Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ রকম ভঙ্গিতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। ইডি সূত্রে  জানা গিয়েছে, ওই ১৫-২০ রকম স্বরক্ষেপণের ভঙ্গি সংগ্রহ করতে দিল্লি থেকে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির এক বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন কলকাতায়। নমুনা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। ইডির অনুমান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। তার পরে তা পেশ করা হবে আদালতে।

    কী বলছেন ইডি আধিকারিক?

    ইডি সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগেই। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়, তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘সুজয় (Kalighater Kaku) ঠিক যেমন ভাবে ফোনে কখনও উচ্চস্বরে, কখনও নিম্নস্বরে কথা বলেছিলেন, ঠিক তেমন ভাবেই বুধবার রাতে তাঁকে কথা বলতে বলে, তাঁর গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে একই কথা একাধিক বার বলানো হয়েছে।’’

    কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    অপরাধীদের ধরতে ফরেন্সিক সায়েন্সে একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ, ডিএনএ অ্যানালিসিস ইত্যাদি। তার মধ্যেই একটি হল এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষা বা ফরেন্সিক ভয়েস অ্যানালিসিস। একে অনেক সময় ফরেন্সিক ভয়েস কম্প্যারিসনও বলা হয়। মোবাইল ফোনের অডিও রেকর্ড, ভয়েস রেকর্ডিং-এর গলার স্বরের সঙ্গে অভিযুক্তের গলার স্বরের মিল আছে কিনা বা দুটি মানুষই একই কিনা তা বোঝা যায় এই পদ্ধতিতে। ভয়েস স্যাম্পেল বা কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাঁকে একটি লেখা পড়তে দেওয়া হয়। কীভাবে তিনি পড়ছেন, গলার পিচ বা তীব্রতা, স্বরের ফ্রিকুয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক, উচ্চারণ পদ্ধতি, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কোনও প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিচ্ছেন, কোন ক্ষেত্রে গলার স্বরের তীব্রতা বাড়ছে, উত্তেজিত হলে গলার স্বরে কতটা বদল আসছে, ভয় বা টেনশন হলে স্বরে কী কী বদল হচ্ছে এসব কিছুও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আধিকারিকের মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই, ৩ আক্রান্তই হাসপাতালে

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আধিকারিকের মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই, ৩ আক্রান্তই হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা তথা ডন শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শুক্রবার সকালেই আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। ঘটনার পরপরেই সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁদের। শুক্রবার রাতেও সেখানেই থাকবেন তাঁরা। তিন জনেরই জ্ঞান রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁদের।

    মাথায় আঘাত পাওয়া অফিসারের নাম কী

    তল্লাশি অভিযানের সময় তৃণমূলের হামলায় জখম হন তিন আধিকারিক। সংবাদমাধ্যমেরও বেশ কিছু প্রতিনিধি জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ইডি আধিকারিক (Sandeshkhali) রাজকুমার রামের মাথায় ভালোই চোট লেগেছে। তিনি গুয়াহাটির অফিসার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই পড়েছে তাঁর। স্ক্যানও করানো হয়েছে বলে খবর। তিনি এখন বেসরকারি হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে ভর্তি। বাকি দুই ইডি আধিকারিকেরও সেলাই পড়েছে বলে খবর মিলেছে। তিন আধিকারিকের শরীরের ভিতরে কোথাও আঘাত লেগেছে কি না, তা দেখতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। তাই শুক্রবার রাতেও (Sandeshkhali) তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হবে।

    হাসপাতালে ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা

    ইডির শীর্ষ আধিকারিকেরা হাসপাতালে গিয়ে ইতিমধ্যে সহকর্মীদের খবর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির সদর দফতর থেকেও খবর নেওয়া হয়েছে আক্রান্ত আধিকারিকদের। রাজকুমার রাম সহকারী ডিরেক্টর। বাকি দু’জন আধিকারিকের নাম অঙ্কুর এবং সোমনাথ দত্ত। তাঁরাও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান শেখের বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হানা রেশন দুর্নীতি সম্পর্কিত বিষয়ে ছিল। স্থানীয় সরবেড়িয়া গ্রামে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।  অভিযোগ, সেই সময়েই ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় জওয়ানদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ভাঙচুর (Sandeshkhali) করা হয় তাঁদের গাড়িতে। সেই সময়েই তিন আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে টেলিফোন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Sukanta Majumdar)। এই একই ইস্যুতে তাঁকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। শুভেন্দুর মতো তিনিও এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন।

    আক্রান্ত ইডি

    রেশন কেলেঙ্কারি কাণ্ডের মূলে কুঠারাঘাত করতে শুক্রবার সাত সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছে যান ইডির তদন্তকারীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁরা গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। সেখানে ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বেনজির মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।

    শাহকে চিঠি সুকান্তর

    এই ঘটনায়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত। চিঠির এক জায়গায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি লিখেছেন, “আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি সন্দেশখালিকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা জানতে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।” তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেছেন, এটি একটি সাংবিধানিক সমস্যা। রাজ্যপালের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা। সন্দেশখালির অকুস্থলে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতেও অনুরোধ করি আপনাকে। যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”

    আরও পড়ুুন: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে রোহিঙ্গা যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে ক্যাম্প করে রাখেন। তারপর তাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।” তিনি বলেন, “বিজেপির তিন কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এঁদের মধ্যে দু’জনের দেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপি (Sukanta Majumdar) সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “বাংলায় বারংবার গণতন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ইডি কর্তারা আক্রান্ত হয়েছেন। যেসব সংগঠন দেশ বিরোধী কাজ করছে, তারা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বম্ব-পিস্তল ইত্যাদি। যদিও যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাই এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে জারি করা হোক জরুরি অবস্থা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্বোচিত আক্রমণ এবং তাণ্ডব রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে সভ্য সমাজের গণতান্ত্রিক সরকারকে।” শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V ananda Bose)। তিনি বলেন, “সরকার তার ন্যূনতম কর্তব্যপালনে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে। বাংলায় নয়।”

    ‘মগের মুলুক নয়’

    তিনি বলেন, “বাংলা কোনও মগের মুলুক নয়। সরকারের উচিত তার কর্তব্য করা। যাঁরা ভাবছেন, আমি ডনের মাধ্যমে শাসন করছি, আর তাঁরা শীঘ্রই নিজেদের ‘ডন কুইকজোট’ (স্প্যানিশ মহাকাব্য) হিসেবে দেখতে পাবেন। এটা প্রাক নির্বাচনী পর্বের হিংসা। অবিলম্বে এই হিংসায় লাগাম টানা প্রয়োজন। সমাজের এই হিংসা নিহিত সরকারের সঙ্গেই। চারদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।” রাজ্যপাল বলেন, “হিংসা ও গুন্ডাগিরিতে রাশ টানার সময় এসে গিয়েছে। বাংলায় হিংসার অবসান ঘটবে। অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান চলবে নিজের পথে।”

    রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, অবিলম্বে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির মামলার শুনানি (C V ananda Bose) পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?”

    আরও পড়ুুন: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছতে শুক্রবার সাত সকালে ইডির আধিকারিকরা যান সন্দেহখালিতে। এখানে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দোরে খিল এঁটে বসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই দরজা ভেঙে শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ানও জখম হন। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডামাডোলের (C V ananda Bose) বাজারে গা-ঢাকা দিতে পারেন শাহজাহান। সরিয়ে ফেলা হতে পারে তাঁর বাড়িতে থাকা (যদি থাকে) কাগজপত্রও।  

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Howrah: রাস্তা সংস্কারের কাজে তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুরপ্রশাসকের দ্বৈরথ, তীব্র উত্তেজনা

    Howrah: রাস্তা সংস্কারের কাজে তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুরপ্রশাসকের দ্বৈরথ, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন আগে হাওড়ায় (Howrah) শিবপুরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কার্নিভাল নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি এবং হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। সেই সময়ে দ্বন্দ্ব সামলাতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবার ফের একবার রাস্তা সংস্কারের কাজ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল পড়েছে। উল্লেখ্য রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে মমতা-অভিষেককে ঘিরে পুরাতন-নতুন দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলের নবীন-প্রবীণ নেতার একে অপরের পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য রাখছেন তথা অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ফলে এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি বেশ সরগরম। 

    কোন রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব (Howrah)?

    শিবপুর (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে শিবপুরে যেতে এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু আসার এটি ঘোষ রাস্তায় দীর্ঘদিন বেশ অকেজো হয়ে পড়েছিল। গত একমাস আগে এই রাস্তার কাজ শুরু করে পুরসভা। এই রাস্তা সংস্কারের সাফল্য কার, এই নিয়ে একে অপরের মধ্যে প্রতিযোগিতার লড়াই শুরু হয়েছে। 

    রাস্তায় ফ্লেক্স ঘিরে দ্বন্দ্ব

    রাস্তার কাজ চলায় পাশের দেওয়ালে দুই নেতার ফ্লেক্সকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবির পাশে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে, “বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়, হাওড়া (Howrah) মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।” পালটা পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর একটি ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে অপর আরেকটি ফ্লেক্সে লেখা হয়, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং হাওড়া পুরনিগমের মাননীয় প্রশাসক ডা. সুজয় চক্রবর্তী মহাশয়ের আন্তরিক উদ্যোগে নিগমের আর্থিক সহায়তায় ৪৭ নম্বরের রাস্তা মহিয়ারী রোড থেকে এটি ঘোষ ব্রিজের তলা পর্যন্ত নতুন করে সিমেন্ট-কংক্রিট রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হল।” মন্ত্রীর বিপরীতে পালটা এই পুরপ্রশাসকের ফ্লেক্সে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় শাসক দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মনোজ ঘনিষ্ঠ হাওড়ার (Howrah) স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। এলাকার বিধায়ক হিসাবে মনোজ তিওয়ারির কাছে রাস্তা সারানোর কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রী রাস্তা পরিদর্শন করেন। এরপর হাওড়া পুরসভার কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য দাবি জানানো হয়। এই দাবি নিয়েই হাওড়া পুরসভা কাজ শুরু করেছে।”

    পুরসভার বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বেহাল রাস্তার কথা জেনেই প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী নিজের উদ্যোগে এই রাস্তার সংস্করণ করিয়েছেন। আর এই কারণেই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।” এই রাস্তাকে ঘিরে দ্বন্দ্বের কথা না মানতে চাইলেও এলাকার মানুষের দাবি দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর কোন্দল আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি তদন্তকারীরা মার খান, তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে?” শুক্রবার ভরা এজলাসে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    সন্দেশখালির মামলার শুনানি পর্বে তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “তোমরা কী করছ? তোমাদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পার না? দু’জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠাও।” রাজ্যে একাধিক কেলেঙ্কারির জট খুলতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে তারা হানা দিয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়িতে। এই তালিকায় রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরাও। এহেন হেভিওয়েটদের বাড়ি কিংবা অফিসে নির্বিঘ্নে তদন্ত চালালেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের ওপর হামলা চালালেন তৃণমূলের এক ‘পেটি’ নেতার অনুগামীরা!

    শাহজাহানের দাপট!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, শাহজাহান মোটেই ছোটখাট দরের কোনও নেতা নন। বাম আমলেই মাথা তুলেছিলেন তিনি। তৃণমূল জমানায় ঘাসফুল শিবিরে ঢুকে পড়ায় প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) থাকে শাহজাহানের দাপট। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়ায় কার্যত সাপের পাঁচ পা দেখেন শাহজাহান। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই আড়ে-বহরে বেড়েছে শাহজাহানের প্রতিপত্তি। এহেন শাহজাহানের অনুগামীরাই এদিন হামলা চালিয়েছে ইডির আধিকারিকদের ওপর। যার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    গত এপ্রিলেই যাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “রাজনৈতিক নায়ক হওয়ার জন্য এক্তিয়ার-বহির্ভুত কাজ করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” বলেছিলেন, “বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির মদতে ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” তার পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র বলেছিলেন, “চেয়ার ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।” ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলের এই নেতা লিখেছিলেন, “যেভাবে কোনও ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।”

    এহেন কুণালের দলের এক নেতার অনুগামীদের হামলায় জখম হয়েছেন ইডি কর্তারা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তদন্ত কীভাবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এহেন আবহে ফের তৃণমূল কী প্রতিক্রিয়া দেয়, তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে এই শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)? তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনি জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তবে তৃণমূলে আসার আগে সিপিএম করতেন। আজ শুক্রবার সাত সকালে তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তল্লাশি করতে হলে তাঁর অনুগামীরা আক্রমণ করে। গাড়িচালকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারের চোটে রক্তাক্ত হন অফিসাররা। একই ভাবে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।

    সন্দেশখালির একটা পাতাও নড়ে না তাঁর কথা ছাড়া (Shahjahan Sheikh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কথা ছাড়া সন্দেশখালির একটি পাতাও নাকি নড়ে না। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর এলাকায় তিনি একপ্রকার অলিখিত বেতাজ বাদশা। তিনি প্রশাসনের শাসন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। দল সব কিছু জেনেও তাঁকে কখনই সতর্ক করেনি। বরং তাঁকে দলের নানান পদে রাখা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। একটা সময় হেরোইন এবং অবৈধ পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভোটব্যাঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করেন। একপ্রকার ‘বাহুবলী’ থেকে কম কিছু নন তিনি।

    বালু ঘনিষ্ঠ শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালির একাধিক ভেড়ি, ইটভাটার মালিক তিনি। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাস্তবে যত সম্পত্তির মালিক, তার হিসাব হলফনামায় সঠিকভাবে দেখাননি। পার্ক সার্কাসে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি, মিনাখাঁয় শাসক বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। পরে মামলা হাইকোর্টে গেলে পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করাতে নির্দেশ দিলেও, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ফের আক্রমণের কারণে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় শাহজাহানের হাত ছিল বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) সন্দেশখালির বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকেরা। বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ইডির আধিকারিকেরা তালা ভাঙতে গেলে শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে তদন্তকারী অফিসারদের ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করে। এক আফিসারের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর উত্তেজিত তাঁর অনুগামীরা হামলা করে। এরপর নিজেদের প্রাণ হাতে কোনও রকমে পালিয়ে রক্ষা পান সবাই। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি, ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সব রকম প্রতিরোধ করার কথা বলেছিলেন। ফলে সেই কারণেই ইডির উপর আক্রমণ হল না তো? এমনটাই বিরোধীদের প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের শাসক দলের নেতা। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও। এহেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ফোন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    শুভেন্দুর আবেদন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন, নৈরাজ্য ধ্বংস করতে ব্যবস্থা নিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান এই মন্ত্রীরই ঘনিষ্ঠ বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতেই শুক্রবার সাত সকালে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। তার পরেই তাণ্ডব শুরু করেন তাঁর অনুগামী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

    কী লিখলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোনে বিষয়টি জানানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভয়ঙ্কর, পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে টিএমসি নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর নৃশংস হামলা। আমার সন্দেহ যে, দেশবিরোধী হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে।”

    পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল, ইডির ডিরেক্টর ও সিআরপিএফকে ট্যাগ করে এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিষয়টি এনআইএ-র তদন্ত করা উচিত বলেও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক লিখেছেন, “এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলার নৈরাজ্য দমনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির অভিযানে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত ইডি

    কেন হঠাৎ ইডি আধিকারিকদের আক্রমণ করে বসলেন শাহজাহানের অনুগামীরা? রাজনৈতিক মহলের মতে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে গারদে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। লোকসভা নির্বাচনের মুখে যা নিয়ে স্বস্তিতে নেই তৃণমূল নেতৃত্ব। এই নির্বাচনের আগে তিনি যে ছাড়া পাচ্ছেন না, তা হয়তো আঁচ করে ফেলেছেন ঘাসফুল শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা। এমতাবস্থায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালালে যদি কোনও নথি মেলে এবং তার জেরে যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কেঁদে কূল পাবেন না তাঁরা। কারণ মাইনাস জ্যোতিপ্রিয়-শাহজাহান, এই এলাকার ভোট তৃণমূল বিরোধী শিবিরে ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সেক্ষেত্রে মুসলিম অধ্যুষিত এই এলাকায় মুখ থুবড়ে পড়বে তৃণমূল। সেই কারণেই হামলা ইডির আধিকারিকদের ওপর। তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, ইডির ওপর হামলার বড়সড় মাশুল গুণতে হতে (Suvendu Adhikari) পারে ‘শাহজাহান অ্যান্ড কোং’-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে সমাধান সূত্র খুঁজছে ভারত-চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India China Relation: সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে সমাধান সূত্র খুঁজছে ভারত-চিন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারত যে বরাবরই সুসম্পর্ক চায়, তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে চিনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে ভারত (India China Relation)।

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাজিন্দর জয়সওয়াল বলেন, “পড়শি দেশ চিনের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান সুবিদিত। এটা এমন একটা সম্পর্ক, যেটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমরা দুই দেশই আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মিলিটারির পাশাপাশি কূটনৈতিক আলোচনাও হয়েছে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছানো যায়।” জয়সওয়াল বলেন (India China Relation), “অক্টোবর মাসে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আলাপ-আলোচনা এবং নেগোসিয়েশন নিয়ে মিলিটারি ও কূনৈতিক মেকানিজম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে তারা যাবতীয় যা করার, তা করবে বলে প্রতিশ্রুত হয়েছে।”

    শান্তি বজায় রাখতে চায় দুই দেশই

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “ভারত ও চিনের মধ্যে ২০তম ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া-চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স বৈঠকটি হয়েছে। এটা কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক। আমাদের ইস্ট এশিয়ার জয়েন্ট সেক্রেটারিও অংশ নিয়েছিলেন ওই বৈঠকে। তাঁদের মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে গঠনমূলক, মুক্তভাবে। সীমান্তে যা সমস্যা আছে, তা মেটাতে দু পক্ষই যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই দেশই যে সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি বজায় রাখতে চায়, সে বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। সীমান্তে একটা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনাও যাতে না ঘটে, সেই বিষয়েও একমত হয়েছে ভারত এবং চিন।”

    আরও পড়ুুন: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    তিনি বলেন, “সেই কারণেই দুই দেশই কথাবার্তা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। মিলিটারি এবং কূটনৈতিক দুই চ্যানেলেই আলোচনা চলবে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সিনিয়র কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও হবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে দুই দেশই (India China Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pro Khalistan Movement: আবারও ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লেখা হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান

    Pro Khalistan Movement: আবারও ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লেখা হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের (Pro Khalistan Movement)। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হল খালিস্তানপন্থী স্লোগান। এই ক্যালিফোর্নিয়ায়ই গত সপ্তাহে স্বামী নারায়ণ মন্দিরের গায়ে লেখা হয়েছিল ভারত-বিরোধী স্লোগান। দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয়েছিল খালিস্তানপন্থী স্লোগান। সেই ঘটনায় সোচ্চার হয়েছিলেন আমেরিকায় বসবাসকারী হিন্দুরা। তার তদন্তও শুরু করেছে সে দেশের প্রশাসন। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরেই আবারও হিন্দু মন্দিরে তাণ্ডব খালিস্তানপন্থীদের। খালিস্তানপন্থীদের এহেন তাণ্ডবে শঙ্কিত সে বসবাসকারী হিন্দুরা।

    মা শেরওয়ালির মন্দির

    শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে যে পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে এবার খালিস্তানপন্থীদের (Pro Khalistan Movement) নজর ছিল মা শেরওয়ালির মন্দিরের ওপর। এই মন্দিরের দেওয়ালেই লেখা হয়েছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। স্লোগান লেখা হয়েছে খালিস্তানের পক্ষেও। ফাউন্ডেশনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে পুলিশেরও যোগ রয়েছে। ফাউন্ডেশনের তরফে হিন্দু মন্দিরগুলিতে সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগাতে বলা হয়েছে। ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে অ্যালার্মেরও। দেশে যাতে হিন্দু বিরোধী কার্যকলাপ প্রশ্রয় না পায় এবং খালিস্তানপন্থীদের হুমকিতে যাতে হিন্দুরা দমে না যায়, তাই এসব ব্যবস্থা করতে হবে।

    ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু মন্দির

    ক্যালিফোর্নিয়ার নিউইয়র্কে ২৩ ডিসেম্বর খালিস্তানপন্থী স্লোগান লিখে দেওয়া হয়েছিল হিন্দু মন্দিরে। সেবারও হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের তরফে মন্দিরের ছবি শেয়ার করা হয়েছিল এক্স হ্যান্ডেলে। সেদিন বিকৃত করা হয়েছিল স্বামী নারায়ণ মন্দিরের দেওয়াল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছিল, মন্দির গাত্রে লেখা হয়েছে ভারত-বিরোধী স্লোগান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও স্লোগান লেখা হয়েছিল মন্দিরের দেওয়ালে।

    আরও পড়ুুন: বাম মুখে ‘রাম’ নাম! প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিনের সরকারি দৈনিক

    ওই ঘটনার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গিদের পা রাখার জায়গা দেওয়া উচিত নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “আমি এটি (মন্দির বিকৃতির ছবি) দেখেছি। জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং এই জাতীয় কোনও শক্তিকে কখনওই পা রাখার জায়গা দেওয়া উচিত নয়। আমাদের দূতাবাসের তরফে সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো (Pro Khalistan Movement) হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জেনেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share