Tag: Bengali news

Bengali news

  • RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: “শিক্ষার উচিত মূল্যবোধ এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনে ভূমিকা রাখা”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শিক্ষার উচিত নয় কেবলমাত্র বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা, তার উচিত মূল্যবোধ, চরিত্র এবং জাতীয় উন্নয়নের গঠনেও ভূমিকা রাখা।” এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএসের (RSS) সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পালিত হল বিদ্যা ভারতী অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে যোগ দেন ভাগবত।

    সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে

    তিনি বলেন, “আমাদের কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠীর কল্যাণে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আমাদের সমগ্র সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের শক্তি এবং সম্পদের উচিত সকলের অগ্রগতিতে অবদান রাখা।” এদিনের কর্মসূচিতে ভাগবত আহ্বান জানান, সামগ্রিক সামাজিক অগ্রগতি ও সমন্বিত শিক্ষার। আরএসএস কর্তা বিভিন্ন মতাদর্শের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। বলেন, “যাঁরা আমাদের মতের সঙ্গে একমত নন, তাঁদেরও আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।”

    শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

    ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি (RSS) বলেন, “বিদ্যা ভারতী শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য নয়, এটি জীবনের মূল্যবোধ এবং চরিত্র গঠনে কাজ করে। বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমাদের মানবতার সঠিক পথনির্দেশনা দেওয়া উচিত।” প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত এর ব্যবহার পরিচালনা করার জন্য নৈতিক কাঠামোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি সমাজের প্রতিটি দিককে গঠন করছে। আমরা যখন অগ্রগতিকে গ্রহণ করছি, তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এটি মানবকল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে আমরা বর্জন করব।”

    ভারতীয় অন্তর্ভুক্তিমূলক দর্শনের উল্লেখ করে ভাগবত সমষ্টিগত সম্প্রীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতি সবসময় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে লালন করে এসেছে। আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সামাজিক পরিবর্তন ব্যক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই শুরু হয়।” প্রসঙ্গত, আরএসএসের সহযোগী বিদ্যা ভারতী আয়োজন করেছে পাঁচ দিনের সর্বভারতীয় পূর্ণকালীন কর্মী প্রশিক্ষণ (Mohan Bhagwat) কর্মসূচি। এটি হচ্ছে ভোপালের শারদা বিহার আবাসিক স্কুল ক্যাম্পাসে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মোহন ভাগবত (RSS)।

  • S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশ জুড়তে পারলেই সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যার’’, স্পষ্ট কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর যদি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় তবেই মিটে যাবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ সংঘাত! ব্রিটেন সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের চুরি করা অংশটুকু জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে।’’ অর্থাৎ পাকিস্তানই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাশ্মীর সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে। এদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে কথাই ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কি ফেরত আসছে?

    লোকসভা ভোটের সময় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে জোর চর্চা শুরু হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে দুদিন জয়শঙ্করকে এনিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মনে করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ এবং তা আমাদের কাছে ফের আসা উচিত।’’ সেসময় একাধিক জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মন্তব্য করতেও শোনা যায়, অধিকৃত কাশ্মীর খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ভারতে। এই আবহে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে জয় শঙ্করের এমন মন্তব্যে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে এই ইস্যুতে। মোদি সরকার পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত আনতে কোনও পদক্ষেপ শুরু করে কিনা সেটাই এখন দেখার। গতকাল বুধবার ব্রিটেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাফ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকে পাকিস্তান সরে গেলেই কাশ্মীর সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হবে। গতকাল বুধবার লন্ডন-থিঙ্কট্যাঙ্ক অনুষ্ঠানে এক অতিথির প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ব্রিটেনে কী প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar)

    বুধবার বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন? এর উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি মনে করি, যে অংশটির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি তা হল কাশ্মীরের অধিকৃত হওয়া অংশের প্রত্যাবর্তন, যা অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। যখন এই সমস্যা সমাধান হবে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, কাশ্মীর সমস্যারও সমাধান করা হবে।’’

    বিদেশমন্ত্রীর জবাবে উঠে এল ৩৭০ ধারার প্রসঙ্গ

    কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘৩৭০ ধারা বাতিল করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের আয়োজন সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন প্রশাসন বহুমুখীতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা ভারতের স্বার্থের ক্ষেত্রে খুবই অনুকূল ৷ দুই দেশই ইতিমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ৷

    জয়শঙ্করের মন্তব্যকে সমর্থন বিজেপি-কংগ্রেসের

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে এস জয়শঙ্করের এমন মন্তব্যের পরেই বিজেপি এবং কংগ্রেস- এই দুই দলই এই মন্তব্যের সমর্থন করেছে। প্রত্যেক দলই দাবি করেছে যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজেপির নেতা মুক্তার আব্বাস নখভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংসদ ১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর এই দুটোই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রায় কুড়ি বছর আগে পাশ হওয়া এই প্রস্তাবটি আজও একটি ভিত্তিপ্রস্তর এবং এখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।’’ এই আবহে মোদি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলিকেও তুলে ধরেন তিনি। বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ ও রাজ্যের বিধানসভায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণের কথা বলেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রান্ধোয়ার গলাতে। তিনিও বলেন যে কাশ্মীরের যে অংশ বর্তমানে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা আমাদের ছিল আছে এবং থাকবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ বিদেশমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েছেন এবং তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’

    প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে ‘ভারতের উত্থান এবং বিশ্বে ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সম্মেলনেই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডে ছয় দিনের সফরে রয়েছেন জয়শঙ্কর ৷ অতিথিদের করা প্রশ্নে চিন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। চিনের সম্পর্ক বলতে গিয়ে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে তিব্বতে কৈলাস পর্বত তীর্থযাত্রার পথ খোলা-সহ বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

    ব্রিটেন সফরে জয়শঙ্কর বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে

    ব্রিটেন সফরে গিয়ে বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আলোচনা হয় দু’দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন সে দেশের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি এবং অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

  • RSS Founder: শতবর্ষে আরএসএস, প্রকাশিত হচ্ছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের জীবনী

    RSS Founder: শতবর্ষে আরএসএস, প্রকাশিত হচ্ছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে এই সংগঠন শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। বিগত ১০০ বছর ধরে পৃথিবীর সব থেকে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের তকমা পেয়েছে আরএসএস। সংগঠনের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা (RSS Founder) ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনী প্রকাশ করছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, স্বয়ংসেবকদের কাছে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ডাক্তারজি নামে পরিচিত। তাঁরই জীবনী প্রকাশ করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বইটি লিখেছেন শচীন নন্দা। বইটির নাম- হেডগেওয়ার: আ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি (Hedgewar: A Definitive Biography)। এই বইতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে তিনি সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করেন। কীভাবে শুরু হয় এর যাত্রা। জানা গিয়েছে, বইতে রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS Founder) প্রতিষ্ঠাতার ভূমিকা এবং তাঁর সংগঠন ক্ষমতা বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

    ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার (RSS Founder)

    এই বই থেকে এই পাঠকরা আরও সূক্ষ্মভাবে বুঝতে পারবেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতার জীবন। এখানে রয়েছে সংঘ প্রতিষ্ঠাতার (RSS Founder) শৈশব থেকে কিশোরবেলা ও তাঁর জীবনের নানা ঘটনা। প্রসঙ্গত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৯ সালের ১ এপ্রিল। তিনি প্রয়াত হন ১৯৪০ সালের ২১ জুন। বইটি নিয়ে শচীন নন্দা জানিয়েছেন যে বিগত সাত বছর ধরে তিনি এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণার কাজে তিনি বিভিন্ন স্থানে যেমন পৌঁছেছেন তেমনই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলিকেও অনুধাবন করেছেন।

    কী বললেন শচীন নন্দা?

    শচীন নন্দা বলেন, ‘‘আমি এই বইতে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের (RSS Founder) ভূমিকা। তাঁর বই প্রকাশ নিয়েই মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শচীন নন্দা। সেখানেই এই কথাগুলি বলেন তিনি। ওই বইতে রয়েছে ভারতে ব্রিটিশ শাসন ও সেই সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অশান্তির খবর। বইতে ব্যাখ্যা রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতাদর্শ সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ।’’ ওই সাংবাদিক সম্মেলনে শচীন নন্দা বলেন, ‘‘আমি সাত বছর ধরে এমন একটা মানুষ সম্পর্কে গবেষণা করেছি এবং লিখেছি যে মানুষটাকে (Keshav Baliram Hedgewar) এখনও অনেকজনই জানেন না। কিন্তু তাঁর তৈরি আদর্শ এবং নীতি প্রভাব বিস্তার করছে বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচ জন মানুষের মধ্যে একজনের মধ্যে।’’

  • S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সঙ্গে এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে (Donald Trump) দিল্লি আশ্চর্য হয়নি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক নেতারা যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই করেন বা অন্তত চেষ্টা করেন। তাঁরা সব সময় সফল হন না, বা সব সময় যা চান, তা পান না। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে। এই আবহে আমি মনে করি, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা দেখেছি এবং শুনেছি, তার বেশিরভাগটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই আমি একটু অবাক হয়েছি যে অন্যরা তা দেখে অবাক হচ্ছেন।”

    বহু মেরুকরণ

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী। আমাদের কখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে। আমাদের ওপর এমন কোনও বোঝা নেই যা আমরা বহন করে চলেছি।” ব্রিকস দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বদলি খুঁজছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রারূপে মার্কিন ডলারের বদলি খোঁজার কোনও নীতি ভারতের নেই।” তিনি বলেন, “মার্কিন ডলার মুদ্রা রূপে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উৎস। আর আমরা বিশ্বে আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেই।”

    বুধ-সন্ধ্যায় চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান ও ভূমিকা’ শীর্ষক এক অধিবেশনেও যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি ট্রাম্পের বহু মেরুকরণের উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মধ্যে একটি বড় যৌথ উদ্যোগ হল কোয়াড, যা এমন একটি বোঝাপড়া যেখানে প্রত্যেকে তাদের ন্যায্য অংশ প্রদান করে। এখানে ফ্রি রাইডার্স কেউ নেই। এটি (Donald Trump) একটি ভালো মডেল, কার্যকরীও বটে (S Jaishankar)।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

  • Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    Kedarnath: ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রা মাত্র ৩৬ মিনিটে! কেদারনাথে রোপওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (Modi Government) বড় সিদ্ধান্তে এবার কেদারনাথে (Kedarnath) যাওয়া আরও সহজ হল। মন্দির দর্শনের জন্য পাহাড়ি রাস্তায় আর ট্রেক করতে হবে না ভক্তদের। রোপওয়েতে চড়েই পৌঁছানো যাবে যাবেন কেদারনাথে। জাতীয় রোপওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে এবার উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত রোপওয়ের অনুমোদন দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে পথের অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। এই রোপওয়ে তৈরি করতে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রাপথ মাত্র ৩৬ মিনিটেই পার করা সম্ভব হবে। আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে কেদারনাথ (Kedarnath)।

    প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন (Kedarnath)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের রোপওয়েটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে তৈরি ও চালানো হবে। অনুমান করা হচ্ছে রোপওয়েতে প্রতিদিন ১৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। বিশেষ করে প্রবীণ ভক্তদের জন্য এই রোপওয়ে খুব সুবিধাজনক হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১,৯৬৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। আপাতত সোনপ্রয়াগ থেকে ২১ কিমি পথ পেরিয়ে কেদারনাথে পৌঁছাতে হয় ভক্তদের। সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত রয়েছে ৫ কিমি রাস্তা। অন্যদিকে, গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিমি ট্রেক করতে হয়। রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে এই পথ পাড়ি দেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।

    উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত রোপওয়ে

    শুধু কেদারনাথই নয়, একইসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রোপওয়ে প্রকল্পের উন্নয়নেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্প চালু করতে মোট খরচ হবে ২,৭৩০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এটি হেমকুণ্ড সাহিবে আগত ভক্তদের এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে আগত পর্যটকদের পৌঁছতে সুবিধা করে দেবে।

  • S Jaishankar: কানাডার পথে ব্রিটেন! লন্ডনে জয়শঙ্করের কনভয়ে হামলার চেষ্টা খালিস্তানপন্থীদের

    S Jaishankar: কানাডার পথে ব্রিটেন! লন্ডনে জয়শঙ্করের কনভয়ে হামলার চেষ্টা খালিস্তানপন্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফরে থাকা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) কনভয়ে হামরা চেষ্টা করল খালিস্তানপন্থীরা (Khalistani Extremists)। এর ফলে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিঘ্নও ঘটে। বুধবারে বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রী যখন চ্যাথাম হাউস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির দিকে ছুটে যায় এবং ব্রিটেনের পুলিশের সামনেই ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই ব্যক্তি মন্ত্রীর (S Jaishankar) কনভয়ের দিকে ছুটছে এবং ভারতের তিরঙ্গা পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এর পাশাপাশি তাকে খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান দিতেও শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে এবং অন্যান্য উগ্রপন্থীদের সরিয়ে নেয়।

    বৈঠকস্থলের বাইরে বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের

    আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) যেখানে বৈঠক করছিলেন, তার ঠিক বাইরেই খালিস্তানপন্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেখানে খালিস্তানের পতাকা ওড়ানো হয়। দেওয়া হয় খালিস্তানের দাবিতে স্লোগানও। অতীতে দেখা গিয়েছে, কানাডায় এধরনের ভারত-বিরোধী প্রচার করছে খালিস্তানপন্থীরা। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হয়েছে। সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে ব্রিটেনেও। বিশেষ করে, ব্রিটেনের বর্তমান কিথ স্টার্মার প্রশাসন বরাবরই ভারত-বিরোধীদের প্রতি আশ্চর্যজনকভাবে উদাসীন। গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থী ও ইসলাম-মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যে কারণে, অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন, ব্রিটেনের অবস্থাও ধীরে ধীরে কানাডার মতো হচ্ছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিদেশমন্ত্রী

    ৪ মার্চ থেকে ব্রিটেন সফর করছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর এই সফর চলবে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত। বুধবার দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) চেভেনিং হাউসে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করনে। জানা গিয়েছে, ওই আলোচনায় বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, কৌশলগত সমন্বয় সহ নানা দিক উঠে এসেছে। চ্যাথাম হাউসের এই আলোচনার শেষে এক সাংবাদিক এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar) জিজ্ঞাসা করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন? এই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং জানান, এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। তিনি আরও জানান যে, ভারত ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এদিন তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, কাশ্মীরের অমীমাংসিত অংশটি বর্তমানে ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান।

  • Daily Horoscope 06 March 2025: কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 March 2025: কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি।

    ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক অবসাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-খারাপ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ২) বিবাহ নিয়ে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ২) দাম্পত্য কলহের অবসান।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

     

     

    ১) সকালের দিকে কাজের জন্যে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের উপর লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) চাকরির জায়গায় বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Dehydration: হঠাৎ বাড়ছে তাপমাত্রা! ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও বাড়ছে! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Dehydration: হঠাৎ বাড়ছে তাপমাত্রা! ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও বাড়ছে! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম ডেস্ক: বসন্তের মাঝেই চড়ছে তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি সপ্তাহে গরম আরও বাড়বে। এবার মার্চেই বাঙালি উষ্ণতা টের পেতে পারে। রোদের ঝাঁঝ বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। তাপমাত্রার পারদ বেড়ে যাওয়ার বাড়ছে রোগের ঝুঁকিও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা ডিহাইড্রেশন (Dehydration) নিয়ে। এর জেরে মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

    কেন আশঙ্কায় চিকিৎসকেরা (Dehydration)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বসন্তকালে একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ে। শীত ফুরিয়ে আসে। আবার গরমের মরশুম শুরু হয়। এর ফলে, বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু চলতি বছরে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা অনেকখানি বদলে গেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য থেকে শীত দ্রুত বিদায় নিয়েছে। আর তারপরেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আর গত কয়েকদিনে সেই পারদ অনেকখানি চড়েছে! এর ফলে নানান রোগের সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, হঠাৎ গরমে আবহাওয়ায় শুষ্ক ভাব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে শরীরেও জলের চাহিদা বাড়ছে। সেই চাহিদা পূরণ না হলেই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ঝুঁকি বেশি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা অনেক বেশি দৌড়াদৌড়ি করে, এর ফলে তাদের ঘাম বেশি হয়। তারা বেশি‌ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে তাই এই পরিবেশে (Temperature)  শিশুদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্ত বয়স্কদের ও জলের পরিমাণ নিয়ে সজাগ থাকা জরুরি। প্রাপ্ত বয়স্কদের দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের দুই থেকে তিন লিটার জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।

    জলের পাশপাশি নিয়মিত রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে তরমুজ, পেঁপে জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে খুবই উপকার হবে। এই ধরনের ফল রসালো। এই ফল খেলে সহজেই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হয়।

    এই আবহাওয়ায় এসি ঘরে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শুষ্কতা বাড়ে। তাই এই আবহাওয়ায় এসি ঘরে থাকলে একাধিক রোগে আক্রান্ত (Dehydration) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

    ঘাটতি মেটাতে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ

    শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের লেবুতে‌ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমে।

    এই আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে হালকা সহজ পাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের (Temperature) একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এই শুষ্ক আবহাওয়ায় হজমের গোলমালে অনেকেই ভোগেন। এতে শরীরে আরও নানান সমস্যা তৈরি হয়। তাই কম তেল ও মশলা দিয়ে তৈরি হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে সহজেই হজম হবে। অ্যাসিডিটির (Dehydration) সমস্যা তৈরি হলে শরীরে আরও জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি।

  • Ramakrishna 288: “তুমি না গীতা, বেদান্ত পড়? তুমি না শিখাও ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা?”

    Ramakrishna 288: “তুমি না গীতা, বেদান্ত পড়? তুমি না শিখাও ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    শ্রীরামকৃষ্ণের জ্ঞানোন্মাদ ও জাতি বিচার

    পূর্বকথা ১৮৫৭—কালীমন্দির প্রতিষ্ঠার পর জ্ঞানীপাগলদর্শন—হলধারী 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—শ্রীমতীর প্রেমোন্মাদ। আবার ভক্তি-উন্মাদ আছে। যেমন হনুমানের। সীতা আগুনে প্রবেশ করেছে দেখে রামকে মারতে যায়। আবার আছে জ্ঞানোন্মআদ। একজন জ্ঞানী পাগলের মতো দেখে ছিলাম। কালীবাড়ির সবে প্রতিষ্ঠার পর। লোকে বললে, রামমোহন রায়ের ব্রাহ্মসভার একজন। একপায়ে ছেঁড়া জুতা, হাতে কঞ্চি আর একটি ভাঁড়, আঁবচারা। গঙ্গায় ডুব দিলে। তারপর কালীঘরে গেল। হলধারী তখন কালীঘরে বসে আছে। তারপর মত্ত হয়ে স্তব করতে লাগল —

    ক্ষ্রৌং ক্ষ্রৌং খট্টাঙ্গধারিণীম্ ‌ইত্যাদি

    “কুকুরের কাছে গিয়ে কান ধরে তার উচ্ছিষ্ট খেলে—কুকুর কিছু বলে নাই। আমারও তখন এই অবস্থা আরম্ভ হয়েছে। আমি হৃদের গলা ধরে বললাম, ওরে হৃদে, আমারও কি ওই দশা হবে?

    “আমার উন্মাদ অবস্থা! নারায়ণ (Kathamrita) শাস্ত্রী এসে দেখলে, একটা বাঁশ ঘাড়ে করে বেরাচ্ছি। তখন সে লোকদের কাছে বললে ওহ্‌, উন্মস্ত্‌ হ্যায়। সে অবস্থায় জাত বিচার কিছু থাকতো না। একজন নীচ জাতি, তার মাগ শাক রেঁধে পাঠাতো, আমি খেতুম।

    “কালীবাড়িতে (Ramakrishna) কাঙালীরা খেয়ে গেল, তাদের পাতা মাথায় আর মুখে ঠেকালুম। হলধারী তখন আমায় বললে, তুই করছিস কি? কাঙালীদের এঁটো খেলি, তোর ছেলেপিলের বিয়ে হবে কেমন করে? আমার তখন রাগ হল। হলধারী আমার দাদা হয়। তাহলে কি হয়? তাকে বললাম, তবে রে শ্যালা, তুমি না গীতা, বেদান্ত পড়? তুমি না শিখাও ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা? আমার আবার ছেলেপুলে হবে তুমি ঠাউরেছ! তোর গীতাপাঠের মুখে আগুন (Kathamrita)!

    (মাস্টারের প্রতি) — “দেখ, শুধু পড়াশুনাতে কিছু হয় না। বাজনার বোল লোকে মুখস্থ বেশ বলতে পারে, হাতে আনা বড় শক্ত!”

    ঠাকুর (Ramakrishna) আবার নিজের জ্ঞানোন্মাদ অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share