Tag: Bengali news

Bengali news

  • ISRO: স্মরণীয় ২০২৩! ২০২৪ সালে কী কী অভিযান রয়েছে ইসরোর তালিকায়?

    ISRO: স্মরণীয় ২০২৩! ২০২৪ সালে কী কী অভিযান রয়েছে ইসরোর তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুরন্ত ২০২৩ অতিবাহিত করার পর কী অপেক্ষা করছে ২০২৪ সালে? 

    ২০২৩ কেমন গেল ইসরোর?

    ২০২৩ সালটা দুর্দান্ত কাটল ইসরোর। মুকুটে জুড়েছে একাধিক নতুন পালক। মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল কোনও মহাকাশযানকে অবতরণ করা— এই সাফল্য কোনও সাধারণ সাফল্য নয়। চিন, আমেরিকা সহ বিশ্বের তারড় তারড় দেশ আজ পর্যন্ত যা করে দেখাতে পারেনি। সেই অনন্য সাধন করে দেখিয়েছে ভারত। যে কারণে ইসরোকে সেলাম জানিয়েছে নাসাও। এর পাশাপাশি, এবছরই সৌরযান আদিত্য-এল১ উপগ্রহেরও সফল উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। সব ঠিকঠাক চললে, জানুয়ারির গোড়ায় তা নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালটা ইসরোর কাছে স্মরণীয়।

    চলতি বছর সাফল্যের যে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে এসেছে ইসরো, যে নজির স্থাপন করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, তারা চাইছে, আগামী বছরও যাতে এই ধারা অব্যাহত থাকুক। আর সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত ইসরো। নতুন বছরের কাউন্টডাউন শেষ হলেই, ইসরোর একের পর এক অভিযানের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য উৎক্ষেপণ রয়েছে ইসরোর তালিকায়। — 

    নিসার উপগ্রহ উৎক্ষেপণ

    মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে একটি যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে ইসরো। সংক্ষেপে এই মিশনের নাম নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার, সংক্ষেপে নিসার। আগামী বছর, মিশনের অংশ হিসেবে নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি প্রথম ডাবল-ব্যান্ড রেডার ইমেজিং স্যাটেলাইট। পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীকে দেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাবে এটি। এই উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র, জলভাগ, বনবিভাগ, ভূ-পৃষ্ঠের উপর বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। এই রেডার স্যাটেলাইটটি যে তথ্য সংগ্রহ করবে তা পৃথিবীর ইকোসিস্টেম ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প, সুনামি সম্পর্কে জানান দিতে পারবে। শোনা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসেই এই বিশেষ উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানো হবে। 

    থাকছে আরও কৃত্রিম উপগ্রহ

    ইসরোর উৎক্ষেপণ তালিকায় রয়েছে ইনস্যাট থ্রিডিস। এটি আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি এবং বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে কাজ করবে। এছাড়াও রয়েছে ইসরোর তালিকায় রিস্যাট-১বি, রিসোর্সস্যাট-৩ নামক কৃত্রিম উপগ্রহ। ভারতের মধ্যে রিমোট সেন্সিং ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভাবে কাজ করবে এই উপগ্রহগুলি। একই ভাবে ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানে তথ্য পেতে সাহায্য করবে এমন দুটি প্রকল্পের কথাও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি প্রকল্পের কথা জানা গিয়েছে যা হল ওশেনস্যাট-৩। এটি সমুদ্র বিষয়ক গবেষণা এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে। 

    পাখির চোখ গগনযান ১

    তবে, ইসরোর ২০২৪ সালে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হতে চলেছে গগনযান। এর মাধ্যমে মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠাতে চলেছে ইসরো। ২০২৪-এর জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি নাগাদ এই গগনযান-১ মিশনের উৎক্ষেপণ হবে। এটি হতে চলেছে মূল গগনযান মিশেনর আগে একটি টেস্ট মিশন। মূল অভিযানে তিন ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে এবং ফিরিয়ে আনা হবে। এবারের এই টেস্ট মডিউলে মানুষের বদলে একটি রোবটকে পাঠানো হবে। 

    মঙ্গল, শুক্রে অভিযান

    এর পাশাপাশি, মঙ্গল ও শুক্র গ্রহেও মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। আগামী বছরই মঙ্গলের উদ্দেশে পাড়ি দেবে মঙ্গলযান-২। প্রথমটির সাফল্যের পর এটি হতে চলেছে দেশের দ্বিতীয় মঙ্গলযান। এই আকাশযানটি মঙ্গল গ্রহের মাটি, আবহাওয়া এবং প্রকৃতি সম্পর্কে ধরনা দিতে সাহায্য করবে। ২০২৪ সালে হতে চলেছে শুক্রযান ১। ইসরো একটি বিশেষ মহাকাশযান পাঠাচ্ছে, যা ৫ বছরের জন্য গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করবে এবং গ্রহটির আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য দিতে সাহায্য করবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হয়েছে সমাবর্তন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকেও। এই উপাচার্যকেই বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে রবিবার সমাবর্তন উৎসব করিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠান মঞ্চে ঠায় বসেছিলেন সদ্য পদ খোয়ানো অন্তর্বর্তী উপাচার্য। তবে সমাবর্তনে তাঁর স্বাক্ষরিত শংসাপত্রই বিলি করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। অনুমতি ছাড়াই সমাবর্তন করায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    পড়ুয়াদের উদ্বেগ

    জানা গিয়েছে, সমাবর্তনের শংসাপত্রে উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউয়ের স্বাক্ষর থাকায় রাজ্যপালকে মেইল করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন পড়ুয়া। এই সার্টিফিকেট নিয়ে পরে কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও তৈরি করেছে রাজভবন। সমাবর্তন করতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের সবুজ সঙ্কেত, শংসাপত্র প্রাপকদের হাতে সহ-উপাচার্যের ডিগ্রি তুলে দেওয়া এবং সেই শংসাপত্রে সদ্য অপসারিত উপাচার্য বুদ্ধদেবের স্বাক্ষর থাকা – এসব নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মতামত নিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। এ সব ক্ষেত্রের মতই হল, এভাবে সমাবর্তন করা যায় না। পুরোটাই বেআইনি।

    রাজ্যপালই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য

    রাজ্যপালই পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তাই রাজভবনের দাবি, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের বিষয়ে আইনত কিছু বলতে পারে না রাজ্য সরকার। সমাবর্তনে সহ-উপাচার্যেরও কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে তাঁর কাজের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারেন কেবলই আচার্য। উপাচার্য থাকলে অবশ্য অন্য কথা। সেক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব দিতে পারেন তাঁর অধীনস্থ কাউকে। সেক্ষেত্রে আবার আইন অনুযায়ী নিযুক্ত কিংবা আচার্য মনোনীত অন্তর্বর্তী উপাচার্য তা করতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমনতর ছিল না। কারণ রবিবার সমবর্তনের ঠিক আগের দিন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে। তাই তিনি তখন উপাচার্য নন, কেবলই শিক্ষক। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন সহ- উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। যা আইনানুগ নয় বলেই মনে করছে রাজভবন। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita Bill: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    Bharatiya Nyaya Sanhita Bill: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনে পরিণত হয়ে গেল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) সহ তিনটি বিল। শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছিল বিল তিনটি। পরে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সেই বিলেই স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্বাভাবিকভাবেই বিলটি পরিণত হল আইনে।

    বিল পেশ শাহের

    ১১ অগাস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই তিনটি বিল হল— ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ যা প্রতিস্থাপিত করল ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’-কে। ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’, যা দিয়ে প্রতিস্থাপিত ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ যা প্রতিস্থাপিত করল ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’-কে। লোকসভায় বিল (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) তিনটি পাঠানোর পাশাপাশি সংসদীয় সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছিল। আইন বদলের বিষয়ে অবগত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীদেরও।

    অবসান ‘তারিখ পে তারিখযুগের

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ হয় রাজ্যসভায়। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবার অবসান হতে চলেছে ‘তারিখ পে তারিখ’ যুগের। বিচার মিলবে তিন বছরের মধ্যেই। এই বিল তিনটি পেশ করে তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লোকসভার পর রাজ্যসভায়ও বিলটি পাশ হওয়ার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। সূত্রের খবর, সোমবার বিলটিগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। তাই বিল তিনটি পরিণত হয়েছে আইনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দণ্ড সংহিতার এই নয়া আইন সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে। গণপিটুনি, জাতীয় সুরক্ষা লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি হতে চলেছে কঠিনতর।

    আরও পড়ুুন: ‘সম্প্রীতি ও সহানুভূতির চেতনা উদযাপনের দিনই বড়দিন’, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে চেষ্টার কম কসুর করছে না মোদি সরকার। বিভিন্ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বলতে শোনা গিয়েছে এ কথা। ‘ভারতীয় দণ্ড সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) বিল তিনটি পাশ হওয়ায় পূরণ হল তাঁর সেই স্বপ্ন। প্রসঙ্গত, ১৮৬০ সালে ‘ইন্ডিয়ান পিনাল কোড’ চালু করেছিল ব্রিটিশ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NewsClick: রাজসাক্ষী হতে চান নিউজক্লিকের এইচআর-প্রধান অমিত চক্রবর্তী!

    NewsClick: রাজসাক্ষী হতে চান নিউজক্লিকের এইচআর-প্রধান অমিত চক্রবর্তী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানালেন নিউজ পোর্টাল নিউজক্লিকের (NewsClick) হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তী। দিল্লি কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত অমিত। বিদেশি তহবিল লঙ্ঘনের অভিযোগে এই সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগ, চিন সহ নানা বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে এই নিউজ পোর্টাল। সেই সঙ্গে কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে যাতে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো না হয়, সেই চেষ্টাও এই নিউজ পোর্টাল করেছিল বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টাও সংবাদ মাধ্যমটি করেছিল বলে অভিযোগ। সংস্থার (NewsClick) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অভিযোগ, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই অর্থ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই একুশেই নিউজক্লিকের অফিসে হানা দেয় ইডি। মাস দুয়েক আগে তল্লাশি চালায় সিবিআইও। গ্রেফতার করা হয় প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে।

    অমিতের আবেদন

    অক্টোবরের ৩ তারিখে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল প্রবীরকে গ্রেফতার করে। তার পরেই ৪০০ জন পুলিশ কর্মী দিল্লি, নয়ডা, গুরগ্রাম, মুম্বই ও গাজিয়াবাদের ৩০টি ঠিকানায় হানা দেন। এফআইআরে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চিন থেকে এই পোর্টালে ৭৫ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব খর্ব করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে নিউজক্লিককে। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করাও উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গত সপ্তাহেই অমিত ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ৩০৬ ধারায় আবেদন করেছিলেন আদালতে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর জ্ঞান মতো তদন্তে সাহায্য করবেন, এবং ঘটনায় কারা জড়িত, তাঁদের নামধাম জানাবেন বলেন, তাহলে আদলত ক্ষমা করার একটি সুযোগ পাবে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতেই ওই ধারায় আবেদন করেছিলেন নিউজক্লিকের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান।

    আরও পড়ুুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    অমিতের আবেদন সেশন কোর্ট পাঠায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তিনি যে রাজসাক্ষী হতে চান, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রসঙ্গত, নিউজক্লিক মামলায় ২২ ডিসেম্বর আদালতে তদন্তের জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। এমতাবস্থায় রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন (NewsClick) অমিতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডেই ‘ডেবিউ’ হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)! নতুন বছরের মাঝ-এপ্রিলে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহৃত হয়েছে ৩৭০ ধারা। রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও পূরণ হতে চলেছে জানুয়ারির ২২ তারিখে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, পদ্ম শিবির এবার মনোনিবেশ করতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে।

    কোথায় লাগু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    জানা গিয়েছে, নতুন বছরের গোড়ায়ই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তার পর একে একে এই আইন লাগু হবে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অসম, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে (UCC)। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। গত বছর নির্বাচনে জয়ের পরেই রাজ্যে এই আইন লাগু করতে উদ্যোগী হন তিনি।

    আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে কমিটি

    এই বিধি কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়েছিল ধামী সরকার। সরকার জানিয়েছিল, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। দেশাই ছাড়াও কমিটিতে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল। এই কমিটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের মতামত নিয়েছে। যাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছে তাঁরা সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্তরেও বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে সক্রিয়তা। গত ১৪ জুন ২২তম আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও আমজনতার। এই জনমত সংগ্রহের সময়সীমা প্রথমে দেওয়া হয়েছিল এক মাস। পরে কয়েক দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এর মেয়াদ (UCC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • TET Exam 2023: বন্ধু অঙ্কে দুর্বল, টেট পরীক্ষায় পাশ করাতে হাইটেক প্রযুক্তির জালিয়াতি!

    TET Exam 2023: বন্ধু অঙ্কে দুর্বল, টেট পরীক্ষায় পাশ করাতে হাইটেক প্রযুক্তির জালিয়াতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু অঙ্কে দুর্বল, কিন্তু বন্ধুকে টেট পরীক্ষায় (TET Exam 2023) পাশ করাতে গিয়ে জালিয়াতিকাণ্ডে পুলিশের কাছে ধৃত দুই যুবক। জানা গিয়েছে, পরীক্ষার হলে ‘হাইটেক প্রযুক্তি’র ব্যবহার করে মোবাইল এবং ন্যানো ট্রান্সমিটারের সাহায্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে সাহায্য নিয়ে করা হচ্ছিল নকল। এরপর অঙ্কের উত্তর বলে দেওয়া হচ্ছিল বন্ধুকে। কিন্তু এই ঘটনা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের নজরে আসতেই ধরে ফেলা হয় তাদেরকে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

    ধৃত যুবকদের পরিচয় কী (TET Exam 2023)?

    পুলিশ এবং স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের একজনের নাম সন্দীপ কুটি এবং অপর যুবকের নাম দেবাশিষ মৃধা। দুই জনের বাড়ি হল নদিয়ার ধানতলা থানার বাহিরগাছি অঞ্চলে। তারা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরস্পরের মধ্যে একে অপরকে টেট পরীক্ষায় (TET Exam 2023) সহযোগিতা করবে বলে কথা হয়েছিল। যখন পরীক্ষা চলছিল সেই সময় হল থেকেই শিক্ষকর্মীরা ডিভাইস এবং মোবাইল সমেত ধরে তাদেরকে পুলিশের কাছে তুলে দেয় বলে জানা গিয়েছে।

    ধৃতদের বক্তব্য

    পরীক্ষার হলে জালিয়াতির দায়ে ধৃত দেবাশিস দাবি করেছে, “আমার কাছে মোবাইল ছিল না। মোবাইল ছিল বন্ধুর হাতে।” অপর দিকে সন্দীপের দাবি, “আমি পরীক্ষায় (TET Exam 2023) দেবাশিসকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম। আর তাই মোবাইল সঙ্গে ছিল। কিন্তু শিক্ষকরা দেখতে পেয়ে যান।” অবশেষে সোমবার দুই জনকেই কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ আদালতে তুলেছে বলে জানা গিয়েছে।  

    তবুও টেটে প্রশ্ন ফাঁস

    গতকালের টেট পরীক্ষায় (TET Exam 2023) মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লক্ষ। পরীক্ষা ঠিকঠাক করানোই ছিল প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এতো বজ্র আঁটুনির পরেও পরীক্ষার প্রশ্ন এইবারেও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। ১২ টায় পরীক্ষা শুরু হলে ঠিক বেলা ১ টায় একটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার খবর দেখা যায়। যদিও পর্ষদ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • INS Imphal: নৌসেনার হাতে এল ঘাতক ‘আইএনএস ইম্ফল’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    INS Imphal: নৌসেনার হাতে এল ঘাতক ‘আইএনএস ইম্ফল’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। মঙ্গলবার নৌবাহিনীতে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত হলো দেশীয় স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস ইম্ফল’। প্রতিক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রণতরীকে যুক্ত করা হলো। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ বিশিষ্টজনেরা।

    কতটা শক্তিশালী ‘ডি-৬৮’?

    ‘আইএনএস ইম্ফল’ (INS Imphal) হলো প্রজেক্ট-১৫বি অন্তর্গত নির্মিত চারটি স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজের মধ্যে তৃতীয়। এই প্রকল্পের প্রথম যুদ্ধজাহাজটি ছিল ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’, নৌসেনায় কল-সাইন ‘ডি-৬৬’। ফলে, বাকি তিনটিও বিশাখাপত্তনম শ্রেণির রণতরী। নৌসেনায় ইম্ফলের কল-সাইন হচ্ছে ‘ডি-৬৮’। দ্বিতীয় জাহাজটি ছিল ‘আইএনএস মরমুগাও’, কল-সাইন ‘ডি-৬৭’। শেষ তথা চতুর্থ জাহাজটির নাম রাখা হবে ‘আইএনএস সুরাট’, কল-সাইন ‘ডি-৬৯’। গত বছরের মে মাসে তাকে প্রথমবার জলে ভাসানো হয়েছে।

    ‘আইএনএস ইম্ফল’-এর ওজন প্রায় ৭৪০০ টন। ১৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই যুদ্ধজাহাজ সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র ও সেন্সরে সজ্জিত। এটিই হতে চলেছে এখনও পর্যন্ত নৌসেনার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে আধুনিক ডেস্ট্রয়ার। এতে একদিকে যেমন রয়েছে ব্রহ্মোসের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বাধুনিক সংস্করণ, তেমনই রয়েছে মাঝারি পাল্লার অত্যাধুনিক ‘বারাক-৮’ ভূমি থেকে আকাশ মিসাইল থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্ভার। এতে রয়েছে একটি ৭৬ মিমি সুপার র‌্যাপিড মাউন্টেড মেইন নেভাল গান এবং চারটি একে-৬৩০ ৩০ মিমি গান— যা কম দূরত্বে আকাশপথে হামলা করা শত্রুর যে কোনও বিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এই জাহাজের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩০ নট বা ঘণ্টায় ৫৬ কিমি। 

    স্বয়ংক্রিয়শীলতা এবং স্টেলথ বৈশিষ্ট্য

    এমনিতে, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির জাহাজের মারণক্ষমতা মারাত্মক। তবে নৌসেনার (Indian Navy) তরফে জানানো হয়েছে, ‘আইএনএস ইম্ফল’ (INS Imphal) সাবমেরিন-ধ্বংসে বিশেষভাবে পারদর্শী। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আরবিইউ-৬০০০’ সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার, ৫৩৩ মিমি টর্পিডো লঞ্চার এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন হেলিকপ্টারের দৌলতে এটি ভয়ঙ্কর ঘাতক হিসেবে পরিণত। এছাড়া, যে কোনও ধরনের পরমাণু, জৈব ও রাসায়নিক হামলা থেকে বাঁচার ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের। ‘আইএনএস ইম্ফল’-এর স্বয়ংক্রিয়শীলতা এবং স্টেলথ (শত্রু রেডারে অদৃশ্য থাকার ক্ষমতা) বৈশিষ্ট্য একে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। 

    সর্বাধুনিক রেডার সিস্টেম মোতায়েন

    বন্দর ও সমুদ্রে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ট্রায়ালের পর গত ২০ অক্টোবর, ভারতীয় নৌসেনার হাতে পাকাপাকিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল এই অত্যাধুনিক রণতরীকে (INS Imphal)। গতমাসেই এই জাহাজ থেকে দূরপাল্লার ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কমিশন না হওয়া কোনও জাহাজ থেকে সেই প্রথম কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হয়েছিল। এই জাহাজে অন্যতম শক্তি হলো এর রেডার সিস্টেম। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে আধুনিক ও সবচেয়ে শক্তিশালী রেডার বসানো হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজে। 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহরের নামে প্রথম রণতরী

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কোনও শহরের নামে যুদ্ধজাহাজের নামকরণ (INS Imphal) করা হলো। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাহাজের নাম-ফলকের উন্মোচন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর থেকেই প্রমাণিত যে, জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্র এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এই নামকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। কমিশনিং হওয়ার পর, নৌসেনার (Indian Navy) পশ্চিম কমান্ডের অন্তর্গত মোতায়েন থাকবে ‘আইএনএস ইম্ফল’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AI Technology: স্রষ্টার পেটেই ছুরি! পেটিএমের হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি গিলে খেল এআই

    AI Technology: স্রষ্টার পেটেই ছুরি! পেটিএমের হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি গিলে খেল এআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের তৈরি যন্ত্র সৃষ্টিকর্তার পেটেই আমূল বসিয়ে দিচ্ছে চকচকে ধারাল ছুরি! মগজ খাটিয়ে যে মানুষ আবিষ্কার করেছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI Technology), তারই পেটে টানের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারই তৈরি ‘ডঃ ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন’! সাম্প্রতিক এক ঘটনার কথা জানলে, মনের কোণে উঁকি দেবে গল্প কিংবা কল্পলোকের এই সব নজির। ফেরা যাক, আসল কথায়।

    বড়দিনের সপ্তাহে ‘বড়’ উপহার!!!

    অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেটিএমে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারেরও বেশি কর্মীকে। বড়দিনেই সপ্তাহেই এই কর্মীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে সংস্থা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বারংবার একই কাজ করার যেসব চাকরি, সেগুলিকেই এআই প্রযুক্তি দিয়ে বদলে দিয়েছে তারা। তাই উদ্বৃত্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের শ্রম দিয়ে লাভের কড়ি তুলে দিয়েছেন যে সংস্থার ঘরে, বড়দিনের সপ্তাহে সেই সংস্থার এই ‘বড়’ উপহারে যারপরনাই বিস্মিত কর্মীরা। এই বয়সে কোথায় কাজ পাবেন, আদৌ পাবেন কিনা, সেসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন পেটিএমের হতভাগ্য কর্মীরা।

    কী বলছেন পেটিএম কর্তারা?

    অল্প খরচে এআই (AI Technology) বসিয়ে কাজ হাসিল হয়ে যাওয়ায় পেটিএমের মাদার কনসার্ন ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড কর্মিছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল অক্টোবরে, পুজোর মাসেই। বড় দিনের সপ্তাহে তারাই পেটিএম সহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাঁটাই করেছে হাজারেরও বেশি কর্মীকে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “সংস্থাকে আরও কর্মক্ষম বানাতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই একটি সিদ্ধান্তে আমাদের সংস্থার যেমন উন্নতি হবে, তেমনই খরচও কমবে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তেই আমরা নিজেদের কর্মী সংখ্যা সামান্য কমিয়েছি।” তিনি জানান, এআইয়ের কাজে তাঁরা খুশি। এই সিদ্ধান্তের জন্য এক লপ্তে ১০-১৫ শতাংশ কর্মীর খরচও কমানো যাবে।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    এআই প্রযুক্তি (AI Technology) ব্যবহার করে ‘ডিপ ফেক’ তৈরি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল দেশজুড়ে। এই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার এআইয়ের আরও ভয়ঙ্কর রূপ দেখলেন পেটিএমের ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। যদিও পেটিএম জানিয়েছে, অচিরেই তারা ১৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। সেক্ষেত্রে কপাল খুলবে ১৫ হাজার তরুণ-তরুণীর। মাঝ বয়সে তাঁদেরও চাকরি গিলে খাবে না তো এআই? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিয়ের সাতদিন পর মেয়ে পালাল প্রেমিকের সঙ্গে, বাধা দিলে গাড়ি চাপায় মৃত বাবা

    Birbhum: বিয়ের সাতদিন পর মেয়ে পালাল প্রেমিকের সঙ্গে, বাধা দিলে গাড়ি চাপায় মৃত বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের সঙ্গে প্রেমিকের সম্পর্ক মেনে নেননি বাবা। কোনও রকমে মেয়েকে অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মেয়ে সাতদিন পর বাপের বাড়িতে আসতেই ঘটল বিপত্তি। আগের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেল মেয়ে। আটকাতে গিয়ে মেয়ে যে গাড়িতে পালাচ্ছিল, তার নীচেই চাপা পড়ে মৃত্যু হল বাবার। মেয়ের প্রেমিককে অস্বীকার করার পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক হতে পারে, তা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বীরভূমে (Birbhum) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    বীরভূমে কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর থানা এলাকায়। মেয়ের বাবার নাম কুদ্দুস। মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে দেখে বাধা দিতে যান বাবা এবং একেবারে গাড়ির সামনে এসে পড়েন। তখনই তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায় গাড়ি। এতবড় ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেও মেয়ে এবং তার প্রেমিক কিন্তু একটিবারের জন্য দাঁড়ায়নি, বাবার চিকিৎসা করা তো দূর অস্ত। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন কুদ্দুস। গুরুতর অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেননি বাবা

    স্থানীয় (Birbhum) বাসিন্দারা জানান, মেয়ের নাম কুতুবা খাতুন। সে গাজু শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করত। দু’জনের মধ্যে অনেক দিনের সম্পর্ক। কিন্তু কুতুবার পরিবার থেকে মেনে নেয়নি এই সম্পর্ক। অন্য জায়গায় সম্বন্ধ দেখে তারা বিয়ে দিয়ে দেয় কুতুবার। নিয়মমতো বিয়ের সাতদিনের মাথায় বাপের বাড়িতে নতুন স্বামীকে নিয়ে আসে কুতুবা। আগের প্রেমিকের সঙ্গে তার যোগাযোগ যা ভালোই রয়েছে, সেটাই এবার সামনে চলে আসে। আগের প্রেমিক গাজু একটি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারপর সেই গাড়িতে করে পালানোর সময়ই চাপা দিয়ে পিষে দেয় বাবা কুদ্দুসকে।

    তদন্তে পুলিশ

    এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বোলপুর (Birbhum) থানার পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নাম কংগ্রেস। সরকারও তাদেরই। তবে মাত্র দু’ দিনের ব্যবধানে হিজাব (Hijab Ban Row) নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী বনাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিরোধ। দিন দুই আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সোমবার তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।”

    হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 

    বিজেপি জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় স্কুল-কলেজে হিজাব পরে আসার ওপর। বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এমতাবস্থায় মে মাসে পালাবদল হয় কর্নাটকে। ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয়েছে মুসলমান তোষণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুসলমান ভোট পেতে দিন দুই আগে ইসোরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া বলেন, “পোশাক বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মেয়েদের।”

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য 

    তিনি বলেন, “কর্নাটক সরকার রাজ্যে হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলছেন, এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে রাজ্য সরকার।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রকাশ্য-ভাষণের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আদেশ জারি করেনি। সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

    হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কংগ্রেসের এই ভোলবদলে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেছে ভারত রাষ্ট্র সমতি। দলের নেতা কেটি রামা রাও বলেন, “সিদ্দারামাইয়া সরকার এখনও রাজ্যে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি এবং তারা এখনও এ ব্যপারে ভাবনাচিন্তা করছে। মানুষ দেখছে, কংগ্রেসের আচরণ। তারা ক্ষমতায় আসার আগে কী বলেছিল এবং ক্ষমতায় আসার পরে কীভাবে বদলে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে ঢোঁক গিলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত (হিজাব নিষিদ্ধের) প্রত্যাহারের কথা ভাবছি। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোমাই বলেন, “গোটা রাজ্যে হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কেবল নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে এমন জায়গায় হিজাব অনুমোদিত নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর যখন কোনও নিষেধাজ্ঞাই নেই, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই বা কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share