Tag: Bengali news

Bengali news

  • Khardah: দুর্গাপুজোর তিনদিন খড়দার শ্যামসুন্দর দিনের বেলায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন, কেন জানেন?

    Khardah: দুর্গাপুজোর তিনদিন খড়দার শ্যামসুন্দর দিনের বেলায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর তিন দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন খড়দার (Khardah) শ্যামসুন্দর। এই সময় তিনি ভোগও খান পরিমিত। প্রায় সারাদিন ধরে মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে। ভক্তরা পুজো দিতে এলেও শ্যামসুন্দরের দেখা পান না। প্রায় ৫০০ বছর ধরে খড়দার শ্যামের মন্দিরে এই নিয়ম চলে আসছে।

    দুর্গাপুজোর তিনদিন ৬ পদের ভোগ খান শ্যামসুন্দর (Khardah)

    এমনিতেই খড়দার (Khardah) শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্তের সমাগময় সমাগম হয়। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত দুপুর একটা নাগাদ শ্যামসুন্দর  অন্ন ভোগ গ্রহণ করেন। অন্ন ভোগে তেরো রকমের পদ থাকে। তারপরই তিনি শয়নে যান। বিকেল পাঁচটার পর মূল মন্দিরে তিনি বিরাজ করেন। কিন্তু, পুজোর সময় সেই নিয়মে ছেদ করে। ষষ্ঠীর দিন পর্যন্ত সারা বছরের বাধা ধরা নিয়ম মেনেই ভোগ নিবেদন করা হয় শ্যামসুন্দরকে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী পর্যন্ত নিয়মের পরিবর্তন হয়। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর এই তিন দিন শ্যামসুন্দর সকাল আটটার মধ্যে অন্ন ভোগ খান। পদ হিসেবে থাকে, অন্ন, ডাল, পোস্ত, চচ্চড়ি সহ ৬টি পদ। সকাল আটটার মধ্যে অন্ন ভোগ গ্রহণ করেই তিনি শয়নে চলে যান। মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরেই রয়েছে শয়ন কক্ষ। সেই শয়ন কক্ষে সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি ঘুমিয়ে থাকেন। বিকেল পাঁচটার পর ঘুম থেকে উঠে তাঁকে ফল ও মিষ্টি ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে আধঘন্টা আরতী করা হয়। রাত সাড়ে নটা পর তিনি শয়নে চলে যান। পরের দিন ভোর সাড়ে চারটে থেকে শ্যামসুন্দরের নিত্যপুজো শুরু হয়।

    পুজো প্রসঙ্গে কী বললেন মন্দিরের এক সেবাইত?

    নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর উত্তরসূরী অশেষ গোস্বামী বলেন, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর দিন খড়দা (Khardah) সহ জেলার বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজোয় বিভিন্ন জায়গায় পাঁঠা বলি হয়। শ্যামসুন্দর সেটা দেখতে পারেন না। তাই সকালেই তিনি শয়নে চলে যান। যুগ যুগ ধরে এই নিয়মেই চলে আসছে। পুরানো রীতি-নীতি ঐতিহ্য মেনেই আমরা সেই নিয়মই পালন করে চলেছি। পুজোর সময় সকালের পর বেলায় মন্দিরে ভক্তরা আসলে শ্যামসুন্দরের দেখা পাবেন না। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুজো হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই”, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Murshidabad: “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই”, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ বুধাসপাড়া ফ্রেন্ড একাদশ ক্লাবের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেবী দুর্গার পায়ে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং প্রদীপ প্রজ্বলন করে রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামানা করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি পুজো মণ্ডপ থেকে, সন্দেশখালির এক দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলের গেরুয়া কাপড় খোলা প্রসঙ্গে, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Murshidabad)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বলেন, “বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর মধ্যে যেমন আক্রমণ হয়, ঠিক তেমনি তৃণমূল কোম্পানি এখানে আক্রমণ করেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে পুজোর উপর আক্রমণ নতুন কিছু নয়। সন্দেশখালিতে গিয়ে দেখে আসুন, সেখানে রাজবাড়ি বলে একটি পুজো কমিটির পুজো হয়। সেই পুজোর প্যান্ডেল গেরুয়া কাপড় দিয়ে করা হয়েছিল বলে, সেই কাপড় খুলতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। কিন্তু এই গেরুয়া কাপড় তো বিজেপির কাপড় নয়, গেরুয়া হল স্বামী বিবেকান্দের কাপড়। গেরুয়া কাপড় ত্যাগের প্রতীক, শৌর্যের প্রতীক এবং সনাতনের প্রতীক। এই কাপড়খুলে সবুজ কাপড় লাগিয়েছে তৃণমূলের প্রধান জিয়ারুদ্দীন মোল্লা। সেই সঙ্গে এই তৃণমূলের নেতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, দিদি তোদের টাকা দিয়েছে আর তোরা গেরুয়া কাপড় লাগিয়েছিস কেন? খুলে ফেল। এই তৃণমূল নেতাকে জেলে যেতেই হবে।”

    আর কী বলেন?

    রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গে লালবাগে (Murshidabad) শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল সরকারের পুরসভা দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার। বিচারপতিরা অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সঠিক ভাবে তদন্ত হোক এবং সব চোরেরা জেলে যাক। বেকাররা চাকরি পাক।” আবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচারকদের হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। মালিকের রক্ষী যদি ২০০ কোটি টাকার মালিক হন, তাহলে মালিক কত টাকার মালিক বলে প্রশ্ন করেন তিনি।”

    মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এই দিন উপস্থিত ছিলেন পুজো মণ্ডপে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatar: ২০ বছর ধরে বোনের চাকরি করছেন দিদি, এতদিন প্রশাসন কী করছিল?

    Bhatar: ২০ বছর ধরে বোনের চাকরি করছেন দিদি, এতদিন প্রশাসন কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি পেয়েছেন বোন। আর গত ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন দিদি। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভাতারের (Bhatar) সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বিষয়টি সামনে আসতেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। এরপরই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhatar)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের (Bhatar) সাহেবগঞ্জ-১ পঞ্চায়েতের নুনাডাঙা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন সুজাতা চট্টোপাধ্যায়। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। সুজাতার বয়স এখন ৫৯ ছুঁইছুই। অভিযোগ, তাঁর বদলে এত দিন ধরে চাকরি করছিলেন দিদি সঙ্গীতা ভট্টাচার্য। ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা বোনের চাকরি করতেন এবং তাঁর বেতনের টাকা তুলে আসছেন। ভাতারের কাশীপুর গ্রামে বাড়ি সঙ্গীতার। তিনি বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি কাজে বিডিও অফিস গিয়েছিলেন সঙ্গীতা। সেখানেই ধরা পড়ে এই অনিয়ম। আধিকারিকরা তাঁর কাছে ওই চাকরি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সঙ্গীতা ভট্টাচার্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    ব্লক প্রশাসনের কর্তারা কী বলছেন?

    ভাতারের (Bhatar) বিডিও অরুণকুমার বিশ্বাস বলেন, এখন সরকারি কাজকর্মে ‘আপগ্রেডেশন’ চলছে। অনলাইনে নথিভুক্তকরণের সময় সাহেবগঞ্জ-১ অঞ্চলের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের কর্মীর তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এক জনের নামে নিয়োগ হলেও চাকরি করে আসছিলেন অন্যজন। তাঁকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ২০০৪ সালে ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ হন সুজাতা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। এখনও সব খাতায় তিনিই ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছেন। এতদিন কেউ বিষয়টি জানত না। এখন প্রশাসনিক তদন্তে ধরা পড়েছে, তাঁর নামে বেতন তুলে যাচ্ছেন শিক্ষিকার দিদি। প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। সিপিএম আমলেই এই অনিয়ম হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘গায়ের জোরে টাকা দিয়ে দুর্গাপুজো কিনছেন’’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘গায়ের জোরে টাকা দিয়ে দুর্গাপুজো কিনছেন’’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্বোধনে এসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ‘রাম মন্দির’ থিমকে নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই ইস্যুতে একহাত নিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    বুধবার সাংবাদিকদের বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকঠাক চণ্ডীপাঠও জানেন না, তাঁর কাছ থেকে লোকে পুজো শিখবে? গায়ের জোরে টাকা দিয়ে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে কেনার চেষ্টা করছেন তিনি। পিতৃপক্ষেই পুজোর উদ্বোধন করে দেওয়া হচ্ছে। ওর দলে রয়েছেন অধার্মিক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা। প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিধায়ক সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। যাঁরা নৈতিকতা জানে না, যে দলের মন্ত্রী নেতারা লাইন দিয়ে জেলে যায়, তাঁদের কাছ থেকে ধর্ম শেখার মত দুর্দশা আমাদের আসেনি।’’

    প্রসঙ্গ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো 

    প্রসঙ্গত, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর চলতি বছরের থিম হল রাম মন্দির। দ্বিতীয়ায় এই পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পুজোর উদ্যোক্তা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ। বিজেপি নেতার উদ্যোগে দুর্গাপুজো হওয়াতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর এমন আক্রমণ? এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয় এবং তা প্রদীপ ঘোষই করে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একবার পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন।’’

    নিশানা সুজিত বসুকে

    অন্যদিকে, এ দিন তৃণমূলের মন্ত্রী সুজিত বসুকেও নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, মহালয়ার আগেই শ্রীভূমির এই পুজোর উদ্বোধন করে দেওয়া হয়। ফলে অনেক মানুষেরই অসুবিধা হচ্ছে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘পিতৃপক্ষে পুজো চালু করে দেওয়া তো তৃণমূলের আমলেই শুরু হল। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবকে কন্ট্রোল কে করবে? যে কন্ট্রোল করবে সেই তো কন্ট্রোলের বাইরে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কোন অসুখে টানা দু’মাস হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? এসএসকেএমে আচমকা হানা ইডির

    Kalighater Kaku: কোন অসুখে টানা দু’মাস হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? এসএসকেএমে আচমকা হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্ট মাসে হাসপাতালে অস্ত্রপচার হয়েছে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। অক্টোবর মাসের অর্ধেক দিন অতিবাহিত। প্রায় দু মাস হাসপাতালেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য এতদিন কেন তিনি হাসপাতালে? তা খতিয়ে দেখতেই হাসপাতালে হাজির হলেন ইডির কর্তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আচমকা হানায় এসএসকেএম হাসপাতালে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দার্ঘদিন হাসপাতালে কালীঘাচের কাকু ভর্তি থাকার ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। অন্যদিকে আদালতেরও নির্দেশ রয়েছে, শীঘ্রই তদন্ত শেষ করার। তাই ইডির এই আচমকা হানা।

    সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে কথা ইডি অফিসারদের

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Kalighater Kaku) সঙ্গে ইডি অফিসাররা এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কথাও বলেন। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারদেরও কথা বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কী ধরনের সমস্যা রয়েছে! সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা হাতে পাওয়ার পরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন ইডি আধিকারিকরা। তারপরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতাল যেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাছ থেকে বাঁচার একমাত্র আস্তানা। এর আগেও সমন পেতেই মদন মিত্র বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা অনুব্রত মণ্ডলদের এখানে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে।

    চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Kalighater Kaku)। চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অন্যতম কর্তা বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন বারবার। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যার সম্বোধনও করতে থাকেন তিনি। বহুবার তাঁকে তলব করে ইডি, তাঁর বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা কয়েকমাস নজরদারি চালানোর পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas war: ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননও, চিন্তায় ভারত, কেন জানেন?

    Israel Hamas war: ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে লেবাননও, চিন্তায় ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel Hamas war)। এই যুদ্ধের সূচনা করেছিল প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডের হামাসরা। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতেই হামলা চালায় মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। হামাসের হাতে পণবন্দি ২০০ জন ইজরায়েলি নাগরিক।

    হামাসকে সঙ্গত লেবাননের হেজবুল্লার

    এমতাবস্থায় হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে মুসলমানের দেশ সিরিয়া ও লেবাননও। হামাসকে সঙ্গত দিচ্ছে লেবাননের হেজবুল্লা নামে এক জঙ্গি সংগঠন। প্রত্যাশিতভাবেই হামাসের পাশাপাশি সিরিয়া ও হেজবুল্লা-বধে নেমেছে ইজরায়েল। এতেই চিন্তা বাড়ছে ভারতের। কারণ এই মুহূর্তে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছেন ৯০০ ভারতীয় জওয়ান।

    ব্লু লাইনে’ মোতায়েন ভারতীয় সেনা

    এই জওয়ানরা রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর সদস্য হিসেবে ইজরায়েল-লেবানন (Israel Hamas war) সীমান্ত এলাকায় ‘ব্লু লাইনে’ মোতায়েন রয়েছেন। ইজরায়েল-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায়ও রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর সদস্য হিসেবে মোতায়েন রয়েছেন ২০০ ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা মোতায়েনের প্রধান উদ্দেশ্যই হল ইজরায়েল ও লেবাননের মধ্যে শান্তি বজায় রাখা। বর্তমানে এই অঞ্চলে বিশ্বের ৪৮টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এই ৪৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারতও।

    আরও পড়ুুন: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    সিরিয়া এবং লেবানন ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় চিন্তা বাড়ছে ভারতের। কারণ সীমান্তে টহলদারি চালাতে গিয়ে হামলার মুখোমুখি হতে হতে পারে ভারতীয় সেনাকে। তাই বোমাবর্ষণের ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের।

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে (Israel Hamas war) ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সেনা লক্ষ্য হতে পারে সিরিয়া এবং লেবাননের জঙ্গিদের। বিশেষত সেই কারণেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ইরানও। কারণ ইরান ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছে, প্যালেস্তাইনে যা হচ্ছে, তার দায় নিতে হবে ইজরায়েলকে। আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে থাকলেও, গাজায় স্থলে পথে হামলার চিন্তা ইজরায়েলকে ছাড়তে হবে বলেও সতর্ক করেছে বাইডেন প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিসাইলের হামলায় উড়ে গেল আস্ত একটা হাসপাতাল। চোখের পলকে অকালে প্রয়াত হলেন অন্তত পাঁচশো জন মানুষ। সুস্থ হতে কিংবা রোগীর আত্মীয়-পরিজন হিসেবে যাঁরা এসেছিলেন হাসপাতালে। যুদ্ধের সঙ্গে যাঁদের পরোক্ষভাবেও কোনও সম্পর্কই নেই। গাজার (Israel Hamas War) স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, ইজরায়েলের ছোড়া মিসাইলেই ভেঙে পড়েছে আস্ত হাসপাতালটি।

    অভিযোগ অস্বীকার ইজরায়েলের

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। তাদের দাবি, প্যালেস্তাইনের ছোড়া রকেটের আঘাতেই এই বিপর্যয়। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল অপপ্রচারের মুখোশ। ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে ইজরায়েল জানায়, গাজার হাসপাতালে যে রকেট আছড়ে পড়ে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তা হামাসের ছোড়া। মিসফায়ার করে ওই রকেট হাসপাতালে গিয়ে পড়ে। দোষ চাপানোর চেষ্টা হয় ইজরায়েলের ওপর।  

    হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ

    দিন দশেকেরও বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ (Israel Hamas War)। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইন। এই প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি হামাসরাই প্রথম হামলা চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ। তার জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

    ইজরায়েল-হামাসের এই সংঘর্ষ থেকে গাজার আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিছু রোগীও। তাঁদের দেখতে এসেছিলেন তাঁদের পরিজনেরা। আচমকাই আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। ভেঙে পড়ে হাসপাতালের একটি বড় অংশ। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। গাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, মিসাইলের ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫০০ জনের। এর পরেই শুরু হয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel Hamas War) মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা। ইজরায়েলের দাবি, যে সময় হাসপাতালটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় প্যালেস্তাইনের জিহাদি সংগঠন রকেট হামলা চালিয়েছিল। কোনও একটি রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়। সেটিই আছড়ে পড়ে গাজার ওই হাসপাতালের ওপর।

    রয়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাসপাতালে রকেট হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি সংগঠনই দায়ী। আইডিএফের অপারেশনাল সিস্টেমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, একগুচ্ছ রকেট ইজরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তা ওই হাসপাতালের ওপর দিয়েই গিয়েছিল। কোনও একটি রকেট আছড়ে পড়েই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।” আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জেনেছি, ইসলামিক জিহাদির এজন্য দায়ি। রকেট হামলা ব্যর্থ হওয়ায়ই ঘটেছে এই বিপর্যয়।”

    আরও পড়ুুন: “গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি”, মেরিটাইম সামিটে বললেন মোদি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Lakshmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেও কাটমানি! টাকা ঢুকত যুবকের অ্যাকাউন্টে, তারপর কী হল?

    Lakshmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেও কাটমানি! টাকা ঢুকত যুবকের অ্যাকাউন্টে, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা প্রায় দুবছর ধরে এক যুবকের অ্যাকাউন্টে ঢুকত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের হুদরাপুর এলাকায়। ফরিদা খাতুন নামে উপভোক্তার মোবাইলে প্রকল্পের টাকা ঢোকার ম্যাসেজ আসত। আর টাকা ঢুকত অন্যের অ্যাকাউন্টে। প্রশাসনের দরবারে গত দুবছর ধরেই দরবার করেও কোনও কাজ হয়নি। ব্লক প্রশাসনের একাংশকে হাত করে এই সব হয়েছে। এর পিছনে একটি চক্র কাজ করেছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Lakshmi Bhandar)

    ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীর ভান্ডারে(Lakshmi Bhandar)  মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে জমা হওয়ার বিষয়টি মোবাইলে ফরিদা পেয়েছেন, কিন্তু প্রকৃত অর্থে সে টাকা তাঁর ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। বিডিও-র তদন্তে ধরা পড়ে যে অ্যাকাউন্টে ফরিদার টাকা জমা পড়ছে সেটি তাঁর অ্যাকাউন্টই নয়। সেটি সম্মতিনগরের হুদরাপুরের বাসিন্দা সাদের শেখ নামে এক যুবকের অ্যাকাউন্ট। নতুন বিডিও এসেছেন শুনে ফরিদা তাঁর অভিযোগ নিয়ে দু’দিন আগে হাজির হন তাঁর কাছে। দ্রুত দুর্নীতির তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদার হাতে টাকা তুলে দিলেন রঘুনাথগঞ্জ ২-এর বিডিও দেবোত্তম সরকার। বিষয়টি জানার পর সাদেরকে বিডিও ডেকে পাঠান। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই সব কথা স্বীকার করে ওই যুবক।

    কী বললেন বিডিও?

    বিডিও দেবোত্তম বলেন, মহিলার অভিযোগ পেয়েই তদন্তের ভার দেওয়া হয় এক আধিকারিক চন্দন চৌবেকে। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুদরাপুরের যুবক সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে ২৬ মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা ঢুকেছে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা। ওই যুবক স্বীকার করে তার গ্রামেরই বন্ধু রাহুল শেখ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামে ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কও তা খতিয়ে দেখেনি। এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতি অবশ্যই ছিল। তা ছাড়া বাইরের দালাল চক্র এই ঘটনায় জড়িত জানিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। তবে যে যুবকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছিল তিনি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। আর মহিলার প্রাপ্য ১৩ হাজার টাকা তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি”, মেরিটাইম সামিটে বললেন মোদি

    PM Modi: “গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি”, মেরিটাইম সামিটে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করার সুযোগ পেতে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবার এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মুম্বইয়ে হয়ে গেল গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট ২০২৩। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের মধ্যে যে অর্থনৈতিক করিডর (IMEEC) গড়ে উঠতে চলেছে, তার মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা চাইলে দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পারবেন। তিনি জানান, সম্প্রতি ভারতে হয়ে যাওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এই করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। এই করিডর তৈরি করতে প্রধান উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতই।

    ‘ভারতের অগ্রগতির যাত্রার অংশীদার হোন’

    অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খুব কম দেশই উন্নয়ন, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র ও চাহিদার আশীর্বাদ পেয়েছে। বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা ভারতের অগ্রগতির যাত্রার অংশীদার হোন।” তিনি বলেন, “ইতিহাস বলছে, যখনই ভারতের সামুদ্রিক ক্ষমতা শক্তিশালী হয়েছে, তখনই দেশ ও বিশ্ব এর থেকে উপকৃত হয়েছে। তাই আমার সরকার গত ৯-১০ বছরে সামুদ্রিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে। তার জেরে সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রবল উন্নতি হয়েছে। দেশের একাধিক বন্দরের ধারণ ক্ষমতা এক লপ্তে অনেকখানি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বলতে পারেন দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে এই বন্দর বাণিজ্যের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নয়া রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।”

    গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী ‘সাগরমালা’ প্রকল্পেরও উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন সামুদ্রিক পরিকাঠামো বৃদ্ধির। এর জেরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত এখন বিশ্বের প্রথম পাঁচটি জাহাজ তৈরির দেশের মধ্যে পড়ছে। আমাদের মন্ত্র হল ভারতে তৈরি করো। গোটা সামুদ্রিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব অংশীদারিত্বকে এক ছাতার তলায় এনে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: ইজরায়েলি রকেট হানায় খতম হামাসের শীর্ষ জঙ্গি আয়মান নোফার

    এদিনের অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ১৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বন্দর-সম্পর্কিত একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গুজরাটের দীনদয়াল বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার টুনা টেকরা অল ওয়েদার ডিপ ড্রাফট টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি। আইএমইইসিকে সহায়তা দিতেই এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wholesale Inflation: সুখবর কেন্দ্রের! টানা ছ’মাস শূন্যের নিচে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার

    Wholesale Inflation: সুখবর কেন্দ্রের! টানা ছ’মাস শূন্যের নিচে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ছ’মাস শূন্যের নিচে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির (Wholesale Inflation) হার। গত সপ্তাহেই দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহনশীল মাত্রার নিচে নেমে গিয়েছিল। এবার পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির রিপোর্টেও দেখা গেল টানা ছ’মাস শূন্যের নিচে রয়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার। সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি। সেখানে দেখা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল -০.২৬ শতাংশ। 

    পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার

    টানা ছ’মাস পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (Wholesale Inflation) শূন্যের নিচে থাকলেও, গত কয়েক মাসে অবশ্য এই হার বেড়েছে। যেমন, অগাস্টে যেখানে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল -০.৫২ শতাংশ। তার আগের মাসে অর্থাৎ, জুলাইতে এই হার ছিল -১.৩৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের মতে, গত বছরের একই মাসের তুলনায় রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য, খনিজ তেল, টেক্সটাইল, মৌলিক ধাতু ও খাদ্য পণ্যের দাম কমে যাওয়ার কারণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণও কমেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০.৫৫ শতাংশ।

    রেপো রেট বাড়ায় আরবিআই

    মনে রাখতে হবে, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলে বাড়ে মুদ্রাস্ফীতির হারও। এমতাবস্থায় পকেটে টান পড়ে আমজনতার। বিপাকে পড়েন ঋণগ্রহীতারা। কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেলে আরবিআই রেপো রেটও বাড়ায়। তাই ঋণগ্রহীতাকে সুদ গুণতে হয় বেশি। আবার অন্যদিকে, লগ্নি টানতে ব্যাঙ্ক গ্রাহককে বিভিন্ন সঞ্চয়ে বেশি হারে সুদের প্রস্তাব দেয়। তাতে আমজনতার লাভ হয় বৈকি!

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    যেহেতু সেপ্টেম্বরে সবজির দাম কমেছে, তাই এ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতিও নেমে এসেছে ৩.৩৯ শতাংশে। অথচ অগাস্ট মাসে সবজির দাম বেশি থাকায় ওই মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৬.১৪ শতাংশ। গত মাসে শস্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ১০.৯৫ শতাংশ। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতেও এ মাসে মুদ্রাস্ফীতি -০.১১ শতাংশ কমেছে। কমেছে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতিও। ৫.৬২ শতাংশ থেকে এই মুদ্রাস্ফীতির হার কমে হয়েছে ১.৫৪ শতাংশ। জুলাই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৪৪ শতাংশ। অগাস্টে তা হয়েছিল ৬.৮৩ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.২ শতাংশ। এটাই ছিল তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share