Tag: Bengali news

Bengali news

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে এবার ‘ইঁদুর-গর্ত’ পদ্ধতি, প্রার্থনা প্রধানমন্ত্রীর

    Uttarkashi Tunnel Rescue: আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে এবার ‘ইঁদুর-গর্ত’ পদ্ধতি, প্রার্থনা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি সোমবার সন্ধে পর্যন্তও। আধুনিক মার্কিন অগার মেশিন ব্যর্থ হওয়ার পর এবার মান্ধতা দেশীয় পদ্ধতিতেই ভরসা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে, আশার আলো ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন খনন-বিশেষজ্ঞরা। শ্রমিকদের মঙ্গলকামনায় পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ইঁদুর-গর্ত পদ্ধতি

    শ্রমিকদের উদ্ধারে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে বৈজ্ঞানিক, অত্যাধুনিক বিদেশি ড্রিল। বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়নি।  এখন তাই অবলম্বন করা হচ্ছে ‘ইঁদুর-গর্ত’ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি বেশ বিপজ্জনক। এই পদ্ধতিতে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গিয়ে খনি শ্রমিকরা একটু একটু করে ইঁদুরের মতো গর্ত করতে থাকে। যেহেতু আমেরিকায় তৈরি অগার মেশিনটি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল, তাই অবলম্বন করা হচ্ছে ‘ইঁদুর-গর্ত’ পদ্ধতি।

    উত্তরাখণ্ড সরকারের নোডাল অফিসার নীরজ খাইরওয়াল জানান, সাইটে আসা খনন কর্মীরা পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত। একজন ড্রিলিং করবেন। অন্য একজন কোদাল, বেলচা দিয়ে মাটি-পাথর তুলতে থাকবেন। আর তৃতীয়জন সেটি তুলে ট্রলিতে রেখে দেবেন। জাতীয় সড়কের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে ধস নামায় আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিনজনও। পনেরো দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই শ্রমিকরা রয়েছেন সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে।

    কী বলছেন সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ?

    আর মাত্র পাঁচ থেকে ছ’মিটার পথ অতিক্রম করতে পারলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের কাছে। ইঁদুরের মতো গর্ত করে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর (Uttarkashi Tunnel Rescue) চেষ্টা করছেন ক্ষুদ্র সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার বলেন, “আমরা ৫০ মিটার পেরিয়ে গিয়েছি। আর মাত্র পাঁচ-ছ মিটার বাকি।”

    পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, শ্রমিকদের মঙ্গলকামনায় হায়দরাবাদে ‘কোটি দীপোৎসভমে’ পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “হাজারও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও রকম খামতি রাখা হচ্ছে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক সতর্কতার সঙ্গে এই উদ্ধার অভিযান শেষ করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় প্রকৃতি আমাদের ক্রমাগত কড়া পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে সে সব প্রতিকূলতার মোকাবিলা করছি। আমরা সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের প্রার্থনা করতে হবে।” তিনি বলেন, “আজ যখন আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি ও মানবকল্যাণের কথা বলছি, তখন আমাদের সেই সব শ্রমিক ভাইদের জন্যও প্রার্থনা করতে হবে, যাঁরা গত দু’ সপ্তাহ ধরে উত্তরাখণ্ডের একটি সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সাহস দিতে হবে। গোটা দেশ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “শাহ আসছেন শুনে ভাইপো বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “শাহ আসছেন শুনে ভাইপো বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তিনি আসছেন শুনে ভাইপো আর বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।” সোমবার হাজরা মোড়ে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ২৯ নভেম্বর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভা উপলক্ষে এদিন গড়িয়াহাট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করে বিজেপি। হাজরা মোড়ে হয় পথসভা।

    তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তর

    এই সভা থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “আমাদের আওয়াজ কালীঘাটের বাড়ি অবধি পৌঁছবে কিনা জানি না। তবে কালীঘাটের ব্যানার্জি পরিবারের নামে যে ৩৫ খানা প্লট রয়েছে, সেই প্লট পর্যন্ত আপনাদের আওয়াজ পৌঁছবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করব।” সুকান্ত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত এ রাজ্যের বহু মানুষ। মানুষের সেই অধিকার খেয়ে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের চোরেরা। তাদের শায়েস্তা করতেই ধর্মতলায় আসছেন অমিতজি। ওই দিন গেরুয়া সুনামিতে কলকাতাকে ছেয়ে ফেলুন।” সুকান্ত বলেন, “কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস। সেখানে এখন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বাড়িতে ইডি দৌড়চ্ছে। সিবিআই কান ধরে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ফিরহাদকে। তাঁর সমর্থনে অবস্থানে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    ‘কয়লা ভাইপো’

    বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, কালীঘাটের কাকু, ইউনিভার্সাল কাকু, বাংলায় আপ্পু আছেন, তিনি ইউনিভার্সাল ভাইপো, কয়লা ভাইপো। কাকু বলছেন তিনি আমার বস। তাঁকে ফোন করা যায় না। তাঁর কাছে পৌঁছানো যায় না। যে নেতাকে ধরা যায় না, তাঁর দল করছেন কেন? সুকান্ত বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বাঁচাতে গিয়ে রাজ্যের এক নম্বর হাসপাতাল এসএসকেএমকে নোংরা জায়গায় নিয়ে এসেছে তৃণমূল। ইডি কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করবে বলে নমুনা চেয়েছিল। কল রেকর্ডিংয়ের গলা তাঁর (কালীঘাটের কাকুর) কিনা, যাচাই করতে। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে বলছেন এসএসকেএম তাঁর ভুল ট্রিটমেন্ট করেছেন। আপনার ভলান্টিয়ার রিটায়ারমেন্ট নিয়ে বসে যাওযা উচিত। আপনি যোগ্যতা হারিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় চুরি করে কোটি কোটি টাকা নিয়ে বান্ধবীর খাটের তলায় লুকিয়ে রাখলেন। তাঁর সম্পর্কে আপনি বললেন আমি জানি না! অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপনিই বলেছিলেন, ২৯৪ আসনে আপনিই প্রার্থী। এর জবাব দিন। আপনি অপদার্থ। ইস্তফা দেওয়া উচিত। সিভিক ভলান্টিয়ার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য চালাক, তাও ভাল।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ভাইপো বেকার যুবক। কোনও কর্মসংস্থান নেই। তিনি ইডি অফিসে যাচ্ছেন সম্পত্তির হিসেব দিতে ৬ হাজার পাতার রিপোর্ট নিয়ে! যাঁরা সততার প্রতীক বলে দাবি করেন, তাঁদের ৩৫ খানা প্লট! সমাজ সেবিকা মমতার বৌদি কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ সেবা করেন। তিনি ও তাঁর স্বামী কীভাবে এত সম্পত্তি করলেন? কোটি টাকা মূল্যের সেন পরিবারের জমি মাত্র ২৪ লক্ষ টাকায় কীভাবে কাজরি পান?”

    সুকান্ত বলেন, “যাঁকে টালির চালের বাড়িতে দেখেছিলেন আপনারা, তাঁর পরিবার কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন? আপনি বলেছিলেন, বালু অসৎ, আমি বিশ্বাস করি না। বালুদার মেয়ে টিউশন পড়িয়ে ৩ কোটি টাকা ইনকাম করেছেন! কয়লা পাচারের টিউশনি পড়ানো হয়েছে, নাকি গম পাচারের টিউশনি পড়ানো হয়েছে?” সুকান্ত বলেন, “বেঙ্গল অলিম্পক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুন ব্যানার্জি। উনি অলিম্পক খেলেছেন! চেহারা দেখে তো মনে হয় না!” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এ রাজ্যে রোহিঙ্গাদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Telangana Elections 2023: ধোপে টিকল না কেসিআরের কৌশল, ‘খয়রাতি’ বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Telangana Elections 2023: ধোপে টিকল না কেসিআরের কৌশল, ‘খয়রাতি’ বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় ফিরতে ‘খয়রাতি’র আশ্রয় নিতে চেয়েছিল তেলঙ্গনার শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। গত বিধানসভা নির্বাচনে (Telangana Elections 2023) এই অঙ্কেই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও ক্ষমতায় এসেছিলেন বলে অভিযোগ। এবারও তেমনধারা পরিকল্পনা ছিল শাসক দলের। তবে তাতে বাধ সাধল নির্বাচন কমিশন। সোমবার কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের রবিশস্যের অনুদান বণ্টন বন্ধ রাখতে হবে। কমিশনের মতে, শাসকের এহেন খয়রাতি নির্বাচনী আচরণভঙ্গের শামিল।

    কংগ্রেসকে নিশানা কেসিআরের দলের 

    নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের ওপর বেজায় চটেছে কেসিআরের দল। কেসিআরের ভাইপো টি হরিশ রাও তেলঙ্গনার অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে বেণুগোপাল রাও অভিযোগ জানানোর ফলেই রায়তু বন্ধু যোজনার কিস্তির টাকা বিতরণ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।” কেসিআর কন্যা কে কবিতা বলেন, “কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন তেলঙ্গনার কৃষকরা।”

    রায়তু বন্ধু প্রকল্প

    রায়তু বন্ধু প্রকল্পে প্রত্যেক কৃষককে প্রতি একর শস্য পিছু বছরে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয় তেলঙ্গনা সরকার। টাকা দেওয়া হয় জানুয়ারি মাসে। অভিযোগ, চলতি বছর জানুয়ারিতে সেই টাকা না দিয়ে চলতি মাসে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কেসিআর প্রশাসন। বেণুগোপাল বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝে নির্বাচনের মুখে টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনতে চাইছিলেন কেসিআর।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে (Telangana Elections 2023) পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কমিশন এই মর্মে নির্দেশ দিচ্ছে যে রায়তু বন্ধু প্রকল্পে রবি মরশুমে যে অনুদান দেওয়া হয়, তা এখনই বন্ধ করতে হবে। কারণ ইতিমধ্যেই লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। এই বিধি প্রত্যাহৃত হলেই দেওয়া যাবে অনুদান।

    তেলঙ্গনা বিধানসভার আসন সংখ্যা ১২০। এর মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন ১১৯জন। একটি আসনে মনোনীত করা হয় একজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানকে। এ রাজ্যে এবারও লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী – ভারত রাষ্ট্র সমিতি, কংগ্রেস এবং বিজেপি। তবে এ রাজ্যে মূল লড়াই হবে কংগ্রেস বনাম ভারত রাষ্ট্র সমিতি। নির্বাচন হবে ৩০ নভেম্বর, এক দফায়। ফল ঘোষণা হবে বাকি চার রাজ্যের সঙ্গে ৩ ডিসেম্বর (Telangana Elections 2023)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: জাকির হোসেন কে? প্রশ্ন ব্লক তৃণমূলের সভাপতির, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকির হোসেন কে? প্রশ্ন ব্লক তৃণমূলের সভাপতির, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় তৃণমূলের কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠছে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের বিরোধ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার একই ঘটনা ঘটল তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলায়। তৃণমূলের জেলার চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    গত সপ্তাহে জাকিরকে জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন জেলা কমিটির উদ্যোগে যোগদান সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি ১ ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জঙ্গিপুরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমানকে পাশে বসিয়ে সূতি ১ ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আপাতত আট জনের কমিটি করে সূতি ১ ব্লকে দলের সংগঠন চালানো হবে। ওই ব্লক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সূতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের অনুগামী। ইমানি এবং জাকিরের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এবার ইমানির অনুগামীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে রাজ্যের শাসক দলের দুই বিধায়কের বিরোধ আরও বাড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    নাম না করে জাকিরকে তোপ দাগলেন ইমানি

    তৃণমূলের ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিধায়ককে ইমানি বিশ্বাসকে। এ নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। দলে শেষ কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কে, কোথায়, কী ঘোষণা করলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। রাজ্য কমিটির নির্দেশ ও জেলা সভাপতির ঘোষণা ছাড়া সূতি ১ ব্লকের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনিই থাকবেন।

    জাকির কে? প্রশ্ন ব্লক সভাপতির

    সূতি-১ ব্লকের সভাপতি  সিরাজুলের ইসলাম বলেন, জাকির কে ব্লক সভাপতি বদল করার? রাজ্য কমিটি নির্দেশ দিয়েছে কি? জেলা সভাপতির অনুমোদন আছে? কোথাকার বিধায়ক, কী বললেন, তা মানি না। আমি ব্লক সভাপতি আছি, থাকব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Halal Certified Goods: ১৫ দিনের মধ্যে বাজার থেকে সরাতে হবে ‘হালাল’ ট্যাগযুক্ত পণ্য, নির্দেশ যোগী সরকারের

    Halal Certified Goods: ১৫ দিনের মধ্যে বাজার থেকে সরাতে হবে ‘হালাল’ ট্যাগযুক্ত পণ্য, নির্দেশ যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হালাল ট্যাগ লাগিয়ে (Halal Certified Goods) দিব্যি চলছিল অবৈধ কারবার। ১৯ নভেম্বর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবার যোগী সরকার জানিয়ে দিল, ১৫ দিনের মধ্যে হালাল ট্যাগ দেওয়া পণ্য সামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে উৎপাদক থেকে বিক্রেতাদের।

    ১৫ দিনের মধ্যে সরাতে হবে পণ্য

    ১৯ নভেম্বরের আদেশ অনুযায়ী, হালাল প্রমাণযুক্ত খাদ্য উৎপাদনের নির্মাণ সংরক্ষণ এবং বিতরণ ও বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হালাল ট্যাগ দেওয়া পণ্য সামগ্রী সরিয়ে নিতেও খুচরো ব্যবসায়ী, আউটলেট চেন এবং ডিপার্টমেন্ট স্টোরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের ৯২টি উৎপাদককে, যারা এতদিন হালাল ট্যাগ লাগিয়ে পণ্য বিক্রি করত, নির্দেশ দিয়েছে হয় তাদের পণ্য ফিরিয়ে নিতে হবে, নয় সেগুলিকে পুনরায় প্যাকেটজাত করতে হবে। চলতি মাসের ১৯ তারিখে হালাল ট্যাগ লেখা (Halal Certified Goods) পণ্য বিক্রি করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যোগী প্রশাসন। তার পরেই বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৫০০ প্রতিষ্ঠানে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, তারা হালাল লেখা পণ্য বিক্রয় করে। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার কেজি পণ্য বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে।

    হালাল আরবি শব্দ

    ‘হালাল’ শব্দটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল, ‘গ্রহণযোগ্যতা’। কোনও পণ্যে হালাল ট্যাগ লাগানো থাকলে বোঝা যায়, পণ্যটি ইসলামিক আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে। ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করেই সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, পণ্যের বিক্রি বাড়াতে তার গায়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে হালাল ট্যাগ। হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই, হালাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া মুম্বই, জামাত-ই উলেমা মহারাষ্ট্র মুম্বই ইত্যাদি সংস্থা একটি নির্দিষ্ঠ ধর্মের ক্রেতাদের টানতে হালাল ট্যাগ লাগিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করছিল। এতেই রাশ টানতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সরকারের বক্তব্য, তেল, সাবান, টুথপেস্ট ও মধুর মতো পণ্যগুলিতেও হালাল ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় ও তাদের পণ্যগুলির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সরকারের বক্তব্য, এই নিষেধাজ্ঞা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে করা হয়েছে। অবশ্য রফতানিকারক পণ্যগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে (Halal Certified Goods)।

    আরও পড়ুুন: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এজেন্ট উত্তরবঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে!’ ইডি-কে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাংলায় ব্যাপক জনসংযোগ করবে আরএসএস

    Ram Mandir: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাংলায় ব্যাপক জনসংযোগ করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। বাংলাতেও রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে সঙ্ঘ পরিবার। বাংলাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। এছাড়াও উদ্বোধনের পর কয়েক হাজার ভক্তকে ট্রেনে চাপিয়ে রামমন্দির (Ram Mandir) দর্শন করাতে অযোধ্যাও নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক গত মাসে গুজরাটের ভুজে বসেছিল। সেখানেই স্থির হয়েছে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি রামমন্দিরের ছবি হাতে ৫ লাখ গ্রামে জনসংযোগ করবে সঙ্ঘ।

    রামমন্দির দর্শন

    এ রাজ্যে সমাজের প্রতিটি বর্গের মানুষকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার আবেদন জানাবে সঙ্ঘ। উদ্বোধনের দিন প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ছোট-বড় নানা উৎসবের আয়োজনও করবে সঙ্ঘ পরিবার। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মোহন ভাগবত। চলতি বছরের বিজয়া দশমীর ভাষণেই একথা বলতে শোনা যায় সঙ্ঘ প্রধানকে। সূত্রের খবর, উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ২৬ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামমন্দির (Ram Mandir) দর্শনের কর্মসূচি নেবে সঙ্ঘ পরিবার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার ভক্তকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। আপাতত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলার ভক্তরা রওনা দেবেন রামনগরীতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সারা দেশের প্রতিটা প্রান্ত থেকে সমস্ত রাম ভক্তদের কাছে নিমন্ত্রণ নিয়ে যাব। প্রতিটা গ্রাম, শহর অলিতে-গলিতে যাব। সবাইকে বলব রাম মন্দির দেখতে আসুন।’’

    কী বলছেন বাংলার আরএসএস নেতা?

    এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় বলেন, ‘‘বাংলায় আমরা ৪০ লক্ষ পরিবারে যাব। অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রসাদ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাব। ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি এই কর্মসূচি চলবে। ১ জানুয়ারি কল্পতরু দিবসের দিন শুরু হবে। ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত চলবে। একইসঙ্গে রাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যাব। মার্চ পর্যন্ত উদ্বোধনপর্ব চলবে। সেখানে এক একটা প্রান্তকে এক একটা সময় দেওয়া হবে। প্রতিদিন এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষের ব্যবস্থা থাকবে যাতে সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি হয়। তার জন্য আবেদন করব, আপনারাও আসুন সময় করে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Separatists: এবার আমেরিকার গুরুদ্বারে খালিস্তানপন্থীদের হাতে হেনস্থার শিকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

    Khalistani Separatists: এবার আমেরিকার গুরুদ্বারে খালিস্তানপন্থীদের হাতে হেনস্থার শিকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কটল্যান্ডের পর এবার মার্কিন মুলুক। ফের খালিস্থানপন্থী জঙ্গিদের (Khalistani Separatists) হাতে হেনস্থার শিকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। নিউ ইয়র্কের হিকসভিল গুরুদ্বারের ভেতর তরণজিৎ সিং সান্ধুকে হেনস্থা করেছে তারা। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তরণজিতের বিরুদ্ধে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর ও পান্নুনকে হত্যার অভিযোগ এনেছে।

    তরণজিৎকে হেনস্থা

    দিন কয়েক আগে ওই গুরুদ্বারে প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন তরণজিৎ। প্রার্থনা শেষে তারানজিৎকে ঘিরে ধরে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তরণজিৎকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয়। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে হেনস্থার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপির মুখপাত্র আরপি সিং খালসা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন ব্যক্তি ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে রেখেছে। সেই সময় একজনকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে বলতে শোনা যাচ্ছে, নিজ্জর খুন ও পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে দায়ী ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। বিজেপি মুখপাত্র জানান, হেনস্থার (Khalistani Separatists) নেতৃত্বে ছিল মার্কিন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিম্মত সিং। সারের গুরুদ্বারের সভাপতি ও কানাডায় খালিস্তানের সমর্থনে আয়োজিত গণভোটের সমন্বয়কারী হিম্মত।

    নিজ্জর খুনে কাঠগড়ায় ভারত

    ১৯ জুন কানাডায় এক গুরুদ্বারের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে। সে খালিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিল। খালিস্তানপন্থী আর এক জঙ্গি গুরপন্তবন্ত সিং পান্নুনের ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্ব ছিল টাইগার ফোর্সের ওপর। পান্নুনকে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান মার্কিন গোয়েন্দারা। তার আগে নিজ্জর খুনে কানাডা সরকার অভিযোগের আঙুল তুলেছিল ভারতের দিকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতকেই দোষারোপ করেছিলেন। তার পরেই তলানিতে গিয়ে ঠেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। এবার খোদ বন্ধু দেশে হেনস্থার শিকার হলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। এখন দেখার, এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করে জো বাইডেন প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন ব্রিটেনে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম ডোরাইস্বামী। সেই সময় খালিস্তানপন্থীরা ভারত বিরোধী স্লোগানও দিতে থাকে। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের হেনস্থার শিকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। ঘটনাস্থল এবার আমেরিকা (Khalistani Separatists)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Uttarkashi Tunnel: বের করা হল আটকে থাকা বিকল ড্রিলিং মেশিনের অংশ, আটক শ্রমিকরা বেরোবেন কবে?

    Uttarkashi Tunnel: বের করা হল আটকে থাকা বিকল ড্রিলিং মেশিনের অংশ, আটক শ্রমিকরা বেরোবেন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই মার্কিন অগার ড্রিলিং মেশিন বিকল হয়ে পড়েছিল। এর ফলে উত্তরকাশির সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে ফের বাধার সম্মুখীন হতে হয় উদ্ধারকারী দলকে। তবে সুখবর শোনা গেল সোমবার সকালে। আমেরিকান যন্ত্রের ভাঙা টুকরোগুলি যেখানে আটকে ছিল সেগুলি সোমবারে সকালেই সরানো গিয়েছে। এরপর ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হবে। যার অর্থ হল, শাবল গাঁইতি হাতে খোড়ার কাজ চলবে।

    উলম্বভাবে খননও চলছে

    পাশাপাশি, ভার্টিক্যাল ড্রিলিংও শুরু হয়েছে। অর্থাৎ উলম্বভাবে খনন (Uttarkashi Tunnel) করে যে পদ্ধতিতে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয় সেই পদ্ধতিতে কাজ চলছে। রিপোর্ট বলছে, প্রায় কুড়ি মিটার পর্যন্ত গর্ত ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে উদ্ধারকারী দল। এই গতিতে কাজ চলতে থাকলে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তা সম্পন্ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে শাবল এবং গাঁইতি দিয়ে খুঁড়তে শুরু করলে তা অনেকদিন সময় লাগতে পারে। তার কারণ অগার মেশিন দিয়ে যে গর্ত করা হয়েছে সেখানে একজন শ্রমিকই ঢুকে কাজ চালাতে পারবেন। তিনি বেরিয়ে এলে অপরজন ঢুকতে পারবেন। অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার ফলে ওই যন্ত্রাংশটি (Uttarkashi Tunnel) সুড়ঙ্গতে এমন ভাবে আটকে যায় যে তা বের করা খুব সহজ কাজ ছিল না। তবে সোমবার সকালেই এই কাজকে সম্ভব করেছে উদ্ধারকারী দল। সোমবার উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে উত্তরকাশিতে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধানসচিব পিকে মিশ্র এবং উত্তরাখণ্ডের মুখসচিব এসএস সান্ধুর।

    কেমন আছেন শ্রমিকরা?

    গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। সুড়ঙ্গের মধ্যে শ্রমিকরা রয়েছেন সুস্থই। খাবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। ইদানিং তাঁদের জন্য পাঠানো হচ্ছে বেরি ও অন্যান্য ফল। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মনোবিদরাও। সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel) মাত্র ৪১ মিটার ফাঁকা জায়গায় আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁরা যাতে মনোবল হারিয়ে না ফেলেন, তাই সুড়ঙ্গে পাঠানো হয়েছে লুডো, দাবা এবং তাস। শ্রমিকরা সেখানে চোর-পুলিশও খেলছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ভিড়ে ঠাসা সভায় খুদে ‘ভারতমাতা’, “দেশের যুবকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে শিশুটি”, মন্তব্য মোদির

    PM Modi: ভিড়ে ঠাসা সভায় খুদে ‘ভারতমাতা’, “দেশের যুবকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে শিশুটি”, মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাবেশে ভিড় করেছেন কয়েক লক্ষ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। এই ভিড়েই মিশে রয়েছেন বিজেপির স্থানীয় স্তরের নেতা-কর্মীরাও। মঞ্চে তখন ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। হঠাৎই তাঁর চোখ গেল এক খুদের দিকে। ভারতমাতার সাজে সজ্জিত ওই খুদে নেড়ে চলেছেন জাতীয় পতাকা।

    ‘ওয়েল ডান বেটা’

    শিশুটির উদ্দেশে হাত নাড়েন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ওয়েল ডান বেটা’। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই শব্দবন্ধ শুনে জনতার চোখ তখন মঞ্চের মধ্যমণিকে ছেড়ে চলে গিয়েছে খুদে ‘ভারতমাতা’র দিকে। ২৯ নভেম্বর রয়েছে তেলঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচারেই গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তেলঙ্গনার ক্ষমতায় রয়েছে ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি। কেসিআরের এই দলকে এদিন তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময়ই তাঁর চোখ পড়ে শিশুটির দিকে। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আবেগমথিত মন্তব্য, “ওয়েল ডান বেটা”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই শিশুটি তিরঙ্গা নিয়ে নাড়ছে। দেখুন, ও ভারতমাতা সেজে এসেছে। দেশের প্রত্যেক যুবকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে এই বাচ্চাটি।”

    ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    এর পর ফের তিনি আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসক দলকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ, ভারত যখন খেলনা রফতানিতে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে, তখন ভারত রাষ্ট্র সমিতি ব্যস্ত নির্মলের খেলনা শিল্পকে ধ্বংস করতে। আমরা ক্ষমতায় এলে, এই শিল্পের পুনরুজ্জীবনে প্রচার শুরু করব।” প্রসঙ্গত, এই নির্মল জেলার খেলনা শিল্প এক সময় দেশ তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হত।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তেলঙ্গনায় আমাদের একটা সরকার রয়েছে, যারা ফার্মহাউসে বাস করেন। অথচ গরিবদের ঘরবাড়ি দেন না। কেসিআর (তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী) গরিবদের শত্রু। তাই তাঁদের ঘরবাড়ি পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যেই না তেলঙ্গনায় বিজেপি সরকার গড়বে, তার পরে পরেই বাড়ি দেওয়া হবে গরিবদের। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। এটা মোদির (PM Modi) গ্যারেন্টি।” প্রসঙ্গত, বাকি চার রাজ্যের সঙ্গেই ৩ নভেম্বর ফল ঘোষণা হবে তেলঙ্গনা বিধানসভা নির্বাচনেরও।  

    আরও পড়ুুন: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Gujarat: শীতকালে গুজরাটে অকাল শিলাবৃষ্টি! বজ্রাঘাতে ২০ জনের মৃত্যু, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    Gujarat: শীতকালে গুজরাটে অকাল শিলাবৃষ্টি! বজ্রাঘাতে ২০ জনের মৃত্যু, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাবিবার গুজরাটে (Gujarat) অকাল বৃষ্টিপাত। তীব্র শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল শিলাবৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলি সাদা হয়ে গিয়েছে। প্রচুর সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুজরাটের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “খারাপ আবহাওয়া এবং অকাল বজ্রবৃষ্টির কারণে ব্যাপক প্রাকৃতিক সম্পত্তি, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য (Gujarat)

    গুজরাট (Gujarat) রাজ্য সরকারের প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “আরব সাগরে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রবিবার রাজ্যজুড়ে খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছে। গতকাল ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত এবং ঝড় হয়। রাজ্যের জরুরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী রাত ১১ পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয় চলার কথা সুনিশ্চিত করেছে। মানুষের প্রাণহানি ছাড়াও ব্যাপক ভাবে গবাদি পশুপাখি এবং গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলাকার রাস্তায় শিলাবৃষ্টির কারণে সাদা বরফের টুকরোয় ভরে যায়। সরকার এই প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের দ্বারা কবলিত মানুষকে উদ্ধার কাজে দ্রুত নেমে পড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দুর্যোগ কবলিত মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। মোরবি জেলার সেরামিক শিল্পের উপর খারাপ প্রভাব ফেলেছে বৃষ্টিপাত। কারখানার কাজ বন্ধ করা হয়েছে।”

    কোন জেলায় মৃত্যু হয়ছে?

    গুজরাটের (Gujarat) রাজ্য এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “অকাল প্রাকৃতিক বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যে মোট ২০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দাহোদ জেলায় চারজনের, বারুচ জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও আমেদাবাদ, আমরোলি, বানসকাঁথা, বোটাদ, খেদা, মেহসানা, পঞ্চমহল, সবরকাঁথা, সুরাট, সুরেন্দ্রনগর এবং দ্বারকায় একজন করে মোট ১৩ জন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।” সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, “২৫২টি মহকুমার মধ্যে ২৩৪টি মহকুমায় বৃষ্টিপাত হয়। সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, বারুচ এবং আমরোলি জেলায় মোট ১৬ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ থেকে ১১৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”

    কী জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর?

    আমেদাবাদের (Gujarat) আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক মনোরমা মোহান্তি বলেছেন, “বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস শুধুমাত্র রবিবারের জন্য ছিল। কিন্তু এর প্রভাব সোমবার পর্যন্তও থাকবে। তবে সোমবারের পর থেকেই এই বৃষ্টিপাত হ্রাস পাবে এবং মঙ্গলবারে আকাশ পরিষ্কার হবে। তবে দক্ষিণ গুজরাট এবং সৌরাষ্ট্র জেলার কিছু অংশে বৃষ্টিপাত সাময়িক ভাবে বজায় থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share