Tag: Bengali news

Bengali news

  • Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, শুনানি শুক্রেই?

    Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, শুনানি শুক্রেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল বিজেপি। বৃহস্পতিবার আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাইকোর্টের। তার পরেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিজেপির তিন দাবি

    শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে এই মামলার। এই মামলায় প্রধানত তিনটি আর্জি জানানো হয়েছে। প্রথমত, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমান্ড হাসপাতালে করতে হবে ময়না তদন্ত। শেষত, আদালতে জমা দিতে হবে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানর সিসিটিভি ফুটেজ। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। মৃতের নাম অশোক কুমার সিংহ। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলেজস্ট্রিট।

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের দাবি, চুরির মোবাইল কেনার অভিযোগে (Calcutta High Court) থানায় ডেকে পাঠানো হয় অশোককে। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি। অপসারণের দাবি তোলা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “যদি রাজ্যের হাসপাতালেও ময়নাতদন্ত হয়, তাহলে যেন চিকিৎসক আসেন কমান্ড হাসপাতাল থেকেই। আর যদি ভিডিওগ্রাফিও হয়, তাহলে তা কিন্তু সাধারণ মানুষ কিংবা জজ সাহেব কিছু বুঝবেন না, বুঝবেন একজন চিকিৎসকই। চিকিৎসক হোন কেন্দ্রের হাসপাতালেরই।”

    আরও পড়ুুন: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    পুলিশের দাবি, অশোককে মারধর করা হয়নি। অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। মাথা ফেটে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। যদিও থানায় করা একটি ফেসবুক লাইভে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে থানার একটি ঘরের মেঝেয়। তাঁর দু চোখ খোলা। দেহ নিথর। রজনী সাউ নামে মৃতের এক আত্মীয়া বলেন, “একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কীভাবে থানায় ঢোকার দশ মিনিটের মধ্যেই মারা যেতে পারেন! পুলিশ না মেরে থাকলে ওঁর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল কেন (Calcutta High Court)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    Jyotipriya Mallick: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে জেলবন্দি, তা বোধহয় ভুলেই গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)! তাই বালিশ-চাদরের পর এবার মন্ত্রিমশাই বায়না করছেন মোবাইল ফোনের। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতার মোবাইলের আবদারে অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ। বিরোধীদের একাংশের মতে, বন্দি হলেও, তিনি যে মন্ত্রী, জ্যোতিপ্রিয় বোধহয় তাই বোঝাতে চাইছেন জেল কর্তৃপক্ষকে।

    পার্থর সঙ্গে দেখা করতে রাজি নন

    এই প্রেসিডেন্সি জেলেই বন্দি রয়েছেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন পার্থ। তবে দলীয় এই সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে শোয়ার জন্য খাট পেয়েছেন পার্থ। আর মেঝেতে ঘুমোতে হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick)। প্রথম প্রথম তো রাতে ঘুমোতেই পারছিলেন না মন্ত্রী। এখন অবশ্য মানিয়ে নিয়েছেন পরিস্থিতির সঙ্গে।

    জ্যোতিপ্রিয়র আবদার 

    প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের সুপার জানান, মন্ত্রী কখনও মোবাইল ফোন চাইছেন, কখনও আবার চাইছেন বালিশ-চাদর। গত রবিবার জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। বাঁদিক প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী এসব দাবি করলেও, চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, দিব্যি সুস্থ রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। জ্যোতিপ্রিয় প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলেন পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে  ঢুকতে। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁকে রাখা হয় ওই ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলে। জেলে ঢোকানোর সময় তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, “আমি এই সেলে থাকব? আমি রাজ্যের মন্ত্রী। জেল রাজ্য সরকারের আওতায়। আমি এই সেলে থাকব না। আমার শরীরের বাঁদিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাকে এসএসকেএমে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুুন: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    শেষমেশ অনেক বোঝানোর পর তিনি ঢুকে পড়েন সেলে। মোবাইল ফোন পেতে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর নাম নেন জ্যোতিপ্রিয়। প্রভাব খাটাতেই তিনি এটা করছেন বলে জেল সূত্রের খবর। তবে মন্ত্রীর এসব ‘কৌশল’ কাজে লাগেনি। মন্ত্রিমশাইকে দিন কাটাতে হচ্ছে মোবাইল ছাড়াই। জেল সূত্রে খবর, বুধবার রাতের দিকে ফের একপ্রস্ত নাটক করতে দেখা যায় সাত নম্বর সেলের বন্দিকে। রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে বলা হয় খাবার খেয়ে নিতে। প্রথমে রাজি হননি মন্ত্রিমশাই। শেষমেশ রাত আড়াইটে নাগাদ খাবার এবং ওষুধ খান জোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    Niti Aayog Report: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষায় চিনকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। বর্তমানে ভারতে স্কুলের সংখ্যা চিনের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি (Niti Aayog Report)। সরকারি নীতির কারণে চিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি স্কুল। সেগুলিকে সচল রাখতে একটিকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যটির সঙ্গে। কেউ কেউ আবার পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাচ্ছে।

    পাততাড়ি গোটাচ্ছে স্কুল

    জিনপিং সরকারের কঠোর নিয়ম, অতিমারি-উত্তর কালে অর্থনৈতিক মন্দা ও বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় সে দেশের স্কুলগুলির দশা বেহাল। স্কুল শিক্ষার বিষয়ে নীতি আয়োগের সর্বশেষ রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে এসব তথ্য। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকেও জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে এক লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনা শিক্ষা ব্যবস্থার এক তৃতীয়াংশই ছিল এই প্রতিষ্ঠানগুলি। প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনা করত ৫ কোটি ৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। এই স্কুলগুলির সিংহভাগই হয় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, নয়তো একটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যটিকে।

    হা-পড়ুয়া দশা 

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে চিন ছেড়েছেন বহু বিদেশি। চিন-তাইওয়ান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরেও জিনপিংয়ের দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে থিতু হয়েছেন অনেকে। এসব কারণেও চিনে কমেছে বিদেশির সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে ড্রাগনের দেশের বেসরকারি স্কুলগুলিতে। কারণ এই স্কুলগুলিতেই পড়ত তাঁদের ছেলেমেয়েরা (Niti Aayog Report)। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এও জানা গিয়েছে, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে চিনকে পিছনে ফেললেও, ভারতের বহু অঙ্গরাজ্যের স্কুলগুলিরও হা-পড়ুয়া দশা। অনেক রাজ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ জনেরও কম শিক্ষার্থী রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল বলে কিছু নেই, পুলিশও কন্ট্রোলে নেই’’! থানায় যুবকের মৃত্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

    এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, দুর্বল পরিকাঠামো, প্রধান শিক্ষক কিংবা অধ্যক্ষের অভাব সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুলগুলি। সেই কারণেই কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। সমস্যার সমাধানে স্কুলগুলির একটিকে অন্যটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এভাবে দূর করা যেতে পারে হা-পড়ুয়া দশা। জাতীয় শিক্ষা নীতির সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে বড় দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে (Niti Aayog Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bivas Adhikari: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

    Bivas Adhikari: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে বুধবারে হাজিরা দিলেন বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari), যদিও আগেই তাঁকে সিবিআই কয়েকবার নোটিস দিলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে যে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিভাস। আরও জানা গিয়েছে যে বীরভূমের তাবড় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল তাঁর।

    নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস (Bivas Adhikari)

    বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari)। তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়ে জানান, ‘কিছু নথি দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই হাজিরা দিতে এসেছি।” শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন বিভাস। ২ থেকে ৩ টি বিএড কলেজের মালিক বলেও জানা গিয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরেই এই বিভাস অধিকারীর নাম উঠে এসেছিল। অনেক দিন ধরে তাঁর বিষয় নিয়ে খুব একটা সংবাদ আসেনি। বুধবারে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে গেলে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য তাঁর নলহাটির বাড়ি, কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি করেছিল সিবিআই অফিসাররা। জানা গিয়েছে তিনি নিজেকে অনুকূল ঠাকুরের ঋত্বিক বলে দাবিও করেন। নিজের আশ্রমকে ঢাল করে দুর্নীতির ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    কী বললেন বিভাস অধিকারীর বক্তব্য

    স্কুল শিক্ষক নিয়োগের মামলায় অভিুযুক্ত বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari) বলেন, “২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় আমি অসুস্থ হয়ে পরি। গোপাল দলপতিকে আমি চিনি না। কুন্তলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই, চোর ডাকাতরা বাঁচার জন্য অনেকের নাম নিচ্ছে। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের জন্য আমি সবরকম সহযোগিতা করবো। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমিও চাই প্রকৃতি সত্য ঘটনা উঠে আসুক। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার আসব। আমাকে ডেকে নথি চাওয়া হয়েছিল, সব দিয়েছি। অবৈধ কোনও বিষয় আমার কাছে নেই।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Infosys Prize 2023: ভারতকে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বার্তা এন আর নারায়ণ মূর্তির

    Infosys Prize 2023: ভারতকে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বার্তা এন আর নারায়ণ মূর্তির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে আগামী ২০ বছরের জন্য প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বার্ষিক ১ বিলিয়ন করে মোট ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে বলে বার্তা দিলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তি। এই কথা বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিস পুরস্কার ২০২৩ (Infosys Prize 2023) প্রদানের অনুষ্ঠানে বলেছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের মোদি সরকারের প্রবর্তিত জাতীয় শিক্ষা নীতিকে দেশে দ্রুত বাস্তবায়ন করা একান্ত প্রয়োজন। সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।” ভারত এবং সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী, গবেষক, অধ্যাপক এবং অর্থনীতিবিদদের প্রতি বছর ছয়টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয় এই সংস্থার পক্ষ থেকে। এই বছরও ছয় জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

     ঠিক কী বললেন এন আর নারায়ণ মূর্তি (Infosys Prize 2023)?

    এন আর নারায়ণ মূর্তি, ইনফোসিস সায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইনফোসিস পুরস্কার অনুষ্ঠানে (Infosys Prize 2023) ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’র বাস্তবায়ন নিয়ে বলেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করতে হবে। এর বাস্তবায়নের একটি উপায় হল দেশের ২৮ টি রাজ্য এবং ৮ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ২৫০০ টি ট্রেনিং টিচার কলেজ তৈরি করতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনারিং, গণিত বিষয়ে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। চারজন করে প্রশিক্ষক, ১০০ জন করে প্রাথমিক শিক্ষককে এবং ১০০ জন করে মাধ্যমিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করবেন। আমরা এই পদ্ধতি মেনে ২ লাখ ৫০ হাজার করে প্রাথমিক এবং মধ্যমিক শিক্ষকদের মোট ৫ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবো। ফলে আগামী আরও ৫ বছরে প্রশিক্ষিতরাই প্রশিক্ষক হয়ে উঠবেন। এই জন্য আমাদের প্রতিবছর ১০ লাখ অর্থাৎ ১ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে, যা আগামী ২০ বছরের জন্য ভারতের খরচ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের দেশ দ্রুত ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হবে, ফলে এতে খরচ করা খুব একটা কঠিন কিছু হবে না। অতিরিক্ত বোঝা হবে না।”

    ইনফোসিস পুরস্কার ২০২৩

    ইনফোসিস সায়েন্স ফাউন্ডেশন (ISF)-এর তরফ থেকে ছয়টি বিভাগে ইনফোসিস পুরস্কার ২০২৩-এর (Infosys Prize 2023) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে বিভাগগুলির মধ্যে পুরস্কার পেয়েছেন সেগুলি হল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে সচিদানন্দ ত্রিপাঠী, আইআইটি কানপুর। হিউম্যানিটিজ বিভাগে পান জাহ্নবী পালকে, সাইন্স গ্যালারি বেঙ্গালুরু। লাইফ সায়েন্সেস বিভাগে পান অরুণ কুমার শুক্লা, আইআইটি কানপুর। ম্যাথমেটিকাল সায়েন্সেস বিষয়ে পান ভার্গভ ভট্ট, ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি এবং প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি। আবার ফিজিক্যাল সায়েন্সেস বিষয়ে পান মুকুন্দ ঠাট্টা, ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস। সোশ্যাল সায়েন্সেসে পুরস্কার পান করুণা মানতেনা, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি বিভাগের জন্য ইনফোসিস পুরস্কারে পুরস্কার প্রপাকদের একটি স্বর্ণপদক, একটি প্রশংসাপত্র এবং এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল বেঙ্গালুরু ইনফোসিস সায়েন্স ফাউন্ডেশনের অফিসে। পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করতে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিস গোপালকৃষ্ণান, নারায়ণ মূর্তি, শ্রীনাথ বাটনি, কে. দীনেশ এবং এসডি শিবুলাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূলের কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূলের কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলা সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ভাইফোঁটা উৎসব। বুধবার এই তপন ব্লকের আউটিনা গ্রামে ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আদিবাসী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ভাইফোঁটা দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন সুকান্ত’র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিশিষ্টজন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা নিজের রীতি রেওয়াজ মেনেই সুকান্তকে ফোঁটা দেন। শুধুমাত্র ফোঁটা দেওয়া নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন গ্রামের বোনেরা।

    আদিবাসী মহিলাদের কাছে ভাইফোঁটা পেয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আদিবাসী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে আউটিনা গ্রামে ভাইফোঁটার এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। আমি আমন্ত্রিত হয়ে আনন্দিত বোধ করছি। আমার নিজের বোন না থাকার জন্য সেভাবে বাড়িতে ভাই ফোঁটার রেওয়াজ ছিল না। এই গোটা অঞ্চলের আদিবাসী ও অন্যান্য মহিলারা যেভাবে আমাকে ভাইফোঁটা দিলেন ও সম্মান দিলেন, সেটা সত্যিই বিরল। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় চেষ্টা করব তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর।

    সারের কালোবাজারি রুখতে কেন্দ্রীয় টিম দিয়ে তদন্তের দাবি সুকান্তর

    সারের কালোবাজারি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে বিশেষ করে ১০: ২৬:২৬ এর দাম ১৪৭০ টাকা। সেই সার ২৫০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য সরকার বেশ কিছুদিন চোখ বন্ধ করে থাকার পর তার কিছু দফতর হঠাৎ করে অভিযানে নামল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই কালোবাজারিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। কোথাও ১৪০০ টাকার জিনিস ১৮০০ টাকায় নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কালোবাজারির কারণে কৃষকদের জীবন ওষ্ঠাগত। একদিকে নরেন্দ্র মোদি ইউরিয়া বস্তাতে আড়াই হাজার টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে, অন্য দিকে সেই সার যখন সাধারণ কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তখন এভাবে কালোবাজারি হচ্ছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। কৃষকদের অবস্থা এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে খারাপ। এই কালোবাজারি কৃষকদের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। সে কারণে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে তদন্ত করা হোক। আমরা শুনতে পাচ্ছি, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু এখনও এফআইআর করেছে কি না সেটা দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

    জয়নগর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    জয়নগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জয়নগরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। দুই দলের মারামারি চলছে। গোলাগুলি চলছে। ওখানে বিজেপি নেই। বিজেপির নামের দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়েছিল। ওখানে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। কিছু বামফ্রন্টের লোক রয়েছে অথবা আগে বামফ্রন্ট করত। স্বাভাবিক ভাবেই বামফ্রন্টের নেতারা গিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন খুন হলেন, পুলিশ তো তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী, নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তৃণমূল সমর্থকদের পুলিশের উপর ভরসা নেই। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না। তার পুলিশকে ভরসা করে না। আমাদের জেলাস্তরে নেতারা যোগাযোগ রাখছেন। ওখানকার স্থানীয় লোকজন চাইলে অবশ্যই সেখানে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে ৩দিন আটকে ৪০ শ্রমিক, আজই উদ্ধারের সম্ভাবনা, জানাল প্রশাসন

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে ৩দিন আটকে ৪০ শ্রমিক, আজই উদ্ধারের সম্ভাবনা, জানাল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) দেরাদুনের কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে ধস নামে। ৭০ ঘণ্টা ধরে সেখানে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। এখনও তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার কাজ খুব তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ। উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা ও দাদলাগাঁওয়ের মাঝে এই ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী টানেলে ধসের জেরে ৪০ জন শ্রমিক সেখানে আটকে পড়েন। জানা গিয়েছে, ১৬০ জনের উদ্ধারকারী দল সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করার সবরকম চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে বার বার উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। নতুন করে এলাকায় ধস নামায় উদ্ধারকর্মীরা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। নতুন ড্রিল মেশিন নিয়ে এসে ফের উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। সে রাজ্যের প্রশাসন জানিয়েছে, একটি পাইপের মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার পৌঁছানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ওই ৪০ জন আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন একজন। এছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা থেকেও অনেকেই রয়েছেন সেখানে। 

    শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে প্রশাসনের

    শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, টানেলে আটকে পড়া ৪০ জনকে যথাযথভাবে অক্সিজেনও সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে উদ্ধারকারী দলের সংযোগ রয়েছে। ওয়াকি টকিতে চলছে কথা। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা সুস্থ ও অক্ষত রয়েছেন। ড্রিল করে একটি পাইপ ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই পাইপ দিয়েই শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতে পারবেন। মঙ্গলবার সেই পাইপ ঢোকানোর প্ল্যাটফর্ম (Uttarakhand) তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গেছিল। কিন্তু নতুন করে ধস নামায় সেই কাজ আটকে যায়। আবার নতুন করে ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু করতে হয়।

    কীভাবে উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে শ্রমিকদের?

    কাজ চলাকালীন একটি ২০ মিটারের পাথরের স্ল্যাব সুড়ঙ্গের রাস্তা বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন (Uttarakhand)। ৩ ফুট ব্যাসের অনেকগুলি পাইপ সুড়ঙ্গে ড্রিল মেশিনের মাধ্যমে ঢোকানো হবে। তারপর পাইপগুলি একটার পরে একটা জুড়ে এরপর প্যাসেজ তৈরি করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরকাশীর জেলাশাসক অভিষেক রুহেলা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘সব ঠিক থাকলে বুধবারের মধ্যে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যাবে।’’ উত্তরাখণ্ডে এমন দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। ইদানীং প্রায় গোটা বছর ধরেই পাহাড়ে ধস নামতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে জোশীমঠে বিরাট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলের সেনা (Israel Hamas War)। মঙ্গলবার ভোরে হামাস নিয়ন্ত্রিত এই ভবনের দখল নেয় তেল আভিভ। পরে ভবনের ভেতরে ইজরায়েলের পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ইজরায়েলি সেনা। সেনার গোলান ব্রিগেডের সদস্যদের সেই উল্লাসের ছবি প্রকাশও করেছে নেতানিয়াহুর দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেরা গোলানি ব্রিগেড হামাসের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে।

    হামাসকে উৎখাতের শপথ

    সেনার এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “হামাসকে পুরোপুরি উৎখাত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।” ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, “আমরা গাজাকে দ্রুত হামাসমুক্ত করব। সোমবার আমাদের দখল করা আল-রানতিসি হাসপাতালে ভূগর্ভস্থ ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালাতে হামাস জঙ্গিরা ওই সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল।” প্রসঙ্গত, স্বশাসিত (Israel Hamas War) প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে বছর পনের আগেই গাজায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছিল হামাস। প্রত্যাশিতভাবেই পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করে নিয়েছিল তারা।

    তুমুল লড়াই

    ২৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপে ঢোকে ইজরায়েলি সেনা। তারপর থেকে হামাসের দখলে থাকা একাধিক এলাকার রাশ নেয় তারা। উত্তর গাজায় থাকা হামাসদের বিভিন্ন ঘাঁটিতেও এয়ার স্ট্রাইক চালায় তেল আভিভ। ইজরায়েলকে আঘাত করতে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল হামাস। সেই সব সুড়ঙ্গও দখল করে ইজরায়েলি সেনা। গাজার সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। আম-জনতার ভিড়ে মিশে দক্ষিণে চলে গিয়েছে হামাসের একটা বড় অংশ। তবে এদিন বিনা যুদ্ধে পার্লামেন্ট ভবনের রাশ ছাড়েনি হামাস। দু’ পক্ষে ভীষণ লড়াইয়ের পর জয় পায় ইজরায়েলি সেনা। যে হাসপাতালগুলিকে ওয়ার-রুম হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল হামাস, সেগুলির দখলও ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েলে হামলা (Israel Hamas War) চালায় হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় নিরীহ নাগরিকদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার পরেই পাল্টা আঘাত হানে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন হাজার বারো মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস ধরে চলার পর অবশেষে মণিপুরে (Manipur Violence) নিভেছে অশান্তির আগুন। এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেইতেইদের ন’টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল তারা। চিত্রাঙ্গদার দেশের হিংসায় এই সংগঠনগুলি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    ইউএপিএ অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনগুলিকে। মণিপুরে মেইতেইরা সংখ্যাগুরু। অভিযোগ, এদেরই ন’টি সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। যে সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি (Manipur Violence) হল, জঙ্গিগোষ্ঠী পিপলস লিবারেশন আর্মির রাজনৈতিক শাখা রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি, পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাকের সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি এবং কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র শাখা কাংলেইপাক রেড আর্মি।

    আগেই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মণিপুরে যে সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “মণিপুরের ঘটনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মণিপুরের ঘটনায় অনেকেই তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এক যোগে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “অদূর ভবিষ্যতে মণিপুরে উঠবে শান্তির সূর্য, মণিপুর আবার এগিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে, এই সংসদ সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে সমাধান করব। শান্তি স্থাপন হবেই।”

    আরও পড়ুুন: জে পি নাড্ডার নাম করে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা!

    গত ৩ মে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরে’র কর্মসূচিকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তার জেরেই শুরু হয় মেইতেই-কুকি সংঘর্ষ। মেইতেইরা হিন্দু। আর কুকি সহ সেখানকার তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সিংহভাগই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় (Manipur Violence) দু’শোজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Submarine: করাচি বন্দরে সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে চিন! ভারতকে চাপে রাখতে?

    Chinese Submarine: করাচি বন্দরে সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে চিন! ভারতকে চাপে রাখতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। তবে তা স্বত্ত্বেও ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। এবার ভারতকে চাপে রাখতে করাচি বন্দরে পাকিস্তান মোতায়েন করেছে চিনা নৌসেনার (Chinese Submarine) যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজ। সাম্প্রতিক এক উপগ্রহ চিত্রেই ধরা পড়েছে এই ছবি। ভারতীয় জলসীমার অদূরে করাচি বন্দরে নতুন করে নৌঘাঁটি নির্মাণের তোড়জোড়ও শুরু করেছে বেজিং।

    মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ

    সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, উপগ্রহচিত্রে করাচি বন্দরে চিনা টাইপ-০৩৯ ডুবোজাহাজ ও টাইপ-৫২ডি ডেস্ট্রয়ারের মতো যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তানের ওই বন্দরে চিনা টাইপ ৯২৬ সাবমেরিনও মোতায়েন করা হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতকে চাপে রাখতেই এসব (Chinese Submarine) করা হয়েছে। বেজিংয়ের বৃহত্তর কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই পাকিস্তানের বন্দরে এই চিনা তৎপরতা। এই অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য মেনে নেওয়া, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারতকে সুবিধাজনক শর্ত মানতে বাধ্য করাও এই কৌশলের অঙ্গ। সর্বোপরি, চিন-বিরোধী আমেরিকা থেকে ভারতকে দূরে রাখতেই পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচিতে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে ড্রাগনের দেশ।

    যৌথ সামরিক মহড়া 

    এদিকে, সম্প্রতি করাচি উপকূলে পাক নৌসেনার সঙ্গে সি গার্ডিয়ান-৩ যৌথ মহড়াও শুরু করেছে বেজিং। আরব সাগরে দিন সাতেক ধরে চলছে এই মহড়া। জলের পাশাপাশি মহড়া চলছে উত্তর আরব সাগরে করাচির নেভাল বেস থেকে। মহড়া শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই মহড়া চিন ও পাকিস্তানের শক্তপোক্ত দ্বিপাক্ষিক মিলিটারি কো-অপারেশনের ফল। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্ত করবে।

    আরও পড়ুুন: উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গে আটকে বাংলার তিন সহ ৪০ শ্রমিক, খোঁজ নিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ভারতকে চাপে রাখতে এর আগে শ্রীলঙ্কার একটি বন্দরে নজরদারি জাহাজ মোতায়েন করেছিল চিন। তখন চিনকে ওই বন্দর ব্যবহার করতে দিতে খানিকটা বাধ্য হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ চিনা ঋণের ফাঁসে জড়িয়ে গিয়েছিল এই দ্বীপরাষ্ট্র। পরে ভারতের সহযোগিতায় অর্থনীতির হাল ফেরায় শ্রীলঙ্কা। তার পরেই চিনকে ওই জাহাজ সরিয়ে নিতে বলে কলম্বো। তার পর একই কায়দায় পাকিস্তানকেও ঋণের জালে জড়িয়ে ফেলে বেজিং। এবার তাদের নৌ-বন্দর ব্যবহার করে ও চিন-পাকিস্তান যৌথ নৌবাহিনী-মহড়া সেরে ভারতকে চোখ রাঙাতে চাইছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের (Chinese Submarine)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share