Tag: Bengali news

Bengali news

  • Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সারদার নথি লোপাটের প্রতিদান পেলেন রাজীব”, নয়া ডিজিকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯। সিবিআই হন্যে এক পুলিশ কর্তার খোঁজে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতা শহরে ধর্নায় বসে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ভূ-ভারতে এমন নজির আর একটিও রয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরাও।)

    কী বললেন শুভেন্দু?

    যে পুলিশ কর্তার জন্য এতকাণ্ড, সেই রাজীব কুমারকেই রাজ্যের ডিজি পদে বসালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার পরেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজীবকে ডিজি করে প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কারও নির্দেশে কখনও বলি দিতে যাবেন না। ভগবান ভালো করবেন না।”

    রাজীব কুমার

    ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব। বাম আমলে তিনি বামেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ। পালাবদলের পর বদলে যান রাজীবও। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন তিনি। যার জেরে সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজীবের খোঁজে পুলিশ যখন হন্যে, তখন তাঁর ‘কবচ-কুণ্ডল’ হয়ে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এহেন রাজীবকে পুলিশের ডিজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এদিনই মেয়াদ শেষ হয়েছে পুলিশের বর্তমান জিজি মনোজ মালব্যের।

    মাঝ-এপ্রিলেই হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজীবকে পুলিশে নয়া পদ দেওয়ার নেপথ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অবশ্য একে প্রতিদান হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “সারদার প্রমাণ নষ্ট করে রাজীব কুমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিদান দিচ্ছেন। আমি সিবিআইকে বলব, সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠছে না কেন? সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা পড়ে রয়েছে, তা তোলার ব্যবস্থা করুন। নইলে আমরা, বাংলার মানুষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা তোলার জন্য যা করার করব।”

    আরও পড়ুুন: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    রাজীবের পদপ্রাপ্তিতে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব কুমারকে এখন তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখেও অটল মুখ্যমন্ত্রী। তাই ডিজির পদ আলোকিত করবেন রাজীব।

    স্বাভাবিক। দুয়ারে যে লোকসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Dooars Resort: ডুয়ার্সের রিসর্টে মদ খেয়ে পুলিশের তাণ্ডব! আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে মদ খেয়ে বেসরকারি ডুয়ার্সের রিসর্টে (Dooars Resort) গভীর রাতে এসে রীতিমত তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের মেটালিতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা বলেন, “কোনও রকম মারামারির ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুলিশের বসানো মদের আসর থেকে গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ কটূক্তি করার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল বড়দিনের রাতে। প্রতিবাদ করলে পুলিশই পালটা গ্রামের মানুষদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডুয়ার্সে ফের অভিযুক্ত পুলিশ।

    ঘটনা কী কীভাবে ঘটেছে (Dooars Resort)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার নদিয়া থেকে বেশ কিছু পর্যটক ডুয়ার্সের (Dooars Resort) চালসা ইনডর এলাকায় এক রিসর্টে ওঠেন। এরপর রাতের বেলায় নিজেদের রুম থেকে বেরিয়ে দেখেন তিনজন পুলিশ রিসর্টে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশেরা রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর শুরু করে। ফলে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান। এমনকি পর্যটকদের গাড়ির ড্রাইভারদেরও অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে মেটালি থানার পুলিশকে খবর দেয় রিসর্ট কর্তৃপক্ষ।

    তাণ্ডবের ভিডিও ভাইরাল

    মদ খেয়ে পুলিশ উন্মত্ত অবস্থায় রিসর্টে (Dooars Resort) গিয়ে ঘরের বুকিং চায়। কিন্তু ঘর খালি না থাকায় রিসর্টের কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশকর্মী বিবেক সুব্বা। কিন্তু তাণ্ডবের ভিডিও ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই পুলিশের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। সাধারণত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন স্থানীয় পুলিশেরাই। অচথ্‌ পুলিশের কাছেই সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। রীতিমতো পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এই ঘটনা।

    পর্যটকদের বক্তব্য

    নদিয়া থেকে ডুয়ার্স রিসর্টে (Dooars Resort) ঘুরতে আসা পর্যটক সঞ্জয় সাহা, সন্তু গুহ বলেন, “পুলিশের এই তাণ্ডবে আমরা নিজেদের অত্যন্ত অসুরক্ষিত মনে করছি। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গাড়ির চালকদের ব্যাপক মারধর করে। আমাদের সঙ্গে মহিলা এবং শিশুরা ছিল, ঘটনায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    India China LAC: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India China LAC) বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনটাই মনে করেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা (Lt General RP Kalita)। তাঁর মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে এবং চিনকে চুপ রাখতে হলে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন হচ্ছে সমাধান।

    ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’

    চলতি বছরের শেষে অবসর নিচ্ছেন বর্তমান আরপি কলিতা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি। অবসরের প্রাক্কালে এদিন কলিতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই চিন সীমান্ত থেকে শুরু করে মণিপুর ও মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (India China LAC) নিয়ে কলিতা বলেন, চিন সীমান্তে বর্তমানে স্থিবাতবস্থা বজায় রয়েছে। তবে, তা পুরোটাই অনিশ্চয়তায় ভরা। তাঁর কথায় ‘‘স্টেবল বাট আনপ্রেডিক্টেবল’’। অর্থাৎ, কখন কী হবে, অনুমান করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, যে কোনও (প্রতিকূল) পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারত। 

    চিনকে দমিয়ে রাখার দাওয়াই…

    বিদায়ী কমান্ডারের মতে, চিনকে দমিয়ে রাখতে সীমান্তে (India China LAC) প্রতিনিয়ত পরিকাঠামোগত ও যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সড়ক হোক বা বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড কিংবা হোক ডেটা-নেটওয়ার্ক— পরিকাঠামো উন্নয়ন হলেই সীমান্তাঞ্চলের কায়েম বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভারত এখন করে চলেছে। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে একদিকে যেমন বাহিনীর সুবিধা হবে, তেমনই সাধারণ নাগরিকদেরও ভালো হবে। পাশাপাশি, সীমান্তে আধুনিকতম অস্ত্র মোতায়েন করাও সমান জরুরি বলে মনে করেন সেনা কমান্ডার। তিনি জানান, পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্র মোতায়েন করতে হবে সীমান্তে। তবেই কেউ সাহস করবে না। 

    মণিপুরের অশান্তির নেপথ্যে এই দুই!

    চলতি বছর সেনার পূর্ব কমান্ডের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে মণিপুরের অশান্তি। এ প্রসঙ্গে সেনা কমান্ডার জানান, মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ— প্রথমত, উপজাতিদের হাতে অস্ত্র চলে আসা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তপার অনুপ্রবেশ। কলিতা (Lt General RP Kalita) জানান, ওখানে জঙ্গিরা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মিশে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিচ্ছে। এটা দেশের সার্বিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। তার ওপর মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এসে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। কমান্ডারের মতে, এই প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের হাতে চলে আসা বাহিনীর থেকে লুট হওয়া বা মায়ানমার থেরে চোরাচালান করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। 

    ভৌগলিক বিন্যাস সমস্যা…

    একইসঙ্গে, সীমান্তপার অনুপ্রবেশও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন কলিতা। কমান্ডারের (Lt General RP Kalita) মতে, ওই এলাকার ভৌগলিক বিন্যাস অন্যরকম। তা ঘন জঙ্গলে ঘেরা। ফলে, কাঁটাতার লাগাতে সমস্যা হচ্ছে। যার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ও আগ্নেয়াস্ত্রই শুধু নয়, প্রভূত পরিমাণে মাদক চোরাচালানও হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলেই, শুধু মণিপুর নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলিতা। যদিও, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে মনে করেন কলিতা। তিনি জানান, কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। নজরদারি ও তল্লাশি-অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “সেনাকে খারাপ চোখে দেখা সহ্য করবে না কোনও ভারতীয়”, কাশ্মীরে বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে জঙ্গি কার্যকলাপ। সাম্প্রতিককালে, একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে উপত্যকা। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণের বলি দিয়েছেন বহু সেনা জওয়ান। এই আবহে, সেনার মনোবল বাড়াতে কাশ্মীরে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

    ‘সেনারা আমাদের পরিবারের সদস্য’

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “প্রত্যেক সেনা সদস্যকে তাঁদের পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন ভারতীয় নাগরিকরা। প্রত্যেক ভারতীয় এটি অনুভবও করেন। কেউ যদি আপনার দিকে খারাপ দৃষ্টি দেয়, তা কোনও ভারতীয় সহ্য করতে পারে না। এই ধরনের হামলা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। নজরদারি বাড়াতে যত রকমের সমর্থন প্রয়োজন, আমাদের সরকার তা দেবে।”

    তিনি বলেন, “আপনাদের জন্য সব সময় আমাদের কোষাগারের দরজা খোলা। আমি জানি, আপনারা সবাই সজাগ থাকেন। কিন্তু আমার মতে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করছি যে, সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে সবার ওপরে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে আপনারা কতটা মূল্যবান, তা আমায় আলাদা করে বলতে হবে না। কোনও জওয়ান শহিদ হলে তাঁর জন্য যত ভিড় হয়, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতেও তত লোক হয় না।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    ‘‘মানুষেরও মন জয় করুন…’’

    এদিকে, গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনাবাহিনীর এক কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। ওই ঘটনায় শহিদ হন চার সেনাকর্মী। জখম হন দুজন। ঘটনার পরে পরেই স্থানীয় কয়েকজনকে আটক করে সেনা। পরে দেহ উদ্ধার হয় তিনজনের। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, সেনা হেফাজতেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। শুরু হয়েছে তদন্ত। সেনাকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আপনারা দেশের রক্ষক। কিন্তু আমি আপনাদের বলব, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও রয়েছে আপনাদের। এমন কোনও ভুল করা উচিত নয়, যাতে কোনও ভারতীয় নাগরিকের ক্ষতি হয়। আমাদের যুদ্ধে জিততে হবে ঠিকই, সন্ত্রাসবাদীদেরও নির্মূল করতে হবে। তবে তার চেয়েও বড় উদ্দেশ্য হল, মানুষের মন জয় করা। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও আপনাদের। আমরা যুদ্ধ জিতব, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হৃদয়ও জয় করতে হবে। আমি জানি, আপনারা এজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।”

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’, কী দাবি করলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপির ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করে দিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। এমন খবর সংবাদমাধ্যমের একাংশে মঙ্গলবার পরিবেশিত হয়েছিল। বুধবার, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন এমন কোনও টিমই গঠন হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, “আপনাদের কাছে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য রয়েছে। রাজ্যের নির্বাচনী কোনও কমিটি তৈরি হয়নি। রাজ্যের নির্বাচনী কমিটিতে রাষ্ট্রীয় সভাপতির নাম থাকে না। এইটুকু কমন সেন্স আপানাদের থাকা উচিত।”

    কী বলছেন সুকান্ত?  

    মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই সংবাদমাধ্যম মারফৎ প্রকাশ্যে আসে ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা। এও জানা যায়, বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সহ অনেকেরই ঠাঁই হয়নি তালিকায়। ১৫ জনের ওই টিমে বাংলার ১০ জন থাকলেও, ৫ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও রাখা হয়েছিল। এদিন ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠনের কথা অস্বীকার করে সুকান্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও টিম গঠন হয়নি। তিনি বলেন, “নির্বাচনের যে কমিটি টিভিতে দেখানো হচ্ছে, মাননীয় অমিত শাহজি ও জেপি নাড্ডাজির নামও নাকি তাতে রয়েছে। রাজ্য নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রীয় কোনও নেতার নাম থাকে না।” 

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    বৈঠকে শাহ-নাড্ডা

    আগামী লোকসভা ভোটের রোডম্যাপ এবং দলের পরিকল্পনা স্থির করে দিতে বাংলা সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। দিনভর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। নিউ টাউনের একটি হোটেলে হওয়া বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহাকেও। তবে (Sukanta Majumdar) বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলায় বৈঠকে ডাকা হয়নি অনুপম হাজরাকে। বৈঠক শেষে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা রওনা দেন কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, “২০২৪ কে সামনে রেখে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কীভাবে এগোবে, সেই রোডম্যাপ বলে গিয়েছেন তাঁরা। সেই রোডম্যাপের কথা আমি আপনাদের বলতে পারব না। তবে তাঁদের বাতলে দেওয়া সেই রোডম্যাপ অনুসারেই আমরা চলব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ayodhya Ram Mandir: শুভক্ষণ ৮৪ সেকেন্ড! তার মধ্যেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা শিশু বয়সের রামলালার মূর্তিতে

    Ayodhya Ram Mandir: শুভক্ষণ ৮৪ সেকেন্ড! তার মধ্যেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা শিশু বয়সের রামলালার মূর্তিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের সময় যত এগিয়ে আসছে সারা দেশজুড়ে উৎসাহ বেড়ে চলেছে। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রভু রামলালার শিশু বয়সের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। মন্দিরকে ঘিরে গোটা রামনগরীতে এখন সাজো সাজো রব। পণ্ডিতরা জানিয়েছেন, তিথি-নক্ষত্র ধরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার ৮৪ সেকেন্ডের সময় পর্ব হবে গুরুত্বপূর্ণ সময়। ওই দিন ঠিক দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড হল শুভক্ষণ। এই সময়েই প্রভু রামলালাকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

    গর্ভগৃহের জন্য তিন মূর্তির প্রতিযোগিতা (Ayodhya Ram Mandir)

    মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার শিশু বয়সের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়েও উদ্দীপনা চোখে পড়েছে। গর্ভগৃহের মধ্যে রামলালার যে শিশু মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে তা দেখতে শিশুসুলভ কোমল চেহারার। ইতিমধ্যে একইসঙ্গে তিনটি মূর্তি তৈরি করার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। এই তিনটির মধ্যে ঠিক কোন মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি কোনটিকে স্থাপন করা হবে। এই মূর্তি নির্মাণ করছেন গনেশ ভট্ট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পান্ডা। মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, তিনজনের নির্মিত মূর্তির মধ্যে সেরা মূর্তিটিকে নির্বাচন করে গর্ভগৃহে স্থাপন করা হবে। আর বাকি দুটি মূর্তিকে মন্দিরের অন্য অংশে স্থাপন করা হবে।

    বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে

    মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মূল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। নিয়ম মেনে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে রামলালার মূর্তির অভিষেক করা হবে। আর রামালালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে থাকবেন গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় এবং লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত।

    প্রধান অতিথিদের তালিকা

    অযোধ্যায় রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনে অতিথিদের তালিকা বেশ লম্বা। ওইদিন উপস্থিত থাকবেন তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামা, যোগগুরু রামদেব, শিল্পপতি গৌতম আদানি, মুকেশ আম্বানি, অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, রাজনীকান্ত, মাধুরী দীক্ষিত, রামায়াণের অভিনেতা অরুণ গোভিল সহ প্রমুখ। এছাড়াও পরিচালক মধুর ভান্ডারকর, গীতিকার প্রসূন জোশী, এসএন সুব্রহ্মণ্যমকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে বিরোধী রাজনীতির দলের নেতদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে নজর রাখা হয়েছে। যাঁরা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য লঙ্গর, কমিউনিটি কিচেন এবং খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita: আর ‘৪২০’ নয়, বলুন ‘৩১৬’, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী কী বদলেছে?

    Bharatiya Nyaya Sanhita: আর ‘৪২০’ নয়, বলুন ‘৩১৬’, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী কী বদলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে ‘বড়’ খবর পেয়েছিলেন তামাম ভারতবাসী। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita) বিলে এদিন স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি সই করার পরেই বিলটি পরিণত হয়েছে আইনে। কী আছে নয়া আইনে?

    বদলে গেল ৪২০, ৩০২ ধারা…

    প্রথমেই ধরা যাক প্রতারণার ধারার কথা। ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে’ এটি ছিল ৪২০ নম্বর ধারায়। এই ধারা অবলম্বনেই ১৯৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল বক্স অফিস কাঁপানো রাজ কাপুরের ছবি ‘শ্রী ৪২০’। তার পর থেকে লোকমুখে প্রতারকদের লোকেরা বলতে থাকেন ‘ফোর টোয়েন্টি’ (৪২০)। তবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় প্রতারণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে ৩১৬ নম্বর ধারা। খুনের ক্ষেত্রে এতদিন প্রয়োগ করা হত ৩০২ নম্বর ধারা। এবার প্রয়োগ করা হবে ১০১ নম্বর ধারা। ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে ৩০২ নম্বর ধারা।

    আর ১৪৪ ধারা নয়!

    অবৈধ জমায়েতের ক্ষেত্রে এতদিন প্রয়োগ করা হত ১৪৪ ধারা। নয়া আইনে (Bharatiya Nyaya Sanhita) সেটি রয়েছে ১৮৭ নম্বরে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হত ৩৭৬ নম্বর ধারা। এবার প্রয়োগ করা হবে ৬৩ ও ৬৪ নম্বর ধারা। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে পুরানো আইনে সাজা দেওয়া হত ১২১ নম্বর ধারায়। এবার এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে ১৪৬ নম্বর ধারা। মানহানির মামলা হত ৪৯৯ নম্বর ধারায়। নয়া আইনে প্রযুক্ত হবে ৩৫৪ নম্বর ধারা।

    আরও পড়ুুন: বিপদের নাম ‘ডিপফেক’, রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    চলতি বছর বাদল অধিবেশনে ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে’র পরবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল ২০২৩’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল ২০২৩’ বিল তিনটি লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বিলটি পাশ করানো হয় রাজ্যসভায়। পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদনের জন্য। বড়দিনের সকালে বিলটিতে সই করেন তিনি। তার পরেই রচনা হয় ইতিহাস। আইনে পরিণত হয় ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল’।

    দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি২০-র শীর্ষ বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ নয়, তাঁর সামনে লেখা ছিল ‘ভারত’। ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে’র পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল’ (Bharatiya Nyaya Sanhita) পরিণত হোক আইনে, চাইছিলেন তিনিও। তাঁর দীর্ঘলালিত সেই স্বপ্নই পূরণ হল ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Deepfake: বিপদের নাম ‘ডিপফেক’, রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Deepfake: বিপদের নাম ‘ডিপফেক’, রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিপফেক (Deepfake) প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাল ভিডিও বানানো হয়েছে। দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার অশালীন অঙ্গভঙ্গির ছবিও ভাইরাল হয়েছিল ডিপফেকের সৌজন্যে। প্রকাশ্যে এসেছিল ক্যাটরিনা কাইফ সহ আরও কয়েকজন অভিনেত্রীর ‘অশালীন’ ভিডিও-ও। এসবই করা হয়েছিল ঠান্ডা মাথায়, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

    ডিপফেকের অপব্যবহার

    ডিপফেকের অপব্যবহারে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি এও জানিয়েছিলেন, স্কুল ছাড়ার পর আর কখনও গরবা নাচেননি (ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি গরবা নাচছেন দেখানো হয়েছিল) তিনি। ডিপফেকের (Deepfake) বাড়বাড়ন্ত রোধে কেন্দ্র যে তৎপর, সেকথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর মঙ্গলবার সবকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে।

    নির্দেশিকার সাত কাহন

    ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে কোন কোন কনটেন্ট নিষিদ্ধ, ব্যবহারকারীদের তা জানাতে বাধ্য, যাঁরা কনটেন্ট আপলোড কিংবা শেয়ার করছেন। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৩ (১)(বি) অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন বা পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট শেয়ার করা নিষিদ্ধ। অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে, এমন কনটেন্টও আপলোড বা শেয়ার করা নিষিদ্ধ। যেসব কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রকৃত তথ্য থেকে বিভ্রান্ত করে, সেগুলিও আপলোড কিংবা শেয়ার করা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    কেন্দ্রের জারি করা ওই নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা যেখানে তাঁদের তথ্য আপলোড ও শেয়ার করে, সেখানে যখনই লগ ইন হবে, তখনই ব্যবহারকারীদের কাছে একটি রিমাইন্ডার পাঠাতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি আইন ভঙ্গ করলে কী কী শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ও আইটি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ডিপফেকের উপদ্রব রুখতে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তাদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে তিনি বর্তমান আইন সম্পর্কেও অবহিত করেছিলেন তাঁদের।

    প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসেই ভাইরাল হয়েছিল ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর গরবা নাচের ছবি। ডিপফেকের বিপদ নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেই এই প্রযুক্তির (Deepfake) রাশ টানতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। যার জেরেই এই নির্দেশিকা বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Year 2024: বর্ষশেষের উদযাপনে মদ-মাংসের ‘যুগলবন্দি’! জানেন, কোন বিপদ ডেকে আনছেন?

    New Year 2024: বর্ষশেষের উদযাপনে মদ-মাংসের ‘যুগলবন্দি’! জানেন, কোন বিপদ ডেকে আনছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুম! শীতকালে বছর শেষের উৎসবে (New Year 2024) মেতেছে বাঙালি।‌ পার্ক স্ট্রিট থেকে জেলার অলিগলি, বছর শেষের উদযাপন সর্বত্র! আর নতুন বছরের আগমনের আনন্দে প্রায় চলছে খানাপিনা, রাতের উল্লাসে থাকছে মদ্যপানের আসর! চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হরেক রকম মাংসের পদ, দেদার মদ্যপান আর কেক, পেস্ট্রি বিপদ বাড়াচ্ছে।‌ সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে‌।

    কোন বিপদের আশঙ্কা? (New Year 2024)  

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। অনেকেই শীতকালে নানান অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন। কিন্তু তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।‌ মদ্যপান হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।‌ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের মদ্যপান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।‌ পাশপাশি লিভারের সমস্যা বাড়াতে পারে মদ্যপানের অভ্যাস। তাই লিভার ও হার্ট সুস্থ রাখতে উদযাপনের দিনে (New Year 2024) মদ্যপানের অভ্যাস বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    তবে, মদ্যপানের পাশপাশি খাবার নিয়েও সজাগ থাকা জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে অনেকেই মাংসের নানান পদ নিয়মিত খান। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।‌ আবার প্রৌঢ়দের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।‌ কম বয়সীদের জন্যও এই ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, অনেক সময়েই এই ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার জেরে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। 
    বছর শেষে চলে দেদার কেক, পেস্ট্রি খাওয়া। কিন্তু ডায়বেটিস রোগীদের এই ধরনের খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    পাশাপাশি, শীতে অনেকের স্ট্রোক হয়। তাই এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, যাতে রক্তচাপ ওঠানামা না করে। অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে, হজমের গোলমাল হতে পারে। তার জেরে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। 
    বছর শেষে এই সময়ে (New Year 2024) রেস্তোরাঁগুলোয় থাকে খাদ্যরসিকদের লম্বা লাইন।‌ কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের মতে, নিয়মিত রেস্তোরাঁর খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এমনকি শীতের সময়ে এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে শিশুদের একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসব উদযাপন (New Year 2024) মানেই স্বাস্থ্যবিধি এড়িয়ে চলা নয়। বরং সজাগ ও সচেতন ভাবেই উদযাপন জরুরি। তাই খাদ্যাভ্যাসে থাকুক সচেতনতা। সবুজ সব্জি, ফল থাকুক ফি-দিনের মেনুতে। বেশি রাতে খাওয়া একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময়ে অনেকেই অনেক রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার রেস্তোরাঁর খান।‌ যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকি পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি করতে পারে।‌ তাই খাবারের পরিমাণের সঙ্গে নজরে রাখতে হবে খাওয়ার সময়। রাত নটার পরে‌ কোনও ভাবেই চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া চলবে না।‌ নিয়মিত মদ্যপান যাতে না হয়, সেদিকেও‌ সতর্ক থাকা জরুরি। আর খাওয়ার পাশপাশি শরীর চর্চায় গুরুত্ব দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। তাহলে স্থূলতা, রক্তচাপ ওঠানামার মতো সমস্যা এড়ানো যাবে। তবেই সুস্থ ভাবে নতুন বছরের উদযাপন (New Year 2024) সম্ভব হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share