Tag: Bengali news

Bengali news

  • Amrit Bharat Express: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেমন হবে নতুন ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’?

    Amrit Bharat Express: শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেমন হবে নতুন ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বন্দে ভারতের পর আসছে নয়া ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ (Amrit Bharat Express)। এই ট্রেনের বর্ণ হবে গেরুয়া। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক এই ট্রেন বেশ আশাব্যঞ্জক এবং ফলপ্রসূ হবে। শনিবার, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই ট্রেনের উদ্বোধন হবে। উল্লেখ্য অমৃত ভারত একপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

    শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    এই ট্রেনের এর আগে নামকরণ করা হয়েছিল বন্দে সাধারণ। যা আদতে নন-এসি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পরে নাম বদল করে ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’ (Amrit Bharat Express) রাখা হয়। ট্রেনের রঙ ধূসর ও গেরুয়ার সংমিশ্রণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যা থেকে উদ্বোধন করতে পারেন অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। প্রথম ট্রেন যাবে অযোধ্যা থেকে বিহারের দ্বারভাঙা পর্যন্ত। দ্বিতীয় ট্রেনটি সম্ভবত চলবে মালদা থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত। যদিও, একনও রেলের তরফে সরকারি স্তরে কোনও ঘোষণা হয়নি।

    সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো এই ট্রেনেও পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, ট্রেনের দুদিকের ইঞ্জিন সমানতালে কাজ করবে। সামনের ইঞ্জিন পুল করবে, শেষেরটি পুশ। ট্রেনের উভয় প্রান্তেই ডাব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিন যুক্ত থাকছে।  এই ট্রেনের গতি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। অমৃত ভারত ট্রেনে (Amrit Bharat Express) মোট ২২টি কোচ থাকবে। ৮টি সাধারণ (জেনেরাল) কোচ, ১২টি দ্বিতীয় শ্রেণির থ্রি টিয়ার স্লিপার কোচ ছাড়া দু’টি কামরা হবে লাগেজ ভ্যান। এতে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তায় জোর

    সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ট্রেনের লোকো পাইলটদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে সিটগুলিকে আরামদায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল কামরার উপরে সিটে গদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক সিটের সঙ্গে থাকবে উন্নতমানের মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট। পাশাপাশি, রাখা হয়েছে এলইডি লাইট, বেসিন, পাখা, মেট্রোর মতো ঘোষণার সুবিধাও। ট্রেনে যাতে জলের অপচয় কম রাখা হয় তার জন্য সেন্সর ওয়াটার ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার দিকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। ট্রেনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অবশ্যই কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রতিটি কোচে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। 

    ২ ঘণ্টা কম সময় লাগবে

    এই ট্রেনের ট্রায়াল ও অন্যান্য সুবিধাগুলিকে প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব রুটে এই ট্রেনগুলি চলবে সেখানে যাত্রাপথে গন্তব্যে পৌঁছাতে ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে।  প্রবীণ বা বয়স্ক নাগরিক কিংবা বিশেষ সক্ষমরা যাতে উঠতে পারেন তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দরজা থাকবে বেশ চওড়া, জানালা থাকবে বেশ বড়বড়। দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং নতুন প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। দিল্লি থেকে কলকাতায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস (Amrit Bharat Express) ট্রেনে আসত ২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “এই ট্রেন হল অমৃত কালের অমৃত ভারত ট্রেন।”

    কেমন হবে ভাড়া?

    অনেকে বলছেন, এই ট্রেন বন্দে ভারতের ছোট ভাই। তবে এর ভাড়া বন্দে ভারতের মতো হবে না। তুলনায় অনেক কম হবে ভাড়া। রেল জানিয়েছে, সাধারণ মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির তুলনায় মাত্র ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ বেশি ভাড়া হবে এই ট্রেনে। অন্যান্য মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে এক থেকে ৫০ কিলোমিটারের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রার ন্যূনতম টিকিটের দাম ৩০ টাকা (রিজার্ভেশন এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়া)। সেখানে অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে (Amrit Bharat Express) এক থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ন্যূনতম খরচ ৩৫ টাকা। রিজার্ভেশন ফি এবং অন্যান্য চার্জ ছাড়াই যাত্রীদের দিতে হবে এই অর্থ। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ছাড়ের টিকিট এবং বিনামূল্যে পাসের জন্য টিকিট এই ট্রেনগুলিতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    Qatar Death Penalty: ভারতীয় নৌসেনার ৮ প্রাক্তন কর্মীর মৃত্যুদণ্ড রদ কাতারে, বড় জয় মোদির কূটনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনীতির (India Qatar Relations) ময়দানে বড় জয় মোদি সরকারের। কাতারে ৮ ভারতীয়র মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হল বৃহস্পতিবার (Qatar Death Penalty)। 

    অক্টোবরে মৃত্যুর সাজা 

    চরবৃত্তির অপরাধে অক্টোবর মাসে ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল কাতার (Qatar Death Penalty)। এই ৮ জন হলেন— ক্যাপ্টেন নবতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্রকুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। কাতারের নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে, কাতার প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি কূটনৈতিক (India Qatar Relations) স্তরেও আলোচনা চালাচ্ছিল বিদেশমন্ত্রক। আজ মৃত্যুদণ্ড রদ করে হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে কাতারের আদালত।

    কোর্ট অফ আপিলে জয়

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘আজ কোর্ট অফ আপিল অফ কাতারের রায় অনুযায়ী, দাহরা গ্লোবান কেসে মৃত্যু দণ্ডের সাজা মকুব করা হয়েছে৷ তবে বিস্তারিত রায় এখনও আসেনি৷ আমরা এ বিষয়ে কাতারের আদালতে পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রতীক্ষা করছি। কাতারে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং অন্য আধিকারিকরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের সঙ্গে ৮ জনের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন৷ এই বিষয়ের প্রথম থেকেই আমরা নৌ-আধিকারিকদের পাশে রয়েছি৷ আমরা তাঁদের আইনি সব সাহায্য করে যাব৷’’

    চরবৃত্তির অভিযোগে গত বছর গ্রেফতার 

    গত বছর অগাস্ট মাসে নৌসেনার এই ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে আটক করেছিল কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা। কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ পরিষেবা প্রদান করা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামের একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, প্রথমে তা দোহার ভারতীয় দূতাবাসকেও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। চলতি বছরের এপ্রিলে আদালতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর জানা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পর অক্টোবর মাসে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় কাতারের নিম্ন আদালত (Qatar Death Penalty)। 

    কাতার আদালতের নির্দেশে কার্যতই স্তম্ভিত হয়ে যায় দিল্লি। এর পরই কেন্দ্রের তরফে তৎপরতা দেখা যায়। নভেম্বরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মৃত্যদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের (India Qatar Relations) ছাড়িয়ে আনতে সব রকম আইনি সাহায্য করবে ভারত সরকার৷ গত মাসেই ভারত কাতারের কোর্ট অফ আপিলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানায়৷ তারপর আজ মৃত্যুদণ্ড রদ হওয়ার খবর এল (Qatar Death Penalty)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Black Fever: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Black Fever: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।‌ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক থাকা জরুরি। আর এর মধ্যেই রাজ্যে আরেক বিপদ! বছর শেষে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে কালাজ্বর (Black Fever)। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের দাপট বাড়ছে। তাই ডেঙ্গি, করোনার মাঝে রাজ্যবাসীর জন্য নয়া বিপদ তৈরি করেছে কালাজ্বর।

    কী বলছে সরকারি তথ্য? (Black Fever)

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরে রাজ্যে ১৪ জন কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়ার এক বাসিন্দা কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ফলে, উদ্বেগ বাড়ছে। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজের তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি মানুষ চলতি বছরে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৪ জন আক্রান্ত।  ২০০৩ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশ থেকে কালাজ্বর (Black Fever) নির্মূল করার একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পাশপাশি রাজ্যগুলোকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। তবেই এই জ্বর দেশ থেকে নির্মূল হবে বলে সাফ জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    কালাজ্বর থেকে সতর্ক থাকতে কী বলছেন চিকিৎসকেরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। জ্বরের পাশপাশি এই রোগ হলে বমি, পেটে যন্ত্রণা, গোটা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। পাশপাশি খিদে একদম কমে যায়। ত্বকের একাধিক জায়গায় কালো ছোপ হয়। অনেকের কালাজ্বর হলে ডায়েরিয়া হয়। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের কালাজ্বর (Black Fever) হলে জ্বর ছাড়া আর কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তাই দীর্ঘদিন জ্বর আর পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, চিকিৎসা শুরুতে দেরি হলে বিপদ বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বিপদ বাড়ায় কালাজ্বর? (Black Fever) 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে পাকস্থলী এবং লিভারে প্রভাব পড়ে। পাকস্থলীতে ঘা হতে পারে। পাশপাশি লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। এই দুই অঙ্গ বিকল হয়ে গেলে বড় সমস্যা দেখা যায়। তাই কালাজ্বরের চিকিৎসা দেরিতে শুরু হলে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি, কালাজ্বর সংক্রমণ ছড়ায়। মাছির মাধ্যমে এই রোগ একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে‌। তাই একজনের এই রোগ (Black Fever) বাসা বাঁধলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা জরুরি। সংক্রামক রোগে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে আরও বেশি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে, বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেক আগে তিনি বেরিয়েছিলেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায়। এবার ফের নামছেন পথে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও একবার যাত্রা শুরু করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই যাত্রার পোশাকি নাম ‘ন্যায় যাত্রা’। রাহুলের যাত্রা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি, মণিপুর থেকে। ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা পেরিয়ে যাত্রা শেষ হবে ২০ মার্চ। কংগ্রেসের প্রাক্তন এই সভাপতির ‘ন্যায় যাত্রা’কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।

    ‘আসল ন্যায় করছেন মোদি’

    দলের মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, “আসল ন্যায় করছেন নরেন্দ্র মোদি। আর তা তিনি করছেন ২০১৪ সাল থেকে।” মোদির আমলে দেশজুড়ে উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “এসবের কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি মানুষের কথা ভাবেন। যা দিয়ে কারওর লক্ষ্যকে ভাল করা যায় বা ভাল নীতি কার্যকর করা যায়, তা-ই করছেন প্রধানমন্ত্রী।” এই প্রসঙ্গেই তিনি তুলে ধরেন বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প, ভর্তুকিযুক্ত বাড়ি, মুদ্রা ঋণের বিষয়গুলি।

    ন্যায় বিচার দেবে কীভাবে? 

    রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে নিশানা করেছেন বিজেপির (BJP) আর এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “যারা ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের নামে দেশ ভাগ করছে, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ১৯৮৪ সালে শিখ-বিরোধী হিংসায় যারা এখনও বিচার দিতে পারেনি, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ওই হিংসার শেকড়ে পৌঁছতে সিট গঠন করেছে মোদি সরকার।” অনুরাগ বলেন, “ইন্ডি-জোট, যাতে কংগ্রেসও রয়েছে, তারা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ করতে নয়। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে হেরে গিয়ে পরাজয় স্বীকার না করে তারা দুষছে ইভিএমকে! অন্য দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্ম এবং সম্প্রদায়িক বিভাজনের নামে রাজনীতি করছে।”

    আরও পড়ুুন: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    তিনি বলেন, “আজ দেশ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেগুলির তালিকায় ভারতের স্থান পাঁচে। অচিরেই দেশ পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। উন্নয়নের এই ধারা থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে এরা। এরা হয়ত জানেন না, যে ১৪০ কোটি ভারতবাসী রয়েছেন মোদিজির পাশে।” অনুরাগ বলেন (BJP), “কংগ্রেস শ্রী রামকেও কাল্পনিক বলছে। তাদের সহযোগী দলগুলি সবসময় সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার চেষ্টা করে চলেছে। উল্টো দিকে দেখুন, মোদি সরকারের একমাত্র পাখির চোখ – দেশের উন্নয়ন, দরিদ্রদের কল্যাণ। মোদির নেতৃত্বেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Actor-Politician Vijayakanth: কোভিডে কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত তামিল অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত

    Actor-Politician Vijayakanth: কোভিডে কাড়ল প্রাণ, প্রয়াত তামিল অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ডিমএমডিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত (Actor-Politician Vijayakanth)। বৃহস্পতিবার চেন্নাইতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। জানা গিয়েছে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Actor-Politician Vijayakanth)

    হাসপাতাল সূত্রে একটি জানা গিয়েছে, নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন এই তামিল অভিনেতা বিজয়কান্ত (Actor-Politician Vijayakanth)। তাঁর অত্যধিক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিল। এরপর ভেন্টিলেশন সাপোর্টেও ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করা গেল না। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ত বুধবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার মধ্যেই তিনি করোনা আক্রান্ত হন। প্রিয়জন তথা ভক্তকূলের কাছে ‘ক্যাপ্টেন’ নামে পরিচিত ছিলেন বিজয়কান্ত। সিনেমায় সেনা চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য এই বিশেষ পরিচয়ে সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সেলুলয়েডে তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে তাঁকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এমজি রামচন্দ্রণের সঙ্গে তুলনা করা হতো। বিজয়কান্ত ১৫০টির বেশি তামিল সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

    ডিএমডিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন

    ২০০৫ সালে দেশিয়া মুরপোক্কু দ্রাবিড় কাজাগাম (ডিএমডিকে) দল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন বিজয়কান্ত (Actor-Politician Vijayakanth)। ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে-র বিকল্প দল হিসবে তামিলনাড়ুতে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন তিনি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ললিতার এডিএমকে-র সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়াই করে ২৯টি আসনে জয়ী হয় তাঁর দল। পরে অবশ্য জোট ভাঙার কারণে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছিলেন তিনি। অনেকদিন ধরে ডায়বেটিসের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ২০২২ সালের একটা সময়ে এই রোগের কারণে পায়ের একটি আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গেও জোট করেছিলেন বিজয়কান্ত।

    করোনার বাড়বাড়ন্ত

    ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সারা দেশে করোনা সংক্রমণের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার। দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে কেরলে এই সংক্রমণের প্রভাব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের নতুন সংস্করণ জেএন ওয়ানের প্রমাণ মিলেছে বেশ কিছু রাজ্যে। এই অভিনেতার (Actor-Politician Vijayakanth) মৃত্যুতে করোনায় চিন্তা বাড়িয়েছে।

    সফদরজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. জুগল কিশোর জানিয়েছেন, “করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পর সেটা বাড়তে শুরু করে। ফলে ভারতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমণ চরম আকার নিতে পারে। সকলকে তাই আরও সতর্ক থাকতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ একটা। দুই মুখ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কার রেটিং কত? প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে চাইছে বাংলা? কী বলছেন বাংলার (Lok Sabha Poll 2024) ভোটাররা? সম্প্রতি জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। সেখানেই জানা গিয়েছে, রাহুলের চেয়ে যোজন খানেক এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ৬০ শতাংশ ভোটারও তাঁকেই দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী পদে। কিছুদিন আগেই ফল বেরিয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যেই তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। কংগ্রেসের মুখ রক্ষা হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। বিজেপির দাবি, তিন রাজ্যে জয় এসেছে মোদি ম্যাজিকেই।

    অগোছালো বিরোধীরা

    বিজেপির জয়ের গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন ঘরই গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোট। জোট গঠনের পর থেকে চার-চারটি বৈঠক হয়েছে বটে, তবে এখনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীই ঠিক হয়নি। এনিয়েও জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অশান্তি। জোট শরিক তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চাইলেও, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার আবার তাতে আপত্তি জানিয়েছেন।

    এগিয়ে মোদি

    ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখনও ঠিক না (Lok Sabha Poll 2024) হলেও, সি-ভোটারের সমীক্ষকরা তুল্যমূল্য বিচার করছেন মোদি বনাম রাহুলের রেটিং। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে ওই পদে দেখতে চাইছেন ৩২ শতাংশ মানুষ। এই দুজনের মধ্যে কাউকেই পছন্দ করেন না ৪ শতাংশ ভোটার। মতামত দেননি ৫ শতাংশ মানুষ।

    একমাত্র পাঞ্জাবেই মোদির চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন রাহুল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ। তবে বাকি রাজ্যগুলিতে রাহুলকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিয়েছেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। এখানকার ৬০ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মোদিকে। ছত্তিসগড়ের ৬৭ শতাংশ, কর্নাটকের ৬৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৬ শতাংশ, রাজস্থানে ৬৫ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৫০ শতাংশ, বিহারে ৬৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৫ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন মোদিকেই।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    মোদি এবং রাহুলের মধ্যে কাউকেই পছন্দ নয় ছত্তিসগড়ে ১, কর্নাটকে ২, মধ্যপ্রদেশে ৩, রাজস্থানে ২, তেলঙ্গানায় ২, বিহারে ৬, মহারাষ্ট্রে ৬, পঞ্জাবে ১৪, উত্তরপ্রদেশে ৮ এবং পশ্চিমবঙ্গের ২ শতাংশ ভোটারের। মোদি-রাহুল দ্বৈরথের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ১৩ শতাংশ মানুষ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ১০ শতাংশ মানুষ। আর ৯ শতাংশ মানুষ চাইছেন (Lok Sabha Poll 2024) প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Loksabha Poll 2024: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    Loksabha Poll 2024: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরেই মহারণ। লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Poll 2024)। এই নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি। অন্তত সি-ভোটারের সমীক্ষায় মিলল তেমনই ইঙ্গিত। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে লোকসভার ৫৪৩টি আসনে সমীক্ষা চালিয়েছিল সি-ভোটার। সমীক্ষকরা কথা বলেছেন ১৩ হাজার ১১৫ জন ভোটারের সঙ্গে।  

    সি-ভোটারের ইঙ্গিত

    নতুন বছরের মাঝ-এপ্রিলেই লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার ঢের আগেই আস্তিন গুটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। অথচ এখনও ছন্নছাড়া দশা ইন্ডি জোটের। বিজেপিকে মাত দিতে এই জোট গড়েছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। নানা সময় বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সেই জোটের অন্দরে বয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত। কখনও কখনও কেউ কেউ প্রকাশ্যে উগরে দিয়েছেন ছাইচাপা ক্ষোভের লাভাও। এমতাবস্থায় বিজেপি যে ফের ফিরছে (Loksabha Poll 2024) কেন্দ্রে, তা জানতে জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হতে হয় না। সি-ভোটারের দেশজোড়া সমীক্ষায়ও মিলল তেমনই ইঙ্গিত।

    কোথায় কত আসন

    সমীক্ষায় প্রকাশ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ২৯৫-৩৩৫টি আসনের রাশ। তারা পেতে পারে ৪২ শতাংশ ভোট। ইন্ডি জোট জয়ী হতে পারে ১৬৫-২০৫টি কেন্দ্রে। তারা পেতে পারে ৩৮ শতাংশ ভোট। অন্য দলগুলি পেতে পারে ৩৫-৬৫টি আসন। পূর্ব ভারতে লোকসভার আসন রয়েছে ১৫৩টি। এর ৮০-৯০টি আসনে জিততে পারে বিজেপি ও তার জোট শরিকরা। ইন্ডি জোটের ঝুলিতে পড়তে পারে ৫০-৬০টি আসন। অন্য দলগুলি জয়ী হতে পারে ১০-২০টি কেন্দ্রে।

    পশ্চিম ভারতে লোকসভার আসন রয়েছে ৭৮টি। এর মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে পারে ৪৫-৫৫টি আসন। ২৫-৩৫টি আসন পেতে পারে ইন্ডি জোট। অন্য দলগুলি পেতে পারে বড়জোর ৫টি আসন। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, উত্তর ভারত প্রায় পদ্মময়। এই অঞ্চলে রয়েছে ১৮০টি লোকসভা কেন্দ্র। তার মধ্যে বিজেপি-জোটের দখলে যেতে পারে ১৫০-১৬০টি আসন। ভোট পেতে পারে ৫০ শতাংশ। ইন্ডি জোট পেতে পারে ২০-৩০টি আসন। ৩৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে তারা। ৫টির মতো আসন পেতে পারে অন্য দলগুলি। 

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    দক্ষিণ ভারতে মোট আসন ১৩২টি। এই অঞ্চলে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলি পেতে পারে ২০-৩০টি আসন। ভোট পেতে পারে ১৯ শতাংশ। ইন্ডি জোট পেতে পারে ৭০-৮০টি আসন। তারা পেতে পারে ৪০ শতাংশ ভোট। অন্য দলগুলি জিততে পারে ২৫-৩৫টি আসন। তারা পেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট (Loksabha Poll 2024)। সমীক্ষার ফল মিলবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে কেন্দ্রে যে ফের বিজেপিই আসবে, সে প্রত্যয় ধরা বারংবার ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। তাঁর জমানায় দেশজুড়ে উন্নয়নের যে জোয়ার বয়ে গিয়েছে, তার জেরেই বিজেপির জয় নিশ্চিত, বলছেন পদ্ম নেতারাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    Ayodhya Railway Station: মন্দির উদ্বোধনের আগে বদলে গেল অযোধ্যা রেল স্টেশনের নাম, কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল অযোধ্যা রেলস্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নাম। নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ওই দিনই হবে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি হবে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর। এদিনই উদ্বোধন হবে অযোধ্যা রেলস্টশনেরও। বদলে যাচ্ছে এই স্টেশনের নামই।

    অযোধ্য়া রেলস্টেশনের নাম বদল

    অযোধ্যা রেলস্টেশনটি আদতে একটি জংশন। যেহেতু মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হওয়ার পরে এই পুণ্যভূমিতে ঢল নামবে ভক্তের, তাই ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনটিকে। স্টেশনটির পরতে পরতে রয়েছে অত্যাধুনিকতার ছাপ। এহেন রেলস্টেশনের নাম বদলে যাওয়ার কথা জানালেন স্থানীয় সাংসদ বিজেপির লাল্লু সিংহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “অযোধ্যা স্টেশনের (Ayodhya Railway Station) নতুন নাম হবে অযোধ্যা ধাম।” নবনির্মিত স্টেশনের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “অযোধ্যা জংশন হল অযোধ্যা ধাম জংশন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশে জনগণের ভাবাবেগ ও প্রত্যাশায় সাড়া দিয়ে নবনির্মিত গ্র্যান্ড অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন অযোধ্যা জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ধাম জংশন করা হয়েছে।”

    বিজ্ঞপ্তি জারি রেলের

    সাংসদের এই দাবির আগেই অবশ্য রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অযোধ্যা স্টেশনের নাম বদলের কথা জানিয়েছে রেল। রেলের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এবার থেকে অযোধ্যা জংশনের নাম হল অযোধ্যা ধাম জংশন’। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যা বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনের। রেলস্টেশনের নাম যেমন হয়েছে অযোধ্যা ধাম জংশন, তেমনি বিমানবন্দরের নামেও রয়েছে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। নবনির্মিত বিমানবন্দরটির নাম দেওয়া হয়েছে পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিন প্রথমে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৫ কিলোমিটার পথে করবেন রোড-শো। এভাবেই তিনি পৌঁছবেন রেলস্টেশনে। উদ্বোধন করবেন নবকলেবর-প্রাপ্ত এই স্টেশনেরও। পরে একটি জনসভাও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে ২২ জানুয়ারি। দেবদর্শন শুরু হবে তার পরের দিন (Ayodhya Railway Station) থেকে। অযোধ্যা প্রশাসনের অনুমান, এদিন থেকে প্রতিদিনই অযোধ্যায় আসবেন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে যেমন থাকবেন দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীরাও, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসু মানুষও। তাই ঢেলে সাজানো হচ্ছে রামজনমভূমিকে।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prisoners Verification: বন্দিদের আধার যাচাই, দেখা করতে এলেও লাগবে তথ্য, নয়া নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    Prisoners Verification: বন্দিদের আধার যাচাই, দেখা করতে এলেও লাগবে তথ্য, নয়া নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই দিব্যি অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে বন্দি (Prisoners Verification)। আত্মীয়ের ছদ্মবেশে যাঁরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, তাঁদের মাধ্যমেই হাসিল হয়ে যাচ্ছে কাজ। এই যেমন জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। গারদে বসেই কানাডায় থাকা গোল্ড ব্রারের সঙ্গে শলা করে জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে খুন করা হয়।

    গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কাণ্ড

    গত বছর ৯ মে পাঞ্জাবের ওই ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। তদন্তে জানা গিয়েছিল, ওই সময় যারা জেল বন্দি লরেন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন, তাঁদের মারফতই যাবতীয় পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছিল মুসেওয়ালাকে। জেল থেকে বসে এমন একজন নামজাদা ব্যক্তিত্বকে খুন করায় তাজ্জব বনে গিয়েছিল পুলিশও। মুম্বই সহ কয়েকটি রাজ্য থেকে জেলে বসেই গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ নানারকম অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও ওঠে।  

    বন্দির সাক্ষাৎপ্রার্থীদের দেখাতে হবে আধার

    এই সব ঘটনার (Prisoners Verification) পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সংশোধনাগারে থাকা সব বন্দি ও তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা লোকজনের আধার কার্ড যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গোটা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে ওই নির্দেশিকা। নির্দেশ এসেছে এ রাজ্যের কারা দফতরের কাছেও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশোধনাগারে থাকা যে কোনও বন্দি বা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসা ব্যক্তিদের আধার কার্ডের সত্যতা যাচাই করতে হবে। সেসব তথ্য নথিভুক্ত করাতে হবে ‘দ্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন সেন্টার ই-প্রিজনার্সে’। সেই তথ্য পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও। ফলে নজরদারির ফোকর গলে আর দুষ্কর্ম চালানো অনায়াস হবে না।

    আরও পড়ুুন: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    জেলে নতুন কেউ এলে, তার যাবতীয় পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসেন, তাঁদেরও পরিচয়পত্র দেখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দেখতে হবে আধার নম্বরও। এবং এসব তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে দ্য ন্যাশনাল ইনফর্মেশন সেন্টার ই-প্রিজনার্সে (Prisoners Verification)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share