Tag: Bengali news

Bengali news

  • Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই এবার কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার (Recruitment Scam) অস্বচ্ছতা সামনে এল রাজ্যে। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বুধবার এবং সেই মামলায় প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের রাজ্যজুড়ে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছিল লিখিত পরীক্ষা। এরপর পরীক্ষার পরে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশিত হয় এবং এটি প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের দাবি এক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যেমন কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপেই ইন্টারভিউ এর আগে পৌঁছে যায় গোপন খবর। এখানে বলা হতে থাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে কারা থাকবেন, কারা প্রশ্ন করবেন সেই তথ্য নাকি জানতে পেরেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। আবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও অনেক অনিয়ম সামনে আসে। সেই অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই পদের কিছু চাকরি প্রার্থী। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যাঁরা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাঁদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল যে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউ তে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায় কিছু প্রার্থীর নম্বর।

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এরপরে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Scam) পুরো প্যানেল খারিজ করার নির্দেশ দেয় স্টেট ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে তাদের নির্দেশেই পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে পুরনো তালিকা থেকে ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রধান বিচারপতি টিসএস শিবজ্ঞানম এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল, সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে। এর পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে নির্দেশে প্রকাশ করা প্যানেল খারিজ করার (Recruitment Scam) নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • India Canada Row: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    India Canada Row: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়।” মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের ৭৮ তম সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জুন মাসে কানাডায় (India Canada Row) খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত। তার পর থেকে ভারত-কানাডার সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।

    জয়শঙ্করের নিশানায় কানাডা

    এহেন আবহে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করেই কানাডাকে নিশানা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়। ঠিক একই কারণে চরমপন্থা ও কোনও হিংসায় মদত দেওয়াও অনুচিত। খেয়াল রাখতে হবে এমনটা যেন না হয় নিয়ম নির্মাতারা নিয়ম গ্রহীতাদের বশীভূত করছে। নিয়ম তখনই কাজ করবে, যখন সকলের জন্য নিয়ম সমান হবে।” এদিন নাম না করে চিন এবং পাকিস্তানকেও একহাত নিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    আক্রমণ চিন, পাকিস্তানকেও

    তিনি বলেন, “কিছু কিছু দেশ নিজেদের মতো এজেন্ডা তৈরি করে আশা করে যে অন্যরাও সেটা মেনে নেবে। সেই দিন এবার শেষ।” তিনি বলেন (India Canada Row), “নয়াদিল্লি অবশ্য মনে করে কূটনীতি আর আলোচনাই সমাধানের একমাত্র পথ।” এক বিশ্ব এক পরিবারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটা শুধু ভারতের ধারণা নয়, গোটা বিশ্ব এতে বিশ্বাস করছে। এর ফলে সহযোগিতার বীজ বপন করা সম্ভব হচ্ছে।” এদিন বক্তব্যের শেষে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “নমস্তে ফ্রম ভারত।” তবে ‘ইন্ডিয়া’ নামটিও বাদ দেননি জয়শঙ্কর। যখনই দেশের প্রসঙ্গ এসেছে, তিনি ব্যবহার করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ নামটি। ভাষণের একেবারে শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত।”

    আরও পড়ুুন: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    প্রসঙ্গত, সদ্য (India Canada Row) সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ‘ভারত’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ বদলে ‘ভারত’ হচ্ছে। খাতায়-কলমে এখনও অবশ্য তা হয়নি। তবে ‘ইন্ডিয়া’ আর ‘ভারত’ যে একই দেশ, প্রধানমন্ত্রীর পর বিশ্ব রাজনীতিতে সেই পরিচয় করাতে উদ্যোগী হলেন বিদেশমন্ত্রীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dengue Situation: রাজ্যে কি অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? অনলাইন ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    Dengue Situation: রাজ্যে কি অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? অনলাইন ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনলাইন ক্লাসের তোড়জোড় শুরু রাজ্যে। তবে এবার কারণ করোনা নয় বরং ডেঙ্গি (Dengue Situation)। রাজ্য প্রশাসন যতই ডেঙ্গি নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটুক এবং পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করুক, আদতে যে বাস্তব পরিস্থিতি অন্যকিছু তা বোঝা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের বক্তব্যে। বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ৯ জন পড়ুয়ার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে অনলাইনে ক্লাস করানোর চিন্তাভাবনা চলছে। লকডাউন পরবর্তীকালে এই প্রথম এমন চিত্র দেখা গেল রাজ্যে। প্রতিনিয়ত কলকাতা সমেত রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ভাবে বাড়ছে ডেঙ্গি। অজানা জ্বর নিয়ে (Dengue Situation) বহু মানুষকে ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।

    যাদবপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু, অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? 

    জানা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ৩০ জন আবাসিক ডেঙ্গিতে (Dengue Situation) আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখাও করেছেন শতাধিক পড়ুয়া। পরিসংখ্যান বলছে একজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থাৎ যতই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে হালকা করার চেষ্টা করুন, কিন্তু যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে তাতে খুব অচিরেই কি তা অতিমারির রূপ নিতে চলেছে এমনই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Situation) 

    পরিসংখ্যান বলছে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আছে ৪,৪২৭ জন। ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত ১১ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এর এক পড়ুয়ারও মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও ডেঙ্গি (Dengue Situation) পরিস্থিতিকে হালকা ভাবে কেন দেখাতে চাইছে রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্নই বারংবার উঠছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ দিচ্ছেন জ্বর এলে অতিসত্ত্বর নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার। বাড়ির আশে পাশে জমা জল আবর্জনা যথা সম্ভব পরিষ্কার রাখতে বলছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পক্ষে। এরপরেই তোড়জোড় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই আগ্রহ এবং কৌতূহল দুটোই বাড়ছিল যে কবে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের! এবার নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গেল। রাম মন্দির (Ram Mandir) কনস্ট্রাকশন কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কের অবসান আগেই করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়দানের মাধ্যমে, এবার মন্দির উদ্বোধন হলে পূর্ণতা পাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনও শুভ মুহূর্তে হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, সেদিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। এরপর ১০ দিন ধরে চলবে আচার-অনুষ্ঠান। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন আরও জানিয়েছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরেই তিন তলা মন্দিরের  একতলার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। 

    কবে খুলছে রাম মন্দিরের দরজা 

    রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণশৈলী বিশেষভাবে করা হয়েছে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন যে মন্দিরের শিখরে এমন একটি জিনিস বসানো হচ্ছে যাতে প্রতি বছর রামনবমীর দিন সূর্যের আলো ঠিক রামের মূর্তির মাথায় পড়বে। এটির নির্মাণকার্য ইতিমধ্যে চলছে বেঙ্গালুরুতে। ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি সাধারণ মানুষের জন্য রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে আড়াই একর জমির উপরে। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় আট একর জায়গায়।

     

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পর এবার কলেজ। ২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।

    ‘মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত’

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।” কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একজন চেয়ারম্যান সুবীরেশ এখন জেলে, পারলে একটু মনে করিয়ে দেবেন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিতরা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ সারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও দুর্নীতির কারণে জেলে রয়েছেন।”

     কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী? 

    মোনালিসা ঘোষ নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২৩ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে শুধু প্রার্থীদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হলেও, নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় কোনও নম্বর বিভাজনও ছিল না। তাই ঠিক কীসের ভিত্তিতে তিনি বাদ পড়লেন, সেটা জানতে পারেননি বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মোনালিসা। তাঁর দাবি, স্বচ্ছতা আনতে প্যানেলে নম্বর প্রকাশ করতে হবে।

    কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, মেধা তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। তাই সেরকম কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের। প্যানেল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। মঙ্গলবার শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। কমিশনের আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চান, কীসের ভিত্তিতে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণাপত্র সহ বেশ কিছু নথি দেখেই প্যানেলে নাম ওঠে। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “চেয়ারম্যান নিজে কটি পেপার জমা দিয়েছেন, ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই। নম্বর প্রকাশ করলে সমস্যা কোথায়?” কলেজ সার্ভিস কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান দীপক কর। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, অবাক হয়েছি কলেজ সার্ভিস আইনে প্যানেলের কোনও সংজ্ঞা বলা নেই বলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটাল সিবিআই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট শেষ হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    সিবিআইয়ের স্ক্যানারে কারা?

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সহ একাধিক সংস্থা। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চলে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

    কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয় বিভিন্ন সময়। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতে এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট হাতে পেলেই মাথারা সামনে চলে আসবে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কীভাবে এবং কাদের কাছে টাকা গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই ফরেন্সিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও সাহায্য চেয়েছে সিবিআই (CBI)। যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেসবই চলে আসবে এই অডিটের আওতায়।

    আরও পড়ুুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ও তৎপর হয়েছে সিবিআই। এই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষা করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন ও কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হন ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনেই দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষিকা নিজের সন্তানের অসুস্থের কথা বার বার জানালেও, স্কুল পরিদর্শক বদলির অনুমতি দেননি। এই অমানবিক আচরণের অভিযোগে বিচারপতি দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিলেন। সেই সঙ্গে শিক্ষিকাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অপর দিকে হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে অপসারণের নির্দেশ পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিআই।

    মূল অভিযোগ কী (Justice Abhijit Gangopadhyay)?

    মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বানানী ঘোষের সন্তান এক বিরল রোগে আক্রান্ত। তাঁর বাড়ি হল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। তাঁকে রোজ বাড়ি থেকে ১২৪ কিলোমিটার যাতায়েত করতে হতো। তাঁর সন্তান সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডও ক্ষতিগ্রস্ত। ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। সমস্যার কথা জানিয়ে, স্কুল পরিদর্শকের কাছে স্কুল বদলির জন্য বারবার আবেদন করেন শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুল পরিদর্শ, শিক্ষিকার আবেদন এবং সমস্যার কথায় কর্ণপাত করছিলেন না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টে মামলা (Justice Abhijit Gangopadhyay) করেন শিক্ষিকা। 

    অপরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রবীন্দ্র হালদার নামক এক শিক্ষকের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে। তাঁর প্রথম স্ত্রী কুসুম হালদার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীর বিবাহকে নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামালা গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ বলে কোর্ট রায় দেন। এইদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা পাওয়ার অনুমোদন দেন ডিআই সুজিত হাইত। এরপর মামলা কোর্টে গেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ডিআই কীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা নেওয়ার অনুমতি দিলেন! তিনি কি জমিদার! আজ থেকে আর পদে থাকার দরকার নেই।”

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) মুর্শিদাবাদের এই স্কুল পরিদর্শককে অত্যন্ত অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে পরিদর্শক হাইকোর্টে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। বিচারপতি স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে হলফনামা দিতে বললেন। কিন্তু সেখানেও পরিদর্শক তথ্যের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান যে শিক্ষিকার বদলি আটকানোর পিছনে সঠিক কারণ দিতে পারেননি পরিদর্শক। বিচারপতি খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সত্যই এটি বিরল রোগ। এই রোগের কথা আমি জানি। সব থেকে অবাক করার কথা হলে সব জেনেও পরিদর্শক কেন বদলির বিরোধিতা করলেন।” এরপর অভিযুক্ত পরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামালাকারী শিক্ষিকাকে নিজের বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দেন।

    মামালাকারী শিক্ষিকার বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের স্কুল মামালারীর শিক্ষিকা বলেন, “আমার বার বার আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আদালতের নির্দেশকে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিয়েও গড়মসি হতে পারে। শিক্ষা দফতরের কাছে আমার আবেদন দ্রুত আদালতের নির্দেশকে কার্যকর করা হোক”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত খারিজ করে দিলেন রাজ্যের আর্জি। আদালত জানিয়ে দিল, ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই যাবে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের মিছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ 

    বিচারপতি সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “ক্যামাক স্ট্রিটে কোনও স্কুল নেই। এটা কোনও ধর্না কর্মসূচিও নয়। একটা মিছিল রাস্তা দিয়ে চলে যাবে।” তিনি বলেন, “ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? আপনাদের আবেদন মতো কালীঘাট এলাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত।” তিনি বলেন, “ওই এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল থামবে না এটা বলতে পারি। কিন্তু মিছিল হবেই।” আদালতের নির্দেশ, চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের জন্য স্পেশাল চ্যানেল করতে হবে। স্কুল পড়ুয়ারা যাতে আটকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ক্যামাক স্ট্রিটেই অভিষেকের অফিস 

    এই ক্যামাক স্ট্রিটে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই ওই এলাকায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল খারিজের আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “পুলিশের আবেদন মেনেই আমরা কালীঘাট এলাকায় মিছিল করিনি। পরে রুট বদল করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিলের প্রস্তুতি করেছিলাম। শেষ মুহূর্তে স্কুল পড়ুয়াদের কথা বলে অজুহাত দেখাচ্ছে রাজ্য। কোনও একজনের (অভিষেকের) অফিস রয়েছে ওই এলাকায়। তাঁর অসুবিধার কারণেই কী আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য? আদালত (Calcutta High Court) রাজ্যের আবেদনে আমল দেয়নি। শান্তুপূর্ণভাবেই আমরা মিছিল করব।”

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

    মিছিল নিয়ে পুলিশের আপত্তি প্রসঙ্গে আদালত জানায়, এ নিয়ে বেশি বিতর্ক করলে এরপর মামলাকারীরা একুশে জুলাইয়ের কথা বলবে। এর থেকে অনেক বেশি মানুষের হেনস্থার অভিযোগ তুলবে। এখানে তো মাত্র কয়েকশো লোক মিছিল করবে। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “মিছিল যাতে ওই জায়গা দিয়ে দ্রুত যেতে পারে আপনারা সেই ব্যবস্থা করুন।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৫ হাজার ৪২২ জন গ্রুপ ডি নিয়োগের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিবাদ মিছিলের সিদ্ধান্ত (Calcutta High Court) নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Sagar Dutta Hospital: দালালচক্রের মূল পান্ডার টিকি ছুঁতে পারল না পুলিশ! মাথায় কার হাত?

    Sagar Dutta Hospital: দালালচক্রের মূল পান্ডার টিকি ছুঁতে পারল না পুলিশ! মাথায় কার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দালাল চক্র নিয়ে তোলপাড় কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Sagar Dutta Hospital)। হাসপাতালে দাদালচক্রের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়ার অপরাধে শামসেদ আলি নামে তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে জাবেদ আলি নামে এক দালাল ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে নাম জড়ায় জাবেদ আলি এবং মুকিম খানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এক মুকিম খান নামে দালাল চক্রের পান্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত দালাল চক্রের মূল পান্ডা জাবেদ আলির টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ।

    দালালচক্রের মূল পান্ডার মাথায় কার হাত, কামারহাটি জুড়ে চর্চা

    কামারহাটি বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দাপুটে এই নেতা থাকার পরও এই এলাকায় তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। গত পুরসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে খোঁজ প্রার্থী দাঁড়ানোর ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা গিয়েছে, জাবেদ আলি সাগর দত্ত হাসপাতালের (Sagar Dutta Hospital) কর্মী। হাসপাতাল জুড়ে দালাল চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুদিন আগে দক্ষিণ দমদমের এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে দালাল চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। হাসপাতালে আইসিইউ বেড পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় ছয় হাজার টাকা দাবি করা হয়। আর এই অভিযোগ উঠে জাবেদ আলি ও মুকিম খানের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে বিষয়টি জানতে পেরে মদন মিত্র হস্তক্ষেপ করেন। তিনি ওই রোগীকে আইসিইউ তে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। যদিও পরে, ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মদন মিত্র সরব হন। শামসেদ আলি সাগর দত্ত হাসপাতালে অভিযুক্ত জাবেদ আলির বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছিলেন। এর পরই তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জাবেদ আলি। এই জাবেদ আলিকে নিয়েই প্রকাশ্যেই তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র সরব হয়েছেন। এত কিছুর পরেও এখনও পর্যন্ত জাবেদ আলির নাগাল পেল না পুলিশ। জাবেদ আলির পিছনে শাসক দলের এক দাপুটে নেতার হাত রয়েছে, যার জন্য জাবেদ আলি মদন মিত্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পুলিশও জাবেদকে ঘাঁটাতে সাহস পাচ্ছে না। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে গোটা কামারহাটি জুড়়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ইডির বিরুদ্ধে শাহি দরবারে নালিশ জানাতে চলেছেন সুকান্ত! কেন জানেন?

    Sukanta Majumdar: ইডির বিরুদ্ধে শাহি দরবারে নালিশ জানাতে চলেছেন সুকান্ত! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইডির যে সব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার যুক্ত তাঁরা কেউ ২০১৪ সালের পরে জন্মাননি। কিংবা ২০১৪ সালের পর চাকরিতেও যোগ দেননি। বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাব।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক-নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আদালতের কাছে আবেদন সুকান্তর

    তিনি বলেন, “আমরা আদালতের কাছে আবেদন করব যদি কোনও তদন্তকারী ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে তাদের কোনও সন্দেহ হয়, তাহলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। কংগ্রেস আমলের কোনও তদন্তকারী অফিসার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। বিএসএফের একজন অফিসারকেও গ্রেফতার হতে হয়েছে।”

    অসন্তোষ বিচারপতি সিনহার 

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বীমা ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। সেই (Sukanta Majumdar) রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, আপনারা (ইডি) জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি বীমা রয়েছে। আর কোনও সম্পত্তি নেই? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তিনি সাংসদ, অথচ তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তাঁর বেতন কোন অ্যাকাউন্টে যায়? ইডির তরফে জানানো হয় অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর পর বিচারপতি সিনহার পাল্টা প্রশ্ন, তার উল্লেখ করেননি কেন? আপনারা কী পোস্ট অফিস? আপনারাই তথ্য গোপন করেছেন বলে আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে (Sukanta Majumdar) অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ইডির। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই শুরু হয়েছে হয়রানি। আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে।” ইডির অভিযোগ, “বারবার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। নেপথ্যে হাত রয়েছে প্রভাবশালীদের।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share