল দিল্লিতে সংস্কৃতিক ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে। এনিয়ে দেশের পাঁচটি শহরে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উদ্বোধন করলেন। এই শহরগুলির হল দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, আহমেদাবাদ এবং বারাণসী। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশজ ভারত ডিজাইন: ইন্ডিজেনাস ডিসাইনস অ্যান্ড সমতা: শেপিং দ্য বিল্টকে মিশন হিসেবে নেওয়ার কথাও বলেন। ইন্ডিজেনাস ডিজাইনকে শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। একে আরও সমৃদ্ধশালী করতে গবেষণাও করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

    আরও পড়ুুন: টপকে গেল পার্থ-অর্পিতাকেও! কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে উদ্ধার ৩০০ কোটি

    আত্মনির্ভর ভারত সেন্টার ফর ডিজাইনের উদ্বোধন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সেন্টারটি একটা ইউনিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এটি ভারতের রেয়ার একটি ক্র্যাফ্ট হিসেবে গড়ে উঠবে, যখন ডিজাইনাররা এখানে জড়ো হয়ে তাঁদের শিল্প কীর্তি গড়ে তুলবেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর্টিজান ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও দক্ষতা অর্জন করবে।” তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পীরা গোটা বিশ্বে তাঁদের অবদান রাখতে পারেন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “শিল্প ও সংস্কৃতি মানুষের মনের অন্তর্নিহিত ভাবনার সঙ্গে জড়িত এবং সেই অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গণেশ-গাধা দুই-ই বিসর্জন দেবেন”, মহুয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের

    Dilip Ghosh: “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গণেশ-গাধা দুই-ই বিসর্জন দেবেন”, মহুয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গণেশ ও গাধা দুই-ই বিসর্জন দেবেন।” শনিবার কথাগুলো বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়। এদিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করেন দিলীপ।

    ‘মহুয়াকে তিনবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে’

    মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “লোকসভার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একাধিক কমিটি রয়েছে। প্রিভিলেজ কমিটি রয়েছে। আমি তার সদস্য। লোকসভার কোনও সদস্যের কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি ওই কমিটিকে জানান। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়, ডাকা হয়, সাক্ষী নেওয়া হয়। তাঁরা যদি কিছু করে কমপ্লেইন করেন, তার জন্য এথিক্স কমিটি রয়েছে। এথিক্স কমিটি সব কিছু বিচার করেছে। সবার সাক্ষী নিয়েছে।” তিনি বলেন, “মহুয়া মৈত্রকে ডেকে তিনবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উনি কথা বলেননি, ওয়াকআউট করেছেন। সংসদের রীতি-নীতি এবং আইন অনুযায়ী সমস্ত প্রক্রিয়া হয়েছে। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পরে ভোট হয়েছে। সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়েছে, তারপরে সেখানে সমাধান হয়েছে। যা হয়েছে, তা নিয়ম মেনেই হয়েছে। সুতরাং, যাঁরা চেঁচামেচি করছেন, তাঁরা অন্যায়ের পক্ষে, চোরের পক্ষে, দুর্নীতির পক্ষে কথা বলছেন।”

    ‘আমাদের লজ্জা’

    মহুয়াকে বহিষ্কারের দিনটিকে লজ্জার দিন বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “আমরাও বলছি, এটা সব চেয়ে লজ্জার দিন। একজন জনপ্রতিনিধি সংসদে ৩০-৩৫ লাখ লোকের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর আচার-আচরণ, কথাবার্তা, জীবনচরিত উদাহরণ হওয়া উচিত। আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার যে বাংলার একজন মহিলা সদস্য চুরির দায়ে সদস্যপদ খুইয়েছেন।” চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সলমন খানের সঙ্গে নাচের তালে পা মিলিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাজ কী ওদের সঙ্গে নাচা? চা বাগানের লোকেরা খেতে পাচ্ছেন না। রেশন পাচ্ছেন না। ওঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বাড়ি বানিয়ে দিত। তিন প্রজন্ম ওখানে রয়েছে। অথচ আজও কিছু নেই তাঁদের। কেন এই অবস্থা হয়েছে? আর তিনি নেচে বেড়াচ্ছেন!”

    আরও পড়ুুন: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    মহুয়াকে বহিষ্কার করায় চটেছে কংগ্রেস। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। মমতা ব্যানার্জির যা কষ্ট হয়েছে, অধীর চৌধুরীর তার চেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে। কারণ ওঁদের এখন বাঁচা-মরার প্রশ্ন। তিনটে রাজ্যে হারের পর এবার চিৎ হয়ে গিয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন।” এর পরেই তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গণেশ ও গাধা দুই-ই বিসর্জন দেবেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: সুজয়ের নজরদারিতে মোতায়েন জওয়ান, মন্ত্রীর জন্য ‘তৃতীয় নয়ন’

    Sujay Krishna Bhadra: সুজয়ের নজরদারিতে মোতায়েন জওয়ান, মন্ত্রীর জন্য ‘তৃতীয় নয়ন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’জনেই গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির মামলায়। দু’জনের সঙ্গেই রয়েছে তৃণমূল যোগ। দু’জনেই রয়েছেন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ এই দু’জনের ওপরই কড়া নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নজরদারির রকমফের

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এসএসকেএমের যে কেবিনে ভর্তি রয়েছেন তিনি, তার বাইরে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। আদালতের নির্দেশেও লাগানো হয়েছে এই ‘চোখ’। তাই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীর সঙ্গে কারা দেখা করতে আসছেন, তা সবই ধরা থাকছে ক্যামেরার ফুটেজে। আর সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) ভর্তি রয়েছেন হৃদরোগ বিভাগের ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিটে। তাঁর ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফের জওয়ানরা।

    এখনও মেলেনি ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা 

    সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য তা পাঠাতে চায় ইডি। সেই নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যদিও শনিবার পর্যন্তও সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গলার স্বরের নমুনা দিতে প্রস্তুত নন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডি একটি অডিও রেকর্ডিং উদ্ধার করে। সেখানে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর শোনা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আদালতের সম্মতিও মিলেছে। তার পরেও কালীঘাট ঘনিষ্ঠ কাকুর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছেন না তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    শনিবার সকালেও সুজয়কৃষ্ণের স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হাসপাতালে চলে যান তদন্তকারীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সুজয়কৃষ্ণকে যে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে, সে খবর ইডিকে জানানো হয়নি বলে ইডি সূত্রে খবর। তাই সুজয়কৃষ্ণের নজরদারিতে সর্বক্ষণ মোতায়েন থাকবেন সিআইএসএফের দু’ জন জওয়ান। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ১৮ নম্বর বেডে। এই বেডের সামনেই চব্বিশ ঘণ্টা প্রহরায় থাকবেন সশস্ত্র দুই জওয়ান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share